আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি হাসান আরিফ
প্রশ্ন: ঈদে সালামি দেওয়ার প্রচলন আছে সমাজে। এ বিষয়ে ইসলাম কী বলে জানতে চাই।
সজল মিয়া, গাজীপুর
উত্তর: ঈদের দিন শিশু-কিশোরের বিশেষ আকর্ষণের বিষয় ঈদি তথা ঈদের সালামি। ইসলামের দৃষ্টিতে ঈদে সালামি দেওয়ার এ প্রচলনে কোনো আপত্তি বা বাধা-নিষেধ নেই। এর মাধ্যমে ছোটদের প্রতি স্নেহ-মমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। বড়দের পক্ষ থেকে পাওয়া সালামি শিশুদের ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দেয়।
ইসলামে উপহার দেওয়া-নেওয়ার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য (কাউকে কিছু) দেয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দেওয়া থেকে বিরত থাকে, সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৫২১)। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘পরস্পর হাদিয়া দাও, তাহলে মহব্বত বৃদ্ধি পাবে।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৫৯৪)
তবে ঈদে সালামি দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের লক্ষ রাখা প্রয়োজন, শিশুরা হাতে টাকা পেয়ে আজেবাজে বা গুনাহের কাজে যেন খরচ না করে।
তা ছাড়া সালামি পাওয়ার জন্য ছোটরা মাথা ঝুঁকিয়ে বড়দের পা ছুঁয়ে সালাম করার প্রচলন আছে। এটি উচিত নয়। কেউ এমনটি করলে তাকে নিষেধ করতে হবে।
ইসলামি বিশেষজ্ঞদের মতে, পা ছুঁয়ে সালাম করা ইসলামি সংস্কৃতি নয়। ইসলামে সালাম বলতে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বোঝায়। বর্তমান সমাজে প্রচলিত পা ছুঁয়ে সালাম বা কদমবুসি করার সময় যদি মাথা ঝোঁকানো হয়, তাহলে তা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই সালামের এ নতুন পদ্ধতি থেকে বিরত থাকা উচিত। (আদ্দুররুল মুখতার: ২ / ২৪৫, রদ্দুল মুহতার: ৬ / ৩৮৩)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি হাসান আরিফ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: ঈদে সালামি দেওয়ার প্রচলন আছে সমাজে। এ বিষয়ে ইসলাম কী বলে জানতে চাই।
সজল মিয়া, গাজীপুর
উত্তর: ঈদের দিন শিশু-কিশোরের বিশেষ আকর্ষণের বিষয় ঈদি তথা ঈদের সালামি। ইসলামের দৃষ্টিতে ঈদে সালামি দেওয়ার এ প্রচলনে কোনো আপত্তি বা বাধা-নিষেধ নেই। এর মাধ্যমে ছোটদের প্রতি স্নেহ-মমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। বড়দের পক্ষ থেকে পাওয়া সালামি শিশুদের ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে দেয়।
ইসলামে উপহার দেওয়া-নেওয়ার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য (কাউকে কিছু) দেয় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দেওয়া থেকে বিরত থাকে, সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৫২১)। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘পরস্পর হাদিয়া দাও, তাহলে মহব্বত বৃদ্ধি পাবে।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৫৯৪)
তবে ঈদে সালামি দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের লক্ষ রাখা প্রয়োজন, শিশুরা হাতে টাকা পেয়ে আজেবাজে বা গুনাহের কাজে যেন খরচ না করে।
তা ছাড়া সালামি পাওয়ার জন্য ছোটরা মাথা ঝুঁকিয়ে বড়দের পা ছুঁয়ে সালাম করার প্রচলন আছে। এটি উচিত নয়। কেউ এমনটি করলে তাকে নিষেধ করতে হবে।
ইসলামি বিশেষজ্ঞদের মতে, পা ছুঁয়ে সালাম করা ইসলামি সংস্কৃতি নয়। ইসলামে সালাম বলতে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বোঝায়। বর্তমান সমাজে প্রচলিত পা ছুঁয়ে সালাম বা কদমবুসি করার সময় যদি মাথা ঝোঁকানো হয়, তাহলে তা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই সালামের এ নতুন পদ্ধতি থেকে বিরত থাকা উচিত। (আদ্দুররুল মুখতার: ২ / ২৪৫, রদ্দুল মুহতার: ৬ / ৩৮৩)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি হাসান আরিফ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমাদের সমাজে অনেকেই বছরের নানা সময়ে নফল রোজা রেখে থাকেন। কিন্তু ইসলামের বিধান অনুযায়ী—বছরের বেশ কিছু দিন রয়েছে, যে দিনগুলোতে রোজা রাখা যায় না। যেমন, ঈদুল আজহা কিংবা ঈদুল ফিতর রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
১৩ ঘণ্টা আগেমহানবী (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং সরাসরি তাঁকে সালাম জানানো নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে এর জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু শিষ্টাচার ও আদব। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
১৬ ঘণ্টা আগেসামাজিক সম্পর্কের অসামান্য বন্ধন দাওয়াত, যেখানে খাবারের সঙ্গে মিশে যায় আন্তরিকতা, স্নেহ ও ভালোবাসা। দেশ, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এই সংস্কৃতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এ ছাড়া মেহমানদারি নবী-রাসুলেরও আদর্শ।
১৮ ঘণ্টা আগেনবী আদম (আ.) থেকে নিয়ে মহানবী (সা.) পর্যন্ত সব নবীর যুগেই কোরবানির বিধান ছিল। (সুরা হজ: ৩৪)। তবে ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে আছে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানির ঘটনা। কেননা তা ছিল কঠিন ত্যাগের অধ্যায়।
২ দিন আগে