এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি। পার্সিয়ান উদ্যান, শিরাজের গোলাপ বাগান এবং ইস্পাহানের ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলো যেন অতীত ও বর্তমানের সংযোগ স্থাপন করে। শানশওকতপূর্ণ দালানকোঠা, সোনালি সূর্যাস্ত আর শান্ত জলাশয়ে প্রতিফলিত আকাশের ছবি ইরানকে এক স্বর্গীয় সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে। ইরানের শৈল্পিক সৌন্দর্য, অমর সাহিত্য ও বিজ্ঞানী মনীষীদের ইতিহাস এখনো পুরো পৃথিবীকে এক অজানা জগতের পথে নিয়ে যায়। ইরান যেন এক অদেখা জগতের দরজা। হাজার বছরের ঐতিহ্যে মোড়ানো ইরানে নানা ধর্মের নানা মনীষী জন্মগ্রহণ করেছেন। আজকে জানব ইরানে জন্ম নেওয়া অসংখ্য মুসলিম মনীষীর মধ্য থেকে পাঁচজনকে। লিখেছেন তাসনিফ আবীদ
তাসনিফ আবীদ


ফারসি সাহিত্যের জনক রুদাকি
রুদাকির পুরো নাম আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মদ আর-রুদাকি। তাঁকে আধুনিক ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে ডাকা হয় অ্যাডাম অব পোয়েট বা কবিতার জনক বলে। এ ছাড়া তিনি প্রথম আধুনিক ফারসি বর্ণমালায় কবিতা রচনা করায় তাঁকে শাস্ত্রীয় ফারসি সাহিত্যের জনকও বলা হয়। নবম শতাব্দীতে তাঁর মধ্যে কবিতা, গান, আবৃত্তি এবং কবি-লেখকসত্তার যে সংমিশ্রণ ঘটেছিল, সেটা তাঁর আগে আর কারও মধ্যে এভাবে পাওয়া যায়নি বলে ধারণা করা হয়। এসব গুণের কারণে তিনি রাজসভায় ছিলেন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তবে দুঃখের বিষয় হলো, তাঁর কাব্যসম্ভারের খুব অল্প অংশই এখন পাওয়া যায়। রুদাকি ৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের খোরাসান শহরের রুদক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামেই তিনি ৯৪০ মতান্তরে ৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান।

হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি
ইরানের খোরাসানের অন্তর্গত তুস নগরীতে ১০৫৮ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৪৫০ হিজরি সনে জন্মগ্রহণ করেন হুজ্জাতুল ইসলাম আবু হামিদ মুহাম্মদ গাজালি। তবে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ইমাম গাজালি হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ গাজালি। হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি মনে করতেন, ইসলামি আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য মৃতপ্রায় হয়ে গেছে এবং মুসলমানদের প্রথম প্রজন্মের দ্বারা শেখানো আধ্যাত্মিক জ্ঞানও মানুষ ভুলতে বসেছে। এই বিশ্বাস তাঁকে ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন (ধর্মীয় জ্ঞানের পুনরুজ্জীবন) শিরোনামে তাঁর সেরা গ্রন্থ লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই বই ছাড়াও তাঁর চার শতাধিক গ্রন্থ রয়েছে। অধিকাংশ বইয়ে তিনি ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও সুফিবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই মনীষী খ্রিষ্টাব্দ ১১১১ সন মোতাবেক ৫০৫ হিজরি সনে নিজ জন্মভূমি তুস নগরীতে সুস্থ অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইরানের অমর কবি ফেরদৌসীর সমাধির পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

বুলবুল-ই-শিরাজ হাফিজ শিরাজি
মহাকবি খ্যাত হাফিজ শিরাজির আসল নাম শামসুদ্দিন মুহাম্মদ। তিনি চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। বুলবুল-ই-শিরাজ তাঁর উপাধি। এ ছাড়া তাঁকে লিসান-উল-গায়েব (অজ্ঞাতের বাণী), তর্জমান-উল-আসরার (রহস্যের মর্মসন্ধানী) বলেও সম্বোধন করা হয়। পবিত্র কোরআন তাঁর মুখস্থ ছিল। হাফিজের মৃত্যুর ১০০ বছরের মধ্যে তাঁর কোনো জীবনী রচিত হয়নি। তাই তাঁর জন্ম-মৃত্যুর দিন নিয়ে নানা মত রয়েছে। ধারণা করা হয়, তিনি ৭৯১ হিজরি বা ১৩৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

কবি ও জ্যোতির্বিদ ওমর খৈয়াম
ওমর খৈয়াম একাধারে কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তাঁর পুরো নাম গিয়াসউদিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইবরাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি। তিনি ১০৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামি বর্ষপঞ্জি সংস্কারে তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি তাঁর কবিতা সমগ্র ‘ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াত’ গ্রন্থের জন্য বিখ্যাত। কাব্য-প্রতিভার আড়ালে তাঁর গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে। ধারণা করা হয়, রনে দেকার্তের আগে তিনি বিশ্লেষণী জ্যামিতি আবিষ্কার করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গণিতের দ্বিপদী উপপাদ্য আবিষ্কার করেন। বীজগণিতে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান তিনিই প্রথম করেন। বহুমুখী প্রতিভার দৃষ্টান্ত দিতে বলা হলে বিশ্বসাহিত্য কিংবা ইতিহাসে যাঁদের নাম উপেক্ষা করা কঠিন, ওমর খৈয়াম তাঁদের মধ্যে অন্যতম ও শীর্ষস্থানীয়। ১১৩১ খ্রিষ্টাব্দে এই মনীষী জীবনের সফর শেষ করেন।

শব্দের কারিগর শেখ সাদি শিরাজি
পুরো নাম শেখ আবু মুহাম্মদ মুসলেহুদ্দিন সাদি ইবনে আবদুল্লাহ শিরাজি হলেও মানুষ তাঁকে শেখ সাদি শিরাজি বলেই বেশি চেনে। তিনি ৫৮৯ হিজরি মোতাবেক ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। ইন্তেকাল করেন ৬৯৪ হিজরি মোতাবেক ১২৯৪ খ্রিষ্টাব্দে। শেখ সাদি ছিলেন মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ ফারসি কবিদের একজন। ফারসিভাষী দেশের বাইরেও তিনি সমাদৃত। তাঁর লেখার মান এবং সামাজিক ও নৈতিক চিন্তার গভীরতার জন্য তাঁকে কদর করা হয়। ধ্রুপদি সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁকে একজন উঁচু মানের কবি ধরা হয়। তাঁর লেখা বুস্তা বইটি সর্বকালের সেরা ১০০ বইয়ের মাঝে স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া মহানবী (সা.)-কে নিয়ে তাঁর লেখা, ‘বালাগাল উলা বিকামালিহি’ বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান নিয়মিত পাঠ করে থাকেন শ্রদ্ধার সঙ্গে।


ফারসি সাহিত্যের জনক রুদাকি
রুদাকির পুরো নাম আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মদ আর-রুদাকি। তাঁকে আধুনিক ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে ডাকা হয় অ্যাডাম অব পোয়েট বা কবিতার জনক বলে। এ ছাড়া তিনি প্রথম আধুনিক ফারসি বর্ণমালায় কবিতা রচনা করায় তাঁকে শাস্ত্রীয় ফারসি সাহিত্যের জনকও বলা হয়। নবম শতাব্দীতে তাঁর মধ্যে কবিতা, গান, আবৃত্তি এবং কবি-লেখকসত্তার যে সংমিশ্রণ ঘটেছিল, সেটা তাঁর আগে আর কারও মধ্যে এভাবে পাওয়া যায়নি বলে ধারণা করা হয়। এসব গুণের কারণে তিনি রাজসভায় ছিলেন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তবে দুঃখের বিষয় হলো, তাঁর কাব্যসম্ভারের খুব অল্প অংশই এখন পাওয়া যায়। রুদাকি ৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের খোরাসান শহরের রুদক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামেই তিনি ৯৪০ মতান্তরে ৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান।

হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি
ইরানের খোরাসানের অন্তর্গত তুস নগরীতে ১০৫৮ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৪৫০ হিজরি সনে জন্মগ্রহণ করেন হুজ্জাতুল ইসলাম আবু হামিদ মুহাম্মদ গাজালি। তবে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ইমাম গাজালি হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ গাজালি। হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি মনে করতেন, ইসলামি আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য মৃতপ্রায় হয়ে গেছে এবং মুসলমানদের প্রথম প্রজন্মের দ্বারা শেখানো আধ্যাত্মিক জ্ঞানও মানুষ ভুলতে বসেছে। এই বিশ্বাস তাঁকে ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন (ধর্মীয় জ্ঞানের পুনরুজ্জীবন) শিরোনামে তাঁর সেরা গ্রন্থ লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই বই ছাড়াও তাঁর চার শতাধিক গ্রন্থ রয়েছে। অধিকাংশ বইয়ে তিনি ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও সুফিবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই মনীষী খ্রিষ্টাব্দ ১১১১ সন মোতাবেক ৫০৫ হিজরি সনে নিজ জন্মভূমি তুস নগরীতে সুস্থ অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইরানের অমর কবি ফেরদৌসীর সমাধির পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

বুলবুল-ই-শিরাজ হাফিজ শিরাজি
মহাকবি খ্যাত হাফিজ শিরাজির আসল নাম শামসুদ্দিন মুহাম্মদ। তিনি চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। বুলবুল-ই-শিরাজ তাঁর উপাধি। এ ছাড়া তাঁকে লিসান-উল-গায়েব (অজ্ঞাতের বাণী), তর্জমান-উল-আসরার (রহস্যের মর্মসন্ধানী) বলেও সম্বোধন করা হয়। পবিত্র কোরআন তাঁর মুখস্থ ছিল। হাফিজের মৃত্যুর ১০০ বছরের মধ্যে তাঁর কোনো জীবনী রচিত হয়নি। তাই তাঁর জন্ম-মৃত্যুর দিন নিয়ে নানা মত রয়েছে। ধারণা করা হয়, তিনি ৭৯১ হিজরি বা ১৩৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

কবি ও জ্যোতির্বিদ ওমর খৈয়াম
ওমর খৈয়াম একাধারে কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তাঁর পুরো নাম গিয়াসউদিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইবরাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি। তিনি ১০৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামি বর্ষপঞ্জি সংস্কারে তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি তাঁর কবিতা সমগ্র ‘ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াত’ গ্রন্থের জন্য বিখ্যাত। কাব্য-প্রতিভার আড়ালে তাঁর গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে। ধারণা করা হয়, রনে দেকার্তের আগে তিনি বিশ্লেষণী জ্যামিতি আবিষ্কার করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গণিতের দ্বিপদী উপপাদ্য আবিষ্কার করেন। বীজগণিতে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান তিনিই প্রথম করেন। বহুমুখী প্রতিভার দৃষ্টান্ত দিতে বলা হলে বিশ্বসাহিত্য কিংবা ইতিহাসে যাঁদের নাম উপেক্ষা করা কঠিন, ওমর খৈয়াম তাঁদের মধ্যে অন্যতম ও শীর্ষস্থানীয়। ১১৩১ খ্রিষ্টাব্দে এই মনীষী জীবনের সফর শেষ করেন।

শব্দের কারিগর শেখ সাদি শিরাজি
পুরো নাম শেখ আবু মুহাম্মদ মুসলেহুদ্দিন সাদি ইবনে আবদুল্লাহ শিরাজি হলেও মানুষ তাঁকে শেখ সাদি শিরাজি বলেই বেশি চেনে। তিনি ৫৮৯ হিজরি মোতাবেক ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। ইন্তেকাল করেন ৬৯৪ হিজরি মোতাবেক ১২৯৪ খ্রিষ্টাব্দে। শেখ সাদি ছিলেন মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ ফারসি কবিদের একজন। ফারসিভাষী দেশের বাইরেও তিনি সমাদৃত। তাঁর লেখার মান এবং সামাজিক ও নৈতিক চিন্তার গভীরতার জন্য তাঁকে কদর করা হয়। ধ্রুপদি সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁকে একজন উঁচু মানের কবি ধরা হয়। তাঁর লেখা বুস্তা বইটি সর্বকালের সেরা ১০০ বইয়ের মাঝে স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া মহানবী (সা.)-কে নিয়ে তাঁর লেখা, ‘বালাগাল উলা বিকামালিহি’ বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান নিয়মিত পাঠ করে থাকেন শ্রদ্ধার সঙ্গে।
এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি। পার্সিয়ান উদ্যান, শিরাজের গোলাপ বাগান এবং ইস্পাহানের ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলো যেন অতীত ও বর্তমানের সংযোগ স্থাপন করে। শানশওকতপূর্ণ দালানকোঠা, সোনালি সূর্যাস্ত আর শান্ত জলাশয়ে প্রতিফলিত আকাশের ছবি ইরানকে এক স্বর্গীয় সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে। ইরানের শৈল্পিক সৌন্দর্য, অমর সাহিত্য ও বিজ্ঞানী মনীষীদের ইতিহাস এখনো পুরো পৃথিবীকে এক অজানা জগতের পথে নিয়ে যায়। ইরান যেন এক অদেখা জগতের দরজা। হাজার বছরের ঐতিহ্যে মোড়ানো ইরানে নানা ধর্মের নানা মনীষী জন্মগ্রহণ করেছেন। আজকে জানব ইরানে জন্ম নেওয়া অসংখ্য মুসলিম মনীষীর মধ্য থেকে পাঁচজনকে। লিখেছেন তাসনিফ আবীদ
তাসনিফ আবীদ


ফারসি সাহিত্যের জনক রুদাকি
রুদাকির পুরো নাম আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মদ আর-রুদাকি। তাঁকে আধুনিক ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে ডাকা হয় অ্যাডাম অব পোয়েট বা কবিতার জনক বলে। এ ছাড়া তিনি প্রথম আধুনিক ফারসি বর্ণমালায় কবিতা রচনা করায় তাঁকে শাস্ত্রীয় ফারসি সাহিত্যের জনকও বলা হয়। নবম শতাব্দীতে তাঁর মধ্যে কবিতা, গান, আবৃত্তি এবং কবি-লেখকসত্তার যে সংমিশ্রণ ঘটেছিল, সেটা তাঁর আগে আর কারও মধ্যে এভাবে পাওয়া যায়নি বলে ধারণা করা হয়। এসব গুণের কারণে তিনি রাজসভায় ছিলেন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তবে দুঃখের বিষয় হলো, তাঁর কাব্যসম্ভারের খুব অল্প অংশই এখন পাওয়া যায়। রুদাকি ৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের খোরাসান শহরের রুদক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামেই তিনি ৯৪০ মতান্তরে ৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান।

হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি
ইরানের খোরাসানের অন্তর্গত তুস নগরীতে ১০৫৮ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৪৫০ হিজরি সনে জন্মগ্রহণ করেন হুজ্জাতুল ইসলাম আবু হামিদ মুহাম্মদ গাজালি। তবে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ইমাম গাজালি হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ গাজালি। হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি মনে করতেন, ইসলামি আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য মৃতপ্রায় হয়ে গেছে এবং মুসলমানদের প্রথম প্রজন্মের দ্বারা শেখানো আধ্যাত্মিক জ্ঞানও মানুষ ভুলতে বসেছে। এই বিশ্বাস তাঁকে ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন (ধর্মীয় জ্ঞানের পুনরুজ্জীবন) শিরোনামে তাঁর সেরা গ্রন্থ লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই বই ছাড়াও তাঁর চার শতাধিক গ্রন্থ রয়েছে। অধিকাংশ বইয়ে তিনি ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও সুফিবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই মনীষী খ্রিষ্টাব্দ ১১১১ সন মোতাবেক ৫০৫ হিজরি সনে নিজ জন্মভূমি তুস নগরীতে সুস্থ অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইরানের অমর কবি ফেরদৌসীর সমাধির পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

বুলবুল-ই-শিরাজ হাফিজ শিরাজি
মহাকবি খ্যাত হাফিজ শিরাজির আসল নাম শামসুদ্দিন মুহাম্মদ। তিনি চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। বুলবুল-ই-শিরাজ তাঁর উপাধি। এ ছাড়া তাঁকে লিসান-উল-গায়েব (অজ্ঞাতের বাণী), তর্জমান-উল-আসরার (রহস্যের মর্মসন্ধানী) বলেও সম্বোধন করা হয়। পবিত্র কোরআন তাঁর মুখস্থ ছিল। হাফিজের মৃত্যুর ১০০ বছরের মধ্যে তাঁর কোনো জীবনী রচিত হয়নি। তাই তাঁর জন্ম-মৃত্যুর দিন নিয়ে নানা মত রয়েছে। ধারণা করা হয়, তিনি ৭৯১ হিজরি বা ১৩৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

কবি ও জ্যোতির্বিদ ওমর খৈয়াম
ওমর খৈয়াম একাধারে কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তাঁর পুরো নাম গিয়াসউদিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইবরাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি। তিনি ১০৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামি বর্ষপঞ্জি সংস্কারে তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি তাঁর কবিতা সমগ্র ‘ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াত’ গ্রন্থের জন্য বিখ্যাত। কাব্য-প্রতিভার আড়ালে তাঁর গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে। ধারণা করা হয়, রনে দেকার্তের আগে তিনি বিশ্লেষণী জ্যামিতি আবিষ্কার করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গণিতের দ্বিপদী উপপাদ্য আবিষ্কার করেন। বীজগণিতে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান তিনিই প্রথম করেন। বহুমুখী প্রতিভার দৃষ্টান্ত দিতে বলা হলে বিশ্বসাহিত্য কিংবা ইতিহাসে যাঁদের নাম উপেক্ষা করা কঠিন, ওমর খৈয়াম তাঁদের মধ্যে অন্যতম ও শীর্ষস্থানীয়। ১১৩১ খ্রিষ্টাব্দে এই মনীষী জীবনের সফর শেষ করেন।

শব্দের কারিগর শেখ সাদি শিরাজি
পুরো নাম শেখ আবু মুহাম্মদ মুসলেহুদ্দিন সাদি ইবনে আবদুল্লাহ শিরাজি হলেও মানুষ তাঁকে শেখ সাদি শিরাজি বলেই বেশি চেনে। তিনি ৫৮৯ হিজরি মোতাবেক ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। ইন্তেকাল করেন ৬৯৪ হিজরি মোতাবেক ১২৯৪ খ্রিষ্টাব্দে। শেখ সাদি ছিলেন মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ ফারসি কবিদের একজন। ফারসিভাষী দেশের বাইরেও তিনি সমাদৃত। তাঁর লেখার মান এবং সামাজিক ও নৈতিক চিন্তার গভীরতার জন্য তাঁকে কদর করা হয়। ধ্রুপদি সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁকে একজন উঁচু মানের কবি ধরা হয়। তাঁর লেখা বুস্তা বইটি সর্বকালের সেরা ১০০ বইয়ের মাঝে স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া মহানবী (সা.)-কে নিয়ে তাঁর লেখা, ‘বালাগাল উলা বিকামালিহি’ বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান নিয়মিত পাঠ করে থাকেন শ্রদ্ধার সঙ্গে।


ফারসি সাহিত্যের জনক রুদাকি
রুদাকির পুরো নাম আবু আবদুল্লাহ জাফর ইবনে মুহাম্মদ আর-রুদাকি। তাঁকে আধুনিক ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের প্রথম বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাঁকে ডাকা হয় অ্যাডাম অব পোয়েট বা কবিতার জনক বলে। এ ছাড়া তিনি প্রথম আধুনিক ফারসি বর্ণমালায় কবিতা রচনা করায় তাঁকে শাস্ত্রীয় ফারসি সাহিত্যের জনকও বলা হয়। নবম শতাব্দীতে তাঁর মধ্যে কবিতা, গান, আবৃত্তি এবং কবি-লেখকসত্তার যে সংমিশ্রণ ঘটেছিল, সেটা তাঁর আগে আর কারও মধ্যে এভাবে পাওয়া যায়নি বলে ধারণা করা হয়। এসব গুণের কারণে তিনি রাজসভায় ছিলেন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। তবে দুঃখের বিষয় হলো, তাঁর কাব্যসম্ভারের খুব অল্প অংশই এখন পাওয়া যায়। রুদাকি ৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের খোরাসান শহরের রুদক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামেই তিনি ৯৪০ মতান্তরে ৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে মারা যান।

হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি
ইরানের খোরাসানের অন্তর্গত তুস নগরীতে ১০৫৮ খ্রিষ্টাব্দ মোতাবেক ৪৫০ হিজরি সনে জন্মগ্রহণ করেন হুজ্জাতুল ইসলাম আবু হামিদ মুহাম্মদ গাজালি। তবে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই ইমাম গাজালি হিসেবে বেশি পরিচিত। তাঁর পিতার নাম মুহাম্মদ গাজালি। হুজ্জাতুল ইসলাম গাজালি মনে করতেন, ইসলামি আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য মৃতপ্রায় হয়ে গেছে এবং মুসলমানদের প্রথম প্রজন্মের দ্বারা শেখানো আধ্যাত্মিক জ্ঞানও মানুষ ভুলতে বসেছে। এই বিশ্বাস তাঁকে ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন (ধর্মীয় জ্ঞানের পুনরুজ্জীবন) শিরোনামে তাঁর সেরা গ্রন্থ লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছিল। এই বই ছাড়াও তাঁর চার শতাধিক গ্রন্থ রয়েছে। অধিকাংশ বইয়ে তিনি ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও সুফিবাদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই মনীষী খ্রিষ্টাব্দ ১১১১ সন মোতাবেক ৫০৫ হিজরি সনে নিজ জন্মভূমি তুস নগরীতে সুস্থ অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইরানের অমর কবি ফেরদৌসীর সমাধির পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

বুলবুল-ই-শিরাজ হাফিজ শিরাজি
মহাকবি খ্যাত হাফিজ শিরাজির আসল নাম শামসুদ্দিন মুহাম্মদ। তিনি চতুর্দশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। বুলবুল-ই-শিরাজ তাঁর উপাধি। এ ছাড়া তাঁকে লিসান-উল-গায়েব (অজ্ঞাতের বাণী), তর্জমান-উল-আসরার (রহস্যের মর্মসন্ধানী) বলেও সম্বোধন করা হয়। পবিত্র কোরআন তাঁর মুখস্থ ছিল। হাফিজের মৃত্যুর ১০০ বছরের মধ্যে তাঁর কোনো জীবনী রচিত হয়নি। তাই তাঁর জন্ম-মৃত্যুর দিন নিয়ে নানা মত রয়েছে। ধারণা করা হয়, তিনি ৭৯১ হিজরি বা ১৩৮৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

কবি ও জ্যোতির্বিদ ওমর খৈয়াম
ওমর খৈয়াম একাধারে কবি, গণিতবেত্তা, দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ। তাঁর পুরো নাম গিয়াসউদিন আবুল ফাতেহ ওমর ইবনে ইবরাহিম আল-খৈয়াম নিশাপুরি। তিনি ১০৪৮ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামি বর্ষপঞ্জি সংস্কারে তাঁর অবদান রয়েছে। তিনি তাঁর কবিতা সমগ্র ‘ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াত’ গ্রন্থের জন্য বিখ্যাত। কাব্য-প্রতিভার আড়ালে তাঁর গাণিতিক ও দার্শনিক ভূমিকা অনেকখানি ঢাকা পড়েছে। ধারণা করা হয়, রনে দেকার্তের আগে তিনি বিশ্লেষণী জ্যামিতি আবিষ্কার করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গণিতের দ্বিপদী উপপাদ্য আবিষ্কার করেন। বীজগণিতে ত্রিঘাত সমীকরণের সমাধান তিনিই প্রথম করেন। বহুমুখী প্রতিভার দৃষ্টান্ত দিতে বলা হলে বিশ্বসাহিত্য কিংবা ইতিহাসে যাঁদের নাম উপেক্ষা করা কঠিন, ওমর খৈয়াম তাঁদের মধ্যে অন্যতম ও শীর্ষস্থানীয়। ১১৩১ খ্রিষ্টাব্দে এই মনীষী জীবনের সফর শেষ করেন।

শব্দের কারিগর শেখ সাদি শিরাজি
পুরো নাম শেখ আবু মুহাম্মদ মুসলেহুদ্দিন সাদি ইবনে আবদুল্লাহ শিরাজি হলেও মানুষ তাঁকে শেখ সাদি শিরাজি বলেই বেশি চেনে। তিনি ৫৮৯ হিজরি মোতাবেক ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ইরানের শিরাজে জন্মগ্রহণ করেন। ইন্তেকাল করেন ৬৯৪ হিজরি মোতাবেক ১২৯৪ খ্রিষ্টাব্দে। শেখ সাদি ছিলেন মধ্যযুগের গুরুত্বপূর্ণ ফারসি কবিদের একজন। ফারসিভাষী দেশের বাইরেও তিনি সমাদৃত। তাঁর লেখার মান এবং সামাজিক ও নৈতিক চিন্তার গভীরতার জন্য তাঁকে কদর করা হয়। ধ্রুপদি সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁকে একজন উঁচু মানের কবি ধরা হয়। তাঁর লেখা বুস্তা বইটি সর্বকালের সেরা ১০০ বইয়ের মাঝে স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া মহানবী (সা.)-কে নিয়ে তাঁর লেখা, ‘বালাগাল উলা বিকামালিহি’ বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান নিয়মিত পাঠ করে থাকেন শ্রদ্ধার সঙ্গে।

মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১১ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১৩ ঘণ্টা আগে
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল।
১৪ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।

আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।

এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২০ জুন ২০২৫
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১৩ ঘণ্টা আগে
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল।
১৪ ঘণ্টা আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২০ জুন ২০২৫
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১১ ঘণ্টা আগে
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল।
১৪ ঘণ্টা আগেকাউসার লাবীব

মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করেছে। ধর্ষণকে ইসলামে ব্যভিচারের (জিনা) চেয়েও ভয়ংকর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধে ইসলাম ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধি থেকে শুরু করে সামাজিক প্রতিরোধ এবং অপরাধীর জন্য কঠোর শাস্তির সমন্বিত ব্যবস্থা দিয়েছে।
ধর্ষণ বা ব্যভিচার এক দিনে সংঘটিত হয় না; বরং এটি ধাপে ধাপে অশ্লীলতার পথ ধরে আসে। তাই ইসলাম অপরাধের উৎসমুখেই লাগাম টেনে ধরার জন্য নারী-পুরুষ উভয়কে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
কঠোরভাবে পর্দার বিধান ও অবাধ মেলামেশা বন্ধ: পর্দার বিধান নারী-পুরুষের মধ্যে দূরত্ব ও নিরাপদ সম্পর্ক বজায় রাখে। নারীদের তাদের রূপ-সৌন্দর্য স্বামী ও মাহরাম (যাদের সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়) ব্যতীত অন্য কারও সামনে প্রকাশ না করতে এবং বাইরে যাওয়ার সময় শালীন পোশাক পরিধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, পরিবার ও শিক্ষাব্যবস্থায় তাকওয়াভিত্তিক (খোদাভীতি) নৈতিক শিক্ষা দেওয়া অপরিহার্য, যা আত্মশুদ্ধি ও অপরাধ থেকে দূরে থাকতে সহায়ক।
ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির নিশ্চয়তা
ইসলামে ব্যভিচার, বলপ্রয়োগ এবং সম্ভ্রম লুণ্ঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি মারাত্মক অপরাধ হলো ধর্ষণ। তাই ধর্ষকের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর এবং তাতে কোনো প্রকার দয়া-মায়া প্রদর্শনের সুযোগ নেই।

মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করেছে। ধর্ষণকে ইসলামে ব্যভিচারের (জিনা) চেয়েও ভয়ংকর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধে ইসলাম ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধি থেকে শুরু করে সামাজিক প্রতিরোধ এবং অপরাধীর জন্য কঠোর শাস্তির সমন্বিত ব্যবস্থা দিয়েছে।
ধর্ষণ বা ব্যভিচার এক দিনে সংঘটিত হয় না; বরং এটি ধাপে ধাপে অশ্লীলতার পথ ধরে আসে। তাই ইসলাম অপরাধের উৎসমুখেই লাগাম টেনে ধরার জন্য নারী-পুরুষ উভয়কে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
কঠোরভাবে পর্দার বিধান ও অবাধ মেলামেশা বন্ধ: পর্দার বিধান নারী-পুরুষের মধ্যে দূরত্ব ও নিরাপদ সম্পর্ক বজায় রাখে। নারীদের তাদের রূপ-সৌন্দর্য স্বামী ও মাহরাম (যাদের সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়) ব্যতীত অন্য কারও সামনে প্রকাশ না করতে এবং বাইরে যাওয়ার সময় শালীন পোশাক পরিধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, পরিবার ও শিক্ষাব্যবস্থায় তাকওয়াভিত্তিক (খোদাভীতি) নৈতিক শিক্ষা দেওয়া অপরিহার্য, যা আত্মশুদ্ধি ও অপরাধ থেকে দূরে থাকতে সহায়ক।
ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির নিশ্চয়তা
ইসলামে ব্যভিচার, বলপ্রয়োগ এবং সম্ভ্রম লুণ্ঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি মারাত্মক অপরাধ হলো ধর্ষণ। তাই ধর্ষকের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর এবং তাতে কোনো প্রকার দয়া-মায়া প্রদর্শনের সুযোগ নেই।

এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২০ জুন ২০২৫
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১১ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১৩ ঘণ্টা আগে
আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল।
১৪ ঘণ্টা আগেমুফতি এনায়েতুল্লাহ ফাহাদ

আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল। আর আউয়াল মানে প্রথম। তথা প্রথম জুমাদা বা প্রথম শীত। মূলত এই মাসটিতে আরবে ঠান্ডা নেমে আসত—প্রচণ্ড শীতে কিংবা প্রবল শৈত্যপ্রবাহে সবকিছু প্রায় জমে স্থির হয়ে যায়। তাই এ মাসের নাম জমাদিউল আউয়াল বা শীতকালের প্রথম মাস।
আসন্ন ‘শীতকাল’ বাংলা বছরের ছয়টি ঋতুর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋতু। এটি প্রকৃতির মাঝে এক শীতল ও মনোরম রূপ নিয়ে আসে, যা মানুষের ইবাদত-বন্দেগিতে এক বিশেষ প্রভাব ফেলে। আসলে শীত ও গ্রীষ্ম সবই আল্লাহপ্রদত্ত প্রকৃতির অবদান। এর প্রতিটিতে রয়েছে কুদরতের নিদর্শন ও নিগূঢ় রহস্য। কোরআন করিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যেহেতু কুরাইশদের অনুরাগ রয়েছে! তাদের আগ্রহ আছে শীত ও গ্রীষ্মে ভ্রমণের। অতএব তাদের ইবাদত করা উচিত এই (কাবা) গৃহের রবের। যিনি তাদের ক্ষুধায় অন্ন দান করেন এবং শঙ্কায় নিরাপত্তা দান করেন।’ (সুরা কুরাইশ: ১-৪)
জুমাদাল উলা মাস—নতুন ঋতু হিসেবেও মুমিনের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম। মুসলিমরা নতুন বছর ও মাসের চাঁদ দেখে আনন্দিত হয়, পাশাপাশি নতুন ঋতু পেয়েও তাদের মন হয় পুলকিত। কারণ প্রত্যেক মানুষ দুনিয়ায় আগমন করেছে নির্দিষ্ট কিছু সময় নিয়ে। নির্দিষ্ট সময়ের পর কোনো প্রাণী বা সৃষ্টির বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। তাই তো প্রতিটি মুমিনের কাছে প্রতি মুহূর্তের দাম সোনার চেয়েও দামি। সময়-কাল-মুহূর্তের আগমন হলেই মুমিন দোয়া পড়বে। সাহাবি তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) যখন নতুন চাঁদ বা আবহ পরিবর্তন লক্ষ করতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন—‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ইমানি ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।’ (সুনানে দারিমি: ১৭২৫)
প্রসঙ্গত, রমজান ও মহররমের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিবস আর ফজিলতের কথা এই মাসে না থাকলেও রাসুল (সা.)-এর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট একটি আমলের কথা হাদিসে এসেছে—তিনি প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা রাখতেন। (সহিহ বুখারি: ১৯৭৫)। এ জন্যই আমাদের উচিত যেসব দিনের ও যেসব মাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সেসব দিনে ও মাসে ইবাদত করা। আর যেসব দিন ও মাসের বিশেষ ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য কোরআন ও হাদিসে উল্লেখ করা হয়নি, সেসব দিন ও মাসে বেশি করে নেক আমল করা। ফলে আখিরাতের ময়দানে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে যাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ।
আমরা পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সময় বিবেচনা করলে দেখতে পাব জমাদিউল আউয়াল মাস ইবাদতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নফল রোজা, নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ শরিফ, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া-কালাম, দান-সদকাহ খয়রাত, ওমরাহ, হজ ইত্যাদির মাধ্যমে এই মাসকে সার্থক ও সাফল্যময় করা যায়। সুতরাং আমাদের উচিত এই মাস ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব

আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল। আর আউয়াল মানে প্রথম। তথা প্রথম জুমাদা বা প্রথম শীত। মূলত এই মাসটিতে আরবে ঠান্ডা নেমে আসত—প্রচণ্ড শীতে কিংবা প্রবল শৈত্যপ্রবাহে সবকিছু প্রায় জমে স্থির হয়ে যায়। তাই এ মাসের নাম জমাদিউল আউয়াল বা শীতকালের প্রথম মাস।
আসন্ন ‘শীতকাল’ বাংলা বছরের ছয়টি ঋতুর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋতু। এটি প্রকৃতির মাঝে এক শীতল ও মনোরম রূপ নিয়ে আসে, যা মানুষের ইবাদত-বন্দেগিতে এক বিশেষ প্রভাব ফেলে। আসলে শীত ও গ্রীষ্ম সবই আল্লাহপ্রদত্ত প্রকৃতির অবদান। এর প্রতিটিতে রয়েছে কুদরতের নিদর্শন ও নিগূঢ় রহস্য। কোরআন করিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যেহেতু কুরাইশদের অনুরাগ রয়েছে! তাদের আগ্রহ আছে শীত ও গ্রীষ্মে ভ্রমণের। অতএব তাদের ইবাদত করা উচিত এই (কাবা) গৃহের রবের। যিনি তাদের ক্ষুধায় অন্ন দান করেন এবং শঙ্কায় নিরাপত্তা দান করেন।’ (সুরা কুরাইশ: ১-৪)
জুমাদাল উলা মাস—নতুন ঋতু হিসেবেও মুমিনের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম। মুসলিমরা নতুন বছর ও মাসের চাঁদ দেখে আনন্দিত হয়, পাশাপাশি নতুন ঋতু পেয়েও তাদের মন হয় পুলকিত। কারণ প্রত্যেক মানুষ দুনিয়ায় আগমন করেছে নির্দিষ্ট কিছু সময় নিয়ে। নির্দিষ্ট সময়ের পর কোনো প্রাণী বা সৃষ্টির বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। তাই তো প্রতিটি মুমিনের কাছে প্রতি মুহূর্তের দাম সোনার চেয়েও দামি। সময়-কাল-মুহূর্তের আগমন হলেই মুমিন দোয়া পড়বে। সাহাবি তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) যখন নতুন চাঁদ বা আবহ পরিবর্তন লক্ষ করতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন—‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ইমানি ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।’ (সুনানে দারিমি: ১৭২৫)
প্রসঙ্গত, রমজান ও মহররমের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিবস আর ফজিলতের কথা এই মাসে না থাকলেও রাসুল (সা.)-এর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট একটি আমলের কথা হাদিসে এসেছে—তিনি প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা রাখতেন। (সহিহ বুখারি: ১৯৭৫)। এ জন্যই আমাদের উচিত যেসব দিনের ও যেসব মাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সেসব দিনে ও মাসে ইবাদত করা। আর যেসব দিন ও মাসের বিশেষ ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য কোরআন ও হাদিসে উল্লেখ করা হয়নি, সেসব দিন ও মাসে বেশি করে নেক আমল করা। ফলে আখিরাতের ময়দানে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে যাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ।
আমরা পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সময় বিবেচনা করলে দেখতে পাব জমাদিউল আউয়াল মাস ইবাদতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নফল রোজা, নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ শরিফ, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া-কালাম, দান-সদকাহ খয়রাত, ওমরাহ, হজ ইত্যাদির মাধ্যমে এই মাসকে সার্থক ও সাফল্যময় করা যায়। সুতরাং আমাদের উচিত এই মাস ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব

এক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২০ জুন ২০২৫
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১১ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১৩ ঘণ্টা আগে
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
১৪ ঘণ্টা আগে