ফিচার ডেস্ক
প্রতিদিন কিছু না কিছু ভুলে যাওয়ার অভ্যাস আমাদের সবারই আছে। কখনো কোনো শব্দ জিভের ডগায় এসে আটকে যায়, আবার কখনো ঘরে ঢুকে ভুলে যাই কেন এসেছিলাম। কিংবা চাবি, মোবাইল ফোন বা চশমা কোথায় রাখলাম, তা মনেই পড়ে না।
এই ভুলে যাওয়ার একটি বড় কারণ হলো, আমরা প্রতিদিন এত বেশি তথ্যের মুখোমুখি হই যে, মস্তিষ্কের পক্ষে সবকিছু ধরে রাখা সম্ভব হয় না। বাস্তব জীবনের ঘটনা, মোবাইল ফোন, টিভি, কম্পিউটারসহ নানা ইলেকট্রনিক মাধ্যম থেকে প্রতিনিয়ত প্রচুর তথ্য আমাদের মাথায় ঢুকছে, যেগুলোর অনেকটাই অবচেতনভাবে মস্তিষ্ক বাদ দিয়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গবেষণা বলছে, একজন সাধারণ আমেরিকান প্রতিদিন গড়ে ৩৪ গিগাবাইট বা প্রায় ১১ দশমিক ৮ ঘণ্টার তথ্য মস্তিস্কে ধারণ করে। এটি আরও বেড়েছে বলে জানান নিউরোসায়েন্টিস্ট ও মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. চারণ রঙ্গনাথ। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মস্তিষ্ক আসলে তৈরি হয়েছে ভুলে যাওয়ার জন্য, মনে রাখার জন্য নয়। ১৯৫৬ সালে মনোবিজ্ঞানী জর্জ মিলার গবেষণা করে দেখান, আমরা একসঙ্গে গড়ে সাতটি তথ্য মনে রাখতে পারি। এখনকার গবেষণা বলছে, সেটি আরও কম— হয়তো তিন বা চারটি।’
তাহলে উপায় কী? ড. রঙ্গনাথ বলেন, ‘বেশি মনে রাখার চেষ্টা না করে বরং ভালোভাবে মনে রাখার কৌশল রপ্ত করতে হবে।’ তিনি এর জন্য একটি সহজ টিপস দিয়েছেন।
অর্থপূর্ণ কিছু খুঁজুন
আপনি যা মনে রাখতে চান, সেটাকে এমন কিছুর সঙ্গে যুক্ত করুন, যেটা আপনার জন্য অর্থবহ বা পরিচিত। যেমন—আপনি যদি কোনো দেশের নাম মনে রাখতে চান, তাহলে ওই দেশের এমন কিছুকে মনে রাখুন, যা বিখ্যাত বা বেশ পরিচিত। এই পদ্বতি মনে রাখায় সাহায্য করে।
ভুল করে শিখুন
ভুল করলে সেটি আমাদের মস্তিষ্কে একটা দাগ ফেলে। এর ফলে আমরা পরে সঠিকটা জানলে সেটি আরও ভালোভাবে মনে রাখতে পারি। ধরুন, আপনি কারও নাম জানার চেষ্টা করছেন। নামটা পুরো ঠিকমতো মনে নেই। কিন্তু আপনি অনুমান করে বললেন। পরে যখন সঠিকটা জানবেন, তখন আপনার মস্তিষ্ক সেটিকে মনে রাখবে। এটাকে বলে ট্রায়াল অ্যান্ড এরোর। এভাবে বারবার চেষ্টা করলে প্রতিবার ভুল করার পর যখন ঠিক তথ্যটা জানবেন, তখন সেটি আরও ভালোভাবে আপনার মনে গেঁথে যাবে।
বিশেষ উপায় বের করুন
মনে রাখতে চাইলে বিষয়টিকে বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো করে তুলুন। ধরুন, মোবাইল ফোন কোথায় রাখলেন, সেটি মনে রাখতে চান। রাখার সময় ভাবুন, ‘এটা রাখলাম বিছানার পাশে, যেখানে প্রতি রাতেই গল্পের বই রাখি।’ পাসওয়ার্ড মনে রাখতে সমস্যা হয়? এমন কিছু বেছে নিন, যেটা আপনার প্রিয় গান, সিনেমা বা স্মৃতির সঙ্গে মিলে যায়। কারণ, আমাদের মস্তিষ্ক সাধারণ বা একঘেয়ে জিনিস সহজে ভুলে যায়। কিন্তু কোনো কিছু যদি ভিন্ন, রঙিন বা মজার হয়, সেটা বেশি সময় মস্তিষ্কে থাকে। ঠিক যেমন অনেক পুরোনো মজার ঘটনা বা অদ্ভুত কিছু আজও মনে আছে।
গুরুত্ব তৈরি করুন
আমাদের মস্তিষ্ক সবকিছু ধরে রাখতে পারে না। কিন্তু যেটা গুরুত্বপূর্ণ বা আবেগের সঙ্গে জড়িত, সেটা অনেক ভালোভাবে মনে রাখতে পারে। ধরুন, আপনি হঠাৎ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন কিংবা কোনো ঘটনায় খুব আনন্দ পেয়েছেন বা খুব লজ্জা পেয়েছিলেন—এসব ঘটনা সহজে ভুলতে পারেন না। কারণ, ওই মুহূর্তে আপনার মস্তিষ্ক বুঝেছিল ‘এটা গুরুত্বপূর্ণ’। একইভাবে, যদি আপনি নতুন কিছু শিখতে চান, তাহলে আগে থেকেই নিজেকে মনের ভেতর থেকে বলুন, ‘এই জিনিসটা আমি জানতে চাই। এটা আমার জন্য দরকারি।’
পরিস্থিতি মনে করুন
কোনো ঘটনা মনে করতে চাইলে নিজের সেই সময়ের পরিবেশ কল্পনা করুন—কোথায় ছিলেন, কী দেখছিলেন, কী ভাবছিলেন, কী শুনছিলেন। একটা পরিচিত গান বা প্রিয় কোনো খাবারের গন্ধ অনেক পুরোনো স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারে। বেশি বেশি তথ্য মুখস্থ করার চেষ্টা না করে মনে রাখার স্মার্ট পদ্ধতি রপ্ত করুন।
ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক। চেষ্টা করুণ অপ্রয়োজনীয় সবকিছু আঁকড়ে ধরে রাখার বদলে এই পাঁচটি সহজ কৌশল ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ও তথ্যগুলো দীর্ঘদিন ধরে মনে রাখার।
সূত্র: সিএনএন
প্রতিদিন কিছু না কিছু ভুলে যাওয়ার অভ্যাস আমাদের সবারই আছে। কখনো কোনো শব্দ জিভের ডগায় এসে আটকে যায়, আবার কখনো ঘরে ঢুকে ভুলে যাই কেন এসেছিলাম। কিংবা চাবি, মোবাইল ফোন বা চশমা কোথায় রাখলাম, তা মনেই পড়ে না।
এই ভুলে যাওয়ার একটি বড় কারণ হলো, আমরা প্রতিদিন এত বেশি তথ্যের মুখোমুখি হই যে, মস্তিষ্কের পক্ষে সবকিছু ধরে রাখা সম্ভব হয় না। বাস্তব জীবনের ঘটনা, মোবাইল ফোন, টিভি, কম্পিউটারসহ নানা ইলেকট্রনিক মাধ্যম থেকে প্রতিনিয়ত প্রচুর তথ্য আমাদের মাথায় ঢুকছে, যেগুলোর অনেকটাই অবচেতনভাবে মস্তিষ্ক বাদ দিয়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গবেষণা বলছে, একজন সাধারণ আমেরিকান প্রতিদিন গড়ে ৩৪ গিগাবাইট বা প্রায় ১১ দশমিক ৮ ঘণ্টার তথ্য মস্তিস্কে ধারণ করে। এটি আরও বেড়েছে বলে জানান নিউরোসায়েন্টিস্ট ও মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. চারণ রঙ্গনাথ। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মস্তিষ্ক আসলে তৈরি হয়েছে ভুলে যাওয়ার জন্য, মনে রাখার জন্য নয়। ১৯৫৬ সালে মনোবিজ্ঞানী জর্জ মিলার গবেষণা করে দেখান, আমরা একসঙ্গে গড়ে সাতটি তথ্য মনে রাখতে পারি। এখনকার গবেষণা বলছে, সেটি আরও কম— হয়তো তিন বা চারটি।’
তাহলে উপায় কী? ড. রঙ্গনাথ বলেন, ‘বেশি মনে রাখার চেষ্টা না করে বরং ভালোভাবে মনে রাখার কৌশল রপ্ত করতে হবে।’ তিনি এর জন্য একটি সহজ টিপস দিয়েছেন।
অর্থপূর্ণ কিছু খুঁজুন
আপনি যা মনে রাখতে চান, সেটাকে এমন কিছুর সঙ্গে যুক্ত করুন, যেটা আপনার জন্য অর্থবহ বা পরিচিত। যেমন—আপনি যদি কোনো দেশের নাম মনে রাখতে চান, তাহলে ওই দেশের এমন কিছুকে মনে রাখুন, যা বিখ্যাত বা বেশ পরিচিত। এই পদ্বতি মনে রাখায় সাহায্য করে।
ভুল করে শিখুন
ভুল করলে সেটি আমাদের মস্তিষ্কে একটা দাগ ফেলে। এর ফলে আমরা পরে সঠিকটা জানলে সেটি আরও ভালোভাবে মনে রাখতে পারি। ধরুন, আপনি কারও নাম জানার চেষ্টা করছেন। নামটা পুরো ঠিকমতো মনে নেই। কিন্তু আপনি অনুমান করে বললেন। পরে যখন সঠিকটা জানবেন, তখন আপনার মস্তিষ্ক সেটিকে মনে রাখবে। এটাকে বলে ট্রায়াল অ্যান্ড এরোর। এভাবে বারবার চেষ্টা করলে প্রতিবার ভুল করার পর যখন ঠিক তথ্যটা জানবেন, তখন সেটি আরও ভালোভাবে আপনার মনে গেঁথে যাবে।
বিশেষ উপায় বের করুন
মনে রাখতে চাইলে বিষয়টিকে বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো করে তুলুন। ধরুন, মোবাইল ফোন কোথায় রাখলেন, সেটি মনে রাখতে চান। রাখার সময় ভাবুন, ‘এটা রাখলাম বিছানার পাশে, যেখানে প্রতি রাতেই গল্পের বই রাখি।’ পাসওয়ার্ড মনে রাখতে সমস্যা হয়? এমন কিছু বেছে নিন, যেটা আপনার প্রিয় গান, সিনেমা বা স্মৃতির সঙ্গে মিলে যায়। কারণ, আমাদের মস্তিষ্ক সাধারণ বা একঘেয়ে জিনিস সহজে ভুলে যায়। কিন্তু কোনো কিছু যদি ভিন্ন, রঙিন বা মজার হয়, সেটা বেশি সময় মস্তিষ্কে থাকে। ঠিক যেমন অনেক পুরোনো মজার ঘটনা বা অদ্ভুত কিছু আজও মনে আছে।
গুরুত্ব তৈরি করুন
আমাদের মস্তিষ্ক সবকিছু ধরে রাখতে পারে না। কিন্তু যেটা গুরুত্বপূর্ণ বা আবেগের সঙ্গে জড়িত, সেটা অনেক ভালোভাবে মনে রাখতে পারে। ধরুন, আপনি হঠাৎ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন কিংবা কোনো ঘটনায় খুব আনন্দ পেয়েছেন বা খুব লজ্জা পেয়েছিলেন—এসব ঘটনা সহজে ভুলতে পারেন না। কারণ, ওই মুহূর্তে আপনার মস্তিষ্ক বুঝেছিল ‘এটা গুরুত্বপূর্ণ’। একইভাবে, যদি আপনি নতুন কিছু শিখতে চান, তাহলে আগে থেকেই নিজেকে মনের ভেতর থেকে বলুন, ‘এই জিনিসটা আমি জানতে চাই। এটা আমার জন্য দরকারি।’
পরিস্থিতি মনে করুন
কোনো ঘটনা মনে করতে চাইলে নিজের সেই সময়ের পরিবেশ কল্পনা করুন—কোথায় ছিলেন, কী দেখছিলেন, কী ভাবছিলেন, কী শুনছিলেন। একটা পরিচিত গান বা প্রিয় কোনো খাবারের গন্ধ অনেক পুরোনো স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারে। বেশি বেশি তথ্য মুখস্থ করার চেষ্টা না করে মনে রাখার স্মার্ট পদ্ধতি রপ্ত করুন।
ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক। চেষ্টা করুণ অপ্রয়োজনীয় সবকিছু আঁকড়ে ধরে রাখার বদলে এই পাঁচটি সহজ কৌশল ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ও তথ্যগুলো দীর্ঘদিন ধরে মনে রাখার।
সূত্র: সিএনএন
চলছে আমের মৌসুম। আম, দুধ আর ভাত একসঙ্গে মেখে খাওয়ার চল তো আর আজকের নয়। কিন্তু হালের ট্রেন্ড খেয়াল করলে দেখবেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস নামের একটি খাবার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশ-বিদেশের রেস্তোঁরায়ও জায়গা করে নিয়েছে এই খাবার। বাড়িতেও কি একবার তৈরি করতে চান...
১ দিন আগেদেশের হাওর ও নদীকেন্দ্রিক নৌ পর্যটনের সম্ভাবনাকে বেশ খানিক এগিয়ে নিয়ে গেছে বাংলাদেশ হাউসবোট মালিক সমিতি। পর্যটনের এই খাতকে আরও এগিয়ে নিতে প্রথমবারের মতো রাজধানী ঢাকায় আয়োজন করা হচ্ছে বাংলাদেশ হাউসবোট মেলা।
২ দিন আগেবাংলাদেশে ঠিক কতসংখ্যক নদী আছে, তা নিয়ে প্রতিবছর বিতর্ক হয়। কখনো সংখ্যা বাড়ে, কখনো কমে। সরকার থেকে প্রকাশিত তালিকাতেও বছর বছর সংখ্যা বদলে যায়। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, এই দেশে নদীর সংখ্যা ১ হাজার ১৫৬টি।
২ দিন আগেইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে মধ্যপ্রাচ্যগামী অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি রুটে আনা হয়েছে পরিবর্তনও। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পরপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিভিন্ন এয়ারলাইনস।
২ দিন আগে