ফিচার ডেস্ক
বিশ্বের সব সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খাবার। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি হয় এটি। আমাদের দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধান থেকে তৈরি চাল খাবারের প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সুপ্রাচীন কাল থেকে। কিছু পিঠা জাতীয় খাবার ছাড়া চাল থেকে তৈরি সব খাবারই মূলত তৈরি হয় সেদ্ধ করে। দেশ, অঞ্চল ও আবহাওয়া ভেদে এর বহু রকমফের আছে। এ ছাড়া চাল দিয়ে মিষ্টিজাতীয় খাবারসহ আরও অন্যান্য খাবার তৈরি হয়। পৃথিবীতে কবে থেকে ভাত খাওয়ার প্রচলন তা নিয়ে রয়েছে মতভেদ। তবে প্রায় ২৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ভাত খাওয়ার প্রচলন শুরু হয়, এটি জনপ্রিয় মত।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর মতো মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ও অঞ্চলগুলোতেও চাল দিয়ে তৈরি ভাতসহ অন্যান্য খাবারের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তবে সেসব ভাতের রন্ধনপ্রণালি যে হুবহু আমাদের মতো, তা নয়। এমন কয়েকটি খাবারের সংক্ষিপ্ত হদিস রইল এখানে।

টিমান জিজার, ইরাক
চাল দিয়ে তৈরি টিমান জিজার ইরাকের জনপ্রিয় খাবার। এটি ক্যারট রাইস নামেও পরিচিত। গাজর, পেঁয়াজ, গরু, মুরগি বা ভেড়ার মাংস এবং মসলা দিয়ে রান্না করা ভাত। মূলত অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে আধা সেদ্ধ ভাত রান্না করে তৈরি হয় এ খাবার। অনেক সময় এটি শাক-সবজি দিয়েও পরিবেশন করা হয়।

কুশরি, মিশর
কুশরি মিসরের ঐতিহ্যবাহী খাবার। চাল, মসুর ডাল, ছোলা এবং পাস্তা একসঙ্গে রান্না করে এটি তৈরি করা হয়। খাবারটির স্বাদ আরও উন্নত করতে টমেটো সস, ভিনেগার এবং বেরেস্তা যোগ করা হয়। কুশরি সুষম খাবার হিসেবে পরিচিত। মিসরের স্ট্রিট ফুড হিসেবে এটি অনেক জনপ্রিয়। এটি দুপুর বা রাতের খাবার হিসেবেও খাওয়া হয়।

রিজ বি হালিব, লেবানন
লেবাননে জনপ্রিয় এই খাবার আরবিয় রাইস পুডিং হিসেবে পরিচিত। যা কমলা ফুলের পানি ও গোলাপ জল দিয়ে তৈরি হয়। এর ফলে একটি মিষ্টি গন্ধ খাবারে পাওয়া যায়।

প্লোভ, উজবেকিস্তান
প্লোভ উজবেকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এর আর একটি নাম আছে— ওশ। আমাদের দেশে আমরা যে পোলাও খাই, অনেকেই বলেন, এই প্লোভ বা পিলাও বা ওশ–ই হচ্ছে সেই পোলাওয়ের পূর্বপুরুষ। এতে লম্বা দানা চাল, শুকনো ফল বা কিশমিশ, মেষের মাংস, পেঁয়াজ এবং গাজর থাকে। এটি পুরো পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

নাসি গোরেং, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার একটি জনপ্রিয় ফ্রাইড রাইস। এটি ইন্দোনেশিয়া ও মালয় অঞ্চলের জনপ্রিয় খাবার হলেও প্রায় পুরো দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় প্রচলিত খাবার। মিষ্টি সয়া সস, চিংড়ি পেস্ট এবং মসলার সঙ্গে ভাত ভেজে এটি তৈরি করা হয়। সাধারণত, এই খাবার পরিবেশনের সময় ওপরে একটি ডিম পোচ দেওয়া হয়। অনেক সময় মাংস বা অন্যান্য উপকরণও থাকে।

নাসি লেমাক, মালয়েশিয়া
নাসি লেমাক মালয়েশিয়ার জাতীয় খাবার। নাসি মানে চাল এবং লেমাক অর্থ মিষ্টি বা ক্রিমি। এটি নারকেল দুধ ও পন্দান পাতা দিয়ে রান্না করা হয়। সাধারণত চিলি সস, শ্রিম্প পেস্ট, বাদাম ইত্যাদি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে ভাজা মাংস, পাঁপড় ইত্যাদি খাওয়া হয়।

বামবুকিওলি বাই, মালদ্বীপ
মালদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী খাবার বামবুকিওলি বাই। এটি চাল, ব্রেডফ্রুট এবং নারকেল দুধ দিয়ে তৈরি হয়। এর পর মালদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী মাছের ঝোল বা ফিহুনু মাস দিয়ে পরিবেশন করা হয়।

কাবুলি পোলাও
কাবুলি পোলাও আফগানিস্তানের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। পোলাওয়ের ওপর থাকে স্থানীয় রেসিপির মাংস এবং গাজর, কিশমিশ, বাদাম ইত্যাদি। এই খাবার উৎসব ও বিশেষ অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়।

জর্দা
মুঘল সময় থেকে প্রচলিত মিষ্টি জাতীয় খাবার জর্দা। এতে চাল, চিনি, বাদাম এবং এলাচি মেশানো থাকে। কেশর বা জাফরান মেশানো হতো বলে এর রং ছিল হলুদ। উজ্জ্বল হলুদ বা কমলা রং করতে এখন এটিতে ফুড গ্রেড হলুদ মেশানো হয়। এটি আমাদের দেশে ব্যবহৃত হয় ডেজার্ট হিসেবে।

বিরিয়ানি
বিরিয়ানি ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় খাবার। চাল, মসলা এবং মাংস একসঙ্গে রান্না করে এটি তৈরি করা হয়। কখনো কখনো, ডিম ও আলুও এতে ব্যবহার করা হয়। বিরিয়ানি খাওয়া হয় ভারতীয় উপমহাদেশের এমন অঞ্চলগুলোতে রয়েছে এটি রান্নার আলাদা আলাদা রেসিপি। জনপ্রিয় বিরিয়ানি ঘরানাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আওধ, লক্ষ্ণৌ, বাংলা, দক্ষিণ ভারত ইত্যাদি। এটি মূলত আমিষ জাতীয় খাবার। কিন্তু এর জনপ্রিয়তার কারণে এখন অনেক নিরামিষ

ক্ষীর
ক্ষীর বা পায়েস ভারতীয় উপমহাদেশের জনপ্রিয় মিষ্টিজাতীয় খাবার। এটি দুধ, চিনি, এলাচি এবং বাদাম দিয়ে তৈরি হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে এবং বিশেষ দিনে পরিবেশন করা হয়।
অন্যান্য খাবার
যেসব খাবারের কথা বলা হলো, সেগুলো ছাড়াও বিভিন্ন মুসলিম দেশে বিভিন্নভাবে চাল দিয়ে সুস্বাদু খাবার তৈরি হয়। এর মধ্যে রয়েছে সোমালিয়ার জাতীয় খাবার বারিস ইস্কুকারিস, জর্ডানের ঐতিহ্যবাহী ম্যানসাফ, ইয়েমেনের মান্দি, জিবুতির জাতীয় খাবার স্কুদাখারিস, ইরানি উৎসবের খাবার ঘেহমেহ নেসার, সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী খাবার মজবুস। এ ছাড়া রয়েছে ইরাক, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান এবং ফিলিস্তিনের জনপ্রিয় খাবার মাকলুবা। মাংস, চাল এবং ভাজা সবজি এক পাত্রে রান্না করে এটি তৈরি করা হয়।
এই খাবারগুলো মুসলিম বিশ্বে চাল দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু খাবার। এর মধ্যে প্রতিটি অঞ্চলের নিজস্ব স্বাদ এবং রান্নার পদ্ধতি রয়েছে, যা তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে।
সূত্র: বাইত আল ফান
বিশ্বের সব সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খাবার। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি হয় এটি। আমাদের দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধান থেকে তৈরি চাল খাবারের প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সুপ্রাচীন কাল থেকে। কিছু পিঠা জাতীয় খাবার ছাড়া চাল থেকে তৈরি সব খাবারই মূলত তৈরি হয় সেদ্ধ করে। দেশ, অঞ্চল ও আবহাওয়া ভেদে এর বহু রকমফের আছে। এ ছাড়া চাল দিয়ে মিষ্টিজাতীয় খাবারসহ আরও অন্যান্য খাবার তৈরি হয়। পৃথিবীতে কবে থেকে ভাত খাওয়ার প্রচলন তা নিয়ে রয়েছে মতভেদ। তবে প্রায় ২৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ভাত খাওয়ার প্রচলন শুরু হয়, এটি জনপ্রিয় মত।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর মতো মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ও অঞ্চলগুলোতেও চাল দিয়ে তৈরি ভাতসহ অন্যান্য খাবারের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তবে সেসব ভাতের রন্ধনপ্রণালি যে হুবহু আমাদের মতো, তা নয়। এমন কয়েকটি খাবারের সংক্ষিপ্ত হদিস রইল এখানে।

টিমান জিজার, ইরাক
চাল দিয়ে তৈরি টিমান জিজার ইরাকের জনপ্রিয় খাবার। এটি ক্যারট রাইস নামেও পরিচিত। গাজর, পেঁয়াজ, গরু, মুরগি বা ভেড়ার মাংস এবং মসলা দিয়ে রান্না করা ভাত। মূলত অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে আধা সেদ্ধ ভাত রান্না করে তৈরি হয় এ খাবার। অনেক সময় এটি শাক-সবজি দিয়েও পরিবেশন করা হয়।

কুশরি, মিশর
কুশরি মিসরের ঐতিহ্যবাহী খাবার। চাল, মসুর ডাল, ছোলা এবং পাস্তা একসঙ্গে রান্না করে এটি তৈরি করা হয়। খাবারটির স্বাদ আরও উন্নত করতে টমেটো সস, ভিনেগার এবং বেরেস্তা যোগ করা হয়। কুশরি সুষম খাবার হিসেবে পরিচিত। মিসরের স্ট্রিট ফুড হিসেবে এটি অনেক জনপ্রিয়। এটি দুপুর বা রাতের খাবার হিসেবেও খাওয়া হয়।

রিজ বি হালিব, লেবানন
লেবাননে জনপ্রিয় এই খাবার আরবিয় রাইস পুডিং হিসেবে পরিচিত। যা কমলা ফুলের পানি ও গোলাপ জল দিয়ে তৈরি হয়। এর ফলে একটি মিষ্টি গন্ধ খাবারে পাওয়া যায়।

প্লোভ, উজবেকিস্তান
প্লোভ উজবেকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এর আর একটি নাম আছে— ওশ। আমাদের দেশে আমরা যে পোলাও খাই, অনেকেই বলেন, এই প্লোভ বা পিলাও বা ওশ–ই হচ্ছে সেই পোলাওয়ের পূর্বপুরুষ। এতে লম্বা দানা চাল, শুকনো ফল বা কিশমিশ, মেষের মাংস, পেঁয়াজ এবং গাজর থাকে। এটি পুরো পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

নাসি গোরেং, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার একটি জনপ্রিয় ফ্রাইড রাইস। এটি ইন্দোনেশিয়া ও মালয় অঞ্চলের জনপ্রিয় খাবার হলেও প্রায় পুরো দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় প্রচলিত খাবার। মিষ্টি সয়া সস, চিংড়ি পেস্ট এবং মসলার সঙ্গে ভাত ভেজে এটি তৈরি করা হয়। সাধারণত, এই খাবার পরিবেশনের সময় ওপরে একটি ডিম পোচ দেওয়া হয়। অনেক সময় মাংস বা অন্যান্য উপকরণও থাকে।

নাসি লেমাক, মালয়েশিয়া
নাসি লেমাক মালয়েশিয়ার জাতীয় খাবার। নাসি মানে চাল এবং লেমাক অর্থ মিষ্টি বা ক্রিমি। এটি নারকেল দুধ ও পন্দান পাতা দিয়ে রান্না করা হয়। সাধারণত চিলি সস, শ্রিম্প পেস্ট, বাদাম ইত্যাদি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে ভাজা মাংস, পাঁপড় ইত্যাদি খাওয়া হয়।

বামবুকিওলি বাই, মালদ্বীপ
মালদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী খাবার বামবুকিওলি বাই। এটি চাল, ব্রেডফ্রুট এবং নারকেল দুধ দিয়ে তৈরি হয়। এর পর মালদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী মাছের ঝোল বা ফিহুনু মাস দিয়ে পরিবেশন করা হয়।

কাবুলি পোলাও
কাবুলি পোলাও আফগানিস্তানের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। পোলাওয়ের ওপর থাকে স্থানীয় রেসিপির মাংস এবং গাজর, কিশমিশ, বাদাম ইত্যাদি। এই খাবার উৎসব ও বিশেষ অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়।

জর্দা
মুঘল সময় থেকে প্রচলিত মিষ্টি জাতীয় খাবার জর্দা। এতে চাল, চিনি, বাদাম এবং এলাচি মেশানো থাকে। কেশর বা জাফরান মেশানো হতো বলে এর রং ছিল হলুদ। উজ্জ্বল হলুদ বা কমলা রং করতে এখন এটিতে ফুড গ্রেড হলুদ মেশানো হয়। এটি আমাদের দেশে ব্যবহৃত হয় ডেজার্ট হিসেবে।

বিরিয়ানি
বিরিয়ানি ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় খাবার। চাল, মসলা এবং মাংস একসঙ্গে রান্না করে এটি তৈরি করা হয়। কখনো কখনো, ডিম ও আলুও এতে ব্যবহার করা হয়। বিরিয়ানি খাওয়া হয় ভারতীয় উপমহাদেশের এমন অঞ্চলগুলোতে রয়েছে এটি রান্নার আলাদা আলাদা রেসিপি। জনপ্রিয় বিরিয়ানি ঘরানাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আওধ, লক্ষ্ণৌ, বাংলা, দক্ষিণ ভারত ইত্যাদি। এটি মূলত আমিষ জাতীয় খাবার। কিন্তু এর জনপ্রিয়তার কারণে এখন অনেক নিরামিষ

ক্ষীর
ক্ষীর বা পায়েস ভারতীয় উপমহাদেশের জনপ্রিয় মিষ্টিজাতীয় খাবার। এটি দুধ, চিনি, এলাচি এবং বাদাম দিয়ে তৈরি হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে এবং বিশেষ দিনে পরিবেশন করা হয়।
অন্যান্য খাবার
যেসব খাবারের কথা বলা হলো, সেগুলো ছাড়াও বিভিন্ন মুসলিম দেশে বিভিন্নভাবে চাল দিয়ে সুস্বাদু খাবার তৈরি হয়। এর মধ্যে রয়েছে সোমালিয়ার জাতীয় খাবার বারিস ইস্কুকারিস, জর্ডানের ঐতিহ্যবাহী ম্যানসাফ, ইয়েমেনের মান্দি, জিবুতির জাতীয় খাবার স্কুদাখারিস, ইরানি উৎসবের খাবার ঘেহমেহ নেসার, সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী খাবার মজবুস। এ ছাড়া রয়েছে ইরাক, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান এবং ফিলিস্তিনের জনপ্রিয় খাবার মাকলুবা। মাংস, চাল এবং ভাজা সবজি এক পাত্রে রান্না করে এটি তৈরি করা হয়।
এই খাবারগুলো মুসলিম বিশ্বে চাল দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু খাবার। এর মধ্যে প্রতিটি অঞ্চলের নিজস্ব স্বাদ এবং রান্নার পদ্ধতি রয়েছে, যা তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে।
সূত্র: বাইত আল ফান
ফিচার ডেস্ক
বিশ্বের সব সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খাবার। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি হয় এটি। আমাদের দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধান থেকে তৈরি চাল খাবারের প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সুপ্রাচীন কাল থেকে। কিছু পিঠা জাতীয় খাবার ছাড়া চাল থেকে তৈরি সব খাবারই মূলত তৈরি হয় সেদ্ধ করে। দেশ, অঞ্চল ও আবহাওয়া ভেদে এর বহু রকমফের আছে। এ ছাড়া চাল দিয়ে মিষ্টিজাতীয় খাবারসহ আরও অন্যান্য খাবার তৈরি হয়। পৃথিবীতে কবে থেকে ভাত খাওয়ার প্রচলন তা নিয়ে রয়েছে মতভেদ। তবে প্রায় ২৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ভাত খাওয়ার প্রচলন শুরু হয়, এটি জনপ্রিয় মত।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর মতো মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ও অঞ্চলগুলোতেও চাল দিয়ে তৈরি ভাতসহ অন্যান্য খাবারের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তবে সেসব ভাতের রন্ধনপ্রণালি যে হুবহু আমাদের মতো, তা নয়। এমন কয়েকটি খাবারের সংক্ষিপ্ত হদিস রইল এখানে।

টিমান জিজার, ইরাক
চাল দিয়ে তৈরি টিমান জিজার ইরাকের জনপ্রিয় খাবার। এটি ক্যারট রাইস নামেও পরিচিত। গাজর, পেঁয়াজ, গরু, মুরগি বা ভেড়ার মাংস এবং মসলা দিয়ে রান্না করা ভাত। মূলত অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে আধা সেদ্ধ ভাত রান্না করে তৈরি হয় এ খাবার। অনেক সময় এটি শাক-সবজি দিয়েও পরিবেশন করা হয়।

কুশরি, মিশর
কুশরি মিসরের ঐতিহ্যবাহী খাবার। চাল, মসুর ডাল, ছোলা এবং পাস্তা একসঙ্গে রান্না করে এটি তৈরি করা হয়। খাবারটির স্বাদ আরও উন্নত করতে টমেটো সস, ভিনেগার এবং বেরেস্তা যোগ করা হয়। কুশরি সুষম খাবার হিসেবে পরিচিত। মিসরের স্ট্রিট ফুড হিসেবে এটি অনেক জনপ্রিয়। এটি দুপুর বা রাতের খাবার হিসেবেও খাওয়া হয়।

রিজ বি হালিব, লেবানন
লেবাননে জনপ্রিয় এই খাবার আরবিয় রাইস পুডিং হিসেবে পরিচিত। যা কমলা ফুলের পানি ও গোলাপ জল দিয়ে তৈরি হয়। এর ফলে একটি মিষ্টি গন্ধ খাবারে পাওয়া যায়।

প্লোভ, উজবেকিস্তান
প্লোভ উজবেকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এর আর একটি নাম আছে— ওশ। আমাদের দেশে আমরা যে পোলাও খাই, অনেকেই বলেন, এই প্লোভ বা পিলাও বা ওশ–ই হচ্ছে সেই পোলাওয়ের পূর্বপুরুষ। এতে লম্বা দানা চাল, শুকনো ফল বা কিশমিশ, মেষের মাংস, পেঁয়াজ এবং গাজর থাকে। এটি পুরো পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

নাসি গোরেং, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার একটি জনপ্রিয় ফ্রাইড রাইস। এটি ইন্দোনেশিয়া ও মালয় অঞ্চলের জনপ্রিয় খাবার হলেও প্রায় পুরো দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় প্রচলিত খাবার। মিষ্টি সয়া সস, চিংড়ি পেস্ট এবং মসলার সঙ্গে ভাত ভেজে এটি তৈরি করা হয়। সাধারণত, এই খাবার পরিবেশনের সময় ওপরে একটি ডিম পোচ দেওয়া হয়। অনেক সময় মাংস বা অন্যান্য উপকরণও থাকে।

নাসি লেমাক, মালয়েশিয়া
নাসি লেমাক মালয়েশিয়ার জাতীয় খাবার। নাসি মানে চাল এবং লেমাক অর্থ মিষ্টি বা ক্রিমি। এটি নারকেল দুধ ও পন্দান পাতা দিয়ে রান্না করা হয়। সাধারণত চিলি সস, শ্রিম্প পেস্ট, বাদাম ইত্যাদি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে ভাজা মাংস, পাঁপড় ইত্যাদি খাওয়া হয়।

বামবুকিওলি বাই, মালদ্বীপ
মালদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী খাবার বামবুকিওলি বাই। এটি চাল, ব্রেডফ্রুট এবং নারকেল দুধ দিয়ে তৈরি হয়। এর পর মালদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী মাছের ঝোল বা ফিহুনু মাস দিয়ে পরিবেশন করা হয়।

কাবুলি পোলাও
কাবুলি পোলাও আফগানিস্তানের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। পোলাওয়ের ওপর থাকে স্থানীয় রেসিপির মাংস এবং গাজর, কিশমিশ, বাদাম ইত্যাদি। এই খাবার উৎসব ও বিশেষ অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়।

জর্দা
মুঘল সময় থেকে প্রচলিত মিষ্টি জাতীয় খাবার জর্দা। এতে চাল, চিনি, বাদাম এবং এলাচি মেশানো থাকে। কেশর বা জাফরান মেশানো হতো বলে এর রং ছিল হলুদ। উজ্জ্বল হলুদ বা কমলা রং করতে এখন এটিতে ফুড গ্রেড হলুদ মেশানো হয়। এটি আমাদের দেশে ব্যবহৃত হয় ডেজার্ট হিসেবে।

বিরিয়ানি
বিরিয়ানি ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় খাবার। চাল, মসলা এবং মাংস একসঙ্গে রান্না করে এটি তৈরি করা হয়। কখনো কখনো, ডিম ও আলুও এতে ব্যবহার করা হয়। বিরিয়ানি খাওয়া হয় ভারতীয় উপমহাদেশের এমন অঞ্চলগুলোতে রয়েছে এটি রান্নার আলাদা আলাদা রেসিপি। জনপ্রিয় বিরিয়ানি ঘরানাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আওধ, লক্ষ্ণৌ, বাংলা, দক্ষিণ ভারত ইত্যাদি। এটি মূলত আমিষ জাতীয় খাবার। কিন্তু এর জনপ্রিয়তার কারণে এখন অনেক নিরামিষ

ক্ষীর
ক্ষীর বা পায়েস ভারতীয় উপমহাদেশের জনপ্রিয় মিষ্টিজাতীয় খাবার। এটি দুধ, চিনি, এলাচি এবং বাদাম দিয়ে তৈরি হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে এবং বিশেষ দিনে পরিবেশন করা হয়।
অন্যান্য খাবার
যেসব খাবারের কথা বলা হলো, সেগুলো ছাড়াও বিভিন্ন মুসলিম দেশে বিভিন্নভাবে চাল দিয়ে সুস্বাদু খাবার তৈরি হয়। এর মধ্যে রয়েছে সোমালিয়ার জাতীয় খাবার বারিস ইস্কুকারিস, জর্ডানের ঐতিহ্যবাহী ম্যানসাফ, ইয়েমেনের মান্দি, জিবুতির জাতীয় খাবার স্কুদাখারিস, ইরানি উৎসবের খাবার ঘেহমেহ নেসার, সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী খাবার মজবুস। এ ছাড়া রয়েছে ইরাক, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান এবং ফিলিস্তিনের জনপ্রিয় খাবার মাকলুবা। মাংস, চাল এবং ভাজা সবজি এক পাত্রে রান্না করে এটি তৈরি করা হয়।
এই খাবারগুলো মুসলিম বিশ্বে চাল দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু খাবার। এর মধ্যে প্রতিটি অঞ্চলের নিজস্ব স্বাদ এবং রান্নার পদ্ধতি রয়েছে, যা তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে।
সূত্র: বাইত আল ফান
বিশ্বের সব সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খাবার। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি হয় এটি। আমাদের দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধান থেকে তৈরি চাল খাবারের প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সুপ্রাচীন কাল থেকে। কিছু পিঠা জাতীয় খাবার ছাড়া চাল থেকে তৈরি সব খাবারই মূলত তৈরি হয় সেদ্ধ করে। দেশ, অঞ্চল ও আবহাওয়া ভেদে এর বহু রকমফের আছে। এ ছাড়া চাল দিয়ে মিষ্টিজাতীয় খাবারসহ আরও অন্যান্য খাবার তৈরি হয়। পৃথিবীতে কবে থেকে ভাত খাওয়ার প্রচলন তা নিয়ে রয়েছে মতভেদ। তবে প্রায় ২৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ভাত খাওয়ার প্রচলন শুরু হয়, এটি জনপ্রিয় মত।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশগুলোর মতো মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ও অঞ্চলগুলোতেও চাল দিয়ে তৈরি ভাতসহ অন্যান্য খাবারের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তবে সেসব ভাতের রন্ধনপ্রণালি যে হুবহু আমাদের মতো, তা নয়। এমন কয়েকটি খাবারের সংক্ষিপ্ত হদিস রইল এখানে।

টিমান জিজার, ইরাক
চাল দিয়ে তৈরি টিমান জিজার ইরাকের জনপ্রিয় খাবার। এটি ক্যারট রাইস নামেও পরিচিত। গাজর, পেঁয়াজ, গরু, মুরগি বা ভেড়ার মাংস এবং মসলা দিয়ে রান্না করা ভাত। মূলত অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে আধা সেদ্ধ ভাত রান্না করে তৈরি হয় এ খাবার। অনেক সময় এটি শাক-সবজি দিয়েও পরিবেশন করা হয়।

কুশরি, মিশর
কুশরি মিসরের ঐতিহ্যবাহী খাবার। চাল, মসুর ডাল, ছোলা এবং পাস্তা একসঙ্গে রান্না করে এটি তৈরি করা হয়। খাবারটির স্বাদ আরও উন্নত করতে টমেটো সস, ভিনেগার এবং বেরেস্তা যোগ করা হয়। কুশরি সুষম খাবার হিসেবে পরিচিত। মিসরের স্ট্রিট ফুড হিসেবে এটি অনেক জনপ্রিয়। এটি দুপুর বা রাতের খাবার হিসেবেও খাওয়া হয়।

রিজ বি হালিব, লেবানন
লেবাননে জনপ্রিয় এই খাবার আরবিয় রাইস পুডিং হিসেবে পরিচিত। যা কমলা ফুলের পানি ও গোলাপ জল দিয়ে তৈরি হয়। এর ফলে একটি মিষ্টি গন্ধ খাবারে পাওয়া যায়।

প্লোভ, উজবেকিস্তান
প্লোভ উজবেকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী খাবার। এর আর একটি নাম আছে— ওশ। আমাদের দেশে আমরা যে পোলাও খাই, অনেকেই বলেন, এই প্লোভ বা পিলাও বা ওশ–ই হচ্ছে সেই পোলাওয়ের পূর্বপুরুষ। এতে লম্বা দানা চাল, শুকনো ফল বা কিশমিশ, মেষের মাংস, পেঁয়াজ এবং গাজর থাকে। এটি পুরো পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

নাসি গোরেং, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার একটি জনপ্রিয় ফ্রাইড রাইস। এটি ইন্দোনেশিয়া ও মালয় অঞ্চলের জনপ্রিয় খাবার হলেও প্রায় পুরো দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় প্রচলিত খাবার। মিষ্টি সয়া সস, চিংড়ি পেস্ট এবং মসলার সঙ্গে ভাত ভেজে এটি তৈরি করা হয়। সাধারণত, এই খাবার পরিবেশনের সময় ওপরে একটি ডিম পোচ দেওয়া হয়। অনেক সময় মাংস বা অন্যান্য উপকরণও থাকে।

নাসি লেমাক, মালয়েশিয়া
নাসি লেমাক মালয়েশিয়ার জাতীয় খাবার। নাসি মানে চাল এবং লেমাক অর্থ মিষ্টি বা ক্রিমি। এটি নারকেল দুধ ও পন্দান পাতা দিয়ে রান্না করা হয়। সাধারণত চিলি সস, শ্রিম্প পেস্ট, বাদাম ইত্যাদি দিয়ে পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে ভাজা মাংস, পাঁপড় ইত্যাদি খাওয়া হয়।

বামবুকিওলি বাই, মালদ্বীপ
মালদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী খাবার বামবুকিওলি বাই। এটি চাল, ব্রেডফ্রুট এবং নারকেল দুধ দিয়ে তৈরি হয়। এর পর মালদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী মাছের ঝোল বা ফিহুনু মাস দিয়ে পরিবেশন করা হয়।

কাবুলি পোলাও
কাবুলি পোলাও আফগানিস্তানের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। পোলাওয়ের ওপর থাকে স্থানীয় রেসিপির মাংস এবং গাজর, কিশমিশ, বাদাম ইত্যাদি। এই খাবার উৎসব ও বিশেষ অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়।

জর্দা
মুঘল সময় থেকে প্রচলিত মিষ্টি জাতীয় খাবার জর্দা। এতে চাল, চিনি, বাদাম এবং এলাচি মেশানো থাকে। কেশর বা জাফরান মেশানো হতো বলে এর রং ছিল হলুদ। উজ্জ্বল হলুদ বা কমলা রং করতে এখন এটিতে ফুড গ্রেড হলুদ মেশানো হয়। এটি আমাদের দেশে ব্যবহৃত হয় ডেজার্ট হিসেবে।

বিরিয়ানি
বিরিয়ানি ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় খাবার। চাল, মসলা এবং মাংস একসঙ্গে রান্না করে এটি তৈরি করা হয়। কখনো কখনো, ডিম ও আলুও এতে ব্যবহার করা হয়। বিরিয়ানি খাওয়া হয় ভারতীয় উপমহাদেশের এমন অঞ্চলগুলোতে রয়েছে এটি রান্নার আলাদা আলাদা রেসিপি। জনপ্রিয় বিরিয়ানি ঘরানাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আওধ, লক্ষ্ণৌ, বাংলা, দক্ষিণ ভারত ইত্যাদি। এটি মূলত আমিষ জাতীয় খাবার। কিন্তু এর জনপ্রিয়তার কারণে এখন অনেক নিরামিষ

ক্ষীর
ক্ষীর বা পায়েস ভারতীয় উপমহাদেশের জনপ্রিয় মিষ্টিজাতীয় খাবার। এটি দুধ, চিনি, এলাচি এবং বাদাম দিয়ে তৈরি হয়। বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে এবং বিশেষ দিনে পরিবেশন করা হয়।
অন্যান্য খাবার
যেসব খাবারের কথা বলা হলো, সেগুলো ছাড়াও বিভিন্ন মুসলিম দেশে বিভিন্নভাবে চাল দিয়ে সুস্বাদু খাবার তৈরি হয়। এর মধ্যে রয়েছে সোমালিয়ার জাতীয় খাবার বারিস ইস্কুকারিস, জর্ডানের ঐতিহ্যবাহী ম্যানসাফ, ইয়েমেনের মান্দি, জিবুতির জাতীয় খাবার স্কুদাখারিস, ইরানি উৎসবের খাবার ঘেহমেহ নেসার, সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী খাবার মজবুস। এ ছাড়া রয়েছে ইরাক, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান এবং ফিলিস্তিনের জনপ্রিয় খাবার মাকলুবা। মাংস, চাল এবং ভাজা সবজি এক পাত্রে রান্না করে এটি তৈরি করা হয়।
এই খাবারগুলো মুসলিম বিশ্বে চাল দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু খাবার। এর মধ্যে প্রতিটি অঞ্চলের নিজস্ব স্বাদ এবং রান্নার পদ্ধতি রয়েছে, যা তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে।
সূত্র: বাইত আল ফান

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
২ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস।
৩ ঘণ্টা আগে
মাথায় কোন ফলগুলোর কথা ঘুরেফিরে আসছে? আম নাকি কমলা? নাকি কাঁঠাল, বাঙ্গি বা তরমুজ? সে যাই হোক, আগে বলুন তো, এ পর্যন্ত কত ধরনের ফল খেয়েছেন? গুনে গুনে মাথা খাটিয়ে সেটা হয়তো বের করেও ফেলতে পারেন। তবে বিশ্বে কোন ফলগুলো বেশি উৎপাদন হয়, তা বলতে পারেন? ফলের পুষ্টিগুণ এবং জলীয় উপাদান বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নিয়ে আসছে। আর এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করার জন্য এয়ারবিএনবি প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য তাদের ভ্রমণ প্রবণতা পূর্বাভাস।
এই হোম-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছর ভ্রমণকারীরা তাদের ছুটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাইবেন। যা হবে অভিজ্ঞতার কেন্দ্রিক। তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় উঠে এসেছে। যা আপনাকেও বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে উল্লিখিত পূর্বাভাসগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৬ সালে ভ্রমণ হবে আরও সংক্ষিপ্ত, প্রকৃতির কাছাকাছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর এবং অবশ্যই খাদ্য-কেন্দ্রিক। আপনিও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই নতুন ধারাগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

জেনও জিদের আলট্রা-শর্ট আন্তর্জাতিক ট্রিপ
২০২৬ সালে ভ্রমণের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে জেনারেশন জি বা জেন জি। বিশাল, বহু-সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিকল্পনাকে ভুলে যান। জেন জি আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ে যেকোনো স্থানে উড়ে যাওয়া যায়। এয়ারবিএনবি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন জি রা ’কুইক ট্রিপ’-এর ধারণাটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। দীর্ঘ অবকাশের তুলনায় তাদের ১-২ দিনের আন্তর্জাতিক যাত্রা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক-এর ভাইরাল ডে-ট্রিপ ট্রেন্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই তরুণ প্রজন্ম সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ, উচ্চ-শক্তির অভিজ্ঞতার জন্য মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এয়ারবিএনবি বলছে, জেন জি রা কর্মবিরতি সর্বাধিক ভাবে ব্যবহার করার এক নতুন কৌশল দেখাচ্ছে। তারা শান্ত সমুদ্র সৈকতের বদলে বেছে নিচ্ছে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং খাঁটি খাবারে পূর্ণ প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা। এই প্রজন্মের পছন্দের গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েনোস আইরেস (আর্জেন্টিনা), বুসান (দক্ষিণ কোরিয়া), কো সামুই (থাইল্যান্ড), মারাকেশ (মরক্কো), মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) এবং স্টকহোম (সুইডেন)।
প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো
প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা ২০২৫ সালেও একটি জনপ্রিয় প্রবণতা ছিল। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বেগবান হবে। এয়ারবিএনবি জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে জাতীয় উদ্যানগুলির প্রতি অনুসন্ধান এবং আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি থাকার জায়গা খোঁজার হার আগামী বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনস, শেনানডোহ এবং গ্র্যান্ড টেটনের মতো মার্কিন পার্কগুলোর শতবর্ষ উদ্যাপনের কারণে সেগুলোর প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ছে। বৈশ্বিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে স্যামারিয়া জর্জ ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি গ্রিসের ক্রিট, ভিয়েনা, ইন্ডিয়ার গোয়া এবং ইতালির সার্ডিনিয়ার মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের নজরে রয়েছে।

বড় ইভেন্টগুলোর টানে ভিড় জমছে
২০২৬ সালে ভ্রমণকারীরা বড় ধরনের সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সংগীত অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করছেন। এয়ারবিএনবি-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জন্য শীর্ষ-অনুসন্ধান করা তারিখ এবং শহরগুলোর ৬৫ শতাংশই প্রধান ইভেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। যেমন ফিফা বিশ্বকাপ, কার্নিভাল বা কোচেলা। ভ্রমণকারীরা এই অভিজ্ঞতাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যেন টিকিটই তাদের পাসপোর্টে পরিণত হচ্ছে। কার্নিভালের জন্য রিউ দে জানেরো, কোচেলার জন্য ইন্ডিয়ো, মার্ডি গ্রাস-এর জন্য নিউ অর্লিন্স এবং ২০২৬ অলিম্পিক উইন্টার গেমসের জন্য ইতালির মিলান শীর্ষ অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছে।
একক ভ্রমণের পুনরুত্থান
একাকী ভ্রমণ বা সোল ট্রাভেল আবার তার কৃতিত্ব ফিরে পাচ্ছে। স্ব-আবিষ্কারের অনলাইন আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে, একক ভ্রমণকারীরা এখন কেবল পুরোনো জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন না বরং নতুন হটস্পট আবিষ্কার করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইডিল্ডওয়াইল্ড, ডোমিনিকান রিপাবলিকের লা আলতাগ্রেসিয়া এবং নরওয়ের ট্রোমসো-এর মতো জায়গাগুলোতে অনুসন্ধান তিন অঙ্কের বৃদ্ধি দেখছে। অন্যান্য জনপ্রিয় একক ভ্রমণের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে পর্তুগালের আলগার্ভ অঞ্চল, স্পেনের কোস্টা দেল সল, ফ্লোরিডা কিস এবং স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস।
রন্ধনশিল্পের প্রতি আকর্ষণ
২০২৬ সালের জন্য খাবার ও পানীয় সম্পর্কিত ভ্রমণ যেন একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে। যেখানে বেকারি ক্লাস এবং ওয়াইন অঞ্চলগুলো শীর্ষে রয়েছে। প্যারিসে ক্রোসঁ তৈরির ক্লাস বা টোকিওতে মোচি বানানো শেখার মতন হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার দিকে ভ্রমণকারীরা ঝুঁকছেন। ভাইরাল হওয়া টিকটক ফুড ভিডিওগুলো বিশ্বজুড়ে বেকারি এবং রান্নার ক্লাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। ওয়াইন-প্রেমীরা বেঙ্গালুরু (ভারত), ফিঙ্গার লেকস (নিউ ইয়র্ক), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)-এর মতো উঠতি ওয়াইন অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন। বেকারি-হটস্পটগুলোর মধ্যে ইস্তাম্বুল, লিসবন, প্যারিস, তাইপে এবং টোকিও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নিয়ে আসছে। আর এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করার জন্য এয়ারবিএনবি প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য তাদের ভ্রমণ প্রবণতা পূর্বাভাস।
এই হোম-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছর ভ্রমণকারীরা তাদের ছুটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাইবেন। যা হবে অভিজ্ঞতার কেন্দ্রিক। তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় উঠে এসেছে। যা আপনাকেও বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে উল্লিখিত পূর্বাভাসগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৬ সালে ভ্রমণ হবে আরও সংক্ষিপ্ত, প্রকৃতির কাছাকাছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর এবং অবশ্যই খাদ্য-কেন্দ্রিক। আপনিও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই নতুন ধারাগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

জেনও জিদের আলট্রা-শর্ট আন্তর্জাতিক ট্রিপ
২০২৬ সালে ভ্রমণের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে জেনারেশন জি বা জেন জি। বিশাল, বহু-সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিকল্পনাকে ভুলে যান। জেন জি আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ে যেকোনো স্থানে উড়ে যাওয়া যায়। এয়ারবিএনবি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন জি রা ’কুইক ট্রিপ’-এর ধারণাটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। দীর্ঘ অবকাশের তুলনায় তাদের ১-২ দিনের আন্তর্জাতিক যাত্রা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক-এর ভাইরাল ডে-ট্রিপ ট্রেন্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই তরুণ প্রজন্ম সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ, উচ্চ-শক্তির অভিজ্ঞতার জন্য মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এয়ারবিএনবি বলছে, জেন জি রা কর্মবিরতি সর্বাধিক ভাবে ব্যবহার করার এক নতুন কৌশল দেখাচ্ছে। তারা শান্ত সমুদ্র সৈকতের বদলে বেছে নিচ্ছে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং খাঁটি খাবারে পূর্ণ প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা। এই প্রজন্মের পছন্দের গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েনোস আইরেস (আর্জেন্টিনা), বুসান (দক্ষিণ কোরিয়া), কো সামুই (থাইল্যান্ড), মারাকেশ (মরক্কো), মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) এবং স্টকহোম (সুইডেন)।
প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো
প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা ২০২৫ সালেও একটি জনপ্রিয় প্রবণতা ছিল। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বেগবান হবে। এয়ারবিএনবি জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে জাতীয় উদ্যানগুলির প্রতি অনুসন্ধান এবং আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি থাকার জায়গা খোঁজার হার আগামী বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনস, শেনানডোহ এবং গ্র্যান্ড টেটনের মতো মার্কিন পার্কগুলোর শতবর্ষ উদ্যাপনের কারণে সেগুলোর প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ছে। বৈশ্বিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে স্যামারিয়া জর্জ ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি গ্রিসের ক্রিট, ভিয়েনা, ইন্ডিয়ার গোয়া এবং ইতালির সার্ডিনিয়ার মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের নজরে রয়েছে।

বড় ইভেন্টগুলোর টানে ভিড় জমছে
২০২৬ সালে ভ্রমণকারীরা বড় ধরনের সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সংগীত অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করছেন। এয়ারবিএনবি-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জন্য শীর্ষ-অনুসন্ধান করা তারিখ এবং শহরগুলোর ৬৫ শতাংশই প্রধান ইভেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। যেমন ফিফা বিশ্বকাপ, কার্নিভাল বা কোচেলা। ভ্রমণকারীরা এই অভিজ্ঞতাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যেন টিকিটই তাদের পাসপোর্টে পরিণত হচ্ছে। কার্নিভালের জন্য রিউ দে জানেরো, কোচেলার জন্য ইন্ডিয়ো, মার্ডি গ্রাস-এর জন্য নিউ অর্লিন্স এবং ২০২৬ অলিম্পিক উইন্টার গেমসের জন্য ইতালির মিলান শীর্ষ অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছে।
একক ভ্রমণের পুনরুত্থান
একাকী ভ্রমণ বা সোল ট্রাভেল আবার তার কৃতিত্ব ফিরে পাচ্ছে। স্ব-আবিষ্কারের অনলাইন আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে, একক ভ্রমণকারীরা এখন কেবল পুরোনো জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন না বরং নতুন হটস্পট আবিষ্কার করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইডিল্ডওয়াইল্ড, ডোমিনিকান রিপাবলিকের লা আলতাগ্রেসিয়া এবং নরওয়ের ট্রোমসো-এর মতো জায়গাগুলোতে অনুসন্ধান তিন অঙ্কের বৃদ্ধি দেখছে। অন্যান্য জনপ্রিয় একক ভ্রমণের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে পর্তুগালের আলগার্ভ অঞ্চল, স্পেনের কোস্টা দেল সল, ফ্লোরিডা কিস এবং স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস।
রন্ধনশিল্পের প্রতি আকর্ষণ
২০২৬ সালের জন্য খাবার ও পানীয় সম্পর্কিত ভ্রমণ যেন একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে। যেখানে বেকারি ক্লাস এবং ওয়াইন অঞ্চলগুলো শীর্ষে রয়েছে। প্যারিসে ক্রোসঁ তৈরির ক্লাস বা টোকিওতে মোচি বানানো শেখার মতন হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার দিকে ভ্রমণকারীরা ঝুঁকছেন। ভাইরাল হওয়া টিকটক ফুড ভিডিওগুলো বিশ্বজুড়ে বেকারি এবং রান্নার ক্লাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। ওয়াইন-প্রেমীরা বেঙ্গালুরু (ভারত), ফিঙ্গার লেকস (নিউ ইয়র্ক), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)-এর মতো উঠতি ওয়াইন অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন। বেকারি-হটস্পটগুলোর মধ্যে ইস্তাম্বুল, লিসবন, প্যারিস, তাইপে এবং টোকিও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার
বিশ্বের সব সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খাবার। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি হয় এটি। আমাদের দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধান থেকে তৈরি চাল খাবারের প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সুপ্রাচীন কাল থেকে। কিছু পিঠা জাতীয় খাবার ছাড়া চাল থেকে তৈরি সব খাবারই মূলত...
১৬ মার্চ ২০২৫
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
২ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস।
৩ ঘণ্টা আগে
মাথায় কোন ফলগুলোর কথা ঘুরেফিরে আসছে? আম নাকি কমলা? নাকি কাঁঠাল, বাঙ্গি বা তরমুজ? সে যাই হোক, আগে বলুন তো, এ পর্যন্ত কত ধরনের ফল খেয়েছেন? গুনে গুনে মাথা খাটিয়ে সেটা হয়তো বের করেও ফেলতে পারেন। তবে বিশ্বে কোন ফলগুলো বেশি উৎপাদন হয়, তা বলতে পারেন? ফলের পুষ্টিগুণ এবং জলীয় উপাদান বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন। ‘না’ বলতে শিখুন। বিশেষ করে যদি স্ত্রী আপনাকে রাতের বাসন ধুতে বলে।
বৃষ
দিনের শুরুতেই আপনার ব্যস্ততা শুরু। তবে কিসের ব্যস্ততা? আলমারি গোছানো বা অফিসের ফাইল নয়, আপনি আজ ঠিক করবেন কোন বিরল রেসিপিটা রান্না করবেন। রান্না শেষ হওয়ার আগেই সব এনার্জি শেষ! আর খরচ? বাজারে গিয়ে দুই টাকার ধনেপাতা কিনতে গিয়ে ৫০০ টাকার চিপস কিনে ফেলবেন। দুপুরের মেনু নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তর্কের আশঙ্কা আছে। তাই আজ ডায়েটের কথা ভুলেও ভাববেন না।
মিথুন
আজ একই সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন—একদিকে নতুন চাকরি, অন্যদিকে পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে ফের যোগাযোগ। মন আপনাকে বলবে, ‘যা মন চায় কর!’ আর বুদ্ধি বলবে, ‘আগে দেখে নাও, কোথাও ঠকছো না তো!’ প্রিয়জনের কাছ থেকে আজ সামান্য প্রতারণা পেতে পারেন। হয়তো তিনি কফি শপে এসে বলবেন, ‘তোমার কফির বিলটাও আমাকে দিতে হবে!’ মোবাইল চার্জে দিয়ে বিছানায় শুয়ে চ্যাট করবেন না। বিদ্যুতের বিল বাড়বে। জমি নিয়ে আজ ভাবুন। প্রেম নিয়ে কাল ভাবা যাবে।
কর্কট
আর্থিক অবস্থার অবনতি হবে—এই চিন্তা মনকে এমন খারাপ করে দেবে যে হয়তো পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন। দিনের প্রথম ভাগ যাবে হতাশায়। তবে সন্ধ্যার দিকে একটি ভালো খবর আসতে পারে। হতে পারে হারিয়ে যাওয়া রিমোট কন্ট্রোলটি আজ সোফার নিচ থেকে খুঁজে পাবেন। এটাই আপনার জন্য আর্থিক লাভ! দীর্ঘ ভ্রমণ পরিহার করুন। পাশের বাড়ির ছাদ পর্যন্ত হাঁটাচলাও আজ এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা পানীয় থেকে দূরে থাকুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
সিংহ
আজ আপনি রাজা। আপনার নতুন বাড়ি কেনার স্বপ্ন সত্যি হতে পারে, কিন্তু আপনার রানি (জীবনসঙ্গী) হয়তো অভিযোগ করবেন যে রান্নাঘরের সিঙ্কটা কেন এখনো ঠিক হলো না! ফলে আপনার ‘রাজকীয় ঘোষণা’ ভেস্তে যাবে সামান্য গৃহস্থালির চাপে। শিশুদের উপহার কিনে তাদের মন জয় করার চেষ্টা করুন। শ্বশুরবাড়ি সংক্রান্ত কোনো আলোচনা আজ বিপজ্জনক, এড়িয়ে চলুন। চুপ করে থাকুন। সুগারের রোগীরা আজ মিষ্টি দেখলে মাথা গরম করবেন না। নিজেকে সংযত রাখুন।
কন্যা
আপনার শান্ত মন আজ অনেক কাজ সহজে মিটিয়ে দেবে। কিন্তু কোনো সহকর্মী সামান্য ভুল করলে আপনার ‘খুঁতখুঁতে’ স্বভাব আজ চাগাড় দেবে। হঠকারী সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে যখন অফিসের ক্যানটিনে খাবার অর্ডার দেবেন। দুর্ঘটনাবশত গাড়ির বদলে বাইকে বেশি গতি দিতে পারেন, তাই রাস্তায় সাবধানে থাকুন। সাফল্যের চাবিকাঠি হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানার চাদর ভাঁজ করা। ধার দেওয়া টাকা ফেরত পেতে পারেন। সেই টাকা দিয়ে চটজলদি একটা নতুন ব্যাগ কিনে ফেলুন!
তুলা
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি কাজ করবে। অফিসে নতুন সুযোগ আসতেই পারে, কিন্তু পুরোনো স্থগিত পরিকল্পনাগুলো আপনাকে আজ তাড়া করবে। বসের কাছে বাহবা পাবেন, কিন্তু সহকর্মীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার কপালে ভ্রমণ লেখা আছে; তবে সেটা হতে পারে ফ্রিজে কী আছে, তা দেখতে রান্নাঘর পর্যন্ত যাওয়া। প্রেমের জীবন মিষ্টি থাকবে, কিন্তু সঙ্গী মিষ্টি আনতে ভুলে যেতে পারেন। পরিবারের বিবাদ দেখে আজ চুপ করে থাকুন। শুধু পপকর্ন খান।
বৃশ্চিক
আপনার চিন্তাভাবনায় আজ স্বচ্ছতা আসবে। মনে হবে, আপনি যেন একটি নতুন গোয়েন্দা উপন্যাস লিখছেন! অপ্রয়োজনীয় রাগ এড়িয়ে চলুন। কর্মক্ষেত্রে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ‘অতিরঞ্জন’ করবেন না; যেমন আপনার কলমটি কে ধার নিয়েছিল, সেই তদন্ত বন্ধ করুন। পুরোনো বন্ধু আর্থিক সাহায্য চাইতে পারে। অবশ্যই সাহায্য করুন, তবে পরে যাতে সেই টাকা চাইতে গিয়ে আপনাকে ‘ডিটেকটিভ’ হতে না হয়! হিসাবের খাতায় যেন কোনো ভুল না হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যান। প্রচুর ছবি তুলুন।
ধনু
আজ একটি রোমাঞ্চকর দিন হতে চলেছে! আগের চেয়ে বেশি পজিটিভ বোধ করবেন। কিন্তু এই রোমাঞ্চ সম্ভবত নতুন কোনো সিরিজের প্রথম অ্যাপিসোড দেখার উত্তেজনা। পারিবারিক পরিবেশ সুখের হবে; হয়তো বাড়ির সবাই মিলে আজ একসঙ্গে চা খাবেন। পেশাগত জীবনে আপনার কাজ প্রশংসিত হবে, বিশেষত যদি আপনি সময়মতো টিফিন খেয়ে ফেলেন। সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো, দুপুরের খাবারের পর একটি পাওয়ার ন্যাপ। আজ কোনো গুরুগম্ভীর আলোচনা করবেন না। হালকা থাকুন।
মকর
আজ কঠোর পরিশ্রমের সম্পূর্ণ ফল পাবেন। কাজের প্রতি আপনার সংকল্প এতটা দৃঢ় থাকবে যে মনে হবে ছুটি নিয়েও কাজ করছেন! পেশাগত জীবনে ভালো সুযোগ আসার সম্ভাবনা। তবে হ্যাঁ, যদি আপনি লক্ষ্য থেকে একটুও সরে যান, তাহলে কিন্তু আপনার মা অথবা স্ত্রী আজ আপনার কঠোর সমালোচনা করতে পারেন। লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বাড়ান। অন্যথায় ডিম ভাজতে গিয়ে সবজি কেটে ফেলবেন। আর্থিক লেনদেনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করুন, মানে পকেট থেকে টাকা বের করতে দ্বিধা করবেন না।
কুম্ভ
ধূর্ত লোকদের অযৌক্তিক যুক্তিতে আজ পা দেবেন না। তার মানে, যদি কেউ এসে বলে যে ডান পা আগে ফেললে আপনার কপাল খুলবে, আপনি তা হেসে উড়িয়ে দিন। স্বাস্থ্য সচেতন হোন, বিশেষত অতিরিক্ত ওজন তোলা এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ দয়া করে বাজার থেকে একসঙ্গে তিন দিনের সবজি কিনে আনবেন না। পরিস্থিতি সামান্য চাপের হতে পারে, যখন আপনি বুঝবেন যে ফ্রিজে পছন্দের মিষ্টিটি নেই। বিভ্রান্তি ও প্রতারণার বিপদ অপেক্ষা করছে। গরিবদের সাহায্য করুন, বিশেষত যারা আপনার কাছ থেকে চায়ের টাকা ধার নিয়েছে।
মীন
আজ আপনার মন মেঘে ভাসবে। কল্পনার জগৎ আজ বাস্তবের চেয়েও বেশি সুন্দর মনে হবে। যদি আর্ট, সাহিত্য বা সৃজনশীল কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে আজ আপনার মস্তিষ্কের জট খুলে যাবে। কিন্তু সাবধান, আপনার এই ভাবুক স্বভাবের জন্য অফিসে নামডাক হলেও আপনি শুনতে পাবেন না। স্বপ্নের জগতে ডুব দেবেন, যা আপনার সঙ্গীকে ঈর্ষান্বিত করতে পারে। দিনে অন্তত একবার চোখ খুলে চারপাশটা দেখে নিন। বাস্তবের মাটিতে থাকুন।

মেষ
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন। ‘না’ বলতে শিখুন। বিশেষ করে যদি স্ত্রী আপনাকে রাতের বাসন ধুতে বলে।
বৃষ
দিনের শুরুতেই আপনার ব্যস্ততা শুরু। তবে কিসের ব্যস্ততা? আলমারি গোছানো বা অফিসের ফাইল নয়, আপনি আজ ঠিক করবেন কোন বিরল রেসিপিটা রান্না করবেন। রান্না শেষ হওয়ার আগেই সব এনার্জি শেষ! আর খরচ? বাজারে গিয়ে দুই টাকার ধনেপাতা কিনতে গিয়ে ৫০০ টাকার চিপস কিনে ফেলবেন। দুপুরের মেনু নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তর্কের আশঙ্কা আছে। তাই আজ ডায়েটের কথা ভুলেও ভাববেন না।
মিথুন
আজ একই সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চাইবেন—একদিকে নতুন চাকরি, অন্যদিকে পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে ফের যোগাযোগ। মন আপনাকে বলবে, ‘যা মন চায় কর!’ আর বুদ্ধি বলবে, ‘আগে দেখে নাও, কোথাও ঠকছো না তো!’ প্রিয়জনের কাছ থেকে আজ সামান্য প্রতারণা পেতে পারেন। হয়তো তিনি কফি শপে এসে বলবেন, ‘তোমার কফির বিলটাও আমাকে দিতে হবে!’ মোবাইল চার্জে দিয়ে বিছানায় শুয়ে চ্যাট করবেন না। বিদ্যুতের বিল বাড়বে। জমি নিয়ে আজ ভাবুন। প্রেম নিয়ে কাল ভাবা যাবে।
কর্কট
আর্থিক অবস্থার অবনতি হবে—এই চিন্তা মনকে এমন খারাপ করে দেবে যে হয়তো পুরোনো প্রেমিক/প্রেমিকার ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন। দিনের প্রথম ভাগ যাবে হতাশায়। তবে সন্ধ্যার দিকে একটি ভালো খবর আসতে পারে। হতে পারে হারিয়ে যাওয়া রিমোট কন্ট্রোলটি আজ সোফার নিচ থেকে খুঁজে পাবেন। এটাই আপনার জন্য আর্থিক লাভ! দীর্ঘ ভ্রমণ পরিহার করুন। পাশের বাড়ির ছাদ পর্যন্ত হাঁটাচলাও আজ এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা পানীয় থেকে দূরে থাকুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
সিংহ
আজ আপনি রাজা। আপনার নতুন বাড়ি কেনার স্বপ্ন সত্যি হতে পারে, কিন্তু আপনার রানি (জীবনসঙ্গী) হয়তো অভিযোগ করবেন যে রান্নাঘরের সিঙ্কটা কেন এখনো ঠিক হলো না! ফলে আপনার ‘রাজকীয় ঘোষণা’ ভেস্তে যাবে সামান্য গৃহস্থালির চাপে। শিশুদের উপহার কিনে তাদের মন জয় করার চেষ্টা করুন। শ্বশুরবাড়ি সংক্রান্ত কোনো আলোচনা আজ বিপজ্জনক, এড়িয়ে চলুন। চুপ করে থাকুন। সুগারের রোগীরা আজ মিষ্টি দেখলে মাথা গরম করবেন না। নিজেকে সংযত রাখুন।
কন্যা
আপনার শান্ত মন আজ অনেক কাজ সহজে মিটিয়ে দেবে। কিন্তু কোনো সহকর্মী সামান্য ভুল করলে আপনার ‘খুঁতখুঁতে’ স্বভাব আজ চাগাড় দেবে। হঠকারী সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে যখন অফিসের ক্যানটিনে খাবার অর্ডার দেবেন। দুর্ঘটনাবশত গাড়ির বদলে বাইকে বেশি গতি দিতে পারেন, তাই রাস্তায় সাবধানে থাকুন। সাফল্যের চাবিকাঠি হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানার চাদর ভাঁজ করা। ধার দেওয়া টাকা ফেরত পেতে পারেন। সেই টাকা দিয়ে চটজলদি একটা নতুন ব্যাগ কিনে ফেলুন!
তুলা
আজ আপনার মধ্যে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি কাজ করবে। অফিসে নতুন সুযোগ আসতেই পারে, কিন্তু পুরোনো স্থগিত পরিকল্পনাগুলো আপনাকে আজ তাড়া করবে। বসের কাছে বাহবা পাবেন, কিন্তু সহকর্মীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার কপালে ভ্রমণ লেখা আছে; তবে সেটা হতে পারে ফ্রিজে কী আছে, তা দেখতে রান্নাঘর পর্যন্ত যাওয়া। প্রেমের জীবন মিষ্টি থাকবে, কিন্তু সঙ্গী মিষ্টি আনতে ভুলে যেতে পারেন। পরিবারের বিবাদ দেখে আজ চুপ করে থাকুন। শুধু পপকর্ন খান।
বৃশ্চিক
আপনার চিন্তাভাবনায় আজ স্বচ্ছতা আসবে। মনে হবে, আপনি যেন একটি নতুন গোয়েন্দা উপন্যাস লিখছেন! অপ্রয়োজনীয় রাগ এড়িয়ে চলুন। কর্মক্ষেত্রে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ‘অতিরঞ্জন’ করবেন না; যেমন আপনার কলমটি কে ধার নিয়েছিল, সেই তদন্ত বন্ধ করুন। পুরোনো বন্ধু আর্থিক সাহায্য চাইতে পারে। অবশ্যই সাহায্য করুন, তবে পরে যাতে সেই টাকা চাইতে গিয়ে আপনাকে ‘ডিটেকটিভ’ হতে না হয়! হিসাবের খাতায় যেন কোনো ভুল না হয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যান। প্রচুর ছবি তুলুন।
ধনু
আজ একটি রোমাঞ্চকর দিন হতে চলেছে! আগের চেয়ে বেশি পজিটিভ বোধ করবেন। কিন্তু এই রোমাঞ্চ সম্ভবত নতুন কোনো সিরিজের প্রথম অ্যাপিসোড দেখার উত্তেজনা। পারিবারিক পরিবেশ সুখের হবে; হয়তো বাড়ির সবাই মিলে আজ একসঙ্গে চা খাবেন। পেশাগত জীবনে আপনার কাজ প্রশংসিত হবে, বিশেষত যদি আপনি সময়মতো টিফিন খেয়ে ফেলেন। সবচেয়ে বড় পুরস্কার হলো, দুপুরের খাবারের পর একটি পাওয়ার ন্যাপ। আজ কোনো গুরুগম্ভীর আলোচনা করবেন না। হালকা থাকুন।
মকর
আজ কঠোর পরিশ্রমের সম্পূর্ণ ফল পাবেন। কাজের প্রতি আপনার সংকল্প এতটা দৃঢ় থাকবে যে মনে হবে ছুটি নিয়েও কাজ করছেন! পেশাগত জীবনে ভালো সুযোগ আসার সম্ভাবনা। তবে হ্যাঁ, যদি আপনি লক্ষ্য থেকে একটুও সরে যান, তাহলে কিন্তু আপনার মা অথবা স্ত্রী আজ আপনার কঠোর সমালোচনা করতে পারেন। লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বাড়ান। অন্যথায় ডিম ভাজতে গিয়ে সবজি কেটে ফেলবেন। আর্থিক লেনদেনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করুন, মানে পকেট থেকে টাকা বের করতে দ্বিধা করবেন না।
কুম্ভ
ধূর্ত লোকদের অযৌক্তিক যুক্তিতে আজ পা দেবেন না। তার মানে, যদি কেউ এসে বলে যে ডান পা আগে ফেললে আপনার কপাল খুলবে, আপনি তা হেসে উড়িয়ে দিন। স্বাস্থ্য সচেতন হোন, বিশেষত অতিরিক্ত ওজন তোলা এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ দয়া করে বাজার থেকে একসঙ্গে তিন দিনের সবজি কিনে আনবেন না। পরিস্থিতি সামান্য চাপের হতে পারে, যখন আপনি বুঝবেন যে ফ্রিজে পছন্দের মিষ্টিটি নেই। বিভ্রান্তি ও প্রতারণার বিপদ অপেক্ষা করছে। গরিবদের সাহায্য করুন, বিশেষত যারা আপনার কাছ থেকে চায়ের টাকা ধার নিয়েছে।
মীন
আজ আপনার মন মেঘে ভাসবে। কল্পনার জগৎ আজ বাস্তবের চেয়েও বেশি সুন্দর মনে হবে। যদি আর্ট, সাহিত্য বা সৃজনশীল কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে আজ আপনার মস্তিষ্কের জট খুলে যাবে। কিন্তু সাবধান, আপনার এই ভাবুক স্বভাবের জন্য অফিসে নামডাক হলেও আপনি শুনতে পাবেন না। স্বপ্নের জগতে ডুব দেবেন, যা আপনার সঙ্গীকে ঈর্ষান্বিত করতে পারে। দিনে অন্তত একবার চোখ খুলে চারপাশটা দেখে নিন। বাস্তবের মাটিতে থাকুন।
বিশ্বের সব সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খাবার। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি হয় এটি। আমাদের দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধান থেকে তৈরি চাল খাবারের প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সুপ্রাচীন কাল থেকে। কিছু পিঠা জাতীয় খাবার ছাড়া চাল থেকে তৈরি সব খাবারই মূলত...
১৬ মার্চ ২০২৫
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস।
৩ ঘণ্টা আগে
মাথায় কোন ফলগুলোর কথা ঘুরেফিরে আসছে? আম নাকি কমলা? নাকি কাঁঠাল, বাঙ্গি বা তরমুজ? সে যাই হোক, আগে বলুন তো, এ পর্যন্ত কত ধরনের ফল খেয়েছেন? গুনে গুনে মাথা খাটিয়ে সেটা হয়তো বের করেও ফেলতে পারেন। তবে বিশ্বে কোন ফলগুলো বেশি উৎপাদন হয়, তা বলতে পারেন? ফলের পুষ্টিগুণ এবং জলীয় উপাদান বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস। সব মিলিয়ে ত্বক যেন বাড়তি যত্নের আবদার করে। আর এটাই জানান দেওয়ার জন্য হয় শুষ্কতা ও চুলকানির মতন সমস্যাগুলো। যদিও লোশন ও ক্রিম দ্রুত সমাধান দেয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু প্রাকৃতিক ও সহজ ঘরোয়া প্রতিকার নিয়মিত ব্যবহার করলে শীতেও ত্বক থাকতে পারে কোমল, সতেজ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা
শীতকালীন ত্বকের যত্নে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে, যা সরাসরি আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। কারণ ঠান্ডায় শরীর কোর টেম্পারেচার ধরে রাখতে রক্তনালি কিছুটা সংকুচিত হয়। ফলে ত্বকে রক্ত, অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ কমে যায়, ত্বক হয়ে পড়ে ডিহাইড্রেটেড।
নারকেল তেল: নারকেল তেল শীতকালীন যত্নে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এমনকি শীতকালে ঘরে ঘরে এর ব্যবহার বেড়ে যায় বিশেষ করে চুল ও ত্বকের জন্য। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর সুবিধা পেতে, গোসলের ঠিক পরে উষ্ণ নারকেল তেল ত্বকে মালিশ করুন। উষ্ণতা আর্দ্রতা আটকে রাখে, ফলে ত্বক সারা দিন হাইড্রেটেড থাকে।
মধু: মধু শীতকালে ত্বকের জন্য চমৎকার, কারণ এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে। মধু পাতলা স্তরে মুখে বা শুষ্ক স্থানে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক নরম এবং সতেজ অনুভূত হবে।
অ্যালোভেরা: শুষ্ক ও জ্বালা করা ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা উচিত। এটি শীতলতা প্রদান করে এবং প্রদাহ কমায়, ফলে ত্বকের লালচে ভাব ও শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুবার, বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ার পরে এটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

দুধের সর বা মালাই: ’মালাই’ বা দুধের তাজা সর শীতকালে শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় দারুণ কার্যকর। কসমেটোলজিস্টের মতে, মালাই-এ ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা মৃত ত্বক সরাতে সাহায্য করে এবং এর ফ্যাট ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজার করে। এটি ১০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেললে ত্বক শিশুর মতো নরম হয়।
জলপাই তেল: রান্নার বাইরেও জলপাই তেল ত্বকের যত্নে দারুণ। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই থাকে। স্নানের আগে সামান্য জলপাই তেল হালকা গরম করে আলতোভাবে ত্বকে মালিশ করতে পারেন। বাড়তি সুবিধার জন্য জলপাই তেলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করে মৃত কোষ দূর করা যেতে পারে।
গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের মিশ্রণ: একটি স্প্রে বোতলে সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপ জল মিশিয়ে স্প্রে তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি চুলকানি শান্ত করতে এবং ত্বকে একটি সুন্দর আভা আনতে চমৎকার কাজ করে। রাতে মুখ, হাত ও পায়ে এটি ব্যবহার করলে ত্বক হাইড্রেটেড এবং আরামদায়ক থাকে।
অন্যান্য প্রতিকার
গোসল করার সময় বিশেষ কিছু পদ্ধতি বা উপকরণের ব্যবহার শীতে ত্বকের চুলকানি ও রুক্ষতা উপশম করতে পারে। শীতকালে ওটমিল দিয়ে গোসল করলে চুলকানিযুক্ত ত্বক শান্ত করতে সাহায্য করে। মিহিভাবে গুঁড়ো করা ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকানস জ্বালা কমায় এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। হালকা গরম পানিতে ১ কাপ ওটস মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে ত্বকে আরাম অনুভূত হয় এবং ত্বক মসৃণ থাকে। মধু, টকদই, পেঁপে বা কলার সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। ৫-৭ মিনিটের বেশি সময় ধরে গোসল করবেন না। গোসলের সময় এসএলএস বা এসএলইএস যুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। ক্রিম-বেসড বা লিপিড-রিপ্লেনিশিং বডিওয়াশ ব্যবহার করুন।
সূত্র: হেলথ শর্টস

শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস। সব মিলিয়ে ত্বক যেন বাড়তি যত্নের আবদার করে। আর এটাই জানান দেওয়ার জন্য হয় শুষ্কতা ও চুলকানির মতন সমস্যাগুলো। যদিও লোশন ও ক্রিম দ্রুত সমাধান দেয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু প্রাকৃতিক ও সহজ ঘরোয়া প্রতিকার নিয়মিত ব্যবহার করলে শীতেও ত্বক থাকতে পারে কোমল, সতেজ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা
শীতকালীন ত্বকের যত্নে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে, যা সরাসরি আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। কারণ ঠান্ডায় শরীর কোর টেম্পারেচার ধরে রাখতে রক্তনালি কিছুটা সংকুচিত হয়। ফলে ত্বকে রক্ত, অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ কমে যায়, ত্বক হয়ে পড়ে ডিহাইড্রেটেড।
নারকেল তেল: নারকেল তেল শীতকালীন যত্নে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এমনকি শীতকালে ঘরে ঘরে এর ব্যবহার বেড়ে যায় বিশেষ করে চুল ও ত্বকের জন্য। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের আর্দ্রতা স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর সুবিধা পেতে, গোসলের ঠিক পরে উষ্ণ নারকেল তেল ত্বকে মালিশ করুন। উষ্ণতা আর্দ্রতা আটকে রাখে, ফলে ত্বক সারা দিন হাইড্রেটেড থাকে।
মধু: মধু শীতকালে ত্বকের জন্য চমৎকার, কারণ এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে। মধু পাতলা স্তরে মুখে বা শুষ্ক স্থানে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক নরম এবং সতেজ অনুভূত হবে।
অ্যালোভেরা: শুষ্ক ও জ্বালা করা ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা উচিত। এটি শীতলতা প্রদান করে এবং প্রদাহ কমায়, ফলে ত্বকের লালচে ভাব ও শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুবার, বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ার পরে এটি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

দুধের সর বা মালাই: ’মালাই’ বা দুধের তাজা সর শীতকালে শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসায় দারুণ কার্যকর। কসমেটোলজিস্টের মতে, মালাই-এ ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে যা মৃত ত্বক সরাতে সাহায্য করে এবং এর ফ্যাট ত্বককে গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজার করে। এটি ১০ মিনিটের জন্য লাগিয়ে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেললে ত্বক শিশুর মতো নরম হয়।
জলপাই তেল: রান্নার বাইরেও জলপাই তেল ত্বকের যত্নে দারুণ। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই থাকে। স্নানের আগে সামান্য জলপাই তেল হালকা গরম করে আলতোভাবে ত্বকে মালিশ করতে পারেন। বাড়তি সুবিধার জন্য জলপাই তেলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে প্রাকৃতিক স্ক্রাব তৈরি করে মৃত কোষ দূর করা যেতে পারে।
গ্লিসারিন ও গোলাপ জলের মিশ্রণ: একটি স্প্রে বোতলে সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপ জল মিশিয়ে স্প্রে তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি চুলকানি শান্ত করতে এবং ত্বকে একটি সুন্দর আভা আনতে চমৎকার কাজ করে। রাতে মুখ, হাত ও পায়ে এটি ব্যবহার করলে ত্বক হাইড্রেটেড এবং আরামদায়ক থাকে।
অন্যান্য প্রতিকার
গোসল করার সময় বিশেষ কিছু পদ্ধতি বা উপকরণের ব্যবহার শীতে ত্বকের চুলকানি ও রুক্ষতা উপশম করতে পারে। শীতকালে ওটমিল দিয়ে গোসল করলে চুলকানিযুক্ত ত্বক শান্ত করতে সাহায্য করে। মিহিভাবে গুঁড়ো করা ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকানস জ্বালা কমায় এবং ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। হালকা গরম পানিতে ১ কাপ ওটস মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলে ত্বকে আরাম অনুভূত হয় এবং ত্বক মসৃণ থাকে। মধু, টকদই, পেঁপে বা কলার সঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। ৫-৭ মিনিটের বেশি সময় ধরে গোসল করবেন না। গোসলের সময় এসএলএস বা এসএলইএস যুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। ক্রিম-বেসড বা লিপিড-রিপ্লেনিশিং বডিওয়াশ ব্যবহার করুন।
সূত্র: হেলথ শর্টস
বিশ্বের সব সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খাবার। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি হয় এটি। আমাদের দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধান থেকে তৈরি চাল খাবারের প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সুপ্রাচীন কাল থেকে। কিছু পিঠা জাতীয় খাবার ছাড়া চাল থেকে তৈরি সব খাবারই মূলত...
১৬ মার্চ ২০২৫
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
২ ঘণ্টা আগে
মাথায় কোন ফলগুলোর কথা ঘুরেফিরে আসছে? আম নাকি কমলা? নাকি কাঁঠাল, বাঙ্গি বা তরমুজ? সে যাই হোক, আগে বলুন তো, এ পর্যন্ত কত ধরনের ফল খেয়েছেন? গুনে গুনে মাথা খাটিয়ে সেটা হয়তো বের করেও ফেলতে পারেন। তবে বিশ্বে কোন ফলগুলো বেশি উৎপাদন হয়, তা বলতে পারেন? ফলের পুষ্টিগুণ এবং জলীয় উপাদান বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি
১৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

মাথায় কোন ফলগুলোর কথা ঘুরেফিরে আসছে? আম নাকি কমলা? নাকি কাঁঠাল, বাঙ্গি বা তরমুজ? সে যাই হোক, আগে বলুন তো, এ পর্যন্ত কত ধরনের ফল খেয়েছেন? গুনে গুনে মাথা খাটিয়ে সেটা হয়তো বের করেও ফেলতে পারেন। তবে বিশ্বে কোন ফলগুলো বেশি উৎপাদন হয়, তা বলতে পারেন? ফলের পুষ্টিগুণ এবং জলীয় উপাদান বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের সুস্থতার একটি অপরিহার্য উপকরণে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ফল উৎপাদন বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলোর মধ্যে একটি। মূলত উষ্ণ, সূর্যস্নাত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে চাষ করা ফলগুলো অনেক দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নগদ অর্থ উপার্জনকারী ফসল। যেগুলো কৃষকদের জীবনধারণ এবং রপ্তানি রাজস্ব আয়ে ভূমিকা রাখে। বৈশ্বিক খাদ্যশিল্প বিশাল ও বৈচিত্র্যময় এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে নির্দিষ্ট কিছু ফল এখন প্রচুর উৎপাদন করা হচ্ছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক ফলগুলোর নাম।
১. কলা
তালিকার এক নম্বরে আছে কলা। হ্যাঁ, বিশ্বব্যাপী যে ফল উৎপাদন হয়, তার প্রথমে রয়েছে এর নাম। এই ফল বছরে ১৪৮ মিলিয়ন টন উৎপাদন করা হয় সারা বিশ্বে। কলা যে অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল, তাতে কারও কোনো সন্দেহ নেই। এতে আছে ভিটামিন সি এবং বি কমপ্লেক্স; সেই সঙ্গে আছে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম। কলার শীর্ষ উৎপাদক ভারত। দেশটিতে ৩৩ মিলিয়ন টনের বেশি কলা উৎপাদন হয় প্রতিবছর। এরপর রয়েছে যথাক্রমে চীন, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিল।
২. তরমুজ
বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বাধিক উৎপাদিত ফল তরমুজ। অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমাদের দেশে পরিমাণে কম উৎপাদন হলেও পুরো বিশ্বে এর উৎপাদন প্রায় ১১০ মিলিয়ন টন! উচ্চ জলীয় উপাদানের জন্য পরিচিত তরমুজে আছে ভিটামিন এ ও সি, লাইকোপিন এবং সিট্রুলিন। এ ফল উৎপাদনের শীর্ষে আছে চীন। দেশটি বৈশ্বিক উৎপাদনের ৬০ শতাংশ সরবরাহ করে। এরপর রয়েছে তুরস্ক, ভারত ও ব্রাজিল।
৩. আপেল
ফলটির র্যাঙ্কিং নিয়ে আপেলপ্রেমীরা আশাহত হতেই পারেন। খুব বেশি কষ্ট নেবেন না মনে। আপনার প্রিয় এই ফল সারা পৃথিবীতে উৎপাদিত হয় প্রায় ১০৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন। এর প্রায় ৫৩ শতাংশ উৎপন্ন হয় আবার চীনে। তালিকায় এর পরের দেশগুলো হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও ভারত। এই সুস্বাদু ফলটিতে আছে প্রাকৃতিক চিনি ও ভিটামিন সি। এ ছাড়া এটি প্রদাহরোধী ও বার্ধক্যবিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত এবং প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা।
৪. কমলা
এই শীতকালে বাজারে এর উপস্থিতি দেখে মনেই হয় না যে এটি উৎপাদনের সেরা তালিকায় আছে চার নম্বরে। তাই না? কিন্তু সেরাদের তালিকাতেই তো আছে, তাই চিন্তা করবেন না। না বললেও চলে যে কমলা অনেক উপকারী ফল। এতে আছে ভিটামিন সি, বি৯ (ফোলেট), পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ৮৪ মিলিয়ন টনের বেশি কমলা উৎপাদিত হয়। এ ফল উৎপাদনে শীর্ষে আছে ব্রাজিল। এরপর আছে ভারত, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
৫. নারকেল
অনেকের কাছেই খুব অদ্ভুত মনে হতে পারে যে উৎপাদিত ফলের শীর্ষ তালিকায় নাম আছে নারকেলের! তাও আবার সেরা পাঁচে! বলে রাখা ভালো যে সমুদ্র তীরবর্তী প্রায় সব দেশের অন্যতম প্রধান ফল এটি। এটি আবার বিশ্বের অন্যতম পুষ্টিকর ফলও বটে। এতে সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট, সেই সঙ্গে ভিটামিন, মিনারেল এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে। বিশ্বে প্রায় ৬৯ মিলিয়ন টন নারকেল উৎপাদিত হয় প্রতিবছর। এ ফল উৎপাদনে শীর্ষে আছে ইন্দোনেশিয়া। এরপর আছে ফিলিপাইন, ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
৬. আম
হ্যাঁ, অনেক সংস্কৃতিতে ‘ফলের রাজা’ হিসেবে পরিচিত আম আমাদের কাছেও ফলের রাজা হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু উৎপাদনের পরিমাণের হিসাবে এই ফল পুরো বিশ্বের তালিকায় আছে ছয় নম্বরে। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন টন আম উৎপাদিত হয়। আমের শীর্ষ উৎপাদক ভারত। মোট আম উৎপাদনের ৪০ শতাংশের বেশি ভারতে উৎপাদিত হয়। উৎপাদক দেশ হিসেবে এরপর আছে ইন্দোনেশিয়া, চীন ও থাইল্যান্ডের নাম। আফ্রিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কোনো কোনো দেশে এর ফলন হয়। আমে আছে ভিটামিন এ, বি৯, সি, বিটা-ক্যারোটিন, আঁশ এবং প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফল
সেরা তালিকায় জায়গা না হলেও পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফল আছে। সেগুলোর মধ্যে আনারসের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৩২ মিলিয়ন টন। ফলটির শীর্ষ উৎপাদক দেশ ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও কোস্টারিকা।
পিচ ও নেকটারিনের বার্ষিক উৎপাদন ২৯ মিলিয়ন টনের বেশি। মোট উৎপাদনের ৬৫ শতাংশই হয় চীনে। এ ছাড়া স্পেন ও তুরস্কে এসব ফল উৎপন্ন হয়।
পৃথিবীতে নাশপাতির বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ২৯ মিলিয়ন টন। চীন, আর্জেন্টিনা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ফলের শীর্ষ উৎপাদক দেশ।
লেবু ও লাইমের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ২১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। মেক্সিকো, ভারত, চীন এর শীর্ষ উৎপাদক।
পেঁপের বার্ষিক উৎপাদন ১৫ মিলিয়ন টনের বেশি। বৈশ্বিক উৎপাদনের ৪০ শতাংশ উৎপাদিত হয় ভারতে। এর পরে আছে ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র ও মেক্সিকো।
আলুবোখারা ও স্লোর বার্ষিক উৎপাদন ১৩ মিলিয়ন টনের বেশি। এর শীর্ষ উৎপাদক দেশ চীন, রোমানিয়া ও সার্বিয়া।
জাম্বুরা ও গ্রেপফ্রুটের বার্ষিক উৎপাদন ১০ মিলিয়ন টনের বেশি। এ ফলের বৈশ্বিক উৎপাদনের ৭৫ শতাংশ উৎপন্ন হয় চীনে। এর পরেই আছে মেক্সিকো।
খেজুরের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ১০ মিলিয়ন টন। মিসর, সৌদি আরব ও ইরান এ ফলের শীর্ষ উৎপাদক।
অ্যাভোকাডোর বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৯ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন। মেক্সিকো, কলম্বিয়া ও পেরু রয়েছে এর শীর্ষ উৎপাদক দেশের তালিকায়।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, ইইউএফআইসি

মাথায় কোন ফলগুলোর কথা ঘুরেফিরে আসছে? আম নাকি কমলা? নাকি কাঁঠাল, বাঙ্গি বা তরমুজ? সে যাই হোক, আগে বলুন তো, এ পর্যন্ত কত ধরনের ফল খেয়েছেন? গুনে গুনে মাথা খাটিয়ে সেটা হয়তো বের করেও ফেলতে পারেন। তবে বিশ্বে কোন ফলগুলো বেশি উৎপাদন হয়, তা বলতে পারেন? ফলের পুষ্টিগুণ এবং জলীয় উপাদান বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের সুস্থতার একটি অপরিহার্য উপকরণে পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ফল উৎপাদন বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলোর মধ্যে একটি। মূলত উষ্ণ, সূর্যস্নাত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপগ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে চাষ করা ফলগুলো অনেক দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নগদ অর্থ উপার্জনকারী ফসল। যেগুলো কৃষকদের জীবনধারণ এবং রপ্তানি রাজস্ব আয়ে ভূমিকা রাখে। বৈশ্বিক খাদ্যশিল্প বিশাল ও বৈচিত্র্যময় এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে নির্দিষ্ট কিছু ফল এখন প্রচুর উৎপাদন করা হচ্ছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক ফলগুলোর নাম।
১. কলা
তালিকার এক নম্বরে আছে কলা। হ্যাঁ, বিশ্বব্যাপী যে ফল উৎপাদন হয়, তার প্রথমে রয়েছে এর নাম। এই ফল বছরে ১৪৮ মিলিয়ন টন উৎপাদন করা হয় সারা বিশ্বে। কলা যে অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল, তাতে কারও কোনো সন্দেহ নেই। এতে আছে ভিটামিন সি এবং বি কমপ্লেক্স; সেই সঙ্গে আছে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম। কলার শীর্ষ উৎপাদক ভারত। দেশটিতে ৩৩ মিলিয়ন টনের বেশি কলা উৎপাদন হয় প্রতিবছর। এরপর রয়েছে যথাক্রমে চীন, ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিল।
২. তরমুজ
বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বাধিক উৎপাদিত ফল তরমুজ। অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমাদের দেশে পরিমাণে কম উৎপাদন হলেও পুরো বিশ্বে এর উৎপাদন প্রায় ১১০ মিলিয়ন টন! উচ্চ জলীয় উপাদানের জন্য পরিচিত তরমুজে আছে ভিটামিন এ ও সি, লাইকোপিন এবং সিট্রুলিন। এ ফল উৎপাদনের শীর্ষে আছে চীন। দেশটি বৈশ্বিক উৎপাদনের ৬০ শতাংশ সরবরাহ করে। এরপর রয়েছে তুরস্ক, ভারত ও ব্রাজিল।
৩. আপেল
ফলটির র্যাঙ্কিং নিয়ে আপেলপ্রেমীরা আশাহত হতেই পারেন। খুব বেশি কষ্ট নেবেন না মনে। আপনার প্রিয় এই ফল সারা পৃথিবীতে উৎপাদিত হয় প্রায় ১০৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন। এর প্রায় ৫৩ শতাংশ উৎপন্ন হয় আবার চীনে। তালিকায় এর পরের দেশগুলো হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক ও ভারত। এই সুস্বাদু ফলটিতে আছে প্রাকৃতিক চিনি ও ভিটামিন সি। এ ছাড়া এটি প্রদাহরোধী ও বার্ধক্যবিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত এবং প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা।
৪. কমলা
এই শীতকালে বাজারে এর উপস্থিতি দেখে মনেই হয় না যে এটি উৎপাদনের সেরা তালিকায় আছে চার নম্বরে। তাই না? কিন্তু সেরাদের তালিকাতেই তো আছে, তাই চিন্তা করবেন না। না বললেও চলে যে কমলা অনেক উপকারী ফল। এতে আছে ভিটামিন সি, বি৯ (ফোলেট), পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ৮৪ মিলিয়ন টনের বেশি কমলা উৎপাদিত হয়। এ ফল উৎপাদনে শীর্ষে আছে ব্রাজিল। এরপর আছে ভারত, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
৫. নারকেল
অনেকের কাছেই খুব অদ্ভুত মনে হতে পারে যে উৎপাদিত ফলের শীর্ষ তালিকায় নাম আছে নারকেলের! তাও আবার সেরা পাঁচে! বলে রাখা ভালো যে সমুদ্র তীরবর্তী প্রায় সব দেশের অন্যতম প্রধান ফল এটি। এটি আবার বিশ্বের অন্যতম পুষ্টিকর ফলও বটে। এতে সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট, সেই সঙ্গে ভিটামিন, মিনারেল এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে। বিশ্বে প্রায় ৬৯ মিলিয়ন টন নারকেল উৎপাদিত হয় প্রতিবছর। এ ফল উৎপাদনে শীর্ষে আছে ইন্দোনেশিয়া। এরপর আছে ফিলিপাইন, ভারত ও শ্রীলঙ্কা।
৬. আম
হ্যাঁ, অনেক সংস্কৃতিতে ‘ফলের রাজা’ হিসেবে পরিচিত আম আমাদের কাছেও ফলের রাজা হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু উৎপাদনের পরিমাণের হিসাবে এই ফল পুরো বিশ্বের তালিকায় আছে ছয় নম্বরে। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬৫ মিলিয়ন টন আম উৎপাদিত হয়। আমের শীর্ষ উৎপাদক ভারত। মোট আম উৎপাদনের ৪০ শতাংশের বেশি ভারতে উৎপাদিত হয়। উৎপাদক দেশ হিসেবে এরপর আছে ইন্দোনেশিয়া, চীন ও থাইল্যান্ডের নাম। আফ্রিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কোনো কোনো দেশে এর ফলন হয়। আমে আছে ভিটামিন এ, বি৯, সি, বিটা-ক্যারোটিন, আঁশ এবং প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফল
সেরা তালিকায় জায়গা না হলেও পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফল আছে। সেগুলোর মধ্যে আনারসের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৩২ মিলিয়ন টন। ফলটির শীর্ষ উৎপাদক দেশ ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও কোস্টারিকা।
পিচ ও নেকটারিনের বার্ষিক উৎপাদন ২৯ মিলিয়ন টনের বেশি। মোট উৎপাদনের ৬৫ শতাংশই হয় চীনে। এ ছাড়া স্পেন ও তুরস্কে এসব ফল উৎপন্ন হয়।
পৃথিবীতে নাশপাতির বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ২৯ মিলিয়ন টন। চীন, আর্জেন্টিনা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ফলের শীর্ষ উৎপাদক দেশ।
লেবু ও লাইমের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ২১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। মেক্সিকো, ভারত, চীন এর শীর্ষ উৎপাদক।
পেঁপের বার্ষিক উৎপাদন ১৫ মিলিয়ন টনের বেশি। বৈশ্বিক উৎপাদনের ৪০ শতাংশ উৎপাদিত হয় ভারতে। এর পরে আছে ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র ও মেক্সিকো।
আলুবোখারা ও স্লোর বার্ষিক উৎপাদন ১৩ মিলিয়ন টনের বেশি। এর শীর্ষ উৎপাদক দেশ চীন, রোমানিয়া ও সার্বিয়া।
জাম্বুরা ও গ্রেপফ্রুটের বার্ষিক উৎপাদন ১০ মিলিয়ন টনের বেশি। এ ফলের বৈশ্বিক উৎপাদনের ৭৫ শতাংশ উৎপন্ন হয় চীনে। এর পরেই আছে মেক্সিকো।
খেজুরের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ১০ মিলিয়ন টন। মিসর, সৌদি আরব ও ইরান এ ফলের শীর্ষ উৎপাদক।
অ্যাভোকাডোর বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৯ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন। মেক্সিকো, কলম্বিয়া ও পেরু রয়েছে এর শীর্ষ উৎপাদক দেশের তালিকায়।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ, ইইউএফআইসি
বিশ্বের সব সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ খাবার। বিভিন্ন উপকরণে তৈরি হয় এটি। আমাদের দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ধান থেকে তৈরি চাল খাবারের প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সুপ্রাচীন কাল থেকে। কিছু পিঠা জাতীয় খাবার ছাড়া চাল থেকে তৈরি সব খাবারই মূলত...
১৬ মার্চ ২০২৫
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার আত্মবিশ্বাস এমন তুঙ্গে থাকবে যে মনে হবে একাই পুরো অফিস সামলে দিতে পারেন। বস কোনো জটিল কাজ দিলে সেটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করে হাতে নেবেন, আর মাঝপথে গিয়ে বুঝবেন, এটা আসলে শুধু আপনার ওপর কাজের পাহাড় চাপানোর একটা চক্রান্ত! অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে পাড়ার চায়ের দোকানে রাজনৈতিক তর্কে জড়িয়ে...
২ ঘণ্টা আগে
শীতকাল মানেই প্রকৃতির এক স্নিগ্ধ পরিবর্তন। কিন্তু ঠান্ডা পড়তে শুরু করলেই শুষ্ক হয়ে যায় প্রকৃতি। আর সেই সঙ্গে আমাদের ত্বকের জন্য নিয়ে আসে রুক্ষতা, শুষ্কতা এবং চুলকানির মতো সমস্যা। বাইরে তীক্ষ্ণ ঠান্ডা বাতাস আর ঘরের ভেতরের শুষ্ক উষ্ণ বাতাস।
৩ ঘণ্টা আগে