ইজাজুল হক
ড. মুহাম্মাদ আকরাম নদভির জন্ম ও বেড়ে ওঠা ভারতে। শিক্ষাজীবন কেটেছে ভারতের দারুল উলুম নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ, লক্ষ্ণৌ বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরবের কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা করেন হাদিস, ফিকহ, আরবি ভাষা ও অর্থনীতি নিয়ে। বর্তমানে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক কলেজের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আরবি, উর্দু ও ইংরেজি মিলিয়ে তাঁর ৩০টির বেশি গবেষণাগ্রন্থ রয়েছে।
৪৩ খণ্ডের এই বিশ্বকোষের আরবি নাম ‘আল-ওয়াফা বি-আসমা আন-নিসা’। এতে স্থান পেয়েছে ইসলামের ইতিহাসের ১০ হাজার মুসলিম নারী হাদিসবিশারদের জীবন-কর্ম-অবদানের কথা। দীর্ঘ ১৫ বছর পুরো দুনিয়ার সমৃদ্ধ সব লাইব্রেরি চষে বেড়িয়ে লেখক এই সংকলন দাঁড় করিয়েছেন। কিন্তু কী এমন ঘটনা ঘটেছিল, যা তাঁকে এত বড় কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল? সম্প্রতি ভারতের ইংরেজি সাময়িকী অওরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেখক নিজেই তা খোলাসা করেছেন।
ড. আকরাম নদভি জানান, ১৯৯৪ সালের দিকে যুক্তরাজ্যের কয়েকটি সংবাদপত্রে মুসলিম নারী নিয়ে কিছু নেতিবাচক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। তাতে মুসলিম বিশ্বে নারীদের শোচনীয় অবস্থার জন্য ইসলামকেই দোষারোপ করা হয়। প্রবন্ধগুলো পড়ে তিনি খুবই আহত হন। আকরাম নদভি মনে করেন, মুসলিম নারীদের এসব দুর্দশার জন্য ইসলাম মোটেও দায়ী নয়, যদিও যুগ যুগ ধরে মুসলিম নারীদের বিভিন্নভাবে বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। হাদিস নিয়ে গবেষণার সুবাদে তাঁর ভালো করেই জানা ছিল, ইসলামের প্রথম কয়েক যুগে নারীরা জ্ঞানচর্চায় অনেক বেশি এগিয়ে ছিলেন। হাদিসের বড় বড় পণ্ডিতের তালিকায় অনেক নারীর নাম রয়েছে। ড. নদভি ভাবলেন, সেসব মহীয়সী নারীর জীবনী পৃথিবীর সামনে তুলে ধরলে ইসলামের বিরুদ্ধে এসব অপবাদের একটি মোক্ষম জবাব হবে।
ড. আকরাম নদভি মনে করেন, বইটি রচনা করলে পশ্চিমের অমুসলিমরা যেমন মুসলিম নারীদের জ্ঞানচর্চার ধারা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানবে, তেমনি তা বর্তমান বিশ্বের পিছিয়ে পড়া মুসলিম নারীদের এগিয়ে যাওয়ারও বড় প্রেরণা হবে। এ ছাড়া নারীদের বিষয়ে অতিরক্ষণশীল আচরণকারী আলেমেরা জানতে পারবেন, আমাদের হারানো অতীতে নারীরা কত বেশি এগিয়ে ছিলেন। এসব কারণেই ড. নদভি এ বিশাল প্রকল্প হাতে নেন।
ড. নদভি আরও জানান, বিশ্বের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এ গবেষণাকাজে কোনো ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা করেনি। পুরো কাজটি একান্তই তিনি নিজে সম্পন্ন করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হিসেবে কাজ করার সময় থেকেই তিনি এই বিশ্বকোষ রচনার কাজ শুরু করেন। এরপর পুরো মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে পুরোনো পাণ্ডুলিপিগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার নারী স্কলারের জীবনী সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এত বেশি নারী মুহাদ্দিসের তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল, যা পরে ১০ হাজারে উন্নীত হয়।
ড. নদভি এই বিশ্বকোষে স্রেফ আরবি, উর্দু ও ইংরেজি ভাষার পাণ্ডুলিপি থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। ফারসি জানলেও ফারসি ভাষাসহ মধ্য এশিয়ার অন্যান্য ভাষা, উজবেক কিংবা তুর্কি সোর্স থেকে তথ্য নেন। ফলে তিনি মনে করেন, এ ক্ষেত্রে আরও কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
৪৩ খণ্ডের প্রথম খণ্ডটি মূলত বিশ্বকোষের ভূমিকা। এটি আরবি ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলায়ও ‘আল-মুহাদ্দিসাত’ নামে এটি বাংলা
ভাষায়ও প্রকাশিত হয়েছে।
ড. মুহাম্মাদ আকরাম নদভির জন্ম ও বেড়ে ওঠা ভারতে। শিক্ষাজীবন কেটেছে ভারতের দারুল উলুম নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্ণৌ, লক্ষ্ণৌ বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরবের কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা করেন হাদিস, ফিকহ, আরবি ভাষা ও অর্থনীতি নিয়ে। বর্তমানে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক কলেজের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আরবি, উর্দু ও ইংরেজি মিলিয়ে তাঁর ৩০টির বেশি গবেষণাগ্রন্থ রয়েছে।
৪৩ খণ্ডের এই বিশ্বকোষের আরবি নাম ‘আল-ওয়াফা বি-আসমা আন-নিসা’। এতে স্থান পেয়েছে ইসলামের ইতিহাসের ১০ হাজার মুসলিম নারী হাদিসবিশারদের জীবন-কর্ম-অবদানের কথা। দীর্ঘ ১৫ বছর পুরো দুনিয়ার সমৃদ্ধ সব লাইব্রেরি চষে বেড়িয়ে লেখক এই সংকলন দাঁড় করিয়েছেন। কিন্তু কী এমন ঘটনা ঘটেছিল, যা তাঁকে এত বড় কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল? সম্প্রতি ভারতের ইংরেজি সাময়িকী অওরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেখক নিজেই তা খোলাসা করেছেন।
ড. আকরাম নদভি জানান, ১৯৯৪ সালের দিকে যুক্তরাজ্যের কয়েকটি সংবাদপত্রে মুসলিম নারী নিয়ে কিছু নেতিবাচক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। তাতে মুসলিম বিশ্বে নারীদের শোচনীয় অবস্থার জন্য ইসলামকেই দোষারোপ করা হয়। প্রবন্ধগুলো পড়ে তিনি খুবই আহত হন। আকরাম নদভি মনে করেন, মুসলিম নারীদের এসব দুর্দশার জন্য ইসলাম মোটেও দায়ী নয়, যদিও যুগ যুগ ধরে মুসলিম নারীদের বিভিন্নভাবে বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। হাদিস নিয়ে গবেষণার সুবাদে তাঁর ভালো করেই জানা ছিল, ইসলামের প্রথম কয়েক যুগে নারীরা জ্ঞানচর্চায় অনেক বেশি এগিয়ে ছিলেন। হাদিসের বড় বড় পণ্ডিতের তালিকায় অনেক নারীর নাম রয়েছে। ড. নদভি ভাবলেন, সেসব মহীয়সী নারীর জীবনী পৃথিবীর সামনে তুলে ধরলে ইসলামের বিরুদ্ধে এসব অপবাদের একটি মোক্ষম জবাব হবে।
ড. আকরাম নদভি মনে করেন, বইটি রচনা করলে পশ্চিমের অমুসলিমরা যেমন মুসলিম নারীদের জ্ঞানচর্চার ধারা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানবে, তেমনি তা বর্তমান বিশ্বের পিছিয়ে পড়া মুসলিম নারীদের এগিয়ে যাওয়ারও বড় প্রেরণা হবে। এ ছাড়া নারীদের বিষয়ে অতিরক্ষণশীল আচরণকারী আলেমেরা জানতে পারবেন, আমাদের হারানো অতীতে নারীরা কত বেশি এগিয়ে ছিলেন। এসব কারণেই ড. নদভি এ বিশাল প্রকল্প হাতে নেন।
ড. নদভি আরও জানান, বিশ্বের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এ গবেষণাকাজে কোনো ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা করেনি। পুরো কাজটি একান্তই তিনি নিজে সম্পন্ন করেছেন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হিসেবে কাজ করার সময় থেকেই তিনি এই বিশ্বকোষ রচনার কাজ শুরু করেন। এরপর পুরো মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে পুরোনো পাণ্ডুলিপিগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার নারী স্কলারের জীবনী সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এত বেশি নারী মুহাদ্দিসের তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল, যা পরে ১০ হাজারে উন্নীত হয়।
ড. নদভি এই বিশ্বকোষে স্রেফ আরবি, উর্দু ও ইংরেজি ভাষার পাণ্ডুলিপি থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। ফারসি জানলেও ফারসি ভাষাসহ মধ্য এশিয়ার অন্যান্য ভাষা, উজবেক কিংবা তুর্কি সোর্স থেকে তথ্য নেন। ফলে তিনি মনে করেন, এ ক্ষেত্রে আরও কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
৪৩ খণ্ডের প্রথম খণ্ডটি মূলত বিশ্বকোষের ভূমিকা। এটি আরবি ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলায়ও ‘আল-মুহাদ্দিসাত’ নামে এটি বাংলা
ভাষায়ও প্রকাশিত হয়েছে।
ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হজ পালনে এবার প্রায় ১৫ লাখ বিদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে সমবেত হয়েছেন। বুধবার আরাফাতের ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। কেউ কেউ হেঁটেই সেখানে পৌঁছান। তাপমাত্রা তখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গত বছর বিদেশি হাজির সংখ্যা ছিল ১৬ লাখের বেশি।
৩ মিনিট আগেপ্রত্যেক সামর্থ্যবান পুরুষ-নারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। আল্লাহ ও তার রাসুলের শর্তহীন আনুগত্য, ত্যাগ ও বিসর্জনের শিক্ষাও আছে কোরবানিতে। নবীজি (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আপনি আপনার রবের জন্য নামাজ আদায় করুন এবং কোরবানি দিন।’ (সুরা কাউসার: ২)
৫ ঘণ্টা আগেইসলামের মূল স্তম্ভগুলোর পঞ্চমটি হলো হজ। ইমান, নামাজ, জাকাত ও রোজার পরই হজের অবস্থান। সামর্থ্যবান মুসলিমদের ওপর হজ ফরজ। অনেকেই শারীরিক ও আর্থিক অপারগতার কারণে হজ করার সামর্থ্য রাখে না। হজে যেতে না পারলেও মুসলমানদের জন্য এমন কিছু আমল রয়েছে, যার মাধ্যমে সহজেই হজের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেআরাফাহ হলো আরবি বর্ষপঞ্জির ১২তম মাসের ৯ তারিখ—যা হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ ছাড়া এটি ঈদুল আজহার আগের দিন হওয়ায় মুসলমানরা ঈদের সর্বশেষ প্রস্তুতিও এই দিন নিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী, এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
৯ ঘণ্টা আগে