আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
দিনের শুরুতেই এমন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন যে মনে হবে আপনি হেঁটে নয়, মেঘে চড়ে বেড়াচ্ছেন। সাবধান! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হোঁচট খেতে পারেন, কারণ মেঘের ওপর ভরসা করে সিঁড়ি টপকানো উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বস আপনাকে এমন একটি কাজ দেবেন, যা স্বপ্নেও দেখেননি, যেমন পুরোনো ফাইলের স্তূপ থেকে হারিয়ে যাওয়া একটি পেনসিল খুঁজে বের করা। অর্থভাগ্য ভালো, তবে সেই টাকাটা খরচ হবে একটি দামি ফুচকা পার্টিতে, যেখানে ফুচকাগুলো হবে খুবই ছোট। একটি সহজ প্রশ্নের সহজ উত্তর দেওয়াই হবে আপনার আজকের চ্যালেঞ্জ।
বৃষ
ভোজনরসিক মন আজ আপনাকে চরম পরীক্ষার মুখে ফেলবে। ফ্রিজে রাখা মিষ্টির দিকে বারবার চোখ যাবে, কিন্তু ডায়েটের ভূত তাড়া করবে। এই দোটানা দেখে মনে হবে যেন আপনি শেক্সপিয়ারের নাটকের প্রধান চরিত্র। দুপুরের দিকে প্রতিবেশীর কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি পুরোনো কড়াই উপহার পেতে পারেন—আপনার রান্নার শখকে হয়তো মহাজাগতিক শক্তিরাও সমর্থন করছে। সন্ধ্যায় প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হলে, খাবার ছাড়া অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে ব্যর্থ হবেন। অতিরিক্ত ঘুম আপনার আজকের দিনের সেরা কাজগুলো নষ্ট করে দিতে পারে।
মিথুন
আজ আপনার দুটি সত্তার মধ্যে চরম সংঘাত হবে। এক মন চাইবে জগৎ জয় করতে, আরেক মন চাইবে কম্বলের নিচে শুয়ে নেটফ্লিক্স দেখতে। এই কনফিউশনের কারণে আপনি বন্ধুর কাছে ভুলবশত বসের একটি হাস্যকর মিম পাঠিয়ে দিতে পারেন। আপনার কৌতুকবোধ আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু সাবধান, সেই কৌতুক যেন জীবনসঙ্গীর বিরক্তির কারণ না হয়। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিলে ভুল নামে ডাকা বা ভুল মানুষের সঙ্গে হাত মেলানোর সম্ভাবনা আছে। আজকের জন্য আপনার মন্ত্র হোক: ‘আমি কে? আমি কোথায়?’
কর্কট
আজ আপনি ভীষণ সংবেদনশীল থাকবেন, তাই পোষা প্রাণী বা প্রিয়জনের সামান্য দুঃখও চোখে জল এনে দিতে পারে। তবে দিনের মাঝখানে একটি দারুণ খবর আপনার মন ভালো করে দেবে—হয়তো জানতে পারবেন, আপনার পছন্দের চায়ের দোকানে নতুন করে শিঙাড়া ভাজা শুরু হয়েছে। সৃজনশীলতা আজ উথলে উঠবে; তাই পুরোনো বালতির গায়ে রং করে সেটিকে ফুলদানি বানানোর মতো অদ্ভুত শখ জাগতে পারে। দিনের শেষে সমস্ত আবেগ কাটিয়ে বাস্তব জীবনে ফিরতে আপনাকে একটি কফি বা দুটি চপ খেতে হতে পারে। যখন আপনি পুরোনো জুতায় লুকানো ২০ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। এটাই হবে আপনার দিনের সেরা মুহূর্ত।
সিংহ
আপনার মধ্যে থাকা ‘রাজকীয়’ ভাবটি আজ একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। নিজেকে রাজা/রানি ভাবতে গিয়ে হয়তো ঘরে থাকা সবার কাছে ‘আপনার চেয়ারটি’ নিয়ে আসবেন। প্রশংসা না পেলে আজ মেজাজ খিঁচড়ে যেতে পারে। তাই কেউ প্রশংসা না করলে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে নিন, দোষের কিছু নেই। কর্মক্ষেত্রে কেউ আইডিয়া চুরি করতে এলে এমনভাবে গর্জন করবেন যেন আপনি এখনই সিংহের বেশে রূপ নিচ্ছেন। এই কারণে আজ আপনার জন্য পরামর্শ হলো: লাইমলাইটে থাকার জন্য সারা দিন মাথায় একটি সোনালি টুপি পরে থাকুন।
কন্যা
আজ আপনার ‘পারফেকশন’-এর নেশা চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে। হয়তো সকালে উঠে গোনা শুরু করবেন যে টুথব্রাশের ব্রিসেলগুলো ঠিকভাবে সাজানো আছে কি না। আপনার এই খুঁতখুঁতে স্বভাবের কারণে গুরুত্বপূর্ণ কাজের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস গোছানোয় বেশি সময় কাটাবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে, সঙ্গীর চুল সামান্য এদিক-ওদিক হলেও তা ঠিক করার জন্য ঝগড়া শুরু করতে পারেন। দিনের শেষে আপনি আবিষ্কার করবেন, গোছানো ডেস্কের নিচে আপনি গত সপ্তাহে চাবির গোছা ফেলে রেখেছিলেন।
তুলা
আজ ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে বারবার হোঁচট খাবেন। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আপনার এত সময় লাগবে যে ততক্ষণে পরিস্থিতি নিজেই পাল্টে যাবে; যেমন কোন জামা পরবেন ভাবতে ভাবতেই হয়তো দিনের অর্ধেকটা পার হয়ে যাবে। কেউ আপনার কাছে পরামর্শ চাইলে একই সঙ্গে হ্যাঁ এবং না দুটোই বলবেন—যেন আপনি একজন দার্শনিক, যিনি কোনো নিশ্চিত উত্তর দিতে চান না। সন্ধ্যায় পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার টেক্সট পাবেন, যা আপনাকে আরও বেশি কনফিউজড করে তুলবে। আপনার জন্য পরামর্শ হলো: দু’দিকেই থাকুন, কিন্তু কোথাও পা পিছলে পড়ে যাবেন না যেন!
বৃশ্চিক
আজ আপনার রহস্যময়তা এবং তীব্রতা আপনাকে ঘিরে রাখবে। এমনভাবে হাঁটবেন যেন আপনি হলিউডের কোনো স্পাই থ্রিলারের প্রধান চরিত্র। সবাই ভাববে আপনার জীবনে হয়তো কোনো বিশাল গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে, যদিও আসল সত্য হলো আপনি দুপুরে কী খাবেন, সেটাই ঠিক করতে পারেননি। কারও সামান্য কথায় খুব সহজে রাগ করে যেতে পারেন এবং প্রতিহিংসা নিতে গিয়ে হয়তো তাদের খাবারের প্লেট থেকে একটি আলু তুলে নিয়ে নেবেন। আপনার আজকের লক্ষ্য হবে: কাউকে না জানিয়ে গোপনে অন্যের কফি মগে সামান্য লবণ মেশানো।
ধনু
আজ ভ্রমণের আকাঙ্ক্ষা তুঙ্গে থাকবে। আপনি হয়তো বিছানায় শুয়েই বিশ্বের ৭টি অত্যাশ্চর্যের ভিডিও দেখতে দেখতে ঠিক করে ফেলবেন যে কোন দেশে কবে যাবেন। কিন্তু সেই মুহূর্তেই মনে পড়বে পকেটে একদমই টাকা নেই! অতি-আশাবাদী স্বভাবের কারণে আপনি এমন সব প্রতিশ্রুতি দেবেন যা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব। যেমন, আগামীকালের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে ফেলার প্রতিশ্রুতি। আপনার বন্ধুদের জন্য সতর্কবার্তা হলো—আপনার সঙ্গে আড্ডায় বসলে তারা আপনার জীবনের অ্যাডভেঞ্চারের অবিশ্বাস্য গল্প শুনতে বাধ্য হবেন।
মকর
আজ আপনার ভেতরের সেই কাঠখোট্টা বস জেগে উঠবে। সকালে উঠেই টু-ডু লিস্টের দিকে এমনভাবে তাকাবেন যেন আপনি একটি যুদ্ধ জেতার পরিকল্পনা করছেন। মজা করার সময়ও কাজ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রেও সঙ্গীর সঙ্গে একটি ‘পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা’ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারেন। আপনার আজকের বিনোদন হলো—অন্যেরা কীভাবে কাজ করছে, তা খুঁটিয়ে দেখা এবং মনে মনে তাদের ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করা।
কুম্ভ
বিপ্লবী মন আজ আপনাকে অদ্ভুত কিছু করতে প্ররোচিত করবে। হয়তো হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নেবেন যে উল্টো গেট দিয়ে অফিসে ঢুকবেন। কারণ, আপনি মনে করেন সবাই এক পথে চলে বলে আপনারও চলতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বন্ধু মহলে আপনি আজ এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন যা কেউ আগে শোনেনি এবং ভবিষ্যতেও হয়তো শুনবে না। আজকে অদ্ভুত চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাবে: মানবজাতিকে কীভাবে পিঁপড়াদের যন্ত্রণা থেকে বাঁচানো যায়!
মীন
কল্পনাপ্রবণ মন আজ আপনাকে এমন এক জগতে নিয়ে যাবে, যেখানে সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। অফিসের মিটিংয়ে বসেও হয়তো সমুদ্র সৈকতে থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন এবং সহকর্মীরা আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে। বাস্তবের সঙ্গে কল্পনার এই সংঘাতের কারণে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কোনো ফাইল বা মোবাইল ফোনটি ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় সৃজনশীলতা এমন বাড়বে যে আপনি একটি টুথপেস্টের খালি টিউব দিয়ে একটি শিল্পকর্ম বানিয়ে ফেলতে পারেন। সারা দিন শুধু মিষ্টি মিষ্টি স্বপ্ন দেখাই আজ আপনার শুভ কাজ।

মেষ
দিনের শুরুতেই এমন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন যে মনে হবে আপনি হেঁটে নয়, মেঘে চড়ে বেড়াচ্ছেন। সাবধান! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হোঁচট খেতে পারেন, কারণ মেঘের ওপর ভরসা করে সিঁড়ি টপকানো উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বস আপনাকে এমন একটি কাজ দেবেন, যা স্বপ্নেও দেখেননি, যেমন পুরোনো ফাইলের স্তূপ থেকে হারিয়ে যাওয়া একটি পেনসিল খুঁজে বের করা। অর্থভাগ্য ভালো, তবে সেই টাকাটা খরচ হবে একটি দামি ফুচকা পার্টিতে, যেখানে ফুচকাগুলো হবে খুবই ছোট। একটি সহজ প্রশ্নের সহজ উত্তর দেওয়াই হবে আপনার আজকের চ্যালেঞ্জ।
বৃষ
ভোজনরসিক মন আজ আপনাকে চরম পরীক্ষার মুখে ফেলবে। ফ্রিজে রাখা মিষ্টির দিকে বারবার চোখ যাবে, কিন্তু ডায়েটের ভূত তাড়া করবে। এই দোটানা দেখে মনে হবে যেন আপনি শেক্সপিয়ারের নাটকের প্রধান চরিত্র। দুপুরের দিকে প্রতিবেশীর কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি পুরোনো কড়াই উপহার পেতে পারেন—আপনার রান্নার শখকে হয়তো মহাজাগতিক শক্তিরাও সমর্থন করছে। সন্ধ্যায় প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হলে, খাবার ছাড়া অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলতে ব্যর্থ হবেন। অতিরিক্ত ঘুম আপনার আজকের দিনের সেরা কাজগুলো নষ্ট করে দিতে পারে।
মিথুন
আজ আপনার দুটি সত্তার মধ্যে চরম সংঘাত হবে। এক মন চাইবে জগৎ জয় করতে, আরেক মন চাইবে কম্বলের নিচে শুয়ে নেটফ্লিক্স দেখতে। এই কনফিউশনের কারণে আপনি বন্ধুর কাছে ভুলবশত বসের একটি হাস্যকর মিম পাঠিয়ে দিতে পারেন। আপনার কৌতুকবোধ আজ তুঙ্গে থাকবে, কিন্তু সাবধান, সেই কৌতুক যেন জীবনসঙ্গীর বিরক্তির কারণ না হয়। সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিলে ভুল নামে ডাকা বা ভুল মানুষের সঙ্গে হাত মেলানোর সম্ভাবনা আছে। আজকের জন্য আপনার মন্ত্র হোক: ‘আমি কে? আমি কোথায়?’
কর্কট
আজ আপনি ভীষণ সংবেদনশীল থাকবেন, তাই পোষা প্রাণী বা প্রিয়জনের সামান্য দুঃখও চোখে জল এনে দিতে পারে। তবে দিনের মাঝখানে একটি দারুণ খবর আপনার মন ভালো করে দেবে—হয়তো জানতে পারবেন, আপনার পছন্দের চায়ের দোকানে নতুন করে শিঙাড়া ভাজা শুরু হয়েছে। সৃজনশীলতা আজ উথলে উঠবে; তাই পুরোনো বালতির গায়ে রং করে সেটিকে ফুলদানি বানানোর মতো অদ্ভুত শখ জাগতে পারে। দিনের শেষে সমস্ত আবেগ কাটিয়ে বাস্তব জীবনে ফিরতে আপনাকে একটি কফি বা দুটি চপ খেতে হতে পারে। যখন আপনি পুরোনো জুতায় লুকানো ২০ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। এটাই হবে আপনার দিনের সেরা মুহূর্ত।
সিংহ
আপনার মধ্যে থাকা ‘রাজকীয়’ ভাবটি আজ একটু বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছতে পারে। নিজেকে রাজা/রানি ভাবতে গিয়ে হয়তো ঘরে থাকা সবার কাছে ‘আপনার চেয়ারটি’ নিয়ে আসবেন। প্রশংসা না পেলে আজ মেজাজ খিঁচড়ে যেতে পারে। তাই কেউ প্রশংসা না করলে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে নিন, দোষের কিছু নেই। কর্মক্ষেত্রে কেউ আইডিয়া চুরি করতে এলে এমনভাবে গর্জন করবেন যেন আপনি এখনই সিংহের বেশে রূপ নিচ্ছেন। এই কারণে আজ আপনার জন্য পরামর্শ হলো: লাইমলাইটে থাকার জন্য সারা দিন মাথায় একটি সোনালি টুপি পরে থাকুন।
কন্যা
আজ আপনার ‘পারফেকশন’-এর নেশা চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে। হয়তো সকালে উঠে গোনা শুরু করবেন যে টুথব্রাশের ব্রিসেলগুলো ঠিকভাবে সাজানো আছে কি না। আপনার এই খুঁতখুঁতে স্বভাবের কারণে গুরুত্বপূর্ণ কাজের চেয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস গোছানোয় বেশি সময় কাটাবেন। প্রেমের ক্ষেত্রে, সঙ্গীর চুল সামান্য এদিক-ওদিক হলেও তা ঠিক করার জন্য ঝগড়া শুরু করতে পারেন। দিনের শেষে আপনি আবিষ্কার করবেন, গোছানো ডেস্কের নিচে আপনি গত সপ্তাহে চাবির গোছা ফেলে রেখেছিলেন।
তুলা
আজ ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে বারবার হোঁচট খাবেন। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আপনার এত সময় লাগবে যে ততক্ষণে পরিস্থিতি নিজেই পাল্টে যাবে; যেমন কোন জামা পরবেন ভাবতে ভাবতেই হয়তো দিনের অর্ধেকটা পার হয়ে যাবে। কেউ আপনার কাছে পরামর্শ চাইলে একই সঙ্গে হ্যাঁ এবং না দুটোই বলবেন—যেন আপনি একজন দার্শনিক, যিনি কোনো নিশ্চিত উত্তর দিতে চান না। সন্ধ্যায় পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার টেক্সট পাবেন, যা আপনাকে আরও বেশি কনফিউজড করে তুলবে। আপনার জন্য পরামর্শ হলো: দু’দিকেই থাকুন, কিন্তু কোথাও পা পিছলে পড়ে যাবেন না যেন!
বৃশ্চিক
আজ আপনার রহস্যময়তা এবং তীব্রতা আপনাকে ঘিরে রাখবে। এমনভাবে হাঁটবেন যেন আপনি হলিউডের কোনো স্পাই থ্রিলারের প্রধান চরিত্র। সবাই ভাববে আপনার জীবনে হয়তো কোনো বিশাল গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে, যদিও আসল সত্য হলো আপনি দুপুরে কী খাবেন, সেটাই ঠিক করতে পারেননি। কারও সামান্য কথায় খুব সহজে রাগ করে যেতে পারেন এবং প্রতিহিংসা নিতে গিয়ে হয়তো তাদের খাবারের প্লেট থেকে একটি আলু তুলে নিয়ে নেবেন। আপনার আজকের লক্ষ্য হবে: কাউকে না জানিয়ে গোপনে অন্যের কফি মগে সামান্য লবণ মেশানো।
ধনু
আজ ভ্রমণের আকাঙ্ক্ষা তুঙ্গে থাকবে। আপনি হয়তো বিছানায় শুয়েই বিশ্বের ৭টি অত্যাশ্চর্যের ভিডিও দেখতে দেখতে ঠিক করে ফেলবেন যে কোন দেশে কবে যাবেন। কিন্তু সেই মুহূর্তেই মনে পড়বে পকেটে একদমই টাকা নেই! অতি-আশাবাদী স্বভাবের কারণে আপনি এমন সব প্রতিশ্রুতি দেবেন যা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব। যেমন, আগামীকালের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে ফেলার প্রতিশ্রুতি। আপনার বন্ধুদের জন্য সতর্কবার্তা হলো—আপনার সঙ্গে আড্ডায় বসলে তারা আপনার জীবনের অ্যাডভেঞ্চারের অবিশ্বাস্য গল্প শুনতে বাধ্য হবেন।
মকর
আজ আপনার ভেতরের সেই কাঠখোট্টা বস জেগে উঠবে। সকালে উঠেই টু-ডু লিস্টের দিকে এমনভাবে তাকাবেন যেন আপনি একটি যুদ্ধ জেতার পরিকল্পনা করছেন। মজা করার সময়ও কাজ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রেও সঙ্গীর সঙ্গে একটি ‘পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনা’ নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারেন। আপনার আজকের বিনোদন হলো—অন্যেরা কীভাবে কাজ করছে, তা খুঁটিয়ে দেখা এবং মনে মনে তাদের ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করা।
কুম্ভ
বিপ্লবী মন আজ আপনাকে অদ্ভুত কিছু করতে প্ররোচিত করবে। হয়তো হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নেবেন যে উল্টো গেট দিয়ে অফিসে ঢুকবেন। কারণ, আপনি মনে করেন সবাই এক পথে চলে বলে আপনারও চলতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বন্ধু মহলে আপনি আজ এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন যা কেউ আগে শোনেনি এবং ভবিষ্যতেও হয়তো শুনবে না। আজকে অদ্ভুত চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাবে: মানবজাতিকে কীভাবে পিঁপড়াদের যন্ত্রণা থেকে বাঁচানো যায়!
মীন
কল্পনাপ্রবণ মন আজ আপনাকে এমন এক জগতে নিয়ে যাবে, যেখানে সব স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। অফিসের মিটিংয়ে বসেও হয়তো সমুদ্র সৈকতে থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন এবং সহকর্মীরা আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে। বাস্তবের সঙ্গে কল্পনার এই সংঘাতের কারণে হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কোনো ফাইল বা মোবাইল ফোনটি ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় সৃজনশীলতা এমন বাড়বে যে আপনি একটি টুথপেস্টের খালি টিউব দিয়ে একটি শিল্পকর্ম বানিয়ে ফেলতে পারেন। সারা দিন শুধু মিষ্টি মিষ্টি স্বপ্ন দেখাই আজ আপনার শুভ কাজ।
বিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক। জেনে নিন, কোন দেশে কোন কারণে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন।...
১৪ মিনিট আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট...
২০ ঘণ্টা আগে
একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ।
২০ ঘণ্টা আগে
শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা
বিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক।
স্পেনে রাতের বেলা সাগরে নামা নিষিদ্ধ
স্পেনের জনপ্রিয় সৈকত শহর বেনিডর্মে রাত ১২টা থেকে ভোর ৭টা পর্যন্ত সমুদ্রে নামা নিষিদ্ধ। নিয়ম ভাঙলে ৮৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা। বিচে রাত কাটানো বা ক্যাম্পিং করলেও একই পরিমাণ জরিমানা ধার্য করা হয়। সেভিয়াতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিয়ের আগের উচ্ছৃঙ্খল পার্টি করা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন আরও কঠোর হয়েছে। পর্যটকের আচরণে যদি স্থানীয়রা বিরক্ত হয় বা পরিবেশ নষ্ট হয়, সে ক্ষেত্রে জরিমানা করা হয়। অনেকে নিয়ম ভাঙার পর এসব বিধিনিষেধ সম্পর্কে জানতে পারে।
থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে ই-সিগারেট নিষেধ
থাইল্যান্ডে ই-সিগারেট রাখা, বহন করা বা ব্যবহার করা আইনত নিষিদ্ধ। শাস্তির ধরনও বেশ কঠোর। আমদানি বা বিতরণের ক্ষেত্রে ৫ লাখ বাথ পর্যন্ত জরিমানা এবং ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। পর্যটকেরা ব্যক্তিগতভাবে ভ্যাপ ব্যবহার করলেও ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার বাথ পর্যন্ত জরিমানা, ডিভাইস জব্দ, এমনকি দেশে ফেরত পাঠানো পর্যন্ত হতে পারে। এ বছরের শুরুর দিকে পরিচালিত অভিযানে এ কারণে এক সপ্তাহে ৬৯০ জনকে আটক করা হয়েছিল।
এ ছাড়া যে ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন, তিনি জরিমানার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পুরস্কার হিসেবে পান। ফলে ব্যক্তিগত জায়গাতেও ভ্যাপ ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। সিঙ্গাপুরেও ই-সিগারেট আমদানি, বিক্রি ও ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। প্রথমবার ধরা পড়লে ৫০০ থেকে ৭০০ সিঙ্গাপুর ডলার পর্যন্ত জরিমানা এবং বিশেষ ক্ষেত্রে কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
ইতালিতে পরিবেশ সুরক্ষায় কঠোর নিয়ম
সারডিনিয়ার বিখ্যাত গোলাপি পানির সৈকত স্পিয়াজ্জা রোসা থেকে বালু নেওয়া নিষিদ্ধ। নিয়ম ভাঙলে ৪ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। সৈকতটি নব্বইয়ের দশক থেকে বন্ধ। পোর্টোফিনো গ্রামে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে জনপ্রিয় ফটোস্পটে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া বা ভিড় তৈরি করায় প্রায় ৩০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে জনপ্রিয় জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হওয়ায় প্রশাসন এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।

জাপানে বাধ্যতামূলক ভ্রমণ বিমা
জাপানে মেডিকেল বিল বকেয়া রাখার ঘটনার পর সরকার সব বিদেশি পর্যটকের জন্য ব্যক্তিগত ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১১ হাজারের বেশি পর্যটক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ জন বিল পরিশোধ না করেই চলে গেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিমা ছাড়া কেউ দেশটিতে প্রবেশ করলে জটিলতায় পড়তে পারে। জাপান ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৬০ মিলিয়ন পর্যটক টার্গেট করেছে, তাই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এটি।
পর্তুগালের সমুদ্রসৈকতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ
পর্তুগালের সৈকতে উচ্চ শব্দে গান বাজানো নিষিদ্ধ। দেশটির ন্যাশনাল মেরিটাইম অথরিটি পোর্টেবল স্পিকার ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ নিয়ম ভাঙলে ২০০ থেকে ৩৯ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হবে। সৈকতে পার্টি বেড়ে যাওয়া এবং বড় স্পিকারের উচ্চ শব্দে অন্যান্য পর্যটক ও স্থানীয়দের বিরক্তির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্তুগালে সবার শান্তিপূর্ণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে কঠোর নিয়ম অনুসরণ করা হয়।
নিউজিল্যান্ডের ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমতি
২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করতে ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমতি (নিউজিল্যান্ড ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরিটি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভিসা অব্যাহতি পাওয়া দেশগুলোর নাগরিকেরাও এর বাইরে নয়। ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমোদন পেতে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত লাগতে পারে। তাই বিমানবন্দরে যাওয়ার আগেই এটি করে রাখা জরুরি। শুধু প্রবেশ নয়, ট্রানজিট যাত্রীরাও এই অনুমতি ছাড়া নিউজিল্যান্ডের আকাশপথ ব্যবহার করতে পারে না। এ ছাড়া যেকোনো নিষিদ্ধ পণ্য বা খাবার আগে থেকে ফরমে উল্লেখ না করলে কাস্টমস তা বাজেয়াপ্ত করতে পারে বা জরিমানা দিতে হয়।
অনেক সময় খুব সাধারণ আচরণ বা অভ্যাস বিদেশে গুরুতর অপরাধে পরিণত হতে পারে। প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইন, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ সুরক্ষা নির্দেশনা আছে। ভ্রমণের আগে গন্তব্যস্থলের নিয়মগুলো জেনে নিলে বিপদ বা অযথা খরচ এবং ভ্রমণের আনন্দ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

বিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক।
স্পেনে রাতের বেলা সাগরে নামা নিষিদ্ধ
স্পেনের জনপ্রিয় সৈকত শহর বেনিডর্মে রাত ১২টা থেকে ভোর ৭টা পর্যন্ত সমুদ্রে নামা নিষিদ্ধ। নিয়ম ভাঙলে ৮৫০ থেকে ১ হাজার ৪০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা। বিচে রাত কাটানো বা ক্যাম্পিং করলেও একই পরিমাণ জরিমানা ধার্য করা হয়। সেভিয়াতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিয়ের আগের উচ্ছৃঙ্খল পার্টি করা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন আরও কঠোর হয়েছে। পর্যটকের আচরণে যদি স্থানীয়রা বিরক্ত হয় বা পরিবেশ নষ্ট হয়, সে ক্ষেত্রে জরিমানা করা হয়। অনেকে নিয়ম ভাঙার পর এসব বিধিনিষেধ সম্পর্কে জানতে পারে।
থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে ই-সিগারেট নিষেধ
থাইল্যান্ডে ই-সিগারেট রাখা, বহন করা বা ব্যবহার করা আইনত নিষিদ্ধ। শাস্তির ধরনও বেশ কঠোর। আমদানি বা বিতরণের ক্ষেত্রে ৫ লাখ বাথ পর্যন্ত জরিমানা এবং ২ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। পর্যটকেরা ব্যক্তিগতভাবে ভ্যাপ ব্যবহার করলেও ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার বাথ পর্যন্ত জরিমানা, ডিভাইস জব্দ, এমনকি দেশে ফেরত পাঠানো পর্যন্ত হতে পারে। এ বছরের শুরুর দিকে পরিচালিত অভিযানে এ কারণে এক সপ্তাহে ৬৯০ জনকে আটক করা হয়েছিল।
এ ছাড়া যে ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন, তিনি জরিমানার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পুরস্কার হিসেবে পান। ফলে ব্যক্তিগত জায়গাতেও ভ্যাপ ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। সিঙ্গাপুরেও ই-সিগারেট আমদানি, বিক্রি ও ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। প্রথমবার ধরা পড়লে ৫০০ থেকে ৭০০ সিঙ্গাপুর ডলার পর্যন্ত জরিমানা এবং বিশেষ ক্ষেত্রে কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
ইতালিতে পরিবেশ সুরক্ষায় কঠোর নিয়ম
সারডিনিয়ার বিখ্যাত গোলাপি পানির সৈকত স্পিয়াজ্জা রোসা থেকে বালু নেওয়া নিষিদ্ধ। নিয়ম ভাঙলে ৪ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। সৈকতটি নব্বইয়ের দশক থেকে বন্ধ। পোর্টোফিনো গ্রামে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে জনপ্রিয় ফটোস্পটে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেওয়া বা ভিড় তৈরি করায় প্রায় ৩০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে জনপ্রিয় জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হওয়ায় প্রশাসন এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।

জাপানে বাধ্যতামূলক ভ্রমণ বিমা
জাপানে মেডিকেল বিল বকেয়া রাখার ঘটনার পর সরকার সব বিদেশি পর্যটকের জন্য ব্যক্তিগত ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১১ হাজারের বেশি পর্যটক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ জন বিল পরিশোধ না করেই চলে গেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিমা ছাড়া কেউ দেশটিতে প্রবেশ করলে জটিলতায় পড়তে পারে। জাপান ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে ৬০ মিলিয়ন পর্যটক টার্গেট করেছে, তাই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এটি।
পর্তুগালের সমুদ্রসৈকতে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ
পর্তুগালের সৈকতে উচ্চ শব্দে গান বাজানো নিষিদ্ধ। দেশটির ন্যাশনাল মেরিটাইম অথরিটি পোর্টেবল স্পিকার ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ নিয়ম ভাঙলে ২০০ থেকে ৩৯ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা হবে। সৈকতে পার্টি বেড়ে যাওয়া এবং বড় স্পিকারের উচ্চ শব্দে অন্যান্য পর্যটক ও স্থানীয়দের বিরক্তির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্তুগালে সবার শান্তিপূর্ণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে কঠোর নিয়ম অনুসরণ করা হয়।
নিউজিল্যান্ডের ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমতি
২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে নিউজিল্যান্ডে প্রবেশ করতে ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমতি (নিউজিল্যান্ড ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরিটি) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভিসা অব্যাহতি পাওয়া দেশগুলোর নাগরিকেরাও এর বাইরে নয়। ডিজিটাল ভ্রমণ অনুমোদন পেতে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত লাগতে পারে। তাই বিমানবন্দরে যাওয়ার আগেই এটি করে রাখা জরুরি। শুধু প্রবেশ নয়, ট্রানজিট যাত্রীরাও এই অনুমতি ছাড়া নিউজিল্যান্ডের আকাশপথ ব্যবহার করতে পারে না। এ ছাড়া যেকোনো নিষিদ্ধ পণ্য বা খাবার আগে থেকে ফরমে উল্লেখ না করলে কাস্টমস তা বাজেয়াপ্ত করতে পারে বা জরিমানা দিতে হয়।
অনেক সময় খুব সাধারণ আচরণ বা অভ্যাস বিদেশে গুরুতর অপরাধে পরিণত হতে পারে। প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইন, সংস্কৃতি এবং পরিবেশ সুরক্ষা নির্দেশনা আছে। ভ্রমণের আগে গন্তব্যস্থলের নিয়মগুলো জেনে নিলে বিপদ বা অযথা খরচ এবং ভ্রমণের আনন্দ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

দিনের শুরুতেই এমন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন যে মনে হবে আপনি হেঁটে নয়, মেঘে চড়ে বেড়াচ্ছেন। সাবধান! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হোঁচট খেতে পারেন, কারণ মেঘের ওপর ভরসা করে সিঁড়ি টপকানো উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বস আপনাকে এমন একটি কাজ দেবেন, যা স্বপ্নেও দেখেননি, যেমন পুরোনো ফাইলের স্তূপ থেকে হারিয়ে যাও
৭ দিন আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট...
২০ ঘণ্টা আগে
একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ।
২০ ঘণ্টা আগে
শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট হয়ে যায়।
অপ্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজ নিয়ে যাওয়া
অনেক অতিথি নিজের ব্যবহার্য শ্যাম্পু, বডিওয়াশ, সাবান বা লোশন সঙ্গে নিয়ে যান এই ভেবে যে তাঁদেরগুলোই সবচেয়ে ভালো হবে। কিন্তু জোয়ি জানিয়েছেন, এটি পাঁচ তারা হোটেলের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঝামেলা ছাড়া আর কিছু নয়। বেশির ভাগ বিলাসবহুল হোটেল বাথরুমে আন্তর্জাতিক মানের দামি টয়লেট্রিজ রাখে, যা অতিথিরা সাধারণত নিজেরা কিনতে চান না। তাই অতিথিরা যদি নিজের বোতলগুলো না এনে হোটেলের সুবিধা উপভোগ করেন, তাহলে বহনের ঝুঁকি কমবে এবং অভিজ্ঞতাও আরও উন্নত হবে।
হোটেলে লন্ড্রি করানো
বিলাসবহুল হোটেলের লন্ড্রি-সেবা বাড়তি সুবিধা। এর খরচ অনেক বেশি। জোয়ির অভিজ্ঞতায়, পাঁচ তারা হোটেলে ১৪টি জামাকাপড় ধোয়ার জন্য তাঁকে ১১৫ ডলার গুনতে হয়েছিল। সেবার মান ভালো ছিল, কিন্তু খরচ অনেক বেশি। তিনি বলেন, শুধু জরুরি পরিস্থিতিতে লন্ড্রি করানো উচিত। না হলে সেই টাকায় নতুন পোশাক কেনা যায়। ভ্রমণের সময় এমন পোশাক বেছে নিন, যেগুলোতে লন্ড্রি সার্ভিস ব্যবহার করতে হবে না।
শুধু রুম সার্ভিসে সীমাবদ্ধ থাকা
অনেক অতিথি মনে করেন, রুমে বসে নিরিবিলি খাবার খেতে হবে। কিন্তু এতে পাঁচ তারা হোটেলের নিজস্ব রেস্তোরাঁর অভিজ্ঞতা নেওয়া বাদ থেকে যায়। প্রায় সব পাঁচ তারা হোটেল তাদের রেস্তোরাঁয় বিশেষ শেফ, আলাদা কনসেপ্ট, আর্কিটেকচার এবং আলোকসজ্জা রাখে। জোয়ি স্বীকার করেন, তিনি নিজেও অতীতে এই ভুল করেছেন। পরে তিনি রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার অভিজ্ঞতা বাদ যাওয়ায় আফসোস করেছেন। তিনি মনে করেন, অন্তত এক বেলার খাবার রেস্তোরাঁয় খেলে পুরো হোটেলের ভাবগাম্ভীর্য ভালোভাবে অনুভব করা যায়।
সাঁতারের পোশাক না নেওয়া
অনেকে মনে করেন, শীত বা শরৎকালে সাঁতারের পোশাক নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু জোয়ি জানান, এটি বড় ভুল হতে পারে। বেশির ভাগ বিলাসবহুল হোটেলে গরম পানির ইনডোর বা আউটডোর সুইমিংপুল থাকে। একটি হোটেলে তিনি গরম পানির সুন্দর পুল দেখেও নামতে পারেননি সুইম স্যুট না থাকায়। তাঁর মতে, ব্যাগে একটি সাঁতারের পোশাক রাখা ভালো সিদ্ধান্ত।
টার্নডাউন সার্ভিস ফিরিয়ে দেওয়া
টার্নডাউন সার্ভিসকে অনেকে অপ্রয়োজনীয় ভাবেন। কিন্তু জোয়ির অভিজ্ঞতা বলছে, এটি আসলে পাঁচ তারা অভিজ্ঞতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সন্ধ্যার দিকে স্টাফরা এসে ঘরটিকে আরামদায়ক করে সাজিয়ে দেন। বিছানা ঠিক করেন, আলোর মাত্রা কমিয়ে দেন এবং ছোটখাটো উপহার রাখেন। তিনি মিলানের এক হোটেলে প্রথমবার এই সেবার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। এরপর থেকে আর কখনো এই সেবা পেতে মিস করেননি। কারণ, এটি পাঁচ তারা হোটেলে থাকার পুরো অভিজ্ঞতাকে অনেক বেশি আরামদায়ক করে তোলে।
মাত্র এক রাতের জন্য বুকিং করা
অনেকে ভাবেন, এক রাতেই বিলাসবহুল হোটেলের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। কিন্তু জোয়ি বলছেন, এটি বাস্তবে সম্ভব নয়। সাধারণত চেক-ইন বিকেল চারটায় এবং পরদিন চেক-আউট বেলা ১১টায় হওয়ায় সময় থাকে খুব কম। স্পা, জিম, সুইমিংপুল, স্কাইবার, রেস্তোরাঁ, ফিটনেস ক্লাস বা বিশেষ কর্মকাণ্ডগুলো উপভোগ করার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না এক দিনের বুকিংয়ে। তিনি মনে করেন, পাঁচ তারা অভিজ্ঞতা পেতে হলে অন্তত দুই রাত থাকা উচিত।
জোয়ি হাডেনের মতে, পাঁচ তারা হোটেল মানে শুধু দামি রুম বা বড় বিছানা নয়। এটি আপনার স্মরণীয় এক অভিজ্ঞতা হতে পারে। কিন্তু ছোট ছোট ভুলের কারণে সেই অভিজ্ঞতা আপনি না-ও পেতে পারেন। তাই যাত্রার আগে পরিকল্পনা করা, অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে চলা, হোটেলের সেবাগুলো বুঝে ব্যবহার করা এবং একটু সময় নিয়ে চারপাশ উপভোগ করলে যেকোনো ভ্রমণ আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট হয়ে যায়।
অপ্রয়োজনীয় টয়লেট্রিজ নিয়ে যাওয়া
অনেক অতিথি নিজের ব্যবহার্য শ্যাম্পু, বডিওয়াশ, সাবান বা লোশন সঙ্গে নিয়ে যান এই ভেবে যে তাঁদেরগুলোই সবচেয়ে ভালো হবে। কিন্তু জোয়ি জানিয়েছেন, এটি পাঁচ তারা হোটেলের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঝামেলা ছাড়া আর কিছু নয়। বেশির ভাগ বিলাসবহুল হোটেল বাথরুমে আন্তর্জাতিক মানের দামি টয়লেট্রিজ রাখে, যা অতিথিরা সাধারণত নিজেরা কিনতে চান না। তাই অতিথিরা যদি নিজের বোতলগুলো না এনে হোটেলের সুবিধা উপভোগ করেন, তাহলে বহনের ঝুঁকি কমবে এবং অভিজ্ঞতাও আরও উন্নত হবে।
হোটেলে লন্ড্রি করানো
বিলাসবহুল হোটেলের লন্ড্রি-সেবা বাড়তি সুবিধা। এর খরচ অনেক বেশি। জোয়ির অভিজ্ঞতায়, পাঁচ তারা হোটেলে ১৪টি জামাকাপড় ধোয়ার জন্য তাঁকে ১১৫ ডলার গুনতে হয়েছিল। সেবার মান ভালো ছিল, কিন্তু খরচ অনেক বেশি। তিনি বলেন, শুধু জরুরি পরিস্থিতিতে লন্ড্রি করানো উচিত। না হলে সেই টাকায় নতুন পোশাক কেনা যায়। ভ্রমণের সময় এমন পোশাক বেছে নিন, যেগুলোতে লন্ড্রি সার্ভিস ব্যবহার করতে হবে না।
শুধু রুম সার্ভিসে সীমাবদ্ধ থাকা
অনেক অতিথি মনে করেন, রুমে বসে নিরিবিলি খাবার খেতে হবে। কিন্তু এতে পাঁচ তারা হোটেলের নিজস্ব রেস্তোরাঁর অভিজ্ঞতা নেওয়া বাদ থেকে যায়। প্রায় সব পাঁচ তারা হোটেল তাদের রেস্তোরাঁয় বিশেষ শেফ, আলাদা কনসেপ্ট, আর্কিটেকচার এবং আলোকসজ্জা রাখে। জোয়ি স্বীকার করেন, তিনি নিজেও অতীতে এই ভুল করেছেন। পরে তিনি রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়ার অভিজ্ঞতা বাদ যাওয়ায় আফসোস করেছেন। তিনি মনে করেন, অন্তত এক বেলার খাবার রেস্তোরাঁয় খেলে পুরো হোটেলের ভাবগাম্ভীর্য ভালোভাবে অনুভব করা যায়।
সাঁতারের পোশাক না নেওয়া
অনেকে মনে করেন, শীত বা শরৎকালে সাঁতারের পোশাক নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু জোয়ি জানান, এটি বড় ভুল হতে পারে। বেশির ভাগ বিলাসবহুল হোটেলে গরম পানির ইনডোর বা আউটডোর সুইমিংপুল থাকে। একটি হোটেলে তিনি গরম পানির সুন্দর পুল দেখেও নামতে পারেননি সুইম স্যুট না থাকায়। তাঁর মতে, ব্যাগে একটি সাঁতারের পোশাক রাখা ভালো সিদ্ধান্ত।
টার্নডাউন সার্ভিস ফিরিয়ে দেওয়া
টার্নডাউন সার্ভিসকে অনেকে অপ্রয়োজনীয় ভাবেন। কিন্তু জোয়ির অভিজ্ঞতা বলছে, এটি আসলে পাঁচ তারা অভিজ্ঞতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সন্ধ্যার দিকে স্টাফরা এসে ঘরটিকে আরামদায়ক করে সাজিয়ে দেন। বিছানা ঠিক করেন, আলোর মাত্রা কমিয়ে দেন এবং ছোটখাটো উপহার রাখেন। তিনি মিলানের এক হোটেলে প্রথমবার এই সেবার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। এরপর থেকে আর কখনো এই সেবা পেতে মিস করেননি। কারণ, এটি পাঁচ তারা হোটেলে থাকার পুরো অভিজ্ঞতাকে অনেক বেশি আরামদায়ক করে তোলে।
মাত্র এক রাতের জন্য বুকিং করা
অনেকে ভাবেন, এক রাতেই বিলাসবহুল হোটেলের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। কিন্তু জোয়ি বলছেন, এটি বাস্তবে সম্ভব নয়। সাধারণত চেক-ইন বিকেল চারটায় এবং পরদিন চেক-আউট বেলা ১১টায় হওয়ায় সময় থাকে খুব কম। স্পা, জিম, সুইমিংপুল, স্কাইবার, রেস্তোরাঁ, ফিটনেস ক্লাস বা বিশেষ কর্মকাণ্ডগুলো উপভোগ করার পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না এক দিনের বুকিংয়ে। তিনি মনে করেন, পাঁচ তারা অভিজ্ঞতা পেতে হলে অন্তত দুই রাত থাকা উচিত।
জোয়ি হাডেনের মতে, পাঁচ তারা হোটেল মানে শুধু দামি রুম বা বড় বিছানা নয়। এটি আপনার স্মরণীয় এক অভিজ্ঞতা হতে পারে। কিন্তু ছোট ছোট ভুলের কারণে সেই অভিজ্ঞতা আপনি না-ও পেতে পারেন। তাই যাত্রার আগে পরিকল্পনা করা, অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়িয়ে চলা, হোটেলের সেবাগুলো বুঝে ব্যবহার করা এবং একটু সময় নিয়ে চারপাশ উপভোগ করলে যেকোনো ভ্রমণ আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

দিনের শুরুতেই এমন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন যে মনে হবে আপনি হেঁটে নয়, মেঘে চড়ে বেড়াচ্ছেন। সাবধান! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হোঁচট খেতে পারেন, কারণ মেঘের ওপর ভরসা করে সিঁড়ি টপকানো উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বস আপনাকে এমন একটি কাজ দেবেন, যা স্বপ্নেও দেখেননি, যেমন পুরোনো ফাইলের স্তূপ থেকে হারিয়ে যাও
৭ দিন আগেবিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক। জেনে নিন, কোন দেশে কোন কারণে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন।...
১৪ মিনিট আগে
একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ।
২০ ঘণ্টা আগে
শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ। বিলাসবহুল ওভারওয়াটার ভিলা এবং সি-প্লেনের কোলাহল ছেড়ে এখন দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় সংস্কৃতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ছোঁয়া পাচ্ছেন সাধারণ ভ্রমণকারীরা।
বিবিসি ট্রাভেল শো-এর জন্য ১২ বছর আগে এই দ্বীপরাষ্ট্র ভ্রমণের সময় যে মালদ্বীপ দেখানো হয়েছিল, তা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিন্তু বর্তমানে ছবিটা বদলেছে—বিলাসবহুল লাগেজের বদলে এখন পাবলিক বোট থেকে ব্যাকপ্যাক নিয়ে নামছেন সাধারণ পরিবারের সদস্যরা। এটিই মালদ্বীপের নতুন দিক। এই প্রবণতা দ্বীপটিতে ভ্রমণ আরও সাশ্রয়ী করে তুলেছে।
গত এক দশকে মালদ্বীপের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপগুলোতে এক ‘নীরব বিপ্লব’ ঘটেছে। সরকারের সংস্কারের ফলে এখন মালদ্বীপের স্থানীয়রা জনবসতিপূর্ণ দ্বীপগুলোতে গেস্টহাউস খোলার অনুমতি পেয়েছেন। আগে শুধু জনবসতিহীন রিসোর্ট এলাকাতেই পর্যটন সীমাবদ্ধ ছিল।
মালদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই সংস্কারের ফলস্বরূপ ৯০টিরও বেশি স্থানীয় দ্বীপে ১ হাজার ২০০টিরও বেশি গেস্টহাউস চালু হয়েছে। এর ফলে ভ্রমণকারীরা প্রথমবারের মতো দেশটির প্রাত্যহিক সংস্কৃতি উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন এবং স্থানীয় পরিবারগুলো সরাসরি পর্যটন শিল্প থেকে আয় করছে। এটিই এখন পরিবারগুলোর অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
থোদ্দু দ্বীপ, মালদ্বীপের ‘কৃষি দ্বীপ’ নামে পরিচিত। উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এই দ্বীপে পা রাখতেই তরমুজ ও লবণের মৃদু গন্ধ নাকে আসে। এখানে সমুদ্রবিমানের গমগম আওয়াজের বদলে শোনা যায় মোটরসাইকেলের ক্ষীণ শব্দ। রাজধানী মালের বিলাসবহুল রিসোর্ট জীবনের তুলনায় থোদ্দুর পরিবেশ শান্ত ও নিরিবিলি।
মালে থেকে পাবলিক স্পিডবোটে যেতে সময় লাগে ৯০ মিনিট, যার খরচ বিলাসবহুল রিসোর্ট সি-প্লেনের খরচের তুলনায় অনেক কম। দ্বীপে কোনো গাড়ি নেই, কেবল সাইকেল এবং মাঝে মাঝে ইলেকট্রিক বাগি (অটোরিকশার মতো) দেখা যায়। নারিকেল গাছের সারির মাঝে এখানে পেঁপে ও তরমুজের খেত বিস্তৃত। ফিরোজা রঙের পানিবেষ্টিত এই দ্বীপের সৌন্দর্য নয়নজুড়ানো।
এখানকার গেস্টহাউসটি সাদামাটা হলেও সেখানকার আতিথেয়তা অত্যন্ত আন্তরিক। খাবার একেবারে ঘরের রান্না—কয়েক ঘণ্টা আগে ধরা তাজা মাছ ভাজা, স্থানীয় কুমড়ার ঝোল এবং সতেজ তরমুজের রস।
কমিউনিটি-পরিচালিত পর্যটনের এই নতুন ঢেউ দ্বীপের পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে। এখন স্থানীয়রা সরাসরি পর্যটন ডলার থেকে লাভবান হচ্ছেন। প্রবাল প্রাচীর এবং বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় সচেতন হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা।
দক্ষিণ মালে দ্বীপে অবস্থিত স্থানীয় মালিকানাধীন ‘সন সিয়াম ওলহুভেলি’ রিসোর্টে। এটি এমন একটি মধ্যম পরিসরের রিসোর্ট, যা ‘টেকসই বিলাসিতা’র নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিচ্ছে। রিসোর্টটি জমকালো, কিন্তু স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ।
‘সান সিয়াম কেয়ার্স’ কর্মসূচির অধীনে অতিথিরা সৈকত পরিষ্কার করা, প্রবাল রোপণ এবং লেগুন (ছোট জলাধার) পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন। রিসোর্টের ‘পুনর্ব্যবহার’ উদ্যোগের মাধ্যমে পুরোনো লিনেন থেকে পরিষ্কার পরিধানযোগ্য কাপড়ে তৈরি করা হচ্ছে। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এখনো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ব্যক্তিগত রিসোর্টের গণ্ডি পেরিয়ে মালদ্বীপ সরকার এখন পরিবেশ নীতি ও পর্যটনের মধ্যে সমন্বয় ঘটাচ্ছে। পর্যটন ও পরিবেশ মন্ত্রী থরিক ইব্রাহিম এই কৌশলটি সংক্ষিপ্ত করে বলেছেন: ‘আমাদের আদি পরিবেশই আমাদের মৌলিক সম্পদ। আমরা পরিবেশের বিনিময়ে প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটছি না।’
প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জুর অধীনে, মালদ্বীপ ২০২৮ সালের মধ্যে তার ৩৩ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
ভ্রমণের কিছু টিপস:
সংস্কৃতি এবং আরাম—উভয় অভিজ্ঞতা পেতে স্থানীয় গেস্টহাউস এবং রিসোর্টের মধ্যে আপনার থাকার সময় ভাগ করে নিন; থোদ্দুর মতো দ্বীপগুলোতে পাবলিক স্পিডবোটে জনপ্রতি একমুখী খরচ ৩০-৭০ মার্কিন ডলার। পিক সিজনে যেতে চাইলে আগেভাগে বুক করুন; প্রবাল-বান্ধব সানস্ক্রিন, স্নরকেল গিয়ার এবং রিফ শু অবশ্যই ব্যাগে রাখুন; শুধু নির্দিষ্ট ‘বিকিনি বিচ’-এ সাঁতার বা রোদ পোহান; গ্রামে বিনয়ী পোশাক পরুন; স্থানীয় দ্বীপগুলোতে মদ নিষিদ্ধ; প্রবাল-বান্ধব কার্যক্রমে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডাইভ এবং ট্যুর কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে বুকিং করুন।
গেস্টহাউসগুলোর ভাড়া প্রতি রাতে ৫০-৬০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু। সান সিয়াম ওলহুভেলির মতো মধ্যম-পরিসরের রিসোর্টগুলো ৪৯৯ ডলারে বেশি; অতি-বিলাসবহুল রিসোর্টগুলো ১ হাজার ডলার থেকে শুরু।

একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ। বিলাসবহুল ওভারওয়াটার ভিলা এবং সি-প্লেনের কোলাহল ছেড়ে এখন দ্বীপপুঞ্জের স্থানীয় সংস্কৃতি এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ছোঁয়া পাচ্ছেন সাধারণ ভ্রমণকারীরা।
বিবিসি ট্রাভেল শো-এর জন্য ১২ বছর আগে এই দ্বীপরাষ্ট্র ভ্রমণের সময় যে মালদ্বীপ দেখানো হয়েছিল, তা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিন্তু বর্তমানে ছবিটা বদলেছে—বিলাসবহুল লাগেজের বদলে এখন পাবলিক বোট থেকে ব্যাকপ্যাক নিয়ে নামছেন সাধারণ পরিবারের সদস্যরা। এটিই মালদ্বীপের নতুন দিক। এই প্রবণতা দ্বীপটিতে ভ্রমণ আরও সাশ্রয়ী করে তুলেছে।
গত এক দশকে মালদ্বীপের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপগুলোতে এক ‘নীরব বিপ্লব’ ঘটেছে। সরকারের সংস্কারের ফলে এখন মালদ্বীপের স্থানীয়রা জনবসতিপূর্ণ দ্বীপগুলোতে গেস্টহাউস খোলার অনুমতি পেয়েছেন। আগে শুধু জনবসতিহীন রিসোর্ট এলাকাতেই পর্যটন সীমাবদ্ধ ছিল।
মালদ্বীপের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই সংস্কারের ফলস্বরূপ ৯০টিরও বেশি স্থানীয় দ্বীপে ১ হাজার ২০০টিরও বেশি গেস্টহাউস চালু হয়েছে। এর ফলে ভ্রমণকারীরা প্রথমবারের মতো দেশটির প্রাত্যহিক সংস্কৃতি উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন এবং স্থানীয় পরিবারগুলো সরাসরি পর্যটন শিল্প থেকে আয় করছে। এটিই এখন পরিবারগুলোর অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
থোদ্দু দ্বীপ, মালদ্বীপের ‘কৃষি দ্বীপ’ নামে পরিচিত। উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এই দ্বীপে পা রাখতেই তরমুজ ও লবণের মৃদু গন্ধ নাকে আসে। এখানে সমুদ্রবিমানের গমগম আওয়াজের বদলে শোনা যায় মোটরসাইকেলের ক্ষীণ শব্দ। রাজধানী মালের বিলাসবহুল রিসোর্ট জীবনের তুলনায় থোদ্দুর পরিবেশ শান্ত ও নিরিবিলি।
মালে থেকে পাবলিক স্পিডবোটে যেতে সময় লাগে ৯০ মিনিট, যার খরচ বিলাসবহুল রিসোর্ট সি-প্লেনের খরচের তুলনায় অনেক কম। দ্বীপে কোনো গাড়ি নেই, কেবল সাইকেল এবং মাঝে মাঝে ইলেকট্রিক বাগি (অটোরিকশার মতো) দেখা যায়। নারিকেল গাছের সারির মাঝে এখানে পেঁপে ও তরমুজের খেত বিস্তৃত। ফিরোজা রঙের পানিবেষ্টিত এই দ্বীপের সৌন্দর্য নয়নজুড়ানো।
এখানকার গেস্টহাউসটি সাদামাটা হলেও সেখানকার আতিথেয়তা অত্যন্ত আন্তরিক। খাবার একেবারে ঘরের রান্না—কয়েক ঘণ্টা আগে ধরা তাজা মাছ ভাজা, স্থানীয় কুমড়ার ঝোল এবং সতেজ তরমুজের রস।
কমিউনিটি-পরিচালিত পর্যটনের এই নতুন ঢেউ দ্বীপের পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে। এখন স্থানীয়রা সরাসরি পর্যটন ডলার থেকে লাভবান হচ্ছেন। প্রবাল প্রাচীর এবং বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় সচেতন হয়ে উঠছেন স্থানীয়রা।
দক্ষিণ মালে দ্বীপে অবস্থিত স্থানীয় মালিকানাধীন ‘সন সিয়াম ওলহুভেলি’ রিসোর্টে। এটি এমন একটি মধ্যম পরিসরের রিসোর্ট, যা ‘টেকসই বিলাসিতা’র নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিচ্ছে। রিসোর্টটি জমকালো, কিন্তু স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ।
‘সান সিয়াম কেয়ার্স’ কর্মসূচির অধীনে অতিথিরা সৈকত পরিষ্কার করা, প্রবাল রোপণ এবং লেগুন (ছোট জলাধার) পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন। রিসোর্টের ‘পুনর্ব্যবহার’ উদ্যোগের মাধ্যমে পুরোনো লিনেন থেকে পরিষ্কার পরিধানযোগ্য কাপড়ে তৈরি করা হচ্ছে। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এখনো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ব্যক্তিগত রিসোর্টের গণ্ডি পেরিয়ে মালদ্বীপ সরকার এখন পরিবেশ নীতি ও পর্যটনের মধ্যে সমন্বয় ঘটাচ্ছে। পর্যটন ও পরিবেশ মন্ত্রী থরিক ইব্রাহিম এই কৌশলটি সংক্ষিপ্ত করে বলেছেন: ‘আমাদের আদি পরিবেশই আমাদের মৌলিক সম্পদ। আমরা পরিবেশের বিনিময়ে প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটছি না।’
প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জুর অধীনে, মালদ্বীপ ২০২৮ সালের মধ্যে তার ৩৩ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
ভ্রমণের কিছু টিপস:
সংস্কৃতি এবং আরাম—উভয় অভিজ্ঞতা পেতে স্থানীয় গেস্টহাউস এবং রিসোর্টের মধ্যে আপনার থাকার সময় ভাগ করে নিন; থোদ্দুর মতো দ্বীপগুলোতে পাবলিক স্পিডবোটে জনপ্রতি একমুখী খরচ ৩০-৭০ মার্কিন ডলার। পিক সিজনে যেতে চাইলে আগেভাগে বুক করুন; প্রবাল-বান্ধব সানস্ক্রিন, স্নরকেল গিয়ার এবং রিফ শু অবশ্যই ব্যাগে রাখুন; শুধু নির্দিষ্ট ‘বিকিনি বিচ’-এ সাঁতার বা রোদ পোহান; গ্রামে বিনয়ী পোশাক পরুন; স্থানীয় দ্বীপগুলোতে মদ নিষিদ্ধ; প্রবাল-বান্ধব কার্যক্রমে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডাইভ এবং ট্যুর কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে বুকিং করুন।
গেস্টহাউসগুলোর ভাড়া প্রতি রাতে ৫০-৬০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু। সান সিয়াম ওলহুভেলির মতো মধ্যম-পরিসরের রিসোর্টগুলো ৪৯৯ ডলারে বেশি; অতি-বিলাসবহুল রিসোর্টগুলো ১ হাজার ডলার থেকে শুরু।

দিনের শুরুতেই এমন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন যে মনে হবে আপনি হেঁটে নয়, মেঘে চড়ে বেড়াচ্ছেন। সাবধান! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হোঁচট খেতে পারেন, কারণ মেঘের ওপর ভরসা করে সিঁড়ি টপকানো উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বস আপনাকে এমন একটি কাজ দেবেন, যা স্বপ্নেও দেখেননি, যেমন পুরোনো ফাইলের স্তূপ থেকে হারিয়ে যাও
৭ দিন আগেবিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক। জেনে নিন, কোন দেশে কোন কারণে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন।...
১৪ মিনিট আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট...
২০ ঘণ্টা আগে
শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে। বাড়তি উষ্ণতা আর আরাম পেতে এই যে অভ্যাস তা কিন্তু অনেক সময় স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির।
বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সতর্ক করে বলছেন, ঘুমের সময় মুখ ঢেকে রাখলে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি হতে পারে, ঘুমের মান নষ্ট হতে পারে এবং শ্বাসযন্ত্রে বাড়তি চাপ পড়তে পারে। বিশেষত যাদের ফুসফুসসংক্রান্ত বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের এ ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত। আরামদায়ক মনে হলেও, শীতকালের এই অভ্যাস মুখের চারপাশে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, অক্সিজেন গ্রহণ কমিয়ে দিতে পারে এবং ত্বকের আশেপাশে অতিরিক্ত উষ্ণতা ও আর্দ্রতা আটকে রাখতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এতে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে, ঘুমের মান আরও খারাপ হতে পারে, এমনকি হৃদ্রোগের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাসের ফলে শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়। পাশাপাশি বায়ুদূষণ তো আছেই। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমতে থাকায় দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে শ্বাসযন্ত্রে। এর সঙ্গে রাতের বেলা এই লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানো বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে স্বাস্থ্যঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
শীতকালে মুখ ঢেকে ঘুমালে যা হয়
ঘুমের সময় লেপ বা কম্বল মাথা পর্যন্ত টেনে দিলে এর ভেতরে বিশেষ করে নাক ও মুখের চারপাশে একটি ছোট বন্ধ পরিবেশ তৈরি হয়। বাইরে থেকে বাতাস চলাচল কমে যাওয়ায় নিঃশ্বাসের সঙ্গে বের হওয়া কার্বন ডাই–অক্সাইড ওই সীমিত পরিসরে আটকে যায় এবং অক্সিজেনের প্রবেশ কমে যায়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাথা ঢেকে রাখলে ‘রিবার্দিং রেট’ অর্থাৎ নিজের নিঃশ্বাস থেকে নির্গত বাতাসই বারবার পুনরায় শ্বাস নেওয়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এর ফলে অক্সিজেন কমে যাওয়া এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে যাওয়ার কারণে শ্বাস নিতে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। এর ফলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, অস্থির ঘুম বা ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত অনুভব করার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের শ্বাসযন্ত্র দুর্বল বা আগে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এই কাজ।

এছাড়া মুখ ঢেকে ঘুমালে অতিরিক্ত তাপ ও আর্দ্রতা লেপ-কম্বলের ভেতরে আটকে থাকে। এতে মাথার আশেপাশের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার মাত্রা বেড়ে যায়, যা গভীর ও প্রশান্ত ঘুমের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অনেকেই জানান, এতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া এবং ঘাম হওয়াসহ ঘুমের মান খারাপ হয়ে গিয়েছে।
স্লিপিং এক্সপার্টরা বলছেন, ভালো ঘুম কেবল ঘুমের সময়সীমার ওপর নির্ভর করে না। সঠিক বাতাস চলাচল, স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস এবং শরীরের স্থিতিশীল তাপমাত্রা বজায় থাকাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর যেকোনোটি ব্যাহত হলে ঘুমের মান কমে যায়। ফলে ঘুম থেকে ওঠার পর মস্তিষ্কের কার্যক্রম, মন, সতর্কতা এবং পুরো শরীরের ওপরহ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
কারা বেশি ঝুঁকিতে, কেন শীতকালে ঝুঁকি আরও বাড়ে
তরুণবয়সী বা সম্পূর্ণ সুস্থ কেউ সাময়িক সময়ের জন্য মুখ ঢেকে ঘুমালে বড় ধরনের সমস্যা নাও হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি ঝুঁকিতে থাকেন যাঁরা—
১. যাদের হাঁপানির মতো দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। বাতাস চলাচল কমে গেলে বা তাপমাত্রা বদলালে তাদের শ্বাসপ্রশ্বাস খুব সহজেই বিঘ্নিত হয়।
২. শিশু ও নবজাতক, যাদের শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিকভাবেই এখনো বিকাশমান। গবেষণায় দেখা গেছে, মুখ ঢেকে ঘুমালে নবজাতকের মুখের আশপাশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায় এবং ঘুমের মধ্যে জেগে ওঠার প্রতিক্রিয়া কমে যায়। এ কারণে শিশুমৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
৩. নিদ্রাকালীন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা (যেমন- স্লিপ অ্যাপনিয়া) আছে এমন ব্যক্তি। মুখ ঢেকে ঘুমালে শ্বাস-প্রশ্বাসের বাতাস চলাচলের জায়গা সীমিত হয়ে পড়ে বলে তাদের রাতের ঘুমে শ্বাস নিতে আরও বেশি কষ্ট হতে পারে।

শীতকালে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় যেসব কারণে
১. ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস শ্বাসনালীকে উত্তেজিত করে এবং ব্রঙ্কিয়াল সংকোচন ঘটাতে পারে।
২. ঘরের হিটার বা জানালা বন্ধ থাকার কারণে বাতাস চলাচল কমে যায়।
৩. শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বেড়ে যায়, যা ফুসফুসের ওপর আগেই অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।
মুখ না ঢেকে শরীর উষ্ণ রাখতে পারেন যেভাবে
উষ্ণ থাকতে হলে মুখ ঢাকাই একমাত্র উপায় নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি সহজ অভ্যাসের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে শরীর উষ্ণ করে আরামদায়ক ঘুম নিশ্চিত করা যেতে পারে। অভ্যাসগুলো হলো—
১. লেপ মাথার ওপর টেনে দেওয়ার বদলে বাড়তি পোশাক পরুন।
২. শরীর ঢেকে রাখুন, মাথা বা মুখ নয়; নাক-মুখ খোলা রাখলে তাজা বাতাস প্রবেশ করবে।
৩. ঘরের বাতাস চলাচল নিশ্চিত করুন। দূষণের মাত্রা সহনীয় হলে জানালা অল্প খুলে রাখা বা বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করাও জরুরি।
৪. যাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা আছে, তারা শুষ্ক বাতাস কমাতে হিউমিডিফায়ার বা ঘরের এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘর অতিরিক্ত গরম করবেন না।
৫. খুব ভারী লেপ বা কম্বল মুখের ওপর টেনে দেবেন না, কাঁধের নিচ পর্যন্ত রাখুন। এতে উষ্ণতা বজায় থাকবে, আবার শ্বাস নেওয়ার পর্যাপ্ত জায়গাও মিলবে।
শীতের রাতে লেপ বা কম্বল মুড়ে যে আরাম ও উষ্ণতা পাওয়া যায়, তার লোভ এড়ানো মুশকিল। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে এর উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই বেশি। এ কারণে ঘুমের মধ্যেও লেপ বা কম্বল মাথার ওপর টেনে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ অক্সিজেন স্বল্পতা শরীরের জন্য উষ্ণতার আরামের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতির। এই সাধারণ বিষয়টিও শ্বাসপ্রশ্বাস, ঘুমের মান এবং দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আর এ সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি থাকে নবজাতক, শিশু এবং শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে। তাই সুস্থ প্রাপ্তবয়স্করাও নিজেদের পাশাপাশি খেয়াল রাখবেন পরিবারের শিশু-বৃদ্ধ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তির ঘুমের কোনো ব্যাঘাত হচ্ছে কি না।

শীতের আদুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাত বাড়তেই বাতাসের শীতলতা বাড়তে থাকে। শীতের সময় লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকেরই। আবার শীতের সঙ্গে লড়াই করতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে ঘুমান অনেকে। বাড়তি উষ্ণতা আর আরাম পেতে এই যে অভ্যাস তা কিন্তু অনেক সময় স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকির।
বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সতর্ক করে বলছেন, ঘুমের সময় মুখ ঢেকে রাখলে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা সৃষ্টি হতে পারে, ঘুমের মান নষ্ট হতে পারে এবং শ্বাসযন্ত্রে বাড়তি চাপ পড়তে পারে। বিশেষত যাদের ফুসফুসসংক্রান্ত বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের এ ব্যাপারে সাবধান থাকা উচিত। আরামদায়ক মনে হলেও, শীতকালের এই অভ্যাস মুখের চারপাশে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, অক্সিজেন গ্রহণ কমিয়ে দিতে পারে এবং ত্বকের আশেপাশে অতিরিক্ত উষ্ণতা ও আর্দ্রতা আটকে রাখতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এতে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে, ঘুমের মান আরও খারাপ হতে পারে, এমনকি হৃদ্রোগের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাসের ফলে শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়। পাশাপাশি বায়ুদূষণ তো আছেই। শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতা কমতে থাকায় দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে শ্বাসযন্ত্রে। এর সঙ্গে রাতের বেলা এই লেপ-কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমানো বাতাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে স্বাস্থ্যঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
শীতকালে মুখ ঢেকে ঘুমালে যা হয়
ঘুমের সময় লেপ বা কম্বল মাথা পর্যন্ত টেনে দিলে এর ভেতরে বিশেষ করে নাক ও মুখের চারপাশে একটি ছোট বন্ধ পরিবেশ তৈরি হয়। বাইরে থেকে বাতাস চলাচল কমে যাওয়ায় নিঃশ্বাসের সঙ্গে বের হওয়া কার্বন ডাই–অক্সাইড ওই সীমিত পরিসরে আটকে যায় এবং অক্সিজেনের প্রবেশ কমে যায়।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাথা ঢেকে রাখলে ‘রিবার্দিং রেট’ অর্থাৎ নিজের নিঃশ্বাস থেকে নির্গত বাতাসই বারবার পুনরায় শ্বাস নেওয়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এর ফলে অক্সিজেন কমে যাওয়া এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বেড়ে যাওয়ার কারণে শ্বাস নিতে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। এর ফলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা, অস্থির ঘুম বা ঘুম থেকে উঠে ক্লান্ত অনুভব করার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের শ্বাসযন্ত্র দুর্বল বা আগে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এই কাজ।

এছাড়া মুখ ঢেকে ঘুমালে অতিরিক্ত তাপ ও আর্দ্রতা লেপ-কম্বলের ভেতরে আটকে থাকে। এতে মাথার আশেপাশের তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার মাত্রা বেড়ে যায়, যা গভীর ও প্রশান্ত ঘুমের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। অনেকেই জানান, এতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া এবং ঘাম হওয়াসহ ঘুমের মান খারাপ হয়ে গিয়েছে।
স্লিপিং এক্সপার্টরা বলছেন, ভালো ঘুম কেবল ঘুমের সময়সীমার ওপর নির্ভর করে না। সঠিক বাতাস চলাচল, স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস এবং শরীরের স্থিতিশীল তাপমাত্রা বজায় থাকাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর যেকোনোটি ব্যাহত হলে ঘুমের মান কমে যায়। ফলে ঘুম থেকে ওঠার পর মস্তিষ্কের কার্যক্রম, মন, সতর্কতা এবং পুরো শরীরের ওপরহ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
কারা বেশি ঝুঁকিতে, কেন শীতকালে ঝুঁকি আরও বাড়ে
তরুণবয়সী বা সম্পূর্ণ সুস্থ কেউ সাময়িক সময়ের জন্য মুখ ঢেকে ঘুমালে বড় ধরনের সমস্যা নাও হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি ঝুঁকিতে থাকেন যাঁরা—
১. যাদের হাঁপানির মতো দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। বাতাস চলাচল কমে গেলে বা তাপমাত্রা বদলালে তাদের শ্বাসপ্রশ্বাস খুব সহজেই বিঘ্নিত হয়।
২. শিশু ও নবজাতক, যাদের শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ স্বাভাবিকভাবেই এখনো বিকাশমান। গবেষণায় দেখা গেছে, মুখ ঢেকে ঘুমালে নবজাতকের মুখের আশপাশে কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায় এবং ঘুমের মধ্যে জেগে ওঠার প্রতিক্রিয়া কমে যায়। এ কারণে শিশুমৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
৩. নিদ্রাকালীন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা (যেমন- স্লিপ অ্যাপনিয়া) আছে এমন ব্যক্তি। মুখ ঢেকে ঘুমালে শ্বাস-প্রশ্বাসের বাতাস চলাচলের জায়গা সীমিত হয়ে পড়ে বলে তাদের রাতের ঘুমে শ্বাস নিতে আরও বেশি কষ্ট হতে পারে।

শীতকালে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায় যেসব কারণে
১. ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস শ্বাসনালীকে উত্তেজিত করে এবং ব্রঙ্কিয়াল সংকোচন ঘটাতে পারে।
২. ঘরের হিটার বা জানালা বন্ধ থাকার কারণে বাতাস চলাচল কমে যায়।
৩. শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বেড়ে যায়, যা ফুসফুসের ওপর আগেই অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।
মুখ না ঢেকে শরীর উষ্ণ রাখতে পারেন যেভাবে
উষ্ণ থাকতে হলে মুখ ঢাকাই একমাত্র উপায় নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি সহজ অভ্যাসের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে শরীর উষ্ণ করে আরামদায়ক ঘুম নিশ্চিত করা যেতে পারে। অভ্যাসগুলো হলো—
১. লেপ মাথার ওপর টেনে দেওয়ার বদলে বাড়তি পোশাক পরুন।
২. শরীর ঢেকে রাখুন, মাথা বা মুখ নয়; নাক-মুখ খোলা রাখলে তাজা বাতাস প্রবেশ করবে।
৩. ঘরের বাতাস চলাচল নিশ্চিত করুন। দূষণের মাত্রা সহনীয় হলে জানালা অল্প খুলে রাখা বা বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করাও জরুরি।
৪. যাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা আছে, তারা শুষ্ক বাতাস কমাতে হিউমিডিফায়ার বা ঘরের এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘর অতিরিক্ত গরম করবেন না।
৫. খুব ভারী লেপ বা কম্বল মুখের ওপর টেনে দেবেন না, কাঁধের নিচ পর্যন্ত রাখুন। এতে উষ্ণতা বজায় থাকবে, আবার শ্বাস নেওয়ার পর্যাপ্ত জায়গাও মিলবে।
শীতের রাতে লেপ বা কম্বল মুড়ে যে আরাম ও উষ্ণতা পাওয়া যায়, তার লোভ এড়ানো মুশকিল। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে এর উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই বেশি। এ কারণে ঘুমের মধ্যেও লেপ বা কম্বল মাথার ওপর টেনে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ অক্সিজেন স্বল্পতা শরীরের জন্য উষ্ণতার আরামের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতির। এই সাধারণ বিষয়টিও শ্বাসপ্রশ্বাস, ঘুমের মান এবং দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আর এ সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি থাকে নবজাতক, শিশু এবং শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতা থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে। তাই সুস্থ প্রাপ্তবয়স্করাও নিজেদের পাশাপাশি খেয়াল রাখবেন পরিবারের শিশু-বৃদ্ধ ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তির ঘুমের কোনো ব্যাঘাত হচ্ছে কি না।

দিনের শুরুতেই এমন এক আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থাকবেন যে মনে হবে আপনি হেঁটে নয়, মেঘে চড়ে বেড়াচ্ছেন। সাবধান! সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হোঁচট খেতে পারেন, কারণ মেঘের ওপর ভরসা করে সিঁড়ি টপকানো উচিত নয়। কর্মক্ষেত্রে হঠাৎ করেই বস আপনাকে এমন একটি কাজ দেবেন, যা স্বপ্নেও দেখেননি, যেমন পুরোনো ফাইলের স্তূপ থেকে হারিয়ে যাও
৭ দিন আগেবিদেশে ভ্রমণের সময় স্থানীয় আইন না জানার কারণে বহু পর্যটক অজান্তেই নিয়ম ভেঙে ফেলেন। এসব ভুলের কারণে লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হয়। এমনকি গ্রেপ্তার পর্যন্ত হতে পারে যেকোনো পর্যটক। জেনে নিন, কোন দেশে কোন কারণে জরিমানার মুখে পড়তে পারেন।...
১৪ মিনিট আগে
বিশ্বের নানা প্রান্তের বিলাসবহুল হোটেলে থাকার পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ‘বিজনেস ইনসাইডার’-এর ভ্রমণবিষয়ক সাংবাদিক জোয়ি হাডেনের। তিনি দেখেছেন, অনেক অতিথি অজান্তেই কিছু ভুল করেন। পাঁচ তারা হোটেল মানেই কেবল আরাম করা নয়; এর সঙ্গে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নেওয়া। কিন্তু কিছু ছোট ভুলে সেই অভিজ্ঞতার বড় অংশই নষ্ট...
২০ ঘণ্টা আগে
একসময় পৃথিবীর অতি-ধনীদের একান্ত গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ এখন স্থানীয় ও টেকসই পর্যটনের নতুন মডেল। এই নীরব বিপ্লব কার্যত পাল্টে দিচ্ছে এই সাগর স্বর্গ-এর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ।
২০ ঘণ্টা আগে