শারমিন কচি
আর কয়েক দিন পরেই ঈদ। কাজের বাড়তি চাপ তো সামলাতে হচ্ছেই, তার ওপর তীব্র গরম। তাই এখন থেকে ত্বকের যত্ন শুরু না করলে ঈদের দিন ম্লান দেখাবে। আর চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, ব্রণ না কমলে ঈদের ঝলমলে পোশাক বা দামি মেকআপেও ভালো দেখাবে না। তাই ঈদের আগের কয়েক দিন ত্বকের ধরন বুঝে যত্ন নিন।
তৈলাক্ত ত্বক
তৈলাক্ত ত্বকে গ্রন্থির আধিক্য থাকে। তাই প্রচুর তেল বের হয়। এ ধরনের ত্বক পরিষ্কার করার কিছুক্ষণ পরই আবার তৈলাক্ত হয়ে যায়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি বেশ উপকারী।
গোলাপজলের সঙ্গে মুলতানি মাটি ও ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য এটি বেশ ভালো একটি মাস্ক। পরিষ্কার মুখে মাস্ক লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। পরে হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। তৈলাক্ত ত্বকে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডস বেশি হয়। তাই নিয়ম করে স্ক্র্যাবিং করুন। চিনি ও মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিন। হালকা ভেজা ত্বকে হাত ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। সপ্তাহে দুবার এই স্ক্র্যাব ব্যবহারে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডসের প্রকোপ কমে যাবে। তবে ব্রণের সমস্যা থাকলে স্ক্র্যাব না করাই ভালো। ব্রণ এড়িয়ে তারপর স্ক্র্যাবিং করতে হবে।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও ঘরোয়া বিভিন্ন উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। শুষ্ক ত্বকে অসময়ে বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি। এ ছাড়া মৃত কোষের স্তরও পড়ে দ্রুত। তাই নিয়মিত যত্ন নিন। আলাদা কোনো আভা না থাকায় এ ধরনের ত্বক প্রাণহীন দেখায়। তাই এমন মাস্ক ব্যবহার করুন, যা ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
দুধের সরের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ ও কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ওপরের দিকে হাত ঘুরিয়ে মালিশ করুন পাঁচ মিনিট। এরপর পানির ঝাপটা দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে এই মিশ্রণ প্রতিদিন ব্যবহার করুন। টানা সাত দিন ব্যবহারে ত্বকের শুষ্ক ভাব অনেকটাই কমে আসবে। যাঁদের শুষ্ক ত্বক, তাঁদের গরমেও সমস্যা হতে পারে। খাদ্যতালিকায় পানি রাখতে হবে, সঙ্গে তরল খাবার। ফলের রস খাবেন। ভিটামিন এ ও ই রয়েছে, এমন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন।
স্বাভাবিক ত্বক
স্বাভাবিক ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর হয়। আর্দ্রতা থাকার কারণে খুব শুষ্ক বা তৈলাক্ত হয় না। তবে এ ধরনের ত্বক বয়সের সঙ্গে শুষ্ক হতে শুরু করে। নরম ব্রাশে সাবান বা ফেসওয়াশ লাগিয়ে ত্বকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে লাগান। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে রক্ত চলাচল খুব ভালো হয়। চোখের চারপাশে কাঠবাদামের তেল লাগাতে পারেন। ত্বকেও কাঠবাদামসমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করুন। পাকা পেঁপে এ ধরনের ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এক টুকরো পাকা পেঁপে নিয়ে সেটা মুখে ও গলায় ঘষে নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কমলা লেবুর খোসারবাটা, কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল, খাঁটি মধু একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখমণ্ডলে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর স্বাভাবিক ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
মসুর ডালবাটা, মধু, কাঁচা দুধ, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে পেস্টের মতো করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে যেহেতু খুব বেশি গরম পড়েছে, তাই সব ধরনের ত্বকের অধিকারীকেই ত্বকের সুস্থতায় প্রচুর পরিমাণে পানি, সালাদ ও তরল খাবার খেতে হবে।
লেখক: রূপবিশেষজ্ঞ ও বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্ত্বাধিকারী
আর কয়েক দিন পরেই ঈদ। কাজের বাড়তি চাপ তো সামলাতে হচ্ছেই, তার ওপর তীব্র গরম। তাই এখন থেকে ত্বকের যত্ন শুরু না করলে ঈদের দিন ম্লান দেখাবে। আর চোখের নিচে কালো দাগ, ত্বকে কালো ছোপ, ব্রণ না কমলে ঈদের ঝলমলে পোশাক বা দামি মেকআপেও ভালো দেখাবে না। তাই ঈদের আগের কয়েক দিন ত্বকের ধরন বুঝে যত্ন নিন।
তৈলাক্ত ত্বক
তৈলাক্ত ত্বকে গ্রন্থির আধিক্য থাকে। তাই প্রচুর তেল বের হয়। এ ধরনের ত্বক পরিষ্কার করার কিছুক্ষণ পরই আবার তৈলাক্ত হয়ে যায়। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি বেশ উপকারী।
গোলাপজলের সঙ্গে মুলতানি মাটি ও ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ও মিশ্র ত্বকের জন্য এটি বেশ ভালো একটি মাস্ক। পরিষ্কার মুখে মাস্ক লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। পরে হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। তৈলাক্ত ত্বকে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডস বেশি হয়। তাই নিয়ম করে স্ক্র্যাবিং করুন। চিনি ও মধু মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিন। হালকা ভেজা ত্বকে হাত ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। সপ্তাহে দুবার এই স্ক্র্যাব ব্যবহারে ব্ল্যাক হেডস ও হোয়াইট হেডসের প্রকোপ কমে যাবে। তবে ব্রণের সমস্যা থাকলে স্ক্র্যাব না করাই ভালো। ব্রণ এড়িয়ে তারপর স্ক্র্যাবিং করতে হবে।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রেও ঘরোয়া বিভিন্ন উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। শুষ্ক ত্বকে অসময়ে বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি। এ ছাড়া মৃত কোষের স্তরও পড়ে দ্রুত। তাই নিয়মিত যত্ন নিন। আলাদা কোনো আভা না থাকায় এ ধরনের ত্বক প্রাণহীন দেখায়। তাই এমন মাস্ক ব্যবহার করুন, যা ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
দুধের সরের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ ও কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ওপরের দিকে হাত ঘুরিয়ে মালিশ করুন পাঁচ মিনিট। এরপর পানির ঝাপটা দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে এই মিশ্রণ প্রতিদিন ব্যবহার করুন। টানা সাত দিন ব্যবহারে ত্বকের শুষ্ক ভাব অনেকটাই কমে আসবে। যাঁদের শুষ্ক ত্বক, তাঁদের গরমেও সমস্যা হতে পারে। খাদ্যতালিকায় পানি রাখতে হবে, সঙ্গে তরল খাবার। ফলের রস খাবেন। ভিটামিন এ ও ই রয়েছে, এমন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন।
স্বাভাবিক ত্বক
স্বাভাবিক ত্বক এমনিতেই মসৃণ ও সুন্দর হয়। আর্দ্রতা থাকার কারণে খুব শুষ্ক বা তৈলাক্ত হয় না। তবে এ ধরনের ত্বক বয়সের সঙ্গে শুষ্ক হতে শুরু করে। নরম ব্রাশে সাবান বা ফেসওয়াশ লাগিয়ে ত্বকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে লাগান। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে রক্ত চলাচল খুব ভালো হয়। চোখের চারপাশে কাঠবাদামের তেল লাগাতে পারেন। ত্বকেও কাঠবাদামসমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করুন। পাকা পেঁপে এ ধরনের ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এক টুকরো পাকা পেঁপে নিয়ে সেটা মুখে ও গলায় ঘষে নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কমলা লেবুর খোসারবাটা, কয়েক ফোঁটা জলপাই তেল, খাঁটি মধু একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখমণ্ডলে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর স্বাভাবিক ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
মসুর ডালবাটা, মধু, কাঁচা দুধ, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে পেস্টের মতো করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে যেহেতু খুব বেশি গরম পড়েছে, তাই সব ধরনের ত্বকের অধিকারীকেই ত্বকের সুস্থতায় প্রচুর পরিমাণে পানি, সালাদ ও তরল খাবার খেতে হবে।
লেখক: রূপবিশেষজ্ঞ ও বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্ত্বাধিকারী
বলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
৩ ঘণ্টা আগেআশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
১২ ঘণ্টা আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
১২ ঘণ্টা আগেঅফিস থেকে ফিরেই যদি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ভেসে ওঠে—দল বেঁধে আজ রাতেই বন্ধুরা আসছে আপনার বাড়িতে। তাহলে সবার আগে ঝাড়ু, মপ, ওয়াইপার খুঁজতেই ছুটতে হয়। ঘরটা অন্তত দেখার মতো তো হওয়া চাই! তাড়াহুড়ো না করে ঝটপট যদি কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া যায়, তাহলেই ঘরটা অতিথিদের আগমনের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে...
১২ ঘণ্টা আগে