সানজিদা সামরিন
ত্বকে মেকআপ বোলানোর ব্যাপারে একেবারেই যাঁরা উদাসীন, তাঁদের ড্রেসিং টেবিলেও যত্নে রাখা থাকে সাধের সাজ বাক্সটি। রোজ না হলেও বিশেষ দিনে খানিক মেকআপ করতে ভুল হয় না এতটুকু। কিন্তু মেকআপের বেলায় কালের ধারা বইতে গিয়ে ব্যক্তিত্বের অনিষ্ট যাতে না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ মেকআপ এমন হওয়া প্রয়োজন, যা আমাদের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলবে। শারমিন কচি বলেন, ‘ব্যক্তিত্ব, বয়স, পেশা, রুচি– সবকিছু ফুটে ওঠে এমন মেকআপ করা উচিত। সবার আগে ভাবতে হবে নিজের সঙ্গে কী মানিয়ে যায় আর কোনটা অতিমাত্রার হয়ে দাঁড়ায়। যেমন অফিসে ভারী মেকআপ করে আসাটা সংগত নয় আবার অনুষ্ঠানেও এমন কড়া মেকআপ করা উচিত নয়, যা নিজস্বতাকে ছাপিয়ে যায়।’
বয়সটা ১০ থেকে ১২ ছুঁই
এই বয়সটা এমনিই সুন্দর। এ সময় ত্বক খুব সুন্দর, মসৃণ ও নমনীয় থাকে বলে ‘নো মেকআপ লুক’ই জুতসই। তবে বেড়াতে যাওয়ার সময় বা অনুষ্ঠান থাকলে মুখে হালকা পাউডার লাগিয়ে, হালকা রঙের রঙিন চ্যাপস্টিক বা হালকা রঙের লিপস্টিক লাগিয়ে দেওয়া যেতে পারে। চাইলে চিকন করে চোখের পাতায় আইলাইনার টেনে দেওয়া যায়, তবে না দিলে আরও ভালো। কারণ এই বয়সের সাজ যত কম হয় ততই ভালো, এতে শিশুসুলভ সৌষ্ঠব বজায় থাকে।
টিপটপ টিন
উঠতি বয়সে নিজেদের লুকের ব্যাপারে মেয়েরা সচেতন হতে শুরু করে। তবে বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরীদের ত্বকে র্যাশ, ব্রণসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় বলে খুব বেশি মেকআপ করা যাবে না। ত্বকের ধরন অনুযায়ী খুব হালকা মেকআপ করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ত্বকে প্রাইমার লাগিয়ে তার ওপর ফেস পাউডার বেস করে গালে স্কিন কালারের মতো হালকা ব্লাশন বুলিয়ে নিলে সুন্দর
দেখাবে। চাইলে টি জোনে হালকা করে হাইলাইটার লাগানো যায়। আর অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় চোখের পাপড়িতে ঘন করে মাশকারা লাগাতে হবে ও ঠোঁটে লাগানো যেতে পারে হালকা রঙের লিপস্টিক। অতিরিক্ত সাজ এই বয়সের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে দিতে পারে।
ফিটফাট ২০-৩৫
এই বয়সের নারীরা কোন ধরনের মেকআপ করবেন তা নির্ভর করছে তাঁদের পেশার ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া হলে এক রকম আবার কর্মজীবী হলে আরেক রকম মেকআপ করতে হবে। এখানে প্রতিদিন বের হওয়ার জন্য এক রকম মেকআপ আবার বিশেষ দিনের জন্যও মেকআপটা ভিন্ন হবে। একজন কর্মজীবী নারীকে যেহেতু রোজ অফিসে যেতে হয়, সে ক্ষেত্রে অফিস অ্যাটেয়্যারের সঙ্গে মিলিয়ে ন্যাচারাল মেকআপ নিতে হবে। ত্বকে হালকা বেজ মেকআপ করে চোখে কাজল, আইলাইনার ও মাশকারা দিলেই যথেষ্ট। যদি আইশ্যাডো ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে, সে ক্ষেত্রে চোখে লাগে না এমন হালকা বাদামি আইশ্যাডো লাগানো যেতে পারে।
৩৫-এর পরে সাদরে
এই বয়সের পর ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমতে থাকে। ফলে মেকআপ করার ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত মেকআপ এড়িয়ে চলতে হবে।
এই বয়সে যত হালকা মেকআপ করা যায় ততই স্নিগ্ধ লাগে। সে ক্ষেত্রে লিকুইড বেইজে ভরসা রাখতে হবে। এ সময়ে মেকআপ
করার চেয়ে ত্বকের সুস্থতার দিকে বিশেষ
নজর দিতে হবে। এমন মেকআপই বেছে নিতে হবে, যাতে ব্যক্তিত্ব মেকআপের আড়ালে ঢেকে না যায়।
সামাজিক অনুষ্ঠানে
অনুষ্ঠানের জন্য মেকআপ করার ক্ষেত্রে একটু গাঢ় রংকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। টকটকে লাল ম্যাট লিপস্টিক লাগানো যেতেই পারে। কিন্তু সেটা ক্যারি করতে না পারলে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। লাল রং শক্তি, নেতৃত্ব ও আত্মবিশ্বাসের প্রতিনিধিত্ব করে। আবার লাল রং এড়িয়ে আপনি যদি কালো রঙের আইশ্যাডো চোখের পাতায় ব্যবহার করেন আর ঠোঁটে বুলিয়ে নেন ন্য়ুড শেডের লিপ কালার, তাহলেও কিন্তু বোল্ডনেসের
ঘাটতি থাকবে না।
জেনে রাখা ভালো
মেকআপ করার আগে মুখের ত্বক ভালোভাবে ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে, ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে। ময়েশ্চারাইজার লাগানোর ২-৩ মিনিট পর ত্বকে প্রাইমার লাগাতে হবে। এর কিছুক্ষণ পর হালকা করে ফাউন্ডেশন লাগানো যেতে পারে। আর কেউ যদি ফাউন্ডেশন লাগাতে না চান, তাহলে সরাসরি ফেস পাউডার লাগাতে পারেন প্রাইমারের ওপর। এরপর ব্লাশন, হাইলাইটার ও অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে। একটা কথা মনে রাখা জরুরি, মেকআপ হালকা হোক বা ভারী অবশ্যই সেটিং স্প্রে দিয়ে মেকআপ সেট করে নিতে হবে।
ত্বকে মেকআপ বোলানোর ব্যাপারে একেবারেই যাঁরা উদাসীন, তাঁদের ড্রেসিং টেবিলেও যত্নে রাখা থাকে সাধের সাজ বাক্সটি। রোজ না হলেও বিশেষ দিনে খানিক মেকআপ করতে ভুল হয় না এতটুকু। কিন্তু মেকআপের বেলায় কালের ধারা বইতে গিয়ে ব্যক্তিত্বের অনিষ্ট যাতে না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ মেকআপ এমন হওয়া প্রয়োজন, যা আমাদের ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলবে। শারমিন কচি বলেন, ‘ব্যক্তিত্ব, বয়স, পেশা, রুচি– সবকিছু ফুটে ওঠে এমন মেকআপ করা উচিত। সবার আগে ভাবতে হবে নিজের সঙ্গে কী মানিয়ে যায় আর কোনটা অতিমাত্রার হয়ে দাঁড়ায়। যেমন অফিসে ভারী মেকআপ করে আসাটা সংগত নয় আবার অনুষ্ঠানেও এমন কড়া মেকআপ করা উচিত নয়, যা নিজস্বতাকে ছাপিয়ে যায়।’
বয়সটা ১০ থেকে ১২ ছুঁই
এই বয়সটা এমনিই সুন্দর। এ সময় ত্বক খুব সুন্দর, মসৃণ ও নমনীয় থাকে বলে ‘নো মেকআপ লুক’ই জুতসই। তবে বেড়াতে যাওয়ার সময় বা অনুষ্ঠান থাকলে মুখে হালকা পাউডার লাগিয়ে, হালকা রঙের রঙিন চ্যাপস্টিক বা হালকা রঙের লিপস্টিক লাগিয়ে দেওয়া যেতে পারে। চাইলে চিকন করে চোখের পাতায় আইলাইনার টেনে দেওয়া যায়, তবে না দিলে আরও ভালো। কারণ এই বয়সের সাজ যত কম হয় ততই ভালো, এতে শিশুসুলভ সৌষ্ঠব বজায় থাকে।
টিপটপ টিন
উঠতি বয়সে নিজেদের লুকের ব্যাপারে মেয়েরা সচেতন হতে শুরু করে। তবে বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরীদের ত্বকে র্যাশ, ব্রণসহ নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয় বলে খুব বেশি মেকআপ করা যাবে না। ত্বকের ধরন অনুযায়ী খুব হালকা মেকআপ করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ত্বকে প্রাইমার লাগিয়ে তার ওপর ফেস পাউডার বেস করে গালে স্কিন কালারের মতো হালকা ব্লাশন বুলিয়ে নিলে সুন্দর
দেখাবে। চাইলে টি জোনে হালকা করে হাইলাইটার লাগানো যায়। আর অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় চোখের পাপড়িতে ঘন করে মাশকারা লাগাতে হবে ও ঠোঁটে লাগানো যেতে পারে হালকা রঙের লিপস্টিক। অতিরিক্ত সাজ এই বয়সের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে দিতে পারে।
ফিটফাট ২০-৩৫
এই বয়সের নারীরা কোন ধরনের মেকআপ করবেন তা নির্ভর করছে তাঁদের পেশার ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া হলে এক রকম আবার কর্মজীবী হলে আরেক রকম মেকআপ করতে হবে। এখানে প্রতিদিন বের হওয়ার জন্য এক রকম মেকআপ আবার বিশেষ দিনের জন্যও মেকআপটা ভিন্ন হবে। একজন কর্মজীবী নারীকে যেহেতু রোজ অফিসে যেতে হয়, সে ক্ষেত্রে অফিস অ্যাটেয়্যারের সঙ্গে মিলিয়ে ন্যাচারাল মেকআপ নিতে হবে। ত্বকে হালকা বেজ মেকআপ করে চোখে কাজল, আইলাইনার ও মাশকারা দিলেই যথেষ্ট। যদি আইশ্যাডো ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে, সে ক্ষেত্রে চোখে লাগে না এমন হালকা বাদামি আইশ্যাডো লাগানো যেতে পারে।
৩৫-এর পরে সাদরে
এই বয়সের পর ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমতে থাকে। ফলে মেকআপ করার ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত মেকআপ এড়িয়ে চলতে হবে।
এই বয়সে যত হালকা মেকআপ করা যায় ততই স্নিগ্ধ লাগে। সে ক্ষেত্রে লিকুইড বেইজে ভরসা রাখতে হবে। এ সময়ে মেকআপ
করার চেয়ে ত্বকের সুস্থতার দিকে বিশেষ
নজর দিতে হবে। এমন মেকআপই বেছে নিতে হবে, যাতে ব্যক্তিত্ব মেকআপের আড়ালে ঢেকে না যায়।
সামাজিক অনুষ্ঠানে
অনুষ্ঠানের জন্য মেকআপ করার ক্ষেত্রে একটু গাঢ় রংকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। টকটকে লাল ম্যাট লিপস্টিক লাগানো যেতেই পারে। কিন্তু সেটা ক্যারি করতে না পারলে এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। লাল রং শক্তি, নেতৃত্ব ও আত্মবিশ্বাসের প্রতিনিধিত্ব করে। আবার লাল রং এড়িয়ে আপনি যদি কালো রঙের আইশ্যাডো চোখের পাতায় ব্যবহার করেন আর ঠোঁটে বুলিয়ে নেন ন্য়ুড শেডের লিপ কালার, তাহলেও কিন্তু বোল্ডনেসের
ঘাটতি থাকবে না।
জেনে রাখা ভালো
মেকআপ করার আগে মুখের ত্বক ভালোভাবে ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে, ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে। ময়েশ্চারাইজার লাগানোর ২-৩ মিনিট পর ত্বকে প্রাইমার লাগাতে হবে। এর কিছুক্ষণ পর হালকা করে ফাউন্ডেশন লাগানো যেতে পারে। আর কেউ যদি ফাউন্ডেশন লাগাতে না চান, তাহলে সরাসরি ফেস পাউডার লাগাতে পারেন প্রাইমারের ওপর। এরপর ব্লাশন, হাইলাইটার ও অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে। একটা কথা মনে রাখা জরুরি, মেকআপ হালকা হোক বা ভারী অবশ্যই সেটিং স্প্রে দিয়ে মেকআপ সেট করে নিতে হবে।
সময়টা বর্ষাকাল হলেও গরম পড়ে বেশ ভালোই। এই গরমে অনেকের মাথার ত্বক ঘামে। যাঁদের চুল লম্বা, তাঁদের চুলে ঘাম জমে যায়। এ কারণে দুর্গন্ধের সমস্যা হয়। এর সহজ সমাধান হিসেবে প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করে অনেকে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, রোজ কি চুলে শ্যাম্পু করা উচিত? তা ছাড়া যে নিয়মে শ্যাম্পু করা হচ্ছে, সেটা কি সঠিক?
৫ ঘণ্টা আগেগাজরের রস গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি স্বাস্থ্যের জন্য নানা উপকার বয়ে আনে। যেমন চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি, ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা এবং লিভারের সুরক্ষা।
৭ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত চিনি খাওয়া ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ও দাঁতের সমস্যার মতো নানান রোগ তৈরি করতে পারে। তাই চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। মনে রাখা দরকার, সব ধরনের চিনি শরীরের জন্য সমান ক্ষতিকর নয়।
১৯ ঘণ্টা আগেবিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় আরও এক ধাপ পিছিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, এশীয় দেশগুলোর দাপট বজায় রেখে তালিকায় শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে সিঙ্গাপুর। লন্ডনভিত্তিক সংস্থা হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্স প্রকাশিত এ বছরের ‘হেনলি পাসপোর্ট ইন্ডেক্স’-এ এই চিত্র উঠে এসেছে।
২১ ঘণ্টা আগে