আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার ধৈর্যের পারদ শূন্যের কাছাকাছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপ হাতে নেওয়ার আগেই অর্ধেক দিন পার করে ফেলার তাড়ায় থাকবেন। কোনো একটি মশা আপনার গতির প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গেও লেগে যেতে পারে ছোটখাটো সংঘর্ষ। বস আপনাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের ডেডলাইন দিলেন। ডেডলাইন পার হওয়ার আগেই কাজটা শেষ করে আরেকটা কাজ চেয়ে বসবেন। সহকর্মীরা আপনাকে দেখে ভয় পাবে—এত এনার্জি আসে কোথা থেকে? উত্তর: কাঁচা মরিচ আর ঘুমের অভাব! প্রেমিকা/প্রেমিক ধীরে কথা বললে বারবার রিকোয়েস্ট করবেন যেন তিনি একটু স্লো মোশনে কথা বলেন।
বৃষ
আজ সারাটা দিন আরাম আর আভিজাত্যের সন্ধানে থাকবেন। মনে হবে, এই জীবনটা তো উপভোগ করার জন্যই, তাই না? এই যুক্তিতে ভর করে অনলাইনে বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় কিন্তু সুন্দর জিনিস কিনে ফেলতে পারেন। সঞ্চয়? ওহ, সেটা তো কালকের কাজ! অফিসে এমন একটা আরামদায়ক চেয়ার বা কোণা খুঁজে পাবেন, যেখানে বসে থাকলে আপনার প্রোডাকটিভিটি কমে গেলেও, মন শান্তি পাবে। লাঞ্চের মেনু নিয়ে আজ আপনার গবেষণা আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের চেয়েও গভীর ও জটিল হবে। ভালোবাসার মানে আজ শুধু মনের বন্ধন নয়, প্রিয় চিপসের প্যাকেট ভাগ করে নেওয়া।
মিথুন
মাথায় আজ একসঙ্গে দশটা চিন্তা ঘুরপাক খাবে। একটা কাজে মন দিতে গিয়ে আরেকটা কাজের কথা মনে পড়বে, এবং তার মাঝেই একটা নতুন শার্টের ডিজাইন নিয়ে ভাবা শুরু করে দেবেন। এক কথায়, আজ একটা চলন্ত মাল্টিটাস্কিং জগাখিচুড়ি। বসের কাছে একটা আইডিয়া নিয়ে যাবেন, কিন্তু আলোচনা করতে করতে দেখবেন নিজেই সেই আইডিয়াটার বিপক্ষে যুক্তি দেওয়া শুরু করেছেন। সহকর্মী ভাববে, আপনার মধ্যে দুজন মানুষ বাস করে। ভুল করে মনের সবচেয়ে গভীর চিন্তাটা আপনার উবার/পাঠাও ড্রাইভারকে টেক্সট করে দিতে পারেন। তারপর সারা দিন ভাববেন, ‘ব্যাপারটা কী হলো?’
কর্কট
আজ অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকবেন। পাশের বাড়ির কুকুরছানার হাঁটা দেখে চোখে পানি আসতে পারে, অথবা কোনো পুরোনো স্মৃতি আবেগপ্রবণ করে তুলবে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা আজ আপনার জন্য একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। কেউ যদি আপনার বানানো চায়ের সমালোচনা করে, তবে আপনার মনে হতে পারে জীবনের সব ব্যর্থতা ওই চায়ের কাপেই লুকিয়ে আছে। কাজে মন দিতে না পারায় আজ নিজেকে অতিরিক্ত আদর-যত্ন দিতে হবে। প্রেমিক/প্রেমিকা যদি এক মিনিটের জন্য ফোন না ধরে, আপনি নিশ্চিত হয়ে যাবেন যে সে চাঁদে চলে গেছে।
সিংহ
আজ নিজেকে মঞ্চের কেন্দ্রে দেখতে চাইবেন। অফিসে ঢুকলেই মনে হবে সবার হাততালি দেওয়া উচিত, আর না দিলে নিজেই একটা মহৎ কাজের ফিরিস্তি দিয়ে দেবেন। আত্মবিশ্বাস আজ আকাশছোঁয়া—তবে সাবধানে, ছাদ যেন না ভাঙে! ভুল করে একটা অফিসের ই-মেইল চেইনে আপনার একটি চমৎকার সেলফি ‘Reply All’ করে দিতে পারেন। ঘাবড়াবেন না, এটা আপনার ‘নেতৃত্বের ঝলক’। পার্টনারকে মনে রাখতে হবে—আপনাকে খুশি রাখার জন্য মাঝে মাঝে প্রশংসা করে যেতেই হবে, এমনকি যদি আপনি শুধু নিশ্বাস নিচ্ছেন তবুও।
কন্যা
আজ ভেতরের সমালোচক জেগে উঠেছে। পৃথিবীর সব জিনিসই আজ আপনার কাছে অগোছালো মনে হবে। জীবনসঙ্গীর পাঠানো মেসেজে ব্যাকরণের ভুল খুঁজে বের করবেন এবং মনে মনে সেটার শুদ্ধ বানান লিখে দেবেন। বসের একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টে একটি টাইপো খুঁজে পেয়ে যাবেন এবং এতে সারা দিনের শান্তি নষ্ট হয়ে যাবে। দ্বন্দ্বে ভুগবেন—বসকে বলে তাঁর ইগো ভাঙবেন, নাকি চুপ করে থেকে নিজের মনকে কষ্ট দেবেন? আপনার কাছে প্রেম হলো জুতো রাখার র্যাকটি সুন্দরভাবে গোছানো। পার্টনার আপনার শৃঙ্খলা দেখেই মুগ্ধ!
তুলা
সিদ্ধান্তহীনতা আজ আপনাকে কাবু করে ফেলবে। সামান্যতম দুটি জিনিসের মধ্যে একটি বেছে নিতে আপনার মনে হবে যেন জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা দিচ্ছেন। একটি জরুরি মিটিংয়ে আপনাকে দুটো অপশনের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হবে। সেই দুটি অপশনের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে এমন দার্শনিক আলোচনা শুরু করবেন যে, মিটিং শেষ হয়ে গেলেও উত্তর দেওয়া হবে না। পার্কে বসে থাকা দুটি পায়রার ঝগড়া মেটানোর চেষ্টা করতে পারেন, কারণ আপনার কাছে ভারসাম্যই আসল।
বৃশ্চিক
আজ চোখের গভীরতা দেখে সবাই হয়তো ভাববে আপনি কোনো জটিল প্লট সাজাচ্ছেন, কিন্তু সত্যিটা হলো—সকালে নাশতা করতে ভুলে গেছেন। আপনার রহস্যময় নীরবতা আজ অন্যদের মনে ভয়ের সঞ্চার করবে। আপনার তীব্র চাহনি দেখে একজন সহকর্মী স্বেচ্ছায় একটি অপ্রয়োজনীয় কাজের দায়িত্ব নিয়ে নিতে পারে। আপনি তাকে আটকাতে যাবেন না, বরং মনে মনে ভাববেন, ‘কাজটা তো হলো!’ ভালোবাসার মানুষকে গভীর অর্থপূর্ণ একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বুঝিয়ে দেবেন যে আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন। বেশি কথা বলার প্রয়োজন নেই।
ধনু
আজ আপনার উৎসাহে পৃথিবী টলমল। আকাশ-কুসুম স্বপ্ন দেখবেন এবং সেগুলো পূরণ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বেন—তবে বেশির ভাগই হয়তো দুপুরের ঘুমের পর আর মনে থাকবে না। বসকে এমন একটা প্রজেক্টের প্রতিশ্রুতি দেবেন যা শেষ করতে আপনার তিন মাস সময় লাগবে। নিজে আনন্দে আত্মহারা, কিন্তু পরে কীভাবে সেটা করবেন তা নিয়ে ভাববেন না। রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে একজন অচেনা লোকের সঙ্গে সামান্য আলাপচারিতায় ভেবে নিতে পারেন যে, ইনিই আপনার বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গী।
মকর
আজ আপনার ধ্যানজ্ঞান শুধু কাজ। আপনি ভাববেন, যারা কাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত, তারা আসলে সময় নষ্ট করছে। আপনার কাছে জীবনের আসল রোমাঞ্চ হলো ডেডলাইন পূরণ করা। ৪টার সময় কফি ব্রেক নেওয়া সহকর্মীদের দিকে এমনভাবে তাকাবেন যেন তারা দেশের শত্রু। আপনার কাজের প্রতি নিবেদন দেখে গ্রহরা নিজেরাই ছুটি নিয়ে নেবে। ভালোবাসার মানুষকে আজ একটি চমৎকার, নির্ভুল অবসরকালীন আর্থিক পরিকল্পনা উপহার দিয়ে প্রেমের প্রকাশ করবেন।
কুম্ভ
আপনার চিন্তাভাবনা আজ এতটাই মৌলিক হবে যে, পাশে বসে থাকা মানুষটি আপনাকে অন্য গ্রহের প্রাণী ভাবতে পারে। প্রথাগত সবকিছুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করবেন—হোক সেটা অফিসের পোশাকবিধি অথবা চা বানানোর নিয়ম। একটা এমন অদ্ভুত আইডিয়া পেশ করবেন যা শুনে সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাবে, কিন্তু আপনার আত্মবিশ্বাসের কারণে কেউ সাহস করে ‘না’ বলতে পারবে না। রোমান্টিকতা মানে আপনার কাছে হাত ধরে ঘোরা নয়, বরং মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে গভীর আলোচনা করা।
মীন
মন আজ মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়াবে। বাস্তব আর কল্পনার সীমারেখা আজ আপনার কাছে আবছা। হয়তো ট্রাফিক জ্যামে বসে কল্পনা করবেন যে, আপনি সমুদ্রের গভীরে একটি মারমেইড (জলকন্যা)। কাজের প্রশংসা করা হলে আপনি বাকি দিনটা ধরে ভাববেন, ওই প্রশংসার পেছনে কোনো লুকানো উদ্দেশ্য ছিল কি না। নিজেকে অতিরিক্ত চাপ দেবেন না! প্রিয় মানুষটির সঙ্গে কথা বলার সময় ভুলে যাবেন যে এটা বাস্তব, আর তাকে সিনেমার নায়ক/নায়িকার মতো ট্রিট করা শুরু করবেন।

মেষ
আজ আপনার ধৈর্যের পারদ শূন্যের কাছাকাছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপ হাতে নেওয়ার আগেই অর্ধেক দিন পার করে ফেলার তাড়ায় থাকবেন। কোনো একটি মশা আপনার গতির প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গেও লেগে যেতে পারে ছোটখাটো সংঘর্ষ। বস আপনাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের ডেডলাইন দিলেন। ডেডলাইন পার হওয়ার আগেই কাজটা শেষ করে আরেকটা কাজ চেয়ে বসবেন। সহকর্মীরা আপনাকে দেখে ভয় পাবে—এত এনার্জি আসে কোথা থেকে? উত্তর: কাঁচা মরিচ আর ঘুমের অভাব! প্রেমিকা/প্রেমিক ধীরে কথা বললে বারবার রিকোয়েস্ট করবেন যেন তিনি একটু স্লো মোশনে কথা বলেন।
বৃষ
আজ সারাটা দিন আরাম আর আভিজাত্যের সন্ধানে থাকবেন। মনে হবে, এই জীবনটা তো উপভোগ করার জন্যই, তাই না? এই যুক্তিতে ভর করে অনলাইনে বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় কিন্তু সুন্দর জিনিস কিনে ফেলতে পারেন। সঞ্চয়? ওহ, সেটা তো কালকের কাজ! অফিসে এমন একটা আরামদায়ক চেয়ার বা কোণা খুঁজে পাবেন, যেখানে বসে থাকলে আপনার প্রোডাকটিভিটি কমে গেলেও, মন শান্তি পাবে। লাঞ্চের মেনু নিয়ে আজ আপনার গবেষণা আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের চেয়েও গভীর ও জটিল হবে। ভালোবাসার মানে আজ শুধু মনের বন্ধন নয়, প্রিয় চিপসের প্যাকেট ভাগ করে নেওয়া।
মিথুন
মাথায় আজ একসঙ্গে দশটা চিন্তা ঘুরপাক খাবে। একটা কাজে মন দিতে গিয়ে আরেকটা কাজের কথা মনে পড়বে, এবং তার মাঝেই একটা নতুন শার্টের ডিজাইন নিয়ে ভাবা শুরু করে দেবেন। এক কথায়, আজ একটা চলন্ত মাল্টিটাস্কিং জগাখিচুড়ি। বসের কাছে একটা আইডিয়া নিয়ে যাবেন, কিন্তু আলোচনা করতে করতে দেখবেন নিজেই সেই আইডিয়াটার বিপক্ষে যুক্তি দেওয়া শুরু করেছেন। সহকর্মী ভাববে, আপনার মধ্যে দুজন মানুষ বাস করে। ভুল করে মনের সবচেয়ে গভীর চিন্তাটা আপনার উবার/পাঠাও ড্রাইভারকে টেক্সট করে দিতে পারেন। তারপর সারা দিন ভাববেন, ‘ব্যাপারটা কী হলো?’
কর্কট
আজ অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকবেন। পাশের বাড়ির কুকুরছানার হাঁটা দেখে চোখে পানি আসতে পারে, অথবা কোনো পুরোনো স্মৃতি আবেগপ্রবণ করে তুলবে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা আজ আপনার জন্য একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। কেউ যদি আপনার বানানো চায়ের সমালোচনা করে, তবে আপনার মনে হতে পারে জীবনের সব ব্যর্থতা ওই চায়ের কাপেই লুকিয়ে আছে। কাজে মন দিতে না পারায় আজ নিজেকে অতিরিক্ত আদর-যত্ন দিতে হবে। প্রেমিক/প্রেমিকা যদি এক মিনিটের জন্য ফোন না ধরে, আপনি নিশ্চিত হয়ে যাবেন যে সে চাঁদে চলে গেছে।
সিংহ
আজ নিজেকে মঞ্চের কেন্দ্রে দেখতে চাইবেন। অফিসে ঢুকলেই মনে হবে সবার হাততালি দেওয়া উচিত, আর না দিলে নিজেই একটা মহৎ কাজের ফিরিস্তি দিয়ে দেবেন। আত্মবিশ্বাস আজ আকাশছোঁয়া—তবে সাবধানে, ছাদ যেন না ভাঙে! ভুল করে একটা অফিসের ই-মেইল চেইনে আপনার একটি চমৎকার সেলফি ‘Reply All’ করে দিতে পারেন। ঘাবড়াবেন না, এটা আপনার ‘নেতৃত্বের ঝলক’। পার্টনারকে মনে রাখতে হবে—আপনাকে খুশি রাখার জন্য মাঝে মাঝে প্রশংসা করে যেতেই হবে, এমনকি যদি আপনি শুধু নিশ্বাস নিচ্ছেন তবুও।
কন্যা
আজ ভেতরের সমালোচক জেগে উঠেছে। পৃথিবীর সব জিনিসই আজ আপনার কাছে অগোছালো মনে হবে। জীবনসঙ্গীর পাঠানো মেসেজে ব্যাকরণের ভুল খুঁজে বের করবেন এবং মনে মনে সেটার শুদ্ধ বানান লিখে দেবেন। বসের একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টে একটি টাইপো খুঁজে পেয়ে যাবেন এবং এতে সারা দিনের শান্তি নষ্ট হয়ে যাবে। দ্বন্দ্বে ভুগবেন—বসকে বলে তাঁর ইগো ভাঙবেন, নাকি চুপ করে থেকে নিজের মনকে কষ্ট দেবেন? আপনার কাছে প্রেম হলো জুতো রাখার র্যাকটি সুন্দরভাবে গোছানো। পার্টনার আপনার শৃঙ্খলা দেখেই মুগ্ধ!
তুলা
সিদ্ধান্তহীনতা আজ আপনাকে কাবু করে ফেলবে। সামান্যতম দুটি জিনিসের মধ্যে একটি বেছে নিতে আপনার মনে হবে যেন জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা দিচ্ছেন। একটি জরুরি মিটিংয়ে আপনাকে দুটো অপশনের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হবে। সেই দুটি অপশনের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে এমন দার্শনিক আলোচনা শুরু করবেন যে, মিটিং শেষ হয়ে গেলেও উত্তর দেওয়া হবে না। পার্কে বসে থাকা দুটি পায়রার ঝগড়া মেটানোর চেষ্টা করতে পারেন, কারণ আপনার কাছে ভারসাম্যই আসল।
বৃশ্চিক
আজ চোখের গভীরতা দেখে সবাই হয়তো ভাববে আপনি কোনো জটিল প্লট সাজাচ্ছেন, কিন্তু সত্যিটা হলো—সকালে নাশতা করতে ভুলে গেছেন। আপনার রহস্যময় নীরবতা আজ অন্যদের মনে ভয়ের সঞ্চার করবে। আপনার তীব্র চাহনি দেখে একজন সহকর্মী স্বেচ্ছায় একটি অপ্রয়োজনীয় কাজের দায়িত্ব নিয়ে নিতে পারে। আপনি তাকে আটকাতে যাবেন না, বরং মনে মনে ভাববেন, ‘কাজটা তো হলো!’ ভালোবাসার মানুষকে গভীর অর্থপূর্ণ একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বুঝিয়ে দেবেন যে আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন। বেশি কথা বলার প্রয়োজন নেই।
ধনু
আজ আপনার উৎসাহে পৃথিবী টলমল। আকাশ-কুসুম স্বপ্ন দেখবেন এবং সেগুলো পূরণ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বেন—তবে বেশির ভাগই হয়তো দুপুরের ঘুমের পর আর মনে থাকবে না। বসকে এমন একটা প্রজেক্টের প্রতিশ্রুতি দেবেন যা শেষ করতে আপনার তিন মাস সময় লাগবে। নিজে আনন্দে আত্মহারা, কিন্তু পরে কীভাবে সেটা করবেন তা নিয়ে ভাববেন না। রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে একজন অচেনা লোকের সঙ্গে সামান্য আলাপচারিতায় ভেবে নিতে পারেন যে, ইনিই আপনার বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গী।
মকর
আজ আপনার ধ্যানজ্ঞান শুধু কাজ। আপনি ভাববেন, যারা কাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত, তারা আসলে সময় নষ্ট করছে। আপনার কাছে জীবনের আসল রোমাঞ্চ হলো ডেডলাইন পূরণ করা। ৪টার সময় কফি ব্রেক নেওয়া সহকর্মীদের দিকে এমনভাবে তাকাবেন যেন তারা দেশের শত্রু। আপনার কাজের প্রতি নিবেদন দেখে গ্রহরা নিজেরাই ছুটি নিয়ে নেবে। ভালোবাসার মানুষকে আজ একটি চমৎকার, নির্ভুল অবসরকালীন আর্থিক পরিকল্পনা উপহার দিয়ে প্রেমের প্রকাশ করবেন।
কুম্ভ
আপনার চিন্তাভাবনা আজ এতটাই মৌলিক হবে যে, পাশে বসে থাকা মানুষটি আপনাকে অন্য গ্রহের প্রাণী ভাবতে পারে। প্রথাগত সবকিছুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করবেন—হোক সেটা অফিসের পোশাকবিধি অথবা চা বানানোর নিয়ম। একটা এমন অদ্ভুত আইডিয়া পেশ করবেন যা শুনে সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাবে, কিন্তু আপনার আত্মবিশ্বাসের কারণে কেউ সাহস করে ‘না’ বলতে পারবে না। রোমান্টিকতা মানে আপনার কাছে হাত ধরে ঘোরা নয়, বরং মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে গভীর আলোচনা করা।
মীন
মন আজ মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়াবে। বাস্তব আর কল্পনার সীমারেখা আজ আপনার কাছে আবছা। হয়তো ট্রাফিক জ্যামে বসে কল্পনা করবেন যে, আপনি সমুদ্রের গভীরে একটি মারমেইড (জলকন্যা)। কাজের প্রশংসা করা হলে আপনি বাকি দিনটা ধরে ভাববেন, ওই প্রশংসার পেছনে কোনো লুকানো উদ্দেশ্য ছিল কি না। নিজেকে অতিরিক্ত চাপ দেবেন না! প্রিয় মানুষটির সঙ্গে কথা বলার সময় ভুলে যাবেন যে এটা বাস্তব, আর তাকে সিনেমার নায়ক/নায়িকার মতো ট্রিট করা শুরু করবেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার ধৈর্যের পারদ শূন্যের কাছাকাছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপ হাতে নেওয়ার আগেই অর্ধেক দিন পার করে ফেলার তাড়ায় থাকবেন। কোনো একটি মশা আপনার গতির প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গেও লেগে যেতে পারে ছোটখাটো সংঘর্ষ। বস আপনাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের ডেডলাইন দিলেন। ডেডলাইন পার হওয়ার আগেই কাজটা শেষ করে আরেকটা কাজ চেয়ে বসবেন। সহকর্মীরা আপনাকে দেখে ভয় পাবে—এত এনার্জি আসে কোথা থেকে? উত্তর: কাঁচা মরিচ আর ঘুমের অভাব! প্রেমিকা/প্রেমিক ধীরে কথা বললে বারবার রিকোয়েস্ট করবেন যেন তিনি একটু স্লো মোশনে কথা বলেন।
বৃষ
আজ সারাটা দিন আরাম আর আভিজাত্যের সন্ধানে থাকবেন। মনে হবে, এই জীবনটা তো উপভোগ করার জন্যই, তাই না? এই যুক্তিতে ভর করে অনলাইনে বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় কিন্তু সুন্দর জিনিস কিনে ফেলতে পারেন। সঞ্চয়? ওহ, সেটা তো কালকের কাজ! অফিসে এমন একটা আরামদায়ক চেয়ার বা কোণা খুঁজে পাবেন, যেখানে বসে থাকলে আপনার প্রোডাকটিভিটি কমে গেলেও, মন শান্তি পাবে। লাঞ্চের মেনু নিয়ে আজ আপনার গবেষণা আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের চেয়েও গভীর ও জটিল হবে। ভালোবাসার মানে আজ শুধু মনের বন্ধন নয়, প্রিয় চিপসের প্যাকেট ভাগ করে নেওয়া।
মিথুন
মাথায় আজ একসঙ্গে দশটা চিন্তা ঘুরপাক খাবে। একটা কাজে মন দিতে গিয়ে আরেকটা কাজের কথা মনে পড়বে, এবং তার মাঝেই একটা নতুন শার্টের ডিজাইন নিয়ে ভাবা শুরু করে দেবেন। এক কথায়, আজ একটা চলন্ত মাল্টিটাস্কিং জগাখিচুড়ি। বসের কাছে একটা আইডিয়া নিয়ে যাবেন, কিন্তু আলোচনা করতে করতে দেখবেন নিজেই সেই আইডিয়াটার বিপক্ষে যুক্তি দেওয়া শুরু করেছেন। সহকর্মী ভাববে, আপনার মধ্যে দুজন মানুষ বাস করে। ভুল করে মনের সবচেয়ে গভীর চিন্তাটা আপনার উবার/পাঠাও ড্রাইভারকে টেক্সট করে দিতে পারেন। তারপর সারা দিন ভাববেন, ‘ব্যাপারটা কী হলো?’
কর্কট
আজ অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকবেন। পাশের বাড়ির কুকুরছানার হাঁটা দেখে চোখে পানি আসতে পারে, অথবা কোনো পুরোনো স্মৃতি আবেগপ্রবণ করে তুলবে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা আজ আপনার জন্য একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। কেউ যদি আপনার বানানো চায়ের সমালোচনা করে, তবে আপনার মনে হতে পারে জীবনের সব ব্যর্থতা ওই চায়ের কাপেই লুকিয়ে আছে। কাজে মন দিতে না পারায় আজ নিজেকে অতিরিক্ত আদর-যত্ন দিতে হবে। প্রেমিক/প্রেমিকা যদি এক মিনিটের জন্য ফোন না ধরে, আপনি নিশ্চিত হয়ে যাবেন যে সে চাঁদে চলে গেছে।
সিংহ
আজ নিজেকে মঞ্চের কেন্দ্রে দেখতে চাইবেন। অফিসে ঢুকলেই মনে হবে সবার হাততালি দেওয়া উচিত, আর না দিলে নিজেই একটা মহৎ কাজের ফিরিস্তি দিয়ে দেবেন। আত্মবিশ্বাস আজ আকাশছোঁয়া—তবে সাবধানে, ছাদ যেন না ভাঙে! ভুল করে একটা অফিসের ই-মেইল চেইনে আপনার একটি চমৎকার সেলফি ‘Reply All’ করে দিতে পারেন। ঘাবড়াবেন না, এটা আপনার ‘নেতৃত্বের ঝলক’। পার্টনারকে মনে রাখতে হবে—আপনাকে খুশি রাখার জন্য মাঝে মাঝে প্রশংসা করে যেতেই হবে, এমনকি যদি আপনি শুধু নিশ্বাস নিচ্ছেন তবুও।
কন্যা
আজ ভেতরের সমালোচক জেগে উঠেছে। পৃথিবীর সব জিনিসই আজ আপনার কাছে অগোছালো মনে হবে। জীবনসঙ্গীর পাঠানো মেসেজে ব্যাকরণের ভুল খুঁজে বের করবেন এবং মনে মনে সেটার শুদ্ধ বানান লিখে দেবেন। বসের একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টে একটি টাইপো খুঁজে পেয়ে যাবেন এবং এতে সারা দিনের শান্তি নষ্ট হয়ে যাবে। দ্বন্দ্বে ভুগবেন—বসকে বলে তাঁর ইগো ভাঙবেন, নাকি চুপ করে থেকে নিজের মনকে কষ্ট দেবেন? আপনার কাছে প্রেম হলো জুতো রাখার র্যাকটি সুন্দরভাবে গোছানো। পার্টনার আপনার শৃঙ্খলা দেখেই মুগ্ধ!
তুলা
সিদ্ধান্তহীনতা আজ আপনাকে কাবু করে ফেলবে। সামান্যতম দুটি জিনিসের মধ্যে একটি বেছে নিতে আপনার মনে হবে যেন জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা দিচ্ছেন। একটি জরুরি মিটিংয়ে আপনাকে দুটো অপশনের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হবে। সেই দুটি অপশনের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে এমন দার্শনিক আলোচনা শুরু করবেন যে, মিটিং শেষ হয়ে গেলেও উত্তর দেওয়া হবে না। পার্কে বসে থাকা দুটি পায়রার ঝগড়া মেটানোর চেষ্টা করতে পারেন, কারণ আপনার কাছে ভারসাম্যই আসল।
বৃশ্চিক
আজ চোখের গভীরতা দেখে সবাই হয়তো ভাববে আপনি কোনো জটিল প্লট সাজাচ্ছেন, কিন্তু সত্যিটা হলো—সকালে নাশতা করতে ভুলে গেছেন। আপনার রহস্যময় নীরবতা আজ অন্যদের মনে ভয়ের সঞ্চার করবে। আপনার তীব্র চাহনি দেখে একজন সহকর্মী স্বেচ্ছায় একটি অপ্রয়োজনীয় কাজের দায়িত্ব নিয়ে নিতে পারে। আপনি তাকে আটকাতে যাবেন না, বরং মনে মনে ভাববেন, ‘কাজটা তো হলো!’ ভালোবাসার মানুষকে গভীর অর্থপূর্ণ একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বুঝিয়ে দেবেন যে আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন। বেশি কথা বলার প্রয়োজন নেই।
ধনু
আজ আপনার উৎসাহে পৃথিবী টলমল। আকাশ-কুসুম স্বপ্ন দেখবেন এবং সেগুলো পূরণ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বেন—তবে বেশির ভাগই হয়তো দুপুরের ঘুমের পর আর মনে থাকবে না। বসকে এমন একটা প্রজেক্টের প্রতিশ্রুতি দেবেন যা শেষ করতে আপনার তিন মাস সময় লাগবে। নিজে আনন্দে আত্মহারা, কিন্তু পরে কীভাবে সেটা করবেন তা নিয়ে ভাববেন না। রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে একজন অচেনা লোকের সঙ্গে সামান্য আলাপচারিতায় ভেবে নিতে পারেন যে, ইনিই আপনার বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গী।
মকর
আজ আপনার ধ্যানজ্ঞান শুধু কাজ। আপনি ভাববেন, যারা কাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত, তারা আসলে সময় নষ্ট করছে। আপনার কাছে জীবনের আসল রোমাঞ্চ হলো ডেডলাইন পূরণ করা। ৪টার সময় কফি ব্রেক নেওয়া সহকর্মীদের দিকে এমনভাবে তাকাবেন যেন তারা দেশের শত্রু। আপনার কাজের প্রতি নিবেদন দেখে গ্রহরা নিজেরাই ছুটি নিয়ে নেবে। ভালোবাসার মানুষকে আজ একটি চমৎকার, নির্ভুল অবসরকালীন আর্থিক পরিকল্পনা উপহার দিয়ে প্রেমের প্রকাশ করবেন।
কুম্ভ
আপনার চিন্তাভাবনা আজ এতটাই মৌলিক হবে যে, পাশে বসে থাকা মানুষটি আপনাকে অন্য গ্রহের প্রাণী ভাবতে পারে। প্রথাগত সবকিছুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করবেন—হোক সেটা অফিসের পোশাকবিধি অথবা চা বানানোর নিয়ম। একটা এমন অদ্ভুত আইডিয়া পেশ করবেন যা শুনে সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাবে, কিন্তু আপনার আত্মবিশ্বাসের কারণে কেউ সাহস করে ‘না’ বলতে পারবে না। রোমান্টিকতা মানে আপনার কাছে হাত ধরে ঘোরা নয়, বরং মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে গভীর আলোচনা করা।
মীন
মন আজ মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়াবে। বাস্তব আর কল্পনার সীমারেখা আজ আপনার কাছে আবছা। হয়তো ট্রাফিক জ্যামে বসে কল্পনা করবেন যে, আপনি সমুদ্রের গভীরে একটি মারমেইড (জলকন্যা)। কাজের প্রশংসা করা হলে আপনি বাকি দিনটা ধরে ভাববেন, ওই প্রশংসার পেছনে কোনো লুকানো উদ্দেশ্য ছিল কি না। নিজেকে অতিরিক্ত চাপ দেবেন না! প্রিয় মানুষটির সঙ্গে কথা বলার সময় ভুলে যাবেন যে এটা বাস্তব, আর তাকে সিনেমার নায়ক/নায়িকার মতো ট্রিট করা শুরু করবেন।

মেষ
আজ আপনার ধৈর্যের পারদ শূন্যের কাছাকাছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপ হাতে নেওয়ার আগেই অর্ধেক দিন পার করে ফেলার তাড়ায় থাকবেন। কোনো একটি মশা আপনার গতির প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গেও লেগে যেতে পারে ছোটখাটো সংঘর্ষ। বস আপনাকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের ডেডলাইন দিলেন। ডেডলাইন পার হওয়ার আগেই কাজটা শেষ করে আরেকটা কাজ চেয়ে বসবেন। সহকর্মীরা আপনাকে দেখে ভয় পাবে—এত এনার্জি আসে কোথা থেকে? উত্তর: কাঁচা মরিচ আর ঘুমের অভাব! প্রেমিকা/প্রেমিক ধীরে কথা বললে বারবার রিকোয়েস্ট করবেন যেন তিনি একটু স্লো মোশনে কথা বলেন।
বৃষ
আজ সারাটা দিন আরাম আর আভিজাত্যের সন্ধানে থাকবেন। মনে হবে, এই জীবনটা তো উপভোগ করার জন্যই, তাই না? এই যুক্তিতে ভর করে অনলাইনে বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় কিন্তু সুন্দর জিনিস কিনে ফেলতে পারেন। সঞ্চয়? ওহ, সেটা তো কালকের কাজ! অফিসে এমন একটা আরামদায়ক চেয়ার বা কোণা খুঁজে পাবেন, যেখানে বসে থাকলে আপনার প্রোডাকটিভিটি কমে গেলেও, মন শান্তি পাবে। লাঞ্চের মেনু নিয়ে আজ আপনার গবেষণা আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের চেয়েও গভীর ও জটিল হবে। ভালোবাসার মানে আজ শুধু মনের বন্ধন নয়, প্রিয় চিপসের প্যাকেট ভাগ করে নেওয়া।
মিথুন
মাথায় আজ একসঙ্গে দশটা চিন্তা ঘুরপাক খাবে। একটা কাজে মন দিতে গিয়ে আরেকটা কাজের কথা মনে পড়বে, এবং তার মাঝেই একটা নতুন শার্টের ডিজাইন নিয়ে ভাবা শুরু করে দেবেন। এক কথায়, আজ একটা চলন্ত মাল্টিটাস্কিং জগাখিচুড়ি। বসের কাছে একটা আইডিয়া নিয়ে যাবেন, কিন্তু আলোচনা করতে করতে দেখবেন নিজেই সেই আইডিয়াটার বিপক্ষে যুক্তি দেওয়া শুরু করেছেন। সহকর্মী ভাববে, আপনার মধ্যে দুজন মানুষ বাস করে। ভুল করে মনের সবচেয়ে গভীর চিন্তাটা আপনার উবার/পাঠাও ড্রাইভারকে টেক্সট করে দিতে পারেন। তারপর সারা দিন ভাববেন, ‘ব্যাপারটা কী হলো?’
কর্কট
আজ অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকবেন। পাশের বাড়ির কুকুরছানার হাঁটা দেখে চোখে পানি আসতে পারে, অথবা কোনো পুরোনো স্মৃতি আবেগপ্রবণ করে তুলবে। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা আজ আপনার জন্য একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। কেউ যদি আপনার বানানো চায়ের সমালোচনা করে, তবে আপনার মনে হতে পারে জীবনের সব ব্যর্থতা ওই চায়ের কাপেই লুকিয়ে আছে। কাজে মন দিতে না পারায় আজ নিজেকে অতিরিক্ত আদর-যত্ন দিতে হবে। প্রেমিক/প্রেমিকা যদি এক মিনিটের জন্য ফোন না ধরে, আপনি নিশ্চিত হয়ে যাবেন যে সে চাঁদে চলে গেছে।
সিংহ
আজ নিজেকে মঞ্চের কেন্দ্রে দেখতে চাইবেন। অফিসে ঢুকলেই মনে হবে সবার হাততালি দেওয়া উচিত, আর না দিলে নিজেই একটা মহৎ কাজের ফিরিস্তি দিয়ে দেবেন। আত্মবিশ্বাস আজ আকাশছোঁয়া—তবে সাবধানে, ছাদ যেন না ভাঙে! ভুল করে একটা অফিসের ই-মেইল চেইনে আপনার একটি চমৎকার সেলফি ‘Reply All’ করে দিতে পারেন। ঘাবড়াবেন না, এটা আপনার ‘নেতৃত্বের ঝলক’। পার্টনারকে মনে রাখতে হবে—আপনাকে খুশি রাখার জন্য মাঝে মাঝে প্রশংসা করে যেতেই হবে, এমনকি যদি আপনি শুধু নিশ্বাস নিচ্ছেন তবুও।
কন্যা
আজ ভেতরের সমালোচক জেগে উঠেছে। পৃথিবীর সব জিনিসই আজ আপনার কাছে অগোছালো মনে হবে। জীবনসঙ্গীর পাঠানো মেসেজে ব্যাকরণের ভুল খুঁজে বের করবেন এবং মনে মনে সেটার শুদ্ধ বানান লিখে দেবেন। বসের একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টে একটি টাইপো খুঁজে পেয়ে যাবেন এবং এতে সারা দিনের শান্তি নষ্ট হয়ে যাবে। দ্বন্দ্বে ভুগবেন—বসকে বলে তাঁর ইগো ভাঙবেন, নাকি চুপ করে থেকে নিজের মনকে কষ্ট দেবেন? আপনার কাছে প্রেম হলো জুতো রাখার র্যাকটি সুন্দরভাবে গোছানো। পার্টনার আপনার শৃঙ্খলা দেখেই মুগ্ধ!
তুলা
সিদ্ধান্তহীনতা আজ আপনাকে কাবু করে ফেলবে। সামান্যতম দুটি জিনিসের মধ্যে একটি বেছে নিতে আপনার মনে হবে যেন জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা দিচ্ছেন। একটি জরুরি মিটিংয়ে আপনাকে দুটো অপশনের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হবে। সেই দুটি অপশনের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে এমন দার্শনিক আলোচনা শুরু করবেন যে, মিটিং শেষ হয়ে গেলেও উত্তর দেওয়া হবে না। পার্কে বসে থাকা দুটি পায়রার ঝগড়া মেটানোর চেষ্টা করতে পারেন, কারণ আপনার কাছে ভারসাম্যই আসল।
বৃশ্চিক
আজ চোখের গভীরতা দেখে সবাই হয়তো ভাববে আপনি কোনো জটিল প্লট সাজাচ্ছেন, কিন্তু সত্যিটা হলো—সকালে নাশতা করতে ভুলে গেছেন। আপনার রহস্যময় নীরবতা আজ অন্যদের মনে ভয়ের সঞ্চার করবে। আপনার তীব্র চাহনি দেখে একজন সহকর্মী স্বেচ্ছায় একটি অপ্রয়োজনীয় কাজের দায়িত্ব নিয়ে নিতে পারে। আপনি তাকে আটকাতে যাবেন না, বরং মনে মনে ভাববেন, ‘কাজটা তো হলো!’ ভালোবাসার মানুষকে গভীর অর্থপূর্ণ একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বুঝিয়ে দেবেন যে আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন। বেশি কথা বলার প্রয়োজন নেই।
ধনু
আজ আপনার উৎসাহে পৃথিবী টলমল। আকাশ-কুসুম স্বপ্ন দেখবেন এবং সেগুলো পূরণ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বেন—তবে বেশির ভাগই হয়তো দুপুরের ঘুমের পর আর মনে থাকবে না। বসকে এমন একটা প্রজেক্টের প্রতিশ্রুতি দেবেন যা শেষ করতে আপনার তিন মাস সময় লাগবে। নিজে আনন্দে আত্মহারা, কিন্তু পরে কীভাবে সেটা করবেন তা নিয়ে ভাববেন না। রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে একজন অচেনা লোকের সঙ্গে সামান্য আলাপচারিতায় ভেবে নিতে পারেন যে, ইনিই আপনার বিদেশ ভ্রমণের সঙ্গী।
মকর
আজ আপনার ধ্যানজ্ঞান শুধু কাজ। আপনি ভাববেন, যারা কাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত, তারা আসলে সময় নষ্ট করছে। আপনার কাছে জীবনের আসল রোমাঞ্চ হলো ডেডলাইন পূরণ করা। ৪টার সময় কফি ব্রেক নেওয়া সহকর্মীদের দিকে এমনভাবে তাকাবেন যেন তারা দেশের শত্রু। আপনার কাজের প্রতি নিবেদন দেখে গ্রহরা নিজেরাই ছুটি নিয়ে নেবে। ভালোবাসার মানুষকে আজ একটি চমৎকার, নির্ভুল অবসরকালীন আর্থিক পরিকল্পনা উপহার দিয়ে প্রেমের প্রকাশ করবেন।
কুম্ভ
আপনার চিন্তাভাবনা আজ এতটাই মৌলিক হবে যে, পাশে বসে থাকা মানুষটি আপনাকে অন্য গ্রহের প্রাণী ভাবতে পারে। প্রথাগত সবকিছুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করবেন—হোক সেটা অফিসের পোশাকবিধি অথবা চা বানানোর নিয়ম। একটা এমন অদ্ভুত আইডিয়া পেশ করবেন যা শুনে সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাবে, কিন্তু আপনার আত্মবিশ্বাসের কারণে কেউ সাহস করে ‘না’ বলতে পারবে না। রোমান্টিকতা মানে আপনার কাছে হাত ধরে ঘোরা নয়, বরং মহাবিশ্বের উৎপত্তি নিয়ে গভীর আলোচনা করা।
মীন
মন আজ মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়াবে। বাস্তব আর কল্পনার সীমারেখা আজ আপনার কাছে আবছা। হয়তো ট্রাফিক জ্যামে বসে কল্পনা করবেন যে, আপনি সমুদ্রের গভীরে একটি মারমেইড (জলকন্যা)। কাজের প্রশংসা করা হলে আপনি বাকি দিনটা ধরে ভাববেন, ওই প্রশংসার পেছনে কোনো লুকানো উদ্দেশ্য ছিল কি না। নিজেকে অতিরিক্ত চাপ দেবেন না! প্রিয় মানুষটির সঙ্গে কথা বলার সময় ভুলে যাবেন যে এটা বাস্তব, আর তাকে সিনেমার নায়ক/নায়িকার মতো ট্রিট করা শুরু করবেন।
বিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক। জেনে নিন, কোন দেশে কোন কারণে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন।...
১৪ মিনিট আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট...
২০ ঘণ্টা আগে
একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ।
২০ ঘণ্টা আগে
শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
বিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক।
স্পেনে রাতের বেলা সাগরে নামা নিষিদ্ধ
স্পেনের জনপ্রিয় সৈকত শহর বেনিডর্মে রাত ১২টা থেকে ভোর ৭টা পর্যন্ত সমুদ্রে নামা নিষিদ্ধ। নিয়ম ভাঙলে ৮৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা। বিচে রাত কাটানো বা ক্যাম্পিং করলেও একই পরিমাণ জরিমানা ধার্য করা হয়। সেভিয়াতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিয়ের আগের উচ্ছৃঙ্খল পার্টি করা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন আরও কঠোর হয়েছে। পর্যটকের আচরণে যদি স্থানীয়রা বিরক্ত হয় বা পরিবেশ নষ্ট হয়, সে ক্ষেত্রে জরিমানা করা হয়। অনেকে নিয়ম ভাঙার পর এসব বিধিনিষেধ সম্পর্কে জানতে পারে।
থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে ই-সিগারেট নিষেধ
থাইল্যান্ডে ই-সিগারেট রাখা, বহন করা বা ব্যবহার করা আইনত নিষিদ্ধ। শাস্তির ধরনও বেশ কঠোর। আমদানি বা বিতরণের ক্ষেত্রে ৫ লাখ বাথ পর্যন্ত জরিমানা এবং ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। পর্যটকেরা ব্যক্তিগতভাবে ভ্যাপ ব্যবহার করলেও ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার বাথ পর্যন্ত জরিমানা, ডিভাইস জব্দ, এমনকি দেশে ফেরত পাঠানো পর্যন্ত হতে পারে। এ বছরের শুরুর দিকে পরিচালিত অভিযানে এ কারণে এক সপ্তাহে ৬৯০ জনকে আটক করা হয়েছিল।
এ ছাড়া যে ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন, তিনি জরিমানার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পুরস্কার হিসেবে পান। ফলে ব্যক্তিগত জায়গাতেও ভ্যাপ ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। সিঙ্গাপুরেও ই-সিগারেট আমদানি, বিক্রি ও ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। প্রথমবার ধরা পড়লে ৫০০ থেকে ৭০০ সিঙ্গাপুর ডলার পর্যন্ত জরিমানা এবং বিশেষ ক্ষেত্রে কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
ইতালিতে পরিবেশ সুরক্ষায় কঠোর নিয়ম
সারডিনিয়ার বিখ্যাত গোলাপি পানির সৈকত স্পিয়াজ্জা রোসা থেকে বালু নেওয়া নিষিদ্ধ। নিয়ম ভাঙলে ৪ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। সৈকতটি নব্বইয়ের দশক থেকে বন্ধ। পোর্টোফিনো গ্রামে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে জনপ্রিয় ফটোস্পটে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া বা ভিড় তৈরি করায় প্রায় ৩০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে জনপ্রিয় জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হওয়ায় প্রশাসন এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।

জাপানে বাধ্যতামূলক ভ্রমণ বিমা
জাপানে মেডিকেল বিল বকেয়া রাখার ঘটনার পর সরকার সব বিদেশি পর্যটকের জন্য ব্যক্তিগত ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১১ হাজারের বেশি পর্যটক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ জন বিল পরিশোধ না করেই চলে গেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিমা ছাড়া কেউ দেশটিতে প্রবেশ করলে জটিলতায় পড়তে পারে। জাপান ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৬০ মিলিয়ন পর্যটক টার্গেট করেছে, তাই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এটি।
পর্তুগালের সমুদ্রসৈকতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ
পর্তুগালের সৈকতে উচ্চ শব্দে গান বাজানো নিষিদ্ধ। দেশটির ন্যাশনাল মেরিটাইম অথরিটি পোর্টেবল স্পিকার ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ নিয়ম ভাঙলে ২০০ থেকে ৩৯ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হবে। সৈকতে পার্টি বেড়ে যাওয়া এবং বড় স্পিকারের উচ্চ শব্দে অন্যান্য পর্যটক ও স্থানীয়দের বিরক্তির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্তুগালে সবার শান্তিপূর্ণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে কঠোর নিয়ম অনুসরণ করা হয়।
নিউজিল্যান্ডের ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমতি
২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করতে ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমতি (নিউজিল্যান্ড ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরিটি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভিসা অব্যাহতি পাওয়া দেশগুলোর নাগরিকেরাও এর বাইরে নয়। ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমোদন পেতে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত লাগতে পারে। তাই বিমানবন্দরে যাওয়ার আগেই এটি করে রাখা জরুরি। শুধু প্রবেশ নয়, ট্রানজিট যাত্রীরাও এই অনুমতি ছাড়া নিউজিল্যান্ডের আকাশপথ ব্যবহার করতে পারে না। এ ছাড়া যেকোনো নিষিদ্ধ পণ্য বা খাবার আগে থেকে ফরমে উল্লেখ না করলে কাস্টমস তা বাজেয়াপ্ত করতে পারে বা জরিমানা দিতে হয়।
অনেক সময় খুব সাধারণ আচরণ বা অভ্যাস বিদেশে গুরুতর অপরাধে পরিণত হতে পারে। প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইন, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ সুরক্ষা নির্দেশনা আছে। ভ্রমণের আগে গন্তব্যস্থলের নিয়মগুলো জেনে নিলে বিপদ বা অযথা খরচ এবং ভ্রমণের আনন্দ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

বিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক।
স্পেনে রাতের বেলা সাগরে নামা নিষিদ্ধ
স্পেনের জনপ্রিয় সৈকত শহর বেনিডর্মে রাত ১২টা থেকে ভোর ৭টা পর্যন্ত সমুদ্রে নামা নিষিদ্ধ। নিয়ম ভাঙলে ৮৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা। বিচে রাত কাটানো বা ক্যাম্পিং করলেও একই পরিমাণ জরিমানা ধার্য করা হয়। সেভিয়াতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিয়ের আগের উচ্ছৃঙ্খল পার্টি করা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন আরও কঠোর হয়েছে। পর্যটকের আচরণে যদি স্থানীয়রা বিরক্ত হয় বা পরিবেশ নষ্ট হয়, সে ক্ষেত্রে জরিমানা করা হয়। অনেকে নিয়ম ভাঙার পর এসব বিধিনিষেধ সম্পর্কে জানতে পারে।
থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে ই-সিগারেট নিষেধ
থাইল্যান্ডে ই-সিগারেট রাখা, বহন করা বা ব্যবহার করা আইনত নিষিদ্ধ। শাস্তির ধরনও বেশ কঠোর। আমদানি বা বিতরণের ক্ষেত্রে ৫ লাখ বাথ পর্যন্ত জরিমানা এবং ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। পর্যটকেরা ব্যক্তিগতভাবে ভ্যাপ ব্যবহার করলেও ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার বাথ পর্যন্ত জরিমানা, ডিভাইস জব্দ, এমনকি দেশে ফেরত পাঠানো পর্যন্ত হতে পারে। এ বছরের শুরুর দিকে পরিচালিত অভিযানে এ কারণে এক সপ্তাহে ৬৯০ জনকে আটক করা হয়েছিল।
এ ছাড়া যে ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন, তিনি জরিমানার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পুরস্কার হিসেবে পান। ফলে ব্যক্তিগত জায়গাতেও ভ্যাপ ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। সিঙ্গাপুরেও ই-সিগারেট আমদানি, বিক্রি ও ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। প্রথমবার ধরা পড়লে ৫০০ থেকে ৭০০ সিঙ্গাপুর ডলার পর্যন্ত জরিমানা এবং বিশেষ ক্ষেত্রে কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
ইতালিতে পরিবেশ সুরক্ষায় কঠোর নিয়ম
সারডিনিয়ার বিখ্যাত গোলাপি পানির সৈকত স্পিয়াজ্জা রোসা থেকে বালু নেওয়া নিষিদ্ধ। নিয়ম ভাঙলে ৪ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। সৈকতটি নব্বইয়ের দশক থেকে বন্ধ। পোর্টোফিনো গ্রামে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে জনপ্রিয় ফটোস্পটে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া বা ভিড় তৈরি করায় প্রায় ৩০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে জনপ্রিয় জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হওয়ায় প্রশাসন এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।

জাপানে বাধ্যতামূলক ভ্রমণ বিমা
জাপানে মেডিকেল বিল বকেয়া রাখার ঘটনার পর সরকার সব বিদেশি পর্যটকের জন্য ব্যক্তিগত ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১১ হাজারের বেশি পর্যটক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ জন বিল পরিশোধ না করেই চলে গেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিমা ছাড়া কেউ দেশটিতে প্রবেশ করলে জটিলতায় পড়তে পারে। জাপান ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৬০ মিলিয়ন পর্যটক টার্গেট করেছে, তাই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এটি।
পর্তুগালের সমুদ্রসৈকতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ
পর্তুগালের সৈকতে উচ্চ শব্দে গান বাজানো নিষিদ্ধ। দেশটির ন্যাশনাল মেরিটাইম অথরিটি পোর্টেবল স্পিকার ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ নিয়ম ভাঙলে ২০০ থেকে ৩৯ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হবে। সৈকতে পার্টি বেড়ে যাওয়া এবং বড় স্পিকারের উচ্চ শব্দে অন্যান্য পর্যটক ও স্থানীয়দের বিরক্তির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্তুগালে সবার শান্তিপূর্ণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে কঠোর নিয়ম অনুসরণ করা হয়।
নিউজিল্যান্ডের ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমতি
২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করতে ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমতি (নিউজিল্যান্ড ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরিটি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভিসা অব্যাহতি পাওয়া দেশগুলোর নাগরিকেরাও এর বাইরে নয়। ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমোদন পেতে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত লাগতে পারে। তাই বিমানবন্দরে যাওয়ার আগেই এটি করে রাখা জরুরি। শুধু প্রবেশ নয়, ট্রানজিট যাত্রীরাও এই অনুমতি ছাড়া নিউজিল্যান্ডের আকাশপথ ব্যবহার করতে পারে না। এ ছাড়া যেকোনো নিষিদ্ধ পণ্য বা খাবার আগে থেকে ফরমে উল্লেখ না করলে কাস্টমস তা বাজেয়াপ্ত করতে পারে বা জরিমানা দিতে হয়।
অনেক সময় খুব সাধারণ আচরণ বা অভ্যাস বিদেশে গুরুতর অপরাধে পরিণত হতে পারে। প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইন, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ সুরক্ষা নির্দেশনা আছে। ভ্রমণের আগে গন্তব্যস্থলের নিয়মগুলো জেনে নিলে বিপদ বা অযথা খরচ এবং ভ্রমণের আনন্দ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

আজ আপনার ধৈর্যের পারদ শূন্যের কাছাকাছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপ হাতে নেওয়ার আগেই অর্ধেক দিন পার করে ফেলার তাড়ায় থাকবেন। কোনো একটি মশা আপনার গতির প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গেও লেগে যেতে পারে ছোটখাটো সংঘর্ষ।
১৬ দিন আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট...
২০ ঘণ্টা আগে
একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ।
২০ ঘণ্টা আগে
শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট হয়ে যায়।
অপ্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজ নিয়ে যাওয়া
অনেক অতিথি নিজের ব্যবহার্য শ্যাম্পু, বডিওয়াশ, সাবান বা লোশন সঙ্গে নিয়ে যান এই ভেবে যে তাঁদেরগুলোই সবচেয়ে ভালো হবে। কিন্তু জোয়ি জানিয়েছেন, এটি পাঁচ তারা হোটেলের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঝামেলা ছাড়া আর কিছু নয়। বেশির ভাগ বিলাসবহুল হোটেল বাথরুমে আন্তর্জাতিক মানের দামি টয়লেট্রিজ রাখে, যা অতিথিরা সাধারণত নিজেরা কিনতে চান না। তাই অতিথিরা যদি নিজের বোতলগুলো না এনে হোটেলের সুবিধা উপভোগ করেন, তাহলে বহনের ঝুঁকি কমবে এবং অভিজ্ঞতাও আরও উন্নত হবে।
হোটেলে লন্ড্রি করানো
বিলাসবহুল হোটেলের লন্ড্রি-সেবা বাড়তি সুবিধা। এর খরচ অনেক বেশি। জোয়ির অভিজ্ঞতায়, পাঁচ তারা হোটেলে ১৪টি জামাকাপড় ধোয়ার জন্য তাঁকে ১১৫ ডলার গুনতে হয়েছিল। সেবার মান ভালো ছিল, কিন্তু খরচ অনেক বেশি। তিনি বলেন, শুধু জরুরি পরিস্থিতিতে লন্ড্রি করানো উচিত। না হলে সেই টাকায় নতুন পোশাক কেনা যায়। ভ্রমণের সময় এমন পোশাক বেছে নিন, যেগুলোতে লন্ড্রি সার্ভিস ব্যবহার করতে হবে না।
শুধু রুম সার্ভিসে সীমাবদ্ধ থাকা
অনেক অতিথি মনে করেন, রুমে বসে নিরিবিলি খাবার খেতে হবে। কিন্তু এতে পাঁচ তারা হোটেলের নিজস্ব রেস্তোরাঁর অভিজ্ঞতা নেওয়া বাদ থেকে যায়। প্রায় সব পাঁচ তারা হোটেল তাদের রেস্তোরাঁয় বিশেষ শেফ, আলাদা কনসেপ্ট, আর্কিটেকচার এবং আলোকসজ্জা রাখে। জোয়ি স্বীকার করেন, তিনি নিজেও অতীতে এই ভুল করেছেন। পরে তিনি রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার অভিজ্ঞতা বাদ যাওয়ায় আফসোস করেছেন। তিনি মনে করেন, অন্তত এক বেলার খাবার রেস্তোরাঁয় খেলে পুরো হোটেলের ভাবগাম্ভীর্য ভালোভাবে অনুভব করা যায়।
সাঁতারের পোশাক না নেওয়া
অনেকে মনে করেন, শীত বা শরৎকালে সাঁতারের পোশাক নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু জোয়ি জানান, এটি বড় ভুল হতে পারে। বেশির ভাগ বিলাসবহুল হোটেলে গরম পানির ইনডোর বা আউটডোর সুইমিংপুল থাকে। একটি হোটেলে তিনি গরম পানির সুন্দর পুল দেখেও নামতে পারেননি সুইম স্যুট না থাকায়। তাঁর মতে, ব্যাগে একটি সাঁতারের পোশাক রাখা ভালো সিদ্ধান্ত।
টার্নডাউন সার্ভিস ফিরিয়ে দেওয়া
টার্নডাউন সার্ভিসকে অনেকে অপ্রয়োজনীয় ভাবেন। কিন্তু জোয়ির অভিজ্ঞতা বলছে, এটি আসলে পাঁচ তারা অভিজ্ঞতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সন্ধ্যার দিকে স্টাফরা এসে ঘরটিকে আরামদায়ক করে সাজিয়ে দেন। বিছানা ঠিক করেন, আলোর মাত্রা কমিয়ে দেন এবং ছোটখাটো উপহার রাখেন। তিনি মিলানের এক হোটেলে প্রথমবার এই সেবার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। এরপর থেকে আর কখনো এই সেবা পেতে মিস করেননি। কারণ, এটি পাঁচ তারা হোটেলে থাকার পুরো অভিজ্ঞতাকে অনেক বেশি আরামদায়ক করে তোলে।
মাত্র এক রাতের জন্য বুকিং করা
অনেকে ভাবেন, এক রাতেই বিলাসবহুল হোটেলের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। কিন্তু জোয়ি বলছেন, এটি বাস্তবে সম্ভব নয়। সাধারণত চেক-ইন বিকেল চারটায় এবং পরদিন চেক-আউট বেলা ১১টায় হওয়ায় সময় থাকে খুব কম। স্পা, জিম, সুইমিংপুল, স্কাইবার, রেস্তোরাঁ, ফিটনেস ক্লাস বা বিশেষ কর্মকাণ্ডগুলো উপভোগ করার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না এক দিনের বুকিংয়ে। তিনি মনে করেন, পাঁচ তারা অভিজ্ঞতা পেতে হলে অন্তত দুই রাত থাকা উচিত।
জোয়ি হাডেনের মতে, পাঁচ তারা হোটেল মানে শুধু দামি রুম বা বড় বিছানা নয়। এটি আপনার স্মরণীয় এক অভিজ্ঞতা হতে পারে। কিন্তু ছোট ছোট ভুলের কারণে সেই অভিজ্ঞতা আপনি না-ও পেতে পারেন। তাই যাত্রার আগে পরিকল্পনা করা, অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে চলা, হোটেলের সেবাগুলো বুঝে ব্যবহার করা এবং একটু সময় নিয়ে চারপাশ উপভোগ করলে যেকোনো ভ্রমণ আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট হয়ে যায়।
অপ্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজ নিয়ে যাওয়া
অনেক অতিথি নিজের ব্যবহার্য শ্যাম্পু, বডিওয়াশ, সাবান বা লোশন সঙ্গে নিয়ে যান এই ভেবে যে তাঁদেরগুলোই সবচেয়ে ভালো হবে। কিন্তু জোয়ি জানিয়েছেন, এটি পাঁচ তারা হোটেলের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঝামেলা ছাড়া আর কিছু নয়। বেশির ভাগ বিলাসবহুল হোটেল বাথরুমে আন্তর্জাতিক মানের দামি টয়লেট্রিজ রাখে, যা অতিথিরা সাধারণত নিজেরা কিনতে চান না। তাই অতিথিরা যদি নিজের বোতলগুলো না এনে হোটেলের সুবিধা উপভোগ করেন, তাহলে বহনের ঝুঁকি কমবে এবং অভিজ্ঞতাও আরও উন্নত হবে।
হোটেলে লন্ড্রি করানো
বিলাসবহুল হোটেলের লন্ড্রি-সেবা বাড়তি সুবিধা। এর খরচ অনেক বেশি। জোয়ির অভিজ্ঞতায়, পাঁচ তারা হোটেলে ১৪টি জামাকাপড় ধোয়ার জন্য তাঁকে ১১৫ ডলার গুনতে হয়েছিল। সেবার মান ভালো ছিল, কিন্তু খরচ অনেক বেশি। তিনি বলেন, শুধু জরুরি পরিস্থিতিতে লন্ড্রি করানো উচিত। না হলে সেই টাকায় নতুন পোশাক কেনা যায়। ভ্রমণের সময় এমন পোশাক বেছে নিন, যেগুলোতে লন্ড্রি সার্ভিস ব্যবহার করতে হবে না।
শুধু রুম সার্ভিসে সীমাবদ্ধ থাকা
অনেক অতিথি মনে করেন, রুমে বসে নিরিবিলি খাবার খেতে হবে। কিন্তু এতে পাঁচ তারা হোটেলের নিজস্ব রেস্তোরাঁর অভিজ্ঞতা নেওয়া বাদ থেকে যায়। প্রায় সব পাঁচ তারা হোটেল তাদের রেস্তোরাঁয় বিশেষ শেফ, আলাদা কনসেপ্ট, আর্কিটেকচার এবং আলোকসজ্জা রাখে। জোয়ি স্বীকার করেন, তিনি নিজেও অতীতে এই ভুল করেছেন। পরে তিনি রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার অভিজ্ঞতা বাদ যাওয়ায় আফসোস করেছেন। তিনি মনে করেন, অন্তত এক বেলার খাবার রেস্তোরাঁয় খেলে পুরো হোটেলের ভাবগাম্ভীর্য ভালোভাবে অনুভব করা যায়।
সাঁতারের পোশাক না নেওয়া
অনেকে মনে করেন, শীত বা শরৎকালে সাঁতারের পোশাক নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু জোয়ি জানান, এটি বড় ভুল হতে পারে। বেশির ভাগ বিলাসবহুল হোটেলে গরম পানির ইনডোর বা আউটডোর সুইমিংপুল থাকে। একটি হোটেলে তিনি গরম পানির সুন্দর পুল দেখেও নামতে পারেননি সুইম স্যুট না থাকায়। তাঁর মতে, ব্যাগে একটি সাঁতারের পোশাক রাখা ভালো সিদ্ধান্ত।
টার্নডাউন সার্ভিস ফিরিয়ে দেওয়া
টার্নডাউন সার্ভিসকে অনেকে অপ্রয়োজনীয় ভাবেন। কিন্তু জোয়ির অভিজ্ঞতা বলছে, এটি আসলে পাঁচ তারা অভিজ্ঞতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সন্ধ্যার দিকে স্টাফরা এসে ঘরটিকে আরামদায়ক করে সাজিয়ে দেন। বিছানা ঠিক করেন, আলোর মাত্রা কমিয়ে দেন এবং ছোটখাটো উপহার রাখেন। তিনি মিলানের এক হোটেলে প্রথমবার এই সেবার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। এরপর থেকে আর কখনো এই সেবা পেতে মিস করেননি। কারণ, এটি পাঁচ তারা হোটেলে থাকার পুরো অভিজ্ঞতাকে অনেক বেশি আরামদায়ক করে তোলে।
মাত্র এক রাতের জন্য বুকিং করা
অনেকে ভাবেন, এক রাতেই বিলাসবহুল হোটেলের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। কিন্তু জোয়ি বলছেন, এটি বাস্তবে সম্ভব নয়। সাধারণত চেক-ইন বিকেল চারটায় এবং পরদিন চেক-আউট বেলা ১১টায় হওয়ায় সময় থাকে খুব কম। স্পা, জিম, সুইমিংপুল, স্কাইবার, রেস্তোরাঁ, ফিটনেস ক্লাস বা বিশেষ কর্মকাণ্ডগুলো উপভোগ করার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না এক দিনের বুকিংয়ে। তিনি মনে করেন, পাঁচ তারা অভিজ্ঞতা পেতে হলে অন্তত দুই রাত থাকা উচিত।
জোয়ি হাডেনের মতে, পাঁচ তারা হোটেল মানে শুধু দামি রুম বা বড় বিছানা নয়। এটি আপনার স্মরণীয় এক অভিজ্ঞতা হতে পারে। কিন্তু ছোট ছোট ভুলের কারণে সেই অভিজ্ঞতা আপনি না-ও পেতে পারেন। তাই যাত্রার আগে পরিকল্পনা করা, অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে চলা, হোটেলের সেবাগুলো বুঝে ব্যবহার করা এবং একটু সময় নিয়ে চারপাশ উপভোগ করলে যেকোনো ভ্রমণ আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

আজ আপনার ধৈর্যের পারদ শূন্যের কাছাকাছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপ হাতে নেওয়ার আগেই অর্ধেক দিন পার করে ফেলার তাড়ায় থাকবেন। কোনো একটি মশা আপনার গতির প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গেও লেগে যেতে পারে ছোটখাটো সংঘর্ষ।
১৬ দিন আগেবিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক। জেনে নিন, কোন দেশে কোন কারণে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন।...
১৪ মিনিট আগে
একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ।
২০ ঘণ্টা আগে
শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ। বিলাসবহুল ওভারওয়াটার ভিলা এবং সি-প্লেনের কোলাহল ছেড়ে এখন দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় সংস্কৃতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ছোঁয়া পাচ্ছেন সাধারণ ভ্রমণকারীরা।
বিবিসি ট্রাভেল শো-এর জন্য ১২ বছর আগে এই দ্বীপরাষ্ট্র ভ্রমণের সময় যে মালদ্বীপ দেখানো হয়েছিল, তা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিন্তু বর্তমানে ছবিটা বদলেছে—বিলাসবহুল লাগেজের বদলে এখন পাবলিক বোট থেকে ব্যাকপ্যাক নিয়ে নামছেন সাধারণ পরিবারের সদস্যরা। এটিই মালদ্বীপের নতুন দিক। এই প্রবণতা দ্বীপটিতে ভ্রমণ আরও সাশ্রয়ী করে তুলেছে।
গত এক দশকে মালদ্বীপের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপগুলোতে এক ‘নীরব বিপ্লব’ ঘটেছে। সরকারের সংস্কারের ফলে এখন মালদ্বীপের স্থানীয়রা জনবসতিপূর্ণ দ্বীপগুলোতে গেস্টহাউস খোলার অনুমতি পেয়েছেন। আগে শুধু জনবসতিহীন রিসোর্ট এলাকাতেই পর্যটন সীমাবদ্ধ ছিল।
মালদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই সংস্কারের ফলস্বরূপ ৯০টিরও বেশি স্থানীয় দ্বীপে ১ হাজার ২০০টিরও বেশি গেস্টহাউস চালু হয়েছে। এর ফলে ভ্রমণকারীরা প্রথমবারের মতো দেশটির প্রাত্যহিক সংস্কৃতি উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন এবং স্থানীয় পরিবারগুলো সরাসরি পর্যটন শিল্প থেকে আয় করছে। এটিই এখন পরিবারগুলোর অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
থোদ্দু দ্বীপ, মালদ্বীপের ‘কৃষি দ্বীপ’ নামে পরিচিত। উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এই দ্বীপে পা রাখতেই তরমুজ ও লবণের মৃদু গন্ধ নাকে আসে। এখানে সমুদ্রবিমানের গমগম আওয়াজের বদলে শোনা যায় মোটরসাইকেলের ক্ষীণ শব্দ। রাজধানী মালের বিলাসবহুল রিসোর্ট জীবনের তুলনায় থোদ্দুর পরিবেশ শান্ত ও নিরিবিলি।
মালে থেকে পাবলিক স্পিডবোটে যেতে সময় লাগে ৯০ মিনিট, যার খরচ বিলাসবহুল রিসোর্ট সি-প্লেনের খরচের তুলনায় অনেক কম। দ্বীপে কোনো গাড়ি নেই, কেবল সাইকেল এবং মাঝে মাঝে ইলেকট্রিক বাগি (অটোরিকশার মতো) দেখা যায়। নারিকেল গাছের সারির মাঝে এখানে পেঁপে ও তরমুজের খেত বিস্তৃত। ফিরোজা রঙের পানিবেষ্টিত এই দ্বীপের সৌন্দর্য নয়নজুড়ানো।
এখানকার গেস্টহাউসটি সাদামাটা হলেও সেখানকার আতিথেয়তা অত্যন্ত আন্তরিক। খাবার একেবারে ঘরের রান্না—কয়েক ঘণ্টা আগে ধরা তাজা মাছ ভাজা, স্থানীয় কুমড়ার ঝোল এবং সতেজ তরমুজের রস।
কমিউনিটি-পরিচালিত পর্যটনের এই নতুন ঢেউ দ্বীপের পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে। এখন স্থানীয়রা সরাসরি পর্যটন ডলার থেকে লাভবান হচ্ছেন। প্রবাল প্রাচীর এবং বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় সচেতন হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা।
দক্ষিণ মালে দ্বীপে অবস্থিত স্থানীয় মালিকানাধীন ‘সন সিয়াম ওলহুভেলি’ রিসোর্টে। এটি এমন একটি মধ্যম পরিসরের রিসোর্ট, যা ‘টেকসই বিলাসিতা’র নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিচ্ছে। রিসোর্টটি জমকালো, কিন্তু স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ।
‘সান সিয়াম কেয়ার্স’ কর্মসূচির অধীনে অতিথিরা সৈকত পরিষ্কার করা, প্রবাল রোপণ এবং লেগুন (ছোট জলাধার) পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন। রিসোর্টের ‘পুনর্ব্যবহার’ উদ্যোগের মাধ্যমে পুরোনো লিনেন থেকে পরিষ্কার পরিধানযোগ্য কাপড়ে তৈরি করা হচ্ছে। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এখনো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ব্যক্তিগত রিসোর্টের গণ্ডি পেরিয়ে মালদ্বীপ সরকার এখন পরিবেশ নীতি ও পর্যটনের মধ্যে সমন্বয় ঘটাচ্ছে। পর্যটন ও পরিবেশ মন্ত্রী থরিক ইব্রাহিম এই কৌশলটি সংক্ষিপ্ত করে বলেছেন: ‘আমাদের আদি পরিবেশই আমাদের মৌলিক সম্পদ। আমরা পরিবেশের বিনিময়ে প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটছি না।’
প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জুর অধীনে, মালদ্বীপ ২০২৮ সালের মধ্যে তার ৩৩ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
ভ্রমণের কিছু টিপস:
সংস্কৃতি এবং আরাম—উভয় অভিজ্ঞতা পেতে স্থানীয় গেস্টহাউস এবং রিসোর্টের মধ্যে আপনার থাকার সময় ভাগ করে নিন; থোদ্দুর মতো দ্বীপগুলোতে পাবলিক স্পিডবোটে জনপ্রতি একমুখী খরচ ৩০-৭০ মার্কিন ডলার। পিক সিজনে যেতে চাইলে আগেভাগে বুক করুন; প্রবাল-বান্ধব সানস্ক্রিন, স্নরকেল গিয়ার এবং রিফ শু অবশ্যই ব্যাগে রাখুন; শুধু নির্দিষ্ট ‘বিকিনি বিচ’-এ সাঁতার বা রোদ পোহান; গ্রামে বিনয়ী পোশাক পরুন; স্থানীয় দ্বীপগুলোতে মদ নিষিদ্ধ; প্রবাল-বান্ধব কার্যক্রমে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডাইভ এবং ট্যুর কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে বুকিং করুন।
গেস্টহাউসগুলোর ভাড়া প্রতি রাতে ৫০-৬০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু। সান সিয়াম ওলহুভেলির মতো মধ্যম-পরিসরের রিসোর্টগুলো ৪৯৯ ডলারে বেশি; অতি-বিলাসবহুল রিসোর্টগুলো ১ হাজার ডলার থেকে শুরু।

একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ। বিলাসবহুল ওভারওয়াটার ভিলা এবং সি-প্লেনের কোলাহল ছেড়ে এখন দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় সংস্কৃতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ছোঁয়া পাচ্ছেন সাধারণ ভ্রমণকারীরা।
বিবিসি ট্রাভেল শো-এর জন্য ১২ বছর আগে এই দ্বীপরাষ্ট্র ভ্রমণের সময় যে মালদ্বীপ দেখানো হয়েছিল, তা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিন্তু বর্তমানে ছবিটা বদলেছে—বিলাসবহুল লাগেজের বদলে এখন পাবলিক বোট থেকে ব্যাকপ্যাক নিয়ে নামছেন সাধারণ পরিবারের সদস্যরা। এটিই মালদ্বীপের নতুন দিক। এই প্রবণতা দ্বীপটিতে ভ্রমণ আরও সাশ্রয়ী করে তুলেছে।
গত এক দশকে মালদ্বীপের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপগুলোতে এক ‘নীরব বিপ্লব’ ঘটেছে। সরকারের সংস্কারের ফলে এখন মালদ্বীপের স্থানীয়রা জনবসতিপূর্ণ দ্বীপগুলোতে গেস্টহাউস খোলার অনুমতি পেয়েছেন। আগে শুধু জনবসতিহীন রিসোর্ট এলাকাতেই পর্যটন সীমাবদ্ধ ছিল।
মালদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই সংস্কারের ফলস্বরূপ ৯০টিরও বেশি স্থানীয় দ্বীপে ১ হাজার ২০০টিরও বেশি গেস্টহাউস চালু হয়েছে। এর ফলে ভ্রমণকারীরা প্রথমবারের মতো দেশটির প্রাত্যহিক সংস্কৃতি উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন এবং স্থানীয় পরিবারগুলো সরাসরি পর্যটন শিল্প থেকে আয় করছে। এটিই এখন পরিবারগুলোর অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
থোদ্দু দ্বীপ, মালদ্বীপের ‘কৃষি দ্বীপ’ নামে পরিচিত। উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এই দ্বীপে পা রাখতেই তরমুজ ও লবণের মৃদু গন্ধ নাকে আসে। এখানে সমুদ্রবিমানের গমগম আওয়াজের বদলে শোনা যায় মোটরসাইকেলের ক্ষীণ শব্দ। রাজধানী মালের বিলাসবহুল রিসোর্ট জীবনের তুলনায় থোদ্দুর পরিবেশ শান্ত ও নিরিবিলি।
মালে থেকে পাবলিক স্পিডবোটে যেতে সময় লাগে ৯০ মিনিট, যার খরচ বিলাসবহুল রিসোর্ট সি-প্লেনের খরচের তুলনায় অনেক কম। দ্বীপে কোনো গাড়ি নেই, কেবল সাইকেল এবং মাঝে মাঝে ইলেকট্রিক বাগি (অটোরিকশার মতো) দেখা যায়। নারিকেল গাছের সারির মাঝে এখানে পেঁপে ও তরমুজের খেত বিস্তৃত। ফিরোজা রঙের পানিবেষ্টিত এই দ্বীপের সৌন্দর্য নয়নজুড়ানো।
এখানকার গেস্টহাউসটি সাদামাটা হলেও সেখানকার আতিথেয়তা অত্যন্ত আন্তরিক। খাবার একেবারে ঘরের রান্না—কয়েক ঘণ্টা আগে ধরা তাজা মাছ ভাজা, স্থানীয় কুমড়ার ঝোল এবং সতেজ তরমুজের রস।
কমিউনিটি-পরিচালিত পর্যটনের এই নতুন ঢেউ দ্বীপের পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে। এখন স্থানীয়রা সরাসরি পর্যটন ডলার থেকে লাভবান হচ্ছেন। প্রবাল প্রাচীর এবং বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় সচেতন হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা।
দক্ষিণ মালে দ্বীপে অবস্থিত স্থানীয় মালিকানাধীন ‘সন সিয়াম ওলহুভেলি’ রিসোর্টে। এটি এমন একটি মধ্যম পরিসরের রিসোর্ট, যা ‘টেকসই বিলাসিতা’র নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিচ্ছে। রিসোর্টটি জমকালো, কিন্তু স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ।
‘সান সিয়াম কেয়ার্স’ কর্মসূচির অধীনে অতিথিরা সৈকত পরিষ্কার করা, প্রবাল রোপণ এবং লেগুন (ছোট জলাধার) পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন। রিসোর্টের ‘পুনর্ব্যবহার’ উদ্যোগের মাধ্যমে পুরোনো লিনেন থেকে পরিষ্কার পরিধানযোগ্য কাপড়ে তৈরি করা হচ্ছে। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এখনো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ব্যক্তিগত রিসোর্টের গণ্ডি পেরিয়ে মালদ্বীপ সরকার এখন পরিবেশ নীতি ও পর্যটনের মধ্যে সমন্বয় ঘটাচ্ছে। পর্যটন ও পরিবেশ মন্ত্রী থরিক ইব্রাহিম এই কৌশলটি সংক্ষিপ্ত করে বলেছেন: ‘আমাদের আদি পরিবেশই আমাদের মৌলিক সম্পদ। আমরা পরিবেশের বিনিময়ে প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটছি না।’
প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জুর অধীনে, মালদ্বীপ ২০২৮ সালের মধ্যে তার ৩৩ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
ভ্রমণের কিছু টিপস:
সংস্কৃতি এবং আরাম—উভয় অভিজ্ঞতা পেতে স্থানীয় গেস্টহাউস এবং রিসোর্টের মধ্যে আপনার থাকার সময় ভাগ করে নিন; থোদ্দুর মতো দ্বীপগুলোতে পাবলিক স্পিডবোটে জনপ্রতি একমুখী খরচ ৩০-৭০ মার্কিন ডলার। পিক সিজনে যেতে চাইলে আগেভাগে বুক করুন; প্রবাল-বান্ধব সানস্ক্রিন, স্নরকেল গিয়ার এবং রিফ শু অবশ্যই ব্যাগে রাখুন; শুধু নির্দিষ্ট ‘বিকিনি বিচ’-এ সাঁতার বা রোদ পোহান; গ্রামে বিনয়ী পোশাক পরুন; স্থানীয় দ্বীপগুলোতে মদ নিষিদ্ধ; প্রবাল-বান্ধব কার্যক্রমে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডাইভ এবং ট্যুর কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে বুকিং করুন।
গেস্টহাউসগুলোর ভাড়া প্রতি রাতে ৫০-৬০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু। সান সিয়াম ওলহুভেলির মতো মধ্যম-পরিসরের রিসোর্টগুলো ৪৯৯ ডলারে বেশি; অতি-বিলাসবহুল রিসোর্টগুলো ১ হাজার ডলার থেকে শুরু।

আজ আপনার ধৈর্যের পারদ শূন্যের কাছাকাছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপ হাতে নেওয়ার আগেই অর্ধেক দিন পার করে ফেলার তাড়ায় থাকবেন। কোনো একটি মশা আপনার গতির প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গেও লেগে যেতে পারে ছোটখাটো সংঘর্ষ।
১৬ দিন আগেবিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক। জেনে নিন, কোন দেশে কোন কারণে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন।...
১৪ মিনিট আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট...
২০ ঘণ্টা আগে
শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে। বাড়তি উষ্ণতা আর আরাম পেতে এই যে অভ্যাস তা কিন্তু অনেক সময় স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির।
বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সতর্ক করে বলছেন, ঘুমের সময় মুখ ঢেকে রাখলে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি হতে পারে, ঘুমের মান নষ্ট হতে পারে এবং শ্বাসযন্ত্রে বাড়তি চাপ পড়তে পারে। বিশেষত যাদের ফুসফুসসংক্রান্ত বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের এ ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত। আরামদায়ক মনে হলেও, শীতকালের এই অভ্যাস মুখের চারপাশে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, অক্সিজেন গ্রহণ কমিয়ে দিতে পারে এবং ত্বকের আশেপাশে অতিরিক্ত উষ্ণতা ও আর্দ্রতা আটকে রাখতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এতে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে, ঘুমের মান আরও খারাপ হতে পারে, এমনকি হৃদ্রোগের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাসের ফলে শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়। পাশাপাশি বায়ুদূষণ তো আছেই। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমতে থাকায় দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে শ্বাসযন্ত্রে। এর সঙ্গে রাতের বেলা এই লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানো বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে স্বাস্থ্যঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
শীতকালে মুখ ঢেকে ঘুমালে যা হয়
ঘুমের সময় লেপ বা কম্বল মাথা পর্যন্ত টেনে দিলে এর ভেতরে বিশেষ করে নাক ও মুখের চারপাশে একটি ছোট বন্ধ পরিবেশ তৈরি হয়। বাইরে থেকে বাতাস চলাচল কমে যাওয়ায় নিঃশ্বাসের সঙ্গে বের হওয়া কার্বন ডাই–অক্সাইড ওই সীমিত পরিসরে আটকে যায় এবং অক্সিজেনের প্রবেশ কমে যায়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাথা ঢেকে রাখলে ‘রিবার্দিং রেট’ অর্থাৎ নিজের নিঃশ্বাস থেকে নির্গত বাতাসই বারবার পুনরায় শ্বাস নেওয়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এর ফলে অক্সিজেন কমে যাওয়া এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে যাওয়ার কারণে শ্বাস নিতে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। এর ফলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, অস্থির ঘুম বা ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত অনুভব করার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের শ্বাসযন্ত্র দুর্বল বা আগে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এই কাজ।

এছাড়া মুখ ঢেকে ঘুমালে অতিরিক্ত তাপ ও আর্দ্রতা লেপ-কম্বলের ভেতরে আটকে থাকে। এতে মাথার আশেপাশের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার মাত্রা বেড়ে যায়, যা গভীর ও প্রশান্ত ঘুমের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অনেকেই জানান, এতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া এবং ঘাম হওয়াসহ ঘুমের মান খারাপ হয়ে গিয়েছে।
স্লিপিং এক্সপার্টরা বলছেন, ভালো ঘুম কেবল ঘুমের সময়সীমার ওপর নির্ভর করে না। সঠিক বাতাস চলাচল, স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস এবং শরীরের স্থিতিশীল তাপমাত্রা বজায় থাকাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর যেকোনোটি ব্যাহত হলে ঘুমের মান কমে যায়। ফলে ঘুম থেকে ওঠার পর মস্তিষ্কের কার্যক্রম, মন, সতর্কতা এবং পুরো শরীরের ওপরহ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
কারা বেশি ঝুঁকিতে, কেন শীতকালে ঝুঁকি আরও বাড়ে
তরুণবয়সী বা সম্পূর্ণ সুস্থ কেউ সাময়িক সময়ের জন্য মুখ ঢেকে ঘুমালে বড় ধরনের সমস্যা নাও হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি ঝুঁকিতে থাকেন যাঁরা—
১. যাদের হাঁপানির মতো দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। বাতাস চলাচল কমে গেলে বা তাপমাত্রা বদলালে তাদের শ্বাসপ্রশ্বাস খুব সহজেই বিঘ্নিত হয়।
২. শিশু ও নবজাতক, যাদের শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিকভাবেই এখনো বিকাশমান। গবেষণায় দেখা গেছে, মুখ ঢেকে ঘুমালে নবজাতকের মুখের আশপাশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায় এবং ঘুমের মধ্যে জেগে ওঠার প্রতিক্রিয়া কমে যায়। এ কারণে শিশুমৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
৩. নিদ্রাকালীন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা (যেমন- স্লিপ অ্যাপনিয়া) আছে এমন ব্যক্তি। মুখ ঢেকে ঘুমালে শ্বাস-প্রশ্বাসের বাতাস চলাচলের জায়গা সীমিত হয়ে পড়ে বলে তাদের রাতের ঘুমে শ্বাস নিতে আরও বেশি কষ্ট হতে পারে।

শীতকালে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় যেসব কারণে
১. ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস শ্বাসনালীকে উত্তেজিত করে এবং ব্রঙ্কিয়াল সংকোচন ঘটাতে পারে।
২. ঘরের হিটার বা জানালা বন্ধ থাকার কারণে বাতাস চলাচল কমে যায়।
৩. শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বেড়ে যায়, যা ফুসফুসের ওপর আগেই অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।
মুখ না ঢেকে শরীর উষ্ণ রাখতে পারেন যেভাবে
উষ্ণ থাকতে হলে মুখ ঢাকাই একমাত্র উপায় নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি সহজ অভ্যাসের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে শরীর উষ্ণ করে আরামদায়ক ঘুম নিশ্চিত করা যেতে পারে। অভ্যাসগুলো হলো—
১. লেপ মাথার ওপর টেনে দেওয়ার বদলে বাড়তি পোশাক পরুন।
২. শরীর ঢেকে রাখুন, মাথা বা মুখ নয়; নাক-মুখ খোলা রাখলে তাজা বাতাস প্রবেশ করবে।
৩. ঘরের বাতাস চলাচল নিশ্চিত করুন। দূষণের মাত্রা সহনীয় হলে জানালা অল্প খুলে রাখা বা বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করাও জরুরি।
৪. যাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা আছে, তারা শুষ্ক বাতাস কমাতে হিউমিডিফায়ার বা ঘরের এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘর অতিরিক্ত গরম করবেন না।
৫. খুব ভারী লেপ বা কম্বল মুখের ওপর টেনে দেবেন না, কাঁধের নিচ পর্যন্ত রাখুন। এতে উষ্ণতা বজায় থাকবে, আবার শ্বাস নেওয়ার পর্যাপ্ত জায়গাও মিলবে।
শীতের রাতে লেপ বা কম্বল মুড়ে যে আরাম ও উষ্ণতা পাওয়া যায়, তার লোভ এড়ানো মুশকিল। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে এর উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই বেশি। এ কারণে ঘুমের মধ্যেও লেপ বা কম্বল মাথার ওপর টেনে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ অক্সিজেন স্বল্পতা শরীরের জন্য উষ্ণতার আরামের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতির। এই সাধারণ বিষয়টিও শ্বাসপ্রশ্বাস, ঘুমের মান এবং দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আর এ সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি থাকে নবজাতক, শিশু এবং শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে। তাই সুস্থ প্রাপ্তবয়স্করাও নিজেদের পাশাপাশি খেয়াল রাখবেন পরিবারের শিশু-বৃদ্ধ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তির ঘুমের কোনো ব্যাঘাত হচ্ছে কি না।

শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে। বাড়তি উষ্ণতা আর আরাম পেতে এই যে অভ্যাস তা কিন্তু অনেক সময় স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির।
বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সতর্ক করে বলছেন, ঘুমের সময় মুখ ঢেকে রাখলে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি হতে পারে, ঘুমের মান নষ্ট হতে পারে এবং শ্বাসযন্ত্রে বাড়তি চাপ পড়তে পারে। বিশেষত যাদের ফুসফুসসংক্রান্ত বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের এ ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত। আরামদায়ক মনে হলেও, শীতকালের এই অভ্যাস মুখের চারপাশে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, অক্সিজেন গ্রহণ কমিয়ে দিতে পারে এবং ত্বকের আশেপাশে অতিরিক্ত উষ্ণতা ও আর্দ্রতা আটকে রাখতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এতে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে, ঘুমের মান আরও খারাপ হতে পারে, এমনকি হৃদ্রোগের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাসের ফলে শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়। পাশাপাশি বায়ুদূষণ তো আছেই। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমতে থাকায় দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে শ্বাসযন্ত্রে। এর সঙ্গে রাতের বেলা এই লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানো বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে স্বাস্থ্যঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
শীতকালে মুখ ঢেকে ঘুমালে যা হয়
ঘুমের সময় লেপ বা কম্বল মাথা পর্যন্ত টেনে দিলে এর ভেতরে বিশেষ করে নাক ও মুখের চারপাশে একটি ছোট বন্ধ পরিবেশ তৈরি হয়। বাইরে থেকে বাতাস চলাচল কমে যাওয়ায় নিঃশ্বাসের সঙ্গে বের হওয়া কার্বন ডাই–অক্সাইড ওই সীমিত পরিসরে আটকে যায় এবং অক্সিজেনের প্রবেশ কমে যায়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাথা ঢেকে রাখলে ‘রিবার্দিং রেট’ অর্থাৎ নিজের নিঃশ্বাস থেকে নির্গত বাতাসই বারবার পুনরায় শ্বাস নেওয়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এর ফলে অক্সিজেন কমে যাওয়া এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে যাওয়ার কারণে শ্বাস নিতে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। এর ফলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, অস্থির ঘুম বা ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত অনুভব করার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের শ্বাসযন্ত্র দুর্বল বা আগে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এই কাজ।

এছাড়া মুখ ঢেকে ঘুমালে অতিরিক্ত তাপ ও আর্দ্রতা লেপ-কম্বলের ভেতরে আটকে থাকে। এতে মাথার আশেপাশের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার মাত্রা বেড়ে যায়, যা গভীর ও প্রশান্ত ঘুমের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অনেকেই জানান, এতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া এবং ঘাম হওয়াসহ ঘুমের মান খারাপ হয়ে গিয়েছে।
স্লিপিং এক্সপার্টরা বলছেন, ভালো ঘুম কেবল ঘুমের সময়সীমার ওপর নির্ভর করে না। সঠিক বাতাস চলাচল, স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস এবং শরীরের স্থিতিশীল তাপমাত্রা বজায় থাকাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর যেকোনোটি ব্যাহত হলে ঘুমের মান কমে যায়। ফলে ঘুম থেকে ওঠার পর মস্তিষ্কের কার্যক্রম, মন, সতর্কতা এবং পুরো শরীরের ওপরহ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
কারা বেশি ঝুঁকিতে, কেন শীতকালে ঝুঁকি আরও বাড়ে
তরুণবয়সী বা সম্পূর্ণ সুস্থ কেউ সাময়িক সময়ের জন্য মুখ ঢেকে ঘুমালে বড় ধরনের সমস্যা নাও হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি ঝুঁকিতে থাকেন যাঁরা—
১. যাদের হাঁপানির মতো দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। বাতাস চলাচল কমে গেলে বা তাপমাত্রা বদলালে তাদের শ্বাসপ্রশ্বাস খুব সহজেই বিঘ্নিত হয়।
২. শিশু ও নবজাতক, যাদের শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিকভাবেই এখনো বিকাশমান। গবেষণায় দেখা গেছে, মুখ ঢেকে ঘুমালে নবজাতকের মুখের আশপাশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায় এবং ঘুমের মধ্যে জেগে ওঠার প্রতিক্রিয়া কমে যায়। এ কারণে শিশুমৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
৩. নিদ্রাকালীন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা (যেমন- স্লিপ অ্যাপনিয়া) আছে এমন ব্যক্তি। মুখ ঢেকে ঘুমালে শ্বাস-প্রশ্বাসের বাতাস চলাচলের জায়গা সীমিত হয়ে পড়ে বলে তাদের রাতের ঘুমে শ্বাস নিতে আরও বেশি কষ্ট হতে পারে।

শীতকালে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় যেসব কারণে
১. ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস শ্বাসনালীকে উত্তেজিত করে এবং ব্রঙ্কিয়াল সংকোচন ঘটাতে পারে।
২. ঘরের হিটার বা জানালা বন্ধ থাকার কারণে বাতাস চলাচল কমে যায়।
৩. শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বেড়ে যায়, যা ফুসফুসের ওপর আগেই অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।
মুখ না ঢেকে শরীর উষ্ণ রাখতে পারেন যেভাবে
উষ্ণ থাকতে হলে মুখ ঢাকাই একমাত্র উপায় নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি সহজ অভ্যাসের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে শরীর উষ্ণ করে আরামদায়ক ঘুম নিশ্চিত করা যেতে পারে। অভ্যাসগুলো হলো—
১. লেপ মাথার ওপর টেনে দেওয়ার বদলে বাড়তি পোশাক পরুন।
২. শরীর ঢেকে রাখুন, মাথা বা মুখ নয়; নাক-মুখ খোলা রাখলে তাজা বাতাস প্রবেশ করবে।
৩. ঘরের বাতাস চলাচল নিশ্চিত করুন। দূষণের মাত্রা সহনীয় হলে জানালা অল্প খুলে রাখা বা বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করাও জরুরি।
৪. যাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা আছে, তারা শুষ্ক বাতাস কমাতে হিউমিডিফায়ার বা ঘরের এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘর অতিরিক্ত গরম করবেন না।
৫. খুব ভারী লেপ বা কম্বল মুখের ওপর টেনে দেবেন না, কাঁধের নিচ পর্যন্ত রাখুন। এতে উষ্ণতা বজায় থাকবে, আবার শ্বাস নেওয়ার পর্যাপ্ত জায়গাও মিলবে।
শীতের রাতে লেপ বা কম্বল মুড়ে যে আরাম ও উষ্ণতা পাওয়া যায়, তার লোভ এড়ানো মুশকিল। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে এর উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই বেশি। এ কারণে ঘুমের মধ্যেও লেপ বা কম্বল মাথার ওপর টেনে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ অক্সিজেন স্বল্পতা শরীরের জন্য উষ্ণতার আরামের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতির। এই সাধারণ বিষয়টিও শ্বাসপ্রশ্বাস, ঘুমের মান এবং দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আর এ সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি থাকে নবজাতক, শিশু এবং শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে। তাই সুস্থ প্রাপ্তবয়স্করাও নিজেদের পাশাপাশি খেয়াল রাখবেন পরিবারের শিশু-বৃদ্ধ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তির ঘুমের কোনো ব্যাঘাত হচ্ছে কি না।

আজ আপনার ধৈর্যের পারদ শূন্যের কাছাকাছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের কাপ হাতে নেওয়ার আগেই অর্ধেক দিন পার করে ফেলার তাড়ায় থাকবেন। কোনো একটি মশা আপনার গতির প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গেও লেগে যেতে পারে ছোটখাটো সংঘর্ষ।
১৬ দিন আগেবিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক। জেনে নিন, কোন দেশে কোন কারণে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন।...
১৪ মিনিট আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট...
২০ ঘণ্টা আগে
একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ।
২০ ঘণ্টা আগে