রুবাইয়া হক

রোজকার ঘটনা হয়ে উঠছে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু। শুধু কি পানিতে ডুবে! গলায় মার্বেল বা লিচুর বিচি আটকে, বিদ্যুতায়িত হওয়াসহ নানা অঘটনে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশে। রেললাইনের পাশে ছবি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মা-শিশুর মৃত্যু, অটোভ্যানের নিচে পড়েও শিশুরা মারা যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকার তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের ৭ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ১০টির বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে। দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে নওগাঁ, গাইবান্ধা, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে।
গত বছরের নভেম্বরে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ১২৬।
ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনে শিশুমৃত্যুর কিছু কারণ তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলোতে দেখা যায়, ২৫ হাজার ৭৩৩ শিশুর মৃত্যু হয় নিউমোনিয়ায়। অপরিণত জন্ম ও কম ওজনের কারণে ২৪ হাজার ৬২৩ শিশুর মৃত্যু হয়। জন্মের সময় শ্বাসকষ্টে মারা যায় ১৯ হাজার ৯১৪ শিশু। আর পানিতে ডোবাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬ হাজার ৯৪১ শিশুর।
এই বছরের কিছু চিত্র
বড়দের অসতর্কতার কারণে প্রতিনিয়ত শিশুদের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটার পাশাপাশি প্রাণ হারাতে হচ্ছে। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত এই বছরের এমন কিছু ঘটনা তুলে ধরা হলো।
ঘটনা: ১
কুমিল্লা নগরীর তেলিকোনা এলাকায় বাসা বদল করছিলেন এক দম্পতি। সাত বছরের সন্তান আবদুল্লাহকে চারতলায় রেখেই ছয়তলা থেকে আসবাব নামানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন মা-বাবা। এমন সময় চারতলার বারান্দাসংলগ্ন অরক্ষিত বৈদ্যুতিক তারে হাত দিয়ে কবজি খোয়ায় শিশু আবদুল্লাহ। (১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪)
ঘটনা: ২
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ইফতারে খাওয়ার জন্য খিচুড়ি রান্না করতে গরম পানি পাতিলে রাখা হয়। সাড়ে তিন বছরের শিশু আদনান হাবিব খেলার একপর্যায়ে গরম পানির পাতিলে পড়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। (১৫ মার্চ ২০২৪)
ঘটনা: ৩
সিলেটের বিশ্বনাথে ঘুমন্ত শিশুকে ঘরে রেখে দরজা খুলেই বাইরে যান মা-বাবা। কাজ শেষে বাবা বাড়ি ফিরে দেখেন, তিন বছরের ওয়াহিদ মিয়া বন্যার পানিতে ভাসছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। (২২ জুন ২০২৪)
দুর্ঘটনায় মৃত্যু নাকি অবহেলাজনিত হত্যা
এই শিশুদের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে দায় সারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বেশির ভাগ সময় কোনো তদন্ত হয় না। এসব মৃতদেহের ময়নাতদন্তও হয় না। ‘পরিবারের অনুরোধে’ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পুলিশ লাশ হস্তান্তর এবং দায়সারা গোছের ‘অপমৃত্যুর মামলা’ হিসেবে ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করে।
কিন্তু দুর্ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নজরদারি ও সচেতনতার অভাবেই এই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। এসব মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলার সুযোগ নেই, ‘অবহেলাজনিত হত্যা’ বলে যেতে পারে। শিশুদের দেখভালে অসচেতনতা গ্রহণযোগ্য নয়।
সন্তানের এমন করুণ মৃত্যুর জন্য বেশির ভাগ সময় এককভাবে মাকে দোষারোপ করা হয়। শিশুর দেখভালের দায়িত্ব যেন শুধু মায়েরই। অথচ শিশুদের দেখভালের দায়িত্ব সবার—পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের।
আইসিডিডিআরবির মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ এহসানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশে এখনো ‘চাইল্ড প্রোটেকশন প্রমোট’ করা হয় না। উন্নত দেশগুলোতে জন্মের পরপরই শিশুর জন্য উপযুক্ত বাসস্থানসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাসায় কোনো ধারালো জিনিস আছে কি না লক্ষ রাখা হয়। বৈদ্যুতিক প্লাগ পয়েন্ট ঢেকে রাখা হয়। ফার্নিচারের ধারালো অংশে রাবার দেওয়া হয়। শিশু যাতে বাথরুমে ঢুকে যেতে না পারে, সে জন্য ছোট বেড়া দেওয়া হয়।
এহসানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে এই চর্চা কম। বাসাটাকে চাইল্ড ফ্রেন্ডলি করতে হবে। মা-বাবা যখন কাজে যাচ্ছেন, সময় দিতে পারছেন না, তখন শিশুকে ভালো ডে কেয়ারে দিয়ে আসতে পারেন।’
শিশুর নিরাপত্তায় বিশেষ নজর
সাধারণত দুই বছরের দিকে শিশুরা হাঁটতে শুরু করে। যখন-তখন জিনিসপত্র ধরতে শুরু করে তারা। এ সময় শিশুদের প্রতি বাড়তি নিরাপত্তায় বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে—
১. খেলনার ছোট অংশ শিশুর নাক বা মুখে আটকে যেতে পারে। মুখে ঢোকানো যায়—এমন ছোট খেলনা শিশুদের দেওয়া যাবে না।
২. সেফটিপিন, পেরেক, স্টেপলার পিন, ব্লেড, ম্যাচ, লাইটার, ছুরি, কাঁচি, কয়েন, নেইলকাটার, ওষুধ, আংটি, ছোট গয়না—এসব বিপজ্জনক বস্তু বাসার যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা যাবে না। এগুলো শিশুর গলায় আটকে বা পেটে ঢুকে গেলে বিপদ হতে পারে।
৩. বৈদ্যুতিক সকেট এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস শিশুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে, বিশেষ করে যদি মনোযোগ না দেওয়া হয়। তাদের কৌতূহলী প্রকৃতির কারণে, তারা এই সকেটে তাদের আঙুল আটকে রাখতে পারে বা বিচ্ছিন্ন তারের সঙ্গে খেলতে পারে। তাই সকেট কভার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. বাসাবাড়িতে মশা, তেলাপোকা ও কীটপতঙ্গের উপদ্রব থাকলে আমরা বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক, স্প্রে, চক—এসব ব্যবহার করি। কিন্তু ছোট্ট শিশুরা কখনো হামাগুড়ি দিয়ে গিয়ে কিংবা মেঝেতে পড়ে থাকা এসব কীটনাশক মুখে দিয়ে ফেলতে পারে। সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
৫. ছয় থেকে দশ বছরের শিশুদের অবশ্যই সাঁতার শেখাতে হবে। ডুবে যাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে কী করতে হবে, সে সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
৬. বাড়িতে থাকা পানির ড্রাম, বড় বালতিসহ যেকোনো পানিতে যেন শিশু পড়ে না যায়, সে জন্য সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে এগুলো ঢেকে রাখুন।
৭. বাড়ির নিকটবর্তী চিকিৎসক ও ফার্মেসির ফোন নম্বর সংগ্রহ করে রাখুন। যেন জরুরি প্রয়োজনে পরামর্শ ও সেবা নেওয়া যায়। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ছাড়াও নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ১০৯ নম্বরে কল করে সেবা নেওয়া যাবে।
প্রয়োজন চাইল্ডপ্রুফ জিনিসপত্রের সহজ প্রাপ্তি
শিশু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এসব ঘটনায় শিশুমৃত্যু কমাতে চাইলে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, ‘চাইল্ডপ্রুফ ইকুইপমেন্ট’ শিশুদের প্রতিরক্ষা উপযোগী যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে হবে। দেশে চাইল্ডপ্রুফ জিনিসপত্র সহজে পাওয়া যায় না বলে উদ্যোক্তাদের সাহায্য করতে হবে, যাতে তারা সেটির জোগান দিতে পারে।
এ বিষয়ে সরকারের করণীয় তুলে ধরে এহসানুর রহমান বলেন, ‘এই জিনিসগুলো আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে, আমদানি করার পাশাপাশি দেশে এটার জন্য মার্কেট তৈরি করে সে জন্য এটা নিয়ে প্রচার চালাতে হবে। প্রচার চালালে ডিমান্ড বাড়বে, ডিমান্ড বাড়লে উদ্যোক্তারা এসব আমদানি করে আনবেন। সে সময় দেশীয় শিল্পগুলো এগুলোকে প্রমোট করা শুরু করবে। যেখানে আমাদের দেশে এসিসহ নানা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে, সেখানে চাইল্ডপ্রুফ জিনিসও তারা তৈরি শুরু করবে।’
সরকারের আরও করণীয়
দুর্ঘটনা বিশ্লেষণ করে বিশ্লেষকেরা বলছেন, অবহেলার কারণে এ ধরনের শিশুমৃত্যুর ঘটনা প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো উচিত। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রোগবালাইয়ের চিকিৎসায় যত নজর দেওয়া হয়, সেই তুলনায় এসব ঘটনা ঠেকাতে উদ্যোগ সামান্য।
ডা. আহমেদ এহসানুর রহমান বলেন, ‘সরকারের উচিত দেশব্যাপী ডে কেয়ার সেন্টারগুলো চালু করা। এর পাশাপাশি যদি প্রি-স্কুলগুলো অ্যাকটিভ করা যায়, তাহলে এমন শিশুমৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে। গবেষণায় দেখা গেছে, এ পদ্ধতিতে শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এই জায়গায় সরকারকেই ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আরও উদ্যোগ নিতে হবে, নীতিমালা করতে হবে, আইন আনতে হবে। প্রচার করতে হবে।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

রোজকার ঘটনা হয়ে উঠছে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু। শুধু কি পানিতে ডুবে! গলায় মার্বেল বা লিচুর বিচি আটকে, বিদ্যুতায়িত হওয়াসহ নানা অঘটনে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশে। রেললাইনের পাশে ছবি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মা-শিশুর মৃত্যু, অটোভ্যানের নিচে পড়েও শিশুরা মারা যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকার তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের ৭ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ১০টির বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে। দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে নওগাঁ, গাইবান্ধা, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে।
গত বছরের নভেম্বরে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ১২৬।
ওই সমীক্ষা প্রতিবেদনে শিশুমৃত্যুর কিছু কারণ তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলোতে দেখা যায়, ২৫ হাজার ৭৩৩ শিশুর মৃত্যু হয় নিউমোনিয়ায়। অপরিণত জন্ম ও কম ওজনের কারণে ২৪ হাজার ৬২৩ শিশুর মৃত্যু হয়। জন্মের সময় শ্বাসকষ্টে মারা যায় ১৯ হাজার ৯১৪ শিশু। আর পানিতে ডোবাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৬ হাজার ৯৪১ শিশুর।
এই বছরের কিছু চিত্র
বড়দের অসতর্কতার কারণে প্রতিনিয়ত শিশুদের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটার পাশাপাশি প্রাণ হারাতে হচ্ছে। আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত এই বছরের এমন কিছু ঘটনা তুলে ধরা হলো।
ঘটনা: ১
কুমিল্লা নগরীর তেলিকোনা এলাকায় বাসা বদল করছিলেন এক দম্পতি। সাত বছরের সন্তান আবদুল্লাহকে চারতলায় রেখেই ছয়তলা থেকে আসবাব নামানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন মা-বাবা। এমন সময় চারতলার বারান্দাসংলগ্ন অরক্ষিত বৈদ্যুতিক তারে হাত দিয়ে কবজি খোয়ায় শিশু আবদুল্লাহ। (১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪)
ঘটনা: ২
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ইফতারে খাওয়ার জন্য খিচুড়ি রান্না করতে গরম পানি পাতিলে রাখা হয়। সাড়ে তিন বছরের শিশু আদনান হাবিব খেলার একপর্যায়ে গরম পানির পাতিলে পড়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। (১৫ মার্চ ২০২৪)
ঘটনা: ৩
সিলেটের বিশ্বনাথে ঘুমন্ত শিশুকে ঘরে রেখে দরজা খুলেই বাইরে যান মা-বাবা। কাজ শেষে বাবা বাড়ি ফিরে দেখেন, তিন বছরের ওয়াহিদ মিয়া বন্যার পানিতে ভাসছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। (২২ জুন ২০২৪)
দুর্ঘটনায় মৃত্যু নাকি অবহেলাজনিত হত্যা
এই শিশুদের মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলে দায় সারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বেশির ভাগ সময় কোনো তদন্ত হয় না। এসব মৃতদেহের ময়নাতদন্তও হয় না। ‘পরিবারের অনুরোধে’ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পুলিশ লাশ হস্তান্তর এবং দায়সারা গোছের ‘অপমৃত্যুর মামলা’ হিসেবে ঘটনাগুলো নথিভুক্ত করে।
কিন্তু দুর্ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নজরদারি ও সচেতনতার অভাবেই এই শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। এসব মৃত্যুকে দুর্ঘটনা বলার সুযোগ নেই, ‘অবহেলাজনিত হত্যা’ বলে যেতে পারে। শিশুদের দেখভালে অসচেতনতা গ্রহণযোগ্য নয়।
সন্তানের এমন করুণ মৃত্যুর জন্য বেশির ভাগ সময় এককভাবে মাকে দোষারোপ করা হয়। শিশুর দেখভালের দায়িত্ব যেন শুধু মায়েরই। অথচ শিশুদের দেখভালের দায়িত্ব সবার—পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের।
আইসিডিডিআরবির মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ এহসানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশে এখনো ‘চাইল্ড প্রোটেকশন প্রমোট’ করা হয় না। উন্নত দেশগুলোতে জন্মের পরপরই শিশুর জন্য উপযুক্ত বাসস্থানসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। বাসায় কোনো ধারালো জিনিস আছে কি না লক্ষ রাখা হয়। বৈদ্যুতিক প্লাগ পয়েন্ট ঢেকে রাখা হয়। ফার্নিচারের ধারালো অংশে রাবার দেওয়া হয়। শিশু যাতে বাথরুমে ঢুকে যেতে না পারে, সে জন্য ছোট বেড়া দেওয়া হয়।
এহসানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে এই চর্চা কম। বাসাটাকে চাইল্ড ফ্রেন্ডলি করতে হবে। মা-বাবা যখন কাজে যাচ্ছেন, সময় দিতে পারছেন না, তখন শিশুকে ভালো ডে কেয়ারে দিয়ে আসতে পারেন।’
শিশুর নিরাপত্তায় বিশেষ নজর
সাধারণত দুই বছরের দিকে শিশুরা হাঁটতে শুরু করে। যখন-তখন জিনিসপত্র ধরতে শুরু করে তারা। এ সময় শিশুদের প্রতি বাড়তি নিরাপত্তায় বেশ কয়েকটি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে—
১. খেলনার ছোট অংশ শিশুর নাক বা মুখে আটকে যেতে পারে। মুখে ঢোকানো যায়—এমন ছোট খেলনা শিশুদের দেওয়া যাবে না।
২. সেফটিপিন, পেরেক, স্টেপলার পিন, ব্লেড, ম্যাচ, লাইটার, ছুরি, কাঁচি, কয়েন, নেইলকাটার, ওষুধ, আংটি, ছোট গয়না—এসব বিপজ্জনক বস্তু বাসার যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা যাবে না। এগুলো শিশুর গলায় আটকে বা পেটে ঢুকে গেলে বিপদ হতে পারে।
৩. বৈদ্যুতিক সকেট এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস শিশুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে, বিশেষ করে যদি মনোযোগ না দেওয়া হয়। তাদের কৌতূহলী প্রকৃতির কারণে, তারা এই সকেটে তাদের আঙুল আটকে রাখতে পারে বা বিচ্ছিন্ন তারের সঙ্গে খেলতে পারে। তাই সকেট কভার ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪. বাসাবাড়িতে মশা, তেলাপোকা ও কীটপতঙ্গের উপদ্রব থাকলে আমরা বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক, স্প্রে, চক—এসব ব্যবহার করি। কিন্তু ছোট্ট শিশুরা কখনো হামাগুড়ি দিয়ে গিয়ে কিংবা মেঝেতে পড়ে থাকা এসব কীটনাশক মুখে দিয়ে ফেলতে পারে। সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
৫. ছয় থেকে দশ বছরের শিশুদের অবশ্যই সাঁতার শেখাতে হবে। ডুবে যাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে কী করতে হবে, সে সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
৬. বাড়িতে থাকা পানির ড্রাম, বড় বালতিসহ যেকোনো পানিতে যেন শিশু পড়ে না যায়, সে জন্য সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে এগুলো ঢেকে রাখুন।
৭. বাড়ির নিকটবর্তী চিকিৎসক ও ফার্মেসির ফোন নম্বর সংগ্রহ করে রাখুন। যেন জরুরি প্রয়োজনে পরামর্শ ও সেবা নেওয়া যায়। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ছাড়াও নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ১০৯ নম্বরে কল করে সেবা নেওয়া যাবে।
প্রয়োজন চাইল্ডপ্রুফ জিনিসপত্রের সহজ প্রাপ্তি
শিশু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এসব ঘটনায় শিশুমৃত্যু কমাতে চাইলে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, ‘চাইল্ডপ্রুফ ইকুইপমেন্ট’ শিশুদের প্রতিরক্ষা উপযোগী যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে হবে। দেশে চাইল্ডপ্রুফ জিনিসপত্র সহজে পাওয়া যায় না বলে উদ্যোক্তাদের সাহায্য করতে হবে, যাতে তারা সেটির জোগান দিতে পারে।
এ বিষয়ে সরকারের করণীয় তুলে ধরে এহসানুর রহমান বলেন, ‘এই জিনিসগুলো আমদানির ক্ষেত্রে ভ্যাট কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে, আমদানি করার পাশাপাশি দেশে এটার জন্য মার্কেট তৈরি করে সে জন্য এটা নিয়ে প্রচার চালাতে হবে। প্রচার চালালে ডিমান্ড বাড়বে, ডিমান্ড বাড়লে উদ্যোক্তারা এসব আমদানি করে আনবেন। সে সময় দেশীয় শিল্পগুলো এগুলোকে প্রমোট করা শুরু করবে। যেখানে আমাদের দেশে এসিসহ নানা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে, সেখানে চাইল্ডপ্রুফ জিনিসও তারা তৈরি শুরু করবে।’
সরকারের আরও করণীয়
দুর্ঘটনা বিশ্লেষণ করে বিশ্লেষকেরা বলছেন, অবহেলার কারণে এ ধরনের শিশুমৃত্যুর ঘটনা প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো উচিত। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রোগবালাইয়ের চিকিৎসায় যত নজর দেওয়া হয়, সেই তুলনায় এসব ঘটনা ঠেকাতে উদ্যোগ সামান্য।
ডা. আহমেদ এহসানুর রহমান বলেন, ‘সরকারের উচিত দেশব্যাপী ডে কেয়ার সেন্টারগুলো চালু করা। এর পাশাপাশি যদি প্রি-স্কুলগুলো অ্যাকটিভ করা যায়, তাহলে এমন শিশুমৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে। গবেষণায় দেখা গেছে, এ পদ্ধতিতে শিশুমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এই জায়গায় সরকারকেই ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে আরও উদ্যোগ নিতে হবে, নীতিমালা করতে হবে, আইন আনতে হবে। প্রচার করতে হবে।’
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। প্রথম কয়েক বছরে শিশুদের মস্তিষ্কের পরিবর্তন হয় খুব দ্রুত। বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের জন্য মোট ৪৫টি পুষ্টি উপাদান চিহ্নিত করেছেন; যেগুলোর মধ্যে...
২৮ মিনিট আগে
বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকার শীর্ষে আবারও প্যারিস। ২০২৫ সালে শুধু এই শহরে ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছে। পরপর পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকায় প্রথম স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। ডেটা অ্যানালিটিক প্রতিষ্ঠান ইউরো মনিটর...
৩ ঘণ্টা আগে
রুক্ষ ও শুষ্ক চুল আমাদের সৌন্দর্য ম্লান করে দেয়। এই রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করে চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে দরকার যত্নের। নিয়মিত তেল, হেয়ার প্যাক ও মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্যালন ট্রিটমেন্ট চুল করে মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে আপনার চুলের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী
৬ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার রক্ত গরম। হয়তো ভাবছেন, আপনিই পৃথিবীর একমাত্র ব্যক্তি, যিনি এত দ্রুত এবং এত সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সামান্য দেরি হলেই রেগে গিয়ে এমন কিছু বলে বসতে পারেন, যা পরে লজ্জায় লুকিয়ে ফেলতে চাইবেন। প্রেমিক/প্রেমিকার মনোযোগ পেতে গেলে আজ নিজেকে ‘প্রথম পুরস্কার’ হিসেবে ঘোষণা করতে হতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

আমরা প্রায় সবাই জানি, গাজর চোখের জন্য ভালো এবং দুধ হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী। তবে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কী খাবেন, তা নিয়ে অনেকের ধারণা নেই। বাস্তবতা হলো, মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিউরোসায়েন্টিস্ট লিসা মোসকোনি বলেন, ‘খাবার আমাদের মস্তিষ্ক কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। কারণ, আমাদের মস্তিষ্ক পুষ্টির ওপর নির্ভরশীল। তাই শরীরের অন্য অঙ্গের মতো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কী খেতে হবে, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি।’
শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। কারণ, তাদের মস্তিষ্ক দ্রুত নতুন নিউরন তৈরি এবং বিকাশ লাভ করে। প্রথম কয়েক বছরে শিশুদের মস্তিষ্ক এত দ্রুত পরিবর্তন হয় যে এক শিশুর মস্তিষ্কে নিউরনের সংখ্যা মিল্কিওয়েতে থাকা তারার থেকে বেশি হতে পারে। এ জন্য শিশুদের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের জন্য মোট ৪৫টি পুষ্টি উপাদান চিহ্নিত করেছেন; যেগুলোর মধ্যে প্রোটিন, জিংক, আয়রন, কোলিন, ফলেট, আয়োডিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড উল্লেখযোগ্য। এসব উপাদান শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশে এবং বড়দের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বেরি
ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, রাসবেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি বেরি মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই ফলগুলোতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এগুলো মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং নিউরোট্রান্সমিটার (স্নায়ু সংকেত) তৈরিতে সাহায্য করে। আপনি বেরি দই বা চকলেটে ডুবিয়ে খেতে পারেন অথবা এগুলো দিয়ে সুস্বাদু ডেজার্ট তৈরি করতে পারেন।

আলু
আলুতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সাহায্য করে, যা আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রাতে ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে। আলু একটি সহজ এবং পুষ্টিকর খাবার, যা শিশুদের খাবারে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
মিষ্টিআলু
মিষ্টিআলুতে থাকা প্রচুর ভিটামিন এই স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ এবং কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। মিষ্টিআলু সরাসরি খেতে ভালো না লাগলে বেকড, ফ্রাই বা স্যুপে দিয়ে খেতে পারেন। এটি স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
মাছ
মস্তিষ্কের প্রায় ৫০ শতাংশ চর্বি দিয়ে তৈরি। এই চর্বির মধ্যে ডোকোসাহেক্সেনিক অ্যাসিড বা ডিএইচএ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ এবং শেখার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঠান্ডা পানির মাছ; যেমন স্যামন, মাকেরেল, সারডিন ইত্যাদি মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি উপাদান থাকে। এটি আমাদের মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামের একটি রাসায়নিক তৈরিতে সাহায্য করে। সেরোটোনিন আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তবে অতিরিক্ত চিনি ও ক্যালরি যুক্ত চকলেট থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ, তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ডিম
ডিমে কোলিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে। এটি মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কোলিন মস্তিষ্কের কোষগুলোকে স্বাস্থ্যবান করে তোলে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। ফলে চিন্তা করার ক্ষমতা ও শেখার শক্তি বাড়ে এবং মনোযোগ বজায় রাখতে সহায়তা হয়। ডিম শিশুদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পুষ্টিকর খাবার।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে শুধু খাবার নয়, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোও জরুরি। শিশুদের জন্য খাবার গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে তাদের কাছে পুষ্টিকর খাবারগুলো বিভিন্নভাবে তৈরি করে দিতে হবে। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদেরও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহী করতে হবে। মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ওপরের পুষ্টিকর খাবারগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে তা আপনার এবং আপনার পরিবারের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

আমরা প্রায় সবাই জানি, গাজর চোখের জন্য ভালো এবং দুধ হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী। তবে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কী খাবেন, তা নিয়ে অনেকের ধারণা নেই। বাস্তবতা হলো, মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিউরোসায়েন্টিস্ট লিসা মোসকোনি বলেন, ‘খাবার আমাদের মস্তিষ্ক কার্যকর রাখতে সাহায্য করে। কারণ, আমাদের মস্তিষ্ক পুষ্টির ওপর নির্ভরশীল। তাই শরীরের অন্য অঙ্গের মতো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে কী খেতে হবে, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি।’
শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। কারণ, তাদের মস্তিষ্ক দ্রুত নতুন নিউরন তৈরি এবং বিকাশ লাভ করে। প্রথম কয়েক বছরে শিশুদের মস্তিষ্ক এত দ্রুত পরিবর্তন হয় যে এক শিশুর মস্তিষ্কে নিউরনের সংখ্যা মিল্কিওয়েতে থাকা তারার থেকে বেশি হতে পারে। এ জন্য শিশুদের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের জন্য মোট ৪৫টি পুষ্টি উপাদান চিহ্নিত করেছেন; যেগুলোর মধ্যে প্রোটিন, জিংক, আয়রন, কোলিন, ফলেট, আয়োডিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড উল্লেখযোগ্য। এসব উপাদান শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশে এবং বড়দের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বেরি
ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, রাসবেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি বেরি মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই ফলগুলোতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এগুলো মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং নিউরোট্রান্সমিটার (স্নায়ু সংকেত) তৈরিতে সাহায্য করে। আপনি বেরি দই বা চকলেটে ডুবিয়ে খেতে পারেন অথবা এগুলো দিয়ে সুস্বাদু ডেজার্ট তৈরি করতে পারেন।

আলু
আলুতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সাহায্য করে, যা আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রাতে ভালো ঘুম হতে সহায়তা করে। আলু একটি সহজ এবং পুষ্টিকর খাবার, যা শিশুদের খাবারে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
মিষ্টিআলু
মিষ্টিআলুতে থাকা প্রচুর ভিটামিন এই স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ এবং কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। মিষ্টিআলু সরাসরি খেতে ভালো না লাগলে বেকড, ফ্রাই বা স্যুপে দিয়ে খেতে পারেন। এটি স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
মাছ
মস্তিষ্কের প্রায় ৫০ শতাংশ চর্বি দিয়ে তৈরি। এই চর্বির মধ্যে ডোকোসাহেক্সেনিক অ্যাসিড বা ডিএইচএ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ এবং শেখার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঠান্ডা পানির মাছ; যেমন স্যামন, মাকেরেল, সারডিন ইত্যাদি মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি উপাদান থাকে। এটি আমাদের মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামের একটি রাসায়নিক তৈরিতে সাহায্য করে। সেরোটোনিন আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। তবে অতিরিক্ত চিনি ও ক্যালরি যুক্ত চকলেট থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ, তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ডিম
ডিমে কোলিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান থাকে। এটি মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কোলিন মস্তিষ্কের কোষগুলোকে স্বাস্থ্যবান করে তোলে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। ফলে চিন্তা করার ক্ষমতা ও শেখার শক্তি বাড়ে এবং মনোযোগ বজায় রাখতে সহায়তা হয়। ডিম শিশুদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পুষ্টিকর খাবার।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে শুধু খাবার নয়, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ কমানোও জরুরি। শিশুদের জন্য খাবার গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে তাদের কাছে পুষ্টিকর খাবারগুলো বিভিন্নভাবে তৈরি করে দিতে হবে। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদেরও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহী করতে হবে। মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ওপরের পুষ্টিকর খাবারগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে তা আপনার এবং আপনার পরিবারের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

রোজকার ঘটনা হয়ে উঠছে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু। শুধু কি পানিতে ডুবে! গলায় মার্বেল বা লিচুর বিচি আটকে, বিদ্যুতায়িত হওয়াসহ নানা অঘটনে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশে। রেললাইনের পাশে ছবি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মা-শিশুর মৃত্যু, অটোভ্যানের নিচে পড়েও শিশুরা মারা যাচ্ছে।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকার শীর্ষে আবারও প্যারিস। ২০২৫ সালে শুধু এই শহরে ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছে। পরপর পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকায় প্রথম স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। ডেটা অ্যানালিটিক প্রতিষ্ঠান ইউরো মনিটর...
৩ ঘণ্টা আগে
রুক্ষ ও শুষ্ক চুল আমাদের সৌন্দর্য ম্লান করে দেয়। এই রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করে চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে দরকার যত্নের। নিয়মিত তেল, হেয়ার প্যাক ও মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্যালন ট্রিটমেন্ট চুল করে মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে আপনার চুলের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী
৬ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার রক্ত গরম। হয়তো ভাবছেন, আপনিই পৃথিবীর একমাত্র ব্যক্তি, যিনি এত দ্রুত এবং এত সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সামান্য দেরি হলেই রেগে গিয়ে এমন কিছু বলে বসতে পারেন, যা পরে লজ্জায় লুকিয়ে ফেলতে চাইবেন। প্রেমিক/প্রেমিকার মনোযোগ পেতে গেলে আজ নিজেকে ‘প্রথম পুরস্কার’ হিসেবে ঘোষণা করতে হতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকার শীর্ষে আবারও প্যারিস। ২০২৫ সালে শুধু এই শহরে ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছে। পরপর পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকায় প্রথম স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। ডেটা অ্যানালিটিক প্রতিষ্ঠান ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত ‘টপ ১০০ সিটি ডেস্টিনেশনস ইনডেক্স ২০২৫’-এ ফ্রান্সের রাজধানী সেরা হয়েছে।
২০২৫ সাল প্যারিসের জন্য ছিল বেশ ব্যস্ত বছর। এ বছর নটর ডেম ক্যাথেড্রাল পুনরায় খুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্যারিসের ফুটবল ক্লাব পিএসজি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের জয় করে এ বছরেই। সেই ট্রফি দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফুটবলভক্তদের ভিড় হয় প্যারিসে। সব মিলিয়ে পর্যটকদের আগমন ছিল ব্যাপক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পর্যটন নীতি, অবকাঠামো এবং প্রস্তুতির দিক থেকে এগিয়ে থাকায় শহরটি এই চাপ সামলাতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল।
ইউরো মনিটরের এই সূচকে পৃথিবীর বিভিন্ন শহরের সামগ্রিক আকর্ষণীয় দিকগুলো মূল্যায়ন করা হয়। এর মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে পর্যটন ও অর্থনৈতিক কার্যকারিতা, টেকসই ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, অবকাঠামো ও পর্যটন নীতি।
এ বছরও তালিকায় ইউরোপ আধিপত্য বজায় রেখেছে। তালিকার শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে ছয়টিই ইউরোপের। প্যারিসের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মাদ্রিদ। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে রোম ও মিলান। সপ্তমে আমস্টারডাম আর অষ্টমে উঠে এসেছে বার্সেলোনার নাম।
অন্যদিকে, লন্ডন গত বছর টপ টেন থেকে ছিটকে ১৩তম হয়েছিল। এবার আরও নিচে নেমে জায়গা হয়েছে ১৮ নম্বরে। এর ওপরে ১৭ নম্বরে আছে হংকং এবং নিচে ১৯ নম্বরে কিয়োটো। পর্যটন অবকাঠামোর দিক থেকে লন্ডন বিশ্বে চতুর্থ হলেও নীতি, নিরাপত্তা ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্যটনে শীর্ষে ব্যাংকক
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশের রাজধানীগুলো ভালো অবস্থানে রয়েছে তালিকায়। টোকিও রয়েছে তৃতীয় স্থানে, সিঙ্গাপুর নবম আর সিউল দশম। টোকিওর বিমানবন্দর সম্প্রসারণে বড় বিনিয়োগের কারণে পর্যটন অবকাঠামো র্যাঙ্কিংয়েও শহরটি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। নারিতা এয়ারপোর্টে নতুন রানওয়ে এবং দ্বিতীয় রানওয়ের সম্প্রসারণ—সব মিলিয়ে ২০৩৯ সালের মধ্যে যাত্রী ধারণক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা চলছে জাপানে।
আমেরিকা মহাদেশ থেকে শীর্ষ ১০-এর একমাত্র শহর নিউইয়র্ক। এর অবস্থান তালিকার ৬ নম্বরে। লস অ্যাঞ্জেলেস পাঁচ ধাপ এগিয়ে এখন ১৩তম অবস্থানে। পর্যটন পারফরম্যান্সের দিক থেকে বিশ্বে সবার ওপরে আছে অরল্যান্ডো। দেশীয় পর্যটনের বড় চাপ, ইউনিভার্সাল অরল্যান্ডোর নতুন ‘এপিক ইউনিভার্স’ থিম পার্ক, সি ওয়ার্ল্ড ও ডিজনি ওয়ার্ল্ডের বড় উন্নয়ন মিলিয়ে অরল্যান্ডো ছিল চলতি বছরের অন্যতম আকর্ষণ।
আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আগমনের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ব্যাংকক। ইউরো মনিটরের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর শহরটিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ। দ্বিতীয় স্থানে হংকং। এর পর্যটক সংখ্যা ছিল প্রায় ২ কোটি ৩২ লাখ। ২ কোটি ২৭ লাখ পর্যটক নিয়ে তৃতীয় লন্ডন এবং প্রায় ২ কোটি ৪ লাখ পর্যটক নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে জুয়ার নগরী ম্যাকাউ।
২০২৫ সালে পর্যটন প্রবণতায় বড় পরিবর্তন দেখা গেছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরগুলো এখন শুধু দর্শনার্থীর সংখ্যা নয়, এর সঙ্গে তাদের থাকার মেয়াদ, ব্যয় এবং স্থানীয় পরিবেশ ও সংস্কৃতির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে।
নিরাপত্তা চাহিদা, বাড়তি ভ্রমণ, অতিরিক্ত ভিড় এবং মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক দেশ নতুন প্রবেশ ফি, ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন ব্যবস্থা এবং আরও কড়াকড়ি নীতি বাস্তবায়ন করছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালে ভিসা ও ভ্রমণ ফি বাড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও আগামী বছর নতুন ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে। জাপান ২০২৮ সালের মধ্যে নতুন ভিসা ফি ও ই-অথরাইজেশন ব্যবস্থা চালুর কথা বিবেচনা করছে।
ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনালের ২০২৫ সালের শীর্ষ ১০ সিটি ডেস্টিনেশন
১. প্যারিস
২. মাদ্রিদ
৩. টোকিও
৪. রোম
৫. মিলান
৬. নিউইয়র্ক
৭. আমস্টারডাম
৮. বার্সেলোনা
৯. সিঙ্গাপুর
১০. সিউল
২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যার ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ শহর
১. ব্যাংকক (৩ কোটি ৩ লাখ)
২. হংকং (২ কোটি ৩২ লাখ)
৩. লন্ডন (২ কোটি ২৭ লাখ)
৪. ম্যাকাউ (২ কোটি ৪ লাখ)
৫. ইস্তাম্বুল (১ কোটি ৯৭ লাখ)
৬. দুবাই (১ কোটি ৯৫ লাখ)
৭. মক্কা (১ কোটি ৮৭ লাখ)
৮. আনাতোলিয়া (১ কোটি ৮৬ লাখ)
৯. প্যারিস (১ কোটি ৮৩ লাখ)
১০. কুয়ালালামপুর (১ কোটি ৭৩ লাখ)
সূত্র: সিএনএন

বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকার শীর্ষে আবারও প্যারিস। ২০২৫ সালে শুধু এই শহরে ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছে। পরপর পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকায় প্রথম স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। ডেটা অ্যানালিটিক প্রতিষ্ঠান ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশিত ‘টপ ১০০ সিটি ডেস্টিনেশনস ইনডেক্স ২০২৫’-এ ফ্রান্সের রাজধানী সেরা হয়েছে।
২০২৫ সাল প্যারিসের জন্য ছিল বেশ ব্যস্ত বছর। এ বছর নটর ডেম ক্যাথেড্রাল পুনরায় খুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্যারিসের ফুটবল ক্লাব পিএসজি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের জয় করে এ বছরেই। সেই ট্রফি দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফুটবলভক্তদের ভিড় হয় প্যারিসে। সব মিলিয়ে পর্যটকদের আগমন ছিল ব্যাপক। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পর্যটন নীতি, অবকাঠামো এবং প্রস্তুতির দিক থেকে এগিয়ে থাকায় শহরটি এই চাপ সামলাতে পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল।
ইউরো মনিটরের এই সূচকে পৃথিবীর বিভিন্ন শহরের সামগ্রিক আকর্ষণীয় দিকগুলো মূল্যায়ন করা হয়। এর মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে পর্যটন ও অর্থনৈতিক কার্যকারিতা, টেকসই ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা, অবকাঠামো ও পর্যটন নীতি।
এ বছরও তালিকায় ইউরোপ আধিপত্য বজায় রেখেছে। তালিকার শীর্ষ ১০টি শহরের মধ্যে ছয়টিই ইউরোপের। প্যারিসের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মাদ্রিদ। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে রোম ও মিলান। সপ্তমে আমস্টারডাম আর অষ্টমে উঠে এসেছে বার্সেলোনার নাম।
অন্যদিকে, লন্ডন গত বছর টপ টেন থেকে ছিটকে ১৩তম হয়েছিল। এবার আরও নিচে নেমে জায়গা হয়েছে ১৮ নম্বরে। এর ওপরে ১৭ নম্বরে আছে হংকং এবং নিচে ১৯ নম্বরে কিয়োটো। পর্যটন অবকাঠামোর দিক থেকে লন্ডন বিশ্বে চতুর্থ হলেও নীতি, নিরাপত্তা ও টেকসই ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্যটনে শীর্ষে ব্যাংকক
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশের রাজধানীগুলো ভালো অবস্থানে রয়েছে তালিকায়। টোকিও রয়েছে তৃতীয় স্থানে, সিঙ্গাপুর নবম আর সিউল দশম। টোকিওর বিমানবন্দর সম্প্রসারণে বড় বিনিয়োগের কারণে পর্যটন অবকাঠামো র্যাঙ্কিংয়েও শহরটি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। নারিতা এয়ারপোর্টে নতুন রানওয়ে এবং দ্বিতীয় রানওয়ের সম্প্রসারণ—সব মিলিয়ে ২০৩৯ সালের মধ্যে যাত্রী ধারণক্ষমতা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা চলছে জাপানে।
আমেরিকা মহাদেশ থেকে শীর্ষ ১০-এর একমাত্র শহর নিউইয়র্ক। এর অবস্থান তালিকার ৬ নম্বরে। লস অ্যাঞ্জেলেস পাঁচ ধাপ এগিয়ে এখন ১৩তম অবস্থানে। পর্যটন পারফরম্যান্সের দিক থেকে বিশ্বে সবার ওপরে আছে অরল্যান্ডো। দেশীয় পর্যটনের বড় চাপ, ইউনিভার্সাল অরল্যান্ডোর নতুন ‘এপিক ইউনিভার্স’ থিম পার্ক, সি ওয়ার্ল্ড ও ডিজনি ওয়ার্ল্ডের বড় উন্নয়ন মিলিয়ে অরল্যান্ডো ছিল চলতি বছরের অন্যতম আকর্ষণ।
আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আগমনের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ব্যাংকক। ইউরো মনিটরের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর শহরটিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ। দ্বিতীয় স্থানে হংকং। এর পর্যটক সংখ্যা ছিল প্রায় ২ কোটি ৩২ লাখ। ২ কোটি ২৭ লাখ পর্যটক নিয়ে তৃতীয় লন্ডন এবং প্রায় ২ কোটি ৪ লাখ পর্যটক নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে জুয়ার নগরী ম্যাকাউ।
২০২৫ সালে পর্যটন প্রবণতায় বড় পরিবর্তন দেখা গেছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহরগুলো এখন শুধু দর্শনার্থীর সংখ্যা নয়, এর সঙ্গে তাদের থাকার মেয়াদ, ব্যয় এবং স্থানীয় পরিবেশ ও সংস্কৃতির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে।
নিরাপত্তা চাহিদা, বাড়তি ভ্রমণ, অতিরিক্ত ভিড় এবং মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক দেশ নতুন প্রবেশ ফি, ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন ব্যবস্থা এবং আরও কড়াকড়ি নীতি বাস্তবায়ন করছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালে ভিসা ও ভ্রমণ ফি বাড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও আগামী বছর নতুন ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে। জাপান ২০২৮ সালের মধ্যে নতুন ভিসা ফি ও ই-অথরাইজেশন ব্যবস্থা চালুর কথা বিবেচনা করছে।
ইউরো মনিটর ইন্টারন্যাশনালের ২০২৫ সালের শীর্ষ ১০ সিটি ডেস্টিনেশন
১. প্যারিস
২. মাদ্রিদ
৩. টোকিও
৪. রোম
৫. মিলান
৬. নিউইয়র্ক
৭. আমস্টারডাম
৮. বার্সেলোনা
৯. সিঙ্গাপুর
১০. সিউল
২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যার ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ শহর
১. ব্যাংকক (৩ কোটি ৩ লাখ)
২. হংকং (২ কোটি ৩২ লাখ)
৩. লন্ডন (২ কোটি ২৭ লাখ)
৪. ম্যাকাউ (২ কোটি ৪ লাখ)
৫. ইস্তাম্বুল (১ কোটি ৯৭ লাখ)
৬. দুবাই (১ কোটি ৯৫ লাখ)
৭. মক্কা (১ কোটি ৮৭ লাখ)
৮. আনাতোলিয়া (১ কোটি ৮৬ লাখ)
৯. প্যারিস (১ কোটি ৮৩ লাখ)
১০. কুয়ালালামপুর (১ কোটি ৭৩ লাখ)
সূত্র: সিএনএন

রোজকার ঘটনা হয়ে উঠছে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু। শুধু কি পানিতে ডুবে! গলায় মার্বেল বা লিচুর বিচি আটকে, বিদ্যুতায়িত হওয়াসহ নানা অঘটনে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশে। রেললাইনের পাশে ছবি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মা-শিশুর মৃত্যু, অটোভ্যানের নিচে পড়েও শিশুরা মারা যাচ্ছে।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। প্রথম কয়েক বছরে শিশুদের মস্তিষ্কের পরিবর্তন হয় খুব দ্রুত। বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের জন্য মোট ৪৫টি পুষ্টি উপাদান চিহ্নিত করেছেন; যেগুলোর মধ্যে...
২৮ মিনিট আগে
রুক্ষ ও শুষ্ক চুল আমাদের সৌন্দর্য ম্লান করে দেয়। এই রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করে চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে দরকার যত্নের। নিয়মিত তেল, হেয়ার প্যাক ও মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্যালন ট্রিটমেন্ট চুল করে মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে আপনার চুলের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী
৬ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার রক্ত গরম। হয়তো ভাবছেন, আপনিই পৃথিবীর একমাত্র ব্যক্তি, যিনি এত দ্রুত এবং এত সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সামান্য দেরি হলেই রেগে গিয়ে এমন কিছু বলে বসতে পারেন, যা পরে লজ্জায় লুকিয়ে ফেলতে চাইবেন। প্রেমিক/প্রেমিকার মনোযোগ পেতে গেলে আজ নিজেকে ‘প্রথম পুরস্কার’ হিসেবে ঘোষণা করতে হতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

রুক্ষ ও শুষ্ক চুল আমাদের সৌন্দর্য ম্লান করে দেয়। এই রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করে চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে দরকার যত্নের। নিয়মিত তেল, হেয়ার প্যাক ও মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্যালন ট্রিটমেন্ট চুল করে মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে আপনার চুলের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট বেছে নিতে হবে।
চুল রুক্ষ হওয়ার কারণ
অতিরিক্ত শ্যাম্পু, হেয়ার ড্রায়ার, কার্লিং আয়রন বা ফ্ল্যাট আয়রনের অতিরিক্ত ব্যবহার, পার্ম বা হেয়ার ডাইয়ের মতো রাসায়নিকের ব্যবহার এবং খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যারোটিন ও বায়োটিনের মতো পুষ্টি উপাদানের অভাব, চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কতার প্রধান কারণ।
চুল মসৃণ ও প্রাণবন্ত রাখতে জেনে নিন কয়েকটি স্যালন ট্রিটমেন্ট।

সিস্টেইন ট্রিটমেন্ট
এই ট্রিটমেন্টে কেরাটিন প্রোটিনে উপস্থিত প্রাকৃতিক অ্যামিনো অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়। প্রথমে চুল ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নেওয়া হয়। এরপর চুলের গোড়া এড়িয়ে সিস্টেইন কমপ্লেক্স প্রয়োগ করে ৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে শেষে ব্লো ড্রাই ও ফ্ল্যাট আয়রন করা হয়। এটি চুলের গভীরে প্রবেশ করে চুল মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে এবং চুলের রুক্ষ ভাব দূর করে। এই ট্রিটমেন্টে চুল অতিরিক্ত স্ট্রেট করা হয় না। ফলে চুলে একটা প্রাকৃতিক ভাব থাকে।
কেরাটিন ট্রিটমেন্ট
এটি রুক্ষ চুলের জন্য একটি সেমি-পারমানেন্ট সমাধান। কেরাটিন, কন্ডিশনার ও রাসায়নিকের মিশ্রণ ব্যবহার করে রুক্ষ এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুল মসৃণ ও প্রাণবন্ত করে তোলা হয়। এই ট্রিটমেন্ট ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং চুলের জট ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়।
হট-অয়েল ট্রিটমেন্ট
চুলে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা দিতে এবং মসৃণ করতে হট-অয়েল ট্রিটমেন্ট খুবই কার্যকর। সাধারণত জলপাই বা নারকেলের তেল হালকা গরম করে ১০ থেকে ২০ মিনিটের জন্য মাথায় ম্যাসাজ করা হয়। তারপর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়। এটি চুলের গভীরে আর্দ্রতা প্রবেশ করিয়ে চুল প্রাণবন্ত করে। এ ট্রিটমেন্ট রুক্ষ চুলের জন্য খুবই উপকারী।
ময়শ্চার ট্রিটমেন্ট
এই হাইড্রেশন থেরাপি চুলের গভীরে ঢুকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও প্রোটিন সরবরাহ করে। এটি চুল শক্তিশালী করে চুলের আগা ফাটা ও ভেঙে যাওয়া রোধে সহায়ক। ময়শ্চার ট্রিটমেন্টে চুলের বাইরের অংশে একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি হয়, যা চুলকে হিটিং টুলসের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
ডিটক্স ট্রিটমেন্ট
চুল ও মাথার ত্বকে জমে থাকা রাসায়নিক এবং বিভিন্ন পণ্যের অবশিষ্টাংশ দূর করতে দরকার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট। এটি মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করে এবং চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এর ফলে চুল নরম ও মসৃণ হয়। ডিটক্স ট্রিটমেন্ট চুলের বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হেয়ার স্পা
চুলের পুষ্টি সরবরাহ এবং নমনীয়তা বাড়ানোর ক্ল্যাসিক উপায় হলো হেয়ার স্পা করা। এতে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার প্যাক ও ক্রিম ব্যবহার করা হয়। একটি ভালো হেয়ার স্পা ট্রিটমেন্ট আপনার চুল মসৃণ করে জটমুক্ত রাখবে। এ ছাড়া কোনো ক্ষতি ছাড়াই চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও সোজা রাখবে। এটি ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত চুল ঠিক রাখে।
টোনিং ট্রিটমেন্ট
যাঁরা চুল রং করেছেন, এই ট্রিটমেন্ট তাঁদের জন্য। এই ট্রিটমেন্টে চুলের রঙের ত্রুটি সংশোধন করে রঙের স্থায়িত্ব বহুগুণে বাড়িয়ে তোলা হয়। এটি চুল বিবর্ণ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা বজায় রাখে।
হেয়ার গ্লসিং ট্রিটমেন্ট
চুল মসৃণ করে আয়নার মতো উজ্জ্বলতা আনতে হেয়ার গ্লসিং ট্রিটমেন্ট সেরা। এটি চুল কালার করার পরে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য করা হয়। এটি চুলের টেক্সচার উন্নত এবং চুলের রুক্ষতা দূর করে।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

রুক্ষ ও শুষ্ক চুল আমাদের সৌন্দর্য ম্লান করে দেয়। এই রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করে চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে দরকার যত্নের। নিয়মিত তেল, হেয়ার প্যাক ও মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্যালন ট্রিটমেন্ট চুল করে মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে আপনার চুলের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট বেছে নিতে হবে।
চুল রুক্ষ হওয়ার কারণ
অতিরিক্ত শ্যাম্পু, হেয়ার ড্রায়ার, কার্লিং আয়রন বা ফ্ল্যাট আয়রনের অতিরিক্ত ব্যবহার, পার্ম বা হেয়ার ডাইয়ের মতো রাসায়নিকের ব্যবহার এবং খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যারোটিন ও বায়োটিনের মতো পুষ্টি উপাদানের অভাব, চুলের রুক্ষতা ও শুষ্কতার প্রধান কারণ।
চুল মসৃণ ও প্রাণবন্ত রাখতে জেনে নিন কয়েকটি স্যালন ট্রিটমেন্ট।

সিস্টেইন ট্রিটমেন্ট
এই ট্রিটমেন্টে কেরাটিন প্রোটিনে উপস্থিত প্রাকৃতিক অ্যামিনো অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়। প্রথমে চুল ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নেওয়া হয়। এরপর চুলের গোড়া এড়িয়ে সিস্টেইন কমপ্লেক্স প্রয়োগ করে ৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে শেষে ব্লো ড্রাই ও ফ্ল্যাট আয়রন করা হয়। এটি চুলের গভীরে প্রবেশ করে চুল মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে এবং চুলের রুক্ষ ভাব দূর করে। এই ট্রিটমেন্টে চুল অতিরিক্ত স্ট্রেট করা হয় না। ফলে চুলে একটা প্রাকৃতিক ভাব থাকে।
কেরাটিন ট্রিটমেন্ট
এটি রুক্ষ চুলের জন্য একটি সেমি-পারমানেন্ট সমাধান। কেরাটিন, কন্ডিশনার ও রাসায়নিকের মিশ্রণ ব্যবহার করে রুক্ষ এবং ক্ষতিগ্রস্ত চুল মসৃণ ও প্রাণবন্ত করে তোলা হয়। এই ট্রিটমেন্ট ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং চুলের জট ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়।
হট-অয়েল ট্রিটমেন্ট
চুলে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা দিতে এবং মসৃণ করতে হট-অয়েল ট্রিটমেন্ট খুবই কার্যকর। সাধারণত জলপাই বা নারকেলের তেল হালকা গরম করে ১০ থেকে ২০ মিনিটের জন্য মাথায় ম্যাসাজ করা হয়। তারপর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়। এটি চুলের গভীরে আর্দ্রতা প্রবেশ করিয়ে চুল প্রাণবন্ত করে। এ ট্রিটমেন্ট রুক্ষ চুলের জন্য খুবই উপকারী।
ময়শ্চার ট্রিটমেন্ট
এই হাইড্রেশন থেরাপি চুলের গভীরে ঢুকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও প্রোটিন সরবরাহ করে। এটি চুল শক্তিশালী করে চুলের আগা ফাটা ও ভেঙে যাওয়া রোধে সহায়ক। ময়শ্চার ট্রিটমেন্টে চুলের বাইরের অংশে একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি হয়, যা চুলকে হিটিং টুলসের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
ডিটক্স ট্রিটমেন্ট
চুল ও মাথার ত্বকে জমে থাকা রাসায়নিক এবং বিভিন্ন পণ্যের অবশিষ্টাংশ দূর করতে দরকার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট। এটি মাথার ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করে এবং চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এর ফলে চুল নরম ও মসৃণ হয়। ডিটক্স ট্রিটমেন্ট চুলের বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হেয়ার স্পা
চুলের পুষ্টি সরবরাহ এবং নমনীয়তা বাড়ানোর ক্ল্যাসিক উপায় হলো হেয়ার স্পা করা। এতে বিভিন্ন ধরনের হেয়ার প্যাক ও ক্রিম ব্যবহার করা হয়। একটি ভালো হেয়ার স্পা ট্রিটমেন্ট আপনার চুল মসৃণ করে জটমুক্ত রাখবে। এ ছাড়া কোনো ক্ষতি ছাড়াই চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও সোজা রাখবে। এটি ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ পর্যন্ত চুল ঠিক রাখে।
টোনিং ট্রিটমেন্ট
যাঁরা চুল রং করেছেন, এই ট্রিটমেন্ট তাঁদের জন্য। এই ট্রিটমেন্টে চুলের রঙের ত্রুটি সংশোধন করে রঙের স্থায়িত্ব বহুগুণে বাড়িয়ে তোলা হয়। এটি চুল বিবর্ণ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং উজ্জ্বলতা ও মসৃণতা বজায় রাখে।
হেয়ার গ্লসিং ট্রিটমেন্ট
চুল মসৃণ করে আয়নার মতো উজ্জ্বলতা আনতে হেয়ার গ্লসিং ট্রিটমেন্ট সেরা। এটি চুল কালার করার পরে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য করা হয়। এটি চুলের টেক্সচার উন্নত এবং চুলের রুক্ষতা দূর করে।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

রোজকার ঘটনা হয়ে উঠছে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু। শুধু কি পানিতে ডুবে! গলায় মার্বেল বা লিচুর বিচি আটকে, বিদ্যুতায়িত হওয়াসহ নানা অঘটনে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশে। রেললাইনের পাশে ছবি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মা-শিশুর মৃত্যু, অটোভ্যানের নিচে পড়েও শিশুরা মারা যাচ্ছে।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। প্রথম কয়েক বছরে শিশুদের মস্তিষ্কের পরিবর্তন হয় খুব দ্রুত। বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের জন্য মোট ৪৫টি পুষ্টি উপাদান চিহ্নিত করেছেন; যেগুলোর মধ্যে...
২৮ মিনিট আগে
বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকার শীর্ষে আবারও প্যারিস। ২০২৫ সালে শুধু এই শহরে ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছে। পরপর পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকায় প্রথম স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। ডেটা অ্যানালিটিক প্রতিষ্ঠান ইউরো মনিটর...
৩ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার রক্ত গরম। হয়তো ভাবছেন, আপনিই পৃথিবীর একমাত্র ব্যক্তি, যিনি এত দ্রুত এবং এত সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সামান্য দেরি হলেই রেগে গিয়ে এমন কিছু বলে বসতে পারেন, যা পরে লজ্জায় লুকিয়ে ফেলতে চাইবেন। প্রেমিক/প্রেমিকার মনোযোগ পেতে গেলে আজ নিজেকে ‘প্রথম পুরস্কার’ হিসেবে ঘোষণা করতে হতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার রক্ত গরম। হয়তো ভাবছেন, আপনিই পৃথিবীর একমাত্র ব্যক্তি, যিনি এত দ্রুত এবং এত সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সামান্য দেরি হলেই রেগে গিয়ে এমন কিছু বলে বসতে পারেন, যা পরে লজ্জায় লুকিয়ে ফেলতে চাইবেন। প্রেমিক/প্রেমিকার মনোযোগ পেতে গেলে আজ নিজেকে ‘প্রথম পুরস্কার’ হিসেবে ঘোষণা করতে হতে পারে। মসলাদার খাবার একদম না। তবে বিশেষ করে যদি স্ত্রী/স্বামী নিজের হাতে তা রাঁধেন, মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। হজমের চাইতে ঝগড়া আটকানো বেশি জরুরি।
বৃষ
টাকা আজ আপনার পকেটেই আসবে, কিন্তু বিলাসী মন সেই টাকাকে সোজা একটা দামি কফি বা একটা অতিরিক্ত ক্রিস্পি ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের দিকে নিয়ে যাবে। হ্যাঁ, আপনি টাকা বাঁচাতে পারেন, কিন্তু কেন? পুরোনো একটি বিনিয়োগ থেকে অপ্রত্যাশিত লাভ হতে পারে। জীবনসঙ্গী আজ আপনার প্রিয় বিস্কুট বা চিপসের প্যাকেটটি গোপনে শেষ করে দেবেন। প্রতিশোধ নিতে যাবেন না, শান্তি বজায় রাখুন। কচ্ছপ ও খরগোশের গল্পটা মনে রাখুন। কিন্তু আপনি রেসের শেষে কফিটা হাতে না পেলে রেগে যাবেন।
মিথুন
আজ আপনার মনে পাঁচটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া আসবে, তিনটি নতুন ভাষা শেখার ইচ্ছা হবে এবং সঙ্গে পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া করার একটা তাগিদ অনুভব করবেন। এত দ্রুত কথা বলবেন যে শ্রোতা ভাববে, তাদের ইন্টারনেট কানেকশন স্লো হয়ে গেছে। ফোনটি আজ আপনাকে বারবার মনে করিয়ে দেবে যে এটি একটি ‘যোগাযোগের মাধ্যম’, ‘চিন্তা করার মাধ্যম’ নয়। অটোরিকশা বা বাসের চালক আজ হঠাৎ আপনাকে জীবনের গভীরতম সত্য বোঝানোর চেষ্টা করতে পারেন। ভাড়া দিয়ে চুপচাপ নেমে পড়ুন। আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটা কয়েন টস করুন। এতেও যদি মন স্থির না হয়, তবে টস করাই বন্ধ করে দিন।
কর্কট
আজ মেজাজ রোলার-কোস্টারের মতো। সকালে হয়তো পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে কেঁদে ফেলবেন, আর সন্ধ্যায় কোনো পুরোনো মিম মনে পড়ে খিলখিল করে হাসবেন। মনে হবে ঘরটাই আপনার একমাত্র সুরক্ষিত স্থান—যেখানে নিরাপদে নোংরা প্লেটের পাহাড় তৈরি করতে পারেন। আজ মায়ের বা শাশুড়ির কাছে আপনি পৃথিবীর সেরা সন্তান, যদি নিজেই ব্রেকফাস্টটা তৈরি করে দেন। অফিস থেকে তাড়াতাড়ি পালাতে পারলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন। তবে যাওয়ার আগে মনিটরের ওপর একটা মিষ্টি হাসি রেখে যান। আজ আলুভাজা (ফ্রেঞ্চ ফ্রাই) খেতেই পারেন। কারণ, আলু দেখলেই আপনার ঘরের প্রতি প্রেম উপচে পড়ে।
সিংহ
লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন! আজ আপনার দিন। আপনি চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক, আপনার কথা শুনুক এবং আপনার নতুন হেয়ারস্টাইলের প্রশংসা করুক। তবে সমস্যা হলো, এক সহকর্মী আপনার পুরোনো আইডিয়াটাকেই নতুন বলে চালানোর চেষ্টা করবে। এতে মেজাজ খারাপ হবে। বসকে খুশি করতে গিয়ে বাড়তি কাজ নিয়ে নেবেন না, যেটা শেষমেশ নিজেকেই করতে হবে। প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার সময় দয়া করে ‘আমি, আমি, আমি’ এড়িয়ে চলুন। একটু ‘তুমি’ বলুন, সম্পর্ক ভালো থাকবে। আজ উজ্জ্বল হলুদ বা কমলা পরুন। কারণ, গ্রহরা চায় আপনি যেন সবার চোখে পড়েন, পাছে কেউ আপনাকে মিস না করে!
কন্যা
আজ আপনার জীবনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে—আলমারিতে রাখা কাপড়গুলো কেন ঠিকঠাক ভাঁজ করা নেই! পাঁচবার ঘর পরিষ্কার করবেন এবং ষষ্ঠবারের সময় দেখবেন, প্রথমবার যেখানে ধুলা ছিল, ঠিক সেখানেই আবার ধুলো জমেছে। কাজের চাপে স্বাস্থ্য আজ তেমন খারাপ হবে না, কিন্তু কি-বোর্ডের ‘Ctrl’ বাটনটি ঠিক জায়গায় আছে কি না, এই নিয়ে স্ট্রেস হতে পারে। ছোট ছোট জিনিস, যেমন একটা নতুন কলম, কেনার সময়ও আপনি গুগলে রিভিউ চেক করবেন। এত সাবধানী কেন বাপু? আপনি এত বেশি বুদ্ধিমান যে সাধারণ মানুষ আপনার কথায় অর্ধেক সময় কেবল মাথা নাড়বে। কারণ, তারা কিছুই বুঝবে না।
তুলা
আজ সিদ্ধান্ত নিতে গেলে গন্ডগোল পাকবে। টিভিতে কী দেখবেন, কী খাবেন, এমনকি কোন দিকে তাকাবেন—এই নিয়েও আপনি দ্বিধায় পড়বেন। তবে মজার বিষয় হলো, আপনি খুব সহজে বন্ধু বা সহকর্মীদের ঝগড়া মিটিয়ে দেবেন। আজ হয়তো আপনি দুটি কবুতরের লড়াই মিটিয়ে দিতে পারেন, যারা ঠিক করতে পারছে না যে কোন জায়গায় তারা বসবে। জীবনসঙ্গী আপনাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, ‘তুমি কি ভালোবাস?’ আপনি উত্তর দেবেন, ‘দুটিই!’ অর্থাৎ ভালোবাসা এবং স্বাধীনতা, দুটিই আপনার চাই! সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক বা না হোক, আপনার সেলফিটা নিখুঁত হওয়া চাই।
বৃশ্চিক
আজ আপনি রহস্যময় এবং তীব্র! আপনার নীরবতা দেখে সবাই ভাববে আপনি হয়তো কোনো গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু আসল কথা হলো, আপনি স্রেফ ভুলে গেছেন যে কী বলতে চেয়েছিলেন। সঙ্গীকে অতিরিক্ত প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকুন। তারা গত সপ্তাহে কার সঙ্গে লাঞ্চ করেছিলেন, সেই রহস্য সমাধান করার চেষ্টা করবেন না। আপনার তীব্র ভালোবাসা আজ একটু ‘কুল’ থাকুক। আপনার সহকর্মী ভাববে আপনি তাদের দিকে এমনভাবে তাকাচ্ছেন যেন তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন। আসলে আপনি ভাবছেন, তাদের শার্টটা আয়রন করা নেই কেন! আপনার ভেতরের শক্তি আজ আপনাকে দিয়ে এমন কাজ করিয়ে নেবে, যা আপনার করার কথা ছিল না।
ধনু
অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মন আজ আপনাকে ঘর থেকে বের করে এক বিশাল ভ্রমণে যেতে উৎসাহিত করবে। হয়তো পাসপোর্ট হাতে নেবেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনার ভ্রমণ কেবল বিছানা থেকে ফ্রিজ এবং ফ্রিজ থেকে সোফার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। জীবন যে কত ছোট, সেই বিষয়ে আপনি গভীর জ্ঞান লাভ করবেন। বিশেষত যখন দেখবেন, পিৎজা ডেলিভারিটা আসতে কত সময় লাগে। অনেক টাকা খরচ করার পর উপলব্ধি করবেন—অভিজ্ঞতা কেনা যায় না, কিন্তু ভালো চাউমিন তো কেনা যায়! সবকিছুর শেষে আপনি নিশ্চিত, কাল সকালেই জিমে যাবেন। গ্রহ-নক্ষত্র এই মিথ্যাটাকে সমর্থন করে না।
মকর
আজ ১০ মিনিটের জন্য আরাম করলেই মনে হবে—‘ওহ মাই গড, আমি তো জাতির সঙ্গে বেইমানি করলাম!’ কাজে ডুবে থাকা আপনার স্বভাব, কিন্তু আজ গ্রহরা চাচ্ছে একটু চা বা কফি নিয়ে বসুন।
সহকর্মীকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন যে ছুটির দিনও কাজ করা একধরনের ‘স্বেচ্ছাসেবী আত্ম-উন্নয়ন’। নতুন কোনো বিনিয়োগের সুযোগ আসবে। সেই সুযোগটা হবে এমন একটা জিনিস কেনা, যেটা আপনার দরকার নেই, কিন্তু মনে করবেন যে এটা আপনার ভবিষ্যতের জন্য ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’। পুরোনো ডায়েরি খুলে দেখুন, সেখানে আজ কী কাজ করার কথা লেখা ছিল। দেখবেন, সেই কাজটা গতকালই শেষ করে ফেলেছেন।
কুম্ভ
আজ নিজেকে একজন বিপ্লবী, একজন চিন্তাবিদ বা একজন সমাজসংস্কারক মনে করবেন। আজকের প্রধান বিপ্লব হবে, কেন ওয়াইফাইয়ের স্পিড এত স্লো! সবচেয়ে বড় চিন্তা হবে, ‘পৃথিবীর সব লোক কি বোকা? আমি ছাড়া?’ আপনি আজ ভার্চুয়াল মিটিংয়ে নিচের অংশে পায়জামা পরে বসবেন, কিন্তু মনে মনে ভাববেন—আপনিই এই পৃথিবীর সেরা ফ্যাশন আইকন। একজন বন্ধু আজ আপনার অদ্ভুত আইডিয়াগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনবে, কিন্তু মনে মনে ভাববে, ‘এটা আবার কী বলল!’ পুরোনো কাজগুলোকে নতুন মোড়কে পরিবেশন করার চেষ্টা করবেন; যেমন ডাল-ভাতকে ‘ফিউশন কুইজিন’ বলে চালিয়ে দেওয়া।
মীন
আপনার মাথা আজ মেঘের ওপরে। হয়তো ক্লাসের মাঝে বা মিটিংয়ের মাঝে হঠাৎ করে এমন এক স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন, যেখানে একটি কথা বলা মাছ আপনাকে জীবন নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। বেলা ৩টার মিটিংয়ে দয়া করে ঘুমিয়ে পড়বেন না। নোট নেওয়ার ভান করে কাগজে আঁকিবুঁকি কাটুন। প্রেমিক/প্রেমিকা আপনাকে একটা রিয়েলিটি চেক দিতে পারে। তাতে দুঃখ না পেয়ে বলুন, ‘আমার স্বপ্ন জগতে এর উত্তর আছে!’ আজ কোনো বন্ধু এসে আপনার কাছে ধার চাইতে পারে। ‘নেই’ বলাটা আপনার জন্য কঠিন, তাই ব্যাংক ব্যালেন্সকে আজ ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত’ হিসেবে ঘোষণা করুন। ভয় পাবেন না!

মেষ
আজ আপনার রক্ত গরম। হয়তো ভাবছেন, আপনিই পৃথিবীর একমাত্র ব্যক্তি, যিনি এত দ্রুত এবং এত সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সামান্য দেরি হলেই রেগে গিয়ে এমন কিছু বলে বসতে পারেন, যা পরে লজ্জায় লুকিয়ে ফেলতে চাইবেন। প্রেমিক/প্রেমিকার মনোযোগ পেতে গেলে আজ নিজেকে ‘প্রথম পুরস্কার’ হিসেবে ঘোষণা করতে হতে পারে। মসলাদার খাবার একদম না। তবে বিশেষ করে যদি স্ত্রী/স্বামী নিজের হাতে তা রাঁধেন, মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। হজমের চাইতে ঝগড়া আটকানো বেশি জরুরি।
বৃষ
টাকা আজ আপনার পকেটেই আসবে, কিন্তু বিলাসী মন সেই টাকাকে সোজা একটা দামি কফি বা একটা অতিরিক্ত ক্রিস্পি ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের দিকে নিয়ে যাবে। হ্যাঁ, আপনি টাকা বাঁচাতে পারেন, কিন্তু কেন? পুরোনো একটি বিনিয়োগ থেকে অপ্রত্যাশিত লাভ হতে পারে। জীবনসঙ্গী আজ আপনার প্রিয় বিস্কুট বা চিপসের প্যাকেটটি গোপনে শেষ করে দেবেন। প্রতিশোধ নিতে যাবেন না, শান্তি বজায় রাখুন। কচ্ছপ ও খরগোশের গল্পটা মনে রাখুন। কিন্তু আপনি রেসের শেষে কফিটা হাতে না পেলে রেগে যাবেন।
মিথুন
আজ আপনার মনে পাঁচটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া আসবে, তিনটি নতুন ভাষা শেখার ইচ্ছা হবে এবং সঙ্গে পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া করার একটা তাগিদ অনুভব করবেন। এত দ্রুত কথা বলবেন যে শ্রোতা ভাববে, তাদের ইন্টারনেট কানেকশন স্লো হয়ে গেছে। ফোনটি আজ আপনাকে বারবার মনে করিয়ে দেবে যে এটি একটি ‘যোগাযোগের মাধ্যম’, ‘চিন্তা করার মাধ্যম’ নয়। অটোরিকশা বা বাসের চালক আজ হঠাৎ আপনাকে জীবনের গভীরতম সত্য বোঝানোর চেষ্টা করতে পারেন। ভাড়া দিয়ে চুপচাপ নেমে পড়ুন। আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটা কয়েন টস করুন। এতেও যদি মন স্থির না হয়, তবে টস করাই বন্ধ করে দিন।
কর্কট
আজ মেজাজ রোলার-কোস্টারের মতো। সকালে হয়তো পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে কেঁদে ফেলবেন, আর সন্ধ্যায় কোনো পুরোনো মিম মনে পড়ে খিলখিল করে হাসবেন। মনে হবে ঘরটাই আপনার একমাত্র সুরক্ষিত স্থান—যেখানে নিরাপদে নোংরা প্লেটের পাহাড় তৈরি করতে পারেন। আজ মায়ের বা শাশুড়ির কাছে আপনি পৃথিবীর সেরা সন্তান, যদি নিজেই ব্রেকফাস্টটা তৈরি করে দেন। অফিস থেকে তাড়াতাড়ি পালাতে পারলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন। তবে যাওয়ার আগে মনিটরের ওপর একটা মিষ্টি হাসি রেখে যান। আজ আলুভাজা (ফ্রেঞ্চ ফ্রাই) খেতেই পারেন। কারণ, আলু দেখলেই আপনার ঘরের প্রতি প্রেম উপচে পড়ে।
সিংহ
লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন! আজ আপনার দিন। আপনি চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক, আপনার কথা শুনুক এবং আপনার নতুন হেয়ারস্টাইলের প্রশংসা করুক। তবে সমস্যা হলো, এক সহকর্মী আপনার পুরোনো আইডিয়াটাকেই নতুন বলে চালানোর চেষ্টা করবে। এতে মেজাজ খারাপ হবে। বসকে খুশি করতে গিয়ে বাড়তি কাজ নিয়ে নেবেন না, যেটা শেষমেশ নিজেকেই করতে হবে। প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলার সময় দয়া করে ‘আমি, আমি, আমি’ এড়িয়ে চলুন। একটু ‘তুমি’ বলুন, সম্পর্ক ভালো থাকবে। আজ উজ্জ্বল হলুদ বা কমলা পরুন। কারণ, গ্রহরা চায় আপনি যেন সবার চোখে পড়েন, পাছে কেউ আপনাকে মিস না করে!
কন্যা
আজ আপনার জীবনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে—আলমারিতে রাখা কাপড়গুলো কেন ঠিকঠাক ভাঁজ করা নেই! পাঁচবার ঘর পরিষ্কার করবেন এবং ষষ্ঠবারের সময় দেখবেন, প্রথমবার যেখানে ধুলা ছিল, ঠিক সেখানেই আবার ধুলো জমেছে। কাজের চাপে স্বাস্থ্য আজ তেমন খারাপ হবে না, কিন্তু কি-বোর্ডের ‘Ctrl’ বাটনটি ঠিক জায়গায় আছে কি না, এই নিয়ে স্ট্রেস হতে পারে। ছোট ছোট জিনিস, যেমন একটা নতুন কলম, কেনার সময়ও আপনি গুগলে রিভিউ চেক করবেন। এত সাবধানী কেন বাপু? আপনি এত বেশি বুদ্ধিমান যে সাধারণ মানুষ আপনার কথায় অর্ধেক সময় কেবল মাথা নাড়বে। কারণ, তারা কিছুই বুঝবে না।
তুলা
আজ সিদ্ধান্ত নিতে গেলে গন্ডগোল পাকবে। টিভিতে কী দেখবেন, কী খাবেন, এমনকি কোন দিকে তাকাবেন—এই নিয়েও আপনি দ্বিধায় পড়বেন। তবে মজার বিষয় হলো, আপনি খুব সহজে বন্ধু বা সহকর্মীদের ঝগড়া মিটিয়ে দেবেন। আজ হয়তো আপনি দুটি কবুতরের লড়াই মিটিয়ে দিতে পারেন, যারা ঠিক করতে পারছে না যে কোন জায়গায় তারা বসবে। জীবনসঙ্গী আপনাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, ‘তুমি কি ভালোবাস?’ আপনি উত্তর দেবেন, ‘দুটিই!’ অর্থাৎ ভালোবাসা এবং স্বাধীনতা, দুটিই আপনার চাই! সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হোক বা না হোক, আপনার সেলফিটা নিখুঁত হওয়া চাই।
বৃশ্চিক
আজ আপনি রহস্যময় এবং তীব্র! আপনার নীরবতা দেখে সবাই ভাববে আপনি হয়তো কোনো গভীর ষড়যন্ত্র করছেন। কিন্তু আসল কথা হলো, আপনি স্রেফ ভুলে গেছেন যে কী বলতে চেয়েছিলেন। সঙ্গীকে অতিরিক্ত প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকুন। তারা গত সপ্তাহে কার সঙ্গে লাঞ্চ করেছিলেন, সেই রহস্য সমাধান করার চেষ্টা করবেন না। আপনার তীব্র ভালোবাসা আজ একটু ‘কুল’ থাকুক। আপনার সহকর্মী ভাববে আপনি তাদের দিকে এমনভাবে তাকাচ্ছেন যেন তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন। আসলে আপনি ভাবছেন, তাদের শার্টটা আয়রন করা নেই কেন! আপনার ভেতরের শক্তি আজ আপনাকে দিয়ে এমন কাজ করিয়ে নেবে, যা আপনার করার কথা ছিল না।
ধনু
অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মন আজ আপনাকে ঘর থেকে বের করে এক বিশাল ভ্রমণে যেতে উৎসাহিত করবে। হয়তো পাসপোর্ট হাতে নেবেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আপনার ভ্রমণ কেবল বিছানা থেকে ফ্রিজ এবং ফ্রিজ থেকে সোফার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। জীবন যে কত ছোট, সেই বিষয়ে আপনি গভীর জ্ঞান লাভ করবেন। বিশেষত যখন দেখবেন, পিৎজা ডেলিভারিটা আসতে কত সময় লাগে। অনেক টাকা খরচ করার পর উপলব্ধি করবেন—অভিজ্ঞতা কেনা যায় না, কিন্তু ভালো চাউমিন তো কেনা যায়! সবকিছুর শেষে আপনি নিশ্চিত, কাল সকালেই জিমে যাবেন। গ্রহ-নক্ষত্র এই মিথ্যাটাকে সমর্থন করে না।
মকর
আজ ১০ মিনিটের জন্য আরাম করলেই মনে হবে—‘ওহ মাই গড, আমি তো জাতির সঙ্গে বেইমানি করলাম!’ কাজে ডুবে থাকা আপনার স্বভাব, কিন্তু আজ গ্রহরা চাচ্ছে একটু চা বা কফি নিয়ে বসুন।
সহকর্মীকে বোঝানোর চেষ্টা করবেন যে ছুটির দিনও কাজ করা একধরনের ‘স্বেচ্ছাসেবী আত্ম-উন্নয়ন’। নতুন কোনো বিনিয়োগের সুযোগ আসবে। সেই সুযোগটা হবে এমন একটা জিনিস কেনা, যেটা আপনার দরকার নেই, কিন্তু মনে করবেন যে এটা আপনার ভবিষ্যতের জন্য ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’। পুরোনো ডায়েরি খুলে দেখুন, সেখানে আজ কী কাজ করার কথা লেখা ছিল। দেখবেন, সেই কাজটা গতকালই শেষ করে ফেলেছেন।
কুম্ভ
আজ নিজেকে একজন বিপ্লবী, একজন চিন্তাবিদ বা একজন সমাজসংস্কারক মনে করবেন। আজকের প্রধান বিপ্লব হবে, কেন ওয়াইফাইয়ের স্পিড এত স্লো! সবচেয়ে বড় চিন্তা হবে, ‘পৃথিবীর সব লোক কি বোকা? আমি ছাড়া?’ আপনি আজ ভার্চুয়াল মিটিংয়ে নিচের অংশে পায়জামা পরে বসবেন, কিন্তু মনে মনে ভাববেন—আপনিই এই পৃথিবীর সেরা ফ্যাশন আইকন। একজন বন্ধু আজ আপনার অদ্ভুত আইডিয়াগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনবে, কিন্তু মনে মনে ভাববে, ‘এটা আবার কী বলল!’ পুরোনো কাজগুলোকে নতুন মোড়কে পরিবেশন করার চেষ্টা করবেন; যেমন ডাল-ভাতকে ‘ফিউশন কুইজিন’ বলে চালিয়ে দেওয়া।
মীন
আপনার মাথা আজ মেঘের ওপরে। হয়তো ক্লাসের মাঝে বা মিটিংয়ের মাঝে হঠাৎ করে এমন এক স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন, যেখানে একটি কথা বলা মাছ আপনাকে জীবন নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। বেলা ৩টার মিটিংয়ে দয়া করে ঘুমিয়ে পড়বেন না। নোট নেওয়ার ভান করে কাগজে আঁকিবুঁকি কাটুন। প্রেমিক/প্রেমিকা আপনাকে একটা রিয়েলিটি চেক দিতে পারে। তাতে দুঃখ না পেয়ে বলুন, ‘আমার স্বপ্ন জগতে এর উত্তর আছে!’ আজ কোনো বন্ধু এসে আপনার কাছে ধার চাইতে পারে। ‘নেই’ বলাটা আপনার জন্য কঠিন, তাই ব্যাংক ব্যালেন্সকে আজ ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত’ হিসেবে ঘোষণা করুন। ভয় পাবেন না!

রোজকার ঘটনা হয়ে উঠছে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু। শুধু কি পানিতে ডুবে! গলায় মার্বেল বা লিচুর বিচি আটকে, বিদ্যুতায়িত হওয়াসহ নানা অঘটনে শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশে। রেললাইনের পাশে ছবি তোলার সময় ট্রেনের ধাক্কায় মা-শিশুর মৃত্যু, অটোভ্যানের নিচে পড়েও শিশুরা মারা যাচ্ছে।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা এবং স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খাবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। প্রথম কয়েক বছরে শিশুদের মস্তিষ্কের পরিবর্তন হয় খুব দ্রুত। বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের জন্য মোট ৪৫টি পুষ্টি উপাদান চিহ্নিত করেছেন; যেগুলোর মধ্যে...
২৮ মিনিট আগে
বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকার শীর্ষে আবারও প্যারিস। ২০২৫ সালে শুধু এই শহরে ১ কোটি ৮০ লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছে। পরপর পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের তালিকায় প্রথম স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস। ডেটা অ্যানালিটিক প্রতিষ্ঠান ইউরো মনিটর...
৩ ঘণ্টা আগে
রুক্ষ ও শুষ্ক চুল আমাদের সৌন্দর্য ম্লান করে দেয়। এই রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করে চুলের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনতে দরকার যত্নের। নিয়মিত তেল, হেয়ার প্যাক ও মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্যালন ট্রিটমেন্ট চুল করে মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শে আপনার চুলের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী
৬ ঘণ্টা আগে