ইসলাম ডেস্ক

নানা রহস্যে পৃথিবীকে মুড়িয়ে রেখেছেন মহান প্রভু। সৃষ্টির শুরু থেকে কত ঘটনার সাক্ষী ছোট্ট এই গ্রহ! কোনো জাতিকে আল্লাহ নিয়ামতে ভরিয়ে দিয়েছেন, কাউকে আবার নিজেদের অপকর্মের কারণে আজাবে নিপতিত করেছেন। পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানা অঞ্চলে এসব ঘটনার ছাপ রয়ে গেছে এখনো। এসব বিষয় নিয়ে কোথাও তৈরি হয়েছে বিশাল জাদুঘর। কোথাও-বা এলাকাটাকেই সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। বিশ্বাসী বান্দারা এসব দেখে নিজেদের ইমান মজবুত করে। আল্লাহর অনুগ্রহ চায় মোনাজাতে।
এসব নিদর্শন দেখার জন্য ভ্রমণ করার প্রতি ইসলাম গুরুত্বারোপ করেছেন। কেননা ঐতিহাসিক ওই সব এলাকা, জাদুঘর সংরক্ষিত স্থান দেখলে স্রষ্টার সৃষ্টির রহস্য জানতে সাহায্য করে, ইমান বাড়ে, জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়। আল্লাহর নিয়ামত পেয়ে ধন্য জাতির ইতিহাস জানলে মন প্রফুল্ল হয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
পবিত্র কোরআনের বেশ কয়েক জায়গায় ভ্রমণের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না? তাহলে দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কী হয়েছিল। তারা তো শক্তিতে ছিল এদের চেয়েও শক্তিশালী। আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই আল্লাহকে অপারগ করতে পারে না। তিনি সর্বজ্ঞাতা, সকল শক্তির অধিকারী। (সুরা ফাতির: ৪৪)। অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো। লক্ষ করো কীভাবে আল্লাহ সৃষ্টির সূচনা করেছেন, অতঃপর আল্লাহ সৃষ্টি করবেন পরবর্তী সৃষ্টি, আল্লাহ সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। (সুরা আনকাবুত: ২০)
এসব আয়াতের দিকে লক্ষ করলে বোঝা যায়, ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখার জন্য ভ্রমণ করা ইবাদত। প্রতিটি ইবাদতের ক্ষেত্রেই মহানবী (সা.) আমাদের আদর্শ। তাই ভ্রমণের ক্ষেত্র নবীজি (সা.) কীভাবে ভ্রমণ করতেন, তা অনুসরণ করতে হবে। সফরে বের হওয়ার সময় আল্লাহর রাসুল (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহর নামে বের হচ্ছি, আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো উপায় নেই। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো শক্তিও নেই।’ (জামে তিরমিজি)
সফরের বিষয়ে তিনি নির্দেশনা দেন, ‘যখন একসঙ্গে তিনজন ভ্রমণে বের হবে, তখন একজনকে নেতা নিযুক্ত করবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)

নানা রহস্যে পৃথিবীকে মুড়িয়ে রেখেছেন মহান প্রভু। সৃষ্টির শুরু থেকে কত ঘটনার সাক্ষী ছোট্ট এই গ্রহ! কোনো জাতিকে আল্লাহ নিয়ামতে ভরিয়ে দিয়েছেন, কাউকে আবার নিজেদের অপকর্মের কারণে আজাবে নিপতিত করেছেন। পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানা অঞ্চলে এসব ঘটনার ছাপ রয়ে গেছে এখনো। এসব বিষয় নিয়ে কোথাও তৈরি হয়েছে বিশাল জাদুঘর। কোথাও-বা এলাকাটাকেই সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। বিশ্বাসী বান্দারা এসব দেখে নিজেদের ইমান মজবুত করে। আল্লাহর অনুগ্রহ চায় মোনাজাতে।
এসব নিদর্শন দেখার জন্য ভ্রমণ করার প্রতি ইসলাম গুরুত্বারোপ করেছেন। কেননা ঐতিহাসিক ওই সব এলাকা, জাদুঘর সংরক্ষিত স্থান দেখলে স্রষ্টার সৃষ্টির রহস্য জানতে সাহায্য করে, ইমান বাড়ে, জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়। আল্লাহর নিয়ামত পেয়ে ধন্য জাতির ইতিহাস জানলে মন প্রফুল্ল হয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
পবিত্র কোরআনের বেশ কয়েক জায়গায় ভ্রমণের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না? তাহলে দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কী হয়েছিল। তারা তো শক্তিতে ছিল এদের চেয়েও শক্তিশালী। আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই আল্লাহকে অপারগ করতে পারে না। তিনি সর্বজ্ঞাতা, সকল শক্তির অধিকারী। (সুরা ফাতির: ৪৪)। অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো। লক্ষ করো কীভাবে আল্লাহ সৃষ্টির সূচনা করেছেন, অতঃপর আল্লাহ সৃষ্টি করবেন পরবর্তী সৃষ্টি, আল্লাহ সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। (সুরা আনকাবুত: ২০)
এসব আয়াতের দিকে লক্ষ করলে বোঝা যায়, ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখার জন্য ভ্রমণ করা ইবাদত। প্রতিটি ইবাদতের ক্ষেত্রেই মহানবী (সা.) আমাদের আদর্শ। তাই ভ্রমণের ক্ষেত্র নবীজি (সা.) কীভাবে ভ্রমণ করতেন, তা অনুসরণ করতে হবে। সফরে বের হওয়ার সময় আল্লাহর রাসুল (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহর নামে বের হচ্ছি, আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো উপায় নেই। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো শক্তিও নেই।’ (জামে তিরমিজি)
সফরের বিষয়ে তিনি নির্দেশনা দেন, ‘যখন একসঙ্গে তিনজন ভ্রমণে বের হবে, তখন একজনকে নেতা নিযুক্ত করবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)
ইসলাম ডেস্ক

নানা রহস্যে পৃথিবীকে মুড়িয়ে রেখেছেন মহান প্রভু। সৃষ্টির শুরু থেকে কত ঘটনার সাক্ষী ছোট্ট এই গ্রহ! কোনো জাতিকে আল্লাহ নিয়ামতে ভরিয়ে দিয়েছেন, কাউকে আবার নিজেদের অপকর্মের কারণে আজাবে নিপতিত করেছেন। পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানা অঞ্চলে এসব ঘটনার ছাপ রয়ে গেছে এখনো। এসব বিষয় নিয়ে কোথাও তৈরি হয়েছে বিশাল জাদুঘর। কোথাও-বা এলাকাটাকেই সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। বিশ্বাসী বান্দারা এসব দেখে নিজেদের ইমান মজবুত করে। আল্লাহর অনুগ্রহ চায় মোনাজাতে।
এসব নিদর্শন দেখার জন্য ভ্রমণ করার প্রতি ইসলাম গুরুত্বারোপ করেছেন। কেননা ঐতিহাসিক ওই সব এলাকা, জাদুঘর সংরক্ষিত স্থান দেখলে স্রষ্টার সৃষ্টির রহস্য জানতে সাহায্য করে, ইমান বাড়ে, জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়। আল্লাহর নিয়ামত পেয়ে ধন্য জাতির ইতিহাস জানলে মন প্রফুল্ল হয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
পবিত্র কোরআনের বেশ কয়েক জায়গায় ভ্রমণের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না? তাহলে দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কী হয়েছিল। তারা তো শক্তিতে ছিল এদের চেয়েও শক্তিশালী। আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই আল্লাহকে অপারগ করতে পারে না। তিনি সর্বজ্ঞাতা, সকল শক্তির অধিকারী। (সুরা ফাতির: ৪৪)। অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো। লক্ষ করো কীভাবে আল্লাহ সৃষ্টির সূচনা করেছেন, অতঃপর আল্লাহ সৃষ্টি করবেন পরবর্তী সৃষ্টি, আল্লাহ সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। (সুরা আনকাবুত: ২০)
এসব আয়াতের দিকে লক্ষ করলে বোঝা যায়, ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখার জন্য ভ্রমণ করা ইবাদত। প্রতিটি ইবাদতের ক্ষেত্রেই মহানবী (সা.) আমাদের আদর্শ। তাই ভ্রমণের ক্ষেত্র নবীজি (সা.) কীভাবে ভ্রমণ করতেন, তা অনুসরণ করতে হবে। সফরে বের হওয়ার সময় আল্লাহর রাসুল (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহর নামে বের হচ্ছি, আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো উপায় নেই। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো শক্তিও নেই।’ (জামে তিরমিজি)
সফরের বিষয়ে তিনি নির্দেশনা দেন, ‘যখন একসঙ্গে তিনজন ভ্রমণে বের হবে, তখন একজনকে নেতা নিযুক্ত করবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)

নানা রহস্যে পৃথিবীকে মুড়িয়ে রেখেছেন মহান প্রভু। সৃষ্টির শুরু থেকে কত ঘটনার সাক্ষী ছোট্ট এই গ্রহ! কোনো জাতিকে আল্লাহ নিয়ামতে ভরিয়ে দিয়েছেন, কাউকে আবার নিজেদের অপকর্মের কারণে আজাবে নিপতিত করেছেন। পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানা অঞ্চলে এসব ঘটনার ছাপ রয়ে গেছে এখনো। এসব বিষয় নিয়ে কোথাও তৈরি হয়েছে বিশাল জাদুঘর। কোথাও-বা এলাকাটাকেই সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। বিশ্বাসী বান্দারা এসব দেখে নিজেদের ইমান মজবুত করে। আল্লাহর অনুগ্রহ চায় মোনাজাতে।
এসব নিদর্শন দেখার জন্য ভ্রমণ করার প্রতি ইসলাম গুরুত্বারোপ করেছেন। কেননা ঐতিহাসিক ওই সব এলাকা, জাদুঘর সংরক্ষিত স্থান দেখলে স্রষ্টার সৃষ্টির রহস্য জানতে সাহায্য করে, ইমান বাড়ে, জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়। আল্লাহর নিয়ামত পেয়ে ধন্য জাতির ইতিহাস জানলে মন প্রফুল্ল হয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
পবিত্র কোরআনের বেশ কয়েক জায়গায় ভ্রমণের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে না? তাহলে দেখত, তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণাম কী হয়েছিল। তারা তো শক্তিতে ছিল এদের চেয়েও শক্তিশালী। আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই আল্লাহকে অপারগ করতে পারে না। তিনি সর্বজ্ঞাতা, সকল শক্তির অধিকারী। (সুরা ফাতির: ৪৪)। অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ করো। লক্ষ করো কীভাবে আল্লাহ সৃষ্টির সূচনা করেছেন, অতঃপর আল্লাহ সৃষ্টি করবেন পরবর্তী সৃষ্টি, আল্লাহ সকল বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। (সুরা আনকাবুত: ২০)
এসব আয়াতের দিকে লক্ষ করলে বোঝা যায়, ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখার জন্য ভ্রমণ করা ইবাদত। প্রতিটি ইবাদতের ক্ষেত্রেই মহানবী (সা.) আমাদের আদর্শ। তাই ভ্রমণের ক্ষেত্র নবীজি (সা.) কীভাবে ভ্রমণ করতেন, তা অনুসরণ করতে হবে। সফরে বের হওয়ার সময় আল্লাহর রাসুল (সা.) বলতেন, ‘আল্লাহর নামে বের হচ্ছি, আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো উপায় নেই। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো শক্তিও নেই।’ (জামে তিরমিজি)
সফরের বিষয়ে তিনি নির্দেশনা দেন, ‘যখন একসঙ্গে তিনজন ভ্রমণে বের হবে, তখন একজনকে নেতা নিযুক্ত করবে।’ (সুনানে আবু দাউদ)

প্রথম কাতারকে শুধু একটি স্থান হিসেবে নয়, বরং আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও অফুরন্ত রহমত লাভের এক বিশেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। নামাজের প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো, এর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাদের বিশেষ মনোযোগ ও বরকত লাভ করে।
২ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের সফলতা, মর্যাদা ও আত্মমর্যাদার মূল রহস্য পরিশ্রমের ভেতর নিহিত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে যে সক্ষমতা ও বিবেকবোধ দান করেছেন, তার দ্বারা জীবিকা অর্জনের পথ প্রশস্ত করেছেন। ইসলাম কখনো অলসতা, পরনির্ভরশীলতা বা ভিক্ষাবৃত্তিকে সায় দেয়নি।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে
প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সংক্রামক রোগসহ সুর্নিদিষ্ট কিছু রোগ থেকে মুক্ত বলে প্রত্যয়নপত্র ছাড়া হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। এবিষয়ে সম্প্রতি হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি সরকার।
১ দিন আগেসাকী মাহবুব

ইসলামে জামাতে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই জামাতে প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর যে বিশেষ ফজিলত রয়েছে, তা অসংখ্য হাদিসে প্রমাণিত।
প্রথম কাতারকে শুধু একটি স্থান হিসেবে নয়, বরং আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও অফুরন্ত রহমত লাভের এক বিশেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। নামাজের প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো, এর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাদের বিশেষ মনোযোগ ও বরকত লাভ করে।
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন প্রথম কাতারের মুসল্লিদের জন্য।’ (মুসনাদে আহমাদ, সুনানে ইবনে মাজাহ)
ইরবাজ ইবনে সারিয়াহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রথম কাতারে নামাজ আদায়কারীর জন্য তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এবং দ্বিতীয় কাতারের জন্য একবার।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)
প্রথম কাতারের ফজিলত এত বেশি যে যদি মানুষ তা জানত, তাহলে তারা এই সুযোগ লাভের জন্য তীব্র প্রতিযোগিতা করত।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি লোকেরা জানত যে আজান ও প্রথম কাতারে নামাজ আদায়ে কী নেকি আছে, তাহলে তারা পরস্পর প্রতিযোগিতা করত। অনুরূপভাবে যদি তারা জানত এশা ও ফজরের নামাজে কী নেকি রয়েছে, তবে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও ওই দুই নামাজে আসত।’ অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, ‘যদি লটারির মাধ্যমে নির্বাচন ব্যতীত এই সুযোগ লাভ করা সম্ভব না হতো, তাহলে অবশ্যই তারা লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিত।’ (সহিহ্ বুখারি, সহিহ্ মুসলিম)
প্রথম কাতার ফেরেশতাদের কাতারের অনুরূপ। ফেরেশতারা আল্লাহ তাআলার সামনে যেভাবে কাতারবদ্ধ হন, মুসল্লিদেরও সেভাবে প্রথম কাতার পূর্ণ করে ঘন হয়ে দাঁড়ানো উচিত। জাবির ইবনে সামুরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কি সেভাবে কাতারবদ্ধ হবে না, যেভাবে ফেরেশতারা তাঁদের রবের সামনে কাতারবদ্ধ হন?’ সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ফেরেশতারা কীভাবে তাঁদের রবের সামনে কাতারবদ্ধ হন? জবাবে তিনি বললেন, তাঁরা আগে প্রথম কাতার পূরণ করেন এবং কাতারে ঘেঁষে ঘেঁষে দাঁড়ান।’ (সহিহ্ মুসলিম)
নামাজে প্রথম কাতারে দাঁড়ানো শুধু একটি পছন্দের বিষয় নয়, বরং এটি বিশেষ ফজিলত, আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ।
একজন মুমিনের উচিত, জামাতের শুরুতে মসজিদে উপস্থিত হয়ে এই বরকতময় স্থানটি লাভের জন্য সচেষ্ট হওয়া। এর মাধ্যমে ব্যক্তি যেমন আধ্যাত্মিক দিক থেকে লাভবান হন, তেমনি জামাতের মধ্যেও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় থাকে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কসবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলামে জামাতে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। আর এই জামাতে প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর যে বিশেষ ফজিলত রয়েছে, তা অসংখ্য হাদিসে প্রমাণিত।
প্রথম কাতারকে শুধু একটি স্থান হিসেবে নয়, বরং আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও অফুরন্ত রহমত লাভের এক বিশেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। নামাজের প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো, এর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাদের বিশেষ মনোযোগ ও বরকত লাভ করে।
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন প্রথম কাতারের মুসল্লিদের জন্য।’ (মুসনাদে আহমাদ, সুনানে ইবনে মাজাহ)
ইরবাজ ইবনে সারিয়াহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রথম কাতারে নামাজ আদায়কারীর জন্য তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এবং দ্বিতীয় কাতারের জন্য একবার।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)
প্রথম কাতারের ফজিলত এত বেশি যে যদি মানুষ তা জানত, তাহলে তারা এই সুযোগ লাভের জন্য তীব্র প্রতিযোগিতা করত।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি লোকেরা জানত যে আজান ও প্রথম কাতারে নামাজ আদায়ে কী নেকি আছে, তাহলে তারা পরস্পর প্রতিযোগিতা করত। অনুরূপভাবে যদি তারা জানত এশা ও ফজরের নামাজে কী নেকি রয়েছে, তবে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও ওই দুই নামাজে আসত।’ অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, ‘যদি লটারির মাধ্যমে নির্বাচন ব্যতীত এই সুযোগ লাভ করা সম্ভব না হতো, তাহলে অবশ্যই তারা লটারির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিত।’ (সহিহ্ বুখারি, সহিহ্ মুসলিম)
প্রথম কাতার ফেরেশতাদের কাতারের অনুরূপ। ফেরেশতারা আল্লাহ তাআলার সামনে যেভাবে কাতারবদ্ধ হন, মুসল্লিদেরও সেভাবে প্রথম কাতার পূর্ণ করে ঘন হয়ে দাঁড়ানো উচিত। জাবির ইবনে সামুরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা কি সেভাবে কাতারবদ্ধ হবে না, যেভাবে ফেরেশতারা তাঁদের রবের সামনে কাতারবদ্ধ হন?’ সাহাবিরা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ফেরেশতারা কীভাবে তাঁদের রবের সামনে কাতারবদ্ধ হন? জবাবে তিনি বললেন, তাঁরা আগে প্রথম কাতার পূরণ করেন এবং কাতারে ঘেঁষে ঘেঁষে দাঁড়ান।’ (সহিহ্ মুসলিম)
নামাজে প্রথম কাতারে দাঁড়ানো শুধু একটি পছন্দের বিষয় নয়, বরং এটি বিশেষ ফজিলত, আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ।
একজন মুমিনের উচিত, জামাতের শুরুতে মসজিদে উপস্থিত হয়ে এই বরকতময় স্থানটি লাভের জন্য সচেষ্ট হওয়া। এর মাধ্যমে ব্যক্তি যেমন আধ্যাত্মিক দিক থেকে লাভবান হন, তেমনি জামাতের মধ্যেও সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় থাকে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কসবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

নানা রহস্যে পৃথিবীকে মুড়িয়ে রেখেছেন মহান প্রভু। সৃষ্টির শুরু থেকে কত ঘটনার সাক্ষী ছোট্ট এই গ্রহ! কোনো জাতিকে আল্লাহ নিয়ামতে ভরিয়ে দিয়েছেন, কাউকে আবার নিজেদের অপকর্মের কারণে আজাবে নিপতিত করেছেন। পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানা অঞ্চলে এসব ঘটনার ছাপ রয়ে গেছে এখনো। এসব বিষয় নিয়ে কোথাও তৈরি হয়েছে বিশাল...
১৮ মে ২০২৫
মানবজীবনের সফলতা, মর্যাদা ও আত্মমর্যাদার মূল রহস্য পরিশ্রমের ভেতর নিহিত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে যে সক্ষমতা ও বিবেকবোধ দান করেছেন, তার দ্বারা জীবিকা অর্জনের পথ প্রশস্ত করেছেন। ইসলাম কখনো অলসতা, পরনির্ভরশীলতা বা ভিক্ষাবৃত্তিকে সায় দেয়নি।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে
প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সংক্রামক রোগসহ সুর্নিদিষ্ট কিছু রোগ থেকে মুক্ত বলে প্রত্যয়নপত্র ছাড়া হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। এবিষয়ে সম্প্রতি হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি সরকার।
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

মানবজীবনের সফলতা, মর্যাদা ও আত্মমর্যাদার মূল রহস্য পরিশ্রমের ভেতর নিহিত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে যে সক্ষমতা ও বিবেকবোধ দান করেছেন, তার দ্বারা জীবিকা অর্জনের পথ প্রশস্ত করেছেন। ইসলাম কখনো অলসতা, পরনির্ভরশীলতা বা ভিক্ষাবৃত্তিকে সায় দেয়নি।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরিশ্রমী ও স্বাবলম্বী মানুষ। তিনি নবুওয়াত লাভের আগেই ব্যবসা করতেন, আমানত রক্ষা করতেন, ছিলেন সততা ও পরিশ্রমের অনন্য উদাহরণ। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি পরিত্যাগ করে পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করার শিক্ষা দিয়েছেন।
হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, এক আনসারি সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে কিছু চাইলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার ঘরে কি কিছুই নেই?’ সে বলল, ‘একটা কম্বল আছে। যার একাংশ আমরা গায়ে দিই এবং অপরাংশ (বিছানা হিসেবে) বিছাই। আরেকটা পানপাত্র আছে, যা দিয়ে আমরা পানি পান করি।’
রাসুলুল্লাহ (সা.) সেগুলো নিয়ে আসতে বললেন। অতঃপর তিনি তা হাতে নিয়ে বললেন, ‘এই জিনিস দুটো কে কিনবে?’ এক ব্যক্তি বলল, ‘আমি এক দিরহামের বিনিময়ে কিনব।’ মহানবী (সা.) বললেন, ‘এর চেয়ে বেশি মূল্য কে দেবে?’ একজন দুই দিরহামের বিনিময়ে সেগুলো কিনে নিল। তিনি আনসারিকে দিরহাম দুটো দিয়ে বললেন, ‘এর একটি দিয়ে খাদ্য কিনে তোমার পরিবারের লোকদের দিয়ে এসো। অপরটি দিয়ে কুঠার কিনে আমার কাছে নিয়ে এসো।’
মহানবী (সা.) নিজ হাতে সে কুঠারে হাতল লাগিয়ে বললেন, ‘যাও জঙ্গল থেকে কাঠ সংগ্রহ করো। আমি যেন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তোমাকে না দেখি।’
সে কাঠ সংগ্রহ করে বিক্রি করতে লাগল। অতঃপর যখন সে মহানবী (সা.)-এর কাছে এল, তখন তার কাছে ১০ দিরহাম সঞ্চিত ছিল। রাসুল (সা.) তাকে বললেন, ‘এর কিছু দিয়ে কাপড়চোপড় আর কিছু দিয়ে খাদ্য কিনে নাও। ভিক্ষার কারণে কিয়ামত দিবসে তোমার মুখমণ্ডলে অপমানের চিহ্ন থাকার চেয়ে এটা তোমার জন্য উত্তম।’ (আবু দাউদ: ২১৯৮)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

মানবজীবনের সফলতা, মর্যাদা ও আত্মমর্যাদার মূল রহস্য পরিশ্রমের ভেতর নিহিত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে যে সক্ষমতা ও বিবেকবোধ দান করেছেন, তার দ্বারা জীবিকা অর্জনের পথ প্রশস্ত করেছেন। ইসলাম কখনো অলসতা, পরনির্ভরশীলতা বা ভিক্ষাবৃত্তিকে সায় দেয়নি।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন পরিশ্রমী ও স্বাবলম্বী মানুষ। তিনি নবুওয়াত লাভের আগেই ব্যবসা করতেন, আমানত রক্ষা করতেন, ছিলেন সততা ও পরিশ্রমের অনন্য উদাহরণ। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি পরিত্যাগ করে পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করার শিক্ষা দিয়েছেন।
হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, এক আনসারি সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে কিছু চাইলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার ঘরে কি কিছুই নেই?’ সে বলল, ‘একটা কম্বল আছে। যার একাংশ আমরা গায়ে দিই এবং অপরাংশ (বিছানা হিসেবে) বিছাই। আরেকটা পানপাত্র আছে, যা দিয়ে আমরা পানি পান করি।’
রাসুলুল্লাহ (সা.) সেগুলো নিয়ে আসতে বললেন। অতঃপর তিনি তা হাতে নিয়ে বললেন, ‘এই জিনিস দুটো কে কিনবে?’ এক ব্যক্তি বলল, ‘আমি এক দিরহামের বিনিময়ে কিনব।’ মহানবী (সা.) বললেন, ‘এর চেয়ে বেশি মূল্য কে দেবে?’ একজন দুই দিরহামের বিনিময়ে সেগুলো কিনে নিল। তিনি আনসারিকে দিরহাম দুটো দিয়ে বললেন, ‘এর একটি দিয়ে খাদ্য কিনে তোমার পরিবারের লোকদের দিয়ে এসো। অপরটি দিয়ে কুঠার কিনে আমার কাছে নিয়ে এসো।’
মহানবী (সা.) নিজ হাতে সে কুঠারে হাতল লাগিয়ে বললেন, ‘যাও জঙ্গল থেকে কাঠ সংগ্রহ করো। আমি যেন আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তোমাকে না দেখি।’
সে কাঠ সংগ্রহ করে বিক্রি করতে লাগল। অতঃপর যখন সে মহানবী (সা.)-এর কাছে এল, তখন তার কাছে ১০ দিরহাম সঞ্চিত ছিল। রাসুল (সা.) তাকে বললেন, ‘এর কিছু দিয়ে কাপড়চোপড় আর কিছু দিয়ে খাদ্য কিনে নাও। ভিক্ষার কারণে কিয়ামত দিবসে তোমার মুখমণ্ডলে অপমানের চিহ্ন থাকার চেয়ে এটা তোমার জন্য উত্তম।’ (আবু দাউদ: ২১৯৮)
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

নানা রহস্যে পৃথিবীকে মুড়িয়ে রেখেছেন মহান প্রভু। সৃষ্টির শুরু থেকে কত ঘটনার সাক্ষী ছোট্ট এই গ্রহ! কোনো জাতিকে আল্লাহ নিয়ামতে ভরিয়ে দিয়েছেন, কাউকে আবার নিজেদের অপকর্মের কারণে আজাবে নিপতিত করেছেন। পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানা অঞ্চলে এসব ঘটনার ছাপ রয়ে গেছে এখনো। এসব বিষয় নিয়ে কোথাও তৈরি হয়েছে বিশাল...
১৮ মে ২০২৫
প্রথম কাতারকে শুধু একটি স্থান হিসেবে নয়, বরং আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও অফুরন্ত রহমত লাভের এক বিশেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। নামাজের প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো, এর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাদের বিশেষ মনোযোগ ও বরকত লাভ করে।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে
প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সংক্রামক রোগসহ সুর্নিদিষ্ট কিছু রোগ থেকে মুক্ত বলে প্রত্যয়নপত্র ছাড়া হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। এবিষয়ে সম্প্রতি হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি সরকার।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

নানা রহস্যে পৃথিবীকে মুড়িয়ে রেখেছেন মহান প্রভু। সৃষ্টির শুরু থেকে কত ঘটনার সাক্ষী ছোট্ট এই গ্রহ! কোনো জাতিকে আল্লাহ নিয়ামতে ভরিয়ে দিয়েছেন, কাউকে আবার নিজেদের অপকর্মের কারণে আজাবে নিপতিত করেছেন। পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানা অঞ্চলে এসব ঘটনার ছাপ রয়ে গেছে এখনো। এসব বিষয় নিয়ে কোথাও তৈরি হয়েছে বিশাল...
১৮ মে ২০২৫
প্রথম কাতারকে শুধু একটি স্থান হিসেবে নয়, বরং আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও অফুরন্ত রহমত লাভের এক বিশেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। নামাজের প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো, এর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাদের বিশেষ মনোযোগ ও বরকত লাভ করে।
২ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের সফলতা, মর্যাদা ও আত্মমর্যাদার মূল রহস্য পরিশ্রমের ভেতর নিহিত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে যে সক্ষমতা ও বিবেকবোধ দান করেছেন, তার দ্বারা জীবিকা অর্জনের পথ প্রশস্ত করেছেন। ইসলাম কখনো অলসতা, পরনির্ভরশীলতা বা ভিক্ষাবৃত্তিকে সায় দেয়নি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সংক্রামক রোগসহ সুর্নিদিষ্ট কিছু রোগ থেকে মুক্ত বলে প্রত্যয়নপত্র ছাড়া হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। এবিষয়ে সম্প্রতি হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি সরকার।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সংক্রামক রোগসহ সুর্নিদিষ্ট কিছু রোগ থেকে মুক্ত বলে প্রত্যয়নপত্র ছাড়া হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। এবিষয়ে সম্প্রতি হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি সরকার।
ওই চিঠিতে একজন হজযাত্রী যেসব শারীরিক পরিস্থিতিতে হজের অনুমতি পাবেন না তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে—
* কোনো হজযাত্রীর শরীরের প্রধান অঙ্গগুলো অকার্যকর হলে তিনি হজের অনুমতি পাবেন না। এর মধ্যে রয়েছে ডায়ালাইসিস চলছে এমন কিডনি রোগ, গুরুতর হৃদরোগ, সব সময় অক্সিজেন প্রয়োজন হয়, এ ধরনের ফুসফুসের রোগ ও ভয়াবহ লিভার সিরোসিস।
* গুরুতর স্নায়বিক কিংবা মানসিক রোগ, স্মৃতিভ্রষ্টতাসহ অতি বয়স্ক ব্যক্তি, শেষ প্রান্তিকের গর্ভাবস্থা ও যেকোনো স্তরে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থায়ও হজের অনুমতি মিলবে না।
* সংক্রামক রোগ যেমন—যক্ষ্মা, ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বর এবং কেমোথেরাপি কিংবা অন্য কোনো নিবিড় ইমিউনোথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করছেন এমন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিকেও হজের অনুমতি দেবে না সৌদি সরকার।
হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত প্রত্যয়ন করে নুসুক মাসার প্লাটফর্মে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য আবশ্যিকভাবে বৈধ স্বাস্থ্য সনদ ইস্যু করতে অনুরোধ করেছে সৌদি আরব।
আগমন ও বহির্গমন প্রান্তে মনিটরিংয়ে পরিপূর্ণ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, নুসুক মাসার প্লাটফর্মের মাধ্যমে ইস্যু করা স্বাস্থ্য সনদের সত্যতা ও যথার্থতা যাচাই করবে মনিটরিং দল। কোনো দেশের একজন হজযাত্রীকে তালিকাভুক্ত স্বাস্থ্য পাওয়া যায় তাহলে সেদেশের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, মসৃণ ও নিরাপদ হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদেশ থেকে হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হজের নিবন্ধন না করার জন্য নিবন্ধন শুরু আগেই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে অনুরোধ হয়েছে। হজ এজেন্সিগুলোকেও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে সৌদি সরকারের অনুরোধে সেদেশে অনুষ্ঠিত একটি ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশি দুজন চিকিৎসক।
-------------------------------------------------------------
নির্দেশনা
সেই অনুযায়ী, সব হজযাত্রী বিষয়ক অফিসকে (Pilgrims’ Affairs Offices) নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিতে হবে:
নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রতিটি হজযাত্রীর জন্য বৈধ স্বাস্থ্য অনুমোদন সনদ (Health Clearance Certificate) ইস্যু করতে হবে, যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে যে তিনি উপরোক্ত কোনো চিকিৎসাগত অবস্থায় ভুগছেন না। এই সনদ ভিসা ইস্যুর পূর্বশর্ত হিসেবে গণ্য হবে।
প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টসহ হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের সঙ্গে সম্পর্কিত সব স্থানে কার্যরত তদারকি দলগুলোর সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে।
এসব দল নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইস্যুকৃত স্বাস্থ্য সনদের সত্যতা ও যথার্থতা যাচাই করবে।
যদি কোনো দেশ থেকে আগত কোনো হজযাত্রীর মধ্যে উল্লেখিত রোগাবস্থা বা নিষিদ্ধ স্বাস্থ্যঝুঁকি পাওয়া যায়, তবে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট হজযাত্রী বিষয়ক অফিসের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।
অনুরোধ
আপনার মহামান্য দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে যে—
আপনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করুন যেন তাঁরা হজযাত্রীদের আগমনের পূর্বে সঠিক চিকিৎসা পরীক্ষা সম্পন্ন করেন এবং তাদের জন্য বৈধ স্বাস্থ্য অনুমোদন সনদ ইস্যু নিশ্চিত করেন।
এটি আপনার তত্ত্বাবধানে থাকা সব হজযাত্রীদের নিরাপদ, সুস্থ ও নিয়ম-সম্মতভাবে হজ পালনের জন্য অপরিহার্য।

প্রত্যেক হজযাত্রীর সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। সংক্রামক রোগসহ সুর্নিদিষ্ট কিছু রোগ থেকে মুক্ত বলে প্রত্যয়নপত্র ছাড়া হজের অনুমতি দেওয়া হবে না। এবিষয়ে সম্প্রতি হজযাত্রী প্রেরণকারী দেশগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে সৌদি সরকার।
ওই চিঠিতে একজন হজযাত্রী যেসব শারীরিক পরিস্থিতিতে হজের অনুমতি পাবেন না তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে—
* কোনো হজযাত্রীর শরীরের প্রধান অঙ্গগুলো অকার্যকর হলে তিনি হজের অনুমতি পাবেন না। এর মধ্যে রয়েছে ডায়ালাইসিস চলছে এমন কিডনি রোগ, গুরুতর হৃদরোগ, সব সময় অক্সিজেন প্রয়োজন হয়, এ ধরনের ফুসফুসের রোগ ও ভয়াবহ লিভার সিরোসিস।
* গুরুতর স্নায়বিক কিংবা মানসিক রোগ, স্মৃতিভ্রষ্টতাসহ অতি বয়স্ক ব্যক্তি, শেষ প্রান্তিকের গর্ভাবস্থা ও যেকোনো স্তরে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থায়ও হজের অনুমতি মিলবে না।
* সংক্রামক রোগ যেমন—যক্ষ্মা, ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বর এবং কেমোথেরাপি কিংবা অন্য কোনো নিবিড় ইমিউনোথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করছেন এমন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিকেও হজের অনুমতি দেবে না সৌদি সরকার।
হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে হজযাত্রী প্রেরণকারী কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত প্রত্যয়ন করে নুসুক মাসার প্লাটফর্মে প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য আবশ্যিকভাবে বৈধ স্বাস্থ্য সনদ ইস্যু করতে অনুরোধ করেছে সৌদি আরব।
আগমন ও বহির্গমন প্রান্তে মনিটরিংয়ে পরিপূর্ণ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, নুসুক মাসার প্লাটফর্মের মাধ্যমে ইস্যু করা স্বাস্থ্য সনদের সত্যতা ও যথার্থতা যাচাই করবে মনিটরিং দল। কোনো দেশের একজন হজযাত্রীকে তালিকাভুক্ত স্বাস্থ্য পাওয়া যায় তাহলে সেদেশের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, মসৃণ ও নিরাপদ হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদেশ থেকে হজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিধিনিষেধগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের হজের নিবন্ধন না করার জন্য নিবন্ধন শুরু আগেই ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে অনুরোধ হয়েছে। হজ এজেন্সিগুলোকেও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিতে সৌদি সরকারের অনুরোধে সেদেশে অনুষ্ঠিত একটি ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করছেন বাংলাদেশি দুজন চিকিৎসক।
-------------------------------------------------------------
নির্দেশনা
সেই অনুযায়ী, সব হজযাত্রী বিষয়ক অফিসকে (Pilgrims’ Affairs Offices) নিম্নলিখিত পদক্ষেপ নিতে হবে:
নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রতিটি হজযাত্রীর জন্য বৈধ স্বাস্থ্য অনুমোদন সনদ (Health Clearance Certificate) ইস্যু করতে হবে, যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে যে তিনি উপরোক্ত কোনো চিকিৎসাগত অবস্থায় ভুগছেন না। এই সনদ ভিসা ইস্যুর পূর্বশর্ত হিসেবে গণ্য হবে।
প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টসহ হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের সঙ্গে সম্পর্কিত সব স্থানে কার্যরত তদারকি দলগুলোর সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে।
এসব দল নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইস্যুকৃত স্বাস্থ্য সনদের সত্যতা ও যথার্থতা যাচাই করবে।
যদি কোনো দেশ থেকে আগত কোনো হজযাত্রীর মধ্যে উল্লেখিত রোগাবস্থা বা নিষিদ্ধ স্বাস্থ্যঝুঁকি পাওয়া যায়, তবে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট হজযাত্রী বিষয়ক অফিসের বিরুদ্ধে সংশোধনমূলক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।
অনুরোধ
আপনার মহামান্য দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে যে—
আপনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করুন যেন তাঁরা হজযাত্রীদের আগমনের পূর্বে সঠিক চিকিৎসা পরীক্ষা সম্পন্ন করেন এবং তাদের জন্য বৈধ স্বাস্থ্য অনুমোদন সনদ ইস্যু নিশ্চিত করেন।
এটি আপনার তত্ত্বাবধানে থাকা সব হজযাত্রীদের নিরাপদ, সুস্থ ও নিয়ম-সম্মতভাবে হজ পালনের জন্য অপরিহার্য।

নানা রহস্যে পৃথিবীকে মুড়িয়ে রেখেছেন মহান প্রভু। সৃষ্টির শুরু থেকে কত ঘটনার সাক্ষী ছোট্ট এই গ্রহ! কোনো জাতিকে আল্লাহ নিয়ামতে ভরিয়ে দিয়েছেন, কাউকে আবার নিজেদের অপকর্মের কারণে আজাবে নিপতিত করেছেন। পৃথিবীর নানা প্রান্তের নানা অঞ্চলে এসব ঘটনার ছাপ রয়ে গেছে এখনো। এসব বিষয় নিয়ে কোথাও তৈরি হয়েছে বিশাল...
১৮ মে ২০২৫
প্রথম কাতারকে শুধু একটি স্থান হিসেবে নয়, বরং আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও অফুরন্ত রহমত লাভের এক বিশেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। নামাজের প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর সবচেয়ে বড় ফজিলত হলো, এর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাদের বিশেষ মনোযোগ ও বরকত লাভ করে।
২ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের সফলতা, মর্যাদা ও আত্মমর্যাদার মূল রহস্য পরিশ্রমের ভেতর নিহিত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে যে সক্ষমতা ও বিবেকবোধ দান করেছেন, তার দ্বারা জীবিকা অর্জনের পথ প্রশস্ত করেছেন। ইসলাম কখনো অলসতা, পরনির্ভরশীলতা বা ভিক্ষাবৃত্তিকে সায় দেয়নি।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে