Ajker Patrika

নতুন বাগানিরা জেনে নিন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ১৪ জুন ২০২৫, ২১: ১০
শহরে ছোট পরিসরে বাগান করার প্রবণতা বাড়ছে দিন দিন। ছবি: পেক্সেলস
শহরে ছোট পরিসরে বাগান করার প্রবণতা বাড়ছে দিন দিন। ছবি: পেক্সেলস
শুরুতেই বড় পরিসরের বাগান করলে রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই প্রথমে তুলসী, ল্যাভেন্ডার, মানিপ্লান্ট বা টমেটোর মতো গাছ দিয়ে শুরু করুন। আর জেনে নিতে পারেন যত্নের নিয়মগুলো।

শহরের বাসাগুলোর একফালি বারান্দায় বিভিন্ন প্রজাতির রংবেরঙের গাছ চোখ জুড়িয়ে দেয় এখন। মানুষ এখন শখে বাগান করছেন। দিন দিন এই শখের বাগানিদের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু গাছ লাগানো আর সেটিকে টিকিয়ে রাখা—দুটো এক নয়। অনেকে ভালোবাসা থেকে গাছ রোপণ করলেও পরিচর্যার কিছু সাধারণ ভুলে কাঙ্ক্ষিত ফল পান না। জেনে রাখা ভালো যে শুরুতে বড় পরিসরের বাগান করলে রক্ষণাবেক্ষণ কঠিন হয়ে পড়ে। তাই প্রথমে তুলসী, ল্যাভেন্ডার, মানিপ্লান্ট বা টমেটোর মতো গাছ দিয়ে শুরু করুন। আর জেনে নিন যত্নের নিয়মগুলো।

মানসিক প্রস্তুতি নিন

বাগান করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি! বিস্মিত হওয়ার মতোই কথা বটে। কিন্তু বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। বারান্দা, ছাদ কিংবা ছোট্ট খোলা জায়গায় গাছ পুঁতে দেওয়া এক কথা, আর বাগান তৈরি করা একেবারে ভিন্ন বিষয়। তার জন্য ঋতু বিষয়ে জানাশোনা, গাছের চাহিদা ও অন্যান্য বিষয় জানা থাকা দরকার। জরুরি বিষয় হলো, প্রচুর ধৈর্য প্রয়োজন বাগান করার জন্য। সেটি আছে কি না, তা আগে ভেবে দেখুন। নইলে গাছ লাগালে তা থেকে প্রত্যাশামতো ফল বা ফুল না পাওয়ার আশঙ্কা আছে। তাতে হতাশ হয়ে পড়ার আশঙ্কাও বেশি। আর তা হলে গাছের যত্ন নেওয়া হয় না। তাতে গাছ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিংবা মারা যায়। ফলে একটি বাগান তৈরি করার আগে মানসিক প্রস্তুতি নিতে হয়।

সঠিক গাছের জন্য সঠিক জায়গা নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: পেক্সেলস
সঠিক গাছের জন্য সঠিক জায়গা নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। ছবি: পেক্সেলস

সঠিক জায়গা ও সঠিক মৌসুম নির্বাচন করুন

গাছের বেঁচে থাকা ও স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক জায়গা নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, সব গাছ একই রকম আলো ও বাতাস চায় না। রোদপ্রিয় গাছকে ছায়ায় রাখলে যেমন তার বৃদ্ধি কমে যায়, ছায়াপ্রিয় গাছকে রোদে রাখলে তা ঝলসে যায়। তাই গাছ লাগানোর আগে তার আলো ও তার বেড়ে ওঠার জায়গা কেমন হওয়া উচিত, তা জেনে নিন। ভুল জায়গায় লাগানো গাছ দুর্বলভাবে বেড়ে ওঠে, কীটপতঙ্গ বা রোগে আক্রান্ত হয়, এমনকি মারা যেতে পারে। আবার শীতকালের গাছ গ্রীষ্মে লাগালে তা টিকবে না। আবার গ্রীষ্মপ্রিয় গাছ বর্ষায় পচে যেতে পারে। গাছ লাগানোর মৌসুম সম্পর্কে আগে ধারণা নিন অথবা একটি মৌসুমি ক্যালেন্ডার অনুসরণ করুন।

সঠিক মাটি বেছে নিন

সব মাটি সব গাছের উপযোগী নয়। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় মাটি শক্ত বা দোআঁশ হয়। গাছ লাগানোর আগে মাটির ধরন বুঝে তাতে জৈব সার, কোকো পিট বা গোবর মিশিয়ে প্রস্তুত করা জরুরি। টবের গাছে নিয়মিত পানি ও সার দিন। শিকড় নিচের ড্রেনেজ হোল দিয়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করলে নতুন টবে প্রতিস্থাপন করুন।

সঠিক মাটি বেছে না নিলে গাছ ঠিক ভাবে বেড়ে নাও উঠতে পারে। ছবি: পেক্সেলস
সঠিক মাটি বেছে না নিলে গাছ ঠিক ভাবে বেড়ে নাও উঠতে পারে। ছবি: পেক্সেলস

পানি দেওয়ার সঠিক পরিমাণ

গাছে পানি দেওয়া সহজ কাজ মনে হতে পারে। কিন্তু এটি কেবল পাইপ ঘোরানো বা ঝাঁজরি ধরার বিষয় নয়। সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরএইচএস অনুযায়ী, দিনের গরম সময়ে পানি দিলে মাটির ওপর থেকে তা দ্রুত বাষ্প হয়ে যায়। সকালে পানি দেওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। গাছে পরিমাণমতো পানি দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। গাছের পানির চাহিদা না জেনে পানি দিলে শিকড় পচে বা শুকিয়ে যেতে পারে। পানি দেওয়ার কোনো একক নিয়ম নেই। কারণ, প্রতিটি গাছের চাহিদা আলাদা। গাছপালা ট্যাপের পানির চেয়ে প্রাকৃতিক বৃষ্টির পানি অনেক বেশি পছন্দ করে।

পর্যাপ্ত দূরত্ব রাখুন

গাছগুলোকে বেশি ঘন করে লাগালে তারা একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আলো, পানি ও পুষ্টির জন্য। তাতে কোনো গাছই ঠিকভাবে বাড়তে পারে না। প্রতিটি গাছের পরিপূর্ণ উচ্চতা ও বিস্তৃতি বিবেচনায় রেখে দূরত্ব মেনে লাগান। আবার টবের খুব গভীরে বা খুব ওপরে গাছ লাগানো একটি সাধারণ ভুল। গাছ লাগালে এর চারপাশে প্রায় ২ সেন্টিমিটার জায়গা রাখুন।

প্রুনিং বা গাছ ছেটে দেওয়া জরুরি। তাতে গাছ আলো পায় ভালো এবং দ্রুত বেড়ে ওঠে। ছবি: পেক্সেলস
প্রুনিং বা গাছ ছেটে দেওয়া জরুরি। তাতে গাছ আলো পায় ভালো এবং দ্রুত বেড়ে ওঠে। ছবি: পেক্সেলস

ছাঁটাই না করা বা ভুলভাবে ছাঁটাই

ছাঁটাই বলতে বোঝায় মৃত, রোগাক্রান্ত এবং ক্ষতিগ্রস্ত ডালপালা কেটে ফেলা, যাতে গাছ সুস্থ থাকে। গাছের ডালপালে ছেঁটে পাতলা করলে তারা ভালোভাবে ফুল ও ফল দিতে পারে, পাতায় আলো পৌঁছায় এবং বাতাস চলাচল করে। এর ফলে কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই কমে যায়— কীটনাশক ছাড়াই। গাছের মরা বা রোগাক্রান্ত ডালপালা না কাটলে তা ছড়িয়ে পড়ে। মনে রাখবেন, হাত দিয়ে আগাছা তুললে তা বীজ ছড়াতে পারে, তাই গোড়াসহ তুলে ফেলুন। শীতকাল ছাঁটাইয়ের উপযুক্ত সময়। তবে ভুলভাবে কাটা হলে গাছে ক্ষত হয়ে তা পোকামাকড়ের আক্রমণে পড়তে পারে। তাই কোন গাছের ডালপালা কীভাবে কাটতে হয়, তা জেনে নিয়ে সময়মতো পরিষ্কার করুন।

প্রাকৃতিক পাখি ও পতঙ্গ

মৌমাছি, প্রজাপতি বা পাখি না থাকলে ফুলে পরাগায়ন হয় না, তাই ফল বা বীজ আসে না। আপনার বাগানে পাখির পানির পাত্র, মৌমাছির জন্য ফুল ও পতঙ্গদের থাকার মতো জায়গা তৈরি করুন। পাখি ক্ষতিকর পোকামাকড় খাবে। তাতে গাছের জন্য উপকারী জীববৈচিত্র্য তৈরি হবে এবং আপনার মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হবে। একটি ‘বাগন হোটেল’ও বসাতে পারেন, যাতে দরকারি পোকামাকড় আসে।

বাগানে যেন পাখি ও কীটপতঙ্গ আসে তার ব্যবস্থা করুন। ছবি: পেক্সেলস
বাগানে যেন পাখি ও কীটপতঙ্গ আসে তার ব্যবস্থা করুন। ছবি: পেক্সেলস

ভুল সরঞ্জাম ও এলোমেলো কার্যক্রম

বাগানে ছাঁটাইয়ের কাঁচি, হাত কুড়াল, পানি দেওয়ার ঝাঁঝরা—এই কয়েকটি জিনিস থাকলেই যথেষ্ট। অতিরিক্ত সরঞ্জামে না গিয়ে প্রয়োজনীয় ও মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি কিনুন। মানসম্পন্ন কিছু মৌলিক গার্ডেন টুলস এবং সেগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখুন। তাহলেই আপনার বাগান সফলভাবে গড়ে উঠবে।

সূত্র: এমএসএন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইলিশের উল্লাস

ফিচার ডেস্ক
ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা
ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

উপকরণ

ইলিশের রিং পিস ৫ থেকে ৬ টুকরা, হলুদগুঁড়া এক চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৭ থেকে ৮টি, রসুনের কোয়া ১২ থেকে ১৪টি, সিরকা ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ।

প্রণালি

রিং পিস করা ইলিশ মাছ লবণ মাখিয়ে নেওয়ার পর ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর শুকনা মরিচ, রসুনের কোয়া, সরিষাবাটা, লবণ, হলুদগুঁড়া, সিরকা দিয়ে ব্লেন্ডারে অথবা পাটায় পেস্ট করে নিন। এবার হাঁড়িতে সরিষার তেল দিন। তারপর পেস্ট করা মিশ্রণটি দিয়ে নেড়ে নিন। এরপর লবণ দিয়ে মাখা মাছ দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ করে হালকা ভেজে ঢাকনা দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট। তারপর নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ইলিশের উল্লাস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিফ মনোহারি

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ২৩
ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা
ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

উপকরণ

হাড়সহ গরুর মাংস ২ কেজি, আলু ৬টি, পেঁয়াজকুচি ২ কাপ, আদা ও রসুনবাটা ৪ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া ২ টেবিল চামচ করে, তেজপাতা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ তিন পিস করে, শাহি জিরা ১ চা-চামচ, গরমমসলা ১ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, কিশমিশ আধা কাপ।

প্রণালি

আলুর খোসা ফেলে দেওয়ার পর দুই ভাগ করে কেটে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে সরিষার তেলে ভেজে রাখুন। এবার পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কিশমিশ অল্প পানি দিয়ে মিহি করে পেস্ট করে রাখুন। তারপর মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। মিক্সিং পাত্রে অর্ধেক পেঁয়াজের কুচি, আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, লবণ ও সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। তাতে মাংস অন্তত ১ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তেজপাতা, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ, আস্ত এলাচি, দারুচিনি ও গোলমরিচের ফোড়ন দিন। এবার বাকি পেঁয়াজকুচি ও চিনি দিয়ে হালকা ভেজে নিন। তারপর মেরিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে ধনে, জিরা এবং শুকনা মরিচগুঁড়া দিয়ে মাংস খুব ভালো করে কষাতে থাকুন তেল ছাড়া পর্যন্ত। মাংস অর্ধেক সেদ্ধ হয়ে এলে ভেজে রাখা আলু, গরমমসলা এবং অল্প পানি দিয়ে আবারও কষিয়ে নিতে হবে। তারপর মাংস ও আলু পুরোপুরি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ঢাকনাসহ দমে রান্না করুন। এরপর ঝোল কমে এলে গরমমসলার গুঁড়া ও সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিন। পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কিশমিশ বেটে পেস্ট করে দিয়ে দিন। এর কিছুক্ষণ পর তেল ভেসে উঠলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। লুচি, পোলাও, পরাটা অথবা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লেবুর স্বাদে দই চিকেন

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ২৫
ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা
ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

উপকরণ

মুরগি ১টি, আদা, রসুন ও কাঁচা মরিচের বাটা ২ টেবিল চামচ করে, কালো গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ, টক দই আধা কাপ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ১ টেবিল চামচ, ঘি ৪ টেবিল চামচ, এলাচি, দারুচিনি, তেজপাতা, জয়ত্রী ২টি করে, শাহি জিরা আধা চা-চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ধনে, জিরাগুঁড়া এবং গরমমসলা পাউডার এক চা-চামচ করে, লেবুর রস ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচ ৬ থেকে ৭টি, ধনেপাতাকুচি আধা কাপ।

প্রণালি

আদা, রসুন ও কাঁচা মরিচের বাটা, কালো গোলমরিচের গুঁড়া, টক দই, লেবুর রস এবং সয়াবিন তেল দিয়ে মুরগির মাংস মেরিনেট করে রাখুন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল ও ঘি গরম হলে এলাচি, দারুচিনি, জয়ত্রী, তেজপাতা, শাহি জিরা দিয়ে ফোড়ন দিন। এবার মেরিনেট করা মাংস দিয়ে কিছুটা সময় রান্না করে পানি দিন। পানি ফুটে উঠলে ধনে, জিরা, মরিচ ও গরমমসলার গুঁড়া দিয়ে খানিক কষিয়ে নিন। এরপর লবণ ও চিনি দিয়ে দিন। শেষে তেল ভেসে এলে লেবুর রস, কাঁচা মরিচের ফালি ও ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে দুই মিনিট রান্না করে লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাঁতারের পর রুক্ষ হয়ে উঠেছে ত্বক

ফারিয়া রহমান খান 
আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৫০
সাঁতারের পর রুক্ষ হয়ে উঠেছে ত্বক

সুইমিংপুলের পানিতে দীর্ঘক্ষণ সাঁতার কাটলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এর প্রধান কারণ হলো, পানিতে থাকা ক্লোরিন। এটি পানির ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে আমাদের ত্বকের সুরক্ষা দেয়াল ভেঙে দেয়। ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব ও আর্দ্রতা হারায়। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু স্কিন কেয়ার পণ্য সুইমিংপুলের পানিতে থাকা ক্লোরিনের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করে ত্বকের শুষ্কতা বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। সেগুলো আলো সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে ত্বকে জ্বালা, র‍্যাশ বা সানট্যানের ঝুঁকি বাড়ায়।

সাঁতারের আগে যেসব উপাদান ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না

ত্বক বিশেষজ্ঞরা বহুল ব্যবহৃত কিছু উপাদানের কথা বলেছেন, যেগুলো পানির ক্লোরিনের সঙ্গে মিশলে ত্বকের ক্ষতি করে।

  • রেটিনল: বলিরেখা দূর করা এবং তারুণ্য ধরে রাখার জন্য ব্যবহৃত এই উপাদান বেশ সংবেদনশীল। ক্লোরিনের সংস্পর্শে এলে এটি ত্বকের উপকারের চেয়ে ক্ষতি করে বেশি।
  • আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড এবং বিটা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড: গ্লাইকোলিক, ল্যাকটিক বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিডের মতো উপাদানগুলো ত্বক এক্সফোলিয়েট করে। কিন্তু ক্লোরিনের সঙ্গে মিশলে এগুলো তেল দ্রুত শুষে নিয়ে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক করে দেয়।
  • বেনজয়েল পারক্সাইড: এটি ব্রণের চিকিৎসায় খুব ভালো কাজ করে। কিন্তু ক্লোরিনের প্রভাবে এর ত্বক শুষ্ক করার ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়।
  • সাঁতারের আগে এই উপাদানগুলো ব্যবহার করলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। এ ছাড়া পানিতে থাকা ক্লোরিন এগুলোর কার্যকারিতাও নষ্ট করে দেয়।

সাঁতারের আগে কী ব্যবহার করতে হবে

বিষয়টি এমন নয় যে সাঁতার এবং সুস্থ ত্বকের মধ্যে আপনাকে যেকোনো

একটি বেছে নিতে হবে। সাঁতার কাটতে যাওয়ার আগে আপনার রুটিনে কিছু কোমল উপাদান অন্তর্ভুক্ত করলে আর তেমন কোনো ঝুঁকি থাকবে না। ত্বক বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ হিসেবে যে উপাদানগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো হলো—

  • বাকুচিওল: এটি রেটিনলের মতো কার্যকর। কিন্তু ত্বকের জন্য অনেক বেশি সহনশীল।
  • পেপটাইডস বা নিয়াসিনামাইড: এগুলো ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে, কিন্তু তীব্রভাবে এক্সফোলিয়েট করে না। আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড ও বিটা-হাইড্রক্সি অ্যাসিডের বদলে ব্যবহার করা যায়।
  • টি ট্রি অয়েল: এতে শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বককে জীবাণু থেকে রক্ষা করে। বেনজয়েল পারক্সাইডের বদলে এটি ব্যবহার করা যায়।

সাঁতার শেষে করণীয়

সুইমিংপুলে সাঁতার কেটে ওঠার পর সাধারণ পানি দিয়ে ভালোভাবে ত্বক ধুয়ে নিতে হবে। এরপর তোয়ালে দিয়ে ত্বক মুছে নিয়ে প্রথমে একটি ক্রিম-বেজড এবং পরে একটি অয়েল-বেজড ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। গুরুত্বপূর্ণ টিপস হলো সাঁতারের আগে ও পরে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা। এতে ত্বকের ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা এড়ানো সম্ভব হবে।

সূত্র: ওমেনস হেলথ ম্যাগ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জীবনের শেষ ইচ্ছার কথা ফেসবুকে প্রকাশ, বাস্তবেও ঘটল তাই

দুশ্চিন্তা, হতাশা দূর হবে হাদিসে বর্ণিত এই চার দোয়ায়

মালিকানা না, শুধু লাইসেন্সিং অপারেটর নিয়োগ: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ

ট্রাম্প-সি বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা চূড়ান্ত

৩০০ আসনেই প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বামপন্থীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত