তারিক জামান

শাবান মাসের শেষে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে হাজির হয় পবিত্র মাহে রমজান। মুমিনের জীবনে এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা সর্বাধিক। কারণ, এ মাসেই অবতীর্ণ হয় মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা এ মাসেই পালন করা হয়। এ মাসেই বদরের প্রান্তরে মুসলমানদের প্রথম বিজয় অর্জিত হয়। রমজান মাসে সর্বত্র বিরাজ করে আধ্যাত্মিকতার আবহ। ব্যক্তির চলাফেরা ও আচার-আচরণে দেখা যায় বিশাল পরিবর্তন। গুনাহ মাফের ঘোষণার পাশাপাশি আমলের তুলনায় অনেক গুণ বেশি প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে এ মাসে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রতিটি আমলের সওয়াব দশ গুণ থেকে সাত শ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। তবে রোজার সওয়াব প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন—একমাত্র রোজা ব্যতীত; কারণ রোজা যেহেতু একমাত্র আমার জন্যই হয়ে থাকে, তাই আমিই তার প্রতিদান দেব। আর রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আমার কাছে মৃগনাভীর সুঘ্রাণের চেয়ে অধিক প্রিয়।’ (মুসলিম, হাদিস: ২৫৯৬)
রমজান রোজা, নফল ইবাদত ও দান-সদকার মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয়জনদের কাতারে শামিল হওয়ার অনন্য সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হলে মাসটিকে পরিকল্পিতভাবে কাটাতে হবে। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমলের প্রস্তাবনা পেশ করছি।
ইখলাসের সঙ্গে রোজা পালন
রোজা স্রেফ উপোস থাকার নাম নয়; বরং আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার মানসে সওয়াবের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তা পালন করতে হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৮)
কোরআন তিলাওয়াত
রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এ মাসে মহানবী (সা.) কোরআন তিলাওয়াতের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেন। জিবরাইল (আ.) ও মহানবী (সা.) রমজানে পরস্পরকে কোরআন তিলাওয়াত শুনিয়ে আত্মস্থ করতেন। তাই এ মাসে পবিত্র কোরআনের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদের কর্তব্য। কোরআনের মর্ম উপলব্ধি করার চেষ্টা করা, শুদ্ধ তিলাওয়াতের অনুশীলন করা এবং কোরআনের আয়াত মুখস্থ করা চাই।
রাত জেগে নামাজ আদায়
রমজানের তারাবি, তাহাজ্জুদসহ নফল নামাজে বেশি বেশি সময় ব্যয় করা আমাদের কর্তব্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার অতীতের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৭)
বেশি বেশি দান-সদকা করা
রমজান মাসে বেশি বেশি দান করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের শিক্ষা। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সমগ্র মানবজাতির সবচেয়ে উদার ও দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানশীলতা ও বদান্যতা এতই বেড়ে যেত যে, তখন তাঁর দানশীলতার প্রাবল্য বাতাসকেও হার মানাত।’ (বুখারি, হাদিস: ৬)
রোজাদারদের ইফতার করানো
রোজাদারদের ইফতার করানোর ফজিলত অনন্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি একজন রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে তাঁর রোজার সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে এবং ওই রোজাদারের সওয়াব থেকেও বিন্দুমাত্র কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৮০৭)
ইতিকাফ করা
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ পালন করা সুন্নত। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘মহানবী (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ করতেন।’ (বুখারি, হাদিস: ২০২৬)
লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান
লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট কোনো রাত নেই। রমজানের যেকোনো রাত লাইলাতুল কদর হতে পারে। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই রমজানের প্রতিটি রাতকে লাইলাতুল কদর মনে করে কাটানো উচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ১৯০১)

শাবান মাসের শেষে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে হাজির হয় পবিত্র মাহে রমজান। মুমিনের জীবনে এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা সর্বাধিক। কারণ, এ মাসেই অবতীর্ণ হয় মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা এ মাসেই পালন করা হয়। এ মাসেই বদরের প্রান্তরে মুসলমানদের প্রথম বিজয় অর্জিত হয়। রমজান মাসে সর্বত্র বিরাজ করে আধ্যাত্মিকতার আবহ। ব্যক্তির চলাফেরা ও আচার-আচরণে দেখা যায় বিশাল পরিবর্তন। গুনাহ মাফের ঘোষণার পাশাপাশি আমলের তুলনায় অনেক গুণ বেশি প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে এ মাসে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রতিটি আমলের সওয়াব দশ গুণ থেকে সাত শ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। তবে রোজার সওয়াব প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন—একমাত্র রোজা ব্যতীত; কারণ রোজা যেহেতু একমাত্র আমার জন্যই হয়ে থাকে, তাই আমিই তার প্রতিদান দেব। আর রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আমার কাছে মৃগনাভীর সুঘ্রাণের চেয়ে অধিক প্রিয়।’ (মুসলিম, হাদিস: ২৫৯৬)
রমজান রোজা, নফল ইবাদত ও দান-সদকার মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয়জনদের কাতারে শামিল হওয়ার অনন্য সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হলে মাসটিকে পরিকল্পিতভাবে কাটাতে হবে। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমলের প্রস্তাবনা পেশ করছি।
ইখলাসের সঙ্গে রোজা পালন
রোজা স্রেফ উপোস থাকার নাম নয়; বরং আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার মানসে সওয়াবের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তা পালন করতে হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৮)
কোরআন তিলাওয়াত
রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এ মাসে মহানবী (সা.) কোরআন তিলাওয়াতের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেন। জিবরাইল (আ.) ও মহানবী (সা.) রমজানে পরস্পরকে কোরআন তিলাওয়াত শুনিয়ে আত্মস্থ করতেন। তাই এ মাসে পবিত্র কোরআনের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদের কর্তব্য। কোরআনের মর্ম উপলব্ধি করার চেষ্টা করা, শুদ্ধ তিলাওয়াতের অনুশীলন করা এবং কোরআনের আয়াত মুখস্থ করা চাই।
রাত জেগে নামাজ আদায়
রমজানের তারাবি, তাহাজ্জুদসহ নফল নামাজে বেশি বেশি সময় ব্যয় করা আমাদের কর্তব্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার অতীতের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৭)
বেশি বেশি দান-সদকা করা
রমজান মাসে বেশি বেশি দান করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের শিক্ষা। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সমগ্র মানবজাতির সবচেয়ে উদার ও দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানশীলতা ও বদান্যতা এতই বেড়ে যেত যে, তখন তাঁর দানশীলতার প্রাবল্য বাতাসকেও হার মানাত।’ (বুখারি, হাদিস: ৬)
রোজাদারদের ইফতার করানো
রোজাদারদের ইফতার করানোর ফজিলত অনন্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি একজন রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে তাঁর রোজার সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে এবং ওই রোজাদারের সওয়াব থেকেও বিন্দুমাত্র কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৮০৭)
ইতিকাফ করা
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ পালন করা সুন্নত। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘মহানবী (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ করতেন।’ (বুখারি, হাদিস: ২০২৬)
লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান
লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট কোনো রাত নেই। রমজানের যেকোনো রাত লাইলাতুল কদর হতে পারে। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই রমজানের প্রতিটি রাতকে লাইলাতুল কদর মনে করে কাটানো উচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ১৯০১)
তারিক জামান

শাবান মাসের শেষে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে হাজির হয় পবিত্র মাহে রমজান। মুমিনের জীবনে এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা সর্বাধিক। কারণ, এ মাসেই অবতীর্ণ হয় মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা এ মাসেই পালন করা হয়। এ মাসেই বদরের প্রান্তরে মুসলমানদের প্রথম বিজয় অর্জিত হয়। রমজান মাসে সর্বত্র বিরাজ করে আধ্যাত্মিকতার আবহ। ব্যক্তির চলাফেরা ও আচার-আচরণে দেখা যায় বিশাল পরিবর্তন। গুনাহ মাফের ঘোষণার পাশাপাশি আমলের তুলনায় অনেক গুণ বেশি প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে এ মাসে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রতিটি আমলের সওয়াব দশ গুণ থেকে সাত শ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। তবে রোজার সওয়াব প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন—একমাত্র রোজা ব্যতীত; কারণ রোজা যেহেতু একমাত্র আমার জন্যই হয়ে থাকে, তাই আমিই তার প্রতিদান দেব। আর রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আমার কাছে মৃগনাভীর সুঘ্রাণের চেয়ে অধিক প্রিয়।’ (মুসলিম, হাদিস: ২৫৯৬)
রমজান রোজা, নফল ইবাদত ও দান-সদকার মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয়জনদের কাতারে শামিল হওয়ার অনন্য সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হলে মাসটিকে পরিকল্পিতভাবে কাটাতে হবে। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমলের প্রস্তাবনা পেশ করছি।
ইখলাসের সঙ্গে রোজা পালন
রোজা স্রেফ উপোস থাকার নাম নয়; বরং আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার মানসে সওয়াবের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তা পালন করতে হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৮)
কোরআন তিলাওয়াত
রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এ মাসে মহানবী (সা.) কোরআন তিলাওয়াতের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেন। জিবরাইল (আ.) ও মহানবী (সা.) রমজানে পরস্পরকে কোরআন তিলাওয়াত শুনিয়ে আত্মস্থ করতেন। তাই এ মাসে পবিত্র কোরআনের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদের কর্তব্য। কোরআনের মর্ম উপলব্ধি করার চেষ্টা করা, শুদ্ধ তিলাওয়াতের অনুশীলন করা এবং কোরআনের আয়াত মুখস্থ করা চাই।
রাত জেগে নামাজ আদায়
রমজানের তারাবি, তাহাজ্জুদসহ নফল নামাজে বেশি বেশি সময় ব্যয় করা আমাদের কর্তব্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার অতীতের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৭)
বেশি বেশি দান-সদকা করা
রমজান মাসে বেশি বেশি দান করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের শিক্ষা। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সমগ্র মানবজাতির সবচেয়ে উদার ও দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানশীলতা ও বদান্যতা এতই বেড়ে যেত যে, তখন তাঁর দানশীলতার প্রাবল্য বাতাসকেও হার মানাত।’ (বুখারি, হাদিস: ৬)
রোজাদারদের ইফতার করানো
রোজাদারদের ইফতার করানোর ফজিলত অনন্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি একজন রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে তাঁর রোজার সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে এবং ওই রোজাদারের সওয়াব থেকেও বিন্দুমাত্র কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৮০৭)
ইতিকাফ করা
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ পালন করা সুন্নত। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘মহানবী (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ করতেন।’ (বুখারি, হাদিস: ২০২৬)
লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান
লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট কোনো রাত নেই। রমজানের যেকোনো রাত লাইলাতুল কদর হতে পারে। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই রমজানের প্রতিটি রাতকে লাইলাতুল কদর মনে করে কাটানো উচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ১৯০১)

শাবান মাসের শেষে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে হাজির হয় পবিত্র মাহে রমজান। মুমিনের জীবনে এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা সর্বাধিক। কারণ, এ মাসেই অবতীর্ণ হয় মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা এ মাসেই পালন করা হয়। এ মাসেই বদরের প্রান্তরে মুসলমানদের প্রথম বিজয় অর্জিত হয়। রমজান মাসে সর্বত্র বিরাজ করে আধ্যাত্মিকতার আবহ। ব্যক্তির চলাফেরা ও আচার-আচরণে দেখা যায় বিশাল পরিবর্তন। গুনাহ মাফের ঘোষণার পাশাপাশি আমলের তুলনায় অনেক গুণ বেশি প্রতিদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে এ মাসে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রতিটি আমলের সওয়াব দশ গুণ থেকে সাত শ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। তবে রোজার সওয়াব প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন—একমাত্র রোজা ব্যতীত; কারণ রোজা যেহেতু একমাত্র আমার জন্যই হয়ে থাকে, তাই আমিই তার প্রতিদান দেব। আর রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আমার কাছে মৃগনাভীর সুঘ্রাণের চেয়ে অধিক প্রিয়।’ (মুসলিম, হাদিস: ২৫৯৬)
রমজান রোজা, নফল ইবাদত ও দান-সদকার মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয়জনদের কাতারে শামিল হওয়ার অনন্য সুযোগ। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হলে মাসটিকে পরিকল্পিতভাবে কাটাতে হবে। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমলের প্রস্তাবনা পেশ করছি।
ইখলাসের সঙ্গে রোজা পালন
রোজা স্রেফ উপোস থাকার নাম নয়; বরং আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার মানসে সওয়াবের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তা পালন করতে হবে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৮)
কোরআন তিলাওয়াত
রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এ মাসে মহানবী (সা.) কোরআন তিলাওয়াতের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেন। জিবরাইল (আ.) ও মহানবী (সা.) রমজানে পরস্পরকে কোরআন তিলাওয়াত শুনিয়ে আত্মস্থ করতেন। তাই এ মাসে পবিত্র কোরআনের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদের কর্তব্য। কোরআনের মর্ম উপলব্ধি করার চেষ্টা করা, শুদ্ধ তিলাওয়াতের অনুশীলন করা এবং কোরআনের আয়াত মুখস্থ করা চাই।
রাত জেগে নামাজ আদায়
রমজানের তারাবি, তাহাজ্জুদসহ নফল নামাজে বেশি বেশি সময় ব্যয় করা আমাদের কর্তব্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার অতীতের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৭)
বেশি বেশি দান-সদকা করা
রমজান মাসে বেশি বেশি দান করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের শিক্ষা। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সমগ্র মানবজাতির সবচেয়ে উদার ও দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানশীলতা ও বদান্যতা এতই বেড়ে যেত যে, তখন তাঁর দানশীলতার প্রাবল্য বাতাসকেও হার মানাত।’ (বুখারি, হাদিস: ৬)
রোজাদারদের ইফতার করানো
রোজাদারদের ইফতার করানোর ফজিলত অনন্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি একজন রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে তাঁর রোজার সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে এবং ওই রোজাদারের সওয়াব থেকেও বিন্দুমাত্র কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৮০৭)
ইতিকাফ করা
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ পালন করা সুন্নত। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘মহানবী (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। তাঁর সহধর্মিণীরাও ইতিকাফ করতেন।’ (বুখারি, হাদিস: ২০২৬)
লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান
লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট কোনো রাত নেই। রমজানের যেকোনো রাত লাইলাতুল কদর হতে পারে। রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই রমজানের প্রতিটি রাতকে লাইলাতুল কদর মনে করে কাটানো উচিত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস: ১৯০১)

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৪ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

শাবান মাসের শেষে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে হাজির হয় পবিত্র মাহে রমজান। মুমিনের জীবনে এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা সর্বাধিক। কারণ, এ মাসেই অবতীর্ণ হয় মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা এ মাসেই পালন করা হয়। এ মাসেই বদরের প্রান্তরে মুসলমানদের প্রথম বিজয় অর্জিত হয়। রমজান মাসে...
০৩ এপ্রিল ২০২২
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৪ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

শাবান মাসের শেষে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে হাজির হয় পবিত্র মাহে রমজান। মুমিনের জীবনে এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা সর্বাধিক। কারণ, এ মাসেই অবতীর্ণ হয় মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা এ মাসেই পালন করা হয়। এ মাসেই বদরের প্রান্তরে মুসলমানদের প্রথম বিজয় অর্জিত হয়। রমজান মাসে...
০৩ এপ্রিল ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

শাবান মাসের শেষে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে হাজির হয় পবিত্র মাহে রমজান। মুমিনের জীবনে এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা সর্বাধিক। কারণ, এ মাসেই অবতীর্ণ হয় মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা এ মাসেই পালন করা হয়। এ মাসেই বদরের প্রান্তরে মুসলমানদের প্রথম বিজয় অর্জিত হয়। রমজান মাসে...
০৩ এপ্রিল ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৭ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৭ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

শাবান মাসের শেষে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে হাজির হয় পবিত্র মাহে রমজান। মুমিনের জীবনে এ মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদা সর্বাধিক। কারণ, এ মাসেই অবতীর্ণ হয় মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ রোজা এ মাসেই পালন করা হয়। এ মাসেই বদরের প্রান্তরে মুসলমানদের প্রথম বিজয় অর্জিত হয়। রমজান মাসে...
০৩ এপ্রিল ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১৪ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১৬ ঘণ্টা আগে