ফিচার ডেস্ক
ফ্যাশনদুরস্ত হয়েও যে অলিম্পিক ট্র্যাকে ঝড় তুলে রেকর্ড করে মেডেল জেতা যায়, সেটাই দেখিয়েছেন তিনি। বিশ্বের দ্রুততম মানবীর খেতাবটা এখন তাঁর দখলে। ১১ আগস্ট শেষ হয়ে যাওয়া প্যারিস অলিম্পিকে দৌড়ের ইতিহাস গড়েছেন রেকর্ড। নাম তাঁর শা’ক্যারি রিচার্ডসন।
শা’ক্যারির রেকর্ড কিংবা দৌড় নয়, আমরা বলছি তাঁর ফ্যাশনের কথা। কিংবা উল্টো করে বলা চলে, দৌড়ের সঙ্গে নিজের ফ্যাশন দিয়েও তিনি জিতে নিয়েছেন কোটি কোটি ভক্তের মন। আর সে জন্যই বোধ হয় অলিম্পিক শেষ হয়ে যাওয়ার পরও শা’ক্যারিকে নিয়ে থামছে না আলোচনার ঝড়। এখন আর তাঁর রেকর্ড নিয়ে কথা বলছে না মানুষ, কথা বলছে তাঁর নেইল আর্ট, ট্যাটু কিংবা চুলের স্টাইল নিয়ে।
শা’ক্যারির বিশেষত্বই এখানে। অ্যাথলেটিক আর ফ্যাশন—একটিকে তিনি অন্যটির ওপর চাপিয়ে দেননি। খেয়াল করলেই দেখবেন, তাঁর মেকআপ কিংবা ফ্যাশন অনুষঙ্গ অ্যাথলেটিক কিটের সঙ্গে মিল রেখে নকশা করা ছিল। আবার অনেক সময় সেগুলো ছিল নির্দিষ্ট ইভেন্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। দৌড়ের মঞ্চে তাঁর পারফরম্যান্স আর নেইল আর্টের বহর দেখে তাই এককথায় বলে ফেলা যায় ‘নেইলড ইট’।
এবারের প্যারিস অলিম্পিকে প্রথম স্বর্ণপদক জেতার পর পতাকা
হাতে হাস্যোজ্জ্বল উদ্যাপন করেছিলেন শা’ক্যারি রিচার্ডসন। সেই পতাকা ধরে থাকা হাতের আঙুলের নখে দেখা গিয়েছিল অলিম্পিকের লোগো আর বিভিন্ন নকশা করা পাথরের ডিজাইন। এক হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে নীল রঙের ওপরে সাদা রঙে লেখা ছিল ‘আই অ্যাম নট ব্যাক’। এর বাংলা করতে হবে আমি ফিরে আসিনি। অন্য হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে লেখা ছিল ‘আই অ্যাম বেটার’। এর বাংলা অর্থ পড়তে হবে, আমি ভালো আছি।
শা’ক্যারি এসব লাইন দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন, তিনি কখনো ছোট পরিসরে খেলেন না। আর এই ব্যাপারটাই তিনি তাঁর লুকের মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরতে ভালোবাসেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় সেরাটা খেলার চেষ্টা করি। আর আমার লুকে সেটাই দেখাতে চাই—স্বচ্ছ, প্রাণবন্ত আর দ্রুত। ‘আমি ফিরে আসিনি’ বা ‘আমি ভালো আছি’ এই লেখার বিষয়ে সংবাদমাধ্যম ‘মার্ক’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শা’ক্যারি জানিয়েছিলেন, এর মাধ্যমে তিনি ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরি করতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমার সবচেয়ে বড় মন্ত্র, আমি ফিরে আসিনি, আমি আরও ভালো আছি।’ অর্থাৎ, গত শীতকালীন অলিম্পিক দল থেকে ক্যানাবিস কেলেঙ্কারিতে বাদ পড়ে যাওয়া সেই মেয়েটি ফেরেনি। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ফিরেছেন নতুন এক শা’ক্যারি, যিনি আগের চেয়ে আরও ভালো আছেন।
শা’ক্যারি রিচার্ডসন ‘মার্ক’কে দেওয়া সে সাক্ষাৎকারে তাঁর ফ্যাশনের ওপর নিজের পরিবারের প্রভাবের কথা জানান। তাঁর নেইল আর্টের অনুপ্রেরণা এসেছে মা, খালা ও দাদির কাছ থেকে। অলিম্পিকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি ফ্যাশনের জন্য অনুপ্রেরণা পাই আমার দাদি, খালা ও আমার মায়ের কাছ থেকে। প্রতিদিন, এমনকি বিশেষ কোনো মুহূর্তেও তাঁরাই আমাকে অনুপ্রেরণা দেন। তাঁরা সব সময় তাঁদের নখের যত্ন নেন। এমনকি আমি দেখেছি, তাঁরা তাঁদের চুলের ক্ষেত্রেও অনেক বেশি যত্নশীল।’
নারীদের ১০০ মিটার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড হিট জিতে শা’ক্যারির হাতের নখে দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন রঙের সমন্বয়। আর উদ্বোধনী আয়োজনে তাঁর নখজুড়ে প্রকাশ পাচ্ছিল নিজের দেশের পতাকা। যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় থাকা বিভিন্ন মোটিফ নিয়ে এই নেইল পেইন্ট করেছিলেন শা’ক্যারি। শুধু এবারের অলিম্পিকেই নয়, ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিকেও আলোচনায় ছিল তাঁর নেইল আর্ট। সে বছর অলিম্পিক ট্রায়ালে তাঁর নেইল আর্ট মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল।
আর এবার শা’ক্যারি অলিম্পিকে জেতা সোনার মেডেলটা যখন দুই হাতে ধরেছিলেন, তখনো তাঁর নেইল আর্ট নজর কেড়েছিল বিশ্বের।
সূত্র: মার্ক, ই অনলাইন ডটকম, এন্ডিস্কেপ
ফ্যাশনদুরস্ত হয়েও যে অলিম্পিক ট্র্যাকে ঝড় তুলে রেকর্ড করে মেডেল জেতা যায়, সেটাই দেখিয়েছেন তিনি। বিশ্বের দ্রুততম মানবীর খেতাবটা এখন তাঁর দখলে। ১১ আগস্ট শেষ হয়ে যাওয়া প্যারিস অলিম্পিকে দৌড়ের ইতিহাস গড়েছেন রেকর্ড। নাম তাঁর শা’ক্যারি রিচার্ডসন।
শা’ক্যারির রেকর্ড কিংবা দৌড় নয়, আমরা বলছি তাঁর ফ্যাশনের কথা। কিংবা উল্টো করে বলা চলে, দৌড়ের সঙ্গে নিজের ফ্যাশন দিয়েও তিনি জিতে নিয়েছেন কোটি কোটি ভক্তের মন। আর সে জন্যই বোধ হয় অলিম্পিক শেষ হয়ে যাওয়ার পরও শা’ক্যারিকে নিয়ে থামছে না আলোচনার ঝড়। এখন আর তাঁর রেকর্ড নিয়ে কথা বলছে না মানুষ, কথা বলছে তাঁর নেইল আর্ট, ট্যাটু কিংবা চুলের স্টাইল নিয়ে।
শা’ক্যারির বিশেষত্বই এখানে। অ্যাথলেটিক আর ফ্যাশন—একটিকে তিনি অন্যটির ওপর চাপিয়ে দেননি। খেয়াল করলেই দেখবেন, তাঁর মেকআপ কিংবা ফ্যাশন অনুষঙ্গ অ্যাথলেটিক কিটের সঙ্গে মিল রেখে নকশা করা ছিল। আবার অনেক সময় সেগুলো ছিল নির্দিষ্ট ইভেন্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। দৌড়ের মঞ্চে তাঁর পারফরম্যান্স আর নেইল আর্টের বহর দেখে তাই এককথায় বলে ফেলা যায় ‘নেইলড ইট’।
এবারের প্যারিস অলিম্পিকে প্রথম স্বর্ণপদক জেতার পর পতাকা
হাতে হাস্যোজ্জ্বল উদ্যাপন করেছিলেন শা’ক্যারি রিচার্ডসন। সেই পতাকা ধরে থাকা হাতের আঙুলের নখে দেখা গিয়েছিল অলিম্পিকের লোগো আর বিভিন্ন নকশা করা পাথরের ডিজাইন। এক হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে নীল রঙের ওপরে সাদা রঙে লেখা ছিল ‘আই অ্যাম নট ব্যাক’। এর বাংলা করতে হবে আমি ফিরে আসিনি। অন্য হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে লেখা ছিল ‘আই অ্যাম বেটার’। এর বাংলা অর্থ পড়তে হবে, আমি ভালো আছি।
শা’ক্যারি এসব লাইন দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন, তিনি কখনো ছোট পরিসরে খেলেন না। আর এই ব্যাপারটাই তিনি তাঁর লুকের মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরতে ভালোবাসেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় সেরাটা খেলার চেষ্টা করি। আর আমার লুকে সেটাই দেখাতে চাই—স্বচ্ছ, প্রাণবন্ত আর দ্রুত। ‘আমি ফিরে আসিনি’ বা ‘আমি ভালো আছি’ এই লেখার বিষয়ে সংবাদমাধ্যম ‘মার্ক’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শা’ক্যারি জানিয়েছিলেন, এর মাধ্যমে তিনি ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরি করতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমার সবচেয়ে বড় মন্ত্র, আমি ফিরে আসিনি, আমি আরও ভালো আছি।’ অর্থাৎ, গত শীতকালীন অলিম্পিক দল থেকে ক্যানাবিস কেলেঙ্কারিতে বাদ পড়ে যাওয়া সেই মেয়েটি ফেরেনি। ২০২৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ফিরেছেন নতুন এক শা’ক্যারি, যিনি আগের চেয়ে আরও ভালো আছেন।
শা’ক্যারি রিচার্ডসন ‘মার্ক’কে দেওয়া সে সাক্ষাৎকারে তাঁর ফ্যাশনের ওপর নিজের পরিবারের প্রভাবের কথা জানান। তাঁর নেইল আর্টের অনুপ্রেরণা এসেছে মা, খালা ও দাদির কাছ থেকে। অলিম্পিকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি ফ্যাশনের জন্য অনুপ্রেরণা পাই আমার দাদি, খালা ও আমার মায়ের কাছ থেকে। প্রতিদিন, এমনকি বিশেষ কোনো মুহূর্তেও তাঁরাই আমাকে অনুপ্রেরণা দেন। তাঁরা সব সময় তাঁদের নখের যত্ন নেন। এমনকি আমি দেখেছি, তাঁরা তাঁদের চুলের ক্ষেত্রেও অনেক বেশি যত্নশীল।’
নারীদের ১০০ মিটার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড হিট জিতে শা’ক্যারির হাতের নখে দেখা গিয়েছিল বিভিন্ন রঙের সমন্বয়। আর উদ্বোধনী আয়োজনে তাঁর নখজুড়ে প্রকাশ পাচ্ছিল নিজের দেশের পতাকা। যুক্তরাষ্ট্রের পতাকায় থাকা বিভিন্ন মোটিফ নিয়ে এই নেইল পেইন্ট করেছিলেন শা’ক্যারি। শুধু এবারের অলিম্পিকেই নয়, ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিকেও আলোচনায় ছিল তাঁর নেইল আর্ট। সে বছর অলিম্পিক ট্রায়ালে তাঁর নেইল আর্ট মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল।
আর এবার শা’ক্যারি অলিম্পিকে জেতা সোনার মেডেলটা যখন দুই হাতে ধরেছিলেন, তখনো তাঁর নেইল আর্ট নজর কেড়েছিল বিশ্বের।
সূত্র: মার্ক, ই অনলাইন ডটকম, এন্ডিস্কেপ
কে ড্রামা বা কোরীয় ড্রামা দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে এর মাধ্যমে দেশটি ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের সংস্কৃতি, উন্মুক্ত করে দিচ্ছে ভ্রমণের জায়গাগুলো। ভ্রমণের আহ্বান জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের। কে ড্রামাগুলোতে এমন কিছু দ্বীপ দেখানো হয়েছে যেগুলো এখন রীতিমতো পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠেছ
৮ ঘণ্টা আগেঈদের দীর্ঘ বন্ধে নতুন খাবার রান্নার চেষ্টা করতে পারেন। তাতে স্বাদের বদল ও নতুন খাবার খাওয়া—দুটোই হবে। থাকল দক্ষিণ ভারতের খাবার উপমার রেসিপি।
১১ ঘণ্টা আগেমানচিত্রে ভারতের দক্ষিণে যেন একফোঁটা জলের টিপ ঝুলে আছে, তার নাম শ্রীলঙ্কা। ক্রিকেটে দেশটির খ্যাতি বিশ্বময়। তবে এর বাইরে পর্যটনের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা বেশ আকর্ষণীয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় পর্যটকদের পদচারণে এখন মুখর শ্রীলঙ্কা।
৩ দিন আগেথাইল্যান্ড ‘ছয় দেশ, এক গন্তব্য’ নামে একটি নতুন পর্যটন ক্যাম্পেইন চালু করতে যাচ্ছে। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছয়টি দেশকে একসঙ্গে যুক্ত করে পর্যটকদের জন্য একটি সহজ ও আনন্দদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা তৈরি করা। থাইল্যান্ড ছাড়া এই প্রকল্পে অংশ
৩ দিন আগে