অলকানন্দা রায়, ঢাকা

আসছে শীত। শুষ্ক বৈরী আবহাওয়া প্রকৃতির মতো প্রভাব পড়বে শরীর এবং মনেও। মনকে ভালো রাখতে হলে শরীরকেও ভালো রাখতে হবে। শীত মৌসুমে আমরা মুখের যত্ন নিলেও হাত ও পায়ের যত্ন তেমন নিই না। কিন্তু এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকার কারণে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক খসখসে, প্রাণহীন। ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে হলে এ সময় চাই এর ধরন বুঝে সঠিক যত্ন। ভাবনা নেই, উপায় বাতলে দিয়েছেন হারমনি স্পার স্বত্বাধিকারী রাহিমা সুলতানা রীতা।
হাতে ও পায়ের আঙুল, গোড়ালির ত্বক শুষ্কতার কারণে খসখসে মলিন হয়ে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর তাই অবহেলা না করে নিয়মিত হাত পায়ের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। ভুলে গেলে চলবে না যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অতিরঞ্জিত কোনো বিষয় নয়। বরং এটি জীবন যাপনের সঙ্গে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেকেই আছেন হাত পায়ের যত্ন নিয়ে পরিচ্ছন্ন থাকতে চান। কিন্তু জানেন না ঠিক কী ভাবে যত্ন নিতে হবে। তাদের জন্য রইল হাত পায়ের যত্ন নেবার বিশেষ উপায়।
শীতে রোজ গোসল করতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল বা অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিলে শরীর শুষ্ক হবে না এবং কোমল থাকবে। শরীর কোমল রাখতে আধাকাপ টক দই, এক টেবিল চামচ তিলের তেল এবং এক টেবিল চামচ চিনি খুব ভালোভাবে মিশিয়ে হাতে ও পায়ে-পায়ে আলতো ঘষে ঘষে স্ক্রাব করতে হবে পাঁচ থেকে দশ মিনিট। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
হাতের যত্ন
শীতকালে এমনিতেই হাতের অবস্থা খুব ভালো থাকে না। প্রাকৃতিক কারণেই হাতের ত্বক থাকে প্রাণহীন। এ থেকে রক্ষা পেতে চাই বিশেষ যত্ন। এ জন্য যা করতে পারেন, সেগুলো হলো,
⦁ দুই চামচ বেসন, দুই চামচ টক দই, এক চামচ চিনি, আধা চা-চামচ পাতি লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে পুরো হাতে লাগিয়ে নিতে হবে। পনেরো থেকে বিশ মিনিট পর শুকিয়ে টান টান হয়ে এলে ধুয়ে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগিযে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে শীতে হাতের কোমলতা ধরে রাখতে হলে পানি ব্যবহারের কাজ করার পর অবশ্যই হাতে ময়েশ্চারাইজার, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে।
⦁ পেস্তাবাটা দুই চামচ, গুঁড়ো দুধ এক চামচ, মধু দুই চামচ, গোলাপ জল দুই চামচ একটি পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে কনুই থেকে দুই হাতে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
⦁ চালের গুঁড়ো, টক দই, মুলতানি মাটি দুই চামচ করে, কমলার খোসা গুঁড়ো এবং অলিভ অয়েল এক চামচ করে মিশিয়ে দুই হাতে লাগিয়ে নিন। তার আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
পায়ের যত্নে
পায়ের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন একটু বেশিই। কেননা সারা দিন ভর যত চাপ যায় তার বেশির ভাগই পড়ে পায়ের ওপর। আর কে না চায় পরিচ্ছন্ন নরম কোমল পা। পায়ের যত্নে যা ব্যবহার করতে পারেন,
একটি বড় পাত্র ভরে কুসুম গরম পানি নিন। তাতে এক চিমটি লবণ দিতে হবে, এক চা-চামচ কোমল শ্যাম্পু ও এক চা-চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ওই পানিতে আধা ঘণ্টার মতো পা ডুবিয়ে রেখে পরে ঝামা দিয়ে ভালো করে পায়ের গোড়ালি ঘষতে হবে। এতে মরা কোষ উঠে যাবে। তারপর তোয়ালে দিয়ে মুছে নিয়ে লাগাতে হবে প্যাক। যেভাবে প্যাক বানাবেন,
⦁ দুই চামচ করে মুলতানি মাটি, মধু, তরমুজের রস ও ডাবের পানি একটি পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে পুরো পায়ে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
⦁ টক দই নিতে হবে দুই চামচ, সঙ্গে অলিভ অয়েল ও চিনি এক চামচ করে এবং লবণ আধা চা-চামচ নিয়ে এক সঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে আলতো ভাবে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।

আসছে শীত। শুষ্ক বৈরী আবহাওয়া প্রকৃতির মতো প্রভাব পড়বে শরীর এবং মনেও। মনকে ভালো রাখতে হলে শরীরকেও ভালো রাখতে হবে। শীত মৌসুমে আমরা মুখের যত্ন নিলেও হাত ও পায়ের যত্ন তেমন নিই না। কিন্তু এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকার কারণে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক খসখসে, প্রাণহীন। ত্বকের কোমলতা ধরে রাখতে হলে এ সময় চাই এর ধরন বুঝে সঠিক যত্ন। ভাবনা নেই, উপায় বাতলে দিয়েছেন হারমনি স্পার স্বত্বাধিকারী রাহিমা সুলতানা রীতা।
হাতে ও পায়ের আঙুল, গোড়ালির ত্বক শুষ্কতার কারণে খসখসে মলিন হয়ে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর তাই অবহেলা না করে নিয়মিত হাত পায়ের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। ভুলে গেলে চলবে না যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অতিরঞ্জিত কোনো বিষয় নয়। বরং এটি জীবন যাপনের সঙ্গে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অনেকেই আছেন হাত পায়ের যত্ন নিয়ে পরিচ্ছন্ন থাকতে চান। কিন্তু জানেন না ঠিক কী ভাবে যত্ন নিতে হবে। তাদের জন্য রইল হাত পায়ের যত্ন নেবার বিশেষ উপায়।
শীতে রোজ গোসল করতে হবে। গোসলের জন্য কুসুম গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল বা অলিভ ওয়েল মিশিয়ে নিলে শরীর শুষ্ক হবে না এবং কোমল থাকবে। শরীর কোমল রাখতে আধাকাপ টক দই, এক টেবিল চামচ তিলের তেল এবং এক টেবিল চামচ চিনি খুব ভালোভাবে মিশিয়ে হাতে ও পায়ে-পায়ে আলতো ঘষে ঘষে স্ক্রাব করতে হবে পাঁচ থেকে দশ মিনিট। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
হাতের যত্ন
শীতকালে এমনিতেই হাতের অবস্থা খুব ভালো থাকে না। প্রাকৃতিক কারণেই হাতের ত্বক থাকে প্রাণহীন। এ থেকে রক্ষা পেতে চাই বিশেষ যত্ন। এ জন্য যা করতে পারেন, সেগুলো হলো,
⦁ দুই চামচ বেসন, দুই চামচ টক দই, এক চামচ চিনি, আধা চা-চামচ পাতি লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে ভালো করে পুরো হাতে লাগিয়ে নিতে হবে। পনেরো থেকে বিশ মিনিট পর শুকিয়ে টান টান হয়ে এলে ধুয়ে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগিযে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে শীতে হাতের কোমলতা ধরে রাখতে হলে পানি ব্যবহারের কাজ করার পর অবশ্যই হাতে ময়েশ্চারাইজার, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে হবে।
⦁ পেস্তাবাটা দুই চামচ, গুঁড়ো দুধ এক চামচ, মধু দুই চামচ, গোলাপ জল দুই চামচ একটি পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে কনুই থেকে দুই হাতে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
⦁ চালের গুঁড়ো, টক দই, মুলতানি মাটি দুই চামচ করে, কমলার খোসা গুঁড়ো এবং অলিভ অয়েল এক চামচ করে মিশিয়ে দুই হাতে লাগিয়ে নিন। তার আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
পায়ের যত্নে
পায়ের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন একটু বেশিই। কেননা সারা দিন ভর যত চাপ যায় তার বেশির ভাগই পড়ে পায়ের ওপর। আর কে না চায় পরিচ্ছন্ন নরম কোমল পা। পায়ের যত্নে যা ব্যবহার করতে পারেন,
একটি বড় পাত্র ভরে কুসুম গরম পানি নিন। তাতে এক চিমটি লবণ দিতে হবে, এক চা-চামচ কোমল শ্যাম্পু ও এক চা-চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে ওই পানিতে আধা ঘণ্টার মতো পা ডুবিয়ে রেখে পরে ঝামা দিয়ে ভালো করে পায়ের গোড়ালি ঘষতে হবে। এতে মরা কোষ উঠে যাবে। তারপর তোয়ালে দিয়ে মুছে নিয়ে লাগাতে হবে প্যাক। যেভাবে প্যাক বানাবেন,
⦁ দুই চামচ করে মুলতানি মাটি, মধু, তরমুজের রস ও ডাবের পানি একটি পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে পুরো পায়ে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
⦁ টক দই নিতে হবে দুই চামচ, সঙ্গে অলিভ অয়েল ও চিনি এক চামচ করে এবং লবণ আধা চা-চামচ নিয়ে এক সঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে আলতো ভাবে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।

ভ্রমণ মানেই শান্তি। কিন্তু শান্তির খোঁজে গিয়ে যদি পোকামাকড়ের উৎপাত সহ্য করতে হয়, তাহলে বিরক্তির শেষ থাকে না। ঘুরতে গিয়ে হোটেল রুমের নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনই ছারপোকামুক্ত একটি বিছানাও জরুরি। ‘পেস্ট ক্লিনিক’-এর তথ্য অনুসারে, হোটেল রুমের বিছানাগুলোতে ছারপোকার উৎপাত সাধারণ সমস্যা।
৫ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা ডব্লিউআইপিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে এ বছরের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স। তার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উদ্ভাবনী ১০০ শহরের মধ্যে মাত্র কয়েকটি শহর বেশিসংখ্যক নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কারে বিনিয়োগ করেছে। এই শহরগুলোই এখন বিশ্বের উদ্ভাবনের মূল কেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পাঁচটি দেশের...
৬ ঘণ্টা আগে
এখন আর টমেটোর ‘সিজন’ বলে কিছু নেই। সারা বছর পাওয়া যায়। তবে এটি মূলত শীতকালীন সবজি। শীতে টমেটোর যে স্বাদ পাওয়া যায়, বছরের অন্যান্য সময় তা পাওয়া যায় না। টমেটো দিয়ে অনেক মুখরোচক রেসিপি তৈরি করা যায়। মিক্সড ভেজিটেবল, ভর্তা, চাটনি, ডাল ইত্যাদি যেমন তৈরি করা যায়, তেমনি এটি দিয়ে বানানো যায় জ্যাম...
৯ ঘণ্টা আগে
আপনার ভেতরের ‘নেতা’ আজ সকাল থেকে অতিরিক্ত উৎসাহী। আজ সব সমস্যার সমাধান করতে চাইবেন—সেটি আপনার হোক বা পাড়ার দারোয়ানের। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে হয়তো আপনার নিজেরই কোনো ভুলে ভরা সিদ্ধান্ত লুকিয়ে আছে। পকেট থেকে টাকা খরচের গতি আজ বুলেটের চেয়ে বেশি হবে।
৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ভ্রমণ মানেই শান্তি। কিন্তু শান্তির খোঁজে গিয়ে যদি পোকামাকড়ের উৎপাত সহ্য করতে হয়, তাহলে বিরক্তির শেষ থাকে না। ঘুরতে গিয়ে হোটেল রুমের নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনই ছারপোকামুক্ত একটি বিছানাও জরুরি। ‘পেস্ট ক্লিনিক’-এর তথ্য অনুসারে, হোটেল রুমের বিছানাগুলোতে ছারপোকার উৎপাত সাধারণ সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘর যতই ঝকঝকে দেখাক না কেন, সে ঘরেও বেড বাগ থাকতে পারে। কারণ এই পোকাগুলো ময়লার দিকে আকৃষ্ট হয় না; বরং তারা আকৃষ্ট হয় কার্বনডাই-অক্সাইড, রক্ত ও উষ্ণতার দিকে। আর এ জিনিসগুলো যেকোনো ঘুমন্ত মানুষের কাছে পাওয়া তাদের জন্য খুবই সহজ। রুমে ঢোকার পর বিছানা, তোশক, সোফার কোনা এবং ড্রয়ারগুলো সাবধানে পরীক্ষা করে নিন।
ছারপোকা ব্যাগে করে বাড়ি নিয়ে না আসতে চাইলে
ভ্রমণ শেষে আপনার লাগেজ বা কাপড়ে করে বেড বাগ বা ছারপোকা কেউই বাড়িতে নিয়ে আসতে চায় না। কিন্তু তার উপায় জানে না বেশির ভাগ মানুষ। এটি মোকাবিলার একটি সহজ উপায় বাতলে দিয়েছেন ‘ডায়মন্ড এক্সটারমিনেটর্স’-এর মালিক জেরি ইয়েসন। তিনি জানান, ভ্রমণ ব্যাগের ফার্স্ট এইড কিটে থাকা রাবিং অ্যালকোহল দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে লাগেজের ভেতর লুকিয়ে থাকা বেড বাগ মেরে ফেলতে হবে। ইয়েসনের মতে, রাবিং অ্যালকোহল পোকার বাইরের খোলস দ্রবীভূত করে দেয়, যা ভেতরের দিক থেকে সেটিকে পানিশূন্য করে ফেলে। সে কারণে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে এরা মারা যায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এটি ডিম বা গভীরভাবে লুকিয়ে থাকা পোকা দূর করে না।’ অর্থাৎ আপনাকে এরপরও কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
পেস্ট কন্ট্রোল বিশেষজ্ঞ জর্জিয়োস লিয়াকোপুলোস বলেন, ‘৭০ শতাংশ ঘনত্বের অ্যালকোহল সবচেয়ে ভালো। কারণ এতে থাকা পানির উপাদান পোকার খোলের গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।’

বিজ্ঞানের চোখে সতর্কতা ও বিপদ
বিশেষজ্ঞদের দাবিগুলো বিজ্ঞান গবেষণায় আংশিকভাবে সমর্থনযোগ্য। ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক পোকার ওপর অ্যালকোহল প্রয়োগে ফলাফলের হার বেশ কম। তবে লার্ভা মারতে উচ্চমাত্রার অ্যালকোহল সরাসরি স্প্রে করা কার্যকর। গবেষক অলিম্পিয়া ফার্গুসন উল্লেখ করেছেন, এ গবেষণায় ব্যবহৃত স্যাম্পলের পরিমাণ বেশি ছিল এবং তা ব্যবহারিক বা নিরাপদ নাও হতে পারে। রাবিং অ্যালকোহল সাবধানে এবং অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত। কারণ এটি অত্যন্ত দাহ্য। অ্যালকোহলের ভুল ব্যবহার অনিরাপদ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
সেরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
পোকার উপদ্রব এড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্রতিরোধ। এ ব্যবস্থা ভ্রমণের একেবারে শুরু থেকে করা উচিত। যুক্তরাজ্যভিত্তিক হলিডে হোম প্ল্যাটফর্ম পার্ক লিংকের পরিচালক ও ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল ক্লার্ক। তিনি জানিয়েছেন, লাগেজ রাখার জন্য আদর্শ জায়গা হলো বাথটাব। কারণ এটি সহজে পরিষ্কার করা যায় এবং এটি ঘরের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। বাথটাব ঘন ঘন পরিষ্কার করা হয়। যদি বাথটাব না থাকে, তবে ঝরনার জায়গার আশপাশে লাগেজ রাখতে পারেন। ঝরনা ব্যবহারের আগে সেগুলো সরিয়ে রাখবেন অবশ্যই।

বাড়িতে পোকা চলে এলে কী করবেন
যদি আপনি ভুল করেও বেড বাগ বাড়িতে নিয়ে আসেন, তবে সেগুলো দূর করতে রাটগার্স ইউনিভার্সিটির দেওয়া কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করার চেষ্টা করুন।
তাপ বা বাষ্প পদ্ধতি: উচ্চ তাপমাত্রার বাষ্প বা তাপ পোকা ও ডিম মারতে অত্যন্ত কার্যকর।
ফ্রিজিং পদ্ধতি: জিনিসপত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খুব ঠান্ডা তাপমাত্রায় রাখলে পোকা মারা যায়।
ভ্যাকুয়াম পদ্ধতি: যতটা সম্ভব সবকিছু ভালো করে ভ্যাকুয়াম করুন।
লাগেজ ছারপোকামুক্ত রাখতে যা করবেন
ছারপোকামুক্ত থাকতে ভ্রমণের আগে ও পরে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। যেহেতু বিছানার পোকা সাধারণত ভ্রমণের সময় হোটেল বা অন্যান্য জায়গা থেকে লাগেজে বাসা বাঁধতে পারে, তাই নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
ভ্রমণে যাওয়ার আগে: শক্ত বা হার্ড-শেল লাগেজ ব্যবহার করুন। কাপড়ের ব্যাগের তুলনায় শক্ত খোলসযুক্ত লাগেজ পোকাদের লুকিয়ে থাকার সুযোগ কমিয়ে দেয়। সেগুলো পরিষ্কার করা সহজ।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস এড়িয়ে চলুন: লাগেজ যতটা সম্ভব হালকা রেখে প্রয়োজনীয় জিনিস নিন। কম জিনিস মানে পোকা লুকিয়ে থাকার জায়গা কম।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

ভ্রমণ মানেই শান্তি। কিন্তু শান্তির খোঁজে গিয়ে যদি পোকামাকড়ের উৎপাত সহ্য করতে হয়, তাহলে বিরক্তির শেষ থাকে না। ঘুরতে গিয়ে হোটেল রুমের নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনই ছারপোকামুক্ত একটি বিছানাও জরুরি। ‘পেস্ট ক্লিনিক’-এর তথ্য অনুসারে, হোটেল রুমের বিছানাগুলোতে ছারপোকার উৎপাত সাধারণ সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘর যতই ঝকঝকে দেখাক না কেন, সে ঘরেও বেড বাগ থাকতে পারে। কারণ এই পোকাগুলো ময়লার দিকে আকৃষ্ট হয় না; বরং তারা আকৃষ্ট হয় কার্বনডাই-অক্সাইড, রক্ত ও উষ্ণতার দিকে। আর এ জিনিসগুলো যেকোনো ঘুমন্ত মানুষের কাছে পাওয়া তাদের জন্য খুবই সহজ। রুমে ঢোকার পর বিছানা, তোশক, সোফার কোনা এবং ড্রয়ারগুলো সাবধানে পরীক্ষা করে নিন।
ছারপোকা ব্যাগে করে বাড়ি নিয়ে না আসতে চাইলে
ভ্রমণ শেষে আপনার লাগেজ বা কাপড়ে করে বেড বাগ বা ছারপোকা কেউই বাড়িতে নিয়ে আসতে চায় না। কিন্তু তার উপায় জানে না বেশির ভাগ মানুষ। এটি মোকাবিলার একটি সহজ উপায় বাতলে দিয়েছেন ‘ডায়মন্ড এক্সটারমিনেটর্স’-এর মালিক জেরি ইয়েসন। তিনি জানান, ভ্রমণ ব্যাগের ফার্স্ট এইড কিটে থাকা রাবিং অ্যালকোহল দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে লাগেজের ভেতর লুকিয়ে থাকা বেড বাগ মেরে ফেলতে হবে। ইয়েসনের মতে, রাবিং অ্যালকোহল পোকার বাইরের খোলস দ্রবীভূত করে দেয়, যা ভেতরের দিক থেকে সেটিকে পানিশূন্য করে ফেলে। সে কারণে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে এরা মারা যায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এটি ডিম বা গভীরভাবে লুকিয়ে থাকা পোকা দূর করে না।’ অর্থাৎ আপনাকে এরপরও কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
পেস্ট কন্ট্রোল বিশেষজ্ঞ জর্জিয়োস লিয়াকোপুলোস বলেন, ‘৭০ শতাংশ ঘনত্বের অ্যালকোহল সবচেয়ে ভালো। কারণ এতে থাকা পানির উপাদান পোকার খোলের গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।’

বিজ্ঞানের চোখে সতর্কতা ও বিপদ
বিশেষজ্ঞদের দাবিগুলো বিজ্ঞান গবেষণায় আংশিকভাবে সমর্থনযোগ্য। ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক পোকার ওপর অ্যালকোহল প্রয়োগে ফলাফলের হার বেশ কম। তবে লার্ভা মারতে উচ্চমাত্রার অ্যালকোহল সরাসরি স্প্রে করা কার্যকর। গবেষক অলিম্পিয়া ফার্গুসন উল্লেখ করেছেন, এ গবেষণায় ব্যবহৃত স্যাম্পলের পরিমাণ বেশি ছিল এবং তা ব্যবহারিক বা নিরাপদ নাও হতে পারে। রাবিং অ্যালকোহল সাবধানে এবং অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত। কারণ এটি অত্যন্ত দাহ্য। অ্যালকোহলের ভুল ব্যবহার অনিরাপদ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
সেরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
পোকার উপদ্রব এড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো প্রতিরোধ। এ ব্যবস্থা ভ্রমণের একেবারে শুরু থেকে করা উচিত। যুক্তরাজ্যভিত্তিক হলিডে হোম প্ল্যাটফর্ম পার্ক লিংকের পরিচালক ও ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল ক্লার্ক। তিনি জানিয়েছেন, লাগেজ রাখার জন্য আদর্শ জায়গা হলো বাথটাব। কারণ এটি সহজে পরিষ্কার করা যায় এবং এটি ঘরের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। বাথটাব ঘন ঘন পরিষ্কার করা হয়। যদি বাথটাব না থাকে, তবে ঝরনার জায়গার আশপাশে লাগেজ রাখতে পারেন। ঝরনা ব্যবহারের আগে সেগুলো সরিয়ে রাখবেন অবশ্যই।

বাড়িতে পোকা চলে এলে কী করবেন
যদি আপনি ভুল করেও বেড বাগ বাড়িতে নিয়ে আসেন, তবে সেগুলো দূর করতে রাটগার্স ইউনিভার্সিটির দেওয়া কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করার চেষ্টা করুন।
তাপ বা বাষ্প পদ্ধতি: উচ্চ তাপমাত্রার বাষ্প বা তাপ পোকা ও ডিম মারতে অত্যন্ত কার্যকর।
ফ্রিজিং পদ্ধতি: জিনিসপত্র নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খুব ঠান্ডা তাপমাত্রায় রাখলে পোকা মারা যায়।
ভ্যাকুয়াম পদ্ধতি: যতটা সম্ভব সবকিছু ভালো করে ভ্যাকুয়াম করুন।
লাগেজ ছারপোকামুক্ত রাখতে যা করবেন
ছারপোকামুক্ত থাকতে ভ্রমণের আগে ও পরে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। যেহেতু বিছানার পোকা সাধারণত ভ্রমণের সময় হোটেল বা অন্যান্য জায়গা থেকে লাগেজে বাসা বাঁধতে পারে, তাই নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
ভ্রমণে যাওয়ার আগে: শক্ত বা হার্ড-শেল লাগেজ ব্যবহার করুন। কাপড়ের ব্যাগের তুলনায় শক্ত খোলসযুক্ত লাগেজ পোকাদের লুকিয়ে থাকার সুযোগ কমিয়ে দেয়। সেগুলো পরিষ্কার করা সহজ।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস এড়িয়ে চলুন: লাগেজ যতটা সম্ভব হালকা রেখে প্রয়োজনীয় জিনিস নিন। কম জিনিস মানে পোকা লুকিয়ে থাকার জায়গা কম।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

আসছে শীত। শুষ্ক বৈরী আবহাওয়া প্রকৃতির মতো প্রভাব পড়বে শরীর এবং মনেও। মনকে ভালো রাখতে হলে শরীরকেও ভালো রাখতে হবে। শীত মৌসুমে আমরা মুখের যত্ন নিলেও হাত ও পায়ের যত্ন তেমন নিই না। কিন্তু এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকার কারণে
১৩ নভেম্বর ২০২২
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা ডব্লিউআইপিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে এ বছরের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স। তার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উদ্ভাবনী ১০০ শহরের মধ্যে মাত্র কয়েকটি শহর বেশিসংখ্যক নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কারে বিনিয়োগ করেছে। এই শহরগুলোই এখন বিশ্বের উদ্ভাবনের মূল কেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পাঁচটি দেশের...
৬ ঘণ্টা আগে
এখন আর টমেটোর ‘সিজন’ বলে কিছু নেই। সারা বছর পাওয়া যায়। তবে এটি মূলত শীতকালীন সবজি। শীতে টমেটোর যে স্বাদ পাওয়া যায়, বছরের অন্যান্য সময় তা পাওয়া যায় না। টমেটো দিয়ে অনেক মুখরোচক রেসিপি তৈরি করা যায়। মিক্সড ভেজিটেবল, ভর্তা, চাটনি, ডাল ইত্যাদি যেমন তৈরি করা যায়, তেমনি এটি দিয়ে বানানো যায় জ্যাম...
৯ ঘণ্টা আগে
আপনার ভেতরের ‘নেতা’ আজ সকাল থেকে অতিরিক্ত উৎসাহী। আজ সব সমস্যার সমাধান করতে চাইবেন—সেটি আপনার হোক বা পাড়ার দারোয়ানের। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে হয়তো আপনার নিজেরই কোনো ভুলে ভরা সিদ্ধান্ত লুকিয়ে আছে। পকেট থেকে টাকা খরচের গতি আজ বুলেটের চেয়ে বেশি হবে।
৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্বচালিত গাড়ি আর পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। এই অগ্রগতি প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাড়তি শক্তি যোগ করেছে। প্রতিবছরই নতুন নতুন উদ্ভাবন ও পেটেন্ট যোগ হচ্ছে তালিকায়। এই প্রতিযোগিতা বিশ্বের অনেক শহর শীর্ষ স্থান দখল করে আছে। প্রতিদিনের জীবনের সেখানে ব্যবহার উন্নত সব প্রযুক্তি।
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা ডব্লিউআইপিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে এ বছরের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স। তার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উদ্ভাবনী ১০০ শহরের মধ্যে মাত্র কয়েকটি শহর বেশিসংখ্যক নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কারে বিনিয়োগ করেছে। এই শহরগুলোই এখন বিশ্বের উদ্ভাবনের মূল কেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পাঁচটি দেশের একাধিক শহর।
এই তালিকা দেখলে বোঝা যায়, প্রযুক্তি দুনিয়ায় এশিয়া মহাদেশের দাপট শুরু হয়েছে। প্রথম পাঁচে আছে চীনের চারটি শহর, জাপানের দুটি, যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ও দক্ষিণ কোরিয়ার একটি শহর।
শেনজেন, হংকং ও গুয়াংজু, চীন
চীন এ বছর প্রথমবারের মতো উদ্ভাবনে বিশ্বের সেরা ১০ দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্বের ১০০ ইনোভেশন ক্লাস্টারের মধ্যে ২৪টিই এখন চীনে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি একটি ইনোভেশন ক্লাস্টার। হংকংয়ের বাসিন্দা জেমি রিভার বলেন, ‘এখানে আপনি রাস্তার বাজারেও দেখবেন কিউআর কোডে পেমেন্ট নিচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিনের জীবনকে এখন প্রযুক্তি অনেক সহজ করে দিয়েছে।’ হংকংয়ের এখন বেশ জনপ্রিয় অক্টোপাস কার্ড। এটি শুধু পরিবহনে নয়, ভেন্ডিং মেশিন থেকে পার্কিং মিটার সবখানেই চলে।

শেনজেনের বাসিন্দা লিওন হুয়াং জানান, এখানে নতুন কিছু তৈরি করা শুধু বড় প্রতিষ্ঠানের কাজ নয়, এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। শহরে এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলোকে বলা হয় ‘মেকার স্পেস’। সেখানে যেকোনো শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী বা শখের উদ্ভাবক নিজের আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে পারেন। এই মেকার স্পেসগুলোয় আধুনিক যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, থ্রিডি প্রিন্টারসহ নানান প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ থাকে। মানুষ সেখানে নিজের তৈরি রোবট, অ্যাপ বা ডিজাইন বানিয়ে ফেলতে পারে। লিওনের কথায়, শেনজেন এমন এক শহর, যেখানে উদ্ভাবনের সুযোগ সবার জন্য খোলা। কেউ চাইলে এখানেই নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।
টোকিও ও ইয়োকোহামা, জাপান
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপানের টোকিও ও ইয়োকোহামা শহর। এই দুটি শহর আন্তর্জাতিক পেটেন্টের ১০ শতাংশের বেশির মালিক। অর্থাৎ বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নতুন আবিষ্কার এখান থেকেই আসে। তবে এখানকার প্রযুক্তির অর্থ শুধু আধুনিকতা প্রদর্শন নয়। তারা মূলত মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে সহজ করতে প্রযুক্তির উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দেয়।
টোকিওতে বসবাসরত দানা ইয়াও বলেন, জাপানের প্রযুক্তি মানে উড়ন্ত গাড়ি বা নতুন সব চমক নয়, এখানে এমন কিছু তৈরি হয়, যা মানুষের জীবনকে সহজ করে তোলে। এখানে একটি ট্রেন কার্ড দিয়েই বাস, ট্রেন এমনকি ভেন্ডিং মেশিনেও পেমেন্ট করা যায়। টোকিওর কিছু দোকানে এআই সেন্সর আছে। ক্রেতাদের প্রবেশ করা, পণ্য নেওয়া এবং বের হওয়া, সবকিছু ট্র্যাক করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। ক্রেতারা শুধু পণ্য তুলে নিয়ে যায়। সেন্সর ও ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল তৈরি করে নেয়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল ফোন বা ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে পেমেন্ট চলে যায়। তাই টাকা দেওয়ার জন্য আলাদা সময় অপচয় হয় না।
সান হোসে ও সান ফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র
৩ নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্রের সান হোসে ও সান ফ্রান্সিসকো শহর দুটি। মূলত টেক দুনিয়ায় পরিচিত নাম সিলিকন ভ্যালির কারণে এই শহর দুটি তৃতীয় স্থান দখল করেছে। সিলিকন ভ্যালি দুটি শহর মিলে গঠিত। এই ক্লাস্টার বিশ্বের ভেঞ্চার ক্যাপিটালের প্রায় ৭ শতাংশ ধরে রেখেছে। স্টার্টআপ উদ্যোক্তা রিতেশ প্যাটেল বলেন, এই শহরে নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাওয়া ও অর্থ বিনিয়োগ করতে চাওয়া মানুষ এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, সবাই একসঙ্গে মিশে কাজ করছেন। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে আইডিয়া শেয়ার করছেন, পরামর্শ দিচ্ছেন এবং প্রয়োজন হলে একে অপরকে সাহায্যও করছেন।
শহরটিতে এই পরিবেশই নতুন উদ্ভাবন ও ব্যবসা দ্রুত বড় হওয়ার জন্য অনেক সুযোগ তৈরি করছে। একসময় যেভাবে উবার বা লিফট এখান থেকে শুরু হয়েছিল, ঠিক তেমনি ভবিষ্যতের অনেক স্টার্টআপের শুরুটাও এখান থেকে হবে।
বেইজিং, চীন
৪ নম্বরে থাকা বেইজিং এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করছে। তবে এই শহরের বিশেষত্ব শুধু প্রযুক্তিতে নয়, এখানে প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বেশ জনপ্রিয়। শহরে প্রতিদিনের জীবন চলে আলিপে ও উইচ্যাট অ্যাপ দিয়ে। অ্যাপগুলো দিয়ে মানুষ পেমেন্ট করা, ভাষা অনুবাদ এবং খাবার অর্ডার করতে পারে। বেইজিংয়ে পর্যটকদের বড় আকর্ষণ বাইডু অ্যাপোলো রোবোট্যাক্সি। এটি নিরাপদ চালকবিহীন গাড়ি।
সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া
পঞ্চম স্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল। এ শহরে আছে বিশ্বের মোট পেটেন্টের ৫ শতাংশ। সিউলে প্রতিদিনের জীবনে প্রযুক্তি হাতের নাগালে। বাড়ির দরজা ডিজিটাল কোড দিয়ে খোলা যায়, পেমেন্টের জন্য মানিব্যাগ বা নগদ টাকার কোনো দরকার নেই। পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ স্বচালিত ইলেকট্রিক বাস। শহরজুড়ে রয়েছে ক্যাশিয়ারলেস স্টোর, যেখানে এআই নিজে থেকেই পণ্যগুলো দেখাশোনা করে এবং স্মার্ট মেশিনের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করে।
সূত্র: বিবিসি

বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্বচালিত গাড়ি আর পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ছে। এই অগ্রগতি প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাড়তি শক্তি যোগ করেছে। প্রতিবছরই নতুন নতুন উদ্ভাবন ও পেটেন্ট যোগ হচ্ছে তালিকায়। এই প্রতিযোগিতা বিশ্বের অনেক শহর শীর্ষ স্থান দখল করে আছে। প্রতিদিনের জীবনের সেখানে ব্যবহার উন্নত সব প্রযুক্তি।
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা ডব্লিউআইপিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে এ বছরের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স। তার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উদ্ভাবনী ১০০ শহরের মধ্যে মাত্র কয়েকটি শহর বেশিসংখ্যক নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কারে বিনিয়োগ করেছে। এই শহরগুলোই এখন বিশ্বের উদ্ভাবনের মূল কেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পাঁচটি দেশের একাধিক শহর।
এই তালিকা দেখলে বোঝা যায়, প্রযুক্তি দুনিয়ায় এশিয়া মহাদেশের দাপট শুরু হয়েছে। প্রথম পাঁচে আছে চীনের চারটি শহর, জাপানের দুটি, যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ও দক্ষিণ কোরিয়ার একটি শহর।
শেনজেন, হংকং ও গুয়াংজু, চীন
চীন এ বছর প্রথমবারের মতো উদ্ভাবনে বিশ্বের সেরা ১০ দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্বের ১০০ ইনোভেশন ক্লাস্টারের মধ্যে ২৪টিই এখন চীনে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি একটি ইনোভেশন ক্লাস্টার। হংকংয়ের বাসিন্দা জেমি রিভার বলেন, ‘এখানে আপনি রাস্তার বাজারেও দেখবেন কিউআর কোডে পেমেন্ট নিচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিনের জীবনকে এখন প্রযুক্তি অনেক সহজ করে দিয়েছে।’ হংকংয়ের এখন বেশ জনপ্রিয় অক্টোপাস কার্ড। এটি শুধু পরিবহনে নয়, ভেন্ডিং মেশিন থেকে পার্কিং মিটার সবখানেই চলে।

শেনজেনের বাসিন্দা লিওন হুয়াং জানান, এখানে নতুন কিছু তৈরি করা শুধু বড় প্রতিষ্ঠানের কাজ নয়, এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। শহরে এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলোকে বলা হয় ‘মেকার স্পেস’। সেখানে যেকোনো শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী বা শখের উদ্ভাবক নিজের আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে পারেন। এই মেকার স্পেসগুলোয় আধুনিক যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, থ্রিডি প্রিন্টারসহ নানান প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ থাকে। মানুষ সেখানে নিজের তৈরি রোবট, অ্যাপ বা ডিজাইন বানিয়ে ফেলতে পারে। লিওনের কথায়, শেনজেন এমন এক শহর, যেখানে উদ্ভাবনের সুযোগ সবার জন্য খোলা। কেউ চাইলে এখানেই নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে।
টোকিও ও ইয়োকোহামা, জাপান
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপানের টোকিও ও ইয়োকোহামা শহর। এই দুটি শহর আন্তর্জাতিক পেটেন্টের ১০ শতাংশের বেশির মালিক। অর্থাৎ বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নতুন আবিষ্কার এখান থেকেই আসে। তবে এখানকার প্রযুক্তির অর্থ শুধু আধুনিকতা প্রদর্শন নয়। তারা মূলত মানুষের প্রতিদিনের জীবনকে সহজ করতে প্রযুক্তির উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দেয়।
টোকিওতে বসবাসরত দানা ইয়াও বলেন, জাপানের প্রযুক্তি মানে উড়ন্ত গাড়ি বা নতুন সব চমক নয়, এখানে এমন কিছু তৈরি হয়, যা মানুষের জীবনকে সহজ করে তোলে। এখানে একটি ট্রেন কার্ড দিয়েই বাস, ট্রেন এমনকি ভেন্ডিং মেশিনেও পেমেন্ট করা যায়। টোকিওর কিছু দোকানে এআই সেন্সর আছে। ক্রেতাদের প্রবেশ করা, পণ্য নেওয়া এবং বের হওয়া, সবকিছু ট্র্যাক করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। ক্রেতারা শুধু পণ্য তুলে নিয়ে যায়। সেন্সর ও ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিল তৈরি করে নেয়। স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল ফোন বা ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে পেমেন্ট চলে যায়। তাই টাকা দেওয়ার জন্য আলাদা সময় অপচয় হয় না।
সান হোসে ও সান ফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র
৩ নম্বরে আছে যুক্তরাষ্ট্রের সান হোসে ও সান ফ্রান্সিসকো শহর দুটি। মূলত টেক দুনিয়ায় পরিচিত নাম সিলিকন ভ্যালির কারণে এই শহর দুটি তৃতীয় স্থান দখল করেছে। সিলিকন ভ্যালি দুটি শহর মিলে গঠিত। এই ক্লাস্টার বিশ্বের ভেঞ্চার ক্যাপিটালের প্রায় ৭ শতাংশ ধরে রেখেছে। স্টার্টআপ উদ্যোক্তা রিতেশ প্যাটেল বলেন, এই শহরে নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাওয়া ও অর্থ বিনিয়োগ করতে চাওয়া মানুষ এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, সবাই একসঙ্গে মিশে কাজ করছেন। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে আইডিয়া শেয়ার করছেন, পরামর্শ দিচ্ছেন এবং প্রয়োজন হলে একে অপরকে সাহায্যও করছেন।
শহরটিতে এই পরিবেশই নতুন উদ্ভাবন ও ব্যবসা দ্রুত বড় হওয়ার জন্য অনেক সুযোগ তৈরি করছে। একসময় যেভাবে উবার বা লিফট এখান থেকে শুরু হয়েছিল, ঠিক তেমনি ভবিষ্যতের অনেক স্টার্টআপের শুরুটাও এখান থেকে হবে।
বেইজিং, চীন
৪ নম্বরে থাকা বেইজিং এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করছে। তবে এই শহরের বিশেষত্ব শুধু প্রযুক্তিতে নয়, এখানে প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বেশ জনপ্রিয়। শহরে প্রতিদিনের জীবন চলে আলিপে ও উইচ্যাট অ্যাপ দিয়ে। অ্যাপগুলো দিয়ে মানুষ পেমেন্ট করা, ভাষা অনুবাদ এবং খাবার অর্ডার করতে পারে। বেইজিংয়ে পর্যটকদের বড় আকর্ষণ বাইডু অ্যাপোলো রোবোট্যাক্সি। এটি নিরাপদ চালকবিহীন গাড়ি।
সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া
পঞ্চম স্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল। এ শহরে আছে বিশ্বের মোট পেটেন্টের ৫ শতাংশ। সিউলে প্রতিদিনের জীবনে প্রযুক্তি হাতের নাগালে। বাড়ির দরজা ডিজিটাল কোড দিয়ে খোলা যায়, পেমেন্টের জন্য মানিব্যাগ বা নগদ টাকার কোনো দরকার নেই। পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ স্বচালিত ইলেকট্রিক বাস। শহরজুড়ে রয়েছে ক্যাশিয়ারলেস স্টোর, যেখানে এআই নিজে থেকেই পণ্যগুলো দেখাশোনা করে এবং স্মার্ট মেশিনের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করে।
সূত্র: বিবিসি

আসছে শীত। শুষ্ক বৈরী আবহাওয়া প্রকৃতির মতো প্রভাব পড়বে শরীর এবং মনেও। মনকে ভালো রাখতে হলে শরীরকেও ভালো রাখতে হবে। শীত মৌসুমে আমরা মুখের যত্ন নিলেও হাত ও পায়ের যত্ন তেমন নিই না। কিন্তু এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকার কারণে
১৩ নভেম্বর ২০২২
ভ্রমণ মানেই শান্তি। কিন্তু শান্তির খোঁজে গিয়ে যদি পোকামাকড়ের উৎপাত সহ্য করতে হয়, তাহলে বিরক্তির শেষ থাকে না। ঘুরতে গিয়ে হোটেল রুমের নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনই ছারপোকামুক্ত একটি বিছানাও জরুরি। ‘পেস্ট ক্লিনিক’-এর তথ্য অনুসারে, হোটেল রুমের বিছানাগুলোতে ছারপোকার উৎপাত সাধারণ সমস্যা।
৫ ঘণ্টা আগে
এখন আর টমেটোর ‘সিজন’ বলে কিছু নেই। সারা বছর পাওয়া যায়। তবে এটি মূলত শীতকালীন সবজি। শীতে টমেটোর যে স্বাদ পাওয়া যায়, বছরের অন্যান্য সময় তা পাওয়া যায় না। টমেটো দিয়ে অনেক মুখরোচক রেসিপি তৈরি করা যায়। মিক্সড ভেজিটেবল, ভর্তা, চাটনি, ডাল ইত্যাদি যেমন তৈরি করা যায়, তেমনি এটি দিয়ে বানানো যায় জ্যাম...
৯ ঘণ্টা আগে
আপনার ভেতরের ‘নেতা’ আজ সকাল থেকে অতিরিক্ত উৎসাহী। আজ সব সমস্যার সমাধান করতে চাইবেন—সেটি আপনার হোক বা পাড়ার দারোয়ানের। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে হয়তো আপনার নিজেরই কোনো ভুলে ভরা সিদ্ধান্ত লুকিয়ে আছে। পকেট থেকে টাকা খরচের গতি আজ বুলেটের চেয়ে বেশি হবে।
৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

এখন আর টমেটোর ‘সিজন’ বলে কিছু নেই। সারা বছর পাওয়া যায়। তবে এটি মূলত শীতকালীন সবজি। শীতে টমেটোর যে স্বাদ পাওয়া যায়, বছরের অন্যান্য সময় তা পাওয়া যায় না। টমেটো দিয়ে অনেক মুখরোচক রেসিপি তৈরি করা যায়। মিক্সড ভেজিটেবল, ভর্তা, চাটনি, ডাল ইত্যাদি যেমন তৈরি করা যায়, তেমনি এটি দিয়ে বানানো যায় জ্যাম। আপনাদের জন্য টমেটোর জ্যামের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
টমেটো ৪টি, চিনি ২ কাপ, লেবুর রস সামান্য, পাইনাপেল অয়েল ৪ ফোঁটা, চায়না গ্রাস আধা কাপ এবং পানি ২ কাপ।
প্রণালি
প্রথমে টমেটো চার টুকরো করে কেটে দুই কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে জুস করে নিন। এবার হাঁড়িতে টমেটোর জুস, চিনি, লেবুর রস দিয়ে চুলায় নেড়ে নেড়ে রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে পাইনাপেল অয়েল দিন। অন্য একটি হাঁড়িতে আধা কাপ পানি আর চায়না গ্রাস গরম করে নিন।
এবার টমেটোর মিশ্রণের সঙ্গে এটি মিশিয়ে আবারও রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাচের জারে ঢেলে ঠান্ডা হতে দিন।

এখন আর টমেটোর ‘সিজন’ বলে কিছু নেই। সারা বছর পাওয়া যায়। তবে এটি মূলত শীতকালীন সবজি। শীতে টমেটোর যে স্বাদ পাওয়া যায়, বছরের অন্যান্য সময় তা পাওয়া যায় না। টমেটো দিয়ে অনেক মুখরোচক রেসিপি তৈরি করা যায়। মিক্সড ভেজিটেবল, ভর্তা, চাটনি, ডাল ইত্যাদি যেমন তৈরি করা যায়, তেমনি এটি দিয়ে বানানো যায় জ্যাম। আপনাদের জন্য টমেটোর জ্যামের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
টমেটো ৪টি, চিনি ২ কাপ, লেবুর রস সামান্য, পাইনাপেল অয়েল ৪ ফোঁটা, চায়না গ্রাস আধা কাপ এবং পানি ২ কাপ।
প্রণালি
প্রথমে টমেটো চার টুকরো করে কেটে দুই কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে জুস করে নিন। এবার হাঁড়িতে টমেটোর জুস, চিনি, লেবুর রস দিয়ে চুলায় নেড়ে নেড়ে রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে পাইনাপেল অয়েল দিন। অন্য একটি হাঁড়িতে আধা কাপ পানি আর চায়না গ্রাস গরম করে নিন।
এবার টমেটোর মিশ্রণের সঙ্গে এটি মিশিয়ে আবারও রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাচের জারে ঢেলে ঠান্ডা হতে দিন।

আসছে শীত। শুষ্ক বৈরী আবহাওয়া প্রকৃতির মতো প্রভাব পড়বে শরীর এবং মনেও। মনকে ভালো রাখতে হলে শরীরকেও ভালো রাখতে হবে। শীত মৌসুমে আমরা মুখের যত্ন নিলেও হাত ও পায়ের যত্ন তেমন নিই না। কিন্তু এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকার কারণে
১৩ নভেম্বর ২০২২
ভ্রমণ মানেই শান্তি। কিন্তু শান্তির খোঁজে গিয়ে যদি পোকামাকড়ের উৎপাত সহ্য করতে হয়, তাহলে বিরক্তির শেষ থাকে না। ঘুরতে গিয়ে হোটেল রুমের নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনই ছারপোকামুক্ত একটি বিছানাও জরুরি। ‘পেস্ট ক্লিনিক’-এর তথ্য অনুসারে, হোটেল রুমের বিছানাগুলোতে ছারপোকার উৎপাত সাধারণ সমস্যা।
৫ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা ডব্লিউআইপিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে এ বছরের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স। তার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উদ্ভাবনী ১০০ শহরের মধ্যে মাত্র কয়েকটি শহর বেশিসংখ্যক নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কারে বিনিয়োগ করেছে। এই শহরগুলোই এখন বিশ্বের উদ্ভাবনের মূল কেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পাঁচটি দেশের...
৬ ঘণ্টা আগে
আপনার ভেতরের ‘নেতা’ আজ সকাল থেকে অতিরিক্ত উৎসাহী। আজ সব সমস্যার সমাধান করতে চাইবেন—সেটি আপনার হোক বা পাড়ার দারোয়ানের। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে হয়তো আপনার নিজেরই কোনো ভুলে ভরা সিদ্ধান্ত লুকিয়ে আছে। পকেট থেকে টাকা খরচের গতি আজ বুলেটের চেয়ে বেশি হবে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আপনার ভেতরের ‘নেতা’ আজ সকাল থেকে অতিরিক্ত উৎসাহী। আজ সব সমস্যার সমাধান করতে চাইবেন—সেটি আপনার হোক বা পাড়ার দারোয়ানের। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে হয়তো আপনার নিজেরই কোনো ভুলে ভরা সিদ্ধান্ত লুকিয়ে আছে। পকেট থেকে টাকা খরচের গতি আজ বুলেটের চেয়ে বেশি হবে। ব্যাংক ব্যালেন্স আজ আপনার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকাবে। চেষ্টা করুন বড় কোনো বিনিয়োগ না করে শুধু বিরিয়ানি বা ফুচকাতেই সীমাবদ্ধ থাকতে। আত্মবিশ্বাস আজ এমন পর্যায়ে থাকবে যে সঙ্গীকেও পরামর্শ দিতে যাবেন, ‘আমার মতো আত্মবিশ্বাসী হও!’ সাবধান! পরামর্শ দিতে গিয়ে ঝগড়া বাধাবেন না যেন! আগুন আর আবেগ—দুটোই আজ একটু কমিয়ে রাখুন, নইলে দুপুরে অম্বল (অ্যাসিডিটি) হবে।
বৃষ
আজ মানসিক অস্থিরতা ও বিভ্রান্তির মুখোমুখি হবেন। বিশেষ করে লাঞ্চে কী খাবেন ভাত নাকি রুটি, এই সিদ্ধান্ত নিতেই আপনার পুরো সকাল কেটে যাবে। ধৈর্য রাখুন, পৃথিবী স্থির, শুধু আপনার মনটাই লাফাচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে জেদ আজ আপনাকে কাজ শেষ করার বদলে সহকর্মীর সঙ্গে তর্ক করতে বেশি সাহায্য করবে। যদি মনে করেন আপনি ঠিক, তবু আজ চুপ থাকুন। শান্তি বজায় রাখুন, দেখবেন অস্থিরতা কমবে। আজ মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ সাংঘাতিক বাড়বে। দাঁত আজ আপনার মনের সঙ্গে বিদ্রোহ করবে। মিষ্টি খেলে হাঁটুন, অন্তত পাঁচ মিনিট। দৃঢ়তার সঙ্গে ধীরে চলুন, সাফল্য আসবেই। কিন্তু বেশি ধীরে চললে ট্রেন মিস করবেন।
মিথুন
আজ সারাক্ষণ ফোন স্ক্রল করবেন, চ্যাট করবেন এবং নতুন বন্ধু বানাবেন। মস্তিষ্ক আজ এমনভাবে কাজ করবে, যেন ভেতরে দুটি কফি মেশিন একসঙ্গে চলছে। সৃজনশীলতার বন্যা বয়ে যাবে, কিন্তু সেটাকে কাজে লাগানোই আসল চ্যালেঞ্জ। এমন কিছু বলবেন না, যা পরে ‘ক্ল্যারিফিকেশন মিটিং’ ডেকে বোঝাতে হয়। দ্রুত কথা বলার অভ্যাস আজ ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টি করতে পারে। সঙ্গীর সঙ্গে রোমান্টিক সময় কাটানোর সুযোগ আছে। তবে খেয়াল রাখবেন, রোমান্স করতে গিয়ে যেন ভুলেও পুরোনো কোনো ভুল বা দোষের কথা টেনে না আনেন। কথা কম, কাজ বেশি। আর যদি কথা বলতেই হয়, তবে শুধু হাসির কথা বলুন।
কর্কট
আজ সামান্যতেই আঘাত পেতে পারেন এবং নিজের খোলসের ভেতরে লুকিয়ে থাকতে চাইবেন। কেউ যদি জানতে চায় আপনার মুড কেন খারাপ, তবে হয়তো উত্তর দেবেন, ‘চাঁদ আজ ঠিক পজিশনে নেই।’ পরিবারের সদস্যদের প্রতি আবেগপ্রবণতা আজ আপনাকে দিয়ে এমন কিছু রান্না করিয়ে নিতে পারে, যা কেউ খেতে চাইবে না। তবু ধৈর্য ধরুন, রাতের বেলা শান্তি ফিরে আসবে। অর্থ-সংক্রান্ত কোনো পুরোনো মামলা বা ঋণ নিয়ে কিছুটা চিন্তা হতে পারে। চিন্তা না করে বরং ভালো করে কফি বানিয়ে শান্তিতে বসে থাকুন।
কাঁকড়ার মতো পেছনের দিকে না হেঁটে সামনের দিকে এগিয়ে যান, নইলে ট্রাফিক জ্যাম লেগে যাবে।
সিংহ
আপনার ‘রাজকীয় অহং’ আজ সামান্য কিছুতে আহত হতে পারে। অফিসে কেউ যদি কাজের প্রশংসা না করে, তবে আপনি হয়তো চুপ করে বসে থাকবেন। বস বা সিনিয়ররা কঠোর পরিশ্রমে মুগ্ধ হবেন, কিন্তু অতিরিক্ত নাটকীয়তা কিছুটা সমস্যা তৈরি করতে পারে। ভুলে যাবেন না, আপনি শুধু বস নন, আপনি একজন অভিনেতাও। পেটের সমস্যা কিছুটা বাড়তে পারে। অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। রাজা হতে পারেন, কিন্তু আপনার পরিপাকতন্ত্র রাজার মতো নয়। প্রশংসার জন্য অপেক্ষা না করে, নিজেই নিজেকে বাহবা দিন।
কন্যা
আজ কঠোর পরিশ্রম করবেন, এমনকি আলমারি বা জুতার তাকও নিখুঁতভাবে গুছিয়ে রাখবেন। সবকিছুতেই আপনার প্রত্যাশা থাকবে—পারফেক্ট। তবে ভুলে যাবেন না, পৃথিবীতে কোনো কিছুই পারফেক্ট নয়, এমনকি আপনিও না। সম্পর্কের ক্ষেত্রে নম্রতা এবং খোলামেলা যোগাযোগের প্রয়োজন। সঙ্গী বা বন্ধুর ভুল ধরিয়ে না দিয়ে কেবল চুপ করে শুনুন। পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে—তার ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন না যেন! স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কিন্তু অতিরিক্ত চিন্তা করতে থাকলে সেই ভালো স্বাস্থ্যও খারাপ হতে পারে।
সবকিছু ঠিকঠাক আছে, প্লিজ রিল্যাক্স করুন।
তুলা
জীবনের দাঁড়িপাল্লা আজ দুলতে থাকবে। একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিন আজ। আপনি আজ নতুন ব্যবসা শুরু করবেন, নাকি পুরোনো প্রেমেই মন দেবেন—এই দোটানায় দিন কাটবে। ভুল-বোঝাবুঝি আজ পরিবারের সঙ্গে একটি ‘টক-ঝাল-মিষ্টি’ সম্পর্ক তৈরি করবে। কথা স্পষ্ট করুন, নয়তো ভুল কথার মাশুল আপনাকে দিতে হবে। আর্থিকভাবে পরিস্থিতি শক্তিশালী হবে। ভ্রমণের সম্ভাবনাও আছে। শপিং করার ইচ্ছে আজ আকাশ ছুঁতে পারে। এত চিন্তা করবেন না। কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে কয়েন টস করুন।
বৃশ্চিক
আপনার আবেগ আজ গভীর সমুদ্রের মতো—রহস্যময় ও প্রবল। পুরোনো স্মৃতি এবং সম্পর্ক আজ মনকে বিভ্রান্ত করতে পারে। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল শিগগির দেখা যাবে। আজ কেউ আপনার গোপনীয়তা জানার চেষ্টা করলে, তাকে একটি ভুল গল্প বলে বিদায় করুন। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে কিছু অপ্রত্যাশিত সুসংবাদ আসতে পারে। হতে পারে আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল চার্জারটি আজ খুঁজে পাবেন। সমস্যা হলো, আপনি রহস্য পেটে রাখতে পারেন, কিন্তু ফোন গ্যালারি নয়।
ধনু
আজ আনন্দদায়ক আড্ডায় বা ভ্রমণে যেতে চাইবেন। মনে রাখবেন, আপনার ব্যাগে কাজ করার জন্য যা আছে, তার চেয়ে বেশি আছে ভ্রমণ পরিকল্পনা। অতীতের একটি বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভবত সেই লটারির টিকিটটি আজ মনে পড়বে। মন থেকে সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাকে দূরে সরিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করুন। অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে এমন কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে উৎসাহিত করবে, যা রাখা অসম্ভব। ‘কোথায় যেতে পারি?’—এটাই আজ আপনার জীবনের প্রধান প্রশ্ন।
মকর
আজ কাজ, কাজ, এবং আরও কাজ—এই তিনটি শব্দ ছাড়া আর কিছু বুঝবেন না। আপনার কঠোর পরিশ্রম আজ আপনাকে অস্থিরতা এবং চাপের মুখোমুখি করবে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর কথা ভুলে যাবেন না। পরিবার হয়তো ভাবছে, আপনি আসলে একজন রোবট, যাকে শুধু কাজের জন্যই প্রোগ্রাম করা হয়েছে। ধৈর্য এবং আত্মপ্রতিফলনের মাধ্যমে সাদৃশ্য খুঁজে পেতে পারেন। আজকের সব টেনশনকে আগামীকালকের জন্য জমিয়ে রাখুন। যদি কোনো কাজ না থাকে, তবে বসে বসে কাজের তালিকা করুন।
কুম্ভ
আজ আবেগ গোপন রাখতে চাইবেন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্থিরতা এবং বিভ্রান্তির মুখোমুখি হবেন। আপনার কোনো অদ্ভুত পরিকল্পনা আজ সফল হতে পারে; তবে তা স্বাভাবিক মানুষের চোখে অদ্ভুতই মনে হবে। শান্তি বজায় রাখার জন্য সহানুভূতি এবং আপস প্রয়োজন। আপনি যেহেতু বায়ুর প্রতীক, তাই একটু বেশিই উড়ো উড়ো থাকবেন। মাটিতে নামুন, সম্পর্কটা দেখুন। আপনার বুদ্ধির জোর প্রবল, তাই আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনকে বিশ্বাস করুন। তবে আপনার সেই মন আজ ফালতু জিনিসের পেছনে ছুটতে পারে। আপনার আইডিয়াগুলো খুব দারুণ, কিন্তু সেগুলো বাস্তব করার আগে একটা পেনসিল দিয়ে লিখে রাখুন।
মীন
আজ সুখ, ব্যক্তিগত বিকাশ এবং সৃজনশীল প্রকাশ উপভোগ করবেন। দিনের বেশির ভাগ সময় কাটবে দিবাস্বপ্নে। বাস্তবকে ভুলে আজ নিজের তৈরি করা জগতে ভাসতে চাইবেন। আপনার সৃজনশীলতা আজ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। সঙ্গীকে আজ একটি কবিতা বা গান লিখে উপহার দিন। পুরোনো সমস্যাগুলো আজ সমাধান হতে পারে। মনে রাখবেন, সমস্যা সমাধান হলেও নতুন সমস্যা তৈরি করার ক্ষমতা আপনার মধ্যেই আছে। বাস্তব জীবনে ফিরে আসুন, নইলে অফিসে বসের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ গান গেয়ে উঠতে পারেন।

মেষ
আপনার ভেতরের ‘নেতা’ আজ সকাল থেকে অতিরিক্ত উৎসাহী। আজ সব সমস্যার সমাধান করতে চাইবেন—সেটি আপনার হোক বা পাড়ার দারোয়ানের। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে হয়তো আপনার নিজেরই কোনো ভুলে ভরা সিদ্ধান্ত লুকিয়ে আছে। পকেট থেকে টাকা খরচের গতি আজ বুলেটের চেয়ে বেশি হবে। ব্যাংক ব্যালেন্স আজ আপনার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকাবে। চেষ্টা করুন বড় কোনো বিনিয়োগ না করে শুধু বিরিয়ানি বা ফুচকাতেই সীমাবদ্ধ থাকতে। আত্মবিশ্বাস আজ এমন পর্যায়ে থাকবে যে সঙ্গীকেও পরামর্শ দিতে যাবেন, ‘আমার মতো আত্মবিশ্বাসী হও!’ সাবধান! পরামর্শ দিতে গিয়ে ঝগড়া বাধাবেন না যেন! আগুন আর আবেগ—দুটোই আজ একটু কমিয়ে রাখুন, নইলে দুপুরে অম্বল (অ্যাসিডিটি) হবে।
বৃষ
আজ মানসিক অস্থিরতা ও বিভ্রান্তির মুখোমুখি হবেন। বিশেষ করে লাঞ্চে কী খাবেন ভাত নাকি রুটি, এই সিদ্ধান্ত নিতেই আপনার পুরো সকাল কেটে যাবে। ধৈর্য রাখুন, পৃথিবী স্থির, শুধু আপনার মনটাই লাফাচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে জেদ আজ আপনাকে কাজ শেষ করার বদলে সহকর্মীর সঙ্গে তর্ক করতে বেশি সাহায্য করবে। যদি মনে করেন আপনি ঠিক, তবু আজ চুপ থাকুন। শান্তি বজায় রাখুন, দেখবেন অস্থিরতা কমবে। আজ মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ সাংঘাতিক বাড়বে। দাঁত আজ আপনার মনের সঙ্গে বিদ্রোহ করবে। মিষ্টি খেলে হাঁটুন, অন্তত পাঁচ মিনিট। দৃঢ়তার সঙ্গে ধীরে চলুন, সাফল্য আসবেই। কিন্তু বেশি ধীরে চললে ট্রেন মিস করবেন।
মিথুন
আজ সারাক্ষণ ফোন স্ক্রল করবেন, চ্যাট করবেন এবং নতুন বন্ধু বানাবেন। মস্তিষ্ক আজ এমনভাবে কাজ করবে, যেন ভেতরে দুটি কফি মেশিন একসঙ্গে চলছে। সৃজনশীলতার বন্যা বয়ে যাবে, কিন্তু সেটাকে কাজে লাগানোই আসল চ্যালেঞ্জ। এমন কিছু বলবেন না, যা পরে ‘ক্ল্যারিফিকেশন মিটিং’ ডেকে বোঝাতে হয়। দ্রুত কথা বলার অভ্যাস আজ ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টি করতে পারে। সঙ্গীর সঙ্গে রোমান্টিক সময় কাটানোর সুযোগ আছে। তবে খেয়াল রাখবেন, রোমান্স করতে গিয়ে যেন ভুলেও পুরোনো কোনো ভুল বা দোষের কথা টেনে না আনেন। কথা কম, কাজ বেশি। আর যদি কথা বলতেই হয়, তবে শুধু হাসির কথা বলুন।
কর্কট
আজ সামান্যতেই আঘাত পেতে পারেন এবং নিজের খোলসের ভেতরে লুকিয়ে থাকতে চাইবেন। কেউ যদি জানতে চায় আপনার মুড কেন খারাপ, তবে হয়তো উত্তর দেবেন, ‘চাঁদ আজ ঠিক পজিশনে নেই।’ পরিবারের সদস্যদের প্রতি আবেগপ্রবণতা আজ আপনাকে দিয়ে এমন কিছু রান্না করিয়ে নিতে পারে, যা কেউ খেতে চাইবে না। তবু ধৈর্য ধরুন, রাতের বেলা শান্তি ফিরে আসবে। অর্থ-সংক্রান্ত কোনো পুরোনো মামলা বা ঋণ নিয়ে কিছুটা চিন্তা হতে পারে। চিন্তা না করে বরং ভালো করে কফি বানিয়ে শান্তিতে বসে থাকুন।
কাঁকড়ার মতো পেছনের দিকে না হেঁটে সামনের দিকে এগিয়ে যান, নইলে ট্রাফিক জ্যাম লেগে যাবে।
সিংহ
আপনার ‘রাজকীয় অহং’ আজ সামান্য কিছুতে আহত হতে পারে। অফিসে কেউ যদি কাজের প্রশংসা না করে, তবে আপনি হয়তো চুপ করে বসে থাকবেন। বস বা সিনিয়ররা কঠোর পরিশ্রমে মুগ্ধ হবেন, কিন্তু অতিরিক্ত নাটকীয়তা কিছুটা সমস্যা তৈরি করতে পারে। ভুলে যাবেন না, আপনি শুধু বস নন, আপনি একজন অভিনেতাও। পেটের সমস্যা কিছুটা বাড়তে পারে। অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। রাজা হতে পারেন, কিন্তু আপনার পরিপাকতন্ত্র রাজার মতো নয়। প্রশংসার জন্য অপেক্ষা না করে, নিজেই নিজেকে বাহবা দিন।
কন্যা
আজ কঠোর পরিশ্রম করবেন, এমনকি আলমারি বা জুতার তাকও নিখুঁতভাবে গুছিয়ে রাখবেন। সবকিছুতেই আপনার প্রত্যাশা থাকবে—পারফেক্ট। তবে ভুলে যাবেন না, পৃথিবীতে কোনো কিছুই পারফেক্ট নয়, এমনকি আপনিও না। সম্পর্কের ক্ষেত্রে নম্রতা এবং খোলামেলা যোগাযোগের প্রয়োজন। সঙ্গী বা বন্ধুর ভুল ধরিয়ে না দিয়ে কেবল চুপ করে শুনুন। পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে—তার ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন না যেন! স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কিন্তু অতিরিক্ত চিন্তা করতে থাকলে সেই ভালো স্বাস্থ্যও খারাপ হতে পারে।
সবকিছু ঠিকঠাক আছে, প্লিজ রিল্যাক্স করুন।
তুলা
জীবনের দাঁড়িপাল্লা আজ দুলতে থাকবে। একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিন আজ। আপনি আজ নতুন ব্যবসা শুরু করবেন, নাকি পুরোনো প্রেমেই মন দেবেন—এই দোটানায় দিন কাটবে। ভুল-বোঝাবুঝি আজ পরিবারের সঙ্গে একটি ‘টক-ঝাল-মিষ্টি’ সম্পর্ক তৈরি করবে। কথা স্পষ্ট করুন, নয়তো ভুল কথার মাশুল আপনাকে দিতে হবে। আর্থিকভাবে পরিস্থিতি শক্তিশালী হবে। ভ্রমণের সম্ভাবনাও আছে। শপিং করার ইচ্ছে আজ আকাশ ছুঁতে পারে। এত চিন্তা করবেন না। কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে কয়েন টস করুন।
বৃশ্চিক
আপনার আবেগ আজ গভীর সমুদ্রের মতো—রহস্যময় ও প্রবল। পুরোনো স্মৃতি এবং সম্পর্ক আজ মনকে বিভ্রান্ত করতে পারে। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল শিগগির দেখা যাবে। আজ কেউ আপনার গোপনীয়তা জানার চেষ্টা করলে, তাকে একটি ভুল গল্প বলে বিদায় করুন। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে কিছু অপ্রত্যাশিত সুসংবাদ আসতে পারে। হতে পারে আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল চার্জারটি আজ খুঁজে পাবেন। সমস্যা হলো, আপনি রহস্য পেটে রাখতে পারেন, কিন্তু ফোন গ্যালারি নয়।
ধনু
আজ আনন্দদায়ক আড্ডায় বা ভ্রমণে যেতে চাইবেন। মনে রাখবেন, আপনার ব্যাগে কাজ করার জন্য যা আছে, তার চেয়ে বেশি আছে ভ্রমণ পরিকল্পনা। অতীতের একটি বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভবত সেই লটারির টিকিটটি আজ মনে পড়বে। মন থেকে সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাকে দূরে সরিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করুন। অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে এমন কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে উৎসাহিত করবে, যা রাখা অসম্ভব। ‘কোথায় যেতে পারি?’—এটাই আজ আপনার জীবনের প্রধান প্রশ্ন।
মকর
আজ কাজ, কাজ, এবং আরও কাজ—এই তিনটি শব্দ ছাড়া আর কিছু বুঝবেন না। আপনার কঠোর পরিশ্রম আজ আপনাকে অস্থিরতা এবং চাপের মুখোমুখি করবে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর কথা ভুলে যাবেন না। পরিবার হয়তো ভাবছে, আপনি আসলে একজন রোবট, যাকে শুধু কাজের জন্যই প্রোগ্রাম করা হয়েছে। ধৈর্য এবং আত্মপ্রতিফলনের মাধ্যমে সাদৃশ্য খুঁজে পেতে পারেন। আজকের সব টেনশনকে আগামীকালকের জন্য জমিয়ে রাখুন। যদি কোনো কাজ না থাকে, তবে বসে বসে কাজের তালিকা করুন।
কুম্ভ
আজ আবেগ গোপন রাখতে চাইবেন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্থিরতা এবং বিভ্রান্তির মুখোমুখি হবেন। আপনার কোনো অদ্ভুত পরিকল্পনা আজ সফল হতে পারে; তবে তা স্বাভাবিক মানুষের চোখে অদ্ভুতই মনে হবে। শান্তি বজায় রাখার জন্য সহানুভূতি এবং আপস প্রয়োজন। আপনি যেহেতু বায়ুর প্রতীক, তাই একটু বেশিই উড়ো উড়ো থাকবেন। মাটিতে নামুন, সম্পর্কটা দেখুন। আপনার বুদ্ধির জোর প্রবল, তাই আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনকে বিশ্বাস করুন। তবে আপনার সেই মন আজ ফালতু জিনিসের পেছনে ছুটতে পারে। আপনার আইডিয়াগুলো খুব দারুণ, কিন্তু সেগুলো বাস্তব করার আগে একটা পেনসিল দিয়ে লিখে রাখুন।
মীন
আজ সুখ, ব্যক্তিগত বিকাশ এবং সৃজনশীল প্রকাশ উপভোগ করবেন। দিনের বেশির ভাগ সময় কাটবে দিবাস্বপ্নে। বাস্তবকে ভুলে আজ নিজের তৈরি করা জগতে ভাসতে চাইবেন। আপনার সৃজনশীলতা আজ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। সঙ্গীকে আজ একটি কবিতা বা গান লিখে উপহার দিন। পুরোনো সমস্যাগুলো আজ সমাধান হতে পারে। মনে রাখবেন, সমস্যা সমাধান হলেও নতুন সমস্যা তৈরি করার ক্ষমতা আপনার মধ্যেই আছে। বাস্তব জীবনে ফিরে আসুন, নইলে অফিসে বসের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ গান গেয়ে উঠতে পারেন।

আসছে শীত। শুষ্ক বৈরী আবহাওয়া প্রকৃতির মতো প্রভাব পড়বে শরীর এবং মনেও। মনকে ভালো রাখতে হলে শরীরকেও ভালো রাখতে হবে। শীত মৌসুমে আমরা মুখের যত্ন নিলেও হাত ও পায়ের যত্ন তেমন নিই না। কিন্তু এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকার কারণে
১৩ নভেম্বর ২০২২
ভ্রমণ মানেই শান্তি। কিন্তু শান্তির খোঁজে গিয়ে যদি পোকামাকড়ের উৎপাত সহ্য করতে হয়, তাহলে বিরক্তির শেষ থাকে না। ঘুরতে গিয়ে হোটেল রুমের নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনই ছারপোকামুক্ত একটি বিছানাও জরুরি। ‘পেস্ট ক্লিনিক’-এর তথ্য অনুসারে, হোটেল রুমের বিছানাগুলোতে ছারপোকার উৎপাত সাধারণ সমস্যা।
৫ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থা ডব্লিউআইপিও সম্প্রতি প্রকাশ করেছে এ বছরের গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স। তার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উদ্ভাবনী ১০০ শহরের মধ্যে মাত্র কয়েকটি শহর বেশিসংখ্যক নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কারে বিনিয়োগ করেছে। এই শহরগুলোই এখন বিশ্বের উদ্ভাবনের মূল কেন্দ্র। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পাঁচটি দেশের...
৬ ঘণ্টা আগে
এখন আর টমেটোর ‘সিজন’ বলে কিছু নেই। সারা বছর পাওয়া যায়। তবে এটি মূলত শীতকালীন সবজি। শীতে টমেটোর যে স্বাদ পাওয়া যায়, বছরের অন্যান্য সময় তা পাওয়া যায় না। টমেটো দিয়ে অনেক মুখরোচক রেসিপি তৈরি করা যায়। মিক্সড ভেজিটেবল, ভর্তা, চাটনি, ডাল ইত্যাদি যেমন তৈরি করা যায়, তেমনি এটি দিয়ে বানানো যায় জ্যাম...
৯ ঘণ্টা আগে