মোশারফ হোসেন
পোশাকের মাধ্যমে যদি দুনিয়াব্যাপী কোনো বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায়, তাহলে কেমন হয়। বেশ ভালোভাবে বিষয়টির দেখা মেলে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্সেস ডায়ানার মধ্যে। ১৯৯৪ সালের জুনে সারপেন্টাইন গ্যালারির এক ইভেন্টে ডায়ানা তাঁর আইকনিক পোশাকটি পরেছিলেন। নাম ছিল ‘রিভেঞ্জ ড্রেস’। বাংলা ভাবার্থ করলে দাঁড়ায় প্রতিশোধমূলক বার্তা দেওয়ার পোশাক। কেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ডায়ানা রিভেঞ্জ ড্রেস পরার সিদ্ধান্ত নেন, সেই গল্প জানা যাক।
১৯৯৪ সালে ব্রিটিশ রাজপুত্র ও ডায়ানার সাবেক স্বামী চার্লস টিভিতে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি ডায়ানার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ও অবিশ্বাসের কথা খুলে বলেন। চার্লস বলেন, শুরুতে সম্পর্কে বিশ্বাস ও আস্থা থাকলেও পরে তিনি ক্যামেলিয়ার প্রেমে পড়েন। ফলে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলতে থাকে।
১৯৯৬ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। যেদিন এই সাক্ষাৎকার টিভিতে প্রচার করা হয়, সেদিন বিখ্যাত রিভেঞ্জ ড্রেস পরে লন্ডনের সারপেন্টাইন গ্যালারিতে উপস্থিত হন ডায়ানা।
প্রিন্সেস ডায়ানার ছোট ও কালো রঙের ‘রিভেঞ্জ ড্রেস’টি নকশা করেছিলেন ডিজাইনার ক্রিস্টিনা স্ট্যাম্বোলিয়ান। এ পোশাক তিন বছর আলমারিবন্দী ছিল। লন্ডনের সারপেন্টাইন গ্যালারিতে পরে যাওয়ার পর পোশাকটি হয়ে ওঠে ডায়ানার সাহসিকতার প্রতীক।
বেশির ভাগ মানুষ হয়তো সঙ্গীর প্রতারণার কথা শুনে কুঁকড়ে যেতে পারেন, কিন্তু ডায়ানা দমে যাননি। শুরুতে ইভেন্টটিতে তাঁর একটি ভ্যালেন্টিনো পোশাক পরার কথা ছিল, কিন্তু পত্রিকায় বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে এসে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তিনি। পছন্দ করেন ফ্যাশন ডিজাইনার ক্রিস্টিনা স্ট্যাম্বোলিয়ানের রিভেঞ্জ ড্রেস। পোশাকটি ছিল ছোট ও কালো রঙের। কাঁধের বাইরের দিকে ছিল ককটেল খাপ। ক্রিস্টিনা বলেন, নিজের আলমারিতে প্রায় তিন বছর ধরে এ পোশাক সংরক্ষণ করে রাখেন।
তাঁর মতে, পোশাকটি সাহসিকতার প্রতীক। অবশেষে ক্রিস্টিনা বেশ ভালো উপলক্ষই পেয়েছিলেন পোশাকটির সঠিক ব্যবহারের জন্য। শুধু পোশাকই নয়, নীলকান্তমণি ও মুক্তার চোকারেও তাক লাগান ডায়ানা। ১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই রানি এলিজাবেথ ডায়ানা ও চার্লসের বিয়েতে চোকারটি উপহার দিয়েছিলেন।
বিভিন্ন সময়, বিশেষ করে হোয়াইট হাউস ও নিউইয়র্কে ছিয়ানব্বইয়ের মেট গালা অনুষ্ঠানে তাঁকে চোকারটি পরতে দেখা যায়। তবে সেদিনের প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। স্বামী চার্লস যখন অকপটে প্রতারণার কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন, তখন ডায়ানা দুমড়েমুচড়ে না গিয়ে চোকার আর রিভেঞ্জ ড্রেসের মাধ্যমে নিজের শক্তি আর সৌন্দর্যের পরিচয় দেন।
পরদিন সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকার প্রথম পাতা চার্লসের প্রতারণা ও অবিশ্বাসের গল্পে ভরে যায়। তবে সব ছাপিয়ে হাস্যোজ্জ্বল ও আত্মবিশ্বাসী ডায়ানার ছবিও চোখ এড়ায়নি কারও। কালো পোশাক ও চোকারে প্রথম পাতায় ডায়ানার ছবিটি যেন সবকিছু ছাড়িয়ে সবার ওপরে স্থান করে নেয়।
১৯৯৭ সালে প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান ডায়ানা। এর ঠিক দুই মাস আগে ক্যানসার ও এইডস-সম্পর্কিত দাতব্য সংস্থাগুলোর জন্য অর্থ সংগ্রহে ডায়ানা নিজের ৭৯টি পোশাক নিলামে তোলেন। এগুলোর মধ্যে রিভেঞ্জ ড্রেস বিক্রি হয় ৬৫ হাজার ডলারে।
সূত্র: পিওর ওয়াও
পোশাকের মাধ্যমে যদি দুনিয়াব্যাপী কোনো বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায়, তাহলে কেমন হয়। বেশ ভালোভাবে বিষয়টির দেখা মেলে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্সেস ডায়ানার মধ্যে। ১৯৯৪ সালের জুনে সারপেন্টাইন গ্যালারির এক ইভেন্টে ডায়ানা তাঁর আইকনিক পোশাকটি পরেছিলেন। নাম ছিল ‘রিভেঞ্জ ড্রেস’। বাংলা ভাবার্থ করলে দাঁড়ায় প্রতিশোধমূলক বার্তা দেওয়ার পোশাক। কেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ডায়ানা রিভেঞ্জ ড্রেস পরার সিদ্ধান্ত নেন, সেই গল্প জানা যাক।
১৯৯৪ সালে ব্রিটিশ রাজপুত্র ও ডায়ানার সাবেক স্বামী চার্লস টিভিতে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি ডায়ানার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন ও অবিশ্বাসের কথা খুলে বলেন। চার্লস বলেন, শুরুতে সম্পর্কে বিশ্বাস ও আস্থা থাকলেও পরে তিনি ক্যামেলিয়ার প্রেমে পড়েন। ফলে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলতে থাকে।
১৯৯৬ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। যেদিন এই সাক্ষাৎকার টিভিতে প্রচার করা হয়, সেদিন বিখ্যাত রিভেঞ্জ ড্রেস পরে লন্ডনের সারপেন্টাইন গ্যালারিতে উপস্থিত হন ডায়ানা।
প্রিন্সেস ডায়ানার ছোট ও কালো রঙের ‘রিভেঞ্জ ড্রেস’টি নকশা করেছিলেন ডিজাইনার ক্রিস্টিনা স্ট্যাম্বোলিয়ান। এ পোশাক তিন বছর আলমারিবন্দী ছিল। লন্ডনের সারপেন্টাইন গ্যালারিতে পরে যাওয়ার পর পোশাকটি হয়ে ওঠে ডায়ানার সাহসিকতার প্রতীক।
বেশির ভাগ মানুষ হয়তো সঙ্গীর প্রতারণার কথা শুনে কুঁকড়ে যেতে পারেন, কিন্তু ডায়ানা দমে যাননি। শুরুতে ইভেন্টটিতে তাঁর একটি ভ্যালেন্টিনো পোশাক পরার কথা ছিল, কিন্তু পত্রিকায় বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে এসে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তিনি। পছন্দ করেন ফ্যাশন ডিজাইনার ক্রিস্টিনা স্ট্যাম্বোলিয়ানের রিভেঞ্জ ড্রেস। পোশাকটি ছিল ছোট ও কালো রঙের। কাঁধের বাইরের দিকে ছিল ককটেল খাপ। ক্রিস্টিনা বলেন, নিজের আলমারিতে প্রায় তিন বছর ধরে এ পোশাক সংরক্ষণ করে রাখেন।
তাঁর মতে, পোশাকটি সাহসিকতার প্রতীক। অবশেষে ক্রিস্টিনা বেশ ভালো উপলক্ষই পেয়েছিলেন পোশাকটির সঠিক ব্যবহারের জন্য। শুধু পোশাকই নয়, নীলকান্তমণি ও মুক্তার চোকারেও তাক লাগান ডায়ানা। ১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই রানি এলিজাবেথ ডায়ানা ও চার্লসের বিয়েতে চোকারটি উপহার দিয়েছিলেন।
বিভিন্ন সময়, বিশেষ করে হোয়াইট হাউস ও নিউইয়র্কে ছিয়ানব্বইয়ের মেট গালা অনুষ্ঠানে তাঁকে চোকারটি পরতে দেখা যায়। তবে সেদিনের প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। স্বামী চার্লস যখন অকপটে প্রতারণার কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন, তখন ডায়ানা দুমড়েমুচড়ে না গিয়ে চোকার আর রিভেঞ্জ ড্রেসের মাধ্যমে নিজের শক্তি আর সৌন্দর্যের পরিচয় দেন।
পরদিন সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রপত্রিকার প্রথম পাতা চার্লসের প্রতারণা ও অবিশ্বাসের গল্পে ভরে যায়। তবে সব ছাপিয়ে হাস্যোজ্জ্বল ও আত্মবিশ্বাসী ডায়ানার ছবিও চোখ এড়ায়নি কারও। কালো পোশাক ও চোকারে প্রথম পাতায় ডায়ানার ছবিটি যেন সবকিছু ছাড়িয়ে সবার ওপরে স্থান করে নেয়।
১৯৯৭ সালে প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান ডায়ানা। এর ঠিক দুই মাস আগে ক্যানসার ও এইডস-সম্পর্কিত দাতব্য সংস্থাগুলোর জন্য অর্থ সংগ্রহে ডায়ানা নিজের ৭৯টি পোশাক নিলামে তোলেন। এগুলোর মধ্যে রিভেঞ্জ ড্রেস বিক্রি হয় ৬৫ হাজার ডলারে।
সূত্র: পিওর ওয়াও
বাঘ, সিংহ, হাতি, সাম্বার হরিণ, জলহস্তী, মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ, জিরাফ, জেব্রা, ভালুক, নীলগাই, গয়াল, কুমিরসহ বিভিন্ন প্রাণী অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নিরাপদে এই দৃশ্য দেখা যায় আমাদের দেশে। আর দেখতে হলে এক দিনের জন্য ঘুরে আসা যাবে গাজীপুর সাফারি পার্ক।
১ দিন আগেআধুনিকতা ও ঐতিহ্যের মিশেল ঝকমকে শহর সৌদি আরবের জেদ্দা। এ শহরে পুরোনো ইতিহাসের স্বাদ নিতে যেতে হবে আল-বালাদ। শত শত বছরের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে শহরটি। সময়ের সঙ্গে আধুনিকায়নের ঢেউ এলেও এলাকাটি এখনো ধরে রেখেছে অতীত ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যশৈলীর সৌন্দর্য।
১ দিন আগেঅনেক বছর পর অবশেষে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশটি বিদেশিদের জন্য সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে উত্তর কোরিয়া কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা এখন পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।
১ দিন আগেজেন-জির ভ্রমণের অভ্যাস কিছুটা ভিন্ন। সিঙ্গাপুরভিত্তিক ট্রাভেল এজেন্সি ‘আগোডা’ তাদের একটি জরিপ প্রকাশ করে জেন-জির পাঁচটি ভ্রমণ বৈশিষ্ট্য জানিয়েছে।
১ দিন আগে