অনলাইন ডেস্ক
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অবলম্বনে বিশ্বের সুখী দেশগুলোকে নিয়ে আজ বিশ্ব সুখ দিবসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিএনএন। এটা অনুযায়ী এবার নিয়ে টানা ছয় বছরের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। তালিকায় দুইয়ে আছে অপর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ ডেনমার্ক। তালিকায় শীর্ষ বিশে এশিয়ার কোনো দেশ স্থান পায়নি।
পৃথিবীর মানুষের সুখ ও সুখী দেশগুলোর নতুন তালিকা বলছে মানুষের আশাবাদী হওয়ার অনেক কারণ আছে। এই তালিকার যেসব মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে মহামারির আগের তুলনায় মানুষের দানশীলতা বা অন্যের উপকার করার চেষ্টা বা প্রবণতা বেড়েছে শতকরা ২৫ শতাংশ।
‘অন্যের উপকার করার প্রবণতা, বিশেষ করে অপরিচিতদের সাহায্য করা, ২০২১ সালে অপ্রত্যাশিত রকম বেড়ে গিয়েছিল, ২০২২ সালেও এই বৃদ্ধি চলমান আছে।’ সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টের অন্যতম লেখক জন হেলিওয়েল।
এমনকি করোনার এই কঠিন বছরগুলোতে, ভালো অনুভূতি নেতিবাচক অনুভূতির তুলনায় দ্বিগুণ ছিল বলে জানান হেলিওয়েল। ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্কের এ রিপোর্টটিতে ১৫০টিরও বেশি দেশের নাগরিকদের জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মূলত আগের তিন বছরে অর্থাৎ ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রার মানের ওপর ভিত্তি করে কোন দেশ বেশি সুখী সেটি নির্বাচন করা হয়েছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় রিপোর্টটিতে সবচেয়ে সুখী দেশগুলো শনাক্ত করার পাশাপাশি, সুখী দেশের তালিকায় সবচেয়ে নিচে যারা আছে সেটিও বের করা হয়েছে, সেই সঙ্গে কোন বিষয়গুলো সুখী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এসব দেশকে সেগুলোও শনাক্ত করা হয়েছে।
টানা ছয় বছর সুখী দেশ
এবার নিয়ে টানা ছয় বছর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। মূলত গ্যালাপ ওয়ার্ল্ড পোলের বের করা জীবনযাত্রার মানকে ধরে এ ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট বা বিশ্বের সুখী দেশের তালিকা তৈরি করা হয়। নরডিক এই দেশটি এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে রিপোর্টে যেসব মানদণ্ড বিচার করা হয়েছে সবগুলোতেই খুব ভালো করেছে। মানদণ্ডগুলোর মধ্যে ছিল স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রত্যাশা, মাথাপিছু আয়, কম দুর্নীতি, উদারতা, অন্যকে সাহায্য করা ইত্যাদি। তারপরও ফিনল্যান্ডের অবস্থান এক নম্বরে থাকার মানে পার্শ্ববর্তী অন্য দেশগুলো থেকে এসব মানদণ্ডে তারা এগিয়ে আছে।
‘তারা এমন কিছু করছে যেটা আমরা আশা করছি আগেই করা উচিত ছিল আমাদের এবং আমরাও এটা করতে পারি। কিংবা তাদের আবহাওয়া আর ইতিহাসের মধ্যে এমন কিছু আছে যেটা তাদের অন্যদের চেয়ে আলাদা করে রেখেছে। সৌভাগ্যক্রমে, অন্তত আমার বিবেচনায়, প্রথম বিষয়টি ঘটেছে।’ বলেন হেলিওয়েল, যিনি ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাঙ্কুবার স্কুল অব ইকোনমিকসের ইমেরিটাস অধ্যাপক।
সুখী দেশের তালিকায় দুই ও তিনে আছে যথাক্রমে নরডিক দুই দেশই, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। গত বছর তালিকায় নয়ে থাকা ইসরায়েল পাঁচ ধাপ লাফ দিয়ে চলে এসেছে চারে। তালিকায় পাঁচে নেদারল্যান্ডস। ছয় আর সাতে দুই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ, যথাক্রমে সুইডেন ও নরওয়ে। আট, নয় ও ১০-এ আছে সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও নিউজিল্যান্ড। পরের স্থানটি অস্ট্রিয়ার।
অস্ট্রেলিয়া আছে ১২-তে, কানাডা ১৩-তে, আয়ারল্যান্ড ১৪-তে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যও আছে ২০-এর মধ্যে, অবস্থান যথাক্রমে ১৫ ও ১৯-এ। জার্মানি, বেলজিয়াম ও চেক রিপাবলিক দখল করেছে ১৬ থেকে ১৮-তম স্থান। গত বছরের বিবেচনায় ২০-এর মধ্যে তালিকায় একমাত্র নতুন দেশ লিথুনিয়া। গত ছয় বছর ধরে ক্রমেই উন্নতি করছে তাঁরা। ২০১৭ সালে ছিল ৫২-তে। অন্য দুই বাল্টিক দেশেরও অবস্থার উন্নতি ঘটছে, এস্তোনিয়া (৩১) ও লাটভিয়া (৪১)। তবে তালিকায় গত বছর ২০ থাকলেও এবার ২১-এ চলে গেছে ফ্রান্স।
তলানিতে আছে কারা
তালিকায় সবার নিচে আছে আফগানিস্তান, ১৩৭-এ। লেবানন তাদের ঠিক ওপরে, অর্থাৎ ১৩৬-এ। সুখী ১০টি দেশের থেকে ১০ নম্বরের স্কেলে গড়ে ৫ পয়েন্ট করে কম পেয়েছে তারা জীবনযাত্রার মানে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ দুটি দেশের অবস্থান কোথায় তালিকায় এটি নিয়ে আগ্রহ আছে অনেকেরই। তাহলে জেনে রাখুন রাশিয়ার অবস্থান ৭০-এ আর ইউক্রেনের ৯২-এ।
সামনে এগোনোর পালা
‘মানুষ তাঁদের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে নতুন করে ভাবছে।’ বলেন হেলিওয়েল। তিনি আরও বলেন ‘পদমর্যাদা বা বেতন বড় কোনো বিষয় না। আসল ব্যাপার হলো, সঠিক উপায়ে মানুষকে সহায়তা করা।’
‘একজনের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে অন্য মানুষদের প্রতি খেয়াল রাখলেই আপনি ভালো থাকবেন।’ বলেন হেলিওয়েল।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট অবলম্বনে বিশ্বের সুখী দেশগুলোকে নিয়ে আজ বিশ্ব সুখ দিবসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিএনএন। এটা অনুযায়ী এবার নিয়ে টানা ছয় বছরের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। তালিকায় দুইয়ে আছে অপর স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ ডেনমার্ক। তালিকায় শীর্ষ বিশে এশিয়ার কোনো দেশ স্থান পায়নি।
পৃথিবীর মানুষের সুখ ও সুখী দেশগুলোর নতুন তালিকা বলছে মানুষের আশাবাদী হওয়ার অনেক কারণ আছে। এই তালিকার যেসব মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে মহামারির আগের তুলনায় মানুষের দানশীলতা বা অন্যের উপকার করার চেষ্টা বা প্রবণতা বেড়েছে শতকরা ২৫ শতাংশ।
‘অন্যের উপকার করার প্রবণতা, বিশেষ করে অপরিচিতদের সাহায্য করা, ২০২১ সালে অপ্রত্যাশিত রকম বেড়ে গিয়েছিল, ২০২২ সালেও এই বৃদ্ধি চলমান আছে।’ সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টের অন্যতম লেখক জন হেলিওয়েল।
এমনকি করোনার এই কঠিন বছরগুলোতে, ভালো অনুভূতি নেতিবাচক অনুভূতির তুলনায় দ্বিগুণ ছিল বলে জানান হেলিওয়েল। ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্কের এ রিপোর্টটিতে ১৫০টিরও বেশি দেশের নাগরিকদের জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মূলত আগের তিন বছরে অর্থাৎ ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রার মানের ওপর ভিত্তি করে কোন দেশ বেশি সুখী সেটি নির্বাচন করা হয়েছে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় রিপোর্টটিতে সবচেয়ে সুখী দেশগুলো শনাক্ত করার পাশাপাশি, সুখী দেশের তালিকায় সবচেয়ে নিচে যারা আছে সেটিও বের করা হয়েছে, সেই সঙ্গে কোন বিষয়গুলো সুখী হিসেবে চিহ্নিত করেছে এসব দেশকে সেগুলোও শনাক্ত করা হয়েছে।
টানা ছয় বছর সুখী দেশ
এবার নিয়ে টানা ছয় বছর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিনল্যান্ড। মূলত গ্যালাপ ওয়ার্ল্ড পোলের বের করা জীবনযাত্রার মানকে ধরে এ ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট বা বিশ্বের সুখী দেশের তালিকা তৈরি করা হয়। নরডিক এই দেশটি এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলো যেমন ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইডেন ও নরওয়ে রিপোর্টে যেসব মানদণ্ড বিচার করা হয়েছে সবগুলোতেই খুব ভালো করেছে। মানদণ্ডগুলোর মধ্যে ছিল স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রত্যাশা, মাথাপিছু আয়, কম দুর্নীতি, উদারতা, অন্যকে সাহায্য করা ইত্যাদি। তারপরও ফিনল্যান্ডের অবস্থান এক নম্বরে থাকার মানে পার্শ্ববর্তী অন্য দেশগুলো থেকে এসব মানদণ্ডে তারা এগিয়ে আছে।
‘তারা এমন কিছু করছে যেটা আমরা আশা করছি আগেই করা উচিত ছিল আমাদের এবং আমরাও এটা করতে পারি। কিংবা তাদের আবহাওয়া আর ইতিহাসের মধ্যে এমন কিছু আছে যেটা তাদের অন্যদের চেয়ে আলাদা করে রেখেছে। সৌভাগ্যক্রমে, অন্তত আমার বিবেচনায়, প্রথম বিষয়টি ঘটেছে।’ বলেন হেলিওয়েল, যিনি ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাঙ্কুবার স্কুল অব ইকোনমিকসের ইমেরিটাস অধ্যাপক।
সুখী দেশের তালিকায় দুই ও তিনে আছে যথাক্রমে নরডিক দুই দেশই, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। গত বছর তালিকায় নয়ে থাকা ইসরায়েল পাঁচ ধাপ লাফ দিয়ে চলে এসেছে চারে। তালিকায় পাঁচে নেদারল্যান্ডস। ছয় আর সাতে দুই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ, যথাক্রমে সুইডেন ও নরওয়ে। আট, নয় ও ১০-এ আছে সুইজারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও নিউজিল্যান্ড। পরের স্থানটি অস্ট্রিয়ার।
অস্ট্রেলিয়া আছে ১২-তে, কানাডা ১৩-তে, আয়ারল্যান্ড ১৪-তে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যও আছে ২০-এর মধ্যে, অবস্থান যথাক্রমে ১৫ ও ১৯-এ। জার্মানি, বেলজিয়াম ও চেক রিপাবলিক দখল করেছে ১৬ থেকে ১৮-তম স্থান। গত বছরের বিবেচনায় ২০-এর মধ্যে তালিকায় একমাত্র নতুন দেশ লিথুনিয়া। গত ছয় বছর ধরে ক্রমেই উন্নতি করছে তাঁরা। ২০১৭ সালে ছিল ৫২-তে। অন্য দুই বাল্টিক দেশেরও অবস্থার উন্নতি ঘটছে, এস্তোনিয়া (৩১) ও লাটভিয়া (৪১)। তবে তালিকায় গত বছর ২০ থাকলেও এবার ২১-এ চলে গেছে ফ্রান্স।
তলানিতে আছে কারা
তালিকায় সবার নিচে আছে আফগানিস্তান, ১৩৭-এ। লেবানন তাদের ঠিক ওপরে, অর্থাৎ ১৩৬-এ। সুখী ১০টি দেশের থেকে ১০ নম্বরের স্কেলে গড়ে ৫ পয়েন্ট করে কম পেয়েছে তারা জীবনযাত্রার মানে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ দুটি দেশের অবস্থান কোথায় তালিকায় এটি নিয়ে আগ্রহ আছে অনেকেরই। তাহলে জেনে রাখুন রাশিয়ার অবস্থান ৭০-এ আর ইউক্রেনের ৯২-এ।
সামনে এগোনোর পালা
‘মানুষ তাঁদের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে নতুন করে ভাবছে।’ বলেন হেলিওয়েল। তিনি আরও বলেন ‘পদমর্যাদা বা বেতন বড় কোনো বিষয় না। আসল ব্যাপার হলো, সঠিক উপায়ে মানুষকে সহায়তা করা।’
‘একজনের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে অন্য মানুষদের প্রতি খেয়াল রাখলেই আপনি ভালো থাকবেন।’ বলেন হেলিওয়েল।
কত নামে ডাকবেন তাকে। গুগলে সন্ধান করলে চমকে উঠতে হবে। এর নাম দেখাবে হেয়ার আইল্যান্ড। মনে হবে, আটলান্টিক মহাসাগর কিংবা ক্যারিবীয় কোনো নির্জন দ্বীপের নাম দেখছেন। কিন্তু আপনার ভুল ভাঙবে স্থানীয়দের ডাকা নামটি শুনলে। বুঝবেন, আপনি আছেন কলাগাছিয়ার চরে।
২ দিন আগেযতই উন্মুক্ত হচ্ছে, ততই যেন পুরো পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে সৌদি আরব। দেশটাই একটা চমকজাগানিয়া। মরুভূমি, প্রাচীন বৃক্ষের বন, প্রাচীন জনপদ ও সংস্কৃতি—সবই আছে সৌদি আরবে। আছে নিওম নামের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিলাসবহুল মেগাসিটি।
২ দিন আগেচীনে চলছে বসন্ত উৎসব কিংবা চান্দ্র নববর্ষের আনন্দমুখর আয়োজন। সারা দেশে এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী প্রথা, বাহারি খাবার, সজ্জা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং নানান রীতি-রেওয়াজের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে।
২ দিন আগেচীনা নববর্ষের ইতিহাস ৩ হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো বলে ধারণা করা হয়। এটি শুরু হয়েছিল চীনের প্রাচীন কৃষি ভিত্তিক সমাজে। দেবতা এবং পূর্বপুরুষদের সম্মান, ভালো ফসলের প্রার্থনা এবং মন্দ আত্মা তাড়ানোর সামাজিক প্রথা থেকে এ উৎসবের সূচনা হয়েছিল। প্রায় ১৫ দিন ধরে চলা এ উৎসবের মূলে থাকে পরিবার।
২ দিন আগে