আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার পকেট কিন্তু ‘না, না, না’ মোডে থাকবে। ভুলেও আজ নতুন জামা বা দামি গ্যাজেট কিনতে যাবেন না। গ্রহরা বলছে, টাকা আজ মানিব্যাগ থেকে পালাতে চায়, যেন আপনিই আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু। কর্মক্ষেত্রে মেজাজ থাকবে ফুটন্ত দুধে লেবুর রস দেওয়ার মতো—বারোটার বেশি! ট্রাফিকের মাঝে অযথা হর্ন দেবেন না, মনে রাখবেন, পাশের অটোচালকও মেষ রাশির হতে পারে। সবচেয়ে বড় সতর্কবার্তা: দুপুরের লাঞ্চে অতিরিক্ত তেল চুপচাপ বসে আছে, পেটের সমস্যা বাড়তে পারে। দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো, মেজাজ খারাপ হলেও ঠোঁটে জোর করে হাসি সেঁটে রাখা।
বৃষ
প্রেমের জীবন আজ ডবল ডেকারে চড়ে মেঘের ওপরে ঘুরছে! রোমান্স এমন তুঙ্গে যে চুলে জেল না থাকলেও সঙ্গী গোলাপি স্বপ্ন দেখবেন। অবিবাহিতদের জন্য, আজ হয়তো হঠাৎ করে ফ্ল্যাটমেটের দিকেই অন্য চোখে তাকাবেন। তবে আজ ১০টা কাজ একসঙ্গে করতে গেলে শুধু চালে ডাল মিশিয়ে খিচুড়ি করে ফেলবেন, কোনো কাজই হবে না। আলস্য আজ এমনভাবে ধরবে যেন শরীর আর বিছানা একই বস্তু। কাজ ফেলে রাখা থেকে সাবধান, নয়তো রাতের বেলা অনুশোচনা ঘুমাতে দেবে না! আজ সন্ধ্যার মেনুতে এমন কিছু রাখুন, যা রান্না করতে খুব বেশি নড়াচড়া করতে না হয়।
মিথুন
আজ আপনি যেন একটি দ্রুতগামী লোকাল ট্রেন—খুব ব্যস্ত, প্রচুর কথা বলছেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন কি না সন্দেহ। অফিসের মিটিংয়ে আপনার কথা শুনে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু কাজ কে করবে? গ্রহের ফিসফাস, আপনার ‘মিথ্যা কথা বলার’ ক্ষমতা আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু সৎ থাকার চেষ্টা করুন। আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথিতে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ুন। ভুলে যাবেন না, চুক্তিতে থাকা ‘ফাইন প্রিন্ট’ পড়ার জন্য সৃষ্টিকর্তা আপনার দুটি চোখ দিয়েছেন, শুধু ফেসবুক দেখার জন্য নয়। দিনের শেষে আপনার বলা সমস্ত কথা একটি খাতায় লিখে দেখুন, আপনিই অবাক হবেন!
কর্কট
আপনারা হলেন আজ একটি ডিটেকটিভের মতো। সঙ্গী বা প্রিয়জনের ছোটখাটো আচরণে গভীর ষড়যন্ত্র খুঁজবেন। কেন তিনি আজ ‘হাই’ না বলে ‘হ্যালো’ বললেন? এর মানে কি ব্রেকআপ? এই ধরনের অতিরিক্ত আবেগী চিন্তা আপনাকে ভোগাবে। মানসিক চাপ কমাতে আজ এক বাটি পান্তা ভাত বা পুরোনো দিনের বাংলা গান শুনে দেখতে পারেন। মনে রাখবেন, পৃথিবীতে সব সমস্যার সমাধান আছে, শুধু ইন্টারনেটের স্পিড স্লো হয়ে গেলে নেই। ভ্রমণে বিপদের আশঙ্কা আছে, মানে, সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় মোবাইল যেন হাত থেকে পড়ে না যায়। এটাই আজকের সবচেয়ে বড় বিপদ। ‘সব ঠিক আছে’, এই বাক্যটি আজ কমপক্ষে ১০ বার নিজেকে বলুন।
সিংহ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস যেন একটা পূর্ণাঙ্গ স্টুডিও লাইট—সবাই আপনাকে দেখবে, কিন্তু একটু বেশি আলো ঝলমলে হলে বিরক্তও হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে নিজেকে সেরা প্রমাণ করার জন্য এমন কিছু বলবেন না, যা পরে গুগল করে আপনাকে ডাহা মিথ্যা প্রমাণ করে। অর্থের ক্ষেত্রে সাবধান! হয়তো আজ এমন একজনকে ধার দেবেন, যে আপনাকে জিজ্ঞেস করবে ‘এটা কি সুদবিহীন লোন?’ মনে রাখবেন, সবাই আপনার মহৎ হৃদয়ের যোগ্য নয়। আজ রাতে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের গুণগান গাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই নিজের জন্য একবার হাততালি দিন।
কন্যা
আজ আপনি ‘ডিটেকটিভ গোগোল’-এর চেয়েও বেশি খুঁতখুঁতে হয়ে উঠবেন। পার্টনারের জামার কোণে একটা ছোট্ট দাগ দেখে তার সারা দিনের কাজের ইতিহাস বিশ্লেষণ করে ফেলবেন। এই অভ্যাস আজ আপনাকে একটু বিপদে ফেলতে পারে। গ্রহরা বলছে, অন্যের সমালোচনা করার চেয়ে আজ নিজের আলমারি গোছানোর দিকে মন দিন। নতুন কাজের যোগাযোগ হতে পারে, কিন্তু আপনার অতিরিক্ত প্রশ্ন শুনে যদি তারা পালিয়ে যায়, তার দায়িত্ব গ্রহরা নেবে না। ভুল করেও আজ অফিসের সহকর্মীর ডেস্কে উঁকি মারবেন না।
তুলা
আজ আপনি সবার সমস্যার সমাধানকারী হিসেবে আবির্ভূত হবেন। অফিসের বস থেকে শুরু করে পাড়ার চায়ের দোকানদার, সবাই আপনার কাছে পরামর্শ চাইবে। কিন্তু নিজের সমস্যার কথা ভুলে যাবেন না। আর্থিক স্থিতি ভালো থাকবে। পুরোনো ঋণ পরিশোধ হতে পারে; তবে আপনি পাওনাদার না দেনাদার, সেটা আগে ঠিক করুন। ঠান্ডাজনিত সমস্যা বাড়বে, তাই অতিরিক্ত আইসক্রিম বা কোল্ড ড্রিংকস আজ এড়িয়ে চলুন। মনে রাখবেন, সব ঠান্ডা লাগার কারণ প্রেম নয়। আপনার দেওয়া একটি ভালো পরামর্শের জন্য নিজেই নিজেকে একটা চকলেট উপহার দিন।
বৃশ্চিক
আজ আপনার মনোযোগ লেজার রশ্মির মতো তীক্ষ্ণ থাকবে। যে কাজ হাতে নেবেন, তাতেই সাফল্য পাবেন। তবে এই মনোযোগ যেন খাওয়াদাওয়ার দিক থেকে সরে না যায়। খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে অসাবধানতা এড়িয়ে চলুন। কারণ, পুরোনো পেটের সমস্যা ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে। লটারিতে বা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুভ হতে পারে—তবে মনে রাখবেন, ‘শুভ’ মানেই ‘কোটিপতি’ নয়। কারও গোপন কথা আজ কানে আসতে পারে, কিন্তু সেটা হজম করার চেষ্টা করুন। অন্যথায় একটি বড় নাটকের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবেন। আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন, অন্যথায় আপনার গভীর মনোযোগ ডাইজেস্টিভ ট্যাকে চলে যাবে।
ধনু
বন্ধু আজ আপনার ধৈর্য পরীক্ষা নেবে। কোনো বন্ধু আপনার মুক্ত মানসিকতা এবং ধৈর্যশক্তির পরীক্ষা নিতে পারে—যদি সে আপনার থেকে টাকা চায়, তাহলে পরীক্ষাটা বেশি কঠিন হবে। বাড়ি, অফিস, যেখানেই হোক সুখ-শান্তি বজায় রাখতে হলে সম্পূর্ণ ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। আজ কোথাও ভ্রমণের চিন্তা আসতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন, শনি আপনার টিকিটের দাম বাড়াতে চায়। খুব কম দিনের বন্ধুর সঙ্গে কোথাও বাইরে যাবেন না, সে আজ আপনার মানিব্যাগ ভুল করে নিজের ব্যাগে ঢুকিয়ে দিতে পারে। ‘ধীরে চলো, সুস্থ থেকো’-এই মন্ত্র জপ করুন।
মকর
কাউকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি আজ ভুলে যাওয়ায় বিভ্রান্তি ঘটতে পারে। ধরুন, সহকর্মীকে বলেছিলেন ‘লাঞ্চে আসছি’, কিন্তু নিজেই ভুলে গিয়ে বাড়ি থেকে আনা খাবার খেয়ে নিলেন। সন্তানের স্কুল থেকে ডাক আসতে পারে—হয়তো তারা আপনার পুরোনো দিনের স্কুলের গল্প শুনতে চেয়েছে! আজ দায়িত্ববান হতে চাইবেন, কিন্তু সমস্ত দায়িত্ব যেন আপনার কাঁধেই এসে না পড়ে। অন্যের কাজের ক্রেডিট নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, তবে অতিরিক্ত কাজ থেকে বিরত থাকুন। আজ ঘুমাতে যাওয়ার আগে কালকের দিনের টু-ডু লিস্ট তৈরি করে নিন।
কুম্ভ
আবেগ সংক্রান্ত বিষয়ে সংবেদনশীলতা থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করার সময় বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সব কাজ করুন। বুদ্ধিমত্তা আজ অন্যদের থেকে আপনাকে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে—অন্যরা যখন ভাববে, আপনি তখন কাজ করে ফেলবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে প্রিয়জন খুশি ও মুগ্ধ হবেন। বন্ধুত্ব মজবুত হবে। তবে মনে রাখবেন, আজ অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে ভুল ইনভেস্টমেন্ট করতে পারেন। সব ‘ডায়মন্ড’ কিন্তু আসল হীরা নয়। আবেগের সঙ্গে কাজ করবেন না, বরং ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিন। আজ ‘আশ্চর্যজনক’ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
মীন
আজ আপনার নতুন কিছু করতে খুব ইচ্ছা করবে। স্ত্রী বা সঙ্গী এই কাজে আপনাকে সহায়তা করবে। হতে পারে হঠাৎ করে রান্না করতে চাইছেন অথবা বাগান করার শখ জেগেছে। চলাফেরায় খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করুন। আজ রাস্তায় চলার সময় অন্যমনস্ক হয়ে গেলে পা ফসকাতে পারে, অথবা বাসের হ্যান্ডেল হাত থেকে পিছলে যেতে পারে। আজ ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক আলোচনায় মগ্ন থাকতে পারেন, তবে বন্ধুদের সঙ্গে তর্ক করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, তাদের কাছে আপনার আধ্যাত্মিক জ্ঞান হাসির খোরাক হতে পারে। অতিরিক্ত দিবাস্বপ্ন দেখা থেকে বিরত থাকুন, অন্যথায় অফিস বা বাজারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ভুল হয়ে যেতে পারে।

মেষ
আজ আপনার পকেট কিন্তু ‘না, না, না’ মোডে থাকবে। ভুলেও আজ নতুন জামা বা দামি গ্যাজেট কিনতে যাবেন না। গ্রহরা বলছে, টাকা আজ মানিব্যাগ থেকে পালাতে চায়, যেন আপনিই আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু। কর্মক্ষেত্রে মেজাজ থাকবে ফুটন্ত দুধে লেবুর রস দেওয়ার মতো—বারোটার বেশি! ট্রাফিকের মাঝে অযথা হর্ন দেবেন না, মনে রাখবেন, পাশের অটোচালকও মেষ রাশির হতে পারে। সবচেয়ে বড় সতর্কবার্তা: দুপুরের লাঞ্চে অতিরিক্ত তেল চুপচাপ বসে আছে, পেটের সমস্যা বাড়তে পারে। দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো, মেজাজ খারাপ হলেও ঠোঁটে জোর করে হাসি সেঁটে রাখা।
বৃষ
প্রেমের জীবন আজ ডবল ডেকারে চড়ে মেঘের ওপরে ঘুরছে! রোমান্স এমন তুঙ্গে যে চুলে জেল না থাকলেও সঙ্গী গোলাপি স্বপ্ন দেখবেন। অবিবাহিতদের জন্য, আজ হয়তো হঠাৎ করে ফ্ল্যাটমেটের দিকেই অন্য চোখে তাকাবেন। তবে আজ ১০টা কাজ একসঙ্গে করতে গেলে শুধু চালে ডাল মিশিয়ে খিচুড়ি করে ফেলবেন, কোনো কাজই হবে না। আলস্য আজ এমনভাবে ধরবে যেন শরীর আর বিছানা একই বস্তু। কাজ ফেলে রাখা থেকে সাবধান, নয়তো রাতের বেলা অনুশোচনা ঘুমাতে দেবে না! আজ সন্ধ্যার মেনুতে এমন কিছু রাখুন, যা রান্না করতে খুব বেশি নড়াচড়া করতে না হয়।
মিথুন
আজ আপনি যেন একটি দ্রুতগামী লোকাল ট্রেন—খুব ব্যস্ত, প্রচুর কথা বলছেন, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন কি না সন্দেহ। অফিসের মিটিংয়ে আপনার কথা শুনে সবাই মুগ্ধ হবে, কিন্তু কাজ কে করবে? গ্রহের ফিসফাস, আপনার ‘মিথ্যা কথা বলার’ ক্ষমতা আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু সৎ থাকার চেষ্টা করুন। আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথিতে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ুন। ভুলে যাবেন না, চুক্তিতে থাকা ‘ফাইন প্রিন্ট’ পড়ার জন্য সৃষ্টিকর্তা আপনার দুটি চোখ দিয়েছেন, শুধু ফেসবুক দেখার জন্য নয়। দিনের শেষে আপনার বলা সমস্ত কথা একটি খাতায় লিখে দেখুন, আপনিই অবাক হবেন!
কর্কট
আপনারা হলেন আজ একটি ডিটেকটিভের মতো। সঙ্গী বা প্রিয়জনের ছোটখাটো আচরণে গভীর ষড়যন্ত্র খুঁজবেন। কেন তিনি আজ ‘হাই’ না বলে ‘হ্যালো’ বললেন? এর মানে কি ব্রেকআপ? এই ধরনের অতিরিক্ত আবেগী চিন্তা আপনাকে ভোগাবে। মানসিক চাপ কমাতে আজ এক বাটি পান্তা ভাত বা পুরোনো দিনের বাংলা গান শুনে দেখতে পারেন। মনে রাখবেন, পৃথিবীতে সব সমস্যার সমাধান আছে, শুধু ইন্টারনেটের স্পিড স্লো হয়ে গেলে নেই। ভ্রমণে বিপদের আশঙ্কা আছে, মানে, সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় মোবাইল যেন হাত থেকে পড়ে না যায়। এটাই আজকের সবচেয়ে বড় বিপদ। ‘সব ঠিক আছে’, এই বাক্যটি আজ কমপক্ষে ১০ বার নিজেকে বলুন।
সিংহ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস যেন একটা পূর্ণাঙ্গ স্টুডিও লাইট—সবাই আপনাকে দেখবে, কিন্তু একটু বেশি আলো ঝলমলে হলে বিরক্তও হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে নিজেকে সেরা প্রমাণ করার জন্য এমন কিছু বলবেন না, যা পরে গুগল করে আপনাকে ডাহা মিথ্যা প্রমাণ করে। অর্থের ক্ষেত্রে সাবধান! হয়তো আজ এমন একজনকে ধার দেবেন, যে আপনাকে জিজ্ঞেস করবে ‘এটা কি সুদবিহীন লোন?’ মনে রাখবেন, সবাই আপনার মহৎ হৃদয়ের যোগ্য নয়। আজ রাতে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের গুণগান গাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই নিজের জন্য একবার হাততালি দিন।
কন্যা
আজ আপনি ‘ডিটেকটিভ গোগোল’-এর চেয়েও বেশি খুঁতখুঁতে হয়ে উঠবেন। পার্টনারের জামার কোণে একটা ছোট্ট দাগ দেখে তার সারা দিনের কাজের ইতিহাস বিশ্লেষণ করে ফেলবেন। এই অভ্যাস আজ আপনাকে একটু বিপদে ফেলতে পারে। গ্রহরা বলছে, অন্যের সমালোচনা করার চেয়ে আজ নিজের আলমারি গোছানোর দিকে মন দিন। নতুন কাজের যোগাযোগ হতে পারে, কিন্তু আপনার অতিরিক্ত প্রশ্ন শুনে যদি তারা পালিয়ে যায়, তার দায়িত্ব গ্রহরা নেবে না। ভুল করেও আজ অফিসের সহকর্মীর ডেস্কে উঁকি মারবেন না।
তুলা
আজ আপনি সবার সমস্যার সমাধানকারী হিসেবে আবির্ভূত হবেন। অফিসের বস থেকে শুরু করে পাড়ার চায়ের দোকানদার, সবাই আপনার কাছে পরামর্শ চাইবে। কিন্তু নিজের সমস্যার কথা ভুলে যাবেন না। আর্থিক স্থিতি ভালো থাকবে। পুরোনো ঋণ পরিশোধ হতে পারে; তবে আপনি পাওনাদার না দেনাদার, সেটা আগে ঠিক করুন। ঠান্ডাজনিত সমস্যা বাড়বে, তাই অতিরিক্ত আইসক্রিম বা কোল্ড ড্রিংকস আজ এড়িয়ে চলুন। মনে রাখবেন, সব ঠান্ডা লাগার কারণ প্রেম নয়। আপনার দেওয়া একটি ভালো পরামর্শের জন্য নিজেই নিজেকে একটা চকলেট উপহার দিন।
বৃশ্চিক
আজ আপনার মনোযোগ লেজার রশ্মির মতো তীক্ষ্ণ থাকবে। যে কাজ হাতে নেবেন, তাতেই সাফল্য পাবেন। তবে এই মনোযোগ যেন খাওয়াদাওয়ার দিক থেকে সরে না যায়। খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে অসাবধানতা এড়িয়ে চলুন। কারণ, পুরোনো পেটের সমস্যা ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে। লটারিতে বা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ শুভ হতে পারে—তবে মনে রাখবেন, ‘শুভ’ মানেই ‘কোটিপতি’ নয়। কারও গোপন কথা আজ কানে আসতে পারে, কিন্তু সেটা হজম করার চেষ্টা করুন। অন্যথায় একটি বড় নাটকের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবেন। আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন, অন্যথায় আপনার গভীর মনোযোগ ডাইজেস্টিভ ট্যাকে চলে যাবে।
ধনু
বন্ধু আজ আপনার ধৈর্য পরীক্ষা নেবে। কোনো বন্ধু আপনার মুক্ত মানসিকতা এবং ধৈর্যশক্তির পরীক্ষা নিতে পারে—যদি সে আপনার থেকে টাকা চায়, তাহলে পরীক্ষাটা বেশি কঠিন হবে। বাড়ি, অফিস, যেখানেই হোক সুখ-শান্তি বজায় রাখতে হলে সম্পূর্ণ ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। আজ কোথাও ভ্রমণের চিন্তা আসতে পারে, কিন্তু মনে রাখবেন, শনি আপনার টিকিটের দাম বাড়াতে চায়। খুব কম দিনের বন্ধুর সঙ্গে কোথাও বাইরে যাবেন না, সে আজ আপনার মানিব্যাগ ভুল করে নিজের ব্যাগে ঢুকিয়ে দিতে পারে। ‘ধীরে চলো, সুস্থ থেকো’-এই মন্ত্র জপ করুন।
মকর
কাউকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি আজ ভুলে যাওয়ায় বিভ্রান্তি ঘটতে পারে। ধরুন, সহকর্মীকে বলেছিলেন ‘লাঞ্চে আসছি’, কিন্তু নিজেই ভুলে গিয়ে বাড়ি থেকে আনা খাবার খেয়ে নিলেন। সন্তানের স্কুল থেকে ডাক আসতে পারে—হয়তো তারা আপনার পুরোনো দিনের স্কুলের গল্প শুনতে চেয়েছে! আজ দায়িত্ববান হতে চাইবেন, কিন্তু সমস্ত দায়িত্ব যেন আপনার কাঁধেই এসে না পড়ে। অন্যের কাজের ক্রেডিট নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, তবে অতিরিক্ত কাজ থেকে বিরত থাকুন। আজ ঘুমাতে যাওয়ার আগে কালকের দিনের টু-ডু লিস্ট তৈরি করে নিন।
কুম্ভ
আবেগ সংক্রান্ত বিষয়ে সংবেদনশীলতা থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করার সময় বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সব কাজ করুন। বুদ্ধিমত্তা আজ অন্যদের থেকে আপনাকে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে—অন্যরা যখন ভাববে, আপনি তখন কাজ করে ফেলবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে প্রিয়জন খুশি ও মুগ্ধ হবেন। বন্ধুত্ব মজবুত হবে। তবে মনে রাখবেন, আজ অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে ভুল ইনভেস্টমেন্ট করতে পারেন। সব ‘ডায়মন্ড’ কিন্তু আসল হীরা নয়। আবেগের সঙ্গে কাজ করবেন না, বরং ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিন। আজ ‘আশ্চর্যজনক’ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
মীন
আজ আপনার নতুন কিছু করতে খুব ইচ্ছা করবে। স্ত্রী বা সঙ্গী এই কাজে আপনাকে সহায়তা করবে। হতে পারে হঠাৎ করে রান্না করতে চাইছেন অথবা বাগান করার শখ জেগেছে। চলাফেরায় খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করুন। আজ রাস্তায় চলার সময় অন্যমনস্ক হয়ে গেলে পা ফসকাতে পারে, অথবা বাসের হ্যান্ডেল হাত থেকে পিছলে যেতে পারে। আজ ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক আলোচনায় মগ্ন থাকতে পারেন, তবে বন্ধুদের সঙ্গে তর্ক করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, তাদের কাছে আপনার আধ্যাত্মিক জ্ঞান হাসির খোরাক হতে পারে। অতিরিক্ত দিবাস্বপ্ন দেখা থেকে বিরত থাকুন, অন্যথায় অফিস বা বাজারের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ভুল হয়ে যেতে পারে।
বিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক। জেনে নিন, কোন দেশে কোন কারণে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন।...
১৪ মিনিট আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট...
২০ ঘণ্টা আগে
একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ।
২০ ঘণ্টা আগে
শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
বিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক।
স্পেনে রাতের বেলা সাগরে নামা নিষিদ্ধ
স্পেনের জনপ্রিয় সৈকত শহর বেনিডর্মে রাত ১২টা থেকে ভোর ৭টা পর্যন্ত সমুদ্রে নামা নিষিদ্ধ। নিয়ম ভাঙলে ৮৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা। বিচে রাত কাটানো বা ক্যাম্পিং করলেও একই পরিমাণ জরিমানা ধার্য করা হয়। সেভিয়াতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিয়ের আগের উচ্ছৃঙ্খল পার্টি করা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন আরও কঠোর হয়েছে। পর্যটকের আচরণে যদি স্থানীয়রা বিরক্ত হয় বা পরিবেশ নষ্ট হয়, সে ক্ষেত্রে জরিমানা করা হয়। অনেকে নিয়ম ভাঙার পর এসব বিধিনিষেধ সম্পর্কে জানতে পারে।
থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে ই-সিগারেট নিষেধ
থাইল্যান্ডে ই-সিগারেট রাখা, বহন করা বা ব্যবহার করা আইনত নিষিদ্ধ। শাস্তির ধরনও বেশ কঠোর। আমদানি বা বিতরণের ক্ষেত্রে ৫ লাখ বাথ পর্যন্ত জরিমানা এবং ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। পর্যটকেরা ব্যক্তিগতভাবে ভ্যাপ ব্যবহার করলেও ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার বাথ পর্যন্ত জরিমানা, ডিভাইস জব্দ, এমনকি দেশে ফেরত পাঠানো পর্যন্ত হতে পারে। এ বছরের শুরুর দিকে পরিচালিত অভিযানে এ কারণে এক সপ্তাহে ৬৯০ জনকে আটক করা হয়েছিল।
এ ছাড়া যে ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন, তিনি জরিমানার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পুরস্কার হিসেবে পান। ফলে ব্যক্তিগত জায়গাতেও ভ্যাপ ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। সিঙ্গাপুরেও ই-সিগারেট আমদানি, বিক্রি ও ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। প্রথমবার ধরা পড়লে ৫০০ থেকে ৭০০ সিঙ্গাপুর ডলার পর্যন্ত জরিমানা এবং বিশেষ ক্ষেত্রে কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
ইতালিতে পরিবেশ সুরক্ষায় কঠোর নিয়ম
সারডিনিয়ার বিখ্যাত গোলাপি পানির সৈকত স্পিয়াজ্জা রোসা থেকে বালু নেওয়া নিষিদ্ধ। নিয়ম ভাঙলে ৪ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। সৈকতটি নব্বইয়ের দশক থেকে বন্ধ। পোর্টোফিনো গ্রামে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে জনপ্রিয় ফটোস্পটে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া বা ভিড় তৈরি করায় প্রায় ৩০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে জনপ্রিয় জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হওয়ায় প্রশাসন এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।

জাপানে বাধ্যতামূলক ভ্রমণ বিমা
জাপানে মেডিকেল বিল বকেয়া রাখার ঘটনার পর সরকার সব বিদেশি পর্যটকের জন্য ব্যক্তিগত ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১১ হাজারের বেশি পর্যটক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ জন বিল পরিশোধ না করেই চলে গেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিমা ছাড়া কেউ দেশটিতে প্রবেশ করলে জটিলতায় পড়তে পারে। জাপান ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৬০ মিলিয়ন পর্যটক টার্গেট করেছে, তাই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এটি।
পর্তুগালের সমুদ্রসৈকতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ
পর্তুগালের সৈকতে উচ্চ শব্দে গান বাজানো নিষিদ্ধ। দেশটির ন্যাশনাল মেরিটাইম অথরিটি পোর্টেবল স্পিকার ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ নিয়ম ভাঙলে ২০০ থেকে ৩৯ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হবে। সৈকতে পার্টি বেড়ে যাওয়া এবং বড় স্পিকারের উচ্চ শব্দে অন্যান্য পর্যটক ও স্থানীয়দের বিরক্তির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্তুগালে সবার শান্তিপূর্ণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে কঠোর নিয়ম অনুসরণ করা হয়।
নিউজিল্যান্ডের ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমতি
২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করতে ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমতি (নিউজিল্যান্ড ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরিটি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভিসা অব্যাহতি পাওয়া দেশগুলোর নাগরিকেরাও এর বাইরে নয়। ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমোদন পেতে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত লাগতে পারে। তাই বিমানবন্দরে যাওয়ার আগেই এটি করে রাখা জরুরি। শুধু প্রবেশ নয়, ট্রানজিট যাত্রীরাও এই অনুমতি ছাড়া নিউজিল্যান্ডের আকাশপথ ব্যবহার করতে পারে না। এ ছাড়া যেকোনো নিষিদ্ধ পণ্য বা খাবার আগে থেকে ফরমে উল্লেখ না করলে কাস্টমস তা বাজেয়াপ্ত করতে পারে বা জরিমানা দিতে হয়।
অনেক সময় খুব সাধারণ আচরণ বা অভ্যাস বিদেশে গুরুতর অপরাধে পরিণত হতে পারে। প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইন, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ সুরক্ষা নির্দেশনা আছে। ভ্রমণের আগে গন্তব্যস্থলের নিয়মগুলো জেনে নিলে বিপদ বা অযথা খরচ এবং ভ্রমণের আনন্দ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

বিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক।
স্পেনে রাতের বেলা সাগরে নামা নিষিদ্ধ
স্পেনের জনপ্রিয় সৈকত শহর বেনিডর্মে রাত ১২টা থেকে ভোর ৭টা পর্যন্ত সমুদ্রে নামা নিষিদ্ধ। নিয়ম ভাঙলে ৮৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা। বিচে রাত কাটানো বা ক্যাম্পিং করলেও একই পরিমাণ জরিমানা ধার্য করা হয়। সেভিয়াতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিয়ের আগের উচ্ছৃঙ্খল পার্টি করা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন আরও কঠোর হয়েছে। পর্যটকের আচরণে যদি স্থানীয়রা বিরক্ত হয় বা পরিবেশ নষ্ট হয়, সে ক্ষেত্রে জরিমানা করা হয়। অনেকে নিয়ম ভাঙার পর এসব বিধিনিষেধ সম্পর্কে জানতে পারে।
থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে ই-সিগারেট নিষেধ
থাইল্যান্ডে ই-সিগারেট রাখা, বহন করা বা ব্যবহার করা আইনত নিষিদ্ধ। শাস্তির ধরনও বেশ কঠোর। আমদানি বা বিতরণের ক্ষেত্রে ৫ লাখ বাথ পর্যন্ত জরিমানা এবং ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। পর্যটকেরা ব্যক্তিগতভাবে ভ্যাপ ব্যবহার করলেও ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার বাথ পর্যন্ত জরিমানা, ডিভাইস জব্দ, এমনকি দেশে ফেরত পাঠানো পর্যন্ত হতে পারে। এ বছরের শুরুর দিকে পরিচালিত অভিযানে এ কারণে এক সপ্তাহে ৬৯০ জনকে আটক করা হয়েছিল।
এ ছাড়া যে ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন, তিনি জরিমানার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পুরস্কার হিসেবে পান। ফলে ব্যক্তিগত জায়গাতেও ভ্যাপ ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। সিঙ্গাপুরেও ই-সিগারেট আমদানি, বিক্রি ও ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। প্রথমবার ধরা পড়লে ৫০০ থেকে ৭০০ সিঙ্গাপুর ডলার পর্যন্ত জরিমানা এবং বিশেষ ক্ষেত্রে কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
ইতালিতে পরিবেশ সুরক্ষায় কঠোর নিয়ম
সারডিনিয়ার বিখ্যাত গোলাপি পানির সৈকত স্পিয়াজ্জা রোসা থেকে বালু নেওয়া নিষিদ্ধ। নিয়ম ভাঙলে ৪ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। সৈকতটি নব্বইয়ের দশক থেকে বন্ধ। পোর্টোফিনো গ্রামে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে জনপ্রিয় ফটোস্পটে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া বা ভিড় তৈরি করায় প্রায় ৩০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে জনপ্রিয় জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হওয়ায় প্রশাসন এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।

জাপানে বাধ্যতামূলক ভ্রমণ বিমা
জাপানে মেডিকেল বিল বকেয়া রাখার ঘটনার পর সরকার সব বিদেশি পর্যটকের জন্য ব্যক্তিগত ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১১ হাজারের বেশি পর্যটক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ জন বিল পরিশোধ না করেই চলে গেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিমা ছাড়া কেউ দেশটিতে প্রবেশ করলে জটিলতায় পড়তে পারে। জাপান ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৬০ মিলিয়ন পর্যটক টার্গেট করেছে, তাই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এটি।
পর্তুগালের সমুদ্রসৈকতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ
পর্তুগালের সৈকতে উচ্চ শব্দে গান বাজানো নিষিদ্ধ। দেশটির ন্যাশনাল মেরিটাইম অথরিটি পোর্টেবল স্পিকার ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ নিয়ম ভাঙলে ২০০ থেকে ৩৯ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হবে। সৈকতে পার্টি বেড়ে যাওয়া এবং বড় স্পিকারের উচ্চ শব্দে অন্যান্য পর্যটক ও স্থানীয়দের বিরক্তির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্তুগালে সবার শান্তিপূর্ণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে কঠোর নিয়ম অনুসরণ করা হয়।
নিউজিল্যান্ডের ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমতি
২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করতে ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমতি (নিউজিল্যান্ড ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরিটি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভিসা অব্যাহতি পাওয়া দেশগুলোর নাগরিকেরাও এর বাইরে নয়। ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমোদন পেতে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত লাগতে পারে। তাই বিমানবন্দরে যাওয়ার আগেই এটি করে রাখা জরুরি। শুধু প্রবেশ নয়, ট্রানজিট যাত্রীরাও এই অনুমতি ছাড়া নিউজিল্যান্ডের আকাশপথ ব্যবহার করতে পারে না। এ ছাড়া যেকোনো নিষিদ্ধ পণ্য বা খাবার আগে থেকে ফরমে উল্লেখ না করলে কাস্টমস তা বাজেয়াপ্ত করতে পারে বা জরিমানা দিতে হয়।
অনেক সময় খুব সাধারণ আচরণ বা অভ্যাস বিদেশে গুরুতর অপরাধে পরিণত হতে পারে। প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইন, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ সুরক্ষা নির্দেশনা আছে। ভ্রমণের আগে গন্তব্যস্থলের নিয়মগুলো জেনে নিলে বিপদ বা অযথা খরচ এবং ভ্রমণের আনন্দ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

কর্মক্ষেত্রে মেজাজ থাকবে ফুটন্ত দুধে লেবুর রস দেওয়ার মতো—বারোটার বেশি! ট্র্যাফিকের মাঝে অযথা হর্ন দেবেন না, মনে রাখবেন, পাশের অটোচালকও মেষ রাশির হতে পারে। সবচেয়ে বড় সতর্কবার্তা: দুপুরের লাঞ্চে অতিরিক্ত তেল চুপচাপ বসে আছে, পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।
১৪ দিন আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট...
২০ ঘণ্টা আগে
একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ।
২০ ঘণ্টা আগে
শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট হয়ে যায়।
অপ্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজ নিয়ে যাওয়া
অনেক অতিথি নিজের ব্যবহার্য শ্যাম্পু, বডিওয়াশ, সাবান বা লোশন সঙ্গে নিয়ে যান এই ভেবে যে তাঁদেরগুলোই সবচেয়ে ভালো হবে। কিন্তু জোয়ি জানিয়েছেন, এটি পাঁচ তারা হোটেলের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঝামেলা ছাড়া আর কিছু নয়। বেশির ভাগ বিলাসবহুল হোটেল বাথরুমে আন্তর্জাতিক মানের দামি টয়লেট্রিজ রাখে, যা অতিথিরা সাধারণত নিজেরা কিনতে চান না। তাই অতিথিরা যদি নিজের বোতলগুলো না এনে হোটেলের সুবিধা উপভোগ করেন, তাহলে বহনের ঝুঁকি কমবে এবং অভিজ্ঞতাও আরও উন্নত হবে।
হোটেলে লন্ড্রি করানো
বিলাসবহুল হোটেলের লন্ড্রি-সেবা বাড়তি সুবিধা। এর খরচ অনেক বেশি। জোয়ির অভিজ্ঞতায়, পাঁচ তারা হোটেলে ১৪টি জামাকাপড় ধোয়ার জন্য তাঁকে ১১৫ ডলার গুনতে হয়েছিল। সেবার মান ভালো ছিল, কিন্তু খরচ অনেক বেশি। তিনি বলেন, শুধু জরুরি পরিস্থিতিতে লন্ড্রি করানো উচিত। না হলে সেই টাকায় নতুন পোশাক কেনা যায়। ভ্রমণের সময় এমন পোশাক বেছে নিন, যেগুলোতে লন্ড্রি সার্ভিস ব্যবহার করতে হবে না।
শুধু রুম সার্ভিসে সীমাবদ্ধ থাকা
অনেক অতিথি মনে করেন, রুমে বসে নিরিবিলি খাবার খেতে হবে। কিন্তু এতে পাঁচ তারা হোটেলের নিজস্ব রেস্তোরাঁর অভিজ্ঞতা নেওয়া বাদ থেকে যায়। প্রায় সব পাঁচ তারা হোটেল তাদের রেস্তোরাঁয় বিশেষ শেফ, আলাদা কনসেপ্ট, আর্কিটেকচার এবং আলোকসজ্জা রাখে। জোয়ি স্বীকার করেন, তিনি নিজেও অতীতে এই ভুল করেছেন। পরে তিনি রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার অভিজ্ঞতা বাদ যাওয়ায় আফসোস করেছেন। তিনি মনে করেন, অন্তত এক বেলার খাবার রেস্তোরাঁয় খেলে পুরো হোটেলের ভাবগাম্ভীর্য ভালোভাবে অনুভব করা যায়।
সাঁতারের পোশাক না নেওয়া
অনেকে মনে করেন, শীত বা শরৎকালে সাঁতারের পোশাক নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু জোয়ি জানান, এটি বড় ভুল হতে পারে। বেশির ভাগ বিলাসবহুল হোটেলে গরম পানির ইনডোর বা আউটডোর সুইমিংপুল থাকে। একটি হোটেলে তিনি গরম পানির সুন্দর পুল দেখেও নামতে পারেননি সুইম স্যুট না থাকায়। তাঁর মতে, ব্যাগে একটি সাঁতারের পোশাক রাখা ভালো সিদ্ধান্ত।
টার্নডাউন সার্ভিস ফিরিয়ে দেওয়া
টার্নডাউন সার্ভিসকে অনেকে অপ্রয়োজনীয় ভাবেন। কিন্তু জোয়ির অভিজ্ঞতা বলছে, এটি আসলে পাঁচ তারা অভিজ্ঞতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সন্ধ্যার দিকে স্টাফরা এসে ঘরটিকে আরামদায়ক করে সাজিয়ে দেন। বিছানা ঠিক করেন, আলোর মাত্রা কমিয়ে দেন এবং ছোটখাটো উপহার রাখেন। তিনি মিলানের এক হোটেলে প্রথমবার এই সেবার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। এরপর থেকে আর কখনো এই সেবা পেতে মিস করেননি। কারণ, এটি পাঁচ তারা হোটেলে থাকার পুরো অভিজ্ঞতাকে অনেক বেশি আরামদায়ক করে তোলে।
মাত্র এক রাতের জন্য বুকিং করা
অনেকে ভাবেন, এক রাতেই বিলাসবহুল হোটেলের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। কিন্তু জোয়ি বলছেন, এটি বাস্তবে সম্ভব নয়। সাধারণত চেক-ইন বিকেল চারটায় এবং পরদিন চেক-আউট বেলা ১১টায় হওয়ায় সময় থাকে খুব কম। স্পা, জিম, সুইমিংপুল, স্কাইবার, রেস্তোরাঁ, ফিটনেস ক্লাস বা বিশেষ কর্মকাণ্ডগুলো উপভোগ করার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না এক দিনের বুকিংয়ে। তিনি মনে করেন, পাঁচ তারা অভিজ্ঞতা পেতে হলে অন্তত দুই রাত থাকা উচিত।
জোয়ি হাডেনের মতে, পাঁচ তারা হোটেল মানে শুধু দামি রুম বা বড় বিছানা নয়। এটি আপনার স্মরণীয় এক অভিজ্ঞতা হতে পারে। কিন্তু ছোট ছোট ভুলের কারণে সেই অভিজ্ঞতা আপনি না-ও পেতে পারেন। তাই যাত্রার আগে পরিকল্পনা করা, অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে চলা, হোটেলের সেবাগুলো বুঝে ব্যবহার করা এবং একটু সময় নিয়ে চারপাশ উপভোগ করলে যেকোনো ভ্রমণ আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট হয়ে যায়।
অপ্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজ নিয়ে যাওয়া
অনেক অতিথি নিজের ব্যবহার্য শ্যাম্পু, বডিওয়াশ, সাবান বা লোশন সঙ্গে নিয়ে যান এই ভেবে যে তাঁদেরগুলোই সবচেয়ে ভালো হবে। কিন্তু জোয়ি জানিয়েছেন, এটি পাঁচ তারা হোটেলের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঝামেলা ছাড়া আর কিছু নয়। বেশির ভাগ বিলাসবহুল হোটেল বাথরুমে আন্তর্জাতিক মানের দামি টয়লেট্রিজ রাখে, যা অতিথিরা সাধারণত নিজেরা কিনতে চান না। তাই অতিথিরা যদি নিজের বোতলগুলো না এনে হোটেলের সুবিধা উপভোগ করেন, তাহলে বহনের ঝুঁকি কমবে এবং অভিজ্ঞতাও আরও উন্নত হবে।
হোটেলে লন্ড্রি করানো
বিলাসবহুল হোটেলের লন্ড্রি-সেবা বাড়তি সুবিধা। এর খরচ অনেক বেশি। জোয়ির অভিজ্ঞতায়, পাঁচ তারা হোটেলে ১৪টি জামাকাপড় ধোয়ার জন্য তাঁকে ১১৫ ডলার গুনতে হয়েছিল। সেবার মান ভালো ছিল, কিন্তু খরচ অনেক বেশি। তিনি বলেন, শুধু জরুরি পরিস্থিতিতে লন্ড্রি করানো উচিত। না হলে সেই টাকায় নতুন পোশাক কেনা যায়। ভ্রমণের সময় এমন পোশাক বেছে নিন, যেগুলোতে লন্ড্রি সার্ভিস ব্যবহার করতে হবে না।
শুধু রুম সার্ভিসে সীমাবদ্ধ থাকা
অনেক অতিথি মনে করেন, রুমে বসে নিরিবিলি খাবার খেতে হবে। কিন্তু এতে পাঁচ তারা হোটেলের নিজস্ব রেস্তোরাঁর অভিজ্ঞতা নেওয়া বাদ থেকে যায়। প্রায় সব পাঁচ তারা হোটেল তাদের রেস্তোরাঁয় বিশেষ শেফ, আলাদা কনসেপ্ট, আর্কিটেকচার এবং আলোকসজ্জা রাখে। জোয়ি স্বীকার করেন, তিনি নিজেও অতীতে এই ভুল করেছেন। পরে তিনি রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার অভিজ্ঞতা বাদ যাওয়ায় আফসোস করেছেন। তিনি মনে করেন, অন্তত এক বেলার খাবার রেস্তোরাঁয় খেলে পুরো হোটেলের ভাবগাম্ভীর্য ভালোভাবে অনুভব করা যায়।
সাঁতারের পোশাক না নেওয়া
অনেকে মনে করেন, শীত বা শরৎকালে সাঁতারের পোশাক নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু জোয়ি জানান, এটি বড় ভুল হতে পারে। বেশির ভাগ বিলাসবহুল হোটেলে গরম পানির ইনডোর বা আউটডোর সুইমিংপুল থাকে। একটি হোটেলে তিনি গরম পানির সুন্দর পুল দেখেও নামতে পারেননি সুইম স্যুট না থাকায়। তাঁর মতে, ব্যাগে একটি সাঁতারের পোশাক রাখা ভালো সিদ্ধান্ত।
টার্নডাউন সার্ভিস ফিরিয়ে দেওয়া
টার্নডাউন সার্ভিসকে অনেকে অপ্রয়োজনীয় ভাবেন। কিন্তু জোয়ির অভিজ্ঞতা বলছে, এটি আসলে পাঁচ তারা অভিজ্ঞতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সন্ধ্যার দিকে স্টাফরা এসে ঘরটিকে আরামদায়ক করে সাজিয়ে দেন। বিছানা ঠিক করেন, আলোর মাত্রা কমিয়ে দেন এবং ছোটখাটো উপহার রাখেন। তিনি মিলানের এক হোটেলে প্রথমবার এই সেবার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। এরপর থেকে আর কখনো এই সেবা পেতে মিস করেননি। কারণ, এটি পাঁচ তারা হোটেলে থাকার পুরো অভিজ্ঞতাকে অনেক বেশি আরামদায়ক করে তোলে।
মাত্র এক রাতের জন্য বুকিং করা
অনেকে ভাবেন, এক রাতেই বিলাসবহুল হোটেলের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। কিন্তু জোয়ি বলছেন, এটি বাস্তবে সম্ভব নয়। সাধারণত চেক-ইন বিকেল চারটায় এবং পরদিন চেক-আউট বেলা ১১টায় হওয়ায় সময় থাকে খুব কম। স্পা, জিম, সুইমিংপুল, স্কাইবার, রেস্তোরাঁ, ফিটনেস ক্লাস বা বিশেষ কর্মকাণ্ডগুলো উপভোগ করার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না এক দিনের বুকিংয়ে। তিনি মনে করেন, পাঁচ তারা অভিজ্ঞতা পেতে হলে অন্তত দুই রাত থাকা উচিত।
জোয়ি হাডেনের মতে, পাঁচ তারা হোটেল মানে শুধু দামি রুম বা বড় বিছানা নয়। এটি আপনার স্মরণীয় এক অভিজ্ঞতা হতে পারে। কিন্তু ছোট ছোট ভুলের কারণে সেই অভিজ্ঞতা আপনি না-ও পেতে পারেন। তাই যাত্রার আগে পরিকল্পনা করা, অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে চলা, হোটেলের সেবাগুলো বুঝে ব্যবহার করা এবং একটু সময় নিয়ে চারপাশ উপভোগ করলে যেকোনো ভ্রমণ আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

কর্মক্ষেত্রে মেজাজ থাকবে ফুটন্ত দুধে লেবুর রস দেওয়ার মতো—বারোটার বেশি! ট্র্যাফিকের মাঝে অযথা হর্ন দেবেন না, মনে রাখবেন, পাশের অটোচালকও মেষ রাশির হতে পারে। সবচেয়ে বড় সতর্কবার্তা: দুপুরের লাঞ্চে অতিরিক্ত তেল চুপচাপ বসে আছে, পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।
১৪ দিন আগেবিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক। জেনে নিন, কোন দেশে কোন কারণে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন।...
১৪ মিনিট আগে
একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ।
২০ ঘণ্টা আগে
শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ। বিলাসবহুল ওভারওয়াটার ভিলা এবং সি-প্লেনের কোলাহল ছেড়ে এখন দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় সংস্কৃতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ছোঁয়া পাচ্ছেন সাধারণ ভ্রমণকারীরা।
বিবিসি ট্রাভেল শো-এর জন্য ১২ বছর আগে এই দ্বীপরাষ্ট্র ভ্রমণের সময় যে মালদ্বীপ দেখানো হয়েছিল, তা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিন্তু বর্তমানে ছবিটা বদলেছে—বিলাসবহুল লাগেজের বদলে এখন পাবলিক বোট থেকে ব্যাকপ্যাক নিয়ে নামছেন সাধারণ পরিবারের সদস্যরা। এটিই মালদ্বীপের নতুন দিক। এই প্রবণতা দ্বীপটিতে ভ্রমণ আরও সাশ্রয়ী করে তুলেছে।
গত এক দশকে মালদ্বীপের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপগুলোতে এক ‘নীরব বিপ্লব’ ঘটেছে। সরকারের সংস্কারের ফলে এখন মালদ্বীপের স্থানীয়রা জনবসতিপূর্ণ দ্বীপগুলোতে গেস্টহাউস খোলার অনুমতি পেয়েছেন। আগে শুধু জনবসতিহীন রিসোর্ট এলাকাতেই পর্যটন সীমাবদ্ধ ছিল।
মালদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই সংস্কারের ফলস্বরূপ ৯০টিরও বেশি স্থানীয় দ্বীপে ১ হাজার ২০০টিরও বেশি গেস্টহাউস চালু হয়েছে। এর ফলে ভ্রমণকারীরা প্রথমবারের মতো দেশটির প্রাত্যহিক সংস্কৃতি উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন এবং স্থানীয় পরিবারগুলো সরাসরি পর্যটন শিল্প থেকে আয় করছে। এটিই এখন পরিবারগুলোর অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
থোদ্দু দ্বীপ, মালদ্বীপের ‘কৃষি দ্বীপ’ নামে পরিচিত। উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এই দ্বীপে পা রাখতেই তরমুজ ও লবণের মৃদু গন্ধ নাকে আসে। এখানে সমুদ্রবিমানের গমগম আওয়াজের বদলে শোনা যায় মোটরসাইকেলের ক্ষীণ শব্দ। রাজধানী মালের বিলাসবহুল রিসোর্ট জীবনের তুলনায় থোদ্দুর পরিবেশ শান্ত ও নিরিবিলি।
মালে থেকে পাবলিক স্পিডবোটে যেতে সময় লাগে ৯০ মিনিট, যার খরচ বিলাসবহুল রিসোর্ট সি-প্লেনের খরচের তুলনায় অনেক কম। দ্বীপে কোনো গাড়ি নেই, কেবল সাইকেল এবং মাঝে মাঝে ইলেকট্রিক বাগি (অটোরিকশার মতো) দেখা যায়। নারিকেল গাছের সারির মাঝে এখানে পেঁপে ও তরমুজের খেত বিস্তৃত। ফিরোজা রঙের পানিবেষ্টিত এই দ্বীপের সৌন্দর্য নয়নজুড়ানো।
এখানকার গেস্টহাউসটি সাদামাটা হলেও সেখানকার আতিথেয়তা অত্যন্ত আন্তরিক। খাবার একেবারে ঘরের রান্না—কয়েক ঘণ্টা আগে ধরা তাজা মাছ ভাজা, স্থানীয় কুমড়ার ঝোল এবং সতেজ তরমুজের রস।
কমিউনিটি-পরিচালিত পর্যটনের এই নতুন ঢেউ দ্বীপের পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে। এখন স্থানীয়রা সরাসরি পর্যটন ডলার থেকে লাভবান হচ্ছেন। প্রবাল প্রাচীর এবং বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় সচেতন হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা।
দক্ষিণ মালে দ্বীপে অবস্থিত স্থানীয় মালিকানাধীন ‘সন সিয়াম ওলহুভেলি’ রিসোর্টে। এটি এমন একটি মধ্যম পরিসরের রিসোর্ট, যা ‘টেকসই বিলাসিতা’র নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিচ্ছে। রিসোর্টটি জমকালো, কিন্তু স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ।
‘সান সিয়াম কেয়ার্স’ কর্মসূচির অধীনে অতিথিরা সৈকত পরিষ্কার করা, প্রবাল রোপণ এবং লেগুন (ছোট জলাধার) পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন। রিসোর্টের ‘পুনর্ব্যবহার’ উদ্যোগের মাধ্যমে পুরোনো লিনেন থেকে পরিষ্কার পরিধানযোগ্য কাপড়ে তৈরি করা হচ্ছে। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এখনো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ব্যক্তিগত রিসোর্টের গণ্ডি পেরিয়ে মালদ্বীপ সরকার এখন পরিবেশ নীতি ও পর্যটনের মধ্যে সমন্বয় ঘটাচ্ছে। পর্যটন ও পরিবেশ মন্ত্রী থরিক ইব্রাহিম এই কৌশলটি সংক্ষিপ্ত করে বলেছেন: ‘আমাদের আদি পরিবেশই আমাদের মৌলিক সম্পদ। আমরা পরিবেশের বিনিময়ে প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটছি না।’
প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জুর অধীনে, মালদ্বীপ ২০২৮ সালের মধ্যে তার ৩৩ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
ভ্রমণের কিছু টিপস:
সংস্কৃতি এবং আরাম—উভয় অভিজ্ঞতা পেতে স্থানীয় গেস্টহাউস এবং রিসোর্টের মধ্যে আপনার থাকার সময় ভাগ করে নিন; থোদ্দুর মতো দ্বীপগুলোতে পাবলিক স্পিডবোটে জনপ্রতি একমুখী খরচ ৩০-৭০ মার্কিন ডলার। পিক সিজনে যেতে চাইলে আগেভাগে বুক করুন; প্রবাল-বান্ধব সানস্ক্রিন, স্নরকেল গিয়ার এবং রিফ শু অবশ্যই ব্যাগে রাখুন; শুধু নির্দিষ্ট ‘বিকিনি বিচ’-এ সাঁতার বা রোদ পোহান; গ্রামে বিনয়ী পোশাক পরুন; স্থানীয় দ্বীপগুলোতে মদ নিষিদ্ধ; প্রবাল-বান্ধব কার্যক্রমে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডাইভ এবং ট্যুর কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে বুকিং করুন।
গেস্টহাউসগুলোর ভাড়া প্রতি রাতে ৫০-৬০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু। সান সিয়াম ওলহুভেলির মতো মধ্যম-পরিসরের রিসোর্টগুলো ৪৯৯ ডলারে বেশি; অতি-বিলাসবহুল রিসোর্টগুলো ১ হাজার ডলার থেকে শুরু।

একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ। বিলাসবহুল ওভারওয়াটার ভিলা এবং সি-প্লেনের কোলাহল ছেড়ে এখন দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় সংস্কৃতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ছোঁয়া পাচ্ছেন সাধারণ ভ্রমণকারীরা।
বিবিসি ট্রাভেল শো-এর জন্য ১২ বছর আগে এই দ্বীপরাষ্ট্র ভ্রমণের সময় যে মালদ্বীপ দেখানো হয়েছিল, তা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিন্তু বর্তমানে ছবিটা বদলেছে—বিলাসবহুল লাগেজের বদলে এখন পাবলিক বোট থেকে ব্যাকপ্যাক নিয়ে নামছেন সাধারণ পরিবারের সদস্যরা। এটিই মালদ্বীপের নতুন দিক। এই প্রবণতা দ্বীপটিতে ভ্রমণ আরও সাশ্রয়ী করে তুলেছে।
গত এক দশকে মালদ্বীপের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপগুলোতে এক ‘নীরব বিপ্লব’ ঘটেছে। সরকারের সংস্কারের ফলে এখন মালদ্বীপের স্থানীয়রা জনবসতিপূর্ণ দ্বীপগুলোতে গেস্টহাউস খোলার অনুমতি পেয়েছেন। আগে শুধু জনবসতিহীন রিসোর্ট এলাকাতেই পর্যটন সীমাবদ্ধ ছিল।
মালদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই সংস্কারের ফলস্বরূপ ৯০টিরও বেশি স্থানীয় দ্বীপে ১ হাজার ২০০টিরও বেশি গেস্টহাউস চালু হয়েছে। এর ফলে ভ্রমণকারীরা প্রথমবারের মতো দেশটির প্রাত্যহিক সংস্কৃতি উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন এবং স্থানীয় পরিবারগুলো সরাসরি পর্যটন শিল্প থেকে আয় করছে। এটিই এখন পরিবারগুলোর অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
থোদ্দু দ্বীপ, মালদ্বীপের ‘কৃষি দ্বীপ’ নামে পরিচিত। উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এই দ্বীপে পা রাখতেই তরমুজ ও লবণের মৃদু গন্ধ নাকে আসে। এখানে সমুদ্রবিমানের গমগম আওয়াজের বদলে শোনা যায় মোটরসাইকেলের ক্ষীণ শব্দ। রাজধানী মালের বিলাসবহুল রিসোর্ট জীবনের তুলনায় থোদ্দুর পরিবেশ শান্ত ও নিরিবিলি।
মালে থেকে পাবলিক স্পিডবোটে যেতে সময় লাগে ৯০ মিনিট, যার খরচ বিলাসবহুল রিসোর্ট সি-প্লেনের খরচের তুলনায় অনেক কম। দ্বীপে কোনো গাড়ি নেই, কেবল সাইকেল এবং মাঝে মাঝে ইলেকট্রিক বাগি (অটোরিকশার মতো) দেখা যায়। নারিকেল গাছের সারির মাঝে এখানে পেঁপে ও তরমুজের খেত বিস্তৃত। ফিরোজা রঙের পানিবেষ্টিত এই দ্বীপের সৌন্দর্য নয়নজুড়ানো।
এখানকার গেস্টহাউসটি সাদামাটা হলেও সেখানকার আতিথেয়তা অত্যন্ত আন্তরিক। খাবার একেবারে ঘরের রান্না—কয়েক ঘণ্টা আগে ধরা তাজা মাছ ভাজা, স্থানীয় কুমড়ার ঝোল এবং সতেজ তরমুজের রস।
কমিউনিটি-পরিচালিত পর্যটনের এই নতুন ঢেউ দ্বীপের পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে। এখন স্থানীয়রা সরাসরি পর্যটন ডলার থেকে লাভবান হচ্ছেন। প্রবাল প্রাচীর এবং বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় সচেতন হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা।
দক্ষিণ মালে দ্বীপে অবস্থিত স্থানীয় মালিকানাধীন ‘সন সিয়াম ওলহুভেলি’ রিসোর্টে। এটি এমন একটি মধ্যম পরিসরের রিসোর্ট, যা ‘টেকসই বিলাসিতা’র নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিচ্ছে। রিসোর্টটি জমকালো, কিন্তু স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ।
‘সান সিয়াম কেয়ার্স’ কর্মসূচির অধীনে অতিথিরা সৈকত পরিষ্কার করা, প্রবাল রোপণ এবং লেগুন (ছোট জলাধার) পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন। রিসোর্টের ‘পুনর্ব্যবহার’ উদ্যোগের মাধ্যমে পুরোনো লিনেন থেকে পরিষ্কার পরিধানযোগ্য কাপড়ে তৈরি করা হচ্ছে। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এখনো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ব্যক্তিগত রিসোর্টের গণ্ডি পেরিয়ে মালদ্বীপ সরকার এখন পরিবেশ নীতি ও পর্যটনের মধ্যে সমন্বয় ঘটাচ্ছে। পর্যটন ও পরিবেশ মন্ত্রী থরিক ইব্রাহিম এই কৌশলটি সংক্ষিপ্ত করে বলেছেন: ‘আমাদের আদি পরিবেশই আমাদের মৌলিক সম্পদ। আমরা পরিবেশের বিনিময়ে প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটছি না।’
প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জুর অধীনে, মালদ্বীপ ২০২৮ সালের মধ্যে তার ৩৩ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
ভ্রমণের কিছু টিপস:
সংস্কৃতি এবং আরাম—উভয় অভিজ্ঞতা পেতে স্থানীয় গেস্টহাউস এবং রিসোর্টের মধ্যে আপনার থাকার সময় ভাগ করে নিন; থোদ্দুর মতো দ্বীপগুলোতে পাবলিক স্পিডবোটে জনপ্রতি একমুখী খরচ ৩০-৭০ মার্কিন ডলার। পিক সিজনে যেতে চাইলে আগেভাগে বুক করুন; প্রবাল-বান্ধব সানস্ক্রিন, স্নরকেল গিয়ার এবং রিফ শু অবশ্যই ব্যাগে রাখুন; শুধু নির্দিষ্ট ‘বিকিনি বিচ’-এ সাঁতার বা রোদ পোহান; গ্রামে বিনয়ী পোশাক পরুন; স্থানীয় দ্বীপগুলোতে মদ নিষিদ্ধ; প্রবাল-বান্ধব কার্যক্রমে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডাইভ এবং ট্যুর কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে বুকিং করুন।
গেস্টহাউসগুলোর ভাড়া প্রতি রাতে ৫০-৬০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু। সান সিয়াম ওলহুভেলির মতো মধ্যম-পরিসরের রিসোর্টগুলো ৪৯৯ ডলারে বেশি; অতি-বিলাসবহুল রিসোর্টগুলো ১ হাজার ডলার থেকে শুরু।

কর্মক্ষেত্রে মেজাজ থাকবে ফুটন্ত দুধে লেবুর রস দেওয়ার মতো—বারোটার বেশি! ট্র্যাফিকের মাঝে অযথা হর্ন দেবেন না, মনে রাখবেন, পাশের অটোচালকও মেষ রাশির হতে পারে। সবচেয়ে বড় সতর্কবার্তা: দুপুরের লাঞ্চে অতিরিক্ত তেল চুপচাপ বসে আছে, পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।
১৪ দিন আগেবিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক। জেনে নিন, কোন দেশে কোন কারণে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন।...
১৪ মিনিট আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট...
২০ ঘণ্টা আগে
শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে। বাড়তি উষ্ণতা আর আরাম পেতে এই যে অভ্যাস তা কিন্তু অনেক সময় স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির।
বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সতর্ক করে বলছেন, ঘুমের সময় মুখ ঢেকে রাখলে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি হতে পারে, ঘুমের মান নষ্ট হতে পারে এবং শ্বাসযন্ত্রে বাড়তি চাপ পড়তে পারে। বিশেষত যাদের ফুসফুসসংক্রান্ত বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের এ ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত। আরামদায়ক মনে হলেও, শীতকালের এই অভ্যাস মুখের চারপাশে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, অক্সিজেন গ্রহণ কমিয়ে দিতে পারে এবং ত্বকের আশেপাশে অতিরিক্ত উষ্ণতা ও আর্দ্রতা আটকে রাখতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এতে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে, ঘুমের মান আরও খারাপ হতে পারে, এমনকি হৃদ্রোগের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাসের ফলে শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়। পাশাপাশি বায়ুদূষণ তো আছেই। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমতে থাকায় দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে শ্বাসযন্ত্রে। এর সঙ্গে রাতের বেলা এই লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানো বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে স্বাস্থ্যঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
শীতকালে মুখ ঢেকে ঘুমালে যা হয়
ঘুমের সময় লেপ বা কম্বল মাথা পর্যন্ত টেনে দিলে এর ভেতরে বিশেষ করে নাক ও মুখের চারপাশে একটি ছোট বন্ধ পরিবেশ তৈরি হয়। বাইরে থেকে বাতাস চলাচল কমে যাওয়ায় নিঃশ্বাসের সঙ্গে বের হওয়া কার্বন ডাই–অক্সাইড ওই সীমিত পরিসরে আটকে যায় এবং অক্সিজেনের প্রবেশ কমে যায়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাথা ঢেকে রাখলে ‘রিবার্দিং রেট’ অর্থাৎ নিজের নিঃশ্বাস থেকে নির্গত বাতাসই বারবার পুনরায় শ্বাস নেওয়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এর ফলে অক্সিজেন কমে যাওয়া এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে যাওয়ার কারণে শ্বাস নিতে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। এর ফলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, অস্থির ঘুম বা ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত অনুভব করার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের শ্বাসযন্ত্র দুর্বল বা আগে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এই কাজ।

এছাড়া মুখ ঢেকে ঘুমালে অতিরিক্ত তাপ ও আর্দ্রতা লেপ-কম্বলের ভেতরে আটকে থাকে। এতে মাথার আশেপাশের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার মাত্রা বেড়ে যায়, যা গভীর ও প্রশান্ত ঘুমের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অনেকেই জানান, এতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া এবং ঘাম হওয়াসহ ঘুমের মান খারাপ হয়ে গিয়েছে।
স্লিপিং এক্সপার্টরা বলছেন, ভালো ঘুম কেবল ঘুমের সময়সীমার ওপর নির্ভর করে না। সঠিক বাতাস চলাচল, স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস এবং শরীরের স্থিতিশীল তাপমাত্রা বজায় থাকাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর যেকোনোটি ব্যাহত হলে ঘুমের মান কমে যায়। ফলে ঘুম থেকে ওঠার পর মস্তিষ্কের কার্যক্রম, মন, সতর্কতা এবং পুরো শরীরের ওপরহ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
কারা বেশি ঝুঁকিতে, কেন শীতকালে ঝুঁকি আরও বাড়ে
তরুণবয়সী বা সম্পূর্ণ সুস্থ কেউ সাময়িক সময়ের জন্য মুখ ঢেকে ঘুমালে বড় ধরনের সমস্যা নাও হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি ঝুঁকিতে থাকেন যাঁরা—
১. যাদের হাঁপানির মতো দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। বাতাস চলাচল কমে গেলে বা তাপমাত্রা বদলালে তাদের শ্বাসপ্রশ্বাস খুব সহজেই বিঘ্নিত হয়।
২. শিশু ও নবজাতক, যাদের শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিকভাবেই এখনো বিকাশমান। গবেষণায় দেখা গেছে, মুখ ঢেকে ঘুমালে নবজাতকের মুখের আশপাশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায় এবং ঘুমের মধ্যে জেগে ওঠার প্রতিক্রিয়া কমে যায়। এ কারণে শিশুমৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
৩. নিদ্রাকালীন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা (যেমন- স্লিপ অ্যাপনিয়া) আছে এমন ব্যক্তি। মুখ ঢেকে ঘুমালে শ্বাস-প্রশ্বাসের বাতাস চলাচলের জায়গা সীমিত হয়ে পড়ে বলে তাদের রাতের ঘুমে শ্বাস নিতে আরও বেশি কষ্ট হতে পারে।

শীতকালে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় যেসব কারণে
১. ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস শ্বাসনালীকে উত্তেজিত করে এবং ব্রঙ্কিয়াল সংকোচন ঘটাতে পারে।
২. ঘরের হিটার বা জানালা বন্ধ থাকার কারণে বাতাস চলাচল কমে যায়।
৩. শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বেড়ে যায়, যা ফুসফুসের ওপর আগেই অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।
মুখ না ঢেকে শরীর উষ্ণ রাখতে পারেন যেভাবে
উষ্ণ থাকতে হলে মুখ ঢাকাই একমাত্র উপায় নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি সহজ অভ্যাসের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে শরীর উষ্ণ করে আরামদায়ক ঘুম নিশ্চিত করা যেতে পারে। অভ্যাসগুলো হলো—
১. লেপ মাথার ওপর টেনে দেওয়ার বদলে বাড়তি পোশাক পরুন।
২. শরীর ঢেকে রাখুন, মাথা বা মুখ নয়; নাক-মুখ খোলা রাখলে তাজা বাতাস প্রবেশ করবে।
৩. ঘরের বাতাস চলাচল নিশ্চিত করুন। দূষণের মাত্রা সহনীয় হলে জানালা অল্প খুলে রাখা বা বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করাও জরুরি।
৪. যাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা আছে, তারা শুষ্ক বাতাস কমাতে হিউমিডিফায়ার বা ঘরের এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘর অতিরিক্ত গরম করবেন না।
৫. খুব ভারী লেপ বা কম্বল মুখের ওপর টেনে দেবেন না, কাঁধের নিচ পর্যন্ত রাখুন। এতে উষ্ণতা বজায় থাকবে, আবার শ্বাস নেওয়ার পর্যাপ্ত জায়গাও মিলবে।
শীতের রাতে লেপ বা কম্বল মুড়ে যে আরাম ও উষ্ণতা পাওয়া যায়, তার লোভ এড়ানো মুশকিল। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে এর উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই বেশি। এ কারণে ঘুমের মধ্যেও লেপ বা কম্বল মাথার ওপর টেনে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ অক্সিজেন স্বল্পতা শরীরের জন্য উষ্ণতার আরামের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতির। এই সাধারণ বিষয়টিও শ্বাসপ্রশ্বাস, ঘুমের মান এবং দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আর এ সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি থাকে নবজাতক, শিশু এবং শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে। তাই সুস্থ প্রাপ্তবয়স্করাও নিজেদের পাশাপাশি খেয়াল রাখবেন পরিবারের শিশু-বৃদ্ধ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তির ঘুমের কোনো ব্যাঘাত হচ্ছে কি না।

শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে। বাড়তি উষ্ণতা আর আরাম পেতে এই যে অভ্যাস তা কিন্তু অনেক সময় স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির।
বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সতর্ক করে বলছেন, ঘুমের সময় মুখ ঢেকে রাখলে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি হতে পারে, ঘুমের মান নষ্ট হতে পারে এবং শ্বাসযন্ত্রে বাড়তি চাপ পড়তে পারে। বিশেষত যাদের ফুসফুসসংক্রান্ত বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের এ ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত। আরামদায়ক মনে হলেও, শীতকালের এই অভ্যাস মুখের চারপাশে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, অক্সিজেন গ্রহণ কমিয়ে দিতে পারে এবং ত্বকের আশেপাশে অতিরিক্ত উষ্ণতা ও আর্দ্রতা আটকে রাখতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এতে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে, ঘুমের মান আরও খারাপ হতে পারে, এমনকি হৃদ্রোগের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাসের ফলে শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়। পাশাপাশি বায়ুদূষণ তো আছেই। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমতে থাকায় দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে শ্বাসযন্ত্রে। এর সঙ্গে রাতের বেলা এই লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানো বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে স্বাস্থ্যঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
শীতকালে মুখ ঢেকে ঘুমালে যা হয়
ঘুমের সময় লেপ বা কম্বল মাথা পর্যন্ত টেনে দিলে এর ভেতরে বিশেষ করে নাক ও মুখের চারপাশে একটি ছোট বন্ধ পরিবেশ তৈরি হয়। বাইরে থেকে বাতাস চলাচল কমে যাওয়ায় নিঃশ্বাসের সঙ্গে বের হওয়া কার্বন ডাই–অক্সাইড ওই সীমিত পরিসরে আটকে যায় এবং অক্সিজেনের প্রবেশ কমে যায়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাথা ঢেকে রাখলে ‘রিবার্দিং রেট’ অর্থাৎ নিজের নিঃশ্বাস থেকে নির্গত বাতাসই বারবার পুনরায় শ্বাস নেওয়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এর ফলে অক্সিজেন কমে যাওয়া এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে যাওয়ার কারণে শ্বাস নিতে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। এর ফলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, অস্থির ঘুম বা ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত অনুভব করার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের শ্বাসযন্ত্র দুর্বল বা আগে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এই কাজ।

এছাড়া মুখ ঢেকে ঘুমালে অতিরিক্ত তাপ ও আর্দ্রতা লেপ-কম্বলের ভেতরে আটকে থাকে। এতে মাথার আশেপাশের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার মাত্রা বেড়ে যায়, যা গভীর ও প্রশান্ত ঘুমের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অনেকেই জানান, এতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া এবং ঘাম হওয়াসহ ঘুমের মান খারাপ হয়ে গিয়েছে।
স্লিপিং এক্সপার্টরা বলছেন, ভালো ঘুম কেবল ঘুমের সময়সীমার ওপর নির্ভর করে না। সঠিক বাতাস চলাচল, স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস এবং শরীরের স্থিতিশীল তাপমাত্রা বজায় থাকাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর যেকোনোটি ব্যাহত হলে ঘুমের মান কমে যায়। ফলে ঘুম থেকে ওঠার পর মস্তিষ্কের কার্যক্রম, মন, সতর্কতা এবং পুরো শরীরের ওপরহ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
কারা বেশি ঝুঁকিতে, কেন শীতকালে ঝুঁকি আরও বাড়ে
তরুণবয়সী বা সম্পূর্ণ সুস্থ কেউ সাময়িক সময়ের জন্য মুখ ঢেকে ঘুমালে বড় ধরনের সমস্যা নাও হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি ঝুঁকিতে থাকেন যাঁরা—
১. যাদের হাঁপানির মতো দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। বাতাস চলাচল কমে গেলে বা তাপমাত্রা বদলালে তাদের শ্বাসপ্রশ্বাস খুব সহজেই বিঘ্নিত হয়।
২. শিশু ও নবজাতক, যাদের শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিকভাবেই এখনো বিকাশমান। গবেষণায় দেখা গেছে, মুখ ঢেকে ঘুমালে নবজাতকের মুখের আশপাশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায় এবং ঘুমের মধ্যে জেগে ওঠার প্রতিক্রিয়া কমে যায়। এ কারণে শিশুমৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
৩. নিদ্রাকালীন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা (যেমন- স্লিপ অ্যাপনিয়া) আছে এমন ব্যক্তি। মুখ ঢেকে ঘুমালে শ্বাস-প্রশ্বাসের বাতাস চলাচলের জায়গা সীমিত হয়ে পড়ে বলে তাদের রাতের ঘুমে শ্বাস নিতে আরও বেশি কষ্ট হতে পারে।

শীতকালে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় যেসব কারণে
১. ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস শ্বাসনালীকে উত্তেজিত করে এবং ব্রঙ্কিয়াল সংকোচন ঘটাতে পারে।
২. ঘরের হিটার বা জানালা বন্ধ থাকার কারণে বাতাস চলাচল কমে যায়।
৩. শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বেড়ে যায়, যা ফুসফুসের ওপর আগেই অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।
মুখ না ঢেকে শরীর উষ্ণ রাখতে পারেন যেভাবে
উষ্ণ থাকতে হলে মুখ ঢাকাই একমাত্র উপায় নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি সহজ অভ্যাসের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে শরীর উষ্ণ করে আরামদায়ক ঘুম নিশ্চিত করা যেতে পারে। অভ্যাসগুলো হলো—
১. লেপ মাথার ওপর টেনে দেওয়ার বদলে বাড়তি পোশাক পরুন।
২. শরীর ঢেকে রাখুন, মাথা বা মুখ নয়; নাক-মুখ খোলা রাখলে তাজা বাতাস প্রবেশ করবে।
৩. ঘরের বাতাস চলাচল নিশ্চিত করুন। দূষণের মাত্রা সহনীয় হলে জানালা অল্প খুলে রাখা বা বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করাও জরুরি।
৪. যাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা আছে, তারা শুষ্ক বাতাস কমাতে হিউমিডিফায়ার বা ঘরের এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘর অতিরিক্ত গরম করবেন না।
৫. খুব ভারী লেপ বা কম্বল মুখের ওপর টেনে দেবেন না, কাঁধের নিচ পর্যন্ত রাখুন। এতে উষ্ণতা বজায় থাকবে, আবার শ্বাস নেওয়ার পর্যাপ্ত জায়গাও মিলবে।
শীতের রাতে লেপ বা কম্বল মুড়ে যে আরাম ও উষ্ণতা পাওয়া যায়, তার লোভ এড়ানো মুশকিল। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে এর উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই বেশি। এ কারণে ঘুমের মধ্যেও লেপ বা কম্বল মাথার ওপর টেনে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ অক্সিজেন স্বল্পতা শরীরের জন্য উষ্ণতার আরামের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতির। এই সাধারণ বিষয়টিও শ্বাসপ্রশ্বাস, ঘুমের মান এবং দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আর এ সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি থাকে নবজাতক, শিশু এবং শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে। তাই সুস্থ প্রাপ্তবয়স্করাও নিজেদের পাশাপাশি খেয়াল রাখবেন পরিবারের শিশু-বৃদ্ধ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তির ঘুমের কোনো ব্যাঘাত হচ্ছে কি না।

কর্মক্ষেত্রে মেজাজ থাকবে ফুটন্ত দুধে লেবুর রস দেওয়ার মতো—বারোটার বেশি! ট্র্যাফিকের মাঝে অযথা হর্ন দেবেন না, মনে রাখবেন, পাশের অটোচালকও মেষ রাশির হতে পারে। সবচেয়ে বড় সতর্কবার্তা: দুপুরের লাঞ্চে অতিরিক্ত তেল চুপচাপ বসে আছে, পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।
১৪ দিন আগেবিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক। জেনে নিন, কোন দেশে কোন কারণে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন।...
১৪ মিনিট আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট...
২০ ঘণ্টা আগে
একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ।
২০ ঘণ্টা আগে