
‘টাইমলেস স্টাইল’ বলতেই মনে পড়ে যায় ‘রোমান হলিডে’ সিনেমায় এলোপাতাড়ি ভেসপা চালিয়ে যাওয়া উচ্ছল মেয়েটির কথা। হ্যাঁ, রোমান হলিডের প্রিন্সেস অ্যান মানে স্বর্ণযুগের তারকা অড্রে হেপবার্ন ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তো কম খ্যাতি পাননি। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট হেপবার্নকে মার্কিন চলচ্চিত্র ইতিহাসের তৃতীয় সেরা নারী কিংবদন্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আবার হল অব ফেমেও নাম উঠেছিল তাঁর।
বলা হয়, হেপবার্নই নাকি ‘এলবিডি’র আন-অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। এলবিডি হলো লিটল ব্ল্যাক ড্রেস। সন্ধ্যাকালীন এই ককটেল পোশাক ১৯২০ সালে কোকো শ্যানেলের চমৎকার উদ্ভাবন হলেও অড্রে হেপবার্নের মাধ্য়মেই তা জনপ্রিয়তার শীর্ষে আসে। ছোটখাটো এই পোশাকের সঙ্গে সাদা অপেরা গ্লাভস, হ্যাট আর সানগ্লাস পরে লম্বা এক সিগারেট হাতে নিয়ে তোলা ছবিটির কথা কি আমরা ভুলতে পারি? হেপবার্ন অনুসারীরা তো ঘুরেফিরে দেখেন এই ছবি। এলবিডি ছাড়াও হেপবার্নের আইকনিক লুক মিলত ক্যাপ্রি প্যান্ট, স্লিম ট্রাউজার্স, টার্টলনেক পোশাক, ফিটিং গাউন, সিল্ক স্কার্ফ, পার্লস ফ্ল্যাশ হ্যাট বা ট্রেঞ্চ কোট ইত্যাদি পোশাকে।
পোশাক তো বটেই, চোখে কাজলের রেখা থেকে শুরু করে চুলের বাঁধন পর্যন্ত হেপবার্নের মেকআপ ট্রিকস যেন ঘুরেফিরে চলতি সময়েও দখল করে আছে অনুসারীদের হৃদয়।
মিনিমাল মেকআপে বিশ্বাসী ছিলেন
হেপবার্নের ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায়, মেকআপের ঘষামাজা খুব একটা পছন্দ করতেন না তিনি। তাঁর মেকআপ আর্টিস্ট ওয়ালি ওয়েস্টমোর মুখে খুবই অল্প পরিমাণে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে দিতেন, যাতে তাঁর ছোট-পাতলা মুখটি স্ক্রিনে একটু হলেও ভরাট দেখায়। ফাউন্ডেশনের প্রলেপ এমনভাবে লাগাতেন, যাতে ত্বকের প্রাকৃতিক রং অটুট থাকে। চেহারায় প্রাণবন্ত ভাব ও উজ্জ্বল আভা ফুটিয়ে তোলাই ছিল হেপবার্নের মেকআপের মূল কারসাজি।
অড্রে হেপবার্নের মতো যাঁরা মেকআপ করতে চান, তাঁরা মুখ ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এরপর সামান্য ফাউন্ডেশন ত্বকে লাগিয়ে নিন। কনসিলার ব্যবহার করুন, যেখানে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই। তবে ফাউন্ডেশনের পরিবর্তে বিবি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। চেহারায় উজ্জ্বল আভা ছড়িয়ে দিতে গালে ও ভ্রুর নিচে বুলিয়ে নিন হাইলাইটার। বুঝলেনই তো, হেপবার্ন মেকআপের আধিক্য পছন্দ করতেন না।
লুজ পাউডারে ম্যাট লুক
স্ক্রিনে অড্রে হেপবার্নের ম্যাট মেকআপ লুক দেখা যেত। তিনি খুব অল্প পরিমাণে লুজ পাউডার ব্যবহার করতেন। এতে ত্বক তৈলাক্ত দেখাত না আবার ন্যাচারাল লুকটাও থাকত।
কড়া রং এড়িয়ে চলতেন
হেপবার্নের মুখে ব্রোঞ্জার বা চোখের পাতায় কড়া রঙের শিমারি আউশ্যাডো চোখে পড়ে না কখনো। অভিজাত লুক মানেই যে মেকআপে কড়া রং, এমনটা তিনি ভাবতেন না। বরং চোখের পাতা ও গালে ব্যবহারের জন্য হালকা শেডগুলোই বেছে নিতেন। অড্রে হেপবার্নের লুক রিমেক করতে চিকবোনে বুলিয়ে নিতে পারেন সফট পিংক ব্লাশন। চোখের পাতায় ব্যবহারের জন্য বেছে নিন বেজ ও প্যাস্টেল রঙের আইশ্যাডো। হালকা বাদামি বা ধূসর আইশ্যাডো বুলিয়ে আইলাইনারে টেনে নিন হেপবার্ন অনুপ্রাণিত উইংস!
প্রশংসিত বোল্ড ভ্রু
হেপবার্নের সিগনেচার ভ্রু যুগলের দিকে চোখ আটকাবেই। পুরু, ঘন ও অনেকখানি টেনে আঁকা ভ্রু নজর কেড়েছে বরাবরই। অন্যদিকে কী করে এই ভ্রু তিনি আঁকতেন, তা নিয়েও নিরীক্ষা কম করেননি হেপবার্ন অনুসারীরা। তবে এ বেলায় একটু সতর্ক হোন। বিবেচনায় রাখুন নিজের ভ্রুর প্রাকৃতিক আকার। নয়তো পুরো সাজটাই বিগড়ে যেতে পারে। হেপবার্ন তাঁর ভ্রু যুগলে বাদামি চারকোল ভ্রু পাউডার ব্রাশ করতেন।
ড্রামাটিক আই মেকআপ
প্রাকৃতিকভাবেই অড্রে হেপবার্নের চোখ ছিল প্রশস্ত। তাঁর মুখের দিকে তাকালে সবটা আকর্ষণ টেনে নেয় দুই চোখ। এই চোখকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হেপবার্ন তরল আইলাইনার ব্যবহার করতেন। চোখের ওপরের পাতার পাপড়ি ঘেঁষে আইলাইনার লাগাতেন। খেয়াল রাখতেন, যাতে এই লাইন চোখের কোনা থেকে চিকন হয়ে ধীরে ধীরে পুরু থেকে উইংসে এসে থামে। চোখের নিচের পাপড়ি ঘেঁষে টেনে নিতেন ন্য়ুড রঙের আই পেনসিল। এরপর ধূসর রঙের আইশ্যাডো বুলিয়ে নিতেন চোখের নিচের অংশে। এটাই তাঁর ড্রামাটিক আই মেকআপের রহস্য।
পাপড়িতে মায়া ছড়ানো
অড্রে হেপবার্নের প্রিয় মেকআপ আর্টিস্ট আলবার্তো রসি তাঁর চোখের পাপড়িতে ফলস আইল্য়াশ লাগিয়ে দিতেন। এতে চোখজোড়া দেখতে আরও মায়াবী লাগত। এরপর প্রয়োজন হলে মাসকারা বুলিয়ে দিতেন। তাই হেপবার্ন অনুপ্রাণিত চোখের মেকআপে ফলস আইল্যাশের কথাও ভাবতে পারেন কিন্তু!
ঠোঁটের টোটকা
পঞ্চাশের দশকে পুরু ঠোঁট দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কিন্তু হেপবার্নের ঠোঁট ছিল পাতলা। তাই ঠোঁটের একটু ওপর থেকে লিপ লাইনার টানতেন তিনি। খেয়াল রাখতেন, যেন ওপরের ঠোঁট নিচের ঠোঁটের চেয়ে একটু চওড়া দেখায়। এরপর বুলিয়ে নিতেন ম্যাট লিপস্টিক।
ত্বকের যত্নে নিতেন স্টিম ফেসিয়াল
জিনগত কারণেই অড্রে হেপবার্ন পরিচ্ছন্ন ও উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী ছিলেন। তবে যেহেতু তিনি সপ্তাহে দুবার স্টিম ফেসিয়াল নিতেন, তাই তাঁর ত্বকে ময়লা জমত না। রোমকূপ থাকত পরিষ্কার। একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তাঁর ওপর মুখ এগিয়ে দিতেন, এরপর মাথার ওপর থেকে তোয়ালে দিয়ে সেই পাত্রটা ঢেকে নিতেন, যাতে বাষ্প পুরোটাই মুখে এসে লাগে। এভাবে ২ মিনিট ভাপ নিতেন। গরম পানির ভাপ রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, রোমকূপ থেকে ময়লা আলগা করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ভেতর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। এই স্টিম ফেসিয়াল হেপবার্নের ত্বককে ডিটক্স তো করতই, পাশাপাশি বয়সের ছাপ পড়তে দিত না।
বিশুদ্ধ বাতাসে হাঁটতে যেতেন
ফুরফুরে হাওয়া বইলে অড্রে হেপবার্ন হাঁটতে বের হতেন। যতটা অক্সিজেন শরীরে নেওয়া যায়, ততই তা শরীর ও ত্বকের জন্য ভালো, এটাই তিনি মনে করতেন।
সূত্র: গ্র্যাজিয়া ম্যাগাজিন ও অন্যান্য়

‘টাইমলেস স্টাইল’ বলতেই মনে পড়ে যায় ‘রোমান হলিডে’ সিনেমায় এলোপাতাড়ি ভেসপা চালিয়ে যাওয়া উচ্ছল মেয়েটির কথা। হ্যাঁ, রোমান হলিডের প্রিন্সেস অ্যান মানে স্বর্ণযুগের তারকা অড্রে হেপবার্ন ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তো কম খ্যাতি পাননি। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট হেপবার্নকে মার্কিন চলচ্চিত্র ইতিহাসের তৃতীয় সেরা নারী কিংবদন্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আবার হল অব ফেমেও নাম উঠেছিল তাঁর।
বলা হয়, হেপবার্নই নাকি ‘এলবিডি’র আন-অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। এলবিডি হলো লিটল ব্ল্যাক ড্রেস। সন্ধ্যাকালীন এই ককটেল পোশাক ১৯২০ সালে কোকো শ্যানেলের চমৎকার উদ্ভাবন হলেও অড্রে হেপবার্নের মাধ্য়মেই তা জনপ্রিয়তার শীর্ষে আসে। ছোটখাটো এই পোশাকের সঙ্গে সাদা অপেরা গ্লাভস, হ্যাট আর সানগ্লাস পরে লম্বা এক সিগারেট হাতে নিয়ে তোলা ছবিটির কথা কি আমরা ভুলতে পারি? হেপবার্ন অনুসারীরা তো ঘুরেফিরে দেখেন এই ছবি। এলবিডি ছাড়াও হেপবার্নের আইকনিক লুক মিলত ক্যাপ্রি প্যান্ট, স্লিম ট্রাউজার্স, টার্টলনেক পোশাক, ফিটিং গাউন, সিল্ক স্কার্ফ, পার্লস ফ্ল্যাশ হ্যাট বা ট্রেঞ্চ কোট ইত্যাদি পোশাকে।
পোশাক তো বটেই, চোখে কাজলের রেখা থেকে শুরু করে চুলের বাঁধন পর্যন্ত হেপবার্নের মেকআপ ট্রিকস যেন ঘুরেফিরে চলতি সময়েও দখল করে আছে অনুসারীদের হৃদয়।
মিনিমাল মেকআপে বিশ্বাসী ছিলেন
হেপবার্নের ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায়, মেকআপের ঘষামাজা খুব একটা পছন্দ করতেন না তিনি। তাঁর মেকআপ আর্টিস্ট ওয়ালি ওয়েস্টমোর মুখে খুবই অল্প পরিমাণে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে দিতেন, যাতে তাঁর ছোট-পাতলা মুখটি স্ক্রিনে একটু হলেও ভরাট দেখায়। ফাউন্ডেশনের প্রলেপ এমনভাবে লাগাতেন, যাতে ত্বকের প্রাকৃতিক রং অটুট থাকে। চেহারায় প্রাণবন্ত ভাব ও উজ্জ্বল আভা ফুটিয়ে তোলাই ছিল হেপবার্নের মেকআপের মূল কারসাজি।
অড্রে হেপবার্নের মতো যাঁরা মেকআপ করতে চান, তাঁরা মুখ ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এরপর সামান্য ফাউন্ডেশন ত্বকে লাগিয়ে নিন। কনসিলার ব্যবহার করুন, যেখানে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই। তবে ফাউন্ডেশনের পরিবর্তে বিবি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। চেহারায় উজ্জ্বল আভা ছড়িয়ে দিতে গালে ও ভ্রুর নিচে বুলিয়ে নিন হাইলাইটার। বুঝলেনই তো, হেপবার্ন মেকআপের আধিক্য পছন্দ করতেন না।
লুজ পাউডারে ম্যাট লুক
স্ক্রিনে অড্রে হেপবার্নের ম্যাট মেকআপ লুক দেখা যেত। তিনি খুব অল্প পরিমাণে লুজ পাউডার ব্যবহার করতেন। এতে ত্বক তৈলাক্ত দেখাত না আবার ন্যাচারাল লুকটাও থাকত।
কড়া রং এড়িয়ে চলতেন
হেপবার্নের মুখে ব্রোঞ্জার বা চোখের পাতায় কড়া রঙের শিমারি আউশ্যাডো চোখে পড়ে না কখনো। অভিজাত লুক মানেই যে মেকআপে কড়া রং, এমনটা তিনি ভাবতেন না। বরং চোখের পাতা ও গালে ব্যবহারের জন্য হালকা শেডগুলোই বেছে নিতেন। অড্রে হেপবার্নের লুক রিমেক করতে চিকবোনে বুলিয়ে নিতে পারেন সফট পিংক ব্লাশন। চোখের পাতায় ব্যবহারের জন্য বেছে নিন বেজ ও প্যাস্টেল রঙের আইশ্যাডো। হালকা বাদামি বা ধূসর আইশ্যাডো বুলিয়ে আইলাইনারে টেনে নিন হেপবার্ন অনুপ্রাণিত উইংস!
প্রশংসিত বোল্ড ভ্রু
হেপবার্নের সিগনেচার ভ্রু যুগলের দিকে চোখ আটকাবেই। পুরু, ঘন ও অনেকখানি টেনে আঁকা ভ্রু নজর কেড়েছে বরাবরই। অন্যদিকে কী করে এই ভ্রু তিনি আঁকতেন, তা নিয়েও নিরীক্ষা কম করেননি হেপবার্ন অনুসারীরা। তবে এ বেলায় একটু সতর্ক হোন। বিবেচনায় রাখুন নিজের ভ্রুর প্রাকৃতিক আকার। নয়তো পুরো সাজটাই বিগড়ে যেতে পারে। হেপবার্ন তাঁর ভ্রু যুগলে বাদামি চারকোল ভ্রু পাউডার ব্রাশ করতেন।
ড্রামাটিক আই মেকআপ
প্রাকৃতিকভাবেই অড্রে হেপবার্নের চোখ ছিল প্রশস্ত। তাঁর মুখের দিকে তাকালে সবটা আকর্ষণ টেনে নেয় দুই চোখ। এই চোখকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হেপবার্ন তরল আইলাইনার ব্যবহার করতেন। চোখের ওপরের পাতার পাপড়ি ঘেঁষে আইলাইনার লাগাতেন। খেয়াল রাখতেন, যাতে এই লাইন চোখের কোনা থেকে চিকন হয়ে ধীরে ধীরে পুরু থেকে উইংসে এসে থামে। চোখের নিচের পাপড়ি ঘেঁষে টেনে নিতেন ন্য়ুড রঙের আই পেনসিল। এরপর ধূসর রঙের আইশ্যাডো বুলিয়ে নিতেন চোখের নিচের অংশে। এটাই তাঁর ড্রামাটিক আই মেকআপের রহস্য।
পাপড়িতে মায়া ছড়ানো
অড্রে হেপবার্নের প্রিয় মেকআপ আর্টিস্ট আলবার্তো রসি তাঁর চোখের পাপড়িতে ফলস আইল্য়াশ লাগিয়ে দিতেন। এতে চোখজোড়া দেখতে আরও মায়াবী লাগত। এরপর প্রয়োজন হলে মাসকারা বুলিয়ে দিতেন। তাই হেপবার্ন অনুপ্রাণিত চোখের মেকআপে ফলস আইল্যাশের কথাও ভাবতে পারেন কিন্তু!
ঠোঁটের টোটকা
পঞ্চাশের দশকে পুরু ঠোঁট দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কিন্তু হেপবার্নের ঠোঁট ছিল পাতলা। তাই ঠোঁটের একটু ওপর থেকে লিপ লাইনার টানতেন তিনি। খেয়াল রাখতেন, যেন ওপরের ঠোঁট নিচের ঠোঁটের চেয়ে একটু চওড়া দেখায়। এরপর বুলিয়ে নিতেন ম্যাট লিপস্টিক।
ত্বকের যত্নে নিতেন স্টিম ফেসিয়াল
জিনগত কারণেই অড্রে হেপবার্ন পরিচ্ছন্ন ও উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী ছিলেন। তবে যেহেতু তিনি সপ্তাহে দুবার স্টিম ফেসিয়াল নিতেন, তাই তাঁর ত্বকে ময়লা জমত না। রোমকূপ থাকত পরিষ্কার। একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তাঁর ওপর মুখ এগিয়ে দিতেন, এরপর মাথার ওপর থেকে তোয়ালে দিয়ে সেই পাত্রটা ঢেকে নিতেন, যাতে বাষ্প পুরোটাই মুখে এসে লাগে। এভাবে ২ মিনিট ভাপ নিতেন। গরম পানির ভাপ রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, রোমকূপ থেকে ময়লা আলগা করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ভেতর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। এই স্টিম ফেসিয়াল হেপবার্নের ত্বককে ডিটক্স তো করতই, পাশাপাশি বয়সের ছাপ পড়তে দিত না।
বিশুদ্ধ বাতাসে হাঁটতে যেতেন
ফুরফুরে হাওয়া বইলে অড্রে হেপবার্ন হাঁটতে বের হতেন। যতটা অক্সিজেন শরীরে নেওয়া যায়, ততই তা শরীর ও ত্বকের জন্য ভালো, এটাই তিনি মনে করতেন।
সূত্র: গ্র্যাজিয়া ম্যাগাজিন ও অন্যান্য়

‘টাইমলেস স্টাইল’ বলতেই মনে পড়ে যায় ‘রোমান হলিডে’ সিনেমায় এলোপাতাড়ি ভেসপা চালিয়ে যাওয়া উচ্ছল মেয়েটির কথা। হ্যাঁ, রোমান হলিডের প্রিন্সেস অ্যান মানে স্বর্ণযুগের তারকা অড্রে হেপবার্ন ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তো কম খ্যাতি পাননি। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট হেপবার্নকে মার্কিন চলচ্চিত্র ইতিহাসের তৃতীয় সেরা নারী কিংবদন্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আবার হল অব ফেমেও নাম উঠেছিল তাঁর।
বলা হয়, হেপবার্নই নাকি ‘এলবিডি’র আন-অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। এলবিডি হলো লিটল ব্ল্যাক ড্রেস। সন্ধ্যাকালীন এই ককটেল পোশাক ১৯২০ সালে কোকো শ্যানেলের চমৎকার উদ্ভাবন হলেও অড্রে হেপবার্নের মাধ্য়মেই তা জনপ্রিয়তার শীর্ষে আসে। ছোটখাটো এই পোশাকের সঙ্গে সাদা অপেরা গ্লাভস, হ্যাট আর সানগ্লাস পরে লম্বা এক সিগারেট হাতে নিয়ে তোলা ছবিটির কথা কি আমরা ভুলতে পারি? হেপবার্ন অনুসারীরা তো ঘুরেফিরে দেখেন এই ছবি। এলবিডি ছাড়াও হেপবার্নের আইকনিক লুক মিলত ক্যাপ্রি প্যান্ট, স্লিম ট্রাউজার্স, টার্টলনেক পোশাক, ফিটিং গাউন, সিল্ক স্কার্ফ, পার্লস ফ্ল্যাশ হ্যাট বা ট্রেঞ্চ কোট ইত্যাদি পোশাকে।
পোশাক তো বটেই, চোখে কাজলের রেখা থেকে শুরু করে চুলের বাঁধন পর্যন্ত হেপবার্নের মেকআপ ট্রিকস যেন ঘুরেফিরে চলতি সময়েও দখল করে আছে অনুসারীদের হৃদয়।
মিনিমাল মেকআপে বিশ্বাসী ছিলেন
হেপবার্নের ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায়, মেকআপের ঘষামাজা খুব একটা পছন্দ করতেন না তিনি। তাঁর মেকআপ আর্টিস্ট ওয়ালি ওয়েস্টমোর মুখে খুবই অল্প পরিমাণে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে দিতেন, যাতে তাঁর ছোট-পাতলা মুখটি স্ক্রিনে একটু হলেও ভরাট দেখায়। ফাউন্ডেশনের প্রলেপ এমনভাবে লাগাতেন, যাতে ত্বকের প্রাকৃতিক রং অটুট থাকে। চেহারায় প্রাণবন্ত ভাব ও উজ্জ্বল আভা ফুটিয়ে তোলাই ছিল হেপবার্নের মেকআপের মূল কারসাজি।
অড্রে হেপবার্নের মতো যাঁরা মেকআপ করতে চান, তাঁরা মুখ ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এরপর সামান্য ফাউন্ডেশন ত্বকে লাগিয়ে নিন। কনসিলার ব্যবহার করুন, যেখানে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই। তবে ফাউন্ডেশনের পরিবর্তে বিবি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। চেহারায় উজ্জ্বল আভা ছড়িয়ে দিতে গালে ও ভ্রুর নিচে বুলিয়ে নিন হাইলাইটার। বুঝলেনই তো, হেপবার্ন মেকআপের আধিক্য পছন্দ করতেন না।
লুজ পাউডারে ম্যাট লুক
স্ক্রিনে অড্রে হেপবার্নের ম্যাট মেকআপ লুক দেখা যেত। তিনি খুব অল্প পরিমাণে লুজ পাউডার ব্যবহার করতেন। এতে ত্বক তৈলাক্ত দেখাত না আবার ন্যাচারাল লুকটাও থাকত।
কড়া রং এড়িয়ে চলতেন
হেপবার্নের মুখে ব্রোঞ্জার বা চোখের পাতায় কড়া রঙের শিমারি আউশ্যাডো চোখে পড়ে না কখনো। অভিজাত লুক মানেই যে মেকআপে কড়া রং, এমনটা তিনি ভাবতেন না। বরং চোখের পাতা ও গালে ব্যবহারের জন্য হালকা শেডগুলোই বেছে নিতেন। অড্রে হেপবার্নের লুক রিমেক করতে চিকবোনে বুলিয়ে নিতে পারেন সফট পিংক ব্লাশন। চোখের পাতায় ব্যবহারের জন্য বেছে নিন বেজ ও প্যাস্টেল রঙের আইশ্যাডো। হালকা বাদামি বা ধূসর আইশ্যাডো বুলিয়ে আইলাইনারে টেনে নিন হেপবার্ন অনুপ্রাণিত উইংস!
প্রশংসিত বোল্ড ভ্রু
হেপবার্নের সিগনেচার ভ্রু যুগলের দিকে চোখ আটকাবেই। পুরু, ঘন ও অনেকখানি টেনে আঁকা ভ্রু নজর কেড়েছে বরাবরই। অন্যদিকে কী করে এই ভ্রু তিনি আঁকতেন, তা নিয়েও নিরীক্ষা কম করেননি হেপবার্ন অনুসারীরা। তবে এ বেলায় একটু সতর্ক হোন। বিবেচনায় রাখুন নিজের ভ্রুর প্রাকৃতিক আকার। নয়তো পুরো সাজটাই বিগড়ে যেতে পারে। হেপবার্ন তাঁর ভ্রু যুগলে বাদামি চারকোল ভ্রু পাউডার ব্রাশ করতেন।
ড্রামাটিক আই মেকআপ
প্রাকৃতিকভাবেই অড্রে হেপবার্নের চোখ ছিল প্রশস্ত। তাঁর মুখের দিকে তাকালে সবটা আকর্ষণ টেনে নেয় দুই চোখ। এই চোখকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হেপবার্ন তরল আইলাইনার ব্যবহার করতেন। চোখের ওপরের পাতার পাপড়ি ঘেঁষে আইলাইনার লাগাতেন। খেয়াল রাখতেন, যাতে এই লাইন চোখের কোনা থেকে চিকন হয়ে ধীরে ধীরে পুরু থেকে উইংসে এসে থামে। চোখের নিচের পাপড়ি ঘেঁষে টেনে নিতেন ন্য়ুড রঙের আই পেনসিল। এরপর ধূসর রঙের আইশ্যাডো বুলিয়ে নিতেন চোখের নিচের অংশে। এটাই তাঁর ড্রামাটিক আই মেকআপের রহস্য।
পাপড়িতে মায়া ছড়ানো
অড্রে হেপবার্নের প্রিয় মেকআপ আর্টিস্ট আলবার্তো রসি তাঁর চোখের পাপড়িতে ফলস আইল্য়াশ লাগিয়ে দিতেন। এতে চোখজোড়া দেখতে আরও মায়াবী লাগত। এরপর প্রয়োজন হলে মাসকারা বুলিয়ে দিতেন। তাই হেপবার্ন অনুপ্রাণিত চোখের মেকআপে ফলস আইল্যাশের কথাও ভাবতে পারেন কিন্তু!
ঠোঁটের টোটকা
পঞ্চাশের দশকে পুরু ঠোঁট দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কিন্তু হেপবার্নের ঠোঁট ছিল পাতলা। তাই ঠোঁটের একটু ওপর থেকে লিপ লাইনার টানতেন তিনি। খেয়াল রাখতেন, যেন ওপরের ঠোঁট নিচের ঠোঁটের চেয়ে একটু চওড়া দেখায়। এরপর বুলিয়ে নিতেন ম্যাট লিপস্টিক।
ত্বকের যত্নে নিতেন স্টিম ফেসিয়াল
জিনগত কারণেই অড্রে হেপবার্ন পরিচ্ছন্ন ও উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী ছিলেন। তবে যেহেতু তিনি সপ্তাহে দুবার স্টিম ফেসিয়াল নিতেন, তাই তাঁর ত্বকে ময়লা জমত না। রোমকূপ থাকত পরিষ্কার। একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তাঁর ওপর মুখ এগিয়ে দিতেন, এরপর মাথার ওপর থেকে তোয়ালে দিয়ে সেই পাত্রটা ঢেকে নিতেন, যাতে বাষ্প পুরোটাই মুখে এসে লাগে। এভাবে ২ মিনিট ভাপ নিতেন। গরম পানির ভাপ রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, রোমকূপ থেকে ময়লা আলগা করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ভেতর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। এই স্টিম ফেসিয়াল হেপবার্নের ত্বককে ডিটক্স তো করতই, পাশাপাশি বয়সের ছাপ পড়তে দিত না।
বিশুদ্ধ বাতাসে হাঁটতে যেতেন
ফুরফুরে হাওয়া বইলে অড্রে হেপবার্ন হাঁটতে বের হতেন। যতটা অক্সিজেন শরীরে নেওয়া যায়, ততই তা শরীর ও ত্বকের জন্য ভালো, এটাই তিনি মনে করতেন।
সূত্র: গ্র্যাজিয়া ম্যাগাজিন ও অন্যান্য়

‘টাইমলেস স্টাইল’ বলতেই মনে পড়ে যায় ‘রোমান হলিডে’ সিনেমায় এলোপাতাড়ি ভেসপা চালিয়ে যাওয়া উচ্ছল মেয়েটির কথা। হ্যাঁ, রোমান হলিডের প্রিন্সেস অ্যান মানে স্বর্ণযুগের তারকা অড্রে হেপবার্ন ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তো কম খ্যাতি পাননি। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট হেপবার্নকে মার্কিন চলচ্চিত্র ইতিহাসের তৃতীয় সেরা নারী কিংবদন্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আবার হল অব ফেমেও নাম উঠেছিল তাঁর।
বলা হয়, হেপবার্নই নাকি ‘এলবিডি’র আন-অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। এলবিডি হলো লিটল ব্ল্যাক ড্রেস। সন্ধ্যাকালীন এই ককটেল পোশাক ১৯২০ সালে কোকো শ্যানেলের চমৎকার উদ্ভাবন হলেও অড্রে হেপবার্নের মাধ্য়মেই তা জনপ্রিয়তার শীর্ষে আসে। ছোটখাটো এই পোশাকের সঙ্গে সাদা অপেরা গ্লাভস, হ্যাট আর সানগ্লাস পরে লম্বা এক সিগারেট হাতে নিয়ে তোলা ছবিটির কথা কি আমরা ভুলতে পারি? হেপবার্ন অনুসারীরা তো ঘুরেফিরে দেখেন এই ছবি। এলবিডি ছাড়াও হেপবার্নের আইকনিক লুক মিলত ক্যাপ্রি প্যান্ট, স্লিম ট্রাউজার্স, টার্টলনেক পোশাক, ফিটিং গাউন, সিল্ক স্কার্ফ, পার্লস ফ্ল্যাশ হ্যাট বা ট্রেঞ্চ কোট ইত্যাদি পোশাকে।
পোশাক তো বটেই, চোখে কাজলের রেখা থেকে শুরু করে চুলের বাঁধন পর্যন্ত হেপবার্নের মেকআপ ট্রিকস যেন ঘুরেফিরে চলতি সময়েও দখল করে আছে অনুসারীদের হৃদয়।
মিনিমাল মেকআপে বিশ্বাসী ছিলেন
হেপবার্নের ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায়, মেকআপের ঘষামাজা খুব একটা পছন্দ করতেন না তিনি। তাঁর মেকআপ আর্টিস্ট ওয়ালি ওয়েস্টমোর মুখে খুবই অল্প পরিমাণে ফাউন্ডেশন লাগিয়ে দিতেন, যাতে তাঁর ছোট-পাতলা মুখটি স্ক্রিনে একটু হলেও ভরাট দেখায়। ফাউন্ডেশনের প্রলেপ এমনভাবে লাগাতেন, যাতে ত্বকের প্রাকৃতিক রং অটুট থাকে। চেহারায় প্রাণবন্ত ভাব ও উজ্জ্বল আভা ফুটিয়ে তোলাই ছিল হেপবার্নের মেকআপের মূল কারসাজি।
অড্রে হেপবার্নের মতো যাঁরা মেকআপ করতে চান, তাঁরা মুখ ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এরপর সামান্য ফাউন্ডেশন ত্বকে লাগিয়ে নিন। কনসিলার ব্যবহার করুন, যেখানে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই। তবে ফাউন্ডেশনের পরিবর্তে বিবি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। চেহারায় উজ্জ্বল আভা ছড়িয়ে দিতে গালে ও ভ্রুর নিচে বুলিয়ে নিন হাইলাইটার। বুঝলেনই তো, হেপবার্ন মেকআপের আধিক্য পছন্দ করতেন না।
লুজ পাউডারে ম্যাট লুক
স্ক্রিনে অড্রে হেপবার্নের ম্যাট মেকআপ লুক দেখা যেত। তিনি খুব অল্প পরিমাণে লুজ পাউডার ব্যবহার করতেন। এতে ত্বক তৈলাক্ত দেখাত না আবার ন্যাচারাল লুকটাও থাকত।
কড়া রং এড়িয়ে চলতেন
হেপবার্নের মুখে ব্রোঞ্জার বা চোখের পাতায় কড়া রঙের শিমারি আউশ্যাডো চোখে পড়ে না কখনো। অভিজাত লুক মানেই যে মেকআপে কড়া রং, এমনটা তিনি ভাবতেন না। বরং চোখের পাতা ও গালে ব্যবহারের জন্য হালকা শেডগুলোই বেছে নিতেন। অড্রে হেপবার্নের লুক রিমেক করতে চিকবোনে বুলিয়ে নিতে পারেন সফট পিংক ব্লাশন। চোখের পাতায় ব্যবহারের জন্য বেছে নিন বেজ ও প্যাস্টেল রঙের আইশ্যাডো। হালকা বাদামি বা ধূসর আইশ্যাডো বুলিয়ে আইলাইনারে টেনে নিন হেপবার্ন অনুপ্রাণিত উইংস!
প্রশংসিত বোল্ড ভ্রু
হেপবার্নের সিগনেচার ভ্রু যুগলের দিকে চোখ আটকাবেই। পুরু, ঘন ও অনেকখানি টেনে আঁকা ভ্রু নজর কেড়েছে বরাবরই। অন্যদিকে কী করে এই ভ্রু তিনি আঁকতেন, তা নিয়েও নিরীক্ষা কম করেননি হেপবার্ন অনুসারীরা। তবে এ বেলায় একটু সতর্ক হোন। বিবেচনায় রাখুন নিজের ভ্রুর প্রাকৃতিক আকার। নয়তো পুরো সাজটাই বিগড়ে যেতে পারে। হেপবার্ন তাঁর ভ্রু যুগলে বাদামি চারকোল ভ্রু পাউডার ব্রাশ করতেন।
ড্রামাটিক আই মেকআপ
প্রাকৃতিকভাবেই অড্রে হেপবার্নের চোখ ছিল প্রশস্ত। তাঁর মুখের দিকে তাকালে সবটা আকর্ষণ টেনে নেয় দুই চোখ। এই চোখকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হেপবার্ন তরল আইলাইনার ব্যবহার করতেন। চোখের ওপরের পাতার পাপড়ি ঘেঁষে আইলাইনার লাগাতেন। খেয়াল রাখতেন, যাতে এই লাইন চোখের কোনা থেকে চিকন হয়ে ধীরে ধীরে পুরু থেকে উইংসে এসে থামে। চোখের নিচের পাপড়ি ঘেঁষে টেনে নিতেন ন্য়ুড রঙের আই পেনসিল। এরপর ধূসর রঙের আইশ্যাডো বুলিয়ে নিতেন চোখের নিচের অংশে। এটাই তাঁর ড্রামাটিক আই মেকআপের রহস্য।
পাপড়িতে মায়া ছড়ানো
অড্রে হেপবার্নের প্রিয় মেকআপ আর্টিস্ট আলবার্তো রসি তাঁর চোখের পাপড়িতে ফলস আইল্য়াশ লাগিয়ে দিতেন। এতে চোখজোড়া দেখতে আরও মায়াবী লাগত। এরপর প্রয়োজন হলে মাসকারা বুলিয়ে দিতেন। তাই হেপবার্ন অনুপ্রাণিত চোখের মেকআপে ফলস আইল্যাশের কথাও ভাবতে পারেন কিন্তু!
ঠোঁটের টোটকা
পঞ্চাশের দশকে পুরু ঠোঁট দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কিন্তু হেপবার্নের ঠোঁট ছিল পাতলা। তাই ঠোঁটের একটু ওপর থেকে লিপ লাইনার টানতেন তিনি। খেয়াল রাখতেন, যেন ওপরের ঠোঁট নিচের ঠোঁটের চেয়ে একটু চওড়া দেখায়। এরপর বুলিয়ে নিতেন ম্যাট লিপস্টিক।
ত্বকের যত্নে নিতেন স্টিম ফেসিয়াল
জিনগত কারণেই অড্রে হেপবার্ন পরিচ্ছন্ন ও উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী ছিলেন। তবে যেহেতু তিনি সপ্তাহে দুবার স্টিম ফেসিয়াল নিতেন, তাই তাঁর ত্বকে ময়লা জমত না। রোমকূপ থাকত পরিষ্কার। একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে তাঁর ওপর মুখ এগিয়ে দিতেন, এরপর মাথার ওপর থেকে তোয়ালে দিয়ে সেই পাত্রটা ঢেকে নিতেন, যাতে বাষ্প পুরোটাই মুখে এসে লাগে। এভাবে ২ মিনিট ভাপ নিতেন। গরম পানির ভাপ রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, রোমকূপ থেকে ময়লা আলগা করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের ভেতর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেয়। এই স্টিম ফেসিয়াল হেপবার্নের ত্বককে ডিটক্স তো করতই, পাশাপাশি বয়সের ছাপ পড়তে দিত না।
বিশুদ্ধ বাতাসে হাঁটতে যেতেন
ফুরফুরে হাওয়া বইলে অড্রে হেপবার্ন হাঁটতে বের হতেন। যতটা অক্সিজেন শরীরে নেওয়া যায়, ততই তা শরীর ও ত্বকের জন্য ভালো, এটাই তিনি মনে করতেন।
সূত্র: গ্র্যাজিয়া ম্যাগাজিন ও অন্যান্য়

এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত।
১ ঘণ্টা আগে
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন।
২ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি...
২ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের...
২ ঘণ্টা আগেছন্দা ব্যানার্জি

এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত। এই রূপ শুধু প্রকৃতিতেই নয়, বাঙালির খাবারের ঐতিহ্যেও ফুটে উঠেছে।
হেমন্তের খাবার বাঙালির কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। এই সময় নতুন ফসলের আমেজ নিয়ে আসে নতুন স্বাদ ও গন্ধ। নতুন চালের ভাত বাঙালির কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। এখন যে সবজির ফলন হয়, ফুল ফোটে, ফল হয়, তা দুই বাংলার মানুষের বিশেষ আকর্ষণ আর ঐতিহ্যেরও বটে।
বাংলায় হেমন্তের খাদ্য উৎসব শুরু হয় আশ্বিনের সংক্রান্তি থেকে। কথায় আছে, আশ্বিনে রাঁধে কার্তিকে খায়। কেউ কেউ বলেন ডাকসংক্রান্তি, আবার কেউ নলসংক্রান্তি। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে রাঢ়বঙ্গের দেশঘরে, ব্রত আর পার্বণের দিন শুরু হয় সে সময় থেকে। কৃষিজীবন আর অ-কৃষিজাত শাকসবজি, আনাজের কাছে ফিরে যাওয়ার দিন শুরু হয়। প্রায় হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাসের মধ্যে ভেসে ওঠে খানিকটা খড়কুটোর মতো—গাডুর ডাল, সজলান্ন কিংবা ব্রতের ভাত।
গোলাভরা আউশের আশ্বাস আর খেতভরা আমনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে গর্ভিণী ধানের সাধভক্ষণ—নলসংক্রান্তি। এই ধান্য লক্ষ্মীর পূজা আসলে পৃথিবীর কাছে ফিরে যাওয়ার দিন। গ্রাম-বাংলার অ-কৃষিজাত কন্দমূল ও গাছগাছালিকে চিনে নেওয়ার সময়ও হেমন্তকাল। বাংলাদেশে কত রকমের যে কচু ছিল, সেই সব দিয়ে, শালুকের গোড়া, মটর বা খেসারির ডাল দিয়ে যে গাডুর ডাল রান্না হয়, সেই ডালকে মানুষ বলে ‘আসমবারি’।
এই হেমন্তের শুরুতে আসে ধন্বন্তরি বা অশ্বিনী দেবের পূজা। এদের ডাকপুরুষও বলে। সেই পূজার উপোস ভাঙতে এই ডাল আর ব্রতের ভাত খাওয়া হয়। ব্রতের ভাত রান্না হয় শ্যামা চালে। রেসিপি আলাদা। এই ভাতের সঙ্গে ডাল, নারকেল, পাকা কলা, গুড়, গ্রাম-বাংলার চালের পিঠা সব দেবতাকে নিবেদন করে তারপর খাওয়া হয়। আসলে হেমন্ত ঋতুতে এই পূজাগুলো আমাদের শেখায়, কোন শস্য কখন খেতে হয়, কোন শস্য বিষাক্ত কোন সময়ে।
হেমন্ত ঋতুতে ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে নবান্ন উৎসব হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শস্যোৎসব এই নবান্ন। নতুন আমন ধান কাটার পর তা থেকে চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব এটি। কাঁচা দুধ, ছোট-বড় ছোলা, মটর, গোটা মটর, গোটা সবুজ মুগসহ ভেজানো ডালজাতীয় সব শস্যদানা, কামরাঙা, পানিফল, পেয়ারা, কমলালেবু, নারকেল ইত্যাদি হেমন্তে উৎপাদিত নানান ফলের টুকরা আর আমন ধান থেকে হওয়া নতুন চাল দিয়ে নবান্ন উৎসব হয়।
বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে ফসল তোলার পরের দিনেই নতুন চালের পায়েস, ক্ষীর, পিঠা আত্মীয়স্বজন এবং পড়শিদের ঘরে ঘরে বিতরণ করা হয়। হেমন্ত ঋতুর শুরুতে খেজুর ও তালগাছের রস গ্রাম-বাংলার অত্যন্ত প্রিয় পানীয়। ভোরে সূর্যের তেজ বাড়ার আগেই তা করতে হয় এই পানীয়। এই রস জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় খেজুর বা তালের গুড়।
হেমন্তে নতুন চাল থেকে তৈরি হয় খই। নতুন গুড় ও খই তৈরি হয় মোয়া, খেজুরের নতুন গুড়ের পায়েস, ক্ষীর, পিঠের আয়োজনে উৎসব শুরু হয়ে যায় পৌষ পার্বণের আগেই। এ ছাড়া হেমন্তকালের শুরুতে নদী, নালা, পুকুর, খাল, বিল—এসবের জল শুকিয়ে যেতে শুরু করে। এই সময় অন্যান্য পরিচিত মাছের সঙ্গে পুঁটি, চাঁদা, খলসে, গেঁড়ি গুগলি এবং কাঁকড়া পাওয়া যায় প্রচুর। তাই সাধারণ বাঙালি ঘরে এসব দিয়ে রান্না করা হয় বিভিন্ন পদ। এসব খাবার শরীরে পুষ্টি ও প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করে পুরো বছরের জন্য।
এই সবকিছু মিলিয়ে হেমন্তের সুঘ্রাণ দুই বাংলায় ছড়িয়ে থাকে।
ছন্দা ব্যানার্জি, রন্ধনশিল্পী ও খাদ্যবিষয়ক লেখক

এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত। এই রূপ শুধু প্রকৃতিতেই নয়, বাঙালির খাবারের ঐতিহ্যেও ফুটে উঠেছে।
হেমন্তের খাবার বাঙালির কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। এই সময় নতুন ফসলের আমেজ নিয়ে আসে নতুন স্বাদ ও গন্ধ। নতুন চালের ভাত বাঙালির কাছে এক বিশেষ আকর্ষণ। এখন যে সবজির ফলন হয়, ফুল ফোটে, ফল হয়, তা দুই বাংলার মানুষের বিশেষ আকর্ষণ আর ঐতিহ্যেরও বটে।
বাংলায় হেমন্তের খাদ্য উৎসব শুরু হয় আশ্বিনের সংক্রান্তি থেকে। কথায় আছে, আশ্বিনে রাঁধে কার্তিকে খায়। কেউ কেউ বলেন ডাকসংক্রান্তি, আবার কেউ নলসংক্রান্তি। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে রাঢ়বঙ্গের দেশঘরে, ব্রত আর পার্বণের দিন শুরু হয় সে সময় থেকে। কৃষিজীবন আর অ-কৃষিজাত শাকসবজি, আনাজের কাছে ফিরে যাওয়ার দিন শুরু হয়। প্রায় হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাসের মধ্যে ভেসে ওঠে খানিকটা খড়কুটোর মতো—গাডুর ডাল, সজলান্ন কিংবা ব্রতের ভাত।
গোলাভরা আউশের আশ্বাস আর খেতভরা আমনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে গর্ভিণী ধানের সাধভক্ষণ—নলসংক্রান্তি। এই ধান্য লক্ষ্মীর পূজা আসলে পৃথিবীর কাছে ফিরে যাওয়ার দিন। গ্রাম-বাংলার অ-কৃষিজাত কন্দমূল ও গাছগাছালিকে চিনে নেওয়ার সময়ও হেমন্তকাল। বাংলাদেশে কত রকমের যে কচু ছিল, সেই সব দিয়ে, শালুকের গোড়া, মটর বা খেসারির ডাল দিয়ে যে গাডুর ডাল রান্না হয়, সেই ডালকে মানুষ বলে ‘আসমবারি’।
এই হেমন্তের শুরুতে আসে ধন্বন্তরি বা অশ্বিনী দেবের পূজা। এদের ডাকপুরুষও বলে। সেই পূজার উপোস ভাঙতে এই ডাল আর ব্রতের ভাত খাওয়া হয়। ব্রতের ভাত রান্না হয় শ্যামা চালে। রেসিপি আলাদা। এই ভাতের সঙ্গে ডাল, নারকেল, পাকা কলা, গুড়, গ্রাম-বাংলার চালের পিঠা সব দেবতাকে নিবেদন করে তারপর খাওয়া হয়। আসলে হেমন্ত ঋতুতে এই পূজাগুলো আমাদের শেখায়, কোন শস্য কখন খেতে হয়, কোন শস্য বিষাক্ত কোন সময়ে।
হেমন্ত ঋতুতে ফসল কাটাকে কেন্দ্র করে নবান্ন উৎসব হয়। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শস্যোৎসব এই নবান্ন। নতুন আমন ধান কাটার পর তা থেকে চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব এটি। কাঁচা দুধ, ছোট-বড় ছোলা, মটর, গোটা মটর, গোটা সবুজ মুগসহ ভেজানো ডালজাতীয় সব শস্যদানা, কামরাঙা, পানিফল, পেয়ারা, কমলালেবু, নারকেল ইত্যাদি হেমন্তে উৎপাদিত নানান ফলের টুকরা আর আমন ধান থেকে হওয়া নতুন চাল দিয়ে নবান্ন উৎসব হয়।
বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে ফসল তোলার পরের দিনেই নতুন চালের পায়েস, ক্ষীর, পিঠা আত্মীয়স্বজন এবং পড়শিদের ঘরে ঘরে বিতরণ করা হয়। হেমন্ত ঋতুর শুরুতে খেজুর ও তালগাছের রস গ্রাম-বাংলার অত্যন্ত প্রিয় পানীয়। ভোরে সূর্যের তেজ বাড়ার আগেই তা করতে হয় এই পানীয়। এই রস জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় খেজুর বা তালের গুড়।
হেমন্তে নতুন চাল থেকে তৈরি হয় খই। নতুন গুড় ও খই তৈরি হয় মোয়া, খেজুরের নতুন গুড়ের পায়েস, ক্ষীর, পিঠের আয়োজনে উৎসব শুরু হয়ে যায় পৌষ পার্বণের আগেই। এ ছাড়া হেমন্তকালের শুরুতে নদী, নালা, পুকুর, খাল, বিল—এসবের জল শুকিয়ে যেতে শুরু করে। এই সময় অন্যান্য পরিচিত মাছের সঙ্গে পুঁটি, চাঁদা, খলসে, গেঁড়ি গুগলি এবং কাঁকড়া পাওয়া যায় প্রচুর। তাই সাধারণ বাঙালি ঘরে এসব দিয়ে রান্না করা হয় বিভিন্ন পদ। এসব খাবার শরীরে পুষ্টি ও প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করে পুরো বছরের জন্য।
এই সবকিছু মিলিয়ে হেমন্তের সুঘ্রাণ দুই বাংলায় ছড়িয়ে থাকে।
ছন্দা ব্যানার্জি, রন্ধনশিল্পী ও খাদ্যবিষয়ক লেখক

‘টাইমলেস স্টাইল’ বলতেই মনে পড়ে যায় ‘রোমান হলিডে’ সিনেমায় এলোপাতাড়ি ভেসপা চালিয়ে যাওয়া উচ্ছল মেয়েটির কথা। হ্যাঁ, রোমান হলিডের প্রিন্সেস অ্যান মানে স্বর্ণযুগের তারকা অড্রে হেপবার্ন ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তো কম খ্যাতি পাননি। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট হেপবার্নকে মার্কিন চলচ্চিত্র ইতিহাসের তৃতীয় সেরা নারী
০১ মে ২০২৩
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন।
২ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি...
২ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন। যদি ভাবা সম্ভব না হয়, তবে ভাবুন, ‘হতে পারে এটা আমার জীবনের সেরা কেনাকাটা!’ জ্যোতিষীরা বলছেন, প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ হতে পারে। সম্ভবত আপনার প্রিয়জন লুকিয়ে রাখা চকলেট বা রিমোট কন্ট্রোল চুরি করেছে—এর চেয়ে বড় কুকর্ম আর কী হতে পারে! কেউ যদি ‘বিনিয়োগ করুন, দ্বিগুণ হবে’ বলে, তবে দৌড়ে পালান। দৌড়াতে না পারলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকুন।
বৃষ
অফিসে কোনো সহকর্মীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। মনে রাখবেন, বৃষ রাশির জাতক হিসেবে আপনার জেদ বা একগুঁয়েমি ষাঁড়ের মতোই খ্যাত! অফিসের ঝগড়াটা সম্ভবত বড় কোনো বিষয় নিয়ে হবে না—হতে পারে কে এসির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি কমিয়েছিল, অথবা কে শেষ বিস্কুটটা খেলো। যদি কেউ কোনো ‘অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে অধিক চর্চা’ করতে নিষেধ করে, তবে ধরে নিন সে আপনার নতুন প্রতিভাবান সহকর্মী, যে আপনার কফির বয়াম চুরি করতে পারে। অবসাদ এড়াতে, দুপুরে একটা শর্ট ন্যাপ নিন। যদি বস ধরে ফেলে, বলুন—ধ্যান করছিলাম, নক্ষত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছিলাম। আজ শান্ত থাকুন। যদি খুব রাগ হয়, তবে চেঁচানোর বদলে মনে মনে রবীন্দ্রসংগীত শুনুন।
মিথুন
নতুন প্রকল্পে কাজ শুরুর আগে ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করে নিন। আপনার শত্রু আজ সক্রিয় থাকবে, কিন্তু আর্থিক লাভের সম্ভাবনাও রয়েছে। আপনার ‘নতুন প্রকল্প’ যদি হয় ফ্রিজের পুরোনো খাবার পরিষ্কার করা, তবে সত্যিই ভালোভাবে চিন্তা করুন—গ্যাস মাস্ক লাগবে কি না। বন্ধুরা আজ আপনার সঙ্গে ভালো সময় কাটাবে, কারণ আপনার নতুন আয়ের খবর তারা জেনে গেছে। শত্রু সক্রিয় মানে এই নয় যে কেউ আপনার ক্ষতি করবে; হতে পারে সে শুধু আপনার ফেসবুক পোস্টগুলোতে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দিয়ে যাবে। এর চেয়ে যন্ত্রণাদায়ক আর কী আছে! আজ দ্বৈত-চরিত্রটি কাজে লাগান। এক মিথুন কাজ করবে, অন্য মিথুন হিসাব রাখবে।
কর্কট
দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে এবং প্রায় সব কাজই পূর্ণ হবে। তবে কথা বলার সময় সাবধান থাকুন। আপনার দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে কারণ...সম্ভবত সঙ্গী আজ সারা দিন ব্যস্ত থাকবেন এবং রিমোট কন্ট্রোলটির ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য পাবেন। আপনার সব কাজ পূর্ণ হবে, এমনকি সেই কাজটিও—যেটা গত তিন সপ্তাহ ধরে ‘পরে করব’ বলে ফেলে রেখেছিলেন। সাবধানতা অবলম্বন করে কথা বলুন—বিশেষ করে যখন কেউ জিজ্ঞেস করবে, ‘তুমি কি আমার জন্য কিছু কিনেছ?’ মিথ্যা বলা বারণ। যাত্রা শুভ।
সিংহ
পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন। অন্য কারও বিবাদে জড়াবেন না। আয় বাড়বে। আয় বাড়ার সুসংবাদ শুনেছেন, তাই আজ নিজেকে রাজা বা রানির মতো অনুভব করবেন। তবে অন্য কারও বিবাদে জড়াবেন না। কারণ, যেই মুহূর্তে মাঝখানে মধ্যস্থতা করতে যাবেন, সবাই আপনার বিরুদ্ধেই জোট বাঁধবে—সিংহ মশাই, সাবধান! ‘সামাজিক কাজে অংশ নিতে পারেন’ মানে সম্ভবত পাড়ার কোনো জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রচুর খাবার খেতে পারেন। আপনার মনোমুগ্ধকর মনোভাব আজ কাজে লাগান—কিন্তু বিল মেটানোর সময় ভেজা বিড়াল হয়ে থাকুন।
কন্যা
আলস্য করবেন না। অচেনা ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ পূর্ণ হবে। গ্রহরা যেন আজ আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে শাসিয়ে গেছে—‘আলস্য নৈব নৈব চ!’ যদি সকালে অ্যালার্ম বাজানোর পরও বিছানায় থাকার চেষ্টা করেন, তবে ধরে নিন, গ্রহদের কাছ থেকে কড়া বার্তা আসবে। অচেনা ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন, কারণ আজকের দিনে আপনার সবচেয়ে অচেনা ব্যক্তিটি হতে পারে সেই যিনি নিজেকে ‘ডায়েট চার্ট’ বা ‘ব্যালেন্স শিট’ বলে দাবি করছেন। আলস্য না করে অন্তত একবার টেবিল গুছিয়ে নিন—সেটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় সাফল্য। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে, কারণ আপনি অবশেষে কাজ শুরু করেছেন!
তুলা
চাকরিজীবীরা সুখবর পাবেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। ঝুঁকি নেবেন না। চাকরিজীবীরা সুখবর পাবেন, যেমন—বস অবশেষে আপনার পাঠানো ই-মেলের রিপ্লাই দিয়েছেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধান—সেটা যেন টিভি দেখার প্রতিযোগিতা না হয়। ‘ঝুঁকি নেবেন না’ মানে হলো, আজ কোনোমতেই সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করবেন না যে তার ওজন বেড়েছে কিনা। নতুন মানুষদের সঙ্গে দেখা হতে পারে, কিন্তু তারা আপনাকে নতুন দায়িত্বের ফাঁদে ফেলতে পারে—তাই হাসি-খুশি থাকুন, কিন্তু নীরব। আনন্দে দিন কাটবে, যদি আপনি মনের ভেতরের বিচারপতিকে আজ ছুটি দিতে পারেন।
বৃশ্চিক
আবেগগত যোগাযোগে আরও ভালো থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হবে এবং শুভ সংবাদ পাবেন। আজ আবেগগতভাবে এত ভালো থাকবেন যে পথে কুকুর দেখলেও তাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করতে পারে! আপনার ‘শুভ সংবাদ’ সম্ভবত এটাই যে আপনি পুরোনো প্যান্টের পকেটে কিছু টাকা খুঁজে পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হবে—যেমন ধরুন, আপনি ইউটিউবের শর্টস দেখা শেষ করে অবশেষে মূল বা লং ভিডিও দেখা শুরু করবেন। অন্যদের আকৃষ্ট করার জন্য কথা বলার সময় সুন্দর থাকুন। তবে সুন্দর কথাগুলো যেন লোন বা ধার চাওয়ার জন্য ব্যবহার না হয়। আর্থিক বিষয়গুলো গতি পাবে, তাই আজই পুরোনো লোনগুলো পরিশোধ করার কথা ভাবুন...যদি পকেটে কিছু থাকে।
ধনু
নিজেকে অস্বস্তিকর ও চাপের মধ্যে অনুভব করতে পারেন। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকুন এবং খাওয়া-দাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন। আপনি অস্বস্তিকর বোধ করবেন কারণ আপনার মন আপনাকে সারা বিশ্বে ঘোরার জন্য চাপ দিচ্ছে, কিন্তু আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঘরে বসে নেটফ্লিক্স দেখতে বলছে। ‘খাওয়া-দাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন’ এই পরামর্শটি আপনার জন্য আজ সম্পূর্ণ হাস্যকর। গ্রহরা কি জানে না যে, পৃথিবীতে এত মুখরোচক খাবার থাকতে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব? নেতিবাচক আবেগ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন, যেমন ধরুন—অন্যের খাবার শেষ হয়ে গেলেও আপনার প্লেটে আরও আছে, এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। ইতিবাচক থাকুন! আজ আপনি যা কিছু খাবেন, সেটাই আপনার জন্য শক্তি—এই সহজ সত্যিটা মেনে নিন।
মকর
লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বজায় থাকবে। কাঙ্ক্ষিত অফার পাবেন এবং কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। মকর রাশির জাতক হিসেবে আপনার লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বজায় থাকবে—বিশেষ করে, যদি লক্ষ্যটি হয় সময়মতো রাতের খাবার খাওয়া। আর আপনি কাঙ্ক্ষিত অফার পাবেন! সম্ভবত কোনো প্রিয় রেস্টুরেন্টে বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি-এর অফার। কাজের গতি কার্যকর থাকবে, যার ফলে অফিস থেকে সবার আগে বেরোনোর সুযোগ পাবেন। পেশাগত স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে— চেয়ারটা আজ আপনাকে সবচেয়ে বেশি আরাম দেবে। ব্যক্তিগত জীবনে ধৈর্য ও ধর্ম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে—বিশেষ করে যখন কেউ আপনাকে কাজ শেখাতে আসে।
কুম্ভ
কাজের ব্যস্ততা বাড়তে পারে। স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন এবং পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যত্ন নিন। কাজের ব্যস্ততা বাড়বে, কারণ সমস্ত কাজ ফেলে রেখে নতুন করে কাজ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আজ যোগব্যায়াম করুন। যদি যোগব্যায়াম করতে আলস্য লাগে, তবে অন্তত ফ্রিজ পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করুন, সেটাও একপ্রকার ব্যায়াম। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যত্ন নিন—কিন্তু তার আগে নিশ্চিত হন যে, তাদের টিভি সিরিয়ালের সময়টা নষ্ট করছেন না। আজকের দিনটি স্বাভাবিক হতে চলেছে, মানে কোনো অলৌকিক ঘটনা না ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। ক্যারিয়ারে রাজনীতির শিকার হওয়া এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ, বসের কানের কাছে কোনো গসিপ করতে যাবেন না।
মীন
প্রেমের জীবনে আজ একটি চমকের সম্মুখীন হতে পারেন। আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো। শরীরকে বিশ্রাম দিন। প্রেমের জীবনে ‘চমক’ হয়তো এটাই যে, আপনার সঙ্গী আজ নিজেই শেষ চকলেটটি না খেয়ে আপনার জন্য রেখে দিয়েছে। আপনার আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো, কিন্তু সেটার ব্যবহার করে একটা লটারি না কেটে বরং নিজের জন্য একটা ভালো কফি কিনুন। শরীরকে বিশ্রাম দিন—কিন্তু বিশ্রাম নিতে নিতে যদি ঘুমিয়ে পড়েন, তবে গ্রহরা আপনাকে দোষ দেবে না। কর্মক্ষেত্রের কাজ দ্রুত শেষ করে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরুন। জ্যোতিষীরা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে পার্কে বা সিনেমা দেখতে যেতে পারেন। যদি সিনেমা দেখতে ভালো না লাগে, তবে একাই বারান্দায় বসে প্রকৃতির নাটক দেখতে পারেন! আপনার নেওয়া একটি দৃঢ় পদক্ষেপ আজ ইতিবাচক ফল দেবে। হয়তো অবশেষে জামাকাপড় কাচার কাজটা শুরু করে দিয়েছেন!

মেষ
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন। যদি ভাবা সম্ভব না হয়, তবে ভাবুন, ‘হতে পারে এটা আমার জীবনের সেরা কেনাকাটা!’ জ্যোতিষীরা বলছেন, প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ হতে পারে। সম্ভবত আপনার প্রিয়জন লুকিয়ে রাখা চকলেট বা রিমোট কন্ট্রোল চুরি করেছে—এর চেয়ে বড় কুকর্ম আর কী হতে পারে! কেউ যদি ‘বিনিয়োগ করুন, দ্বিগুণ হবে’ বলে, তবে দৌড়ে পালান। দৌড়াতে না পারলে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকুন।
বৃষ
অফিসে কোনো সহকর্মীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। মনে রাখবেন, বৃষ রাশির জাতক হিসেবে আপনার জেদ বা একগুঁয়েমি ষাঁড়ের মতোই খ্যাত! অফিসের ঝগড়াটা সম্ভবত বড় কোনো বিষয় নিয়ে হবে না—হতে পারে কে এসির তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি কমিয়েছিল, অথবা কে শেষ বিস্কুটটা খেলো। যদি কেউ কোনো ‘অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে অধিক চর্চা’ করতে নিষেধ করে, তবে ধরে নিন সে আপনার নতুন প্রতিভাবান সহকর্মী, যে আপনার কফির বয়াম চুরি করতে পারে। অবসাদ এড়াতে, দুপুরে একটা শর্ট ন্যাপ নিন। যদি বস ধরে ফেলে, বলুন—ধ্যান করছিলাম, নক্ষত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করছিলাম। আজ শান্ত থাকুন। যদি খুব রাগ হয়, তবে চেঁচানোর বদলে মনে মনে রবীন্দ্রসংগীত শুনুন।
মিথুন
নতুন প্রকল্পে কাজ শুরুর আগে ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করে নিন। আপনার শত্রু আজ সক্রিয় থাকবে, কিন্তু আর্থিক লাভের সম্ভাবনাও রয়েছে। আপনার ‘নতুন প্রকল্প’ যদি হয় ফ্রিজের পুরোনো খাবার পরিষ্কার করা, তবে সত্যিই ভালোভাবে চিন্তা করুন—গ্যাস মাস্ক লাগবে কি না। বন্ধুরা আজ আপনার সঙ্গে ভালো সময় কাটাবে, কারণ আপনার নতুন আয়ের খবর তারা জেনে গেছে। শত্রু সক্রিয় মানে এই নয় যে কেউ আপনার ক্ষতি করবে; হতে পারে সে শুধু আপনার ফেসবুক পোস্টগুলোতে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দিয়ে যাবে। এর চেয়ে যন্ত্রণাদায়ক আর কী আছে! আজ দ্বৈত-চরিত্রটি কাজে লাগান। এক মিথুন কাজ করবে, অন্য মিথুন হিসাব রাখবে।
কর্কট
দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে এবং প্রায় সব কাজই পূর্ণ হবে। তবে কথা বলার সময় সাবধান থাকুন। আপনার দাম্পত্য জীবন সুখে কাটবে কারণ...সম্ভবত সঙ্গী আজ সারা দিন ব্যস্ত থাকবেন এবং রিমোট কন্ট্রোলটির ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য পাবেন। আপনার সব কাজ পূর্ণ হবে, এমনকি সেই কাজটিও—যেটা গত তিন সপ্তাহ ধরে ‘পরে করব’ বলে ফেলে রেখেছিলেন। সাবধানতা অবলম্বন করে কথা বলুন—বিশেষ করে যখন কেউ জিজ্ঞেস করবে, ‘তুমি কি আমার জন্য কিছু কিনেছ?’ মিথ্যা বলা বারণ। যাত্রা শুভ।
সিংহ
পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন। অন্য কারও বিবাদে জড়াবেন না। আয় বাড়বে। আয় বাড়ার সুসংবাদ শুনেছেন, তাই আজ নিজেকে রাজা বা রানির মতো অনুভব করবেন। তবে অন্য কারও বিবাদে জড়াবেন না। কারণ, যেই মুহূর্তে মাঝখানে মধ্যস্থতা করতে যাবেন, সবাই আপনার বিরুদ্ধেই জোট বাঁধবে—সিংহ মশাই, সাবধান! ‘সামাজিক কাজে অংশ নিতে পারেন’ মানে সম্ভবত পাড়ার কোনো জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রচুর খাবার খেতে পারেন। আপনার মনোমুগ্ধকর মনোভাব আজ কাজে লাগান—কিন্তু বিল মেটানোর সময় ভেজা বিড়াল হয়ে থাকুন।
কন্যা
আলস্য করবেন না। অচেনা ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন। ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ পূর্ণ হবে। গ্রহরা যেন আজ আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে শাসিয়ে গেছে—‘আলস্য নৈব নৈব চ!’ যদি সকালে অ্যালার্ম বাজানোর পরও বিছানায় থাকার চেষ্টা করেন, তবে ধরে নিন, গ্রহদের কাছ থেকে কড়া বার্তা আসবে। অচেনা ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন, কারণ আজকের দিনে আপনার সবচেয়ে অচেনা ব্যক্তিটি হতে পারে সেই যিনি নিজেকে ‘ডায়েট চার্ট’ বা ‘ব্যালেন্স শিট’ বলে দাবি করছেন। আলস্য না করে অন্তত একবার টেবিল গুছিয়ে নিন—সেটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় সাফল্য। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে, কারণ আপনি অবশেষে কাজ শুরু করেছেন!
তুলা
চাকরিজীবীরা সুখবর পাবেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। ঝুঁকি নেবেন না। চাকরিজীবীরা সুখবর পাবেন, যেমন—বস অবশেষে আপনার পাঠানো ই-মেলের রিপ্লাই দিয়েছেন। জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাবেন, কিন্তু সাবধান—সেটা যেন টিভি দেখার প্রতিযোগিতা না হয়। ‘ঝুঁকি নেবেন না’ মানে হলো, আজ কোনোমতেই সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করবেন না যে তার ওজন বেড়েছে কিনা। নতুন মানুষদের সঙ্গে দেখা হতে পারে, কিন্তু তারা আপনাকে নতুন দায়িত্বের ফাঁদে ফেলতে পারে—তাই হাসি-খুশি থাকুন, কিন্তু নীরব। আনন্দে দিন কাটবে, যদি আপনি মনের ভেতরের বিচারপতিকে আজ ছুটি দিতে পারেন।
বৃশ্চিক
আবেগগত যোগাযোগে আরও ভালো থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হবে এবং শুভ সংবাদ পাবেন। আজ আবেগগতভাবে এত ভালো থাকবেন যে পথে কুকুর দেখলেও তাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করতে পারে! আপনার ‘শুভ সংবাদ’ সম্ভবত এটাই যে আপনি পুরোনো প্যান্টের পকেটে কিছু টাকা খুঁজে পেয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন হবে—যেমন ধরুন, আপনি ইউটিউবের শর্টস দেখা শেষ করে অবশেষে মূল বা লং ভিডিও দেখা শুরু করবেন। অন্যদের আকৃষ্ট করার জন্য কথা বলার সময় সুন্দর থাকুন। তবে সুন্দর কথাগুলো যেন লোন বা ধার চাওয়ার জন্য ব্যবহার না হয়। আর্থিক বিষয়গুলো গতি পাবে, তাই আজই পুরোনো লোনগুলো পরিশোধ করার কথা ভাবুন...যদি পকেটে কিছু থাকে।
ধনু
নিজেকে অস্বস্তিকর ও চাপের মধ্যে অনুভব করতে পারেন। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে দূরে থাকুন এবং খাওয়া-দাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন। আপনি অস্বস্তিকর বোধ করবেন কারণ আপনার মন আপনাকে সারা বিশ্বে ঘোরার জন্য চাপ দিচ্ছে, কিন্তু আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঘরে বসে নেটফ্লিক্স দেখতে বলছে। ‘খাওয়া-দাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখুন’ এই পরামর্শটি আপনার জন্য আজ সম্পূর্ণ হাস্যকর। গ্রহরা কি জানে না যে, পৃথিবীতে এত মুখরোচক খাবার থাকতে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব? নেতিবাচক আবেগ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন, যেমন ধরুন—অন্যের খাবার শেষ হয়ে গেলেও আপনার প্লেটে আরও আছে, এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। ইতিবাচক থাকুন! আজ আপনি যা কিছু খাবেন, সেটাই আপনার জন্য শক্তি—এই সহজ সত্যিটা মেনে নিন।
মকর
লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বজায় থাকবে। কাঙ্ক্ষিত অফার পাবেন এবং কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। মকর রাশির জাতক হিসেবে আপনার লক্ষ্যের ওপর মনোযোগ বজায় থাকবে—বিশেষ করে, যদি লক্ষ্যটি হয় সময়মতো রাতের খাবার খাওয়া। আর আপনি কাঙ্ক্ষিত অফার পাবেন! সম্ভবত কোনো প্রিয় রেস্টুরেন্টে বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি-এর অফার। কাজের গতি কার্যকর থাকবে, যার ফলে অফিস থেকে সবার আগে বেরোনোর সুযোগ পাবেন। পেশাগত স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে— চেয়ারটা আজ আপনাকে সবচেয়ে বেশি আরাম দেবে। ব্যক্তিগত জীবনে ধৈর্য ও ধর্ম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে—বিশেষ করে যখন কেউ আপনাকে কাজ শেখাতে আসে।
কুম্ভ
কাজের ব্যস্ততা বাড়তে পারে। স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন এবং পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যত্ন নিন। কাজের ব্যস্ততা বাড়বে, কারণ সমস্ত কাজ ফেলে রেখে নতুন করে কাজ করার পদ্ধতি আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আজ যোগব্যায়াম করুন। যদি যোগব্যায়াম করতে আলস্য লাগে, তবে অন্তত ফ্রিজ পর্যন্ত হেঁটে যাওয়ার চেষ্টা করুন, সেটাও একপ্রকার ব্যায়াম। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের যত্ন নিন—কিন্তু তার আগে নিশ্চিত হন যে, তাদের টিভি সিরিয়ালের সময়টা নষ্ট করছেন না। আজকের দিনটি স্বাভাবিক হতে চলেছে, মানে কোনো অলৌকিক ঘটনা না ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। ক্যারিয়ারে রাজনীতির শিকার হওয়া এড়িয়ে চলুন। অর্থাৎ, বসের কানের কাছে কোনো গসিপ করতে যাবেন না।
মীন
প্রেমের জীবনে আজ একটি চমকের সম্মুখীন হতে পারেন। আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো। শরীরকে বিশ্রাম দিন। প্রেমের জীবনে ‘চমক’ হয়তো এটাই যে, আপনার সঙ্গী আজ নিজেই শেষ চকলেটটি না খেয়ে আপনার জন্য রেখে দিয়েছে। আপনার আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো, কিন্তু সেটার ব্যবহার করে একটা লটারি না কেটে বরং নিজের জন্য একটা ভালো কফি কিনুন। শরীরকে বিশ্রাম দিন—কিন্তু বিশ্রাম নিতে নিতে যদি ঘুমিয়ে পড়েন, তবে গ্রহরা আপনাকে দোষ দেবে না। কর্মক্ষেত্রের কাজ দ্রুত শেষ করে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরুন। জ্যোতিষীরা বলছেন, পরিবারের সঙ্গে পার্কে বা সিনেমা দেখতে যেতে পারেন। যদি সিনেমা দেখতে ভালো না লাগে, তবে একাই বারান্দায় বসে প্রকৃতির নাটক দেখতে পারেন! আপনার নেওয়া একটি দৃঢ় পদক্ষেপ আজ ইতিবাচক ফল দেবে। হয়তো অবশেষে জামাকাপড় কাচার কাজটা শুরু করে দিয়েছেন!

‘টাইমলেস স্টাইল’ বলতেই মনে পড়ে যায় ‘রোমান হলিডে’ সিনেমায় এলোপাতাড়ি ভেসপা চালিয়ে যাওয়া উচ্ছল মেয়েটির কথা। হ্যাঁ, রোমান হলিডের প্রিন্সেস অ্যান মানে স্বর্ণযুগের তারকা অড্রে হেপবার্ন ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তো কম খ্যাতি পাননি। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট হেপবার্নকে মার্কিন চলচ্চিত্র ইতিহাসের তৃতীয় সেরা নারী
০১ মে ২০২৩
এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত।
১ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি...
২ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের...
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ইলিশের রিং পিস ৫ থেকে ৬ টুকরা, হলুদগুঁড়া এক চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৭ থেকে ৮টি, রসুনের কোয়া ১২ থেকে ১৪টি, সিরকা ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ।
প্রণালি
রিং পিস করা ইলিশ মাছ লবণ মাখিয়ে নেওয়ার পর ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর শুকনা মরিচ, রসুনের কোয়া, সরিষাবাটা, লবণ, হলুদগুঁড়া, সিরকা দিয়ে ব্লেন্ডারে অথবা পাটায় পেস্ট করে নিন। এবার হাঁড়িতে সরিষার তেল দিন। তারপর পেস্ট করা মিশ্রণটি দিয়ে নেড়ে নিন। এরপর লবণ দিয়ে মাখা মাছ দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ করে হালকা ভেজে ঢাকনা দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট। তারপর নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ইলিশের উল্লাস।

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
ইলিশের রিং পিস ৫ থেকে ৬ টুকরা, হলুদগুঁড়া এক চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৭ থেকে ৮টি, রসুনের কোয়া ১২ থেকে ১৪টি, সিরকা ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ৬ থেকে ৭ টেবিল চামচ।
প্রণালি
রিং পিস করা ইলিশ মাছ লবণ মাখিয়ে নেওয়ার পর ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর শুকনা মরিচ, রসুনের কোয়া, সরিষাবাটা, লবণ, হলুদগুঁড়া, সিরকা দিয়ে ব্লেন্ডারে অথবা পাটায় পেস্ট করে নিন। এবার হাঁড়িতে সরিষার তেল দিন। তারপর পেস্ট করা মিশ্রণটি দিয়ে নেড়ে নিন। এরপর লবণ দিয়ে মাখা মাছ দিয়ে এপিঠ-ওপিঠ করে হালকা ভেজে ঢাকনা দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট। তারপর নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ইলিশের উল্লাস।

‘টাইমলেস স্টাইল’ বলতেই মনে পড়ে যায় ‘রোমান হলিডে’ সিনেমায় এলোপাতাড়ি ভেসপা চালিয়ে যাওয়া উচ্ছল মেয়েটির কথা। হ্যাঁ, রোমান হলিডের প্রিন্সেস অ্যান মানে স্বর্ণযুগের তারকা অড্রে হেপবার্ন ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তো কম খ্যাতি পাননি। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট হেপবার্নকে মার্কিন চলচ্চিত্র ইতিহাসের তৃতীয় সেরা নারী
০১ মে ২০২৩
এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত।
১ ঘণ্টা আগে
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন।
২ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের...
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
হাড়সহ গরুর মাংস ২ কেজি, আলু ৬টি, পেঁয়াজকুচি ২ কাপ, আদা ও রসুনবাটা ৪ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া ২ টেবিল চামচ করে, তেজপাতা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ তিন পিস করে, শাহি জিরা ১ চা-চামচ, গরমমসলা ১ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, কিশমিশ আধা কাপ।
প্রণালি
আলুর খোসা ফেলে দেওয়ার পর দুই ভাগ করে কেটে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে সরিষার তেলে ভেজে রাখুন। এবার পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কিশমিশ অল্প পানি দিয়ে মিহি করে পেস্ট করে রাখুন। তারপর মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। মিক্সিং পাত্রে অর্ধেক পেঁয়াজের কুচি, আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, লবণ ও সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। তাতে মাংস অন্তত ১ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তেজপাতা, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ, আস্ত এলাচি, দারুচিনি ও গোলমরিচের ফোড়ন দিন। এবার বাকি পেঁয়াজকুচি ও চিনি দিয়ে হালকা ভেজে নিন। তারপর মেরিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে ধনে, জিরা এবং শুকনা মরিচগুঁড়া দিয়ে মাংস খুব ভালো করে কষাতে থাকুন তেল ছাড়া পর্যন্ত। মাংস অর্ধেক সেদ্ধ হয়ে এলে ভেজে রাখা আলু, গরমমসলা এবং অল্প পানি দিয়ে আবারও কষিয়ে নিতে হবে। তারপর মাংস ও আলু পুরোপুরি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ঢাকনাসহ দমে রান্না করুন। এরপর ঝোল কমে এলে গরমমসলার গুঁড়া ও সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিন। পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কিশমিশ বেটে পেস্ট করে দিয়ে দিন। এর কিছুক্ষণ পর তেল ভেসে উঠলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। লুচি, পোলাও, পরাটা অথবা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
হাড়সহ গরুর মাংস ২ কেজি, আলু ৬টি, পেঁয়াজকুচি ২ কাপ, আদা ও রসুনবাটা ৪ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া ২ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, শুকনা মরিচের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরাগুঁড়া ২ টেবিল চামচ করে, তেজপাতা, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ তিন পিস করে, শাহি জিরা ১ চা-চামচ, গরমমসলা ১ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ১ কাপ, পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ কাপ, কিশমিশ আধা কাপ।
প্রণালি
আলুর খোসা ফেলে দেওয়ার পর দুই ভাগ করে কেটে লবণ ও হলুদ মাখিয়ে সরিষার তেলে ভেজে রাখুন। এবার পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কিশমিশ অল্প পানি দিয়ে মিহি করে পেস্ট করে রাখুন। তারপর মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখতে হবে। মিক্সিং পাত্রে অর্ধেক পেঁয়াজের কুচি, আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, লবণ ও সরিষার তেল মিশিয়ে নিন। তাতে মাংস অন্তত ১ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। এবার কড়াইতে সরিষার তেল গরম হলে তেজপাতা, লবঙ্গ, শুকনা মরিচ, আস্ত এলাচি, দারুচিনি ও গোলমরিচের ফোড়ন দিন। এবার বাকি পেঁয়াজকুচি ও চিনি দিয়ে হালকা ভেজে নিন। তারপর মেরিনেট করা মাংস দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে ধনে, জিরা এবং শুকনা মরিচগুঁড়া দিয়ে মাংস খুব ভালো করে কষাতে থাকুন তেল ছাড়া পর্যন্ত। মাংস অর্ধেক সেদ্ধ হয়ে এলে ভেজে রাখা আলু, গরমমসলা এবং অল্প পানি দিয়ে আবারও কষিয়ে নিতে হবে। তারপর মাংস ও আলু পুরোপুরি সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত ঢাকনাসহ দমে রান্না করুন। এরপর ঝোল কমে এলে গরমমসলার গুঁড়া ও সামান্য ঘি ছড়িয়ে দিন। পেঁয়াজ বেরেস্তা ও কিশমিশ বেটে পেস্ট করে দিয়ে দিন। এর কিছুক্ষণ পর তেল ভেসে উঠলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। লুচি, পোলাও, পরাটা অথবা গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

‘টাইমলেস স্টাইল’ বলতেই মনে পড়ে যায় ‘রোমান হলিডে’ সিনেমায় এলোপাতাড়ি ভেসপা চালিয়ে যাওয়া উচ্ছল মেয়েটির কথা। হ্যাঁ, রোমান হলিডের প্রিন্সেস অ্যান মানে স্বর্ণযুগের তারকা অড্রে হেপবার্ন ফ্যাশন আইকন হিসেবেও তো কম খ্যাতি পাননি। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট হেপবার্নকে মার্কিন চলচ্চিত্র ইতিহাসের তৃতীয় সেরা নারী
০১ মে ২০২৩
এক অদ্ভুত মিশ্র অনুভূতির ঋতু হেমন্ত। নীরব আবেগে ঠাসা। শেষ শরতে ছাতিমের গন্ধে হেমন্ত আসে শিশিরভেজা হালকা শীতের ঘ্রাণ নিয়ে। ধান উৎপাদনের ঋতু বলে একসময় বাংলায় বছর শুরু হতো হেমন্ত দিয়ে। বর্ষার শেষের দিকে বোনা আমন-আউশ শরতে বেড়ে উঠত, আর হেমন্তের অঘ্রানে পেকেও যেত।
১ ঘণ্টা আগে
আপনার অর্থভাগ্য আজ ‘খুব খারাপ’ ঘোষণা হয়ে গেছে (সূত্রমতে, ঋণগ্রস্ত হতে পারেন)। এর অর্থ, ওয়ালেট আজ আন্তর্জাতিক ছুটি ঘোষণা করেছে এবং পকেটের অবস্থা ম্যালেরিয়া রোগীর মতো—একেবারে রুগ্ণ। আজ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার আগে দশবার ভাবুন।
২ ঘণ্টা আগে
অতিথি আপ্যায়নে পাতে আমিষের এক পদ তুলে না দিলে আপ্যায়ন যেন অপূর্ণ থাকে। রাঁধতে যখন হবে, একটু ভিন্ন স্বাদের আমিষ রেঁধে মন ভরিয়ে দিতে পারেন অতিথির। চেনা আমিষের ভিন্ন পদের রেসিপি...
২ ঘণ্টা আগে