
সৌদি আরবে অনেক অমুসলিম রমজানে রোজা পালন করেন। দেশটির সাড়ে ৩ কোটি মানুষের মধ্যে ৯০ লাখ মানুষ রয়েছেন যাঁরা অভিবাসী। তাঁরা নানা কাজে সৌদিতে অবস্থান করেন। তাঁদের অধিকাংশই অমুসলিম।
রোজা পালনের কারণ হিসেবে এই অমুসলিমেরা বলেন, এতে তাঁরা মুসলিম বন্ধু ও সহকর্মীদের আরও কাছাকাছি আসতে পারেন। রমজান মাসে বিচ্ছিন্ন বোধ করেন না। এতে তাঁদের মধ্যে আরও বেশি সখ্য গড়ে ওঠে।
এ বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ গত বছর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সৌদিতে কর্মরত রাফায়েল জেগার নামের এক ফরাসি বলেন, ‘রমজান শুধু নিজের জন্য নয়, এটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। বন্ধুত্ব ও উদারতা ভাগাভাগি করার এটি একটি আদর্শ সময়। আমি এই সুন্দর চর্চার অংশীদার হতে চাই। সৌদি এবং ফরাসি সংস্কৃতির মেলবন্ধনে কাজ করে যেতে চাই।’
‘প্রথমবার যখন রোজা পালন করি তখন অনেক পিপাসা লেগেছিল। এটি কষ্টসাধ্য হলেও আমি গর্ব বোধ করেছি’, যোগ করেন রাফায়েল জেগার। রোজা রাখার বিষয়টিকে তিনি শরীরচর্চা কেন্দ্রে যাওয়ার অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা করেন।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, রমজানে রোজা পালনের আধ্যাত্মিক অনেক মাহাত্ম্য আছে। এর সঙ্গে রোজা পালনের স্বাস্থ্যগত কিছু উপকারের দিকও রয়েছে। রমজানে শরীর কম খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এটি পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতায় কাজে দেয়। সরাসরি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করার কারণে ক্ষুধা কমে যায়। ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকা কোলেস্টেরল উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। মাসব্যাপী রোজা পালনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে জমে থাকা টক্সিন পরিষ্কার হয়ে যায়। রোজা পালন ও দেরিতে খাবার গ্রহণের ফলে অ্যাডিপোনেক্টিন হরমোন বেশি তৈরি হয়, যা পেশিগুলোকে অতিরিক্ত পুষ্টি শোষণ করতে দেয়।
খাবার থেকে বিরত থাকার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা শরীরকে শক্তির জন্য সঞ্চিত গ্লুকোজ ব্যবহার করতে সাহায্য করে। ফলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শারীরিক নানা উপকারের পাশাপাশি রোজা পালনে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
মারিয়া রোস (২১) নামের এক মার্কিন অমুসলিম তরুণী নিজে রোজা রাখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন প্রথম বিদেশ সফরে তুরস্কে যাই, তখন থেকেই রোজা পালন করি। আমি আমার এক মুসলিম বন্ধুর সঙ্গে ভ্রমণ করেছিলাম। তখন আমরা রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নিই। তুরস্কে রমজান মাস চলার সময়টায় আমরা স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বেশ উপভোগ করেছি।’
আরব দেশগুলোতে ভ্রমণের সময় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন বেশ কয়েকবার রোজা পালন করেছেন বলে জানান এই মার্কিন তরুণী। তিনি বলেন, ‘আমি সেই রমজানে প্রতিদিন আমার বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করেছি। কখনো আমরা বাইরে ইফতার করতাম। কখনো আমাদের অ্যাপার্টমেন্টেই ইফতার করতাম।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এক সৌদি মুসলিম যুবককে বিয়ে করেন রোস। এখন তাঁর সঙ্গেই প্রতিবছর রমজানে রোজা পালন করছেন।
জর্জিয়া থেকে আগত আনা মাইলোভা আরব নিউজকে বলেন, ‘সৌদি আরবে আসার পর থেকেই রোজা রাখছি। আমি আমার বন্ধু হাইফারের পরিবারের সঙ্গে রোজা পালন করি। তাঁরা এখন আমার পরিবারের মতোই। প্রতিদিনই ইফতারের সময় ভিডিও কলে আমি পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইফতারের সুন্দর আয়োজন তাঁদের সঙ্গে শেয়ার করি। আপনারা যদি সৌদি আরবে আসার পরিকল্পনা করেন তাহলে এই ইফতারের খাবারগুলো মিস করবেন না।’
মাইলোভার আশা, আরও অনেক মানুষ রমজানে সৌদি আরব ভ্রমণে উৎসাহিত হবে।
জার্মান কূটনীতিক জান হাস (৩৪) আরব নিউজকে বলেন, তিনি সৌদি আরবের মিনায় তাঁর প্রথম রোজা পালন করেছেন।
জান হাস বলেন, ‘আমার ফুটবল দলে অনেক বন্ধু ছিল যারা মুসলিম। তখন আমি জার্মানির কোলনে পূর্বের একটি ছোট শহরে থাকি। আমি ছোটকাল থেকেই রমজানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম, কিন্তু তখন রোজা রাখার কথা ভাবিনি।’
সৌদি আরবে রমজান মাসে রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় এখানে রোজা রাখাটা সহজ বলে মন্তব্য করেন জান হাস।
ধর্মীয় বিশ্বাসে ভিন্নতা থাকলেও মুসলমানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠায় সংস্কৃতির আদানপ্রদান ঘটছে বলে আরব নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আমিনুল ইসলাম নাবিল
আরও খবর পড়ুন:

সৌদি আরবে অনেক অমুসলিম রমজানে রোজা পালন করেন। দেশটির সাড়ে ৩ কোটি মানুষের মধ্যে ৯০ লাখ মানুষ রয়েছেন যাঁরা অভিবাসী। তাঁরা নানা কাজে সৌদিতে অবস্থান করেন। তাঁদের অধিকাংশই অমুসলিম।
রোজা পালনের কারণ হিসেবে এই অমুসলিমেরা বলেন, এতে তাঁরা মুসলিম বন্ধু ও সহকর্মীদের আরও কাছাকাছি আসতে পারেন। রমজান মাসে বিচ্ছিন্ন বোধ করেন না। এতে তাঁদের মধ্যে আরও বেশি সখ্য গড়ে ওঠে।
এ বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ গত বছর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সৌদিতে কর্মরত রাফায়েল জেগার নামের এক ফরাসি বলেন, ‘রমজান শুধু নিজের জন্য নয়, এটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। বন্ধুত্ব ও উদারতা ভাগাভাগি করার এটি একটি আদর্শ সময়। আমি এই সুন্দর চর্চার অংশীদার হতে চাই। সৌদি এবং ফরাসি সংস্কৃতির মেলবন্ধনে কাজ করে যেতে চাই।’
‘প্রথমবার যখন রোজা পালন করি তখন অনেক পিপাসা লেগেছিল। এটি কষ্টসাধ্য হলেও আমি গর্ব বোধ করেছি’, যোগ করেন রাফায়েল জেগার। রোজা রাখার বিষয়টিকে তিনি শরীরচর্চা কেন্দ্রে যাওয়ার অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা করেন।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, রমজানে রোজা পালনের আধ্যাত্মিক অনেক মাহাত্ম্য আছে। এর সঙ্গে রোজা পালনের স্বাস্থ্যগত কিছু উপকারের দিকও রয়েছে। রমজানে শরীর কম খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এটি পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতায় কাজে দেয়। সরাসরি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করার কারণে ক্ষুধা কমে যায়। ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকা কোলেস্টেরল উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। মাসব্যাপী রোজা পালনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে জমে থাকা টক্সিন পরিষ্কার হয়ে যায়। রোজা পালন ও দেরিতে খাবার গ্রহণের ফলে অ্যাডিপোনেক্টিন হরমোন বেশি তৈরি হয়, যা পেশিগুলোকে অতিরিক্ত পুষ্টি শোষণ করতে দেয়।
খাবার থেকে বিরত থাকার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা শরীরকে শক্তির জন্য সঞ্চিত গ্লুকোজ ব্যবহার করতে সাহায্য করে। ফলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শারীরিক নানা উপকারের পাশাপাশি রোজা পালনে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
মারিয়া রোস (২১) নামের এক মার্কিন অমুসলিম তরুণী নিজে রোজা রাখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন প্রথম বিদেশ সফরে তুরস্কে যাই, তখন থেকেই রোজা পালন করি। আমি আমার এক মুসলিম বন্ধুর সঙ্গে ভ্রমণ করেছিলাম। তখন আমরা রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নিই। তুরস্কে রমজান মাস চলার সময়টায় আমরা স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বেশ উপভোগ করেছি।’
আরব দেশগুলোতে ভ্রমণের সময় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন বেশ কয়েকবার রোজা পালন করেছেন বলে জানান এই মার্কিন তরুণী। তিনি বলেন, ‘আমি সেই রমজানে প্রতিদিন আমার বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করেছি। কখনো আমরা বাইরে ইফতার করতাম। কখনো আমাদের অ্যাপার্টমেন্টেই ইফতার করতাম।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এক সৌদি মুসলিম যুবককে বিয়ে করেন রোস। এখন তাঁর সঙ্গেই প্রতিবছর রমজানে রোজা পালন করছেন।
জর্জিয়া থেকে আগত আনা মাইলোভা আরব নিউজকে বলেন, ‘সৌদি আরবে আসার পর থেকেই রোজা রাখছি। আমি আমার বন্ধু হাইফারের পরিবারের সঙ্গে রোজা পালন করি। তাঁরা এখন আমার পরিবারের মতোই। প্রতিদিনই ইফতারের সময় ভিডিও কলে আমি পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইফতারের সুন্দর আয়োজন তাঁদের সঙ্গে শেয়ার করি। আপনারা যদি সৌদি আরবে আসার পরিকল্পনা করেন তাহলে এই ইফতারের খাবারগুলো মিস করবেন না।’
মাইলোভার আশা, আরও অনেক মানুষ রমজানে সৌদি আরব ভ্রমণে উৎসাহিত হবে।
জার্মান কূটনীতিক জান হাস (৩৪) আরব নিউজকে বলেন, তিনি সৌদি আরবের মিনায় তাঁর প্রথম রোজা পালন করেছেন।
জান হাস বলেন, ‘আমার ফুটবল দলে অনেক বন্ধু ছিল যারা মুসলিম। তখন আমি জার্মানির কোলনে পূর্বের একটি ছোট শহরে থাকি। আমি ছোটকাল থেকেই রমজানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম, কিন্তু তখন রোজা রাখার কথা ভাবিনি।’
সৌদি আরবে রমজান মাসে রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় এখানে রোজা রাখাটা সহজ বলে মন্তব্য করেন জান হাস।
ধর্মীয় বিশ্বাসে ভিন্নতা থাকলেও মুসলমানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠায় সংস্কৃতির আদানপ্রদান ঘটছে বলে আরব নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আমিনুল ইসলাম নাবিল
আরও খবর পড়ুন:

সৌদি আরবে অনেক অমুসলিম রমজানে রোজা পালন করেন। দেশটির সাড়ে ৩ কোটি মানুষের মধ্যে ৯০ লাখ মানুষ রয়েছেন যাঁরা অভিবাসী। তাঁরা নানা কাজে সৌদিতে অবস্থান করেন। তাঁদের অধিকাংশই অমুসলিম।
রোজা পালনের কারণ হিসেবে এই অমুসলিমেরা বলেন, এতে তাঁরা মুসলিম বন্ধু ও সহকর্মীদের আরও কাছাকাছি আসতে পারেন। রমজান মাসে বিচ্ছিন্ন বোধ করেন না। এতে তাঁদের মধ্যে আরও বেশি সখ্য গড়ে ওঠে।
এ বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ গত বছর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সৌদিতে কর্মরত রাফায়েল জেগার নামের এক ফরাসি বলেন, ‘রমজান শুধু নিজের জন্য নয়, এটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। বন্ধুত্ব ও উদারতা ভাগাভাগি করার এটি একটি আদর্শ সময়। আমি এই সুন্দর চর্চার অংশীদার হতে চাই। সৌদি এবং ফরাসি সংস্কৃতির মেলবন্ধনে কাজ করে যেতে চাই।’
‘প্রথমবার যখন রোজা পালন করি তখন অনেক পিপাসা লেগেছিল। এটি কষ্টসাধ্য হলেও আমি গর্ব বোধ করেছি’, যোগ করেন রাফায়েল জেগার। রোজা রাখার বিষয়টিকে তিনি শরীরচর্চা কেন্দ্রে যাওয়ার অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা করেন।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, রমজানে রোজা পালনের আধ্যাত্মিক অনেক মাহাত্ম্য আছে। এর সঙ্গে রোজা পালনের স্বাস্থ্যগত কিছু উপকারের দিকও রয়েছে। রমজানে শরীর কম খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এটি পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতায় কাজে দেয়। সরাসরি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করার কারণে ক্ষুধা কমে যায়। ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকা কোলেস্টেরল উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। মাসব্যাপী রোজা পালনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে জমে থাকা টক্সিন পরিষ্কার হয়ে যায়। রোজা পালন ও দেরিতে খাবার গ্রহণের ফলে অ্যাডিপোনেক্টিন হরমোন বেশি তৈরি হয়, যা পেশিগুলোকে অতিরিক্ত পুষ্টি শোষণ করতে দেয়।
খাবার থেকে বিরত থাকার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা শরীরকে শক্তির জন্য সঞ্চিত গ্লুকোজ ব্যবহার করতে সাহায্য করে। ফলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শারীরিক নানা উপকারের পাশাপাশি রোজা পালনে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
মারিয়া রোস (২১) নামের এক মার্কিন অমুসলিম তরুণী নিজে রোজা রাখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন প্রথম বিদেশ সফরে তুরস্কে যাই, তখন থেকেই রোজা পালন করি। আমি আমার এক মুসলিম বন্ধুর সঙ্গে ভ্রমণ করেছিলাম। তখন আমরা রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নিই। তুরস্কে রমজান মাস চলার সময়টায় আমরা স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বেশ উপভোগ করেছি।’
আরব দেশগুলোতে ভ্রমণের সময় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন বেশ কয়েকবার রোজা পালন করেছেন বলে জানান এই মার্কিন তরুণী। তিনি বলেন, ‘আমি সেই রমজানে প্রতিদিন আমার বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করেছি। কখনো আমরা বাইরে ইফতার করতাম। কখনো আমাদের অ্যাপার্টমেন্টেই ইফতার করতাম।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এক সৌদি মুসলিম যুবককে বিয়ে করেন রোস। এখন তাঁর সঙ্গেই প্রতিবছর রমজানে রোজা পালন করছেন।
জর্জিয়া থেকে আগত আনা মাইলোভা আরব নিউজকে বলেন, ‘সৌদি আরবে আসার পর থেকেই রোজা রাখছি। আমি আমার বন্ধু হাইফারের পরিবারের সঙ্গে রোজা পালন করি। তাঁরা এখন আমার পরিবারের মতোই। প্রতিদিনই ইফতারের সময় ভিডিও কলে আমি পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইফতারের সুন্দর আয়োজন তাঁদের সঙ্গে শেয়ার করি। আপনারা যদি সৌদি আরবে আসার পরিকল্পনা করেন তাহলে এই ইফতারের খাবারগুলো মিস করবেন না।’
মাইলোভার আশা, আরও অনেক মানুষ রমজানে সৌদি আরব ভ্রমণে উৎসাহিত হবে।
জার্মান কূটনীতিক জান হাস (৩৪) আরব নিউজকে বলেন, তিনি সৌদি আরবের মিনায় তাঁর প্রথম রোজা পালন করেছেন।
জান হাস বলেন, ‘আমার ফুটবল দলে অনেক বন্ধু ছিল যারা মুসলিম। তখন আমি জার্মানির কোলনে পূর্বের একটি ছোট শহরে থাকি। আমি ছোটকাল থেকেই রমজানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম, কিন্তু তখন রোজা রাখার কথা ভাবিনি।’
সৌদি আরবে রমজান মাসে রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় এখানে রোজা রাখাটা সহজ বলে মন্তব্য করেন জান হাস।
ধর্মীয় বিশ্বাসে ভিন্নতা থাকলেও মুসলমানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠায় সংস্কৃতির আদানপ্রদান ঘটছে বলে আরব নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আমিনুল ইসলাম নাবিল
আরও খবর পড়ুন:

সৌদি আরবে অনেক অমুসলিম রমজানে রোজা পালন করেন। দেশটির সাড়ে ৩ কোটি মানুষের মধ্যে ৯০ লাখ মানুষ রয়েছেন যাঁরা অভিবাসী। তাঁরা নানা কাজে সৌদিতে অবস্থান করেন। তাঁদের অধিকাংশই অমুসলিম।
রোজা পালনের কারণ হিসেবে এই অমুসলিমেরা বলেন, এতে তাঁরা মুসলিম বন্ধু ও সহকর্মীদের আরও কাছাকাছি আসতে পারেন। রমজান মাসে বিচ্ছিন্ন বোধ করেন না। এতে তাঁদের মধ্যে আরও বেশি সখ্য গড়ে ওঠে।
এ বিষয়টি নিয়ে সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ গত বছর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সৌদিতে কর্মরত রাফায়েল জেগার নামের এক ফরাসি বলেন, ‘রমজান শুধু নিজের জন্য নয়, এটি সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। বন্ধুত্ব ও উদারতা ভাগাভাগি করার এটি একটি আদর্শ সময়। আমি এই সুন্দর চর্চার অংশীদার হতে চাই। সৌদি এবং ফরাসি সংস্কৃতির মেলবন্ধনে কাজ করে যেতে চাই।’
‘প্রথমবার যখন রোজা পালন করি তখন অনেক পিপাসা লেগেছিল। এটি কষ্টসাধ্য হলেও আমি গর্ব বোধ করেছি’, যোগ করেন রাফায়েল জেগার। রোজা রাখার বিষয়টিকে তিনি শরীরচর্চা কেন্দ্রে যাওয়ার অভিজ্ঞতার সঙ্গে তুলনা করেন।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, রমজানে রোজা পালনের আধ্যাত্মিক অনেক মাহাত্ম্য আছে। এর সঙ্গে রোজা পালনের স্বাস্থ্যগত কিছু উপকারের দিকও রয়েছে। রমজানে শরীর কম খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এটি পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতায় কাজে দেয়। সরাসরি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করার কারণে ক্ষুধা কমে যায়। ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাদ্য ও পানীয় থেকে বিরত থাকা কোলেস্টেরল উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। মাসব্যাপী রোজা পালনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে জমে থাকা টক্সিন পরিষ্কার হয়ে যায়। রোজা পালন ও দেরিতে খাবার গ্রহণের ফলে অ্যাডিপোনেক্টিন হরমোন বেশি তৈরি হয়, যা পেশিগুলোকে অতিরিক্ত পুষ্টি শোষণ করতে দেয়।
খাবার থেকে বিরত থাকার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা শরীরকে শক্তির জন্য সঞ্চিত গ্লুকোজ ব্যবহার করতে সাহায্য করে। ফলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শারীরিক নানা উপকারের পাশাপাশি রোজা পালনে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
মারিয়া রোস (২১) নামের এক মার্কিন অমুসলিম তরুণী নিজে রোজা রাখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন প্রথম বিদেশ সফরে তুরস্কে যাই, তখন থেকেই রোজা পালন করি। আমি আমার এক মুসলিম বন্ধুর সঙ্গে ভ্রমণ করেছিলাম। তখন আমরা রোজা রাখার সিদ্ধান্ত নিই। তুরস্কে রমজান মাস চলার সময়টায় আমরা স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বেশ উপভোগ করেছি।’
আরব দেশগুলোতে ভ্রমণের সময় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন বেশ কয়েকবার রোজা পালন করেছেন বলে জানান এই মার্কিন তরুণী। তিনি বলেন, ‘আমি সেই রমজানে প্রতিদিন আমার বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করেছি। কখনো আমরা বাইরে ইফতার করতাম। কখনো আমাদের অ্যাপার্টমেন্টেই ইফতার করতাম।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এক সৌদি মুসলিম যুবককে বিয়ে করেন রোস। এখন তাঁর সঙ্গেই প্রতিবছর রমজানে রোজা পালন করছেন।
জর্জিয়া থেকে আগত আনা মাইলোভা আরব নিউজকে বলেন, ‘সৌদি আরবে আসার পর থেকেই রোজা রাখছি। আমি আমার বন্ধু হাইফারের পরিবারের সঙ্গে রোজা পালন করি। তাঁরা এখন আমার পরিবারের মতোই। প্রতিদিনই ইফতারের সময় ভিডিও কলে আমি পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইফতারের সুন্দর আয়োজন তাঁদের সঙ্গে শেয়ার করি। আপনারা যদি সৌদি আরবে আসার পরিকল্পনা করেন তাহলে এই ইফতারের খাবারগুলো মিস করবেন না।’
মাইলোভার আশা, আরও অনেক মানুষ রমজানে সৌদি আরব ভ্রমণে উৎসাহিত হবে।
জার্মান কূটনীতিক জান হাস (৩৪) আরব নিউজকে বলেন, তিনি সৌদি আরবের মিনায় তাঁর প্রথম রোজা পালন করেছেন।
জান হাস বলেন, ‘আমার ফুটবল দলে অনেক বন্ধু ছিল যারা মুসলিম। তখন আমি জার্মানির কোলনে পূর্বের একটি ছোট শহরে থাকি। আমি ছোটকাল থেকেই রমজানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম, কিন্তু তখন রোজা রাখার কথা ভাবিনি।’
সৌদি আরবে রমজান মাসে রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় এখানে রোজা রাখাটা সহজ বলে মন্তব্য করেন জান হাস।
ধর্মীয় বিশ্বাসে ভিন্নতা থাকলেও মুসলমানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠায় সংস্কৃতির আদানপ্রদান ঘটছে বলে আরব নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: আমিনুল ইসলাম নাবিল
আরও খবর পড়ুন:

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

সৌদি আরবে অমুসলিমদের জন্য রোজা পালন বাধ্যতামূলক না হলেও অনেক অমুসলিমই সেখানে রোজা পালন করেন। দেশটির সাড়ে তিন কোটি মানুষের মধ্যে ৯০ লাখ মানুষ রয়েছেন যারা বিদেশ থেকে এসেছেন। তাঁরা নানা কাজে সৌদিতে কর্মরত। এদের অধিকাংশই অমুসলিম
২৬ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সৌদি আরবে অমুসলিমদের জন্য রোজা পালন বাধ্যতামূলক না হলেও অনেক অমুসলিমই সেখানে রোজা পালন করেন। দেশটির সাড়ে তিন কোটি মানুষের মধ্যে ৯০ লাখ মানুষ রয়েছেন যারা বিদেশ থেকে এসেছেন। তাঁরা নানা কাজে সৌদিতে কর্মরত। এদের অধিকাংশই অমুসলিম
২৬ মার্চ ২০২৩
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

সৌদি আরবে অমুসলিমদের জন্য রোজা পালন বাধ্যতামূলক না হলেও অনেক অমুসলিমই সেখানে রোজা পালন করেন। দেশটির সাড়ে তিন কোটি মানুষের মধ্যে ৯০ লাখ মানুষ রয়েছেন যারা বিদেশ থেকে এসেছেন। তাঁরা নানা কাজে সৌদিতে কর্মরত। এদের অধিকাংশই অমুসলিম
২৬ মার্চ ২০২৩
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

সৌদি আরবে অমুসলিমদের জন্য রোজা পালন বাধ্যতামূলক না হলেও অনেক অমুসলিমই সেখানে রোজা পালন করেন। দেশটির সাড়ে তিন কোটি মানুষের মধ্যে ৯০ লাখ মানুষ রয়েছেন যারা বিদেশ থেকে এসেছেন। তাঁরা নানা কাজে সৌদিতে কর্মরত। এদের অধিকাংশই অমুসলিম
২৬ মার্চ ২০২৩
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে