Ajker Patrika

পৃথিবীর যে ১০ স্থানে মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পর্ণ নিষেধ এমন ১০টি জায়গা আছে পৃথিবীতে। ছবি: কোলাজ
সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পর্ণ নিষেধ এমন ১০টি জায়গা আছে পৃথিবীতে। ছবি: কোলাজ

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা অনেক জায়গা মানুষের কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু সব কৌতূহলের শেষ হয় না। কারণ, কিছু কিছু জায়গা রহস্যে ঘেরা, আবার কিছু স্থান এতটাই বিপজ্জনক যে সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

মানুষ স্বভাবতই নতুন কিছু জানতে ও দেখতে ভালোবাসে। সেই ভালোবাসার টানে আমরা প্রতিনিয়ত ছুটে চলি পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেখানে আগ্রহের কমতি না থাকলেও আমাদের প্রবেশাধিকার নেই। নিরাপত্তা, পরিবেশ সুরক্ষা বা ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে এসব জায়গা মানুষের নাগালের বাইরে রাখা হয়েছে।

এরিয়া ৫১, যুক্তরাষ্ট্র

একটি গোপন সামরিক ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের এরিয়া ৫১। ছবি: উইকিপিডিয়া
একটি গোপন সামরিক ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের এরিয়া ৫১। ছবি: উইকিপিডিয়া

দেশটির দক্ষিণ নেভাডায় অবস্থিত একটি গোপন সামরিক ঘাঁটি এরিয়া ৫১। এটি মূলত অস্ত্র ও বিমান পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে একে ঘিরে আছে অনেক ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। অনেক মানুষ বিশ্বাস করে, এখানে ভিনগ্রহের প্রাণী বা এ-সম্পর্কিত তথ্য লুকানো হয়। সাধারণ মানুষের জন্য এটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং মার্কিন সরকারও এরিয়া ৫১-এর অস্তিত্ব সম্পর্কে খুব বেশি প্রকাশ করে না।

লাসকাক্স গুহা, ফ্রান্স

মানুষের নিশ্বাস ও স্পর্শে এ গুহার ঐতিহাসিক শিল্পকর্মগুলোর ক্ষতি হতে পারে, এই আশঙ্কায় গুহাটিতে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছবি: ইউকিপিডিয়া
মানুষের নিশ্বাস ও স্পর্শে এ গুহার ঐতিহাসিক শিল্পকর্মগুলোর ক্ষতি হতে পারে, এই আশঙ্কায় গুহাটিতে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছবি: ইউকিপিডিয়া

প্রত্নতত্ত্বের এক অমূল্য ভান্ডার এটি। ফ্রান্সের এই গুহায় প্রায় ১৭ হাজার ৩০০ বছর আগের প্যালিওলিথিক যুগের চিত্রকর্ম দেখতে পাওয়া যায়। গুহার দেয়ালে আঁকা সেই পুরোনো ছবিগুলোতে দেখা যায় বিভিন্ন গবাদিপশু, হরিণ ও বাইসনের মতো প্রাণীর জীবন্ত চিত্র। তবে মানুষের নিশ্বাস ও স্পর্শে এই ঐতিহাসিক শিল্পকর্মগুলোর ক্ষতি হতে পারে, এমন আশঙ্কায় ১৯৬৩ সাল থেকে এই গুহা জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।

প্রাভচিকা ব্রানা, চেক প্রজাতন্ত্র

চেক প্রজাতন্ত্রের অন্যতম স্থাপত্য হলো প্রাভচিকা ব্রানা। এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় বেলেপাথরের ধনুক। ১৯৮২ সালের আগপর্যন্ত এটি দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করত। কিন্তু ক্ষয় রোধ করার জন্য এখন সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই প্রাকৃতিক বেলেপাথরের ধনুকটি খুব শিগগির ভেঙে যেতে পারে, তাই এটি নিষিদ্ধ স্থান করা হয়।

সার্টসে দ্বীপ, আইসল্যান্ড

আইসল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলের কাছে অবস্থিত একটি ছোট দ্বীপ। ১৯৬৩ সালে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এই দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছিল। তাই এটি পৃথিবীর নতুন দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। দ্বীপটি এখন বিজ্ঞানীদের গবেষণার জন্য একটি খোলা ল্যাবরেটরি। এখানে কীভাবে প্রকৃতি নিজে থেকেই নতুন বাস্তুতন্ত্র তৈরি করে, তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য শুধু কয়েকজন বিজ্ঞানী ও ভূতাত্ত্বিকের প্রবেশাধিকার আছে।

উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপ, ভারত

এখানে বাস করে সেন্টিনেলিজ জাতির মানুষেরা। এরা বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করতে আগ্রহী নয়। ছবি: উইকিপিডিয়া
এখানে বাস করে সেন্টিনেলিজ জাতির মানুষেরা। এরা বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করতে আগ্রহী নয়। ছবি: উইকিপিডিয়া

আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের এই দ্বীপ পৃথিবীর বিচ্ছিন্ন জায়গাগুলোর অন্যতম। এখানে বাস করে সেন্টিনেলিজ উপজাতি, যারা বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করতে আগ্রহী নয়। তাদের নিজেদের সংস্কৃতি ও স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখার জন্য তারা যেকোনো বহিরাগতকে আক্রমণ করে বসে। ভারত সরকার এই উপজাতিকে সুরক্ষা দিয়েছে এবং যেকোনো দর্শনার্থীর জন্য এই দ্বীপে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

হার্ড আইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া

অ্যান্টার্কটিকা ও মাদাগাস্কারের মাঝখানে অবস্থিত এই দ্বীপ রাজনৈতিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার অংশ। দ্বীপটি আসলে দুটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি নিয়ে গঠিত এবং এর সম্পূর্ণ ভূমি অনুর্বর। প্রকৃতির এই ভঙ্গুর পরিবেশকে রক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার এই দ্বীপে সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।

স্নেক আইল্যান্ড, ব্রাজিল

ব্রাজিলের এই দ্বীপ হাজার হাজার বিষধর সাপের বাস। অতিরিক্ত বিপজ্জনক হওয়ায় দ্বীপটিতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ। ছবি: উইকিপিডিয়া
ব্রাজিলের এই দ্বীপ হাজার হাজার বিষধর সাপের বাস। অতিরিক্ত বিপজ্জনক হওয়ায় দ্বীপটিতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ। ছবি: উইকিপিডিয়া

নাম শুনেই বোঝা যায়, এটি সাপের বাসস্থান। ব্রাজিলের এই দ্বীপ হাজার হাজার বিষধর সাপের জন্য পরিচিত; বিশেষ করে এখানে আছে ব্যাপকসংখ্যক মারাত্মক গোল্ডেন ল্যান্সহেড সাপ। ধারণা করা হয়, এই ছোট্ট দ্বীপে প্রায় ৪ হাজার সাপ রয়েছে। অতিরিক্ত বিপজ্জনক হওয়ার কারণে ব্রাজিল সরকার এখানে মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

কিন শি হুয়াংয়ের সমাধি, চীন

চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াংয়ের সমাধি ২ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে একটি পিরামিডের নিচে সমাহিত রয়েছে। এটি ইতিহাসের অন্যতম এক আবিষ্কার, যেখানে বিখ্যাত টেরাকোটা সেনাবাহিনী পাওয়া গিয়েছিল। যদিও সমাধির একটি অংশ উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে এর প্রধান অংশ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। চীন সরকার সম্রাটের প্রতি শ্রদ্ধা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বজায় রাখার জন্য এই সমাধি খনন নিষিদ্ধ করেছে।

ডুমসডে ভল্ট, নরওয়ে

এটি পৃথিবীর আপৎকালীন বীজভান্ডার। বীজ সংরক্ষণের নিরাপত্তার জন্য এখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। ছবি: উইকিপিডিয়া
এটি পৃথিবীর আপৎকালীন বীজভান্ডার। বীজ সংরক্ষণের নিরাপত্তার জন্য এখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। ছবি: উইকিপিডিয়া

নরওয়ের আর্টিক অঞ্চলের সালবার্ড দ্বীপে অবস্থিত এই ভল্ট একটি বৈশ্বিক বীজব্যাংক। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা লক্ষাধিক বীজ এখানে নিরাপদে সংরক্ষণ করা হয়, যাতে কোনো বৈশ্বিক দুর্যোগ বা সংকটের সময় খাদ্যশস্যের অভাব না হয়। এই জায়গায় জনসাধারণের প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। শুধু বিশেষ প্রয়োজনে এই ব্যাংক খোলা হয়।

ডুলস বেস, যুক্তরাষ্ট্র

নিউ মেক্সিকোর কলোরাডো সীমান্তের কাছে অবস্থিত ডুলস শহরটি নানা রহস্যে ঘেরা। সেখানে একটি বিশাল ভূগর্ভস্থ পরীক্ষাগার রয়েছে বলে শোনা যায়। অনেকে বিশ্বাস করে, সেখানে উন্নত প্রযুক্তি এবং মানুষ ও অন্য প্রাণীর হাইব্রিড নিয়ে গোপন গবেষণা করা হয়। জায়গাটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সুরক্ষিত ও নিষিদ্ধ স্থানগুলোর অন্যতম।

সূত্র: হলিডেফি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

ঝালকাঠিতে পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতার সভা: দলে ক্ষোভ ও বিভক্তি বাড়ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ১০ রুটি

ফিচার ডেস্ক
বোলানি, আফগানিস্তান। ছবি: উইকিপিডিয়া
বোলানি, আফগানিস্তান। ছবি: উইকিপিডিয়া

রুটি শব্দটি দেশভেদে বদলে যায়। কোথাও তা পাউরুটি, কোথাও নান, আবার কোথাও ডালপুরি। রুটি কী দিয়ে তৈরি হবে বা কেমন হবে, এটা নির্ধারণ করে দেয় সেই দেশের সংস্কৃতি ও ইতিহাস।

‘ব্রেড: আ গ্লোবাল হিস্ট্রি’ বইয়ের লেখক উইলিয়াম রুবেল বলেন, ‘রুটি কেমন হবে, সেটি বিভিন্ন সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। এটাকে নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় বাঁধা যায় না।’ রুটির ইতিহাস বিভিন্ন সংস্কৃতির মতো হাজার বছরের পুরোনো।

পুরাতাত্ত্বিকদের গবেষণায় জানা গেছে, প্রায় ১০ হাজার বছর আগে জর্ডানের ব্ল্যাক ডেজার্ট অঞ্চলে মানুষ কন্দজাতীয় উদ্ভিদ ও শস্য একসঙ্গে মিশিয়ে আগুনে পুড়িয়ে রুটির মতো একধরনের খাবার তৈরি করত। সেটাই ছিল মানুষের তৈরি প্রাচীনতম রুটি।

এশিয়া অঞ্চলে রুটি বেশ জনপ্রিয়। প্রায় প্রতিটি দেশে রুটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কোথাও তা প্রধান খাবার, আবার কোথাও নিয়মিত খাবারের অংশ। দেখে নিন কোন দেশের রুটির নাম কী।

বোলানি, আফগানিস্তান

আফগানিস্তানের খুব জনপ্রিয় খাবার বোলানি। পাতলা ময়দার রুটির ভেতরে ভরা থাকে আলু, পালংশাক বা ডাল। এরপর তেলে ভাজা হয় যতক্ষণ না বাইরে মচমচে আর ভেতরে নরম হয়। গরম-গরম বোলানি পরিবেশনে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আলু আর পেঁয়াজপাতার ঘ্রাণ। ঘরে হোক বা উৎসবের আয়োজন—আফগানদের খাবারের টেবিলে বোলানি মানেই বিশেষ স্বাদ।

লাভাশ, আর্মেনিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া
লাভাশ, আর্মেনিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া

লাভাশ, আর্মেনিয়া

আর্মেনিয়ার রুটি লাভাশ কেবল খাবার নয়, এটি তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। দেশটিতে নবদম্পতির মাথা লাভাশে ঢেকে দেওয়া হয় আশীর্বাদের নিদর্শন হিসেবে। রুটি তৈরির কাজটিও একধরনের সামাজিক আয়োজন। গ্রামের নারীরা দল বেঁধে ময়দা বেলে বড় চাদরের মতো পাতলা করে নেন। তারপর সেটি সাবধানে মাটির ওভেনে দেওয়া হয়। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে রুটি হয়ে ওঠে বাদামি আর মচমচে। ২০১৪ সালে ইউনেসকো লাভাশকে আর্মেনিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

লুচি, বাংলাদেশ। ছবি: উইকিপিডিয়া
লুচি, বাংলাদেশ। ছবি: উইকিপিডিয়া

লুচি, বাংলাদেশ

বাংলাদেশের নাশতার জন্য জনপ্রিয় লুচি। গমের ময়দা ময়ান করে নির্দিষ্ট আকারে গরম তেলে দিলেই ফুলে ওঠে গোল, সোনালি লুচি। ঢাকার ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির রান্নাঘর—সব জায়গাতেই লুচি মানে দারুণ স্বাদ। এর সঙ্গে রাখুন আলুর দম কিংবা ছোলার ডাল অথবা মাংসের ঝোল। বাংলা ঘরানার এই রুটি উৎসব বা অতিথি আপ্যায়নের জন্য বেশ জনপ্রিয়।

শাওবিং, চীন। ছবি: উইকিপিডিয়া
শাওবিং, চীন। ছবি: উইকিপিডিয়া

শাওবিং, চীন

চীনের উত্তরাঞ্চলের রুটি শাওবিং। এর বাইরের অংশে থাকে তিল, ভেতরে অসংখ্য পাতলা স্তর। অভিজ্ঞ রুটিওয়ালারা ময়দা বেলে ঘুরিয়ে ও ভাঁজ করে তৈরি করে এই রুটি। একেকটি শাওবিংয়ে ১৮ টির বেশি স্তর থাকে। চাইলে মিষ্টি হিসেবে তিলের পেস্ট বা চিনি ভরা শাওবিং খাওয়া যায়। তবে যাঁরা ঝাল পছন্দ করেন, তাঁরা মরিচ ও মাংস যুক্ত শাওবিং খান। উত্তর চীনের সকালের টেবিলে শাওবিং প্রায় প্রতিদিনের খাবার।

পরোটা, ভারত। ছবি: উইকিপিডিয়া
পরোটা, ভারত। ছবি: উইকিপিডিয়া

পরোটা, ভারত

ভারতের জনপ্রিয় রুটি হলো পরোটা। এটি সাধারণ রুটি থেকে একটু আলাদা। কারণ, একেকটি পরোটা বানাতে ময়দা বারবার ভাঁজ ও ঘি বা তেল মেখে তৈরি করা হয়। ফলে রুটির একাধিক স্তর তৈরি হয়ে ভাজার পর মচমচে হয়ে যায়। পরোটা শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি ভারতের রান্নার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১২ শতকের ভারতীয় রান্নার বইতেও পরোটার উল্লেখ পাওয়া যায়।

গামবাং, ইন্দোনেশিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া
গামবাং, ইন্দোনেশিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া

গামবাং, ইন্দোনেশিয়া

জাকার্তার পুরোনো বেকারিগুলোতে আজও পাওয়া যায় রুটি গামবাং। এই রুটি বানানোর সময় গমের ময়দার সঙ্গে পাম চিনি ও দারুচিনি মেশানো হয়। ফলে এটি নরম হয় এবং সুগন্ধ ছড়ায়। রুটির নাম এসেছে ‘গামবাং’ নামে এক পুরোনো বাদ্যযন্ত্র থেকে। মূলত, গামবাং রুটি দেখতে লম্বাটে আকৃতি বাদ্যযন্ত্রের মতো।

সানগাক, ইরান। ছবি: উইকিপিডিয়া
সানগাক, ইরান। ছবি: উইকিপিডিয়া

সানগাক, ইরান

ইরানের রুটি সানগাক বানানো হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। সেখানে গরম পাথরের ওপর সরাসরি রুটি বেক করা হয়। ফলে রুটির গায়ে ছোট ছোট পোড়া দাগ পড়ে। এটি খেতে মচমচে হয়। গরম-গরম সানগাক সাধারণত পনির, জলপাই ও তাজা সবুজ শাকের সঙ্গে খাওয়া হয়।

কারে পান, জাপান। ছবি: উইকিপিডিয়া
কারে পান, জাপান। ছবি: উইকিপিডিয়া

কারে পান, জাপান

জাপানের কারে প্যান বা কারি রুটি বিশেষ খাবার। নরম গমের ময়দার ভেতরে ভরা থাকে ঘন জাপানি কারি। এর বাইরের আবরণে থাকে ব্রেডক্রাম্বের আস্তরণ। এরপর ডুবো তেলে ভাজার পর রুটি হয় বাইরে মচমচে, ভেতরে নরম ও সসযুক্ত। এটি শিশুদের কাছে এত জনপ্রিয় যে জাপানে ‘কারে পান ম্যান’ নামের এক কার্টুন চরিত্রও তৈরি হয়েছে।

আপ্পম, শ্রীলঙ্কা। ছবি: উইকিপিডিয়া
আপ্পম, শ্রীলঙ্কা। ছবি: উইকিপিডিয়া

আপ্পম, শ্রীলঙ্কা

চালের গুঁড়া ও নারকেল দুধ মিলিয়ে তৈরি হয় আপ্পম। শ্রীলঙ্কার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গরম আপ্পম খাওয়া সেখানকার নিয়মিত চিত্র। এটি পাতলা ও মচমচে এবং এর মাঝের অংশ নরম। এটি খাওয়া হয় নারকেলের চাটনি, মুরগির কারি বা ডিম দিয়ে। শ্রীলঙ্কা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের কেরালায় এর জনপ্রিয়তা অনেক।

মালাওয়াচ, ইয়েমেন। ছবি: উইকিপিডিয়া
মালাওয়াচ, ইয়েমেন। ছবি: উইকিপিডিয়া

মালাওয়াচ, ইয়েমেন

মালাওয়াচ বানাতে প্রথমে ময়দা বেলা হয় পাতলা করে। এরপর প্রতিটি স্তরের মাঝে মাখন বা তেল মেখে ভাঁজ করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক স্তর তৈরি হয়, যা ভাজার পর মুখে একেবারে গলে যায়। রুটি গরম তাওয়ায় সোনালি হয়ে উঠলে ছিটানো হয় কালোজিরা বা তিল। ইয়েমেনিরা সাধারণত সকালে চায়ের সঙ্গে এটি খেয়ে থাকে।

হাজার বছর পেরিয়ে রুটি এখনো বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জনপ্রিয় খাবার। রুটির আকৃতি, স্বাদ, তৈরি করার পদ্ধতি দেশভেদে ভিন্ন। প্রতিটি সংস্কৃতি রুটিকে তাদের নিজের রন্ধনপ্রণালি, ইতিহাস ও খাবারের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। তাই রুটি শুধু খাবার নয়, এটি মানুষের সৃজনশীলতা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ।

সূত্র: সিএনএন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

ঝালকাঠিতে পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতার সভা: দলে ক্ষোভ ও বিভক্তি বাড়ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হেমন্তের সকালে দুধ লাউ

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
দুধ লাউ।
দুধ লাউ।

রোজ সকালে রুটি-সবজি খেতে কার ভালো লাগে! একদিন না হয় হেমন্তের মিঠে রোদমাখা সকালে নাশতার টেবিলে রাখুন দুধ লাউ আর ফুলকো লুচি। আপনাদের জন্য দুধ লাউয়ের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

উপকরণ

কচি লাউ অর্ধেকটা বা ১ কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, চিনি পৌনে ১ কাপ, লবণ ১ চিমটি, এলাচি ও দারুচিনি আধা পিস করে, কিশমিশ ১০ থেকে ১২টা, বাদাম কুচি সাজানোর জন্য।

দুধ লাউয়ের সঙ্গে রাখুন ফুলকো লুচি।
দুধ লাউয়ের সঙ্গে রাখুন ফুলকো লুচি।

প্রণালি

লাউয়ের খোসা ফেলে মিহি কুচি করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার হাঁড়িতে দুধ দিয়ে ফুটে উঠলে এলাচি ও দারুচিনি, লবণ, লাউ, চিনি দিয়ে অনবরত নেড়ে নিন। ঘন হয়ে এলে কিশমিশ দিয়ে নামিয়ে নিন। সার্ভিং ডিশে ঢেলে বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু দুধ লাউ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

ঝালকাঠিতে পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতার সভা: দলে ক্ষোভ ও বিভক্তি বাড়ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ২৮
আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

মেষ: আজ আপনার এনার্জি থাকবে তুঙ্গে। তাই সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে যেন আবার কারও সঙ্গে ঝগড়া না করে বসেন! প্রেমজীবন ভালো যাবে, তবে বেশি ফ্লার্ট করতে গিয়ে বসের সঙ্গে ঝামেলা বাধাবেন না যেন!

বৃষ: আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকবে। মানে, আপনার ওয়ালেট আজ আপনাকে বলবে, ‘আজ একটু আরাম করতে দাও প্লিজ, কাল দেখব!’ ফালতু খরচ থেকে দূরে থাকুন। রেগে গেলে কিন্তু মুড়ি-মুড়কির মতো টাকা খরচ হবে।

মিথুন: যোগাযোগের দিন আজ! তবে খেয়াল রাখবেন, মুখ ফসকে যেন এমন কিছু বলে না দেন—যাতে আপনার বন্ধুরা আপনাকে ‘মীরজাফর’ বলে ডাকে! আর যদি দেখেন আপনার প্রিয়জন আপনাকে কিছু বলছে না, তাহলে বুঝবেন নিশ্চয়ই কিছু একটা লুকানো হচ্ছে!

কর্কট: পারিবারিক শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে আজ হিমশিম খাবেন। মনে হবে যেন আপনি কোনো চিড়িয়াখানায় দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে সবাই শুধু চেঁচাচ্ছে। রাতে ভালো করে ঘুমান, না হলে সকালে দেখবেন আপনার মুড ‘দাদাগিরি’ করার মতো হয়ে গেছে।

সিংহ: আজ আপনি নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন। তবে সবার কাছে গিয়ে যদি বলেন, ‘আমিই আসল বস!’ , তাহলে আপনার কপালে দুঃখ আছে! কাজের জায়গায় একটু নমনীয় হন, না হলে লোকে আপনাকে ‘হিটলার’ ভেবে বসবে।

কন্যা: সবকিছু নিখুঁত করার নেশা আজ আপনাকে চেপে ধরবে। অফিসের ফাইল থেকে শুরু করে আলুর চিপসের প্যাকেট পর্যন্ত সবকিছু আপনার কাছে ‘পারফেক্ট’ চাই। এতে চারপাশে লোক কমবে, তাই একটু ছাড় দিন নিজেকে!

তুলা: আজ দিনটি ভালোবাসার জন্য একদম পারফেক্ট। তবে ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ঝগড়া হলে, নিজেকে সামলান। না হলে আপনার ‘ব্যাংক ব্যালেন্স’ একেবারে বিগড়ে যাবে! সন্ধ্যায় পছন্দের খাবার খান, মন ভালো হবে।

বৃশ্চিক: গোপনীয়তা বজায় রাখা আজ আপনার জন্য খুব জরুরি। আপনার গোপন তথ্য যদি আজ ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার সর্বনাশ! তাই নিজের ফোনটা আজ সাবধানে রাখুন, আর কাউকে হাত দিতে দেবেন না।

ধনু: অ্যাডভেঞ্চার আর ভ্রমণের নেশা আজ আপনাকে পাগল করে তুলবে। তবে বিদেশ ভ্রমণে না গিয়ে, না হয় আজ আশপাশের কোনো চায়ের দোকান থেকে ঘুরে আসুন! তাতে মনও ভালো হবে, আর পকেটও বাঁচবে!

মকর: কাজের প্রতি আপনার মনোযোগ আজ প্রশংসিত হবে। তবে অতিরিক্ত কাজ করতে গিয়ে নিজেকে ‘যন্ত্রমানব’ বানিয়ে ফেলবেন না। ছুটির দিনেও যদি কাজ করেন, তাহলে আপনার পার্টনার আপনাকে সত্যি সত্যি ‘রোবট’ ভেবে বসতে পারে!

কুম্ভ: আজ আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেবেন। কিন্তু আড্ডায় বেশি জ্ঞান দিতে যাবেন না। তাতে দেখবেন, বন্ধুরাই আপনাকে ‘গ্রহরাজ’ বলে খেপাচ্ছে! একটু সহজ হন, মজা করুন!

মীন: আজ আপনার মন খুব উড়ু উড়ু থাকবে। দিবাস্বপ্ন দেখতে দেখতে হঠাৎ যেন পকেটমার না হয়ে যান! ‘কল্পনার জগতে’ বেশি ডুবে থাকবেন না। বাস্তবের দিকে নজর দিন। না হলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করে যেতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

ঝালকাঠিতে পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতার সভা: দলে ক্ষোভ ও বিভক্তি বাড়ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চুলে তেল মাখলে কী করবেন ও কী করবেন না

সানজিদা সামরিন, ঢাকা 
তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। মডেল: সুমাইয়া, ছবি: মঞ্জু আলম
তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। মডেল: সুমাইয়া, ছবি: মঞ্জু আলম

শত শত বছর ধরে মানুষ কেশচর্চার অংশ হিসেবে চুলে নানা রকম তেল ব্যবহার করে আসছে। তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী, এ কথা কে না জানে? তেল যেমন চুলের গোড়া মজবুত করে, তেমনি বাড়ায় ঔজ্জ্বল্য। এ ছাড়া নিয়মিত তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকও থাকে সুস্থ। কিন্তু তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য কতখানি উপকারী, তা নির্ভর করছে আপনি কীভাবে ব্যবহার করছেন তার ওপর। চুলের তেল মাখার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় মেনে চলবেন ও যা বর্জন করতে হবে, তা জেনে নিন।

যা করবেন

সঠিক তেল নির্বাচন করুন

চুলের যত্নে সঠিক তেল নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের তেল রয়েছে। প্রতিটি তেলই আবার গুণের দিক থেকে আলাদা। চুলের কোন সমস্যার জন্য কোন তেল বেছে নিতে হবে, তা আগে বুঝতে হবে। যেমন নারকেল ডিপ ক্লিনজিংয়ের জন্য খুবই ভালো। অন্যদিকে আরগান তেল চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয়, পেঁয়াজের তেল চুল গজাতে ও বড় করতে সহায়তা করে। চুলের কোন সমস্যার জন্য কোন তেল ব্যবহার করতে হবে, সেটা বুঝে তেল বাছাই করুন।

মাথার ত্বকের ধরন অনুসারে সঠিক তেল নির্বাচন করুন। ছবি: পেক্সেলস
মাথার ত্বকের ধরন অনুসারে সঠিক তেল নির্বাচন করুন। ছবি: পেক্সেলস

মাথার ত্বক, চুলের দৈর্ঘ্য ও ডগায় তেল দিন

চুলে তেল ব্যবহারের সময় অবশ্যই গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালোভাবে মাখুন। এতে করে তেলের পুষ্টি মাথার ত্বক থেকে শুরু করে পুরো চুলই পাবে। চুল ফিরে পাবে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ও কোমলতা।

আলতো হাতে ম্যাসাজ করুন

মাথার ত্বকে তেল দিয়ে আঙুলের ডগার সাহায্যে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। আপনার মাথার ত্বকে নখের আঁচড় যেন না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে করে তেলের পুষ্টি মাথার ত্বক খুব ভালোভাবে শুষে নিতে পারবে। চুলেও ছড়িয়ে পড়বে জেল্লা।

চুলে তেল মেখে কয়েক ঘণ্টা রাখুন

চুলে তেল মাখার পর ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা রাখতে পারলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। চুল যদি খুব বেশি শুষ্ক বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে ভালোভাবে তেল ম্যাসাজ করে সারা রাত রেখে দিন। সকালে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার দিলেই চুল মসৃণ দেখাবে।

যা করবেন না

অতিরিক্ত তেল ব্যবহার এড়িয়ে চলুন

অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়ায় ময়লা জমার আশঙ্কা থাকে। আর এই ময়লা থেকেই হতে পারে সংক্রমণ। কারণ অতিরিক্ত তেল ব্যবহারের ফলে শ্যাম্পু করে যদি বাড়তি তেল তুলে ফেলা না যায়, তাহলে পরবর্তী সময়ে ধুলাবালু ও দূষণ খুব সহজেই চুলে আটকে থাকে। এর ফল কিন্তু ভালো হয় না।

তৈলাক্ত চুলে বেশিক্ষণ তেল রাখবেন না

যাঁদের চুল প্রাকৃতিকভাবেই তৈলাক্ত, তাঁরা দীর্ঘক্ষণ চুলে তেল রাখলে ভালোর পরিবর্তে খারাপই হতে পারে। এতে করে মাথার ত্বকে প্রাকৃতিক তেল ও ব্যবহৃত তেল জমা হয়ে ছিদ্র বন্ধ করে দিতে পারে। এতে খুশকি ও চুলকানি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এ ছাড়া অতিরিক্ত তেল জমা হলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে।

চুল ধুতে গরম পানি ব্যবহার করবেন না

অনেকের ধারণা, চুলে তেল মাখার পর কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে সহজে তেল অপসারিত হয়। কিন্তু চুলে কেবল ঠান্ডা পানিই ব্যবহার করতে হবে। গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট হতে পারে। তাতে চুল হয়ে উঠতে পারে অতিরিক্ত শুষ্ক।

অতিরিক্ত সালফেটযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না

সোডিয়াম লরেল সালফেট ও সোডিয়াম লরেথ সালফেট, সাধারণত এই দুই ধরনের সালফেট শ্যাম্পু তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। শ্যাম্পু করার সময় যদি অল্পতেই মাথায় ফেনা হয়, তা হলে বুঝতে হবে সেই শ্যাম্পুতে যথেষ্ট পরিমাণ সালফেট রয়েছে। মাথার ত্বক খুব ভালো করে পরিষ্কার করতে পারলেও স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এ সালফেট ক্ষতিকর হতে পারে। মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠার জন্যও এটি দায়ী। এ ছাড়া, চড়া গন্ধযুক্ত ও ‘আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড’ রয়েছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার করা ভালো। ত্বকে র‍্যাশ, চুলকানি, লালচে ভাব বা কোনো সংক্রমণ থাকলে এই রাসায়নিকনির্ভর প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। নয়তো মাথার ত্বকে তেল মেখে উপকার পাওয়া যাবে না।

এসব নিয়ম মেনে যদি তেল ব্যবহার করেন, তাহলে চুলের শুষ্কতা দূর হবে, চুলও হয়ে উঠবে ঝলমলে।

সূত্র: হেলথলাইন, স্কিনক্র‍্যাফট ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে এক দিনে ১৫৩ টন বোমা ফেলেছে ইসরায়েল

ঝালকাঠিতে পদ স্থগিত নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতার সভা: দলে ক্ষোভ ও বিভক্তি বাড়ছে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত