ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
পৃথিবীর সুখী দেশের তালিকায় গত আট বছর ফিনল্যান্ড নাম ধরে রেখেছে। এর কারণ কী? সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও গবেষণার উচ্চহার—এগুলোই কি কারণ? বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন উত্তর।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ যতটা ভেবেছিল, বাস্তবে দুই গুণ বেশি অপরিচিত ব্যক্তিরা ফিরিয়ে দিয়েছে হারানো মানিব্যাগ। গবেষকেরা বলেন, ‘আপনি যদি মনে করেন, আপনার চারপাশের মানুষ সহানুভূতিশীল, আপনি তখনই সবচেয়ে সুখী।’
এ বছরের ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’-এ শীর্ষে আছে ফিনল্যান্ড। এই অবস্থানে আসার মূল কারণগুলো হলো, উচ্চ জীবন সন্তুষ্টি, স্বচ্ছ প্রশাসন, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ও শক্তিশালী সামাজিক সহায়তার সংস্কৃতি।
ফিনল্যান্ড আমাদের শেখায় যে সুখ শুধু সম্পদের ওপর নির্ভর করে না; বরং বিশ্বাস, সহমর্মিতা, মানসিক স্বাস্থ্য, প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক, সামাজিক নিরাপত্তা ও খোলামেলা সংস্কৃতি—এই সবকিছুর সম্মিলনেই জন্ম নেয় একটি সুখী সমাজ।
ফিনল্যান্ড কেন ব্যতিক্রম
গ্যালাপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলানা রন-লেভির মতে, ফিনল্যান্ডকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে এর সামাজিক বিশ্বাস, ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ও ব্যতিক্রমী সামাজিক সহায়তা নেটওয়ার্ক। এই উপাদানগুলো ফিনিশদের জীবনে স্থায়ী সুখ ও মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করে।
নিরাপদ ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা
ফিনল্যান্ডের বড় শক্তির একটি হলো তাদের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা। প্রায় বিনা মূল্যে নাগরিকদের মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দেয় দেশটি। এর মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তাও রয়েছে। বিষয়টি ফিনল্যান্ডের নাগরিকদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কুসংস্কার কমাতে সাহায্য করছে। পরিবারে ছুটি, ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স ও প্রাকৃতিকভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন—সব মিলিয়ে ফিনল্যান্ডে বসবাস অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। দেশটিতে আছে খোলামেলা আবেগ প্রকাশের সংস্কৃতি। মেন্টাল হেলথ ফিনল্যান্ডের একজন বিশেষজ্ঞ মারি লারিভারা জানান, ফিনিশরা নিজেদের জীবনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে। গবেষণা বলছে, এই অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে সহায়ক।
মানসিক স্বাস্থ্য অবহেলার বিষয় নয়
‘সেলফ-কেয়ার’ ফিনল্যান্ডে শুধু একটি ফ্যাশনেবল শব্দ নয়। ফিনল্যান্ডের মানুষ বিভিন্ন ঋতুতে সূর্যের আলো ভিন্ন রকমভাবে পায়। আর্কটিক সার্কেলের উত্তরে গ্রীষ্মকালে, অর্থাৎ মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত সূর্য অস্ত যায় না। আবার শীতকালে বা নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সূর্য একেবারে ওঠে না। দেশটির দক্ষিণে, শীতকালে দিনের আলো থাকে মাত্র ৬ ঘণ্টা, যেখানে গ্রীষ্মকালে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত আলো থাকতে পারে। এ বিষয়গুলো তাদের আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছে। ফিনিশরা কিছু অভ্যাস সক্রিয় রাখে সব সময়, যেমন প্রতিদিন বাইরে হাঁটা অথবা পবিত্র সাওনা অনুশীলন। তাদের কাছে নিজের যত্ন নেওয়া প্রতিদিনের জীবনের অংশ।
প্রকৃতি ও সৃষ্টিশীল জীবনের প্রাধান্য
ফিনল্যান্ডের সংস্কৃতিতে বন, হ্রদ, উপকূল—এই প্রাকৃতিক সম্পদগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। হাইকিং, সাঁতার, ক্যাম্পিংয়ের মতো আউটডোর কর্মকাণ্ড সেখানে সাধারণ বিষয়। এ ছাড়া সেখানে কম খরচে শিক্ষা ও সৃজনশীল কাজের সুযোগ রয়েছে, যা ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও সামাজিক সংযোগ বাড়ায়।
সুখ মানে ধারাবাহিক শান্তি
তামপেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুহো সায়রি বলেন, ‘ফিনিশদের সুখ মানে জাঁকজমকপূর্ণ আনন্দ নয়, বরং জীবনের ওপর একটি স্থিতিশীল সন্তুষ্টি।’ ওউলু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিরকা হিন্টসানেন মনে করেন, ‘ব্যক্তিগত মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাহ্যিক পরিবেশ, সামাজিক নীতি ও সরকারি ব্যবস্থাপনা মানুষকে সুখী করতে বড় ভূমিকা রাখে।’
কম সময় মানে ভালো ফোকাস
নিউইয়র্কপ্রবাসী প্যাট্রিস পোলৎজার গত বছর ডিসেম্বরে তাঁর স্বামী ও তিন সন্তান নিয়ে হেলসিংকি যান। ফিনল্যান্ডে সূর্যোদয় হয় দুপুরে আর সূর্যাস্ত হয় বেলা প্রায় সাড়ে ৩টায়! এই দৃশ্য দেখে প্যাট্রিস কিছুটা অবাক হয়ে ট্যাক্সিচালকের কাছে জানতে চান, এত কম আলোতেও সবাই এত সুখী কীভাবে?
চালক জানান, অন্ধকার শীতকালের মধ্য থেকেও ফিনল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম উদ্ভাবনমূলক একটি উৎপাদনশীল অর্থনীতি বজায় রেখেছে। প্যাট্রিস বুঝতে পারেন, দিনের দীর্ঘ পরিধি নয়, বরং সংক্ষিপ্ত সময় বেশি ফোকাসের সুযোগ দেয়। শীতকালের শক্তি আলাদা হয়। শীতকালে সবকিছু করতে পারা যাবে না, সেটা ঠিক। তবু এটাকে শক্তিতে পরিণত করে ফিনল্যান্ডের মানুষ।
কীভাবে পরিমাপ করা হয় সুখ
‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’-এ ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ফিনল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জীবন সম্পর্কে মূল্যায়ন সংগ্রহ করা হয়েছিল। মানুষকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ‘কান্ট্রিল লেডার’ নামক একটি স্কেলে, যেখানে শূন্য মানে সবচেয়ে খারাপ জীবন, আর ১০ মানে সবচেয়ে ভালো। এই স্কোরের সঙ্গে আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল। সেগুলো হলো মাথাপিছু আয়, সামাজিক সহায়তা, স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রত্যাশা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও উদারতা।
কোন দেশগুলো এগিয়ে
এ বছরের জাতিসংঘ প্রস্তাবিত ‘বিশ্ব সুখ’ রিপোর্টে ফিনল্যান্ডের পরে আছে ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। তবে লাতিন আমেরিকার দুটি দেশ, কোস্টারিকা ও মেক্সিকো এবার প্রথম শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এতে পারিবারিক সম্পর্ক বড় ভূমিকা রেখেছে।
সূত্র: বিবিসি, ইভিএন এক্সপ্রেস, সিএনবিসি
প্যাট্রিস পোলৎজারের ছবি, সূত্র: সিএনবিসি
পৃথিবীর সুখী দেশের তালিকায় গত আট বছর ফিনল্যান্ড নাম ধরে রেখেছে। এর কারণ কী? সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও গবেষণার উচ্চহার—এগুলোই কি কারণ? বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন উত্তর।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ যতটা ভেবেছিল, বাস্তবে দুই গুণ বেশি অপরিচিত ব্যক্তিরা ফিরিয়ে দিয়েছে হারানো মানিব্যাগ। গবেষকেরা বলেন, ‘আপনি যদি মনে করেন, আপনার চারপাশের মানুষ সহানুভূতিশীল, আপনি তখনই সবচেয়ে সুখী।’
এ বছরের ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’-এ শীর্ষে আছে ফিনল্যান্ড। এই অবস্থানে আসার মূল কারণগুলো হলো, উচ্চ জীবন সন্তুষ্টি, স্বচ্ছ প্রশাসন, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ও শক্তিশালী সামাজিক সহায়তার সংস্কৃতি।
ফিনল্যান্ড আমাদের শেখায় যে সুখ শুধু সম্পদের ওপর নির্ভর করে না; বরং বিশ্বাস, সহমর্মিতা, মানসিক স্বাস্থ্য, প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক, সামাজিক নিরাপত্তা ও খোলামেলা সংস্কৃতি—এই সবকিছুর সম্মিলনেই জন্ম নেয় একটি সুখী সমাজ।
ফিনল্যান্ড কেন ব্যতিক্রম
গ্যালাপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলানা রন-লেভির মতে, ফিনল্যান্ডকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে এর সামাজিক বিশ্বাস, ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ও ব্যতিক্রমী সামাজিক সহায়তা নেটওয়ার্ক। এই উপাদানগুলো ফিনিশদের জীবনে স্থায়ী সুখ ও মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করে।
নিরাপদ ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা
ফিনল্যান্ডের বড় শক্তির একটি হলো তাদের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা। প্রায় বিনা মূল্যে নাগরিকদের মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দেয় দেশটি। এর মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তাও রয়েছে। বিষয়টি ফিনল্যান্ডের নাগরিকদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কুসংস্কার কমাতে সাহায্য করছে। পরিবারে ছুটি, ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালেন্স ও প্রাকৃতিকভাবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন—সব মিলিয়ে ফিনল্যান্ডে বসবাস অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। দেশটিতে আছে খোলামেলা আবেগ প্রকাশের সংস্কৃতি। মেন্টাল হেলথ ফিনল্যান্ডের একজন বিশেষজ্ঞ মারি লারিভারা জানান, ফিনিশরা নিজেদের জীবনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে। গবেষণা বলছে, এই অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে সহায়ক।
মানসিক স্বাস্থ্য অবহেলার বিষয় নয়
‘সেলফ-কেয়ার’ ফিনল্যান্ডে শুধু একটি ফ্যাশনেবল শব্দ নয়। ফিনল্যান্ডের মানুষ বিভিন্ন ঋতুতে সূর্যের আলো ভিন্ন রকমভাবে পায়। আর্কটিক সার্কেলের উত্তরে গ্রীষ্মকালে, অর্থাৎ মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত সূর্য অস্ত যায় না। আবার শীতকালে বা নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সূর্য একেবারে ওঠে না। দেশটির দক্ষিণে, শীতকালে দিনের আলো থাকে মাত্র ৬ ঘণ্টা, যেখানে গ্রীষ্মকালে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত আলো থাকতে পারে। এ বিষয়গুলো তাদের আগাম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছে। ফিনিশরা কিছু অভ্যাস সক্রিয় রাখে সব সময়, যেমন প্রতিদিন বাইরে হাঁটা অথবা পবিত্র সাওনা অনুশীলন। তাদের কাছে নিজের যত্ন নেওয়া প্রতিদিনের জীবনের অংশ।
প্রকৃতি ও সৃষ্টিশীল জীবনের প্রাধান্য
ফিনল্যান্ডের সংস্কৃতিতে বন, হ্রদ, উপকূল—এই প্রাকৃতিক সম্পদগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত। হাইকিং, সাঁতার, ক্যাম্পিংয়ের মতো আউটডোর কর্মকাণ্ড সেখানে সাধারণ বিষয়। এ ছাড়া সেখানে কম খরচে শিক্ষা ও সৃজনশীল কাজের সুযোগ রয়েছে, যা ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও সামাজিক সংযোগ বাড়ায়।
সুখ মানে ধারাবাহিক শান্তি
তামপেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুহো সায়রি বলেন, ‘ফিনিশদের সুখ মানে জাঁকজমকপূর্ণ আনন্দ নয়, বরং জীবনের ওপর একটি স্থিতিশীল সন্তুষ্টি।’ ওউলু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিরকা হিন্টসানেন মনে করেন, ‘ব্যক্তিগত মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাহ্যিক পরিবেশ, সামাজিক নীতি ও সরকারি ব্যবস্থাপনা মানুষকে সুখী করতে বড় ভূমিকা রাখে।’
কম সময় মানে ভালো ফোকাস
নিউইয়র্কপ্রবাসী প্যাট্রিস পোলৎজার গত বছর ডিসেম্বরে তাঁর স্বামী ও তিন সন্তান নিয়ে হেলসিংকি যান। ফিনল্যান্ডে সূর্যোদয় হয় দুপুরে আর সূর্যাস্ত হয় বেলা প্রায় সাড়ে ৩টায়! এই দৃশ্য দেখে প্যাট্রিস কিছুটা অবাক হয়ে ট্যাক্সিচালকের কাছে জানতে চান, এত কম আলোতেও সবাই এত সুখী কীভাবে?
চালক জানান, অন্ধকার শীতকালের মধ্য থেকেও ফিনল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম উদ্ভাবনমূলক একটি উৎপাদনশীল অর্থনীতি বজায় রেখেছে। প্যাট্রিস বুঝতে পারেন, দিনের দীর্ঘ পরিধি নয়, বরং সংক্ষিপ্ত সময় বেশি ফোকাসের সুযোগ দেয়। শীতকালের শক্তি আলাদা হয়। শীতকালে সবকিছু করতে পারা যাবে না, সেটা ঠিক। তবু এটাকে শক্তিতে পরিণত করে ফিনল্যান্ডের মানুষ।
কীভাবে পরিমাপ করা হয় সুখ
‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’-এ ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ফিনল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জীবন সম্পর্কে মূল্যায়ন সংগ্রহ করা হয়েছিল। মানুষকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ‘কান্ট্রিল লেডার’ নামক একটি স্কেলে, যেখানে শূন্য মানে সবচেয়ে খারাপ জীবন, আর ১০ মানে সবচেয়ে ভালো। এই স্কোরের সঙ্গে আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল। সেগুলো হলো মাথাপিছু আয়, সামাজিক সহায়তা, স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রত্যাশা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও উদারতা।
কোন দেশগুলো এগিয়ে
এ বছরের জাতিসংঘ প্রস্তাবিত ‘বিশ্ব সুখ’ রিপোর্টে ফিনল্যান্ডের পরে আছে ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। তবে লাতিন আমেরিকার দুটি দেশ, কোস্টারিকা ও মেক্সিকো এবার প্রথম শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এতে পারিবারিক সম্পর্ক বড় ভূমিকা রেখেছে।
সূত্র: বিবিসি, ইভিএন এক্সপ্রেস, সিএনবিসি
প্যাট্রিস পোলৎজারের ছবি, সূত্র: সিএনবিসি
কোনো কিছুর ওপর মন খারাপ, গালি দিন। মন ভালো হয়ে যাবে। বিরক্তিকর মানুষকে গালি দিন, মন শান্ত হবে। নিজের ওপর বিরক্ত, নিজেকেই দিয়ে বসুন একটা গালি। মন ভালো না হলেও হালকা লাগবে। তাই বিজ্ঞানীরা বলেন, গালির আছে বিশাল শক্তি।...
৩ ঘণ্টা আগেসৌদি বহুদিন ধরেই বাংলাদেশিদের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। মুসলিমদের জন্য এটি পবিত্র হজ ও ওমরাহ পালনের স্থান, একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ সন্ধানী হাজারো বাংলাদেশির প্রবাসজীবনের কেন্দ্র। এছাড়া আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পুনর্মিলনেও অনেকেই সৌদি সফর করেন।
৬ ঘণ্টা আগেইদানীং স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ক্ষেত্রে ‘গাট হেলথ’ বা অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্ত্র ঠিক থাকলে খাবারের পুষ্টি সঠিকভাবে গ্রহণ হয়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের অন্যান্য কার্যক্রমও সঠিকভাবে চলে।
৭ ঘণ্টা আগেসবুজ পাহাড়, জলপাইগাছ আর আঙুরবাগানে ঘেরা এক মনোরম গ্রাম রাদিকনদলি। ছবির মতো গ্রামটি ইতালির টাসকানি অঞ্চলের সিয়েনা শহরের কাছে। একসময় প্রাণচঞ্চল মধ্যযুগীয় বসতি হলেও এখন তা প্রায় জনশূন্য। যেখানে আগে ৩ হাজারের মতো মানুষ থাকত, সেখানে এখন বাস করে মাত্র ৯৬৬ জন। গ্রামের ৪৫০টি বাড়ির মধ্যে শতাধিক খালি পড়ে
৯ ঘণ্টা আগে