ঐশানী মোদক

ভুবনবিখ্যাত মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো (জন্ম: ৬ জুলাই ১৯০৭–মৃত্যু: ১৩ জুলাই ১৯৫৪)। শিল্পচর্চাতেই তাঁর পরিচিতি সীমাবদ্ধ নয়। ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তিনি বিশ্বে স্বতন্ত্র জায়গা দখল করে আছেন! ফিতা আর ফুলে বিনুনি বাঁধা চুল, দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া বর্ণিল পোশাক, বিচিত্র ও অনবদ্য গয়নায় ফ্রিদা যেন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বিভিন্ন সময় ফ্যাশন শোতে কাহলোর এই সাজ অনুকরণ করেছেন বহু নারী। পোশাকের সঙ্গে অনুকরণ করেছেন ফ্রিদার অভিব্যক্তিও। এই দুইয়ের সঙ্গে মিশে আছে যেন ভিন্ন কোনো গল্প, কখনো তা শিল্পীর আবরণ, কখনো তার প্রতিচ্ছায়া।
১৯৫৪ সালে ফ্রিদার মৃত্যুর পরে তাঁর স্বামী চিত্রশিল্পী দিয়েগো রিভেরা ফ্রিদার বাকি সব জিনিসের সঙ্গে কাপড়গুলোকেও তালাবদ্ধ করার ব্যবস্থা করেন। ফ্রিদার মৃত্যুর তিন বছর পর মারা যান দিয়েগো। তখন এই দুই শিল্পীর বসতবাড়ি সংরক্ষণের দায়িত্ব পড়ে শিল্প সংগ্রাহক ডলরেস ওলমেদোর ওপর। তিনিও মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে সংরক্ষণ করেন ফ্রিদার লেখা চিঠি, তাঁর তোলা ছবি, পোশাক আর অলংকারগুলো। ডলরেস বেঁচে থাকা পর্যন্ত কেউ সেগুলো দেখার সুযোগ পায়নি। ২০০৪ সালে এই চিত্রসংগ্রাহকের মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে ফ্রিদার ঘরদোর, তাঁর জীবনাচার মানুষের সামনে চলে আসে।
পোশাকের বাস্তবতা ও রাজনীতি
২০০৭ সালে যখন কাহলোর ভিন্নধর্মী পোশাকগুলো মানুষের সামনে নিয়ে আসা হয়, সেগুলো নিয়ে সারা বিশ্বে শুরু হয় নতুন উন্মাদনা। তাঁর বিভিন্ন পোশাক বিশ্বের প্রভাবশালী ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোর লেখায় জায়গা করে নিতে থাকে। ফ্রিদার ভিন্ন ছাঁটে তৈরি ঢিলেঢালা ব্লাউজ আর লম্বা স্কার্টে যেমন আছে তাঁর জন্মভূমি মেক্সিকান ঐতিহ্যের ছাপ, তেমনি তাঁর শিল্পবোধের প্রতিচ্ছবিও সেই পোশাকগুলো। জন্মের পর থেকে এক মিশ্র সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠেন ফ্রিদা কাহলো।
জার্মান-হাঙ্গেরিয়ান বাবা ও মা ছিলেন স্প্যানিশ ও তেহুয়ানা আদিবাসীর মিশ্রণ। ফ্রিদার ছেলেবেলা কেটেছে মেক্সিকো শহরের এক মধ্য-উচ্চবিত্ত পরিবারে।
ছয় বছর বয়সে পোলিও আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর ডান পা আকারে ছোট ও নিস্তেজ হয়ে পড়তে শুরু করে। এ কারণে সহপাঠীদের কাছে কম হাসি-ঠাট্টার পাত্রী হতে হয়নি ছোট্ট ফ্রিদাকে। তাঁর লম্বা আকৃতির জামা পরার কারণ পায়ের দুর্বলতা ঢাকা। দুই পা যেন মোটামুটি সমান দেখায় তাই ডান পায়ে কয়েক স্তরে মোজা পরতে শুরু করেন তিনি।
ফ্রিদা কাহলো যে ধরনের পোশাক পরতেন, তার পেছনে দুটো কারণ ছিল। প্রথমত, তিনি এমন পোশাক পরতে চাইতেন, যা তাঁর শারীরিক অক্ষমতাকে ঢেকে রেখে স্বকীয়তা বজায় রাখবে। দ্বিতীয়ত, এটি তাঁর মৌলিক রাজনৈতিক বিশ্বাসকেও সমানতালে প্রদর্শন করবে। বামপন্থী কাহলো ১৬ বছর বয়সে সমাজতান্ত্রিক দলে এবং বিশ শতকের গোড়ার দিকে মেক্সিকো কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। তখন কাহলো মেক্সিকান রাজ্য ওক্সাকার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি শহর তেহুয়ান্তেপেকের মাতৃতান্ত্রিক সমাজে ব্যবহৃত তেহুয়ানা পোশাক পরতে শুরু করেন। ফ্রিদা মেক্সিকান হিসেবে বরাবরই গর্বিত ছিলেন। এই পোশাক তাঁর বিশ্বাস ও স্বকীয়তায় বাড়তি মাত্রা যোগ করে। এই স্টাইলে যুক্ত ছিল লম্বা স্কার্ট, এমব্রয়ডারি করা ব্লাউজ এবং ফুল দিয়ে চুল বাঁধা। ফ্রিদা কাহলো যখন এই ঐতিহ্যবাহী পোশাকগুলোয় সমসাময়িক উপাদান যোগ করতে শুরু করেন, সে সময় থেকেই তা পায় নতুন মাত্রা।
ঢিলেঢালা ব্লাউজ ও ফতুয়া
ফ্রিদার পোশাকে তাঁর জীবনের গল্পগুলোও মিলেমিশে আছে। বিশেষভাবে তৈরি হতো তাঁর ব্লাউজগুলো। সেগুলো ঢেকে দিত তাঁর দুর্বল শরীর। ১৮ বছর বয়সে একটি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। সেই শারীরিক আঘাত নিয়ে ভুগেছেন সারা জীবন। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন পিঠের ব্যথায়। ফ্রিদা যেন সেই শারীরিক যন্ত্রণাকেই ঢাকতেন রংবেরঙের ব্লাউজে। প্রচণ্ড আত্মসচেতন ফ্রিদা জানতেন, পরিধেয় বসন ফুটিয়ে তোলে ভেতরের মানুষটিকেও। সে কথাই বলে ফ্রিদার আঁকা আত্মপ্রকৃতিগুলো।
ফুলেল নকশার পোশাকে রঙের প্রভাব
স্কার্টের সঙ্গে ফ্রিদা যেসব ব্লাউজ পরতেন তাতে লাল, হলুদ ও ল্যাভেন্ডার রঙের ফুলের নকশা আঁকা থাকত। লম্বা বেগুনি রঙের স্কার্টে বোনা পপি ফুলের মতো দেখতে কয়েকটি সাদা ফুল। গাঢ় বেগুনি রঙের সুতির কাপড়ে জুড়ে দেওয়া গাঢ় লাল ও হলুদ রঙের কাপড়ে তৈরি ফতুয়া। এই হলো ফ্রিদার আলমারির কয়েকটি কাপড়ের বর্ণনা। তাঁর পোশাকের নকশায় ও রঙে থাকত তীব্রতা, যা কেড়ে নিত চোখ ও হৃদয়।
ফ্যাশন অনুষঙ্গ
ফ্রিদার ফ্যাশন অনুষঙ্গের মধ্যে ছিল লম্বা চেইনের মতো নেকলেস, যা তিনি কয়েক পরতে গলায় জড়াতেন। প্রাক্-ঔপনিবেশিক ঘরানার গয়না ছিল তাঁর পছন্দের। তা ছাড়া অ্যাজটেক কারিগরদের বানানো উজ্জ্বল রঙের সূচিকর্মযুক্ত স্কার্ফ ছিল ফ্রিদা কাহলোর ভীষণ প্রিয়। তিনি চুলের বেণি ও কাঁধ ঢাকার জন্য রেবোজো পরতেন। রেবোজো হচ্ছে এক ধরনের স্প্যানিশ স্কার্ফ। তা ছাড়া তিনি ফুলের নকশার পিন দিয়ে চুল বাঁধতে ভালোবাসতেন। আর এটিই মূলত ফ্রিদা কাহলোর কাস্টমাইজ হেয়ারস্টাইল। ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে কাহলোর স্বতন্ত্র স্টাইল মেক্সিকান সংস্কৃতির সমার্থক হয়ে ওঠে যেন। এ সময় তাঁর এ স্টাইল ফ্যাশন বিশ্বে ঢেউ তোলে।
সূত্র: ডেইলি মেইল ও অন্যান্য

ভুবনবিখ্যাত মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো (জন্ম: ৬ জুলাই ১৯০৭–মৃত্যু: ১৩ জুলাই ১৯৫৪)। শিল্পচর্চাতেই তাঁর পরিচিতি সীমাবদ্ধ নয়। ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তিনি বিশ্বে স্বতন্ত্র জায়গা দখল করে আছেন! ফিতা আর ফুলে বিনুনি বাঁধা চুল, দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া বর্ণিল পোশাক, বিচিত্র ও অনবদ্য গয়নায় ফ্রিদা যেন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বিভিন্ন সময় ফ্যাশন শোতে কাহলোর এই সাজ অনুকরণ করেছেন বহু নারী। পোশাকের সঙ্গে অনুকরণ করেছেন ফ্রিদার অভিব্যক্তিও। এই দুইয়ের সঙ্গে মিশে আছে যেন ভিন্ন কোনো গল্প, কখনো তা শিল্পীর আবরণ, কখনো তার প্রতিচ্ছায়া।
১৯৫৪ সালে ফ্রিদার মৃত্যুর পরে তাঁর স্বামী চিত্রশিল্পী দিয়েগো রিভেরা ফ্রিদার বাকি সব জিনিসের সঙ্গে কাপড়গুলোকেও তালাবদ্ধ করার ব্যবস্থা করেন। ফ্রিদার মৃত্যুর তিন বছর পর মারা যান দিয়েগো। তখন এই দুই শিল্পীর বসতবাড়ি সংরক্ষণের দায়িত্ব পড়ে শিল্প সংগ্রাহক ডলরেস ওলমেদোর ওপর। তিনিও মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে সংরক্ষণ করেন ফ্রিদার লেখা চিঠি, তাঁর তোলা ছবি, পোশাক আর অলংকারগুলো। ডলরেস বেঁচে থাকা পর্যন্ত কেউ সেগুলো দেখার সুযোগ পায়নি। ২০০৪ সালে এই চিত্রসংগ্রাহকের মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে ফ্রিদার ঘরদোর, তাঁর জীবনাচার মানুষের সামনে চলে আসে।
পোশাকের বাস্তবতা ও রাজনীতি
২০০৭ সালে যখন কাহলোর ভিন্নধর্মী পোশাকগুলো মানুষের সামনে নিয়ে আসা হয়, সেগুলো নিয়ে সারা বিশ্বে শুরু হয় নতুন উন্মাদনা। তাঁর বিভিন্ন পোশাক বিশ্বের প্রভাবশালী ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোর লেখায় জায়গা করে নিতে থাকে। ফ্রিদার ভিন্ন ছাঁটে তৈরি ঢিলেঢালা ব্লাউজ আর লম্বা স্কার্টে যেমন আছে তাঁর জন্মভূমি মেক্সিকান ঐতিহ্যের ছাপ, তেমনি তাঁর শিল্পবোধের প্রতিচ্ছবিও সেই পোশাকগুলো। জন্মের পর থেকে এক মিশ্র সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠেন ফ্রিদা কাহলো।
জার্মান-হাঙ্গেরিয়ান বাবা ও মা ছিলেন স্প্যানিশ ও তেহুয়ানা আদিবাসীর মিশ্রণ। ফ্রিদার ছেলেবেলা কেটেছে মেক্সিকো শহরের এক মধ্য-উচ্চবিত্ত পরিবারে।
ছয় বছর বয়সে পোলিও আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর ডান পা আকারে ছোট ও নিস্তেজ হয়ে পড়তে শুরু করে। এ কারণে সহপাঠীদের কাছে কম হাসি-ঠাট্টার পাত্রী হতে হয়নি ছোট্ট ফ্রিদাকে। তাঁর লম্বা আকৃতির জামা পরার কারণ পায়ের দুর্বলতা ঢাকা। দুই পা যেন মোটামুটি সমান দেখায় তাই ডান পায়ে কয়েক স্তরে মোজা পরতে শুরু করেন তিনি।
ফ্রিদা কাহলো যে ধরনের পোশাক পরতেন, তার পেছনে দুটো কারণ ছিল। প্রথমত, তিনি এমন পোশাক পরতে চাইতেন, যা তাঁর শারীরিক অক্ষমতাকে ঢেকে রেখে স্বকীয়তা বজায় রাখবে। দ্বিতীয়ত, এটি তাঁর মৌলিক রাজনৈতিক বিশ্বাসকেও সমানতালে প্রদর্শন করবে। বামপন্থী কাহলো ১৬ বছর বয়সে সমাজতান্ত্রিক দলে এবং বিশ শতকের গোড়ার দিকে মেক্সিকো কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। তখন কাহলো মেক্সিকান রাজ্য ওক্সাকার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি শহর তেহুয়ান্তেপেকের মাতৃতান্ত্রিক সমাজে ব্যবহৃত তেহুয়ানা পোশাক পরতে শুরু করেন। ফ্রিদা মেক্সিকান হিসেবে বরাবরই গর্বিত ছিলেন। এই পোশাক তাঁর বিশ্বাস ও স্বকীয়তায় বাড়তি মাত্রা যোগ করে। এই স্টাইলে যুক্ত ছিল লম্বা স্কার্ট, এমব্রয়ডারি করা ব্লাউজ এবং ফুল দিয়ে চুল বাঁধা। ফ্রিদা কাহলো যখন এই ঐতিহ্যবাহী পোশাকগুলোয় সমসাময়িক উপাদান যোগ করতে শুরু করেন, সে সময় থেকেই তা পায় নতুন মাত্রা।
ঢিলেঢালা ব্লাউজ ও ফতুয়া
ফ্রিদার পোশাকে তাঁর জীবনের গল্পগুলোও মিলেমিশে আছে। বিশেষভাবে তৈরি হতো তাঁর ব্লাউজগুলো। সেগুলো ঢেকে দিত তাঁর দুর্বল শরীর। ১৮ বছর বয়সে একটি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। সেই শারীরিক আঘাত নিয়ে ভুগেছেন সারা জীবন। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন পিঠের ব্যথায়। ফ্রিদা যেন সেই শারীরিক যন্ত্রণাকেই ঢাকতেন রংবেরঙের ব্লাউজে। প্রচণ্ড আত্মসচেতন ফ্রিদা জানতেন, পরিধেয় বসন ফুটিয়ে তোলে ভেতরের মানুষটিকেও। সে কথাই বলে ফ্রিদার আঁকা আত্মপ্রকৃতিগুলো।
ফুলেল নকশার পোশাকে রঙের প্রভাব
স্কার্টের সঙ্গে ফ্রিদা যেসব ব্লাউজ পরতেন তাতে লাল, হলুদ ও ল্যাভেন্ডার রঙের ফুলের নকশা আঁকা থাকত। লম্বা বেগুনি রঙের স্কার্টে বোনা পপি ফুলের মতো দেখতে কয়েকটি সাদা ফুল। গাঢ় বেগুনি রঙের সুতির কাপড়ে জুড়ে দেওয়া গাঢ় লাল ও হলুদ রঙের কাপড়ে তৈরি ফতুয়া। এই হলো ফ্রিদার আলমারির কয়েকটি কাপড়ের বর্ণনা। তাঁর পোশাকের নকশায় ও রঙে থাকত তীব্রতা, যা কেড়ে নিত চোখ ও হৃদয়।
ফ্যাশন অনুষঙ্গ
ফ্রিদার ফ্যাশন অনুষঙ্গের মধ্যে ছিল লম্বা চেইনের মতো নেকলেস, যা তিনি কয়েক পরতে গলায় জড়াতেন। প্রাক্-ঔপনিবেশিক ঘরানার গয়না ছিল তাঁর পছন্দের। তা ছাড়া অ্যাজটেক কারিগরদের বানানো উজ্জ্বল রঙের সূচিকর্মযুক্ত স্কার্ফ ছিল ফ্রিদা কাহলোর ভীষণ প্রিয়। তিনি চুলের বেণি ও কাঁধ ঢাকার জন্য রেবোজো পরতেন। রেবোজো হচ্ছে এক ধরনের স্প্যানিশ স্কার্ফ। তা ছাড়া তিনি ফুলের নকশার পিন দিয়ে চুল বাঁধতে ভালোবাসতেন। আর এটিই মূলত ফ্রিদা কাহলোর কাস্টমাইজ হেয়ারস্টাইল। ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে কাহলোর স্বতন্ত্র স্টাইল মেক্সিকান সংস্কৃতির সমার্থক হয়ে ওঠে যেন। এ সময় তাঁর এ স্টাইল ফ্যাশন বিশ্বে ঢেউ তোলে।
সূত্র: ডেইলি মেইল ও অন্যান্য
ঐশানী মোদক

ভুবনবিখ্যাত মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো (জন্ম: ৬ জুলাই ১৯০৭–মৃত্যু: ১৩ জুলাই ১৯৫৪)। শিল্পচর্চাতেই তাঁর পরিচিতি সীমাবদ্ধ নয়। ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তিনি বিশ্বে স্বতন্ত্র জায়গা দখল করে আছেন! ফিতা আর ফুলে বিনুনি বাঁধা চুল, দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া বর্ণিল পোশাক, বিচিত্র ও অনবদ্য গয়নায় ফ্রিদা যেন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বিভিন্ন সময় ফ্যাশন শোতে কাহলোর এই সাজ অনুকরণ করেছেন বহু নারী। পোশাকের সঙ্গে অনুকরণ করেছেন ফ্রিদার অভিব্যক্তিও। এই দুইয়ের সঙ্গে মিশে আছে যেন ভিন্ন কোনো গল্প, কখনো তা শিল্পীর আবরণ, কখনো তার প্রতিচ্ছায়া।
১৯৫৪ সালে ফ্রিদার মৃত্যুর পরে তাঁর স্বামী চিত্রশিল্পী দিয়েগো রিভেরা ফ্রিদার বাকি সব জিনিসের সঙ্গে কাপড়গুলোকেও তালাবদ্ধ করার ব্যবস্থা করেন। ফ্রিদার মৃত্যুর তিন বছর পর মারা যান দিয়েগো। তখন এই দুই শিল্পীর বসতবাড়ি সংরক্ষণের দায়িত্ব পড়ে শিল্প সংগ্রাহক ডলরেস ওলমেদোর ওপর। তিনিও মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে সংরক্ষণ করেন ফ্রিদার লেখা চিঠি, তাঁর তোলা ছবি, পোশাক আর অলংকারগুলো। ডলরেস বেঁচে থাকা পর্যন্ত কেউ সেগুলো দেখার সুযোগ পায়নি। ২০০৪ সালে এই চিত্রসংগ্রাহকের মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে ফ্রিদার ঘরদোর, তাঁর জীবনাচার মানুষের সামনে চলে আসে।
পোশাকের বাস্তবতা ও রাজনীতি
২০০৭ সালে যখন কাহলোর ভিন্নধর্মী পোশাকগুলো মানুষের সামনে নিয়ে আসা হয়, সেগুলো নিয়ে সারা বিশ্বে শুরু হয় নতুন উন্মাদনা। তাঁর বিভিন্ন পোশাক বিশ্বের প্রভাবশালী ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোর লেখায় জায়গা করে নিতে থাকে। ফ্রিদার ভিন্ন ছাঁটে তৈরি ঢিলেঢালা ব্লাউজ আর লম্বা স্কার্টে যেমন আছে তাঁর জন্মভূমি মেক্সিকান ঐতিহ্যের ছাপ, তেমনি তাঁর শিল্পবোধের প্রতিচ্ছবিও সেই পোশাকগুলো। জন্মের পর থেকে এক মিশ্র সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠেন ফ্রিদা কাহলো।
জার্মান-হাঙ্গেরিয়ান বাবা ও মা ছিলেন স্প্যানিশ ও তেহুয়ানা আদিবাসীর মিশ্রণ। ফ্রিদার ছেলেবেলা কেটেছে মেক্সিকো শহরের এক মধ্য-উচ্চবিত্ত পরিবারে।
ছয় বছর বয়সে পোলিও আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর ডান পা আকারে ছোট ও নিস্তেজ হয়ে পড়তে শুরু করে। এ কারণে সহপাঠীদের কাছে কম হাসি-ঠাট্টার পাত্রী হতে হয়নি ছোট্ট ফ্রিদাকে। তাঁর লম্বা আকৃতির জামা পরার কারণ পায়ের দুর্বলতা ঢাকা। দুই পা যেন মোটামুটি সমান দেখায় তাই ডান পায়ে কয়েক স্তরে মোজা পরতে শুরু করেন তিনি।
ফ্রিদা কাহলো যে ধরনের পোশাক পরতেন, তার পেছনে দুটো কারণ ছিল। প্রথমত, তিনি এমন পোশাক পরতে চাইতেন, যা তাঁর শারীরিক অক্ষমতাকে ঢেকে রেখে স্বকীয়তা বজায় রাখবে। দ্বিতীয়ত, এটি তাঁর মৌলিক রাজনৈতিক বিশ্বাসকেও সমানতালে প্রদর্শন করবে। বামপন্থী কাহলো ১৬ বছর বয়সে সমাজতান্ত্রিক দলে এবং বিশ শতকের গোড়ার দিকে মেক্সিকো কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। তখন কাহলো মেক্সিকান রাজ্য ওক্সাকার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি শহর তেহুয়ান্তেপেকের মাতৃতান্ত্রিক সমাজে ব্যবহৃত তেহুয়ানা পোশাক পরতে শুরু করেন। ফ্রিদা মেক্সিকান হিসেবে বরাবরই গর্বিত ছিলেন। এই পোশাক তাঁর বিশ্বাস ও স্বকীয়তায় বাড়তি মাত্রা যোগ করে। এই স্টাইলে যুক্ত ছিল লম্বা স্কার্ট, এমব্রয়ডারি করা ব্লাউজ এবং ফুল দিয়ে চুল বাঁধা। ফ্রিদা কাহলো যখন এই ঐতিহ্যবাহী পোশাকগুলোয় সমসাময়িক উপাদান যোগ করতে শুরু করেন, সে সময় থেকেই তা পায় নতুন মাত্রা।
ঢিলেঢালা ব্লাউজ ও ফতুয়া
ফ্রিদার পোশাকে তাঁর জীবনের গল্পগুলোও মিলেমিশে আছে। বিশেষভাবে তৈরি হতো তাঁর ব্লাউজগুলো। সেগুলো ঢেকে দিত তাঁর দুর্বল শরীর। ১৮ বছর বয়সে একটি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। সেই শারীরিক আঘাত নিয়ে ভুগেছেন সারা জীবন। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন পিঠের ব্যথায়। ফ্রিদা যেন সেই শারীরিক যন্ত্রণাকেই ঢাকতেন রংবেরঙের ব্লাউজে। প্রচণ্ড আত্মসচেতন ফ্রিদা জানতেন, পরিধেয় বসন ফুটিয়ে তোলে ভেতরের মানুষটিকেও। সে কথাই বলে ফ্রিদার আঁকা আত্মপ্রকৃতিগুলো।
ফুলেল নকশার পোশাকে রঙের প্রভাব
স্কার্টের সঙ্গে ফ্রিদা যেসব ব্লাউজ পরতেন তাতে লাল, হলুদ ও ল্যাভেন্ডার রঙের ফুলের নকশা আঁকা থাকত। লম্বা বেগুনি রঙের স্কার্টে বোনা পপি ফুলের মতো দেখতে কয়েকটি সাদা ফুল। গাঢ় বেগুনি রঙের সুতির কাপড়ে জুড়ে দেওয়া গাঢ় লাল ও হলুদ রঙের কাপড়ে তৈরি ফতুয়া। এই হলো ফ্রিদার আলমারির কয়েকটি কাপড়ের বর্ণনা। তাঁর পোশাকের নকশায় ও রঙে থাকত তীব্রতা, যা কেড়ে নিত চোখ ও হৃদয়।
ফ্যাশন অনুষঙ্গ
ফ্রিদার ফ্যাশন অনুষঙ্গের মধ্যে ছিল লম্বা চেইনের মতো নেকলেস, যা তিনি কয়েক পরতে গলায় জড়াতেন। প্রাক্-ঔপনিবেশিক ঘরানার গয়না ছিল তাঁর পছন্দের। তা ছাড়া অ্যাজটেক কারিগরদের বানানো উজ্জ্বল রঙের সূচিকর্মযুক্ত স্কার্ফ ছিল ফ্রিদা কাহলোর ভীষণ প্রিয়। তিনি চুলের বেণি ও কাঁধ ঢাকার জন্য রেবোজো পরতেন। রেবোজো হচ্ছে এক ধরনের স্প্যানিশ স্কার্ফ। তা ছাড়া তিনি ফুলের নকশার পিন দিয়ে চুল বাঁধতে ভালোবাসতেন। আর এটিই মূলত ফ্রিদা কাহলোর কাস্টমাইজ হেয়ারস্টাইল। ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে কাহলোর স্বতন্ত্র স্টাইল মেক্সিকান সংস্কৃতির সমার্থক হয়ে ওঠে যেন। এ সময় তাঁর এ স্টাইল ফ্যাশন বিশ্বে ঢেউ তোলে।
সূত্র: ডেইলি মেইল ও অন্যান্য

ভুবনবিখ্যাত মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো (জন্ম: ৬ জুলাই ১৯০৭–মৃত্যু: ১৩ জুলাই ১৯৫৪)। শিল্পচর্চাতেই তাঁর পরিচিতি সীমাবদ্ধ নয়। ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তিনি বিশ্বে স্বতন্ত্র জায়গা দখল করে আছেন! ফিতা আর ফুলে বিনুনি বাঁধা চুল, দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া বর্ণিল পোশাক, বিচিত্র ও অনবদ্য গয়নায় ফ্রিদা যেন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বিভিন্ন সময় ফ্যাশন শোতে কাহলোর এই সাজ অনুকরণ করেছেন বহু নারী। পোশাকের সঙ্গে অনুকরণ করেছেন ফ্রিদার অভিব্যক্তিও। এই দুইয়ের সঙ্গে মিশে আছে যেন ভিন্ন কোনো গল্প, কখনো তা শিল্পীর আবরণ, কখনো তার প্রতিচ্ছায়া।
১৯৫৪ সালে ফ্রিদার মৃত্যুর পরে তাঁর স্বামী চিত্রশিল্পী দিয়েগো রিভেরা ফ্রিদার বাকি সব জিনিসের সঙ্গে কাপড়গুলোকেও তালাবদ্ধ করার ব্যবস্থা করেন। ফ্রিদার মৃত্যুর তিন বছর পর মারা যান দিয়েগো। তখন এই দুই শিল্পীর বসতবাড়ি সংরক্ষণের দায়িত্ব পড়ে শিল্প সংগ্রাহক ডলরেস ওলমেদোর ওপর। তিনিও মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে সংরক্ষণ করেন ফ্রিদার লেখা চিঠি, তাঁর তোলা ছবি, পোশাক আর অলংকারগুলো। ডলরেস বেঁচে থাকা পর্যন্ত কেউ সেগুলো দেখার সুযোগ পায়নি। ২০০৪ সালে এই চিত্রসংগ্রাহকের মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে ফ্রিদার ঘরদোর, তাঁর জীবনাচার মানুষের সামনে চলে আসে।
পোশাকের বাস্তবতা ও রাজনীতি
২০০৭ সালে যখন কাহলোর ভিন্নধর্মী পোশাকগুলো মানুষের সামনে নিয়ে আসা হয়, সেগুলো নিয়ে সারা বিশ্বে শুরু হয় নতুন উন্মাদনা। তাঁর বিভিন্ন পোশাক বিশ্বের প্রভাবশালী ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোর লেখায় জায়গা করে নিতে থাকে। ফ্রিদার ভিন্ন ছাঁটে তৈরি ঢিলেঢালা ব্লাউজ আর লম্বা স্কার্টে যেমন আছে তাঁর জন্মভূমি মেক্সিকান ঐতিহ্যের ছাপ, তেমনি তাঁর শিল্পবোধের প্রতিচ্ছবিও সেই পোশাকগুলো। জন্মের পর থেকে এক মিশ্র সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠেন ফ্রিদা কাহলো।
জার্মান-হাঙ্গেরিয়ান বাবা ও মা ছিলেন স্প্যানিশ ও তেহুয়ানা আদিবাসীর মিশ্রণ। ফ্রিদার ছেলেবেলা কেটেছে মেক্সিকো শহরের এক মধ্য-উচ্চবিত্ত পরিবারে।
ছয় বছর বয়সে পোলিও আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাঁর ডান পা আকারে ছোট ও নিস্তেজ হয়ে পড়তে শুরু করে। এ কারণে সহপাঠীদের কাছে কম হাসি-ঠাট্টার পাত্রী হতে হয়নি ছোট্ট ফ্রিদাকে। তাঁর লম্বা আকৃতির জামা পরার কারণ পায়ের দুর্বলতা ঢাকা। দুই পা যেন মোটামুটি সমান দেখায় তাই ডান পায়ে কয়েক স্তরে মোজা পরতে শুরু করেন তিনি।
ফ্রিদা কাহলো যে ধরনের পোশাক পরতেন, তার পেছনে দুটো কারণ ছিল। প্রথমত, তিনি এমন পোশাক পরতে চাইতেন, যা তাঁর শারীরিক অক্ষমতাকে ঢেকে রেখে স্বকীয়তা বজায় রাখবে। দ্বিতীয়ত, এটি তাঁর মৌলিক রাজনৈতিক বিশ্বাসকেও সমানতালে প্রদর্শন করবে। বামপন্থী কাহলো ১৬ বছর বয়সে সমাজতান্ত্রিক দলে এবং বিশ শতকের গোড়ার দিকে মেক্সিকো কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। তখন কাহলো মেক্সিকান রাজ্য ওক্সাকার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি শহর তেহুয়ান্তেপেকের মাতৃতান্ত্রিক সমাজে ব্যবহৃত তেহুয়ানা পোশাক পরতে শুরু করেন। ফ্রিদা মেক্সিকান হিসেবে বরাবরই গর্বিত ছিলেন। এই পোশাক তাঁর বিশ্বাস ও স্বকীয়তায় বাড়তি মাত্রা যোগ করে। এই স্টাইলে যুক্ত ছিল লম্বা স্কার্ট, এমব্রয়ডারি করা ব্লাউজ এবং ফুল দিয়ে চুল বাঁধা। ফ্রিদা কাহলো যখন এই ঐতিহ্যবাহী পোশাকগুলোয় সমসাময়িক উপাদান যোগ করতে শুরু করেন, সে সময় থেকেই তা পায় নতুন মাত্রা।
ঢিলেঢালা ব্লাউজ ও ফতুয়া
ফ্রিদার পোশাকে তাঁর জীবনের গল্পগুলোও মিলেমিশে আছে। বিশেষভাবে তৈরি হতো তাঁর ব্লাউজগুলো। সেগুলো ঢেকে দিত তাঁর দুর্বল শরীর। ১৮ বছর বয়সে একটি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। সেই শারীরিক আঘাত নিয়ে ভুগেছেন সারা জীবন। চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন পিঠের ব্যথায়। ফ্রিদা যেন সেই শারীরিক যন্ত্রণাকেই ঢাকতেন রংবেরঙের ব্লাউজে। প্রচণ্ড আত্মসচেতন ফ্রিদা জানতেন, পরিধেয় বসন ফুটিয়ে তোলে ভেতরের মানুষটিকেও। সে কথাই বলে ফ্রিদার আঁকা আত্মপ্রকৃতিগুলো।
ফুলেল নকশার পোশাকে রঙের প্রভাব
স্কার্টের সঙ্গে ফ্রিদা যেসব ব্লাউজ পরতেন তাতে লাল, হলুদ ও ল্যাভেন্ডার রঙের ফুলের নকশা আঁকা থাকত। লম্বা বেগুনি রঙের স্কার্টে বোনা পপি ফুলের মতো দেখতে কয়েকটি সাদা ফুল। গাঢ় বেগুনি রঙের সুতির কাপড়ে জুড়ে দেওয়া গাঢ় লাল ও হলুদ রঙের কাপড়ে তৈরি ফতুয়া। এই হলো ফ্রিদার আলমারির কয়েকটি কাপড়ের বর্ণনা। তাঁর পোশাকের নকশায় ও রঙে থাকত তীব্রতা, যা কেড়ে নিত চোখ ও হৃদয়।
ফ্যাশন অনুষঙ্গ
ফ্রিদার ফ্যাশন অনুষঙ্গের মধ্যে ছিল লম্বা চেইনের মতো নেকলেস, যা তিনি কয়েক পরতে গলায় জড়াতেন। প্রাক্-ঔপনিবেশিক ঘরানার গয়না ছিল তাঁর পছন্দের। তা ছাড়া অ্যাজটেক কারিগরদের বানানো উজ্জ্বল রঙের সূচিকর্মযুক্ত স্কার্ফ ছিল ফ্রিদা কাহলোর ভীষণ প্রিয়। তিনি চুলের বেণি ও কাঁধ ঢাকার জন্য রেবোজো পরতেন। রেবোজো হচ্ছে এক ধরনের স্প্যানিশ স্কার্ফ। তা ছাড়া তিনি ফুলের নকশার পিন দিয়ে চুল বাঁধতে ভালোবাসতেন। আর এটিই মূলত ফ্রিদা কাহলোর কাস্টমাইজ হেয়ারস্টাইল। ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে কাহলোর স্বতন্ত্র স্টাইল মেক্সিকান সংস্কৃতির সমার্থক হয়ে ওঠে যেন। এ সময় তাঁর এ স্টাইল ফ্যাশন বিশ্বে ঢেউ তোলে।
সূত্র: ডেইলি মেইল ও অন্যান্য

এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত।
১ ঘণ্টা আগে
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন।
২ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি...
২ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের...
২ ঘণ্টা আগেছন্দা ব্যানার্জি

এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত। এই রূপ শুধু প্রকৃতিতেই নয়, বাঙালির খাবারের ঐতিহ্যেও ফুটে উঠেছে।
হেমন্তের খাবার বাঙালির কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। এই সময় নতুন ফসলের আমেজ নিয়ে আসে নতুন স্বাদ ও গন্ধ। নতুন চালের ভাত বাঙালির কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। এখন যে সবজির ফলন হয়, ফুল ফোটে, ফল হয়, তা দুই বাংলার মানুষের বিশেষ আকর্ষণ আর ঐতিহ্যেরও বটে।
বাংলায় হেমন্তের খাদ্য উৎসব শুরু হয় আশ্বিনের সংক্রান্তি থেকে। কথায় আছে, আশ্বিনে রাঁধে কার্তিকে খায়। কেউ কেউ বলেন ডাকসংক্রান্তি, আবার কেউ নলসংক্রান্তি। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে রাঢ়বঙ্গের দেশঘরে, ব্রত আর পার্বণের দিন শুরু হয় সে সময় থেকে। কৃষিজীবন আর অ-কৃষিজাত শাকসবজি, আনাজের কাছে ফিরে যাওয়ার দিন শুরু হয়। প্রায় হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাসের মধ্যে ভেসে ওঠে খানিকটা খড়কুটোর মতো—গাডুর ডাল, সজলান্ন কিংবা ব্রতের ভাত।
গোলাভরা আউশের আশ্বাস আর খেতভরা আমনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে গর্ভিণী ধানের সাধভক্ষণ—নলসংক্রান্তি। এই ধান্য লক্ষ্মীর পূজা আসলে পৃথিবীর কাছে ফিরে যাওয়ার দিন। গ্রাম-বাংলার অ-কৃষিজাত কন্দমূল ও গাছগাছালিকে চিনে নেওয়ার সময়ও হেমন্তকাল। বাংলাদেশে কত রকমের যে কচু ছিল, সেই সব দিয়ে, শালুকের গোড়া, মটর বা খেসারির ডাল দিয়ে যে গাডুর ডাল রান্না হয়, সেই ডালকে মানুষ বলে ‘আসমবারি’।
এই হেমন্তের শুরুতে আসে ধন্বন্তরি বা অশ্বিনী দেবের পূজা। এদের ডাকপুরুষও বলে। সেই পূজার উপোস ভাঙতে এই ডাল আর ব্রতের ভাত খাওয়া হয়। ব্রতের ভাত রান্না হয় শ্যামা চালে। রেসিপি আলাদা। এই ভাতের সঙ্গে ডাল, নারকেল, পাকা কলা, গুড়, গ্রাম-বাংলার চালের পিঠা সব দেবতাকে নিবেদন করে তারপর খাওয়া হয়। আসলে হেমন্ত ঋতুতে এই পূজাগুলো আমাদের শেখায়, কোন শস্য কখন খেতে হয়, কোন শস্য বিষাক্ত কোন সময়ে।
হেমন্ত ঋতুতে ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে নবান্ন উৎসব হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শস্যোৎসব এই নবান্ন। নতুন আমন ধান কাটার পর তা থেকে চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব এটি। কাঁচা দুধ, ছোট-বড় ছোলা, মটর, গোটা মটর, গোটা সবুজ মুগসহ ভেজানো ডালজাতীয় সব শস্যদানা, কামরাঙা, পানিফল, পেয়ারা, কমলালেবু, নারকেল ইত্যাদি হেমন্তে উৎপাদিত নানান ফলের টুকরা আর আমন ধান থেকে হওয়া নতুন চাল দিয়ে নবান্ন উৎসব হয়।
বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে ফসল তোলার পরের দিনেই নতুন চালের পায়েস, ক্ষীর, পিঠা আত্মীয়স্বজন এবং পড়শিদের ঘরে ঘরে বিতরণ করা হয়। হেমন্ত ঋতুর শুরুতে খেজুর ও তালগাছের রস গ্রাম-বাংলার অত্যন্ত প্রিয় পানীয়। ভোরে সূর্যের তেজ বাড়ার আগেই তা করতে হয় এই পানীয়। এই রস জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় খেজুর বা তালের গুড়।
হেমন্তে নতুন চাল থেকে তৈরি হয় খই। নতুন গুড় ও খই তৈরি হয় মোয়া, খেজুরের নতুন গুড়ের পায়েস, ক্ষীর, পিঠের আয়োজনে উৎসব শুরু হয়ে যায় পৌষ পার্বণের আগেই। এ ছাড়া হেমন্তকালের শুরুতে নদী, নালা, পুকুর, খাল, বিল—এসবের জল শুকিয়ে যেতে শুরু করে। এই সময় অন্যান্য পরিচিত মাছের সঙ্গে পুঁটি, চাঁদা, খলসে, গেঁড়ি গুগলি এবং কাঁকড়া পাওয়া যায় প্রচুর। তাই সাধারণ বাঙালি ঘরে এসব দিয়ে রান্না করা হয় বিভিন্ন পদ। এসব খাবার শরীরে পুষ্টি ও প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করে পুরো বছরের জন্য।
এই সবকিছু মিলিয়ে হেমন্তের সুঘ্রাণ দুই বাংলায় ছড়িয়ে থাকে।
ছন্দা ব্যানার্জি, রন্ধনশিল্পী ও খাদ্যবিষয়ক লেখক

এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত। এই রূপ শুধু প্রকৃতিতেই নয়, বাঙালির খাবারের ঐতিহ্যেও ফুটে উঠেছে।
হেমন্তের খাবার বাঙালির কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। এই সময় নতুন ফসলের আমেজ নিয়ে আসে নতুন স্বাদ ও গন্ধ। নতুন চালের ভাত বাঙালির কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। এখন যে সবজির ফলন হয়, ফুল ফোটে, ফল হয়, তা দুই বাংলার মানুষের বিশেষ আকর্ষণ আর ঐতিহ্যেরও বটে।
বাংলায় হেমন্তের খাদ্য উৎসব শুরু হয় আশ্বিনের সংক্রান্তি থেকে। কথায় আছে, আশ্বিনে রাঁধে কার্তিকে খায়। কেউ কেউ বলেন ডাকসংক্রান্তি, আবার কেউ নলসংক্রান্তি। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে রাঢ়বঙ্গের দেশঘরে, ব্রত আর পার্বণের দিন শুরু হয় সে সময় থেকে। কৃষিজীবন আর অ-কৃষিজাত শাকসবজি, আনাজের কাছে ফিরে যাওয়ার দিন শুরু হয়। প্রায় হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাসের মধ্যে ভেসে ওঠে খানিকটা খড়কুটোর মতো—গাডুর ডাল, সজলান্ন কিংবা ব্রতের ভাত।
গোলাভরা আউশের আশ্বাস আর খেতভরা আমনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে গর্ভিণী ধানের সাধভক্ষণ—নলসংক্রান্তি। এই ধান্য লক্ষ্মীর পূজা আসলে পৃথিবীর কাছে ফিরে যাওয়ার দিন। গ্রাম-বাংলার অ-কৃষিজাত কন্দমূল ও গাছগাছালিকে চিনে নেওয়ার সময়ও হেমন্তকাল। বাংলাদেশে কত রকমের যে কচু ছিল, সেই সব দিয়ে, শালুকের গোড়া, মটর বা খেসারির ডাল দিয়ে যে গাডুর ডাল রান্না হয়, সেই ডালকে মানুষ বলে ‘আসমবারি’।
এই হেমন্তের শুরুতে আসে ধন্বন্তরি বা অশ্বিনী দেবের পূজা। এদের ডাকপুরুষও বলে। সেই পূজার উপোস ভাঙতে এই ডাল আর ব্রতের ভাত খাওয়া হয়। ব্রতের ভাত রান্না হয় শ্যামা চালে। রেসিপি আলাদা। এই ভাতের সঙ্গে ডাল, নারকেল, পাকা কলা, গুড়, গ্রাম-বাংলার চালের পিঠা সব দেবতাকে নিবেদন করে তারপর খাওয়া হয়। আসলে হেমন্ত ঋতুতে এই পূজাগুলো আমাদের শেখায়, কোন শস্য কখন খেতে হয়, কোন শস্য বিষাক্ত কোন সময়ে।
হেমন্ত ঋতুতে ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে নবান্ন উৎসব হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শস্যোৎসব এই নবান্ন। নতুন আমন ধান কাটার পর তা থেকে চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব এটি। কাঁচা দুধ, ছোট-বড় ছোলা, মটর, গোটা মটর, গোটা সবুজ মুগসহ ভেজানো ডালজাতীয় সব শস্যদানা, কামরাঙা, পানিফল, পেয়ারা, কমলালেবু, নারকেল ইত্যাদি হেমন্তে উৎপাদিত নানান ফলের টুকরা আর আমন ধান থেকে হওয়া নতুন চাল দিয়ে নবান্ন উৎসব হয়।
বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে ফসল তোলার পরের দিনেই নতুন চালের পায়েস, ক্ষীর, পিঠা আত্মীয়স্বজন এবং পড়শিদের ঘরে ঘরে বিতরণ করা হয়। হেমন্ত ঋতুর শুরুতে খেজুর ও তালগাছের রস গ্রাম-বাংলার অত্যন্ত প্রিয় পানীয়। ভোরে সূর্যের তেজ বাড়ার আগেই তা করতে হয় এই পানীয়। এই রস জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় খেজুর বা তালের গুড়।
হেমন্তে নতুন চাল থেকে তৈরি হয় খই। নতুন গুড় ও খই তৈরি হয় মোয়া, খেজুরের নতুন গুড়ের পায়েস, ক্ষীর, পিঠের আয়োজনে উৎসব শুরু হয়ে যায় পৌষ পার্বণের আগেই। এ ছাড়া হেমন্তকালের শুরুতে নদী, নালা, পুকুর, খাল, বিল—এসবের জল শুকিয়ে যেতে শুরু করে। এই সময় অন্যান্য পরিচিত মাছের সঙ্গে পুঁটি, চাঁদা, খলসে, গেঁড়ি গুগলি এবং কাঁকড়া পাওয়া যায় প্রচুর। তাই সাধারণ বাঙালি ঘরে এসব দিয়ে রান্না করা হয় বিভিন্ন পদ। এসব খাবার শরীরে পুষ্টি ও প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করে পুরো বছরের জন্য।
এই সবকিছু মিলিয়ে হেমন্তের সুঘ্রাণ দুই বাংলায় ছড়িয়ে থাকে।
ছন্দা ব্যানার্জি, রন্ধনশিল্পী ও খাদ্যবিষয়ক লেখক

ভুবনবিখ্যাত মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো (জন্ম: ৬ জুলাই ১৯০৭–মৃত্যু: ১৩ জুলাই ১৯৫৪)। শিল্পচর্চাতেই তাঁর পরিচিতি সীমাবদ্ধ নয়। ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তিনি বিশ্বে স্বতন্ত্র জায়গা দখল করে আছেন! ফিতা আর ফুলে বিনুনি বাঁধা চুল, দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া বর্ণিল পোশাক, বিচিত্র ও অনবদ্য গয়নায় ফ্রিদা যেন স্বয়ংসম্পূ
০৩ জুলাই ২০২৩
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন।
২ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি...
২ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন। যদি ভাবা সম্ভব না হয়, তবে ভাবুন, ‘হতে পারে এটা আমার জীবনের সেরা কেনাকাটা!’ জ্যোতিষীরা বলছেন, প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ হতে পারে। সম্ভবত আপনার প্রিয়জন লুকিয়ে রাখা চকলেট বা রিমোট কন্ট্রোল চুরি করেছে—এর চেয়ে বড় কুকর্ম আর কী হতে পারে! কেউ যদি ‘বিনিয়োগ করুন, দ্বিগুণ হবে’ বলে, তবে দৌড়ে পালান। দৌড়াতে না পারলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকুন।
বৃষ
অফিসে কোনো সহকর্মীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। মনে রাখবেন, বৃষ রাশির জাতক হিসেবে আপনার জেদ বা একগুঁয়েমি ষাঁড়ের মতোই খ্যাত! অফিসের ঝগড়াটা সম্ভবত বড় কোনো বিষয় নিয়ে হবে না—হতে পারে কে এসির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি কমিয়েছিল, অথবা কে শেষ বিস্কুটটা খেলো। যদি কেউ কোনো ‘অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে অধিক চর্চা’ করতে নিষেধ করে, তবে ধরে নিন সে আপনার নতুন প্রতিভাবান সহকর্মী, যে আপনার কফির বয়াম চুরি করতে পারে। অবসাদ এড়াতে, দুপুরে একটা শর্ট ন্যাপ নিন। যদি বস ধরে ফেলে, বলুন—ধ্যান করছিলাম, নক্ষত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছিলাম। আজ শান্ত থাকুন। যদি খুব রাগ হয়, তবে চেঁচানোর বদলে মনে মনে রবীন্দ্রসংগীত শুনুন।
মিথুন
নতুন প্রকল্পে কাজ শুরুর আগে ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করে নিন। আপনার শত্রু আজ সক্রিয় থাকবে, কিন্তু আর্থিক লাভের সম্ভাবনাও রয়েছে। আপনার ‘নতুন প্রকল্প’ যদি হয় ফ্রিজের পুরোনো খাবার পরিষ্কার করা, তবে সত্যিই ভালোভাবে চিন্তা করুন—গ্যাস মাস্ক লাগবে কি না। বন্ধুরা আজ আপনার সঙ্গে ভালো সময় কাটাবে, কারণ আপনার নতুন আয়ের খবর তারা জেনে গেছে। শত্রু সক্রিয় মানে এই নয় যে কেউ আপনার ক্ষতি করবে; হতে পারে সে শুধু আপনার ফেসবুক পোস্টগুলোতে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দিয়ে যাবে। এর চেয়ে যন্ত্রণাদায়ক আর কী আছে! আজ দ্বৈত-চরিত্রটি কাজে লাগান। এক মিথুন কাজ করবে, অন্য মিথুন হিসাব রাখবে।
কর্কট
দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে এবং প্রায় সব কাজই পূর্ণ হবে। তবে কথা বলার সময় সাবধান থাকুন। আপনার দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে কারণ...সম্ভবত সঙ্গী আজ সারা দিন ব্যস্ত থাকবেন এবং রিমোট কন্ট্রোলটির ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য পাবেন। আপনার সব কাজ পূর্ণ হবে, এমনকি সেই কাজটিও—যেটা গত তিন সপ্তাহ ধরে ‘পরে করব’ বলে ফেলে রেখেছিলেন। সাবধানতা অবলম্বন করে কথা বলুন—বিশেষ করে যখন কেউ জিজ্ঞেস করবে, ‘তুমি কি আমার জন্য কিছু কিনেছ?’ মিথ্যা বলা বারণ। যাত্রা শুভ।
সিংহ
পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন। অন্য কারও বিবাদে জড়াবেন না। আয় বাড়বে। আয় বাড়ার সুসংবাদ শুনেছেন, তাই আজ নিজেকে রাজা বা রানির মতো অনুভব করবেন। তবে অন্য কারও বিবাদে জড়াবেন না। কারণ, যেই মুহূর্তে মাঝখানে মধ্যস্থতা করতে যাবেন, সবাই আপনার বিরুদ্ধেই জোট বাঁধবে—সিংহ মশাই, সাবধান! ‘সামাজিক কাজে অংশ নিতে পারেন’ মানে সম্ভবত পাড়ার কোনো জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রচুর খাবার খেতে পারেন। আপনার মনোমুগ্ধকর মনোভাব আজ কাজে লাগান—কিন্তু বিল মেটানোর সময় ভেজা বিড়াল হয়ে থাকুন।
কন্যা
আলস্য করবেন না। অচেনা ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ পূর্ণ হবে। গ্রহরা যেন আজ আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে শাসিয়ে গেছে—‘আলস্য নৈব নৈব চ!’ যদি সকালে অ্যালার্ম বাজানোর পরও বিছানায় থাকার চেষ্টা করেন, তবে ধরে নিন, গ্রহদের কাছ থেকে কড়া বার্তা আসবে। অচেনা ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন, কারণ আজকের দিনে আপনার সবচেয়ে অচেনা ব্যক্তিটি হতে পারে সেই যিনি নিজেকে ‘ডায়েট চার্ট’ বা ‘ব্যালেন্স শিট’ বলে দাবি করছেন। আলস্য না করে অন্তত একবার টেবিল গুছিয়ে নিন—সেটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় সাফল্য। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে, কারণ আপনি অবশেষে কাজ শুরু করেছেন!
তুলা
চাকরিজীবীরা সুখবর পাবেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। ঝুঁকি নেবেন না। চাকরিজীবীরা সুখবর পাবেন, যেমন—বস অবশেষে আপনার পাঠানো ই-মেলের রিপ্লাই দিয়েছেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধান—সেটা যেন টিভি দেখার প্রতিযোগিতা না হয়। ‘ঝুঁকি নেবেন না’ মানে হলো, আজ কোনোমতেই সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করবেন না যে তার ওজন বেড়েছে কিনা। নতুন মানুষদের সঙ্গে দেখা হতে পারে, কিন্তু তারা আপনাকে নতুন দায়িত্বের ফাঁদে ফেলতে পারে—তাই হাসি-খুশি থাকুন, কিন্তু নীরব। আনন্দে দিন কাটবে, যদি আপনি মনের ভেতরের বিচারপতিকে আজ ছুটি দিতে পারেন।
বৃশ্চিক
আবেগগত যোগাযোগে আরও ভালো থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হবে এবং শুভ সংবাদ পাবেন। আজ আবেগগতভাবে এত ভালো থাকবেন যে পথে কুকুর দেখলেও তাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করতে পারে! আপনার ‘শুভ সংবাদ’ সম্ভবত এটাই যে আপনি পুরোনো প্যান্টের পকেটে কিছু টাকা খুঁজে পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হবে—যেমন ধরুন, আপনি ইউটিউবের শর্টস দেখা শেষ করে অবশেষে মূল বা লং ভিডিও দেখা শুরু করবেন। অন্যদের আকৃষ্ট করার জন্য কথা বলার সময় সুন্দর থাকুন। তবে সুন্দর কথাগুলো যেন লোন বা ধার চাওয়ার জন্য ব্যবহার না হয়। আর্থিক বিষয়গুলো গতি পাবে, তাই আজই পুরোনো লোনগুলো পরিশোধ করার কথা ভাবুন...যদি পকেটে কিছু থাকে।
ধনু
নিজেকে অস্বস্তিকর ও চাপের মধ্যে অনুভব করতে পারেন। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকুন এবং খাওয়া-দাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন। আপনি অস্বস্তিকর বোধ করবেন কারণ আপনার মন আপনাকে সারা বিশ্বে ঘোরার জন্য চাপ দিচ্ছে, কিন্তু আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঘরে বসে নেটফ্লিক্স দেখতে বলছে। ‘খাওয়া-দাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন’ এই পরামর্শটি আপনার জন্য আজ সম্পূর্ণ হাস্যকর। গ্রহরা কি জানে না যে, পৃথিবীতে এত মুখরোচক খাবার থাকতে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব? নেতিবাচক আবেগ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন, যেমন ধরুন—অন্যের খাবার শেষ হয়ে গেলেও আপনার প্লেটে আরও আছে, এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। ইতিবাচক থাকুন! আজ আপনি যা কিছু খাবেন, সেটাই আপনার জন্য শক্তি—এই সহজ সত্যিটা মেনে নিন।
মকর
লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বজায় থাকবে। কাঙ্ক্ষিত অফার পাবেন এবং কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। মকর রাশির জাতক হিসেবে আপনার লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বজায় থাকবে—বিশেষ করে, যদি লক্ষ্যটি হয় সময়মতো রাতের খাবার খাওয়া। আর আপনি কাঙ্ক্ষিত অফার পাবেন! সম্ভবত কোনো প্রিয় রেস্টুরেন্টে বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি-এর অফার। কাজের গতি কার্যকর থাকবে, যার ফলে অফিস থেকে সবার আগে বেরোনোর সুযোগ পাবেন। পেশাগত স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে— চেয়ারটা আজ আপনাকে সবচেয়ে বেশি আরাম দেবে। ব্যক্তিগত জীবনে ধৈর্য ও ধর্ম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে—বিশেষ করে যখন কেউ আপনাকে কাজ শেখাতে আসে।
কুম্ভ
কাজের ব্যস্ততা বাড়তে পারে। স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন এবং পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যত্ন নিন। কাজের ব্যস্ততা বাড়বে, কারণ সমস্ত কাজ ফেলে রেখে নতুন করে কাজ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আজ যোগব্যায়াম করুন। যদি যোগব্যায়াম করতে আলস্য লাগে, তবে অন্তত ফ্রিজ পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করুন, সেটাও একপ্রকার ব্যায়াম। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যত্ন নিন—কিন্তু তার আগে নিশ্চিত হন যে, তাদের টিভি সিরিয়ালের সময়টা নষ্ট করছেন না। আজকের দিনটি স্বাভাবিক হতে চলেছে, মানে কোনো অলৌকিক ঘটনা না ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। ক্যারিয়ারে রাজনীতির শিকার হওয়া এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ, বসের কানের কাছে কোনো গসিপ করতে যাবেন না।
মীন
প্রেমের জীবনে আজ একটি চমকের সম্মুখীন হতে পারেন। আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো। শরীরকে বিশ্রাম দিন। প্রেমের জীবনে ‘চমক’ হয়তো এটাই যে, আপনার সঙ্গী আজ নিজেই শেষ চকলেটটি না খেয়ে আপনার জন্য রেখে দিয়েছে। আপনার আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো, কিন্তু সেটার ব্যবহার করে একটা লটারি না কেটে বরং নিজের জন্য একটা ভালো কফি কিনুন। শরীরকে বিশ্রাম দিন—কিন্তু বিশ্রাম নিতে নিতে যদি ঘুমিয়ে পড়েন, তবে গ্রহরা আপনাকে দোষ দেবে না। কর্মক্ষেত্রের কাজ দ্রুত শেষ করে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরুন। জ্যোতিষীরা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে পার্কে বা সিনেমা দেখতে যেতে পারেন। যদি সিনেমা দেখতে ভালো না লাগে, তবে একাই বারান্দায় বসে প্রকৃতির নাটক দেখতে পারেন! আপনার নেওয়া একটি দৃঢ় পদক্ষেপ আজ ইতিবাচক ফল দেবে। হয়তো অবশেষে জামাকাপড় কাচার কাজটা শুরু করে দিয়েছেন!

মেষ
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন। যদি ভাবা সম্ভব না হয়, তবে ভাবুন, ‘হতে পারে এটা আমার জীবনের সেরা কেনাকাটা!’ জ্যোতিষীরা বলছেন, প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ হতে পারে। সম্ভবত আপনার প্রিয়জন লুকিয়ে রাখা চকলেট বা রিমোট কন্ট্রোল চুরি করেছে—এর চেয়ে বড় কুকর্ম আর কী হতে পারে! কেউ যদি ‘বিনিয়োগ করুন, দ্বিগুণ হবে’ বলে, তবে দৌড়ে পালান। দৌড়াতে না পারলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকুন।
বৃষ
অফিসে কোনো সহকর্মীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। মনে রাখবেন, বৃষ রাশির জাতক হিসেবে আপনার জেদ বা একগুঁয়েমি ষাঁড়ের মতোই খ্যাত! অফিসের ঝগড়াটা সম্ভবত বড় কোনো বিষয় নিয়ে হবে না—হতে পারে কে এসির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি কমিয়েছিল, অথবা কে শেষ বিস্কুটটা খেলো। যদি কেউ কোনো ‘অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে অধিক চর্চা’ করতে নিষেধ করে, তবে ধরে নিন সে আপনার নতুন প্রতিভাবান সহকর্মী, যে আপনার কফির বয়াম চুরি করতে পারে। অবসাদ এড়াতে, দুপুরে একটা শর্ট ন্যাপ নিন। যদি বস ধরে ফেলে, বলুন—ধ্যান করছিলাম, নক্ষত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছিলাম। আজ শান্ত থাকুন। যদি খুব রাগ হয়, তবে চেঁচানোর বদলে মনে মনে রবীন্দ্রসংগীত শুনুন।
মিথুন
নতুন প্রকল্পে কাজ শুরুর আগে ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করে নিন। আপনার শত্রু আজ সক্রিয় থাকবে, কিন্তু আর্থিক লাভের সম্ভাবনাও রয়েছে। আপনার ‘নতুন প্রকল্প’ যদি হয় ফ্রিজের পুরোনো খাবার পরিষ্কার করা, তবে সত্যিই ভালোভাবে চিন্তা করুন—গ্যাস মাস্ক লাগবে কি না। বন্ধুরা আজ আপনার সঙ্গে ভালো সময় কাটাবে, কারণ আপনার নতুন আয়ের খবর তারা জেনে গেছে। শত্রু সক্রিয় মানে এই নয় যে কেউ আপনার ক্ষতি করবে; হতে পারে সে শুধু আপনার ফেসবুক পোস্টগুলোতে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দিয়ে যাবে। এর চেয়ে যন্ত্রণাদায়ক আর কী আছে! আজ দ্বৈত-চরিত্রটি কাজে লাগান। এক মিথুন কাজ করবে, অন্য মিথুন হিসাব রাখবে।
কর্কট
দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে এবং প্রায় সব কাজই পূর্ণ হবে। তবে কথা বলার সময় সাবধান থাকুন। আপনার দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে কারণ...সম্ভবত সঙ্গী আজ সারা দিন ব্যস্ত থাকবেন এবং রিমোট কন্ট্রোলটির ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য পাবেন। আপনার সব কাজ পূর্ণ হবে, এমনকি সেই কাজটিও—যেটা গত তিন সপ্তাহ ধরে ‘পরে করব’ বলে ফেলে রেখেছিলেন। সাবধানতা অবলম্বন করে কথা বলুন—বিশেষ করে যখন কেউ জিজ্ঞেস করবে, ‘তুমি কি আমার জন্য কিছু কিনেছ?’ মিথ্যা বলা বারণ। যাত্রা শুভ।
সিংহ
পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন। অন্য কারও বিবাদে জড়াবেন না। আয় বাড়বে। আয় বাড়ার সুসংবাদ শুনেছেন, তাই আজ নিজেকে রাজা বা রানির মতো অনুভব করবেন। তবে অন্য কারও বিবাদে জড়াবেন না। কারণ, যেই মুহূর্তে মাঝখানে মধ্যস্থতা করতে যাবেন, সবাই আপনার বিরুদ্ধেই জোট বাঁধবে—সিংহ মশাই, সাবধান! ‘সামাজিক কাজে অংশ নিতে পারেন’ মানে সম্ভবত পাড়ার কোনো জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রচুর খাবার খেতে পারেন। আপনার মনোমুগ্ধকর মনোভাব আজ কাজে লাগান—কিন্তু বিল মেটানোর সময় ভেজা বিড়াল হয়ে থাকুন।
কন্যা
আলস্য করবেন না। অচেনা ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ পূর্ণ হবে। গ্রহরা যেন আজ আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে শাসিয়ে গেছে—‘আলস্য নৈব নৈব চ!’ যদি সকালে অ্যালার্ম বাজানোর পরও বিছানায় থাকার চেষ্টা করেন, তবে ধরে নিন, গ্রহদের কাছ থেকে কড়া বার্তা আসবে। অচেনা ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন, কারণ আজকের দিনে আপনার সবচেয়ে অচেনা ব্যক্তিটি হতে পারে সেই যিনি নিজেকে ‘ডায়েট চার্ট’ বা ‘ব্যালেন্স শিট’ বলে দাবি করছেন। আলস্য না করে অন্তত একবার টেবিল গুছিয়ে নিন—সেটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় সাফল্য। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে, কারণ আপনি অবশেষে কাজ শুরু করেছেন!
তুলা
চাকরিজীবীরা সুখবর পাবেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। ঝুঁকি নেবেন না। চাকরিজীবীরা সুখবর পাবেন, যেমন—বস অবশেষে আপনার পাঠানো ই-মেলের রিপ্লাই দিয়েছেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধান—সেটা যেন টিভি দেখার প্রতিযোগিতা না হয়। ‘ঝুঁকি নেবেন না’ মানে হলো, আজ কোনোমতেই সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করবেন না যে তার ওজন বেড়েছে কিনা। নতুন মানুষদের সঙ্গে দেখা হতে পারে, কিন্তু তারা আপনাকে নতুন দায়িত্বের ফাঁদে ফেলতে পারে—তাই হাসি-খুশি থাকুন, কিন্তু নীরব। আনন্দে দিন কাটবে, যদি আপনি মনের ভেতরের বিচারপতিকে আজ ছুটি দিতে পারেন।
বৃশ্চিক
আবেগগত যোগাযোগে আরও ভালো থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হবে এবং শুভ সংবাদ পাবেন। আজ আবেগগতভাবে এত ভালো থাকবেন যে পথে কুকুর দেখলেও তাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করতে পারে! আপনার ‘শুভ সংবাদ’ সম্ভবত এটাই যে আপনি পুরোনো প্যান্টের পকেটে কিছু টাকা খুঁজে পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হবে—যেমন ধরুন, আপনি ইউটিউবের শর্টস দেখা শেষ করে অবশেষে মূল বা লং ভিডিও দেখা শুরু করবেন। অন্যদের আকৃষ্ট করার জন্য কথা বলার সময় সুন্দর থাকুন। তবে সুন্দর কথাগুলো যেন লোন বা ধার চাওয়ার জন্য ব্যবহার না হয়। আর্থিক বিষয়গুলো গতি পাবে, তাই আজই পুরোনো লোনগুলো পরিশোধ করার কথা ভাবুন...যদি পকেটে কিছু থাকে।
ধনু
নিজেকে অস্বস্তিকর ও চাপের মধ্যে অনুভব করতে পারেন। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকুন এবং খাওয়া-দাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন। আপনি অস্বস্তিকর বোধ করবেন কারণ আপনার মন আপনাকে সারা বিশ্বে ঘোরার জন্য চাপ দিচ্ছে, কিন্তু আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঘরে বসে নেটফ্লিক্স দেখতে বলছে। ‘খাওয়া-দাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন’ এই পরামর্শটি আপনার জন্য আজ সম্পূর্ণ হাস্যকর। গ্রহরা কি জানে না যে, পৃথিবীতে এত মুখরোচক খাবার থাকতে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব? নেতিবাচক আবেগ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন, যেমন ধরুন—অন্যের খাবার শেষ হয়ে গেলেও আপনার প্লেটে আরও আছে, এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। ইতিবাচক থাকুন! আজ আপনি যা কিছু খাবেন, সেটাই আপনার জন্য শক্তি—এই সহজ সত্যিটা মেনে নিন।
মকর
লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বজায় থাকবে। কাঙ্ক্ষিত অফার পাবেন এবং কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। মকর রাশির জাতক হিসেবে আপনার লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বজায় থাকবে—বিশেষ করে, যদি লক্ষ্যটি হয় সময়মতো রাতের খাবার খাওয়া। আর আপনি কাঙ্ক্ষিত অফার পাবেন! সম্ভবত কোনো প্রিয় রেস্টুরেন্টে বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি-এর অফার। কাজের গতি কার্যকর থাকবে, যার ফলে অফিস থেকে সবার আগে বেরোনোর সুযোগ পাবেন। পেশাগত স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে— চেয়ারটা আজ আপনাকে সবচেয়ে বেশি আরাম দেবে। ব্যক্তিগত জীবনে ধৈর্য ও ধর্ম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে—বিশেষ করে যখন কেউ আপনাকে কাজ শেখাতে আসে।
কুম্ভ
কাজের ব্যস্ততা বাড়তে পারে। স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন এবং পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যত্ন নিন। কাজের ব্যস্ততা বাড়বে, কারণ সমস্ত কাজ ফেলে রেখে নতুন করে কাজ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আজ যোগব্যায়াম করুন। যদি যোগব্যায়াম করতে আলস্য লাগে, তবে অন্তত ফ্রিজ পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করুন, সেটাও একপ্রকার ব্যায়াম। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যত্ন নিন—কিন্তু তার আগে নিশ্চিত হন যে, তাদের টিভি সিরিয়ালের সময়টা নষ্ট করছেন না। আজকের দিনটি স্বাভাবিক হতে চলেছে, মানে কোনো অলৌকিক ঘটনা না ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। ক্যারিয়ারে রাজনীতির শিকার হওয়া এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ, বসের কানের কাছে কোনো গসিপ করতে যাবেন না।
মীন
প্রেমের জীবনে আজ একটি চমকের সম্মুখীন হতে পারেন। আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো। শরীরকে বিশ্রাম দিন। প্রেমের জীবনে ‘চমক’ হয়তো এটাই যে, আপনার সঙ্গী আজ নিজেই শেষ চকলেটটি না খেয়ে আপনার জন্য রেখে দিয়েছে। আপনার আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো, কিন্তু সেটার ব্যবহার করে একটা লটারি না কেটে বরং নিজের জন্য একটা ভালো কফি কিনুন। শরীরকে বিশ্রাম দিন—কিন্তু বিশ্রাম নিতে নিতে যদি ঘুমিয়ে পড়েন, তবে গ্রহরা আপনাকে দোষ দেবে না। কর্মক্ষেত্রের কাজ দ্রুত শেষ করে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরুন। জ্যোতিষীরা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে পার্কে বা সিনেমা দেখতে যেতে পারেন। যদি সিনেমা দেখতে ভালো না লাগে, তবে একাই বারান্দায় বসে প্রকৃতির নাটক দেখতে পারেন! আপনার নেওয়া একটি দৃঢ় পদক্ষেপ আজ ইতিবাচক ফল দেবে। হয়তো অবশেষে জামাকাপড় কাচার কাজটা শুরু করে দিয়েছেন!

ভুবনবিখ্যাত মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো (জন্ম: ৬ জুলাই ১৯০৭–মৃত্যু: ১৩ জুলাই ১৯৫৪)। শিল্পচর্চাতেই তাঁর পরিচিতি সীমাবদ্ধ নয়। ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তিনি বিশ্বে স্বতন্ত্র জায়গা দখল করে আছেন! ফিতা আর ফুলে বিনুনি বাঁধা চুল, দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া বর্ণিল পোশাক, বিচিত্র ও অনবদ্য গয়নায় ফ্রিদা যেন স্বয়ংসম্পূ
০৩ জুলাই ২০২৩
এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত।
১ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি...
২ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের...
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ইলিশের রিং পিস ৫ থেকে ৬ টুকরা, হলুদগুঁড়া এক চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৭ থেকে ৮টি, রসুনের কোয়া ১২ থেকে ১৪টি, সিরকা ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ।
প্রণালি
রিং পিস করা ইলিশ মাছ লবণ মাখিয়ে নেওয়ার পর ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর শুকনা মরিচ, রসুনের কোয়া, সরিষাবাটা, লবণ, হলুদগুঁড়া, সিরকা দিয়ে ব্লেন্ডারে অথবা পাটায় পেস্ট করে নিন। এবার হাঁড়িতে সরিষার তেল দিন। তারপর পেস্ট করা মিশ্রণটি দিয়ে নেড়ে নিন। এরপর লবণ দিয়ে মাখা মাছ দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ করে হালকা ভেজে ঢাকনা দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট। তারপর নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ইলিশের উল্লাস।

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ইলিশের রিং পিস ৫ থেকে ৬ টুকরা, হলুদগুঁড়া এক চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৭ থেকে ৮টি, রসুনের কোয়া ১২ থেকে ১৪টি, সিরকা ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ।
প্রণালি
রিং পিস করা ইলিশ মাছ লবণ মাখিয়ে নেওয়ার পর ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর শুকনা মরিচ, রসুনের কোয়া, সরিষাবাটা, লবণ, হলুদগুঁড়া, সিরকা দিয়ে ব্লেন্ডারে অথবা পাটায় পেস্ট করে নিন। এবার হাঁড়িতে সরিষার তেল দিন। তারপর পেস্ট করা মিশ্রণটি দিয়ে নেড়ে নিন। এরপর লবণ দিয়ে মাখা মাছ দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ করে হালকা ভেজে ঢাকনা দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট। তারপর নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ইলিশের উল্লাস।

ভুবনবিখ্যাত মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো (জন্ম: ৬ জুলাই ১৯০৭–মৃত্যু: ১৩ জুলাই ১৯৫৪)। শিল্পচর্চাতেই তাঁর পরিচিতি সীমাবদ্ধ নয়। ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তিনি বিশ্বে স্বতন্ত্র জায়গা দখল করে আছেন! ফিতা আর ফুলে বিনুনি বাঁধা চুল, দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া বর্ণিল পোশাক, বিচিত্র ও অনবদ্য গয়নায় ফ্রিদা যেন স্বয়ংসম্পূ
০৩ জুলাই ২০২৩
এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত।
১ ঘণ্টা আগে
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন।
২ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের...
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
হাড়সহ গরুর মাংস ২ কেজি, আলু ৬টি, পেঁয়াজকুচি ২ কাপ, আদা ও রসুনবাটা ৪ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া ২ টেবিল চামচ করে, তেজপাতা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ তিন পিস করে, শাহি জিরা ১ চা-চামচ, গরমমসলা ১ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, কিশমিশ আধা কাপ।
প্রণালি
আলুর খোসা ফেলে দেওয়ার পর দুই ভাগ করে কেটে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে সরিষার তেলে ভেজে রাখুন। এবার পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কিশমিশ অল্প পানি দিয়ে মিহি করে পেস্ট করে রাখুন। তারপর মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। মিক্সিং পাত্রে অর্ধেক পেঁয়াজের কুচি, আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, লবণ ও সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। তাতে মাংস অন্তত ১ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তেজপাতা, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ, আস্ত এলাচি, দারুচিনি ও গোলমরিচের ফোড়ন দিন। এবার বাকি পেঁয়াজকুচি ও চিনি দিয়ে হালকা ভেজে নিন। তারপর মেরিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে ধনে, জিরা এবং শুকনা মরিচগুঁড়া দিয়ে মাংস খুব ভালো করে কষাতে থাকুন তেল ছাড়া পর্যন্ত। মাংস অর্ধেক সেদ্ধ হয়ে এলে ভেজে রাখা আলু, গরমমসলা এবং অল্প পানি দিয়ে আবারও কষিয়ে নিতে হবে। তারপর মাংস ও আলু পুরোপুরি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ঢাকনাসহ দমে রান্না করুন। এরপর ঝোল কমে এলে গরমমসলার গুঁড়া ও সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিন। পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কিশমিশ বেটে পেস্ট করে দিয়ে দিন। এর কিছুক্ষণ পর তেল ভেসে উঠলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। লুচি, পোলাও, পরাটা অথবা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
হাড়সহ গরুর মাংস ২ কেজি, আলু ৬টি, পেঁয়াজকুচি ২ কাপ, আদা ও রসুনবাটা ৪ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া ২ টেবিল চামচ করে, তেজপাতা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ তিন পিস করে, শাহি জিরা ১ চা-চামচ, গরমমসলা ১ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, কিশমিশ আধা কাপ।
প্রণালি
আলুর খোসা ফেলে দেওয়ার পর দুই ভাগ করে কেটে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে সরিষার তেলে ভেজে রাখুন। এবার পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কিশমিশ অল্প পানি দিয়ে মিহি করে পেস্ট করে রাখুন। তারপর মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। মিক্সিং পাত্রে অর্ধেক পেঁয়াজের কুচি, আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, লবণ ও সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। তাতে মাংস অন্তত ১ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তেজপাতা, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ, আস্ত এলাচি, দারুচিনি ও গোলমরিচের ফোড়ন দিন। এবার বাকি পেঁয়াজকুচি ও চিনি দিয়ে হালকা ভেজে নিন। তারপর মেরিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে ধনে, জিরা এবং শুকনা মরিচগুঁড়া দিয়ে মাংস খুব ভালো করে কষাতে থাকুন তেল ছাড়া পর্যন্ত। মাংস অর্ধেক সেদ্ধ হয়ে এলে ভেজে রাখা আলু, গরমমসলা এবং অল্প পানি দিয়ে আবারও কষিয়ে নিতে হবে। তারপর মাংস ও আলু পুরোপুরি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ঢাকনাসহ দমে রান্না করুন। এরপর ঝোল কমে এলে গরমমসলার গুঁড়া ও সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিন। পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কিশমিশ বেটে পেস্ট করে দিয়ে দিন। এর কিছুক্ষণ পর তেল ভেসে উঠলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। লুচি, পোলাও, পরাটা অথবা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

ভুবনবিখ্যাত মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো (জন্ম: ৬ জুলাই ১৯০৭–মৃত্যু: ১৩ জুলাই ১৯৫৪)। শিল্পচর্চাতেই তাঁর পরিচিতি সীমাবদ্ধ নয়। ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তিনি বিশ্বে স্বতন্ত্র জায়গা দখল করে আছেন! ফিতা আর ফুলে বিনুনি বাঁধা চুল, দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া বর্ণিল পোশাক, বিচিত্র ও অনবদ্য গয়নায় ফ্রিদা যেন স্বয়ংসম্পূ
০৩ জুলাই ২০২৩
এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত।
১ ঘণ্টা আগে
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন।
২ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি...
২ ঘণ্টা আগে