ইসলাম ডেস্ক
পবিত্র কোরআনের একাধিক জায়গায় বজ্রপাত ও বিদ্যুৎ চমকের আলোচনা এসেছে। কখনো আল্লাহ তাআলা বিদ্যুৎ চমক ও বজ্রপাতের ভয়াবহতা তুলে ধরে মানুষকে সতর্ক করেছেন। কখনো আবার এ দুটির মাধ্যমে মানুষকে আশার বার্তা দিয়েছেন। কোথাও আবার ঘনঘোর বর্ষার বজ্রপাতের রাতকে মানুষের ইমানের দুর্বলতার উপমা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। আমাদের জীবনে এসব আয়াতে রয়েছে অসাধারণ সব শিক্ষা। এখানে কয়েকটি আয়াত তুলে ধরা হলো—
এক.
ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের ভীত ও আশান্বিত করতে বিদ্যুৎ চমক দেখান এবং ঘন মেঘের সৃষ্টি করেন। সভয়ে বজ্র ও ফেরেশতারা তাঁর প্রশংসা পাঠ করে। তিনি বজ্রপাত করেন, এরপর যাকে ইচ্ছা তা দিয়ে আঘাত করেন। যদিও তারা আল্লাহ সম্পর্কে বিতণ্ডা করে, অথচ তিনি মহাশক্তিশালী।’ (সুরা রাদ: ১২-১৩)
দুই.
ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং তাঁর অন্যতম নিদর্শন হলো, তিনি তোমাদের আশঙ্কা ও আশা হিসেবে বিদ্যুৎ চমক দেখান এবং আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন; তা দিয়ে ভূমিকে মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন। এতে অবশ্যই বোধশক্তিসম্পন্ন জাতির জন্য বহু নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা রুম: ২৪)
তিন.
ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি কি দেখো না আল্লাহ মেঘমালাকে চালিত করেন, এরপর সেগুলো একত্রে জুড়ে দেন, এরপর তা স্তূপ করেন, এরপর তুমি তার মধ্য থেকে পানির ধারা বের হতে দেখতে পাও, এরপর তিনি আকাশে স্থিত মেঘমালার পাহাড় থেকে শিলা বর্ষণ করেন, এরপর তিনি যাকে ইচ্ছে তা দিয়ে আঘাত করেন আর যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা সরিয়ে নেন। তার বিদ্যুৎ চমক দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয় যেন।’ (সুরা নুর: ৪৩)
চার.
ইরশাদ হয়েছে, কিংবা (মুনাফিকদের উপমা সেই সব ব্যক্তির মতো যারা) ঘোর অন্ধকার, বজ্রধ্বনি ও বিদ্যুৎ চমকসহ আকাশ থেকে মুষলধারে বৃষ্টির পরিবেশে বজ্রপাতের আওয়াজে মৃত্যুভয়ে কানে আঙুল দেয়। আল্লাহ কাফিরদের পরিবেষ্টন করে আছেন। বিদ্যুৎ চমক তাদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেওয়ার উপক্রম হয়। যখনই বিদ্যুতের আলো তাদের সামনে উদ্ভাসিত হয়, তখন তারা পথ চলে এবং যখন অন্ধকারে ঢেকে যায়, তখন তারা থমকে দাঁড়ায়। আল্লাহ ইচ্ছে করলে তাদের শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি হরণ করতে পারেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’ (সুরা বাকারা: ১৯-২০)
শেষোক্ত দুই আয়াতে মুনাফিকদের ইমানকে ঘনঘোর বর্ষার পথিকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। সেই পথিক যেমন তুমুল বজ্রপাতের অন্ধকার রাতে পথ চলতে হিমশিম খায়, তেমনি মুনাফিকও ইমানের পথে চলতে দ্বিধান্বিত থাকে। কখনো ইসলামকে সত্য মনে হয় এবং মুসলমানদের সঙ্গ দেয়। আবার কখনো কুফরকে সত্য মনে হয় এবং কাফিরদের সঙ্গ দেয়।
পবিত্র কোরআনের একাধিক জায়গায় বজ্রপাত ও বিদ্যুৎ চমকের আলোচনা এসেছে। কখনো আল্লাহ তাআলা বিদ্যুৎ চমক ও বজ্রপাতের ভয়াবহতা তুলে ধরে মানুষকে সতর্ক করেছেন। কখনো আবার এ দুটির মাধ্যমে মানুষকে আশার বার্তা দিয়েছেন। কোথাও আবার ঘনঘোর বর্ষার বজ্রপাতের রাতকে মানুষের ইমানের দুর্বলতার উপমা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। আমাদের জীবনে এসব আয়াতে রয়েছে অসাধারণ সব শিক্ষা। এখানে কয়েকটি আয়াত তুলে ধরা হলো—
এক.
ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই তোমাদের ভীত ও আশান্বিত করতে বিদ্যুৎ চমক দেখান এবং ঘন মেঘের সৃষ্টি করেন। সভয়ে বজ্র ও ফেরেশতারা তাঁর প্রশংসা পাঠ করে। তিনি বজ্রপাত করেন, এরপর যাকে ইচ্ছা তা দিয়ে আঘাত করেন। যদিও তারা আল্লাহ সম্পর্কে বিতণ্ডা করে, অথচ তিনি মহাশক্তিশালী।’ (সুরা রাদ: ১২-১৩)
দুই.
ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং তাঁর অন্যতম নিদর্শন হলো, তিনি তোমাদের আশঙ্কা ও আশা হিসেবে বিদ্যুৎ চমক দেখান এবং আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেন; তা দিয়ে ভূমিকে মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেন। এতে অবশ্যই বোধশক্তিসম্পন্ন জাতির জন্য বহু নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা রুম: ২৪)
তিন.
ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি কি দেখো না আল্লাহ মেঘমালাকে চালিত করেন, এরপর সেগুলো একত্রে জুড়ে দেন, এরপর তা স্তূপ করেন, এরপর তুমি তার মধ্য থেকে পানির ধারা বের হতে দেখতে পাও, এরপর তিনি আকাশে স্থিত মেঘমালার পাহাড় থেকে শিলা বর্ষণ করেন, এরপর তিনি যাকে ইচ্ছে তা দিয়ে আঘাত করেন আর যার কাছ থেকে ইচ্ছা তা সরিয়ে নেন। তার বিদ্যুৎ চমক দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেয় যেন।’ (সুরা নুর: ৪৩)
চার.
ইরশাদ হয়েছে, কিংবা (মুনাফিকদের উপমা সেই সব ব্যক্তির মতো যারা) ঘোর অন্ধকার, বজ্রধ্বনি ও বিদ্যুৎ চমকসহ আকাশ থেকে মুষলধারে বৃষ্টির পরিবেশে বজ্রপাতের আওয়াজে মৃত্যুভয়ে কানে আঙুল দেয়। আল্লাহ কাফিরদের পরিবেষ্টন করে আছেন। বিদ্যুৎ চমক তাদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেওয়ার উপক্রম হয়। যখনই বিদ্যুতের আলো তাদের সামনে উদ্ভাসিত হয়, তখন তারা পথ চলে এবং যখন অন্ধকারে ঢেকে যায়, তখন তারা থমকে দাঁড়ায়। আল্লাহ ইচ্ছে করলে তাদের শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি হরণ করতে পারেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।’ (সুরা বাকারা: ১৯-২০)
শেষোক্ত দুই আয়াতে মুনাফিকদের ইমানকে ঘনঘোর বর্ষার পথিকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। সেই পথিক যেমন তুমুল বজ্রপাতের অন্ধকার রাতে পথ চলতে হিমশিম খায়, তেমনি মুনাফিকও ইমানের পথে চলতে দ্বিধান্বিত থাকে। কখনো ইসলামকে সত্য মনে হয় এবং মুসলমানদের সঙ্গ দেয়। আবার কখনো কুফরকে সত্য মনে হয় এবং কাফিরদের সঙ্গ দেয়।
বাংলা অঞ্চলের হাজার বছরের ইতিহাসে ধর্ম, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের যে সমন্বয় ঘটেছে, তার মধ্যে ইসলামি স্থাপত্য এক মহিমান্বিত অধ্যায়। কালের গহ্বরে কিছু নিদর্শন হারিয়ে গেলেও, আজও দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদের গম্বুজ, মাদ্রাসার মিনার কিংবা মাজারের কারুকাজ ইসলামের প্রসার ও সৃজনশীলতার এক অনুপম সাক্ষ্য বহন করে।
২০ ঘণ্টা আগেপৃথিবীতে আমরা কেউই চাপমুক্ত নই; দুশ্চিন্তা ও হতাশা সবারই থাকে। তবে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় হলে তা মানসিক রোগে রূপ নেয়, যা অনেক শারীরিক রোগেরও কারণ। তাই প্রতিটি মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কোরআন-হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমলের কথা আলোচনা করছি।
২০ ঘণ্টা আগেহিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক। মহানবী (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হতেন। এ মাসের মধ্যভাগে রয়েছে ফজিলতের রাত শবে বরাত।
২০ ঘণ্টা আগেআরবি দাওয়াত শব্দের অর্থ ডাকা এবং তাবলিগ শব্দের অর্থ পৌঁছে দেওয়া। ইসলামের সুমহান বাণীর প্রচার-প্রসারের পদ্ধতিকেই দাওয়াত ও তাবলিগ বলা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। মুসলমানদের একটি দলকে অবশ্যই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা...
২০ ঘণ্টা আগে