আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বর্তমান সময়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যেন এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে থাইয়রেড, পিসিওএস, পিসিওডি, এডিএইচডি, ইটিং ডিসঅর্ডারসহ বাহারি সব রোগ। যেগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার এই যাত্রাকে আরও কঠিন করে দিয়েছে। তবে এসবের পরও দৃঢ় সংকল্প আর ইচ্ছার মাধ্যমে যে ওজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় সম্ভব, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন এমা হুকার নামের এক নারী। তিনি এখন একজন সফল নিউট্রিশনিস্ট ও ফিটনেস কোচ।
তিনি একই সঙ্গে এডিএইচডি (অ্যাটেনশন ডিফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার) ও ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন। এরপরও তিনি স্থূলতার সঙ্গে লড়াই করে ৭২ কেজি ওজন কমিয়েছেন।
ইনস্টাগ্রামে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এমা লিখেছেন, এডিএইচডির কারণে তাঁর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস ছিল একেবারেই অনিয়মিত। কখনো এক খাবারে অতিরিক্ত আসক্তি, আবার কিছুদিন পরই সেই খাবারের প্রতি সম্পূর্ণ অনীহা—এমন এক চক্রে তিনি আটকে যেতেন। ফলে একদিকে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা, অন্যদিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক খাওয়ার প্রবণতা দেখা দিত।
এমার ভাষায়, ‘আমি ভেবেই নিতাম আমার ইচ্ছাশক্তির অভাব। আমি অলস। আসলে আমি চাই না বলেই কিছুতে টিকতে পারি না। কিন্তু দীর্ঘদিন পর বুঝতে পারি, আমার এডিএইচডিই বিষয়গুলোকে জটিল করে তুলছিল।’
এই চক্র ভাঙতে তিনি খাবার পরিকল্পনার নতুন কৌশল শুরু করেন। প্রতিদিনের জন্য নির্দিষ্ট দু-তিনটি খাবারের বিকল্প রাখেন, যাতে বৈচিত্র্যও থাকে আবার মস্তিষ্কে চাপও না পড়ে। খাবারের সময় ঠিক রাখতে ব্যবহার করেন টাইমার। একই সঙ্গে তিনি ক্ষুধার সংকেতগুলোও বুঝতে শেখেন। বুঝতে পারেন, বিরক্ত হলে তিনি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন।
ইটিং ডিসঅর্ডার থাকায় মন খারাপ, রাগ বা দুঃখ হলেই ক্ষুধা না থাকলেও আগে খেতেন এমা। কিন্তু এখন খাবারের দিকে হাত বাড়ানোর আগে তিনি নিজেকে জিজ্ঞেস করেন যে আসলেই এখন খাওয়ার কোনো দরকার আছে কি না। নাকি তাঁর এখন অন্য কিছু দরকার! যেমন হাঁটা, গান শোনা, পানি খাওয়া কিংবা একটু বিশ্রাম। এমা বলেন, কোনো কিছু খাওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করার এই প্রবণতা এখন তাঁকে বুঝতে সাহায্য করেছে যে সব সময় খাবার চাই না তাঁর।
তাঁর আরেকটি উপলব্ধি—খাবারকে ‘ভালো’ আর ‘খারাপ’ হিসেবে ভাগ করলে সেটি অপরাধবোধকে বাড়িয়ে দেয়; বরং পছন্দের খাবারসহ সুষম আহার গ্রহণ করলে বঞ্চনার অনুভূতি থাকে না। এমা বলেন, ‘আমি সারা দিন ভালো খেতাম, তারপর রাতে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলতাম। মনে হতো, সব অগ্রগতি একসঙ্গে নষ্ট করে দিলাম। এখন আর নিজেকে শাস্তি দিই না। নতুন করে শুরু করি।’
রেস্তোরাঁয় যাওয়ার আগেই মেনু দেখে রাখার অভ্যাস করেছেন তিনি। এতে বিকল্পের চাপ কমে, সিদ্ধান্ত নেওয়াও সহজ হয়। ধীরে ধীরে তিনি খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
তাঁর এই পরিবর্তন কেবল ওজন কমানোতেই সীমাবদ্ধ নয়। ৭২ কেজি ওজন কমলেও এখনো অনেক পথ বাকি বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এখনো মাঝে মাঝে রোগগুলো আমাকে হারিয়ে ফেলে। কিন্তু এখন আমি জানি কীভাবে নিজেকে থামাতে হয়, সহানুভূতি দেখাতে হয়। ব্যর্থতার দিনগুলোতেও আর নিজেকে দোষ দিই না, শুধু আবার উঠে দাঁড়াই।’
বর্তমান সময়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যেন এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে থাইয়রেড, পিসিওএস, পিসিওডি, এডিএইচডি, ইটিং ডিসঅর্ডারসহ বাহারি সব রোগ। যেগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার এই যাত্রাকে আরও কঠিন করে দিয়েছে। তবে এসবের পরও দৃঢ় সংকল্প আর ইচ্ছার মাধ্যমে যে ওজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় সম্ভব, তা প্রমাণ করে দিয়েছেন এমা হুকার নামের এক নারী। তিনি এখন একজন সফল নিউট্রিশনিস্ট ও ফিটনেস কোচ।
তিনি একই সঙ্গে এডিএইচডি (অ্যাটেনশন ডিফিসিট হাইপার অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডার) ও ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন। এরপরও তিনি স্থূলতার সঙ্গে লড়াই করে ৭২ কেজি ওজন কমিয়েছেন।
ইনস্টাগ্রামে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে এমা লিখেছেন, এডিএইচডির কারণে তাঁর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস ছিল একেবারেই অনিয়মিত। কখনো এক খাবারে অতিরিক্ত আসক্তি, আবার কিছুদিন পরই সেই খাবারের প্রতি সম্পূর্ণ অনীহা—এমন এক চক্রে তিনি আটকে যেতেন। ফলে একদিকে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা, অন্যদিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক খাওয়ার প্রবণতা দেখা দিত।
এমার ভাষায়, ‘আমি ভেবেই নিতাম আমার ইচ্ছাশক্তির অভাব। আমি অলস। আসলে আমি চাই না বলেই কিছুতে টিকতে পারি না। কিন্তু দীর্ঘদিন পর বুঝতে পারি, আমার এডিএইচডিই বিষয়গুলোকে জটিল করে তুলছিল।’
এই চক্র ভাঙতে তিনি খাবার পরিকল্পনার নতুন কৌশল শুরু করেন। প্রতিদিনের জন্য নির্দিষ্ট দু-তিনটি খাবারের বিকল্প রাখেন, যাতে বৈচিত্র্যও থাকে আবার মস্তিষ্কে চাপও না পড়ে। খাবারের সময় ঠিক রাখতে ব্যবহার করেন টাইমার। একই সঙ্গে তিনি ক্ষুধার সংকেতগুলোও বুঝতে শেখেন। বুঝতে পারেন, বিরক্ত হলে তিনি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন।
ইটিং ডিসঅর্ডার থাকায় মন খারাপ, রাগ বা দুঃখ হলেই ক্ষুধা না থাকলেও আগে খেতেন এমা। কিন্তু এখন খাবারের দিকে হাত বাড়ানোর আগে তিনি নিজেকে জিজ্ঞেস করেন যে আসলেই এখন খাওয়ার কোনো দরকার আছে কি না। নাকি তাঁর এখন অন্য কিছু দরকার! যেমন হাঁটা, গান শোনা, পানি খাওয়া কিংবা একটু বিশ্রাম। এমা বলেন, কোনো কিছু খাওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করার এই প্রবণতা এখন তাঁকে বুঝতে সাহায্য করেছে যে সব সময় খাবার চাই না তাঁর।
তাঁর আরেকটি উপলব্ধি—খাবারকে ‘ভালো’ আর ‘খারাপ’ হিসেবে ভাগ করলে সেটি অপরাধবোধকে বাড়িয়ে দেয়; বরং পছন্দের খাবারসহ সুষম আহার গ্রহণ করলে বঞ্চনার অনুভূতি থাকে না। এমা বলেন, ‘আমি সারা দিন ভালো খেতাম, তারপর রাতে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলতাম। মনে হতো, সব অগ্রগতি একসঙ্গে নষ্ট করে দিলাম। এখন আর নিজেকে শাস্তি দিই না। নতুন করে শুরু করি।’
রেস্তোরাঁয় যাওয়ার আগেই মেনু দেখে রাখার অভ্যাস করেছেন তিনি। এতে বিকল্পের চাপ কমে, সিদ্ধান্ত নেওয়াও সহজ হয়। ধীরে ধীরে তিনি খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
তাঁর এই পরিবর্তন কেবল ওজন কমানোতেই সীমাবদ্ধ নয়। ৭২ কেজি ওজন কমলেও এখনো অনেক পথ বাকি বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এখনো মাঝে মাঝে রোগগুলো আমাকে হারিয়ে ফেলে। কিন্তু এখন আমি জানি কীভাবে নিজেকে থামাতে হয়, সহানুভূতি দেখাতে হয়। ব্যর্থতার দিনগুলোতেও আর নিজেকে দোষ দিই না, শুধু আবার উঠে দাঁড়াই।’
কম শক্তি, পেট ফাঁপা কিংবা ত্বকের সমস্যার মতো উপসর্গগুলোকে অনেকে ব্যস্ত জীবন বা ভুল খাদ্যাভ্যাসের ফল বলে মনে করেন। এর জন্য তাঁরা ব্যস্ত জীবন বা বাজে খাদ্যাভ্যাসকে দায়ী করেন। ফলে এই বিষয়গুলো উপেক্ষা করা হয়। কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে খাদ্য অ্যালার্জি বা অসহিষ্ণুতা।
২৯ মিনিট আগেখুশকি নিয়ে সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কারও মাথায় সাদা গুঁড়ার মতো খুশকি উড়ে বেড়ায়, কারও আবার চুল সব সময় ভারী ও আঠালো লাগে। অনেক সময় মানুষ ধরে নেয়, এটি শুধু চুলে তেল জমে থাকার কারণে হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে, তেলতেলে এবং আঠালো খুশকি একধরনের সমস্যা। এর যত্ন আলাদা ও নিয়মিত নিতে হয়।
২ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫। গ্রহ-নক্ষত্রের উত্থান-পতন তো চলতেই থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আপনি কী করছেন, সেটাই আসল। তাই সাহস দেখান, ধৈর্য ধরুন।আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—ফোনটা রেখে কাজে লেগে পড়ুন! ভালো কিছু ঘটলে সেটা আপনার ক্রেডিট, আর খারাপ হলে ‘রাশিফল ভালো ছিল না’ বলে চালিয়ে দিন। আসলে দোষটা আর কারো নয়,
৩ ঘণ্টা আগেকোথাও জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়, ঋণের বোঝা এবং আর্থিক অস্থিতিশীলতার কারণে তরুণ প্রজন্ম বিয়ে বিলম্বিত করছে বা এড়িয়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও প্রথাগত বিয়ের গুরুত্ব কমে আসছে।
৪ ঘণ্টা আগে