আব্দুল্লাহ আলমামুন আশরাফী

পবিত্র কোরআন মজিদ বিশ্ববাসীকে সফলতা ও মুক্তির পথ দেখায়। এর দেখানো দীপ্ত পথে হেঁটে অসংখ্য মানুষ পৌঁছেছেন সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে। এই মহিমান্বিত উপহার সকলের জন্যই অবারিত। মুসলিম, অমুসলিম-নির্বিশেষে সকল মানুষই কোরআনের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা অকপটে স্বীকার করেন। যারা নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না, ইসলামের প্রতি অযথা বিদ্বেষ পোষণ করে, কেবল তারাই কোরআন অবমাননার মতো ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক কাজের স্পর্ধা দেখায়। কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মূলত তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনে।
ধর্মগ্রন্থের অবমাননা; তা যেকোনো ধর্মেরই হোক না কেন, অত্যন্ত ঘৃণিত ও নীচু মানসিকতার পরিচায়ক। সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন কোনো মানুষের পক্ষে এমন কাজ কল্পনা করাও দুঃসাধ্য। ধর্মগ্রন্থ অবমাননাকারী সর্বকালেই নিন্দিত ও সর্বজন-ঘৃণিত।
পবিত্র কোরআন একটি সর্বজনীন ধর্মগ্রন্থ, যেখানে সমগ্র মানবজাতির জন্য সফলতার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজেই, কোরআন অবমাননার মতো ধ্বংসাত্মক কাজের স্পর্ধা যারা দেখায়, তারা প্রকারান্তরে পুরো মানবজাতিরই শত্রু। তারা অসভ্যতা ও বর্বরতার ধারক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রগামী হলেও সভ্যতা ও মনুষ্যত্বের বিচারে তারা সফলতার পথ থেকে অনেক দূরে পড়ে থাকবে।
পবিত্র কোরআন বিশ্বজাহানের একচ্ছত্র মালিক মহান আল্লাহ তাআলার চিরসত্য বাণী। এটি আল্লাহ তাআলার নাজিল করা সর্বশেষ গ্রন্থ, যা কিয়ামত পর্যন্ত আগত মানব সম্প্রদায়ের জন্য মুক্তির মহা পয়গাম। সুতরাং, যারা কোরআন অবমাননার স্পর্ধা দেখায়, তাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে চরম দুর্ভোগ ও ভয়াবহ শাস্তি।
মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী মহাপাপীর, যে আল্লাহর আয়াতের তিলাওয়াত শোনে অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (নিজ মতবাদে) অটল থাকে—যেন সে তা শোনেনি। সুতরাং ওকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সুরা জাসিয়া: ৭-৮)
যারা কোরআন অবজ্ঞা করে বা কোরআন অবমাননার দুঃসাহস দেখায়, কিয়ামতের দিন সেই দুরাচার পাপীদের কোরআন হাঁকিয়ে হাঁকিয়ে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।
কোরআন: সুপারিশকারী ও পথপ্রদর্শক
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন সুপারিশকারী। আর তার সুপারিশ কবুল করা হবে। যে কোরআন তার সামনে রাখবে, অর্থাৎ কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গড়বে, কোরআন তাকে পথ দেখিয়ে দেখিয়ে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে কোরআন উপেক্ষা করে পেছনে রাখবে, কোরআন তাকে হাঁকিয়ে হাঁকিয়ে জাহান্নামে পৌঁছে দেবে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ১২৪)
যারা কোরআন সম্মান করবে, মর্যাদার আসনে স্থান দেবে, তারা উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে এবং সম্মানের সর্বোচ্চ চূড়ায় উন্নীত হবে, নিঃসন্দেহে। পক্ষান্তরে, যারা কোরআন অবমূল্যায়ন করবে, কথায়-আচরণে ও কাজে-কর্মে কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, এমনকি কোরআন অবমাননার ধৃষ্টতা দেখাবে, তারা সফলতার নির্মল পথ থেকে অনেক দূরে ছিটকে পড়বে। অপদস্থের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে। হাজার বছরের ইতিহাসে এটি এক জাজ্বল্যমান বাস্তবতা। এই সত্যটিই প্রতিধ্বনিত হয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম পবিত্র মানুষের পবিত্র কণ্ঠে। আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমর ফারুক (রা.) বলেন, আমি নবীজি (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা কোরআনের মাধ্যমে অনেককে সম্মানিত করবেন। আর অনেককে করবেন অপদস্থ!’ (ফাজায়েলে কোরআন, আবি উবায়দ: ১ / ২৭৪-২৭৫)
কোরআনের স্পর্শ ছাড়া মানবজীবন অর্থহীন। কোরআন মানবতার সবক দেয়, মানবাধিকারের কথা বলে, আদর্শ সমাজ গঠনের নির্দেশনা দেয়। সর্বোপরি, একজন সভ্য, ভদ্র ও উন্নত রুচিবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার প্রেরণা জোগায়। ভদ্র ও আলোকিত জীবনবোধে উদ্দীপ্তকারী এই কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী জাতিগোষ্ঠী বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে শীর্ষে পৌঁছালেও মনুষ্যত্বের বিচারে শূন্যেই রয়ে যাবে, নিঃসন্দেহে।
একজন ভদ্র ও সভ্য মানুষ স্বাভাবিকভাবেই আলোর পথে অগ্রগামী হবেন, কমপক্ষে আলোকরেখার প্রতি ভালোবাসা লালন করবেন। তিনি কোরআন অবমাননার ভয়ংকর অন্ধকারে পা বাড়ানোর দুঃসাহস দেখানোর কল্পনাও করবেন না।
আসুন, কোরআনের সংস্পর্শে। কোরআন ভালোবাসুন, কোরআন পড়ুন এবং হৃদয়ে ধারণ করুন। দেখুন—কী সর্বজনীন তার নির্দেশনাগুলো! কী অসাধারণ তার কথামালা!
আপনার যাপিত জীবনে কোরআনের নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। দেখুন, কী অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছেন আপনি। চিন্তাচেতনা ও মননের সবটুকুজুড়ে ধারণ করুন কোরআনের অনিন্দ্যসুন্দর মনকাড়া সৌরভ। আপনার মানবজনম সার্থক হবে। অনাবিল ও অনির্বচনীয় আনন্দে ভরে উঠবে আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব

পবিত্র কোরআন মজিদ বিশ্ববাসীকে সফলতা ও মুক্তির পথ দেখায়। এর দেখানো দীপ্ত পথে হেঁটে অসংখ্য মানুষ পৌঁছেছেন সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে। এই মহিমান্বিত উপহার সকলের জন্যই অবারিত। মুসলিম, অমুসলিম-নির্বিশেষে সকল মানুষই কোরআনের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা অকপটে স্বীকার করেন। যারা নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধিকে কাজে লাগায় না, ইসলামের প্রতি অযথা বিদ্বেষ পোষণ করে, কেবল তারাই কোরআন অবমাননার মতো ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক কাজের স্পর্ধা দেখায়। কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মূলত তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনে।
ধর্মগ্রন্থের অবমাননা; তা যেকোনো ধর্মেরই হোক না কেন, অত্যন্ত ঘৃণিত ও নীচু মানসিকতার পরিচায়ক। সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন কোনো মানুষের পক্ষে এমন কাজ কল্পনা করাও দুঃসাধ্য। ধর্মগ্রন্থ অবমাননাকারী সর্বকালেই নিন্দিত ও সর্বজন-ঘৃণিত।
পবিত্র কোরআন একটি সর্বজনীন ধর্মগ্রন্থ, যেখানে সমগ্র মানবজাতির জন্য সফলতার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজেই, কোরআন অবমাননার মতো ধ্বংসাত্মক কাজের স্পর্ধা যারা দেখায়, তারা প্রকারান্তরে পুরো মানবজাতিরই শত্রু। তারা অসভ্যতা ও বর্বরতার ধারক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রগামী হলেও সভ্যতা ও মনুষ্যত্বের বিচারে তারা সফলতার পথ থেকে অনেক দূরে পড়ে থাকবে।
পবিত্র কোরআন বিশ্বজাহানের একচ্ছত্র মালিক মহান আল্লাহ তাআলার চিরসত্য বাণী। এটি আল্লাহ তাআলার নাজিল করা সর্বশেষ গ্রন্থ, যা কিয়ামত পর্যন্ত আগত মানব সম্প্রদায়ের জন্য মুক্তির মহা পয়গাম। সুতরাং, যারা কোরআন অবমাননার স্পর্ধা দেখায়, তাদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে চরম দুর্ভোগ ও ভয়াবহ শাস্তি।
মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেক ঘোর মিথ্যাবাদী মহাপাপীর, যে আল্লাহর আয়াতের তিলাওয়াত শোনে অথচ ঔদ্ধত্যের সঙ্গে (নিজ মতবাদে) অটল থাকে—যেন সে তা শোনেনি। সুতরাং ওকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও।’ (সুরা জাসিয়া: ৭-৮)
যারা কোরআন অবজ্ঞা করে বা কোরআন অবমাননার দুঃসাহস দেখায়, কিয়ামতের দিন সেই দুরাচার পাপীদের কোরআন হাঁকিয়ে হাঁকিয়ে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।
কোরআন: সুপারিশকারী ও পথপ্রদর্শক
হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন সুপারিশকারী। আর তার সুপারিশ কবুল করা হবে। যে কোরআন তার সামনে রাখবে, অর্থাৎ কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন গড়বে, কোরআন তাকে পথ দেখিয়ে দেখিয়ে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাবে। আর যে কোরআন উপেক্ষা করে পেছনে রাখবে, কোরআন তাকে হাঁকিয়ে হাঁকিয়ে জাহান্নামে পৌঁছে দেবে।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ১২৪)
যারা কোরআন সম্মান করবে, মর্যাদার আসনে স্থান দেবে, তারা উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে এবং সম্মানের সর্বোচ্চ চূড়ায় উন্নীত হবে, নিঃসন্দেহে। পক্ষান্তরে, যারা কোরআন অবমূল্যায়ন করবে, কথায়-আচরণে ও কাজে-কর্মে কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, এমনকি কোরআন অবমাননার ধৃষ্টতা দেখাবে, তারা সফলতার নির্মল পথ থেকে অনেক দূরে ছিটকে পড়বে। অপদস্থের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে। হাজার বছরের ইতিহাসে এটি এক জাজ্বল্যমান বাস্তবতা। এই সত্যটিই প্রতিধ্বনিত হয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম পবিত্র মানুষের পবিত্র কণ্ঠে। আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমর ফারুক (রা.) বলেন, আমি নবীজি (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা কোরআনের মাধ্যমে অনেককে সম্মানিত করবেন। আর অনেককে করবেন অপদস্থ!’ (ফাজায়েলে কোরআন, আবি উবায়দ: ১ / ২৭৪-২৭৫)
কোরআনের স্পর্শ ছাড়া মানবজীবন অর্থহীন। কোরআন মানবতার সবক দেয়, মানবাধিকারের কথা বলে, আদর্শ সমাজ গঠনের নির্দেশনা দেয়। সর্বোপরি, একজন সভ্য, ভদ্র ও উন্নত রুচিবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার প্রেরণা জোগায়। ভদ্র ও আলোকিত জীবনবোধে উদ্দীপ্তকারী এই কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী জাতিগোষ্ঠী বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে শীর্ষে পৌঁছালেও মনুষ্যত্বের বিচারে শূন্যেই রয়ে যাবে, নিঃসন্দেহে।
একজন ভদ্র ও সভ্য মানুষ স্বাভাবিকভাবেই আলোর পথে অগ্রগামী হবেন, কমপক্ষে আলোকরেখার প্রতি ভালোবাসা লালন করবেন। তিনি কোরআন অবমাননার ভয়ংকর অন্ধকারে পা বাড়ানোর দুঃসাহস দেখানোর কল্পনাও করবেন না।
আসুন, কোরআনের সংস্পর্শে। কোরআন ভালোবাসুন, কোরআন পড়ুন এবং হৃদয়ে ধারণ করুন। দেখুন—কী সর্বজনীন তার নির্দেশনাগুলো! কী অসাধারণ তার কথামালা!
আপনার যাপিত জীবনে কোরআনের নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। দেখুন, কী অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছেন আপনি। চিন্তাচেতনা ও মননের সবটুকুজুড়ে ধারণ করুন কোরআনের অনিন্দ্যসুন্দর মনকাড়া সৌরভ। আপনার মানবজনম সার্থক হবে। অনাবিল ও অনির্বচনীয় আনন্দে ভরে উঠবে আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব

যশ-খ্যাতি ও পদ-পদবির জন্য জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ইতিহাসের পাতায় আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল মনীষীর সন্ধান পাই, যাঁরা ক্ষমতা বা পদকে পদদলিত করে সর্বদাই নীতি ও আদর্শকে এগিয়ে রেখেছেন। এমনই একজন মহান মনীষী হলেন নুমান বিন সাবিত, যিনি মুসলিম বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা নামে পরিচিত।
৩ ঘণ্টা আগে
অগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআনের অন্যতম ছোট ও তাৎপর্যপূর্ণ সুরা হলো সুরা ইখলাস। মাত্র চার আয়াতবিশিষ্ট এই সুরাটির অন্তর্নিহিত ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামি শিক্ষার আলোকে এই সুরার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ (তাওহিদ), অদ্বিতীয়তা ও অনন্য মহিমা সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
১ দিন আগে