সানজিদা কাওছার ঋতু, ঢাকা

আপনি কি কখনো সন্তানকে খেলার মাঠে অন্য শিশুদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলেন? সন্তান অন্য শিশুদের চুমু খেতে চাইলে বা জড়িয়ে ধরতে চাইলে কি আপনি হস্তক্ষেপ করেন? আপনার কি মনে হয়, সন্তানকে অবাধে শারীরিকভাবে অন্য শিশুদের স্পর্শ করতে দিলে তারা ভবিষ্যতে অন্যদের সামাজিক দূরত্বকে সম্মান করবে না?
#metoo আন্দোলনের পর সম্মতির বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি হয়। বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল এমনকি প্রি-স্কুলের শিক্ষাক্রমে সম্মতি শিক্ষার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এতে শিশু-কিশোরেরা ব্যক্তিগত সীমারেখা তৈরি ও অপরের সীমারেখাকে সম্মান করা শিখবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরেও বাবা-মায়েরা ছোটকাল থেকেই সন্তানকে সম্মতির বিষয়টি শেখাতে আগ্রহী। তাঁরা চান, সন্তানেরা যেন ছোটবেলা থেকেই অন্যদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রেখে চলা, হুট করেই অন্যদের খুব বেশি কাছে না যাওয়া বা কাউকে জড়িয়ে ধরার আগে যেন অনুমতি নেওয়ার মতো বিষয়গুলো শেখে।
তবে যতটা সহজ শোনায়, এটা শেখানো তত সহজ নয়। শিশুরা স্পর্শের মাধ্যমেই তাদের চারপাশকে বুঝতে শেখে, চিনতে শেখে। মানব বিবর্তনের ইতিহাসের শুরু থেকেই শিশুরা সারাক্ষণ তাদের মা বা অন্য লালন-পালনকারীর শারীরিক সংস্পর্শে থাকে। শিশুরা তাদের মায়ের সঙ্গেই ঘুমায় আর বাকিটা সময় কারও না কারও কোলেপিঠে থাকে।
শিশুদের প্রথম ভাষাই হলো ‘স্পর্শ’। শিশুরা স্পর্শের মাধ্যমে অন্যকে বুঝতে শেখে, নিজের চাহিদা প্রকাশ করে এবং অন্যের মানসিক অবস্থা অনুধাবন করতে শেখে। হাঁটাচলা শেখার পরও শিশুরা যোগাযোগের জন্য স্পর্শকে বেশি গুরুত্ব দেয়। বড়দের হস্তক্ষেপ ছাড়াই শিশুরা যখন খেলাধুলা করে তখন ‘স্পর্শ’ এর অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
শিশুরা যখন জন্ম থেকেই ইতিবাচক স্পর্শ পেতে থাকে, তখন তারা নিজের মানসিক অবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্তি অনুভব করে। স্পর্শের মাধ্যমে তারা ভাবনাকে বাস্তবতার সঙ্গে মেলাতে পারে; মন ও দেহের মাধ্যমে অনুভব ও অনুধাবন করে।
এভাবে ভাবতে শেখার কারণে শিশুরা কোনো কিছু মনযোগ দিয়ে লক্ষ্য করতে শেখে এবং প্রকাশ করতে শেখে। কেউ তাদের ব্যক্তিগত সীমারেখা অতিক্রম করায় অস্বস্তি বোধ করলে তারা তা প্রকাশ করে। কোনো শিশু খেলার মধ্য দিয়েই অন্য কোনো শিশুকে তাদের অনিচ্ছায় জড়িয়ে ধরতে চাইলে বোধশক্তির মাধ্যমে ওই শিশুর প্রতিরোধকে বুঝতে শেখে।
তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আজকালকার মানুষ অনেক বেশি অনিচ্ছাকৃত স্পর্শের শিকার হয়। কেউ ওই স্পর্শের বিরুদ্ধে অস্বস্তি প্রকাশ করলেও অনেকেই সে প্রতিরোধকে উপেক্ষা করে। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এর একটি কারণ হতে পারে: আধুনিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক স্পর্শের অভাব। আজকাল অনেক শিশুই বাবা-মায়ের থেকে আলাদা ঘরে ঘুমায় আর শিশুরা সারাক্ষণ স্ট্রলারে থাকে। অনেক শিশুই দিনভর কোনো স্নেহপূর্ণ শারীরিক স্পর্শ পায় না। এই স্পর্শের অভাব শিশুদের অন্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে শিখতে এবং গভীর শারীরবৃত্তীয় স্তরে নিজের মানসিক অবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে বাধা দেয়।
আরও একটি কারণ হলো: আগের প্রজন্মের শিশুরা ব্যক্তিগত সীমারেখা প্রকাশ করতে ও অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখাকে শ্রদ্ধা করতে শেখেনি। তাই এখনকার বাবা-মায়েরা সন্তানকে সম্মতি সম্পর্কে শেখাচ্ছে।
শিশুদের ওপর প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মতির ধারণা চাপিয়ে দিলে বা তাদের অন্য শিশুদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখতে বললেই তারা অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখাকে সম্মান করতে বা নিজের সীমারেখা বুঝতে শিখবে না।
যে শিশুরা অন্যদের স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকে, তারা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সংস্পর্শের অনুভূতি শিখতে পারে না। এর মানে হলো, তারা স্বস্তি বা অস্বস্তি প্রকাশের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়। বড় হয়ে শিশুদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অস্বস্তিকর স্পর্শ প্রত্যাখ্যান করতে হলে তাদের ছোটবেলাতেই এ ধরনের স্পর্শ সম্পর্কে বুঝতে শিখতে হবে এবং তা সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে শিখতে হবে।
ছোটকালে অন্যদের সঙ্গে শিশুদের যোগাযোগ সাধারণত ‘নিষ্পাপ’ থাকে। এতে তারা প্রয়োজনে বাবা-মায়ের সহযোগিতায় নিজের পছন্দ বুঝতে শেখে এবং তা স্পষ্ট করে প্রকাশ করতে শেখে।
একইভাবে যখন শিশুদের খেলার সঙ্গী বা সমবয়সীদের স্পর্শ করতে দেওয়া হয় না, তখন তারা প্রয়োজনীয় সামাজিক আচার-ব্যবহার শিখতে পারে না। তারা অন্য শিশুদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পায় না। এর পরিবর্তে তারা শুধু শেখে, ‘বড়রা অন্যদের গায়ে হাত দিতে নিষেধ করেছে’। কিন্তু কেন নিষেধ করেছে বা অন্য শিশুরা এ স্পর্শে কেমন বোধ করে তা তারা শেখে না।
অভিজ্ঞতালব্ধ শিখনের অভাবে অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখা চিনতে ও নিজের ব্যক্তিগত সীমারেখা রক্ষা করতে গিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। বড় হওয়ার পর তারা অন্যের ব্যক্তিগত সীমাকে সম্মান করতেও সমস্যার সম্মুখীন হয়।
শিশুরা প্রাকৃতিকভাবেই কীভাবে সম্মতির বিষয়টি শিখতে পারে?
শিশুদের একে অপরকে স্পর্শ করতে নিষেধ না করে বরং তাদের বোঝাতে হবে অন্য শিশু এতে কেমন বোধ করে। যেমন—কোনো শিশু যদি অন্য শিশুর জড়িয়ে ধরা পছন্দ না করে, তবে তাকে বলা যেতে পারে, ‘তুমি চাও না সে জড়িয়ে ধরুক? তাকে বলো।’ বা শিশুর অনুভূতি বুঝিয়ে বলা যেতে পারে। যেমন, ‘মনে হচ্ছে সে তোমার জড়িয়ে ধরাটা পছন্দ করছে।’
শিশু যখন চুমু নিতে চায় না তখন তা মেনে নেওয়া উচিত। এভাবে তার অন্যান্য অস্বস্তিতে সাড়া দেওয়া উচিত। তাকে নেতিবাচকভাবে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন—মারধর করা। কারণ, নেতিবাচক স্পর্শের কারণে তাদের নিজস্ব বোধশক্তি কমে যায়। শিশুদের যতটা সম্ভব স্নেহপূর্ণভাবে স্পর্শ করতে হবে। তাদের আদরের সঙ্গে কোলে নেওয়া, একই বিছানায় ঘুমানো, তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করা—এসবই তাদের মধ্যে সম্মতির শেখার বোধ তৈরি করবে।
তথ্যসূত্র: সাইকোলজি টুডে

আপনি কি কখনো সন্তানকে খেলার মাঠে অন্য শিশুদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলেন? সন্তান অন্য শিশুদের চুমু খেতে চাইলে বা জড়িয়ে ধরতে চাইলে কি আপনি হস্তক্ষেপ করেন? আপনার কি মনে হয়, সন্তানকে অবাধে শারীরিকভাবে অন্য শিশুদের স্পর্শ করতে দিলে তারা ভবিষ্যতে অন্যদের সামাজিক দূরত্বকে সম্মান করবে না?
#metoo আন্দোলনের পর সম্মতির বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি হয়। বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল এমনকি প্রি-স্কুলের শিক্ষাক্রমে সম্মতি শিক্ষার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এতে শিশু-কিশোরেরা ব্যক্তিগত সীমারেখা তৈরি ও অপরের সীমারেখাকে সম্মান করা শিখবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরেও বাবা-মায়েরা ছোটকাল থেকেই সন্তানকে সম্মতির বিষয়টি শেখাতে আগ্রহী। তাঁরা চান, সন্তানেরা যেন ছোটবেলা থেকেই অন্যদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রেখে চলা, হুট করেই অন্যদের খুব বেশি কাছে না যাওয়া বা কাউকে জড়িয়ে ধরার আগে যেন অনুমতি নেওয়ার মতো বিষয়গুলো শেখে।
তবে যতটা সহজ শোনায়, এটা শেখানো তত সহজ নয়। শিশুরা স্পর্শের মাধ্যমেই তাদের চারপাশকে বুঝতে শেখে, চিনতে শেখে। মানব বিবর্তনের ইতিহাসের শুরু থেকেই শিশুরা সারাক্ষণ তাদের মা বা অন্য লালন-পালনকারীর শারীরিক সংস্পর্শে থাকে। শিশুরা তাদের মায়ের সঙ্গেই ঘুমায় আর বাকিটা সময় কারও না কারও কোলেপিঠে থাকে।
শিশুদের প্রথম ভাষাই হলো ‘স্পর্শ’। শিশুরা স্পর্শের মাধ্যমে অন্যকে বুঝতে শেখে, নিজের চাহিদা প্রকাশ করে এবং অন্যের মানসিক অবস্থা অনুধাবন করতে শেখে। হাঁটাচলা শেখার পরও শিশুরা যোগাযোগের জন্য স্পর্শকে বেশি গুরুত্ব দেয়। বড়দের হস্তক্ষেপ ছাড়াই শিশুরা যখন খেলাধুলা করে তখন ‘স্পর্শ’ এর অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
শিশুরা যখন জন্ম থেকেই ইতিবাচক স্পর্শ পেতে থাকে, তখন তারা নিজের মানসিক অবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্তি অনুভব করে। স্পর্শের মাধ্যমে তারা ভাবনাকে বাস্তবতার সঙ্গে মেলাতে পারে; মন ও দেহের মাধ্যমে অনুভব ও অনুধাবন করে।
এভাবে ভাবতে শেখার কারণে শিশুরা কোনো কিছু মনযোগ দিয়ে লক্ষ্য করতে শেখে এবং প্রকাশ করতে শেখে। কেউ তাদের ব্যক্তিগত সীমারেখা অতিক্রম করায় অস্বস্তি বোধ করলে তারা তা প্রকাশ করে। কোনো শিশু খেলার মধ্য দিয়েই অন্য কোনো শিশুকে তাদের অনিচ্ছায় জড়িয়ে ধরতে চাইলে বোধশক্তির মাধ্যমে ওই শিশুর প্রতিরোধকে বুঝতে শেখে।
তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আজকালকার মানুষ অনেক বেশি অনিচ্ছাকৃত স্পর্শের শিকার হয়। কেউ ওই স্পর্শের বিরুদ্ধে অস্বস্তি প্রকাশ করলেও অনেকেই সে প্রতিরোধকে উপেক্ষা করে। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এর একটি কারণ হতে পারে: আধুনিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক স্পর্শের অভাব। আজকাল অনেক শিশুই বাবা-মায়ের থেকে আলাদা ঘরে ঘুমায় আর শিশুরা সারাক্ষণ স্ট্রলারে থাকে। অনেক শিশুই দিনভর কোনো স্নেহপূর্ণ শারীরিক স্পর্শ পায় না। এই স্পর্শের অভাব শিশুদের অন্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে শিখতে এবং গভীর শারীরবৃত্তীয় স্তরে নিজের মানসিক অবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে বাধা দেয়।
আরও একটি কারণ হলো: আগের প্রজন্মের শিশুরা ব্যক্তিগত সীমারেখা প্রকাশ করতে ও অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখাকে শ্রদ্ধা করতে শেখেনি। তাই এখনকার বাবা-মায়েরা সন্তানকে সম্মতি সম্পর্কে শেখাচ্ছে।
শিশুদের ওপর প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মতির ধারণা চাপিয়ে দিলে বা তাদের অন্য শিশুদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখতে বললেই তারা অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখাকে সম্মান করতে বা নিজের সীমারেখা বুঝতে শিখবে না।
যে শিশুরা অন্যদের স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকে, তারা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সংস্পর্শের অনুভূতি শিখতে পারে না। এর মানে হলো, তারা স্বস্তি বা অস্বস্তি প্রকাশের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়। বড় হয়ে শিশুদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অস্বস্তিকর স্পর্শ প্রত্যাখ্যান করতে হলে তাদের ছোটবেলাতেই এ ধরনের স্পর্শ সম্পর্কে বুঝতে শিখতে হবে এবং তা সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে শিখতে হবে।
ছোটকালে অন্যদের সঙ্গে শিশুদের যোগাযোগ সাধারণত ‘নিষ্পাপ’ থাকে। এতে তারা প্রয়োজনে বাবা-মায়ের সহযোগিতায় নিজের পছন্দ বুঝতে শেখে এবং তা স্পষ্ট করে প্রকাশ করতে শেখে।
একইভাবে যখন শিশুদের খেলার সঙ্গী বা সমবয়সীদের স্পর্শ করতে দেওয়া হয় না, তখন তারা প্রয়োজনীয় সামাজিক আচার-ব্যবহার শিখতে পারে না। তারা অন্য শিশুদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পায় না। এর পরিবর্তে তারা শুধু শেখে, ‘বড়রা অন্যদের গায়ে হাত দিতে নিষেধ করেছে’। কিন্তু কেন নিষেধ করেছে বা অন্য শিশুরা এ স্পর্শে কেমন বোধ করে তা তারা শেখে না।
অভিজ্ঞতালব্ধ শিখনের অভাবে অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখা চিনতে ও নিজের ব্যক্তিগত সীমারেখা রক্ষা করতে গিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। বড় হওয়ার পর তারা অন্যের ব্যক্তিগত সীমাকে সম্মান করতেও সমস্যার সম্মুখীন হয়।
শিশুরা প্রাকৃতিকভাবেই কীভাবে সম্মতির বিষয়টি শিখতে পারে?
শিশুদের একে অপরকে স্পর্শ করতে নিষেধ না করে বরং তাদের বোঝাতে হবে অন্য শিশু এতে কেমন বোধ করে। যেমন—কোনো শিশু যদি অন্য শিশুর জড়িয়ে ধরা পছন্দ না করে, তবে তাকে বলা যেতে পারে, ‘তুমি চাও না সে জড়িয়ে ধরুক? তাকে বলো।’ বা শিশুর অনুভূতি বুঝিয়ে বলা যেতে পারে। যেমন, ‘মনে হচ্ছে সে তোমার জড়িয়ে ধরাটা পছন্দ করছে।’
শিশু যখন চুমু নিতে চায় না তখন তা মেনে নেওয়া উচিত। এভাবে তার অন্যান্য অস্বস্তিতে সাড়া দেওয়া উচিত। তাকে নেতিবাচকভাবে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন—মারধর করা। কারণ, নেতিবাচক স্পর্শের কারণে তাদের নিজস্ব বোধশক্তি কমে যায়। শিশুদের যতটা সম্ভব স্নেহপূর্ণভাবে স্পর্শ করতে হবে। তাদের আদরের সঙ্গে কোলে নেওয়া, একই বিছানায় ঘুমানো, তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করা—এসবই তাদের মধ্যে সম্মতির শেখার বোধ তৈরি করবে।
তথ্যসূত্র: সাইকোলজি টুডে
সানজিদা কাওছার ঋতু, ঢাকা

আপনি কি কখনো সন্তানকে খেলার মাঠে অন্য শিশুদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলেন? সন্তান অন্য শিশুদের চুমু খেতে চাইলে বা জড়িয়ে ধরতে চাইলে কি আপনি হস্তক্ষেপ করেন? আপনার কি মনে হয়, সন্তানকে অবাধে শারীরিকভাবে অন্য শিশুদের স্পর্শ করতে দিলে তারা ভবিষ্যতে অন্যদের সামাজিক দূরত্বকে সম্মান করবে না?
#metoo আন্দোলনের পর সম্মতির বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি হয়। বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল এমনকি প্রি-স্কুলের শিক্ষাক্রমে সম্মতি শিক্ষার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এতে শিশু-কিশোরেরা ব্যক্তিগত সীমারেখা তৈরি ও অপরের সীমারেখাকে সম্মান করা শিখবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরেও বাবা-মায়েরা ছোটকাল থেকেই সন্তানকে সম্মতির বিষয়টি শেখাতে আগ্রহী। তাঁরা চান, সন্তানেরা যেন ছোটবেলা থেকেই অন্যদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রেখে চলা, হুট করেই অন্যদের খুব বেশি কাছে না যাওয়া বা কাউকে জড়িয়ে ধরার আগে যেন অনুমতি নেওয়ার মতো বিষয়গুলো শেখে।
তবে যতটা সহজ শোনায়, এটা শেখানো তত সহজ নয়। শিশুরা স্পর্শের মাধ্যমেই তাদের চারপাশকে বুঝতে শেখে, চিনতে শেখে। মানব বিবর্তনের ইতিহাসের শুরু থেকেই শিশুরা সারাক্ষণ তাদের মা বা অন্য লালন-পালনকারীর শারীরিক সংস্পর্শে থাকে। শিশুরা তাদের মায়ের সঙ্গেই ঘুমায় আর বাকিটা সময় কারও না কারও কোলেপিঠে থাকে।
শিশুদের প্রথম ভাষাই হলো ‘স্পর্শ’। শিশুরা স্পর্শের মাধ্যমে অন্যকে বুঝতে শেখে, নিজের চাহিদা প্রকাশ করে এবং অন্যের মানসিক অবস্থা অনুধাবন করতে শেখে। হাঁটাচলা শেখার পরও শিশুরা যোগাযোগের জন্য স্পর্শকে বেশি গুরুত্ব দেয়। বড়দের হস্তক্ষেপ ছাড়াই শিশুরা যখন খেলাধুলা করে তখন ‘স্পর্শ’ এর অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
শিশুরা যখন জন্ম থেকেই ইতিবাচক স্পর্শ পেতে থাকে, তখন তারা নিজের মানসিক অবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্তি অনুভব করে। স্পর্শের মাধ্যমে তারা ভাবনাকে বাস্তবতার সঙ্গে মেলাতে পারে; মন ও দেহের মাধ্যমে অনুভব ও অনুধাবন করে।
এভাবে ভাবতে শেখার কারণে শিশুরা কোনো কিছু মনযোগ দিয়ে লক্ষ্য করতে শেখে এবং প্রকাশ করতে শেখে। কেউ তাদের ব্যক্তিগত সীমারেখা অতিক্রম করায় অস্বস্তি বোধ করলে তারা তা প্রকাশ করে। কোনো শিশু খেলার মধ্য দিয়েই অন্য কোনো শিশুকে তাদের অনিচ্ছায় জড়িয়ে ধরতে চাইলে বোধশক্তির মাধ্যমে ওই শিশুর প্রতিরোধকে বুঝতে শেখে।
তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আজকালকার মানুষ অনেক বেশি অনিচ্ছাকৃত স্পর্শের শিকার হয়। কেউ ওই স্পর্শের বিরুদ্ধে অস্বস্তি প্রকাশ করলেও অনেকেই সে প্রতিরোধকে উপেক্ষা করে। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এর একটি কারণ হতে পারে: আধুনিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক স্পর্শের অভাব। আজকাল অনেক শিশুই বাবা-মায়ের থেকে আলাদা ঘরে ঘুমায় আর শিশুরা সারাক্ষণ স্ট্রলারে থাকে। অনেক শিশুই দিনভর কোনো স্নেহপূর্ণ শারীরিক স্পর্শ পায় না। এই স্পর্শের অভাব শিশুদের অন্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে শিখতে এবং গভীর শারীরবৃত্তীয় স্তরে নিজের মানসিক অবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে বাধা দেয়।
আরও একটি কারণ হলো: আগের প্রজন্মের শিশুরা ব্যক্তিগত সীমারেখা প্রকাশ করতে ও অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখাকে শ্রদ্ধা করতে শেখেনি। তাই এখনকার বাবা-মায়েরা সন্তানকে সম্মতি সম্পর্কে শেখাচ্ছে।
শিশুদের ওপর প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মতির ধারণা চাপিয়ে দিলে বা তাদের অন্য শিশুদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখতে বললেই তারা অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখাকে সম্মান করতে বা নিজের সীমারেখা বুঝতে শিখবে না।
যে শিশুরা অন্যদের স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকে, তারা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সংস্পর্শের অনুভূতি শিখতে পারে না। এর মানে হলো, তারা স্বস্তি বা অস্বস্তি প্রকাশের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়। বড় হয়ে শিশুদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অস্বস্তিকর স্পর্শ প্রত্যাখ্যান করতে হলে তাদের ছোটবেলাতেই এ ধরনের স্পর্শ সম্পর্কে বুঝতে শিখতে হবে এবং তা সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে শিখতে হবে।
ছোটকালে অন্যদের সঙ্গে শিশুদের যোগাযোগ সাধারণত ‘নিষ্পাপ’ থাকে। এতে তারা প্রয়োজনে বাবা-মায়ের সহযোগিতায় নিজের পছন্দ বুঝতে শেখে এবং তা স্পষ্ট করে প্রকাশ করতে শেখে।
একইভাবে যখন শিশুদের খেলার সঙ্গী বা সমবয়সীদের স্পর্শ করতে দেওয়া হয় না, তখন তারা প্রয়োজনীয় সামাজিক আচার-ব্যবহার শিখতে পারে না। তারা অন্য শিশুদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পায় না। এর পরিবর্তে তারা শুধু শেখে, ‘বড়রা অন্যদের গায়ে হাত দিতে নিষেধ করেছে’। কিন্তু কেন নিষেধ করেছে বা অন্য শিশুরা এ স্পর্শে কেমন বোধ করে তা তারা শেখে না।
অভিজ্ঞতালব্ধ শিখনের অভাবে অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখা চিনতে ও নিজের ব্যক্তিগত সীমারেখা রক্ষা করতে গিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। বড় হওয়ার পর তারা অন্যের ব্যক্তিগত সীমাকে সম্মান করতেও সমস্যার সম্মুখীন হয়।
শিশুরা প্রাকৃতিকভাবেই কীভাবে সম্মতির বিষয়টি শিখতে পারে?
শিশুদের একে অপরকে স্পর্শ করতে নিষেধ না করে বরং তাদের বোঝাতে হবে অন্য শিশু এতে কেমন বোধ করে। যেমন—কোনো শিশু যদি অন্য শিশুর জড়িয়ে ধরা পছন্দ না করে, তবে তাকে বলা যেতে পারে, ‘তুমি চাও না সে জড়িয়ে ধরুক? তাকে বলো।’ বা শিশুর অনুভূতি বুঝিয়ে বলা যেতে পারে। যেমন, ‘মনে হচ্ছে সে তোমার জড়িয়ে ধরাটা পছন্দ করছে।’
শিশু যখন চুমু নিতে চায় না তখন তা মেনে নেওয়া উচিত। এভাবে তার অন্যান্য অস্বস্তিতে সাড়া দেওয়া উচিত। তাকে নেতিবাচকভাবে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন—মারধর করা। কারণ, নেতিবাচক স্পর্শের কারণে তাদের নিজস্ব বোধশক্তি কমে যায়। শিশুদের যতটা সম্ভব স্নেহপূর্ণভাবে স্পর্শ করতে হবে। তাদের আদরের সঙ্গে কোলে নেওয়া, একই বিছানায় ঘুমানো, তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করা—এসবই তাদের মধ্যে সম্মতির শেখার বোধ তৈরি করবে।
তথ্যসূত্র: সাইকোলজি টুডে

আপনি কি কখনো সন্তানকে খেলার মাঠে অন্য শিশুদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলেন? সন্তান অন্য শিশুদের চুমু খেতে চাইলে বা জড়িয়ে ধরতে চাইলে কি আপনি হস্তক্ষেপ করেন? আপনার কি মনে হয়, সন্তানকে অবাধে শারীরিকভাবে অন্য শিশুদের স্পর্শ করতে দিলে তারা ভবিষ্যতে অন্যদের সামাজিক দূরত্বকে সম্মান করবে না?
#metoo আন্দোলনের পর সম্মতির বিষয়টি নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি হয়। বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল এমনকি প্রি-স্কুলের শিক্ষাক্রমে সম্মতি শিক্ষার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এতে শিশু-কিশোরেরা ব্যক্তিগত সীমারেখা তৈরি ও অপরের সীমারেখাকে সম্মান করা শিখবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরেও বাবা-মায়েরা ছোটকাল থেকেই সন্তানকে সম্মতির বিষয়টি শেখাতে আগ্রহী। তাঁরা চান, সন্তানেরা যেন ছোটবেলা থেকেই অন্যদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রেখে চলা, হুট করেই অন্যদের খুব বেশি কাছে না যাওয়া বা কাউকে জড়িয়ে ধরার আগে যেন অনুমতি নেওয়ার মতো বিষয়গুলো শেখে।
তবে যতটা সহজ শোনায়, এটা শেখানো তত সহজ নয়। শিশুরা স্পর্শের মাধ্যমেই তাদের চারপাশকে বুঝতে শেখে, চিনতে শেখে। মানব বিবর্তনের ইতিহাসের শুরু থেকেই শিশুরা সারাক্ষণ তাদের মা বা অন্য লালন-পালনকারীর শারীরিক সংস্পর্শে থাকে। শিশুরা তাদের মায়ের সঙ্গেই ঘুমায় আর বাকিটা সময় কারও না কারও কোলেপিঠে থাকে।
শিশুদের প্রথম ভাষাই হলো ‘স্পর্শ’। শিশুরা স্পর্শের মাধ্যমে অন্যকে বুঝতে শেখে, নিজের চাহিদা প্রকাশ করে এবং অন্যের মানসিক অবস্থা অনুধাবন করতে শেখে। হাঁটাচলা শেখার পরও শিশুরা যোগাযোগের জন্য স্পর্শকে বেশি গুরুত্ব দেয়। বড়দের হস্তক্ষেপ ছাড়াই শিশুরা যখন খেলাধুলা করে তখন ‘স্পর্শ’ এর অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
শিশুরা যখন জন্ম থেকেই ইতিবাচক স্পর্শ পেতে থাকে, তখন তারা নিজের মানসিক অবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্তি অনুভব করে। স্পর্শের মাধ্যমে তারা ভাবনাকে বাস্তবতার সঙ্গে মেলাতে পারে; মন ও দেহের মাধ্যমে অনুভব ও অনুধাবন করে।
এভাবে ভাবতে শেখার কারণে শিশুরা কোনো কিছু মনযোগ দিয়ে লক্ষ্য করতে শেখে এবং প্রকাশ করতে শেখে। কেউ তাদের ব্যক্তিগত সীমারেখা অতিক্রম করায় অস্বস্তি বোধ করলে তারা তা প্রকাশ করে। কোনো শিশু খেলার মধ্য দিয়েই অন্য কোনো শিশুকে তাদের অনিচ্ছায় জড়িয়ে ধরতে চাইলে বোধশক্তির মাধ্যমে ওই শিশুর প্রতিরোধকে বুঝতে শেখে।
তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আজকালকার মানুষ অনেক বেশি অনিচ্ছাকৃত স্পর্শের শিকার হয়। কেউ ওই স্পর্শের বিরুদ্ধে অস্বস্তি প্রকাশ করলেও অনেকেই সে প্রতিরোধকে উপেক্ষা করে। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। এর একটি কারণ হতে পারে: আধুনিক সংস্কৃতিতে ইতিবাচক স্পর্শের অভাব। আজকাল অনেক শিশুই বাবা-মায়ের থেকে আলাদা ঘরে ঘুমায় আর শিশুরা সারাক্ষণ স্ট্রলারে থাকে। অনেক শিশুই দিনভর কোনো স্নেহপূর্ণ শারীরিক স্পর্শ পায় না। এই স্পর্শের অভাব শিশুদের অন্যের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে শিখতে এবং গভীর শারীরবৃত্তীয় স্তরে নিজের মানসিক অবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে বাধা দেয়।
আরও একটি কারণ হলো: আগের প্রজন্মের শিশুরা ব্যক্তিগত সীমারেখা প্রকাশ করতে ও অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখাকে শ্রদ্ধা করতে শেখেনি। তাই এখনকার বাবা-মায়েরা সন্তানকে সম্মতি সম্পর্কে শেখাচ্ছে।
শিশুদের ওপর প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মতির ধারণা চাপিয়ে দিলে বা তাদের অন্য শিশুদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখতে বললেই তারা অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখাকে সম্মান করতে বা নিজের সীমারেখা বুঝতে শিখবে না।
যে শিশুরা অন্যদের স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকে, তারা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সংস্পর্শের অনুভূতি শিখতে পারে না। এর মানে হলো, তারা স্বস্তি বা অস্বস্তি প্রকাশের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়। বড় হয়ে শিশুদের আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অস্বস্তিকর স্পর্শ প্রত্যাখ্যান করতে হলে তাদের ছোটবেলাতেই এ ধরনের স্পর্শ সম্পর্কে বুঝতে শিখতে হবে এবং তা সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে শিখতে হবে।
ছোটকালে অন্যদের সঙ্গে শিশুদের যোগাযোগ সাধারণত ‘নিষ্পাপ’ থাকে। এতে তারা প্রয়োজনে বাবা-মায়ের সহযোগিতায় নিজের পছন্দ বুঝতে শেখে এবং তা স্পষ্ট করে প্রকাশ করতে শেখে।
একইভাবে যখন শিশুদের খেলার সঙ্গী বা সমবয়সীদের স্পর্শ করতে দেওয়া হয় না, তখন তারা প্রয়োজনীয় সামাজিক আচার-ব্যবহার শিখতে পারে না। তারা অন্য শিশুদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পায় না। এর পরিবর্তে তারা শুধু শেখে, ‘বড়রা অন্যদের গায়ে হাত দিতে নিষেধ করেছে’। কিন্তু কেন নিষেধ করেছে বা অন্য শিশুরা এ স্পর্শে কেমন বোধ করে তা তারা শেখে না।
অভিজ্ঞতালব্ধ শিখনের অভাবে অন্যের ব্যক্তিগত সীমারেখা চিনতে ও নিজের ব্যক্তিগত সীমারেখা রক্ষা করতে গিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। বড় হওয়ার পর তারা অন্যের ব্যক্তিগত সীমাকে সম্মান করতেও সমস্যার সম্মুখীন হয়।
শিশুরা প্রাকৃতিকভাবেই কীভাবে সম্মতির বিষয়টি শিখতে পারে?
শিশুদের একে অপরকে স্পর্শ করতে নিষেধ না করে বরং তাদের বোঝাতে হবে অন্য শিশু এতে কেমন বোধ করে। যেমন—কোনো শিশু যদি অন্য শিশুর জড়িয়ে ধরা পছন্দ না করে, তবে তাকে বলা যেতে পারে, ‘তুমি চাও না সে জড়িয়ে ধরুক? তাকে বলো।’ বা শিশুর অনুভূতি বুঝিয়ে বলা যেতে পারে। যেমন, ‘মনে হচ্ছে সে তোমার জড়িয়ে ধরাটা পছন্দ করছে।’
শিশু যখন চুমু নিতে চায় না তখন তা মেনে নেওয়া উচিত। এভাবে তার অন্যান্য অস্বস্তিতে সাড়া দেওয়া উচিত। তাকে নেতিবাচকভাবে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন—মারধর করা। কারণ, নেতিবাচক স্পর্শের কারণে তাদের নিজস্ব বোধশক্তি কমে যায়। শিশুদের যতটা সম্ভব স্নেহপূর্ণভাবে স্পর্শ করতে হবে। তাদের আদরের সঙ্গে কোলে নেওয়া, একই বিছানায় ঘুমানো, তাদের সঙ্গে খেলাধুলা করা—এসবই তাদের মধ্যে সম্মতির শেখার বোধ তৈরি করবে।
তথ্যসূত্র: সাইকোলজি টুডে

সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক শীতের বাতাস শরীর থেকে পানি আরও বেশি বের করে নেয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়, শক্তি কমে যায় এবং হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি পান শীতে বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতেও সহজ কিছু অভ্যাসে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখা সম্ভব।...
৫ ঘণ্টা আগে
কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার প্রতিদিন খাওয়া এই খাবারগুলো বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে? টেস্ট অ্যাটলাসের ‘বিশ্বের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলী ২০২৫-২০২৬’ এর র্যাঙ্কিং সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলী।...
৫ ঘণ্টা আগে
আপনার তেজ আজ এতটাই বেশি থাকবে যে অফিসে আপনার টেবিলের কাছে এলেই সহকর্মীরা নিজেদের অজান্তে ‘পানি খাব’ বলে পিছিয়ে যাবেন। কিন্তু বিপদ অন্য জায়গায়: আপনার নিজের লোক (কর্মচারী) আজ আপনার ব্যবসার কড়াইয়ের তলা ফুটো করে দেবে।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
শহরের ব্যস্ত জীবনে দৈনন্দিন কাজের সাহায্যের জন্য অনেকে গৃহকর্মীর ওপর নির্ভরশীল। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বাড়ির জিনিসপত্রের নিরাপত্তা অনেকটা নির্ভর করে কেমন গৃহকর্মী আপনি নিয়োগ দিয়েছেন, তার ওপর। গৃহকর্মী নিয়োগের আগে তার সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছেন কিনা, সেটার ওপরও আপনার নিরাপত্তা অনেকটাই নির্ভর করে। কারণ, তাদের নিয়োগে সামান্য অসতর্কতাও বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
গৃহকর্মী নিয়োগের আগে যেমন কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে নেওয়া হয়, তেমনি তাদের ছোটখাটো একটা ইন্টারভিউ নেওয়া থেকে শুরু করে জরুরি কিছু কাগজপত্রও সংগ্রহ করা উচিত।
নিরাপত্তার স্বার্থে গৃহকর্মী নিয়োগের আগে যে বিষয়গুলো মনে রাখতে পারেন—
জরুরি নথি সংগ্রহে রাখুন
কোনো চাকরিতে নিয়োগের আগে অফিসে যেমন সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তেমনি গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও এমন কিছু কাগজ তাদের কাছ থেকে চেয়ে নিন।
গৃহকর্মী নিয়োগের আগে অন্তত দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি রাখুন। অবশ্যই চেহারার সঙ্গে ছবি মিলিয়ে নেবেন। স্থায়ী গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাম্প্রতিককালে তোলা ছবি চেয়ে নেবেন বা তুলে নেবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করুন। জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে থাকলে প্রয়োজনে আইনগতভাবে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সহজ হয়। এটি দিতে না চাইলে সেই গৃহকর্মীকে নিয়োগ না দেওয়াই নিরাপদ।
বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যাচাই করে নিন
গৃহকর্মীর বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর নিন। সঙ্গে পরিবারের আরও দু-একজনের নম্বর রাখতে পারলে ভালো হয়। স্থায়ী গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় নিজের গ্রামের বাড়ি থেকে খোঁজ করে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিজে বা পরিচিত কাউকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে ঠিকানা যাচাই করে নিন। এ ছাড়া বর্তমানে তিনি যেখানে থাকেন, সেখানকার আশপাশ সম্পর্কেও খোঁজ নিতে পারেন।
কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেটা বুঝে নিন
সাধারণত শহরের বাড়িগুলোয় দেখা যায়, একজন গৃহকর্মী একই ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে কাজ করে, আশপাশের বিভিন্ন ভবনেও কাজ করে এরা। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ তাদের বাসা সাধারণত পাশাপাশি এলাকাতেই হয়। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এলাকার মধ্য়ে তারা কাজ নেয়। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি কম।
কিন্তু নির্দিষ্ট কারও মাধ্যমে এমন কোনো গৃহকর্মী যদি নিয়োগ দেন, যিনি এলাকার নন, সে ক্ষেত্রে যার মাধ্যমে নিয়োগ দিচ্ছেন তার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বরও সংগ্রহে রাখুন। গৃহকর্মী আগে কোথায় কাজ করেছে, কত দিন করেছে, সে সম্পর্কেও তথ্য নিন।
নতুন এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা, কেয়ারটেকার বা পরিচিত প্রতিবেশীর সুপারিশে গৃহকর্মী নেওয়া যেতে পারে। তবে সেখানেও ছবি, পরিচয়পত্র ও শনাক্তকারী ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ জরুরি।
কাজের ধরন, সময় ও বেতন স্পষ্টভাবে ঠিক করুন
কী কাজ করবেন, কত সময় কাজ করবেন, এ বিষয়গুলো শুরুতেই পরিষ্কার না করলে পরে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়। অতিরিক্ত কাজ চাপানোর প্রবণতা দ্বন্দ্ব বাড়ায়। মাসিক বেতন, বেতন দেওয়ার তারিখ ও ছুটির বিষয়টি আগেই ঠিক করে নেওয়া জরুরি। অস্পষ্টতা থাকলে কর্মী ও নিয়োগকর্তা—উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্যক্তিগত আলমারি নিজেই পরিষ্কার করুন
গৃহকর্মী নিয়োগের সময় স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বলুন কোন কোন জিনিস আপনি নিজেই রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। এতে একটা স্বাস্থ্যকর সীমারেখা বজায় থাকবে। ব্যক্তিগত ও দামি জিনিসপত্র রয়েছে এমন ড্রয়ার বা আলমারি নিজ হাতে গোছান ও পরিষ্কার করুন। এতে অনেকটাই চিন্তামুক্ত থাকা যাবে।
সূত্র: বুমার্স ও অন্যান্য

সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
শহরের ব্যস্ত জীবনে দৈনন্দিন কাজের সাহায্যের জন্য অনেকে গৃহকর্মীর ওপর নির্ভরশীল। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বাড়ির জিনিসপত্রের নিরাপত্তা অনেকটা নির্ভর করে কেমন গৃহকর্মী আপনি নিয়োগ দিয়েছেন, তার ওপর। গৃহকর্মী নিয়োগের আগে তার সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছেন কিনা, সেটার ওপরও আপনার নিরাপত্তা অনেকটাই নির্ভর করে। কারণ, তাদের নিয়োগে সামান্য অসতর্কতাও বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
গৃহকর্মী নিয়োগের আগে যেমন কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে নেওয়া হয়, তেমনি তাদের ছোটখাটো একটা ইন্টারভিউ নেওয়া থেকে শুরু করে জরুরি কিছু কাগজপত্রও সংগ্রহ করা উচিত।
নিরাপত্তার স্বার্থে গৃহকর্মী নিয়োগের আগে যে বিষয়গুলো মনে রাখতে পারেন—
জরুরি নথি সংগ্রহে রাখুন
কোনো চাকরিতে নিয়োগের আগে অফিসে যেমন সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তেমনি গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও এমন কিছু কাগজ তাদের কাছ থেকে চেয়ে নিন।
গৃহকর্মী নিয়োগের আগে অন্তত দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি রাখুন। অবশ্যই চেহারার সঙ্গে ছবি মিলিয়ে নেবেন। স্থায়ী গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাম্প্রতিককালে তোলা ছবি চেয়ে নেবেন বা তুলে নেবেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংগ্রহ করুন। জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে থাকলে প্রয়োজনে আইনগতভাবে ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সহজ হয়। এটি দিতে না চাইলে সেই গৃহকর্মীকে নিয়োগ না দেওয়াই নিরাপদ।
বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা যাচাই করে নিন
গৃহকর্মীর বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর নিন। সঙ্গে পরিবারের আরও দু-একজনের নম্বর রাখতে পারলে ভালো হয়। স্থায়ী গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় নিজের গ্রামের বাড়ি থেকে খোঁজ করে নিয়োগ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নিজে বা পরিচিত কাউকে তার বাড়িতে পাঠিয়ে ঠিকানা যাচাই করে নিন। এ ছাড়া বর্তমানে তিনি যেখানে থাকেন, সেখানকার আশপাশ সম্পর্কেও খোঁজ নিতে পারেন।
কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেটা বুঝে নিন
সাধারণত শহরের বাড়িগুলোয় দেখা যায়, একজন গৃহকর্মী একই ভবনের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে কাজ করে, আশপাশের বিভিন্ন ভবনেও কাজ করে এরা। এ ক্ষেত্রে বেশির ভাগ তাদের বাসা সাধারণত পাশাপাশি এলাকাতেই হয়। অর্থাৎ নির্দিষ্ট এলাকার মধ্য়ে তারা কাজ নেয়। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকি কম।
কিন্তু নির্দিষ্ট কারও মাধ্যমে এমন কোনো গৃহকর্মী যদি নিয়োগ দেন, যিনি এলাকার নন, সে ক্ষেত্রে যার মাধ্যমে নিয়োগ দিচ্ছেন তার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বরও সংগ্রহে রাখুন। গৃহকর্মী আগে কোথায় কাজ করেছে, কত দিন করেছে, সে সম্পর্কেও তথ্য নিন।
নতুন এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা, কেয়ারটেকার বা পরিচিত প্রতিবেশীর সুপারিশে গৃহকর্মী নেওয়া যেতে পারে। তবে সেখানেও ছবি, পরিচয়পত্র ও শনাক্তকারী ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ জরুরি।
কাজের ধরন, সময় ও বেতন স্পষ্টভাবে ঠিক করুন
কী কাজ করবেন, কত সময় কাজ করবেন, এ বিষয়গুলো শুরুতেই পরিষ্কার না করলে পরে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়। অতিরিক্ত কাজ চাপানোর প্রবণতা দ্বন্দ্ব বাড়ায়। মাসিক বেতন, বেতন দেওয়ার তারিখ ও ছুটির বিষয়টি আগেই ঠিক করে নেওয়া জরুরি। অস্পষ্টতা থাকলে কর্মী ও নিয়োগকর্তা—উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ব্যক্তিগত আলমারি নিজেই পরিষ্কার করুন
গৃহকর্মী নিয়োগের সময় স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বলুন কোন কোন জিনিস আপনি নিজেই রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। এতে একটা স্বাস্থ্যকর সীমারেখা বজায় থাকবে। ব্যক্তিগত ও দামি জিনিসপত্র রয়েছে এমন ড্রয়ার বা আলমারি নিজ হাতে গোছান ও পরিষ্কার করুন। এতে অনেকটাই চিন্তামুক্ত থাকা যাবে।
সূত্র: বুমার্স ও অন্যান্য

আপনি কি কখনো সন্তানকে খেলার মাঠে অন্য শিশুদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলেন? সন্তান অন্য শিশুদের চুমু খেতে চাইলে বা জড়িয়ে ধরতে চাইলে কি আপনি হস্তক্ষেপ করেন? আপনার কি মনে হয়, সন্তানকে অবাধে শারীরিকভাবে অন্য শিশুদের স্পর্শ করতে দিলে তারা ভবিষ্যতে অন্যদের সামাজিক দূরত্বকে সম্মান করবে না?
০৫ এপ্রিল ২০২৪
শুষ্ক শীতের বাতাস শরীর থেকে পানি আরও বেশি বের করে নেয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়, শক্তি কমে যায় এবং হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি পান শীতে বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতেও সহজ কিছু অভ্যাসে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখা সম্ভব।...
৫ ঘণ্টা আগে
কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার প্রতিদিন খাওয়া এই খাবারগুলো বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে? টেস্ট অ্যাটলাসের ‘বিশ্বের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলী ২০২৫-২০২৬’ এর র্যাঙ্কিং সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলী।...
৫ ঘণ্টা আগে
আপনার তেজ আজ এতটাই বেশি থাকবে যে অফিসে আপনার টেবিলের কাছে এলেই সহকর্মীরা নিজেদের অজান্তে ‘পানি খাব’ বলে পিছিয়ে যাবেন। কিন্তু বিপদ অন্য জায়গায়: আপনার নিজের লোক (কর্মচারী) আজ আপনার ব্যবসার কড়াইয়ের তলা ফুটো করে দেবে।
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীত এলে অনেকের পানি পানের পরিমাণ কমে যায়। ঠান্ডা আবহাওয়ায় তৃষ্ণা কম অনুভূত হওয়ায় আমরা বুঝতেই পারি না, শরীর ধীরে ধীরে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। অথচ শুষ্ক শীতের বাতাস শরীর থেকে পানি আরও বেশি বের করে নেয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়, শক্তি কমে যায় এবং হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি পান শীতে বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতেও সহজ কিছু অভ্যাসে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখা সম্ভব।
গরম লেবুপানি দিয়ে দিন শুরু
শীতের সকালে ঠান্ডা পানি পান অনেকের কাছে অস্বস্তিকর। এর বদলে দিন শুরু করুন এক কাপ গরম লেবুপানি দিয়ে। পুষ্টিবিদ পূজা কেডিয়ার মতে, এতে শরীর ধীরে সতেজ হয়ে ওঠে এবং দিনের শুরুতে পানি পানের অভ্যাস তৈরি হয়। লেবুপানি হজমে সহায়তা করে, শরীরে ভিটামিন সি জোগায় এবং মনও ভালো রাখে। গরম পানি গলাও আরাম দেয়।
এর সহজ রেসিপি হলো, পানি ফুটিয়ে অর্ধেক লেবুর রস মেশান, চাইলে সামান্য মধু যোগ করতে পারেন। এতে সকালেই প্রায় আধা লিটার পানি শরীরে যায়।
চায়ের কাপেও থাকুক হাইড্রেশন

শীতে চা শুধু তৃষ্ণা মেটানোর পানীয় নয়, অনেকের কাছে এটি আনন্দের সঙ্গী। তবে এই সময়ে অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত চা বারবার পান করলে শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই সাধারণ দুধ-চা বা মসলা চায়ের বদলে হারবাল চা বেছে নেওয়া বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। পুদিনা, ক্যামোমাইল কিংবা তুলসী অথবা আদা চা শরীরে পানির ভারসাম্য রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উষ্ণতাও দেয়। প্রতিটি কাপ হারবাল চা থেকে শরীর পায় বাড়তি তরল, যা শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় বিশেষভাবে উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যামোমাইল চা মানসিক প্রশান্তি আনে এবং ভালো ঘুমে সহায়তা করে, যা শীতকালে অনেকের অনিদ্রা কমাতে সহায়ক। অন্যদিকে আদা ও তুলসী শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর, বিশেষ করে ঠান্ডা ও ফ্লুর মৌসুমে।
স্যুপ ও মৌসুমি ফল খান
শীতকাল স্যুপ খাওয়ার সেরা সময়। টমেটো স্যুপ, সবজি বা চিকেন স্যুপ শরীর উষ্ণ রাখার পাশাপাশি পানির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের খাবারের সঙ্গে হালকা স্যুপ যোগ করলে আলাদা করে বেশি পানি পান করতে হয় না। এতে হজমেও সুবিধা হয় এবং শীতের সময় ভারী খাবার খাওয়ার ফলে যে অস্বস্তি তৈরি হয়, তা কমে।

পানিশূন্যতা এড়াতে শীতকালে মৌসুমি ফল খাওয়ার দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। কমলা, মৌসুমি লেবু ও লাল গাজরের মতো রসাল ফল স্বাভাবিকভাবে শরীরে পানি জোগায় এবং একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে। এসব ফল খেলে একদিকে যেমন শরীরে পানির ভারসাম্য থাকে, অন্যদিকে তেমনই অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা কমে এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস গড়ে ওঠে।
ইলেকট্রোলাইটের দিকেও নজর দিন
শুধু পানি পান করাই যথেষ্ট নয়, শরীরে তরলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে দরকার সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট। শীতে আমরা অনেক সময় বিষয়টি ভুলে যাই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রয়োজনে ইলেকট্রোলাইট পাউডার বা ট্যাবলেট পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে ক্লান্তি কমে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ে।
পানির জন্য রিমাইন্ডার সেট করুন
কাজের চাপ, ছুটির ব্যস্ততা বা সপ্তাহের অলস ছুটির দিন পানি পান ভুলে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনে রিমাইন্ডার বা অ্যালার্ম সেট করা বেশ কাজে দেয়। পুষ্টিবিদ পূজা কেডিয়া বলেন, মজার নাম দিয়ে অ্যালার্ম সেট করলে সেটি মনে করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মনও ভালো করে। দিনে নির্দিষ্ট সময়ে অ্যালার্ম দিলে অজান্তেই পানি পানের লক্ষ্য পূরণ হয়ে যায়।
শীতের ঠান্ডায় তৃষ্ণা কম লাগলেও শরীরের পানির প্রয়োজন কমে না। গরম পানীয়, স্যুপ, ফল আর সামান্য সচেতনতার মাধ্যমেই শীতজুড়ে সুস্থ ও সতেজ থাকা সম্ভব।
সূত্র: হেলথশট

শীত এলে অনেকের পানি পানের পরিমাণ কমে যায়। ঠান্ডা আবহাওয়ায় তৃষ্ণা কম অনুভূত হওয়ায় আমরা বুঝতেই পারি না, শরীর ধীরে ধীরে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। অথচ শুষ্ক শীতের বাতাস শরীর থেকে পানি আরও বেশি বের করে নেয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়, শক্তি কমে যায় এবং হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি পান শীতে বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতেও সহজ কিছু অভ্যাসে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখা সম্ভব।
গরম লেবুপানি দিয়ে দিন শুরু
শীতের সকালে ঠান্ডা পানি পান অনেকের কাছে অস্বস্তিকর। এর বদলে দিন শুরু করুন এক কাপ গরম লেবুপানি দিয়ে। পুষ্টিবিদ পূজা কেডিয়ার মতে, এতে শরীর ধীরে সতেজ হয়ে ওঠে এবং দিনের শুরুতে পানি পানের অভ্যাস তৈরি হয়। লেবুপানি হজমে সহায়তা করে, শরীরে ভিটামিন সি জোগায় এবং মনও ভালো রাখে। গরম পানি গলাও আরাম দেয়।
এর সহজ রেসিপি হলো, পানি ফুটিয়ে অর্ধেক লেবুর রস মেশান, চাইলে সামান্য মধু যোগ করতে পারেন। এতে সকালেই প্রায় আধা লিটার পানি শরীরে যায়।
চায়ের কাপেও থাকুক হাইড্রেশন

শীতে চা শুধু তৃষ্ণা মেটানোর পানীয় নয়, অনেকের কাছে এটি আনন্দের সঙ্গী। তবে এই সময়ে অতিরিক্ত ক্যাফেইনযুক্ত চা বারবার পান করলে শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। তাই সাধারণ দুধ-চা বা মসলা চায়ের বদলে হারবাল চা বেছে নেওয়া বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। পুদিনা, ক্যামোমাইল কিংবা তুলসী অথবা আদা চা শরীরে পানির ভারসাম্য রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উষ্ণতাও দেয়। প্রতিটি কাপ হারবাল চা থেকে শরীর পায় বাড়তি তরল, যা শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় বিশেষভাবে উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যামোমাইল চা মানসিক প্রশান্তি আনে এবং ভালো ঘুমে সহায়তা করে, যা শীতকালে অনেকের অনিদ্রা কমাতে সহায়ক। অন্যদিকে আদা ও তুলসী শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর, বিশেষ করে ঠান্ডা ও ফ্লুর মৌসুমে।
স্যুপ ও মৌসুমি ফল খান
শীতকাল স্যুপ খাওয়ার সেরা সময়। টমেটো স্যুপ, সবজি বা চিকেন স্যুপ শরীর উষ্ণ রাখার পাশাপাশি পানির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের খাবারের সঙ্গে হালকা স্যুপ যোগ করলে আলাদা করে বেশি পানি পান করতে হয় না। এতে হজমেও সুবিধা হয় এবং শীতের সময় ভারী খাবার খাওয়ার ফলে যে অস্বস্তি তৈরি হয়, তা কমে।

পানিশূন্যতা এড়াতে শীতকালে মৌসুমি ফল খাওয়ার দিকেও নজর দেওয়া জরুরি। কমলা, মৌসুমি লেবু ও লাল গাজরের মতো রসাল ফল স্বাভাবিকভাবে শরীরে পানি জোগায় এবং একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে। এসব ফল খেলে একদিকে যেমন শরীরে পানির ভারসাম্য থাকে, অন্যদিকে তেমনই অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা কমে এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস গড়ে ওঠে।
ইলেকট্রোলাইটের দিকেও নজর দিন
শুধু পানি পান করাই যথেষ্ট নয়, শরীরে তরলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে দরকার সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট। শীতে আমরা অনেক সময় বিষয়টি ভুলে যাই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রয়োজনে ইলেকট্রোলাইট পাউডার বা ট্যাবলেট পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে ক্লান্তি কমে এবং কর্মক্ষমতা বাড়ে।
পানির জন্য রিমাইন্ডার সেট করুন
কাজের চাপ, ছুটির ব্যস্ততা বা সপ্তাহের অলস ছুটির দিন পানি পান ভুলে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনে রিমাইন্ডার বা অ্যালার্ম সেট করা বেশ কাজে দেয়। পুষ্টিবিদ পূজা কেডিয়া বলেন, মজার নাম দিয়ে অ্যালার্ম সেট করলে সেটি মনে করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মনও ভালো করে। দিনে নির্দিষ্ট সময়ে অ্যালার্ম দিলে অজান্তেই পানি পানের লক্ষ্য পূরণ হয়ে যায়।
শীতের ঠান্ডায় তৃষ্ণা কম লাগলেও শরীরের পানির প্রয়োজন কমে না। গরম পানীয়, স্যুপ, ফল আর সামান্য সচেতনতার মাধ্যমেই শীতজুড়ে সুস্থ ও সতেজ থাকা সম্ভব।
সূত্র: হেলথশট

আপনি কি কখনো সন্তানকে খেলার মাঠে অন্য শিশুদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলেন? সন্তান অন্য শিশুদের চুমু খেতে চাইলে বা জড়িয়ে ধরতে চাইলে কি আপনি হস্তক্ষেপ করেন? আপনার কি মনে হয়, সন্তানকে অবাধে শারীরিকভাবে অন্য শিশুদের স্পর্শ করতে দিলে তারা ভবিষ্যতে অন্যদের সামাজিক দূরত্বকে সম্মান করবে না?
০৫ এপ্রিল ২০২৪
সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার প্রতিদিন খাওয়া এই খাবারগুলো বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে? টেস্ট অ্যাটলাসের ‘বিশ্বের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলী ২০২৫-২০২৬’ এর র্যাঙ্কিং সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলী।...
৫ ঘণ্টা আগে
আপনার তেজ আজ এতটাই বেশি থাকবে যে অফিসে আপনার টেবিলের কাছে এলেই সহকর্মীরা নিজেদের অজান্তে ‘পানি খাব’ বলে পিছিয়ে যাবেন। কিন্তু বিপদ অন্য জায়গায়: আপনার নিজের লোক (কর্মচারী) আজ আপনার ব্যবসার কড়াইয়ের তলা ফুটো করে দেবে।
৫ ঘণ্টা আগেকাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

পরোটা-কিমা কিংবা সন্ধ্যাবেলার চায়ের সঙ্গী গরম-গরম বাকরখানি। কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার প্রতিদিন খাওয়া এই খাবারগুলো বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে? টেস্ট অ্যাটলাসের ‘বিশ্বের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলী ২০২৫-২০২৬’ এর র্যাঙ্কিং সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলী।
টেস্ট অ্যাটলাসের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলীর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষাটতম। এই তালিকা শুধু একটি র্যাঙ্কিং নয়, এটি একটি দেশের প্রাচীন, মসলাদার এবং আবেগঘন খাবারের গল্প। যে গল্পগুলো এশিয়া মহাদেশের ভারত থেকে জাপান হয়ে ভিয়েতনাম পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে এই গল্পের একটি বিশেষ অংশজুড়ে আছে আমাদের নিজস্ব খাদ্যসংস্কৃতি, যা বহুকালের ইতিহাস ও বৈচিত্র্য বহন করে। আন্তর্জাতিক সমালোচকদের চোখে কেমন ছিল আমাদের এই স্বাদের যাত্রা এবং কোন কোন খাবার পেল ‘মাস্ট ট্রাই’ তকমা? চারটি খাবারকে মাস্ট ট্রাই তকমা দেওয়া হয়েছে। তালিকার প্রথমে আছে চমচম, এরপর কিমা, তারপর টিক্কা, আরও আছে পরোটা এবং শেষে বাকরখানি।

তালিকায় পুরো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাবারের নাম ও বৈশিষ্ট্য উল্লেখ্য করা হয়েছে। সেখানে স্থান পেয়েছে এশিয়া মহাদেশের ২১টি দেশের খাবার। বাংলাদেশসহ তালিকায় স্থান পাওয়া দেশগুলো হলো জাপান, ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, লেবানন, ফিলিপাইন, ইরাক, ফিলিস্তিন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, আফগানিস্তান, মালয়েশিয়া, সিরিয়া, জর্জিয়া, কাতার, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান।
পূর্ব এশীয়র জাদু

এই অঞ্চলে সুস্বাদু ‘উমামি’ ফ্লেভার এবং ভাত-নুডলসের ব্যবহার প্রধান। জাপান ও চীনের রন্ধনশৈলী বিশ্বজুড়ে খাদ্যপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত সমাদৃত। তালিকায় প্রথম এশীয় দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে জাপানিজ রন্ধনশৈলী। তালিকায় তাদের অবস্থান ষষ্ঠ। স্বাদের সূক্ষ্মতা এবং উপকরণের বিশুদ্ধতা জাপানি খাবারের মূল আকর্ষণ। দেশটির ‘মাস্ট ট্রাই’ খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়াগিউ, আকামি টুনা, হামামাৎসু গিয়োজা, নেগিতোরোডন ও ওতোরো নিগিরি সুশি। বিস্তৃত বৈচিত্র্য এবং আঞ্চলিক বিশেষত্বের জন্য পরিচিত চীনা রন্ধনশৈলীর স্থান অষ্টম। তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো হলো ঝেংজিয়াও, লানঝো লামিয়ান, শেং চৌ, ইয়ুশিয়ং ও সিউ মেই। গাঁজানো বা ফার্মেন্টেড খাবার, মসলাদার সস এবং গ্রিলড মাংসের জন্য কোরিয়ান খাবার পরিচিত। উনিশতম অবস্থানে থাকা এই দেশের রন্ধনশৈলীতে বিখ্যাত পদগুলো হলো গেজাং, চিকেন, বানচান, গালবি ও ইয়ুকহো।
কারি, ডাল এবং রুটিনির্ভর দক্ষিণ এশীয়
এই অঞ্চলের খাবারগুলো মসলার জটিল মিশ্রণ ও গভীর স্বাদের জন্য বিখ্যাত। তালিকায় ১৩তম অবস্থানে থাকা ভারতীয় রন্ধনশৈলীর অঞ্চলভেদে বৈচিত্র্য থাকলেও তাদের মূল বৈশিষ্ট্য হলো সুগন্ধি মসলার ব্যবহার। দেশটির মাস্ট ট্রাই খাবারের তালিকায় রয়েছে বাটার গার্লিক নান, অমৃতসরি কুলচা, গরমমসলা, পরোটা ও মুথিয়া। ৬২তম স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার রন্ধনশৈলী নারকেল দুধ, সামুদ্রিক খাবার এবং শ্রীলঙ্কার নিজস্ব মসলার জন্য জনপ্রিয়। তাদের সেরা পদগুলোর মধ্যে রয়েছে সিলন সিনামন, বাত কুলু বাধো, কার্ড অ্যান্ড ট্রেকেল, কারি লিভস (বা কারি পাতা) ও কুকুল মাস কারি। ৭৩তম স্থানে থাকা পাকিস্তানি রন্ধনশৈলী ভারী গ্রিলড মাংস, রুটি এবং সুগন্ধি বিরিয়ানির জন্য পরিচিত। মাস্ট ট্রাই খাবার হলো কিমা, মুরগ কারাহি, বাসমতী, পরোটা ও চাপলি কাবাব।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়
এই অঞ্চলের রন্ধনশৈলীতে তাজা গুল্ম, লেমন গ্রাস এবং টক-মিষ্টি-ঝাল স্বাদের একটি নিখুঁত ভারসাম্য দেখা যায়। তালিকায় দশম স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ান রন্ধনশৈলী। দেশটির বিভিন্ন দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম নাসি পাডাং, বাওয়াং গোরেং, সাতে কাম্বিং, সিওমাই ও সতো বেতাউই। এদিকে টাটকা উপকরণ এবং হালকা স্বাদের জন্য ভিয়েতনামের খাবার জনপ্রিয়। ১৬তম স্থানে থাকা এই দেশের সেরা পদগুলো হলো বো নুং জ্যাম, বান মি, চা কা লা ভং, মি কোয়াং ও থিত খো টাউ।

তালিকার ২৪তম স্থানে আছে থাই রন্ধনশৈলী। এর পরেই আছে ফিলিপাইন। এরপর ২৯তম স্থানে আছে মালয়েশিয়া, ৯০তম স্থানে সিঙ্গাপুর ও ৯৬তম স্থানে আছে লাওসের খাবার। থাই খাবারের মূল আকর্ষণ হলো এর সুষম স্বাদের মিশ্রণ। টক ও নোনতা স্বাদের প্রাধান্য দেখা যায় ফিলিপাইনের খাবারে। মালয়, চীনা ও ভারতীয় স্বাদের মিশ্রণ পাওয়া যায় মালয়েশিয়ান রন্ধনশৈলীতে। সিঙ্গাপুরের রন্ধনশৈলীতে বহুজাতিক প্রভাব স্পষ্ট। লাওসের খাবার প্রধানত স্টিকি রাইস, তাজা ভেষজ এবং লাব নামক মাংসের সালাদের জন্য পরিচিত।
মধ্যপ্রাচ্য ও লেভান্টাইন
কাবাব, রুটি, দই এবং বিশেষ মসলার মিশ্রণের জন্য এই অঞ্চলের খাবার বিখ্যাত। তালিকায় ৩৭তম স্থানে আছে ফিলিস্তিন রন্ধনশৈলী। যেখানে প্রায়শই দানাশস্য, জলপাই তেল এবং স্থানীয় মসলার ব্যবহার দেখা যায়। তালিকায় ৪২তম স্থানে থাকা ইরানি রন্ধনশৈলীর মূল বৈশিষ্ট্য ভাত—বিশেষত জাফরান দেওয়া চেলো, মাংসের স্টু এবং শুকনো ফলের ব্যবহার। লেভান্টাইন স্বাদের এক চমৎকার উদাহরণ সিরিয়ান খাবার। তালিকায় তাদের স্থান ৪৫তম। ৭১তম স্থানে থাকা ইরাকি রন্ধনশৈলী প্রাচীন মেসোপটেমীয় সভ্যতার উত্তরাধিকার বহনকারী ভারী ও পুষ্টিকর খাবার। মধ্য এশীয় এবং ভারতীয় প্রভাবের মিশ্রণ আছে আফগান রন্ধনশৈলীতে। তালিকায় তাদের স্থান ৭৪তম। তালিকার ৯৯তম দেশটির নাম কাতার।
মধ্য এশিয়া ও ককেশাস
ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড খাবার, ডাম্পলিং এবং দুধ দিয়ে তৈরি খাবারের ব্যবহার এই অঞ্চলের রন্ধনশৈলীতে গুরুত্বপূর্ণ। তালিকায় ৮৭তম স্থানে আছে আর্মেনিয়ান রন্ধনশৈলী। ককেশাস অঞ্চলের প্রাচীন এই রন্ধনশৈলীতে রুটি, কাবাব এবং ডাম্পলিং উল্লেখযোগ্য। ৯৮তম স্থানে আছে কাজাখস্তানি রন্ধনশৈলী। মধ্য এশীয় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার মাংস, দুধ দিয়ে তৈরি খাবার এবং মাংসের পদ দেশটির প্রধান আকর্ষণ। তাদের সেরা পদগুলোর মধ্যে রয়েছে সামসা, শুজিক, লাগমান, কেসপে ও বাউরসাক।
সূত্র: টেস্ট অ্যাটলাস

পরোটা-কিমা কিংবা সন্ধ্যাবেলার চায়ের সঙ্গী গরম-গরম বাকরখানি। কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার প্রতিদিন খাওয়া এই খাবারগুলো বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে? টেস্ট অ্যাটলাসের ‘বিশ্বের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলী ২০২৫-২০২৬’ এর র্যাঙ্কিং সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলী।
টেস্ট অ্যাটলাসের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলীর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ষাটতম। এই তালিকা শুধু একটি র্যাঙ্কিং নয়, এটি একটি দেশের প্রাচীন, মসলাদার এবং আবেগঘন খাবারের গল্প। যে গল্পগুলো এশিয়া মহাদেশের ভারত থেকে জাপান হয়ে ভিয়েতনাম পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে এই গল্পের একটি বিশেষ অংশজুড়ে আছে আমাদের নিজস্ব খাদ্যসংস্কৃতি, যা বহুকালের ইতিহাস ও বৈচিত্র্য বহন করে। আন্তর্জাতিক সমালোচকদের চোখে কেমন ছিল আমাদের এই স্বাদের যাত্রা এবং কোন কোন খাবার পেল ‘মাস্ট ট্রাই’ তকমা? চারটি খাবারকে মাস্ট ট্রাই তকমা দেওয়া হয়েছে। তালিকার প্রথমে আছে চমচম, এরপর কিমা, তারপর টিক্কা, আরও আছে পরোটা এবং শেষে বাকরখানি।

তালিকায় পুরো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খাবারের নাম ও বৈশিষ্ট্য উল্লেখ্য করা হয়েছে। সেখানে স্থান পেয়েছে এশিয়া মহাদেশের ২১টি দেশের খাবার। বাংলাদেশসহ তালিকায় স্থান পাওয়া দেশগুলো হলো জাপান, ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, লেবানন, ফিলিপাইন, ইরাক, ফিলিস্তিন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, আফগানিস্তান, মালয়েশিয়া, সিরিয়া, জর্জিয়া, কাতার, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান।
পূর্ব এশীয়র জাদু

এই অঞ্চলে সুস্বাদু ‘উমামি’ ফ্লেভার এবং ভাত-নুডলসের ব্যবহার প্রধান। জাপান ও চীনের রন্ধনশৈলী বিশ্বজুড়ে খাদ্যপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত সমাদৃত। তালিকায় প্রথম এশীয় দেশ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে জাপানিজ রন্ধনশৈলী। তালিকায় তাদের অবস্থান ষষ্ঠ। স্বাদের সূক্ষ্মতা এবং উপকরণের বিশুদ্ধতা জাপানি খাবারের মূল আকর্ষণ। দেশটির ‘মাস্ট ট্রাই’ খাবারগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়াগিউ, আকামি টুনা, হামামাৎসু গিয়োজা, নেগিতোরোডন ও ওতোরো নিগিরি সুশি। বিস্তৃত বৈচিত্র্য এবং আঞ্চলিক বিশেষত্বের জন্য পরিচিত চীনা রন্ধনশৈলীর স্থান অষ্টম। তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো হলো ঝেংজিয়াও, লানঝো লামিয়ান, শেং চৌ, ইয়ুশিয়ং ও সিউ মেই। গাঁজানো বা ফার্মেন্টেড খাবার, মসলাদার সস এবং গ্রিলড মাংসের জন্য কোরিয়ান খাবার পরিচিত। উনিশতম অবস্থানে থাকা এই দেশের রন্ধনশৈলীতে বিখ্যাত পদগুলো হলো গেজাং, চিকেন, বানচান, গালবি ও ইয়ুকহো।
কারি, ডাল এবং রুটিনির্ভর দক্ষিণ এশীয়
এই অঞ্চলের খাবারগুলো মসলার জটিল মিশ্রণ ও গভীর স্বাদের জন্য বিখ্যাত। তালিকায় ১৩তম অবস্থানে থাকা ভারতীয় রন্ধনশৈলীর অঞ্চলভেদে বৈচিত্র্য থাকলেও তাদের মূল বৈশিষ্ট্য হলো সুগন্ধি মসলার ব্যবহার। দেশটির মাস্ট ট্রাই খাবারের তালিকায় রয়েছে বাটার গার্লিক নান, অমৃতসরি কুলচা, গরমমসলা, পরোটা ও মুথিয়া। ৬২তম স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কার রন্ধনশৈলী নারকেল দুধ, সামুদ্রিক খাবার এবং শ্রীলঙ্কার নিজস্ব মসলার জন্য জনপ্রিয়। তাদের সেরা পদগুলোর মধ্যে রয়েছে সিলন সিনামন, বাত কুলু বাধো, কার্ড অ্যান্ড ট্রেকেল, কারি লিভস (বা কারি পাতা) ও কুকুল মাস কারি। ৭৩তম স্থানে থাকা পাকিস্তানি রন্ধনশৈলী ভারী গ্রিলড মাংস, রুটি এবং সুগন্ধি বিরিয়ানির জন্য পরিচিত। মাস্ট ট্রাই খাবার হলো কিমা, মুরগ কারাহি, বাসমতী, পরোটা ও চাপলি কাবাব।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়
এই অঞ্চলের রন্ধনশৈলীতে তাজা গুল্ম, লেমন গ্রাস এবং টক-মিষ্টি-ঝাল স্বাদের একটি নিখুঁত ভারসাম্য দেখা যায়। তালিকায় দশম স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ান রন্ধনশৈলী। দেশটির বিভিন্ন দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম নাসি পাডাং, বাওয়াং গোরেং, সাতে কাম্বিং, সিওমাই ও সতো বেতাউই। এদিকে টাটকা উপকরণ এবং হালকা স্বাদের জন্য ভিয়েতনামের খাবার জনপ্রিয়। ১৬তম স্থানে থাকা এই দেশের সেরা পদগুলো হলো বো নুং জ্যাম, বান মি, চা কা লা ভং, মি কোয়াং ও থিত খো টাউ।

তালিকার ২৪তম স্থানে আছে থাই রন্ধনশৈলী। এর পরেই আছে ফিলিপাইন। এরপর ২৯তম স্থানে আছে মালয়েশিয়া, ৯০তম স্থানে সিঙ্গাপুর ও ৯৬তম স্থানে আছে লাওসের খাবার। থাই খাবারের মূল আকর্ষণ হলো এর সুষম স্বাদের মিশ্রণ। টক ও নোনতা স্বাদের প্রাধান্য দেখা যায় ফিলিপাইনের খাবারে। মালয়, চীনা ও ভারতীয় স্বাদের মিশ্রণ পাওয়া যায় মালয়েশিয়ান রন্ধনশৈলীতে। সিঙ্গাপুরের রন্ধনশৈলীতে বহুজাতিক প্রভাব স্পষ্ট। লাওসের খাবার প্রধানত স্টিকি রাইস, তাজা ভেষজ এবং লাব নামক মাংসের সালাদের জন্য পরিচিত।
মধ্যপ্রাচ্য ও লেভান্টাইন
কাবাব, রুটি, দই এবং বিশেষ মসলার মিশ্রণের জন্য এই অঞ্চলের খাবার বিখ্যাত। তালিকায় ৩৭তম স্থানে আছে ফিলিস্তিন রন্ধনশৈলী। যেখানে প্রায়শই দানাশস্য, জলপাই তেল এবং স্থানীয় মসলার ব্যবহার দেখা যায়। তালিকায় ৪২তম স্থানে থাকা ইরানি রন্ধনশৈলীর মূল বৈশিষ্ট্য ভাত—বিশেষত জাফরান দেওয়া চেলো, মাংসের স্টু এবং শুকনো ফলের ব্যবহার। লেভান্টাইন স্বাদের এক চমৎকার উদাহরণ সিরিয়ান খাবার। তালিকায় তাদের স্থান ৪৫তম। ৭১তম স্থানে থাকা ইরাকি রন্ধনশৈলী প্রাচীন মেসোপটেমীয় সভ্যতার উত্তরাধিকার বহনকারী ভারী ও পুষ্টিকর খাবার। মধ্য এশীয় এবং ভারতীয় প্রভাবের মিশ্রণ আছে আফগান রন্ধনশৈলীতে। তালিকায় তাদের স্থান ৭৪তম। তালিকার ৯৯তম দেশটির নাম কাতার।
মধ্য এশিয়া ও ককেশাস
ঐতিহ্যবাহী গ্রিলড খাবার, ডাম্পলিং এবং দুধ দিয়ে তৈরি খাবারের ব্যবহার এই অঞ্চলের রন্ধনশৈলীতে গুরুত্বপূর্ণ। তালিকায় ৮৭তম স্থানে আছে আর্মেনিয়ান রন্ধনশৈলী। ককেশাস অঞ্চলের প্রাচীন এই রন্ধনশৈলীতে রুটি, কাবাব এবং ডাম্পলিং উল্লেখযোগ্য। ৯৮তম স্থানে আছে কাজাখস্তানি রন্ধনশৈলী। মধ্য এশীয় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার মাংস, দুধ দিয়ে তৈরি খাবার এবং মাংসের পদ দেশটির প্রধান আকর্ষণ। তাদের সেরা পদগুলোর মধ্যে রয়েছে সামসা, শুজিক, লাগমান, কেসপে ও বাউরসাক।
সূত্র: টেস্ট অ্যাটলাস

আপনি কি কখনো সন্তানকে খেলার মাঠে অন্য শিশুদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলেন? সন্তান অন্য শিশুদের চুমু খেতে চাইলে বা জড়িয়ে ধরতে চাইলে কি আপনি হস্তক্ষেপ করেন? আপনার কি মনে হয়, সন্তানকে অবাধে শারীরিকভাবে অন্য শিশুদের স্পর্শ করতে দিলে তারা ভবিষ্যতে অন্যদের সামাজিক দূরত্বকে সম্মান করবে না?
০৫ এপ্রিল ২০২৪
সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক শীতের বাতাস শরীর থেকে পানি আরও বেশি বের করে নেয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়, শক্তি কমে যায় এবং হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি পান শীতে বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতেও সহজ কিছু অভ্যাসে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখা সম্ভব।...
৫ ঘণ্টা আগে
আপনার তেজ আজ এতটাই বেশি থাকবে যে অফিসে আপনার টেবিলের কাছে এলেই সহকর্মীরা নিজেদের অজান্তে ‘পানি খাব’ বলে পিছিয়ে যাবেন। কিন্তু বিপদ অন্য জায়গায়: আপনার নিজের লোক (কর্মচারী) আজ আপনার ব্যবসার কড়াইয়ের তলা ফুটো করে দেবে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার তেজ আজ এতটাই বেশি থাকবে যে অফিসে আপনার টেবিলের কাছে এলেই সহকর্মীরা নিজেদের অজান্তে ‘পানি খাব’ বলে পিছিয়ে যাবেন। কিন্তু বিপদ অন্য জায়গায়: আপনার নিজের লোক (কর্মচারী) আজ আপনার ব্যবসার কড়াইয়ের তলা ফুটো করে দেবে। মনের কথা বোঝাতে পারবেন না বিশেষত সেই পুরোনো বন্ধুর কাছে, যে আপনার থেকে টাকা ধার করে আর ফিরিয়ে দেয় না। রাগ হলে এক গ্লাস লেবু জল খান। তাতেও না কমলে প্রতিবেশীর ওয়াইফাই হ্যাক করার চেষ্টা করুন।
বৃষ
আজ আপনি কোনো কাজের পরিকল্পনা করবেন, আর গ্রহ বলবে, ‘না না, ওটা কাল হবে।’ অর্থাৎ আপনার সব পরিকল্পনা আজ ডাহা ফেল মারবে। অন্য কারোর ওপর ভরসা না করে আপনার উপায় থাকবে না। যেহেতু আপনি স্বভাবতই একটু ‘হাঁকিয়ে’ লোক, তাই কাউকে সাহায্য চাইতে গেলে এমন একটা মুখ করবেন, যেন আপনি বিরাট দাতা, আর সে আপনার করুণার পাত্র। ঋণের জন্য দরবার করতে যাবেন না। বরং আলমারির পেছনে পড়ে থাকা পুরোনো একটা পাঁচ টাকার কয়েন খুঁজে দেখুন, ওটাই আজ আপনার শুভ অর্থ।
মিথুন
আপনার মাথায় আজ দুটি মস্তিষ্ক সমানে ঝগড়া করবে: একজন বলবে ‘এটা করো!’, অন্যজন বলবে, ‘করলে কিন্তু ফেঁসে যাবে!’ এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে আপনি এমন এক সংযমী মনোভাব নেবেন যে কোনো কাজই ঠিক সময়ে শেষ হবে না। বসের কাছে আজ কোনো আবদার করলে উত্তর আসবে, ‘আগে পুরোনো কাজগুলো শেষ করো।’ সরকারি কর্মচারীরা কাজের চাপে নাজেহাল হবেন, মনে হবে ফাইলগুলো আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছে। পার্টনার আপনার এই ‘কনফিউশন’ দেখে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাবে। সিঙ্গেল থাকলে আজ দ্রুত প্রোফাইল পিকচার বদলান, না হলে রাতারাতি কেউ ভুলেও মেসেজ করবে না।
কর্কট
বিবাহিতদের জন্য দিনটি মিষ্টি, মধুর, মাখনের মতো কাটবে। কিন্তু সমস্যা হলো, সেই মিষ্টি মেজাজ দুপুর ১২টার পর হঠাৎ টক হয়ে যেতে পারে। অফিসে বস আজ আপনার কাজের মধ্যে খুঁত ধরবেন (হয়তো আপনার চায়ের কাপের রং নিয়ে)। মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হবেন এবং সামান্য কিছুতেই ফেসবুকে লম্বা স্ট্যাটাস দিয়ে দেবেন। আবেগের বশে ভুল করে পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার ছবিতে লাইক দিয়ে দেবেন না। আজ আপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, মেজাজ খারাপ হলেও মিষ্টি হাসি বজায় রাখা।
সিংহ
আজ কোনো দায়িত্ব কাঁধে নেবেন না। কারণ, গ্রহরাজ বলছে, নিলেও সেই কাজ অন্যের ঘাড়েই চাপাবেন। বাড়িতে রাখা আপনার প্রিয় দামি জিনিসটি আজ ভেঙে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা। হতে পারে সেটা সেই অ্যান্টিক ফুলদানিটা, যেটা নিয়ে সবার কাছে গল্প করতেন। আর হ্যাঁ, আজ বাড়িতে যে অতিথি আসবে, সে পেছনে আপনার সমালোচনা করবে। আজ বাড়ির সোফায় হেলান দিয়ে কেবল আদেশ জারি করুন। রান্নাঘরে ঢোকার চেষ্টা করবেন না। কারণ, সামান্য ডিম ভাজতেও আপনি হাত পুড়িয়ে ফেলবেন।
কন্যা
পরিপাটি স্বভাব আজ আপনাকে প্রবল বিদেশ যাত্রার দিকে ঠেলে দেবে। তবে সেটি কাজের জন্য নয়, শুধু উচ্চশিক্ষার জন্য। আজ একটা সূক্ষ্ম খুঁত খুঁজে বের করার জন্য সমস্ত মনোযোগ ব্যয় করবেন। ধরুন, এক মাস ধরে একটি ডিনার পার্টি প্ল্যান করেছেন, আর আজ আবিষ্কার করবেন যে টেবিল ক্লথটা দুই মিলিমিটার বাঁকা হয়ে আছে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। পেট পরিষ্কার রাখুন, গ্রহের দোষ কমবে।
তুলা
আজ আপনার দিনটা শুরু হবে ‘ইশ, আর পারছি না’ এই অনুভূতির সঙ্গে। মনে হবে যেন কাঁধে একটা বিরাট বোঝা চাপানো হয়েছে (যাকে আমরা ‘জীবনের বোঝা’ বলি)। সারা দিন শুধু ভাববেন, ‘ডান দিকে যাব, নাকি বাঁ দিকে?’ এই দোটানায় দুপুরের খাবার কখন খাবেন, তা-ই ঠিক করতে পারবেন না। কিন্তু দুপুরের পর হঠাৎ অপ্রত্যাশিতভাবে ওয়ালেটে একটি পুরোনো টাকা পাবেন, যেটা খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। আজ দরাদরি করার সময় ভুল করে নিজের স্যালারিটা বলে দেবেন না যেন!
বৃশ্চিক
কর্মক্ষেত্রে আজ অগ্রগতি হবে, কিন্তু গ্রহ বলছে—ফাঁকি দেওয়া একদম চলবে না! সাধারণত খুব গভীর ও রহস্যময় হতে পছন্দ করেন, কিন্তু আজ ছোট ভাগনে-ভাগনিরা আপনার সমস্ত রহস্য ফাঁস করে দিতে পারে। সন্ধ্যার দিকে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়ে আপনি হতাশ হতে পারেন (যেমন সবাই শুধু নিজের ফটো তুলছে)। রাতের বেলায় চাঁদ এবং বৃহস্পতি আপনার রাশিতে এমন ‘নাচানাচি’ করবে যে একা একা ঘরে একটা অদ্ভুত আনন্দে হাসবেন। কেউ দেখলে পাগল ভাববে।
ধনু
অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে কিছুটা বেহিসাবি করে তুলবে। আজ প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত খুব চিন্তাভাবনা করে নেবেন, যার ফলস্বরূপ সব সিদ্ধান্তই ভুল হবে। কোনো চেনা শত্রু আজ ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। আপনার শখের জিনিস কাউকে দান করে পরে মন খারাপ হবে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কম খরচ করুন। না হলে কালকে ভেজিটেবল চপ খেয়ে দিন পার করতে হবে। পরিচালকের ভূমিকায় থাকলে আপনি দুর্দান্ত কাজ করবেন। মানে পরেরবার বন্ধুদের আড্ডার ডিরেক্টর আপনি।
মকর
আপনি সাধারণত খুব দায়িত্বশীল ও গম্ভীর স্বভাবের। কিন্তু আজ হঠাৎ মা-বাবার কাছে পুরোনো দিনের মতো আবদার করতে ইচ্ছা করবে। করে দেখুন! পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ষোলো আনা। তবে আজ কারও সঙ্গে তর্কে যাবেন না। কারণ, সেটা কেবলই সময় নষ্ট করবে। সন্ধ্যায় কোনো এক অদ্ভুত বন্ধু বা গ্রুপের সদস্য আপনার মনকে হালকা করে দেবে। হতে পারে আপনার সেই বন্ধুটি, যে এখনো ‘টিকটক’ করে।
কুম্ভ
আজ এতটাই অন্যমনস্ক থাকবেন যে চলাফেরায় খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। না হলে সিঁড়ির ধাপ গোনার সময় ভুল করে চারটির জায়গায় পাঁচটা ধাপ গুনে ফেলবেন। নতুন কিছু করার ইচ্ছা মনে জাগবে, আর আপনার জীবনসঙ্গী সেই কাজে সহায়তা করবেন, বিশেষ করে আপনি যদি চাঁদে আলু চাষের প্ল্যান করেন। আজ কেউ আপনাকে টাকা বা সাহায্য দিতে চাইবে না। তাই ধার চাইতে গেলে এমনভাবে যান, যেন আপনি লটারিতে ফার্স্ট প্রাইজ জিতেছেন—স্রেফ কৌতূহল মেটানোর জন্য জিজ্ঞেস করছেন। আপনার ইমেজ আজ সফল এবং ধনী মানুষের মতো দেখাবে।
মীন
আজ চিরাচরিত আলস্য ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইবেন, কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য বাঁধায় আটকে যাবেন। মনে হবে যেন সব অথরিটি ফিগার (যেমন বাড়ির বড়রা, অফিসের বস, বা মুদিদোকানের বকেয়া) আপনার স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। মনটা আজ বেশ খারাপ লাগতে পারে। তবে শেষ হাসি আপনার: দিনের শেষে ভ্রমণ বা শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলার সুযোগ আনন্দ দেবে। যদি ভ্রমণ সম্ভব না হয়, তবে ছাদে গিয়ে আকাশ দেখতে দেখতে মহাকাশ যাত্রার কল্পনা করুন—ওটাই আপনার আজকের বিদেশ যাত্রা।

মেষ
আপনার তেজ আজ এতটাই বেশি থাকবে যে অফিসে আপনার টেবিলের কাছে এলেই সহকর্মীরা নিজেদের অজান্তে ‘পানি খাব’ বলে পিছিয়ে যাবেন। কিন্তু বিপদ অন্য জায়গায়: আপনার নিজের লোক (কর্মচারী) আজ আপনার ব্যবসার কড়াইয়ের তলা ফুটো করে দেবে। মনের কথা বোঝাতে পারবেন না বিশেষত সেই পুরোনো বন্ধুর কাছে, যে আপনার থেকে টাকা ধার করে আর ফিরিয়ে দেয় না। রাগ হলে এক গ্লাস লেবু জল খান। তাতেও না কমলে প্রতিবেশীর ওয়াইফাই হ্যাক করার চেষ্টা করুন।
বৃষ
আজ আপনি কোনো কাজের পরিকল্পনা করবেন, আর গ্রহ বলবে, ‘না না, ওটা কাল হবে।’ অর্থাৎ আপনার সব পরিকল্পনা আজ ডাহা ফেল মারবে। অন্য কারোর ওপর ভরসা না করে আপনার উপায় থাকবে না। যেহেতু আপনি স্বভাবতই একটু ‘হাঁকিয়ে’ লোক, তাই কাউকে সাহায্য চাইতে গেলে এমন একটা মুখ করবেন, যেন আপনি বিরাট দাতা, আর সে আপনার করুণার পাত্র। ঋণের জন্য দরবার করতে যাবেন না। বরং আলমারির পেছনে পড়ে থাকা পুরোনো একটা পাঁচ টাকার কয়েন খুঁজে দেখুন, ওটাই আজ আপনার শুভ অর্থ।
মিথুন
আপনার মাথায় আজ দুটি মস্তিষ্ক সমানে ঝগড়া করবে: একজন বলবে ‘এটা করো!’, অন্যজন বলবে, ‘করলে কিন্তু ফেঁসে যাবে!’ এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে আপনি এমন এক সংযমী মনোভাব নেবেন যে কোনো কাজই ঠিক সময়ে শেষ হবে না। বসের কাছে আজ কোনো আবদার করলে উত্তর আসবে, ‘আগে পুরোনো কাজগুলো শেষ করো।’ সরকারি কর্মচারীরা কাজের চাপে নাজেহাল হবেন, মনে হবে ফাইলগুলো আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছে। পার্টনার আপনার এই ‘কনফিউশন’ দেখে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাবে। সিঙ্গেল থাকলে আজ দ্রুত প্রোফাইল পিকচার বদলান, না হলে রাতারাতি কেউ ভুলেও মেসেজ করবে না।
কর্কট
বিবাহিতদের জন্য দিনটি মিষ্টি, মধুর, মাখনের মতো কাটবে। কিন্তু সমস্যা হলো, সেই মিষ্টি মেজাজ দুপুর ১২টার পর হঠাৎ টক হয়ে যেতে পারে। অফিসে বস আজ আপনার কাজের মধ্যে খুঁত ধরবেন (হয়তো আপনার চায়ের কাপের রং নিয়ে)। মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হবেন এবং সামান্য কিছুতেই ফেসবুকে লম্বা স্ট্যাটাস দিয়ে দেবেন। আবেগের বশে ভুল করে পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার ছবিতে লাইক দিয়ে দেবেন না। আজ আপনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, মেজাজ খারাপ হলেও মিষ্টি হাসি বজায় রাখা।
সিংহ
আজ কোনো দায়িত্ব কাঁধে নেবেন না। কারণ, গ্রহরাজ বলছে, নিলেও সেই কাজ অন্যের ঘাড়েই চাপাবেন। বাড়িতে রাখা আপনার প্রিয় দামি জিনিসটি আজ ভেঙে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা। হতে পারে সেটা সেই অ্যান্টিক ফুলদানিটা, যেটা নিয়ে সবার কাছে গল্প করতেন। আর হ্যাঁ, আজ বাড়িতে যে অতিথি আসবে, সে পেছনে আপনার সমালোচনা করবে। আজ বাড়ির সোফায় হেলান দিয়ে কেবল আদেশ জারি করুন। রান্নাঘরে ঢোকার চেষ্টা করবেন না। কারণ, সামান্য ডিম ভাজতেও আপনি হাত পুড়িয়ে ফেলবেন।
কন্যা
পরিপাটি স্বভাব আজ আপনাকে প্রবল বিদেশ যাত্রার দিকে ঠেলে দেবে। তবে সেটি কাজের জন্য নয়, শুধু উচ্চশিক্ষার জন্য। আজ একটা সূক্ষ্ম খুঁত খুঁজে বের করার জন্য সমস্ত মনোযোগ ব্যয় করবেন। ধরুন, এক মাস ধরে একটি ডিনার পার্টি প্ল্যান করেছেন, আর আজ আবিষ্কার করবেন যে টেবিল ক্লথটা দুই মিলিমিটার বাঁকা হয়ে আছে। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। পেট পরিষ্কার রাখুন, গ্রহের দোষ কমবে।
তুলা
আজ আপনার দিনটা শুরু হবে ‘ইশ, আর পারছি না’ এই অনুভূতির সঙ্গে। মনে হবে যেন কাঁধে একটা বিরাট বোঝা চাপানো হয়েছে (যাকে আমরা ‘জীবনের বোঝা’ বলি)। সারা দিন শুধু ভাববেন, ‘ডান দিকে যাব, নাকি বাঁ দিকে?’ এই দোটানায় দুপুরের খাবার কখন খাবেন, তা-ই ঠিক করতে পারবেন না। কিন্তু দুপুরের পর হঠাৎ অপ্রত্যাশিতভাবে ওয়ালেটে একটি পুরোনো টাকা পাবেন, যেটা খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। আজ দরাদরি করার সময় ভুল করে নিজের স্যালারিটা বলে দেবেন না যেন!
বৃশ্চিক
কর্মক্ষেত্রে আজ অগ্রগতি হবে, কিন্তু গ্রহ বলছে—ফাঁকি দেওয়া একদম চলবে না! সাধারণত খুব গভীর ও রহস্যময় হতে পছন্দ করেন, কিন্তু আজ ছোট ভাগনে-ভাগনিরা আপনার সমস্ত রহস্য ফাঁস করে দিতে পারে। সন্ধ্যার দিকে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়ে আপনি হতাশ হতে পারেন (যেমন সবাই শুধু নিজের ফটো তুলছে)। রাতের বেলায় চাঁদ এবং বৃহস্পতি আপনার রাশিতে এমন ‘নাচানাচি’ করবে যে একা একা ঘরে একটা অদ্ভুত আনন্দে হাসবেন। কেউ দেখলে পাগল ভাববে।
ধনু
অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে কিছুটা বেহিসাবি করে তুলবে। আজ প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত খুব চিন্তাভাবনা করে নেবেন, যার ফলস্বরূপ সব সিদ্ধান্তই ভুল হবে। কোনো চেনা শত্রু আজ ক্ষতি করার চেষ্টা করবে। আপনার শখের জিনিস কাউকে দান করে পরে মন খারাপ হবে। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কম খরচ করুন। না হলে কালকে ভেজিটেবল চপ খেয়ে দিন পার করতে হবে। পরিচালকের ভূমিকায় থাকলে আপনি দুর্দান্ত কাজ করবেন। মানে পরেরবার বন্ধুদের আড্ডার ডিরেক্টর আপনি।
মকর
আপনি সাধারণত খুব দায়িত্বশীল ও গম্ভীর স্বভাবের। কিন্তু আজ হঠাৎ মা-বাবার কাছে পুরোনো দিনের মতো আবদার করতে ইচ্ছা করবে। করে দেখুন! পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ষোলো আনা। তবে আজ কারও সঙ্গে তর্কে যাবেন না। কারণ, সেটা কেবলই সময় নষ্ট করবে। সন্ধ্যায় কোনো এক অদ্ভুত বন্ধু বা গ্রুপের সদস্য আপনার মনকে হালকা করে দেবে। হতে পারে আপনার সেই বন্ধুটি, যে এখনো ‘টিকটক’ করে।
কুম্ভ
আজ এতটাই অন্যমনস্ক থাকবেন যে চলাফেরায় খুব বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। না হলে সিঁড়ির ধাপ গোনার সময় ভুল করে চারটির জায়গায় পাঁচটা ধাপ গুনে ফেলবেন। নতুন কিছু করার ইচ্ছা মনে জাগবে, আর আপনার জীবনসঙ্গী সেই কাজে সহায়তা করবেন, বিশেষ করে আপনি যদি চাঁদে আলু চাষের প্ল্যান করেন। আজ কেউ আপনাকে টাকা বা সাহায্য দিতে চাইবে না। তাই ধার চাইতে গেলে এমনভাবে যান, যেন আপনি লটারিতে ফার্স্ট প্রাইজ জিতেছেন—স্রেফ কৌতূহল মেটানোর জন্য জিজ্ঞেস করছেন। আপনার ইমেজ আজ সফল এবং ধনী মানুষের মতো দেখাবে।
মীন
আজ চিরাচরিত আলস্য ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইবেন, কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য বাঁধায় আটকে যাবেন। মনে হবে যেন সব অথরিটি ফিগার (যেমন বাড়ির বড়রা, অফিসের বস, বা মুদিদোকানের বকেয়া) আপনার স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। মনটা আজ বেশ খারাপ লাগতে পারে। তবে শেষ হাসি আপনার: দিনের শেষে ভ্রমণ বা শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলার সুযোগ আনন্দ দেবে। যদি ভ্রমণ সম্ভব না হয়, তবে ছাদে গিয়ে আকাশ দেখতে দেখতে মহাকাশ যাত্রার কল্পনা করুন—ওটাই আপনার আজকের বিদেশ যাত্রা।

আপনি কি কখনো সন্তানকে খেলার মাঠে অন্য শিশুদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলেন? সন্তান অন্য শিশুদের চুমু খেতে চাইলে বা জড়িয়ে ধরতে চাইলে কি আপনি হস্তক্ষেপ করেন? আপনার কি মনে হয়, সন্তানকে অবাধে শারীরিকভাবে অন্য শিশুদের স্পর্শ করতে দিলে তারা ভবিষ্যতে অন্যদের সামাজিক দূরত্বকে সম্মান করবে না?
০৫ এপ্রিল ২০২৪
সম্প্রতি একটি ঘটনা মোটামুটি সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। গত সোমবার সকালে মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে মা-মেয়ে খুন হন গৃহকর্মীর হাতে। শুধু এমন ঘটনা নয়, গৃহকর্মী খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাড়ির মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে পালানোর ঘটনাও প্রায়ই শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক শীতের বাতাস শরীর থেকে পানি আরও বেশি বের করে নেয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়, শক্তি কমে যায় এবং হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি পান শীতে বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, শীতেও সহজ কিছু অভ্যাসে শরীরে পানির ভারসাম্য রাখা সম্ভব।...
৫ ঘণ্টা আগে
কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার প্রতিদিন খাওয়া এই খাবারগুলো বৈশ্বিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে? টেস্ট অ্যাটলাসের ‘বিশ্বের সেরা ১০০ রন্ধনশৈলী ২০২৫-২০২৬’ এর র্যাঙ্কিং সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বজুড়ে খাদ্যরসিকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রন্ধনশৈলী।...
৫ ঘণ্টা আগে