শায়খ আহমাদুল্লাহ

ওয়াজ মাহফিল এ দেশের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল ধরে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজ মাহফিল থেকে মুসলমানদের ইমান, আমল, আচার-আচরণে বলীয়ান ও আদর্শ মুসলিম হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। মাহফিলের আয়োজন যদি সুপরিকল্পিত হয়, তাহলে সমাজে নীতি-নৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধপ্রবণতা কমবে, সুন্দর ও আদর্শ কল্যাণ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
ওয়াজ মাহফিলের উদ্দেশ্য
ওয়াজ মাহফিলের উদ্দেশ্য হওয়া চাই কোরআন-হাদিসের আলোকে এবং সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে সর্বসাধারণের কাছে ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা, সামাজিক অসংগতি এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা দিয়ে দূর করার প্রয়াস চালানো, নীতি-নৈতিকতায় সমৃদ্ধ দায়িত্বশীল ব্যক্তিত্ব ও আদর্শ সমাজ গঠনে উদ্বুদ্ধ করা এবং সর্বোপরি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। এর বিপরীতে অন্য কোনো পার্থিব স্বার্থ যেন আয়োজনের সঙ্গে জড়িত না থাকে, তা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়াজের উত্তম সময়
গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষ এবং কৃষক ও গৃহিণীদের জন্য ওয়াজ মাহফিলের জন্য আদর্শ সময় বাদ আসর থেকে রাত নয়টা-দশটা পর্যন্ত। তারপর মাহফিলস্থলে এশার সালাত আদায়ের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্ত হলে, সেটা হবে সব দিক থেকে সুন্নাহসম্মত ও যথার্থ। কারণ, রাসুলুল্লাহ (সা.) রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া পছন্দ করতেন এবং এশার পর আলাপচারিতা অপছন্দ করতেন। তাহাজ্জুদ ও ফজরের সালাত আদায়ের জন্য রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া সবচেয়ে বেশি সহায়ক ভূমিকা রাখে।
প্রশাসনের অনুমোদন
ওয়াজ মাহফিলের লক্ষ্যই যেখানে নৈতিকতার দীক্ষা দেওয়া, সেখানে মাহফিল করতে গিয়ে যেন কোনো প্রকার অসততা বা অনৈতিকতার আশ্রয় নেওয়া না হয়—সেদিকে খেয়াল রাখা অবশ্য কর্তব্য। স্থানীয় প্রশাসনের সম্মতি বা অনুমোদন নিয়েই মাহফিল আয়োজন করা সুশৃঙ্খল মাহফিলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। গোঁজামিল দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মাহফিল করার চেষ্টা ইসলাম অনুমোদন করে না।
বিদ্যুৎ ও মাইকের ব্যবহার
অবৈধ বিদ্যুৎ-সংযোগ দিয়ে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা মোটেও ঠিক হবে না। নিজস্ব ব্যবস্থা না থাকলে প্রয়োজনে আশপাশের কোনো বাসা কিংবা প্রতিষ্ঠান থেকে নিরাপত্তা ও ধারণক্ষমতা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনুমতি ও বিল পরিশোধ সাপেক্ষে বিদ্যুৎ নেওয়া যেতে পারে। তেমনিভাবে মাহফিলের মাইক অনেক বেশি দূর পর্যন্ত স্থাপন করার কারণে যদি অন্য ধর্মের মানুষের বিরক্তি কিংবা কোনো রোগী বা কারও কষ্টের কারণ হয়, তাহলে তা কোনো অবস্থাতেই জায়েজ নয়। কারণ, কাউকে ওয়াজ শুনতে বাধ্য করা কিংবা সাধারণ জীবনযাত্রা ব্যাহত করা ও কষ্ট দেওয়া ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আলোচক ও আলোচনার ধরন
শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি, মানুষের কল্যাণ ও দায়িত্ববোধ থেকে ওয়াজ করতে চান এবং কোরআন-হাদিসের পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখেন, বিনম্রভাবে সুন্দর ও শুদ্ধ ভাষায় আলোচনা ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন—এমন দায়িত্বশীল ও বিচক্ষণ আলেমদেরই দাওয়াত দেওয়া উচিত। ওয়াজের নামে বিভিন্ন শ্রেণি ও গোষ্ঠীর অযাচিত সমালোচনা, দৃষ্টিকটু আচরণ ও অঙ্গভঙ্গি করা, অহেতুক উত্তেজনা সৃষ্টি, বানোয়াট-ভিত্তিহীন উক্তি ও মন্তব্য মাহফিলের গাম্ভীর্য এবং সৌন্দর্য বিনষ্ট করে। আলোচনা হওয়া উচিত গঠনমূলক এবং সুনির্দিষ্ট বিষয়ে।
প্রশ্নোত্তর পর্ব ও কুইজ প্রতিযোগিতা
ওয়াজ মাহফিলে শুধু বক্তা বক্তব্য দিলেন আর শ্রোতারা শুনলেন বা সায় দিলেন, এতে শ্রোতাদের অংশগ্রহণ পুরোপুরি নিশ্চিত হয় না। সে জন্য আলোচনা শেষে শ্রোতাদের মনের জিজ্ঞাসাগুলো তুলে আনতে প্রশ্নোত্তরপর্ব থাকলে মাহফিল অনেক বেশি প্রাণবন্ত হয়। অবশ্য প্রশ্নগুলো আগে থেকে সংগ্রহ করে উত্তরদাতা দেখে প্রস্তুতি নিয়ে নিলে সেটা হবে অনেক বেশি অর্থবহ ও নির্ভুল। আর সবশেষে শ্রোতারা কতটা শিখতে বা জানতে পারলেন, সেটা পরখের জন্য উপস্থাপিত বক্তব্য থেকে শ্রোতাদের প্রশ্ন করে সঠিক উত্তরদাতাকে পুরস্কৃত করা যেতে পারে। এতে মাহফিল আরও বেশি উপভোগ্য হতে পারে।
মাহফিল চলাকালীন করণীয়
মাহফিলের শৃঙ্খলা রক্ষা ও আগত শ্রোতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আয়োজকদের দায়িত্ব। প্রয়োজনে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। ওয়াজ মাহফিলে যেন ইসলামের সুমহান দাওয়াতের আবহ থাকে এবং তা যেন প্রদর্শনপ্রিয়তা, লৌকিকতা ও এ-জাতীয় কোনো মন্দ কাজের প্ল্যাটফর্ম না হয়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিংবা গাড়ি থামিয়ে ডোনেশন কালেকশন করা অপমানজনক ও বিরক্তিকর কাজ, তা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে যথাসম্ভব হালাল উপার্জনকারীদের ডোনেশন নেওয়াই উচিত।
প্রচারের নীতি
মাহফিলের প্রচারের জন্য তৈরি করা ব্যানার-পোস্টার ইত্যাদির ভাষা যেন শুদ্ধ ও নির্ভুল হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। পোস্টার বা ব্যানারে কোনো আলোচকের পরিচয়-পদবি লিখতে গিয়ে ভুল ও অতিরঞ্জন করা চরম অন্যায়। উপস্থাপনার সময় কোনো আলোচকের পরিচয় উল্লেখ করতে গিয়ে বাড়াবাড়ি ও অত্যুক্তি করা বেমানান কাজ।
মাহফিলের আলোচনার অডিও-ভিডিও ধারণ করা এবং তা অনলাইনে প্রচারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা কাম্য। এ কাজটি আয়োজকদের তত্ত্বাবধানে এবং বক্তার পূর্ণ সম্মতি নিয়ে করা আবশ্যক। অন্য কাউকে অনুমতি দিলেও তা প্রকাশের আগে পর্যালোচনা করে দেখা উচিত। যারা বিভিন্ন মাহফিলের ভিডিও ধারণ করে ইউটিউব-ফেসবুকে দর্শক বাড়ানোর জন্য দৃষ্টিকটু, মিথ্যা ও আপত্তিকর থাম্বনেইল কিংবা শিরোনাম দেয়, কোনো অবস্থাতেই তাদের রেকর্ডের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।
আলোচকদের সম্মানী
আলোচকদের উচিত দীন প্রচারের মানসিকতা নিয়ে ওয়াজ করা। মাহফিলে ওয়াজ করাকে যদি অন্য দশটা পেশার মতো একটা পেশা বানানো হয়, তাহলে সেই ওয়াজ থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের খুব বেশি উপকার হবে না। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘তোমরা তাঁর অনুকরণ করো, যে তোমাদের কাছে (সত্যর পথে আহ্বান করে) কোনো বিনিময় চায় না। আর এমন লোকেরাই হিদায়েতপ্রাপ্ত।’ (কোরআন ৩৬: ২০) সুতরাং মৌলিকভাবে দীনি কাজ হবে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে।
তবে যেসব দীনি কাজ আঞ্জাম দিতে গিয়ে প্রায় পুরো সময় সে কাজে আত্মনিয়োগ করতে হয় এবং দীনের জন্য তা অতীব গুরুত্বপূর্ণ, সেসব কাজ করে পারিশ্রমিক নেওয়াকে বিশ্বের প্রায় সব ইসলামিক স্কলারই জায়েজ মনে করেন। তাই আয়োজকদের উচিত, আলোচকের গাড়িভাড়া, পথখরচ এবং অন্যান্য খরচের পাশাপাশি সম্মানজনক হাদিয়া পেশ করা। তবে এ বিষয়ে দর-কষাকষি করা ও চড়া মূল্য হাঁকানো কখনোই প্রকৃত আলেমের কাজ হতে পারে না।
হিসাব-নিকাশে স্বচ্ছতা
মাহফিল উপলক্ষে উত্তোলন করা আয়-ব্যয়ের হিসাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি খুবই জরুরি। অনেক আয়োজক মাহফিলের জন্য বিস্তর টাকা তুলে আলোচকদের যৎসামান্য হাদিয়া দিয়ে অবশিষ্ট টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ-বণ্টন করে নেয়, কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে মাহফিলের কথা বলে টাকা তুলে মাহফিলে কম খরচ করে সেটা দিয়ে অন্য কোনো কল্যাণমূলক কাজ করেন—এগুলো গর্হিত কাজ। কারণ, দাতা যে খাতে ব্যয়ের জন্য দান করবেন, সে খাতেই ব্যয় করা উচিত। তবে সবকিছু যথাযথভাবে সম্পন্ন করার পরও যদি টাকা উদ্বৃত্ত থাকে, তাহলে দানকারীদের মৌনসম্মতি বিবেচনায় তা কোনো ভালো কাজে ব্যয় করা যাবে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক আলোচক ও চেয়ারম্যান, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

ওয়াজ মাহফিল এ দেশের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল ধরে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজ মাহফিল থেকে মুসলমানদের ইমান, আমল, আচার-আচরণে বলীয়ান ও আদর্শ মুসলিম হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। মাহফিলের আয়োজন যদি সুপরিকল্পিত হয়, তাহলে সমাজে নীতি-নৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধপ্রবণতা কমবে, সুন্দর ও আদর্শ কল্যাণ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
ওয়াজ মাহফিলের উদ্দেশ্য
ওয়াজ মাহফিলের উদ্দেশ্য হওয়া চাই কোরআন-হাদিসের আলোকে এবং সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে সর্বসাধারণের কাছে ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা, সামাজিক অসংগতি এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা দিয়ে দূর করার প্রয়াস চালানো, নীতি-নৈতিকতায় সমৃদ্ধ দায়িত্বশীল ব্যক্তিত্ব ও আদর্শ সমাজ গঠনে উদ্বুদ্ধ করা এবং সর্বোপরি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। এর বিপরীতে অন্য কোনো পার্থিব স্বার্থ যেন আয়োজনের সঙ্গে জড়িত না থাকে, তা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়াজের উত্তম সময়
গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষ এবং কৃষক ও গৃহিণীদের জন্য ওয়াজ মাহফিলের জন্য আদর্শ সময় বাদ আসর থেকে রাত নয়টা-দশটা পর্যন্ত। তারপর মাহফিলস্থলে এশার সালাত আদায়ের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্ত হলে, সেটা হবে সব দিক থেকে সুন্নাহসম্মত ও যথার্থ। কারণ, রাসুলুল্লাহ (সা.) রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া পছন্দ করতেন এবং এশার পর আলাপচারিতা অপছন্দ করতেন। তাহাজ্জুদ ও ফজরের সালাত আদায়ের জন্য রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়া সবচেয়ে বেশি সহায়ক ভূমিকা রাখে।
প্রশাসনের অনুমোদন
ওয়াজ মাহফিলের লক্ষ্যই যেখানে নৈতিকতার দীক্ষা দেওয়া, সেখানে মাহফিল করতে গিয়ে যেন কোনো প্রকার অসততা বা অনৈতিকতার আশ্রয় নেওয়া না হয়—সেদিকে খেয়াল রাখা অবশ্য কর্তব্য। স্থানীয় প্রশাসনের সম্মতি বা অনুমোদন নিয়েই মাহফিল আয়োজন করা সুশৃঙ্খল মাহফিলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। গোঁজামিল দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মাহফিল করার চেষ্টা ইসলাম অনুমোদন করে না।
বিদ্যুৎ ও মাইকের ব্যবহার
অবৈধ বিদ্যুৎ-সংযোগ দিয়ে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা মোটেও ঠিক হবে না। নিজস্ব ব্যবস্থা না থাকলে প্রয়োজনে আশপাশের কোনো বাসা কিংবা প্রতিষ্ঠান থেকে নিরাপত্তা ও ধারণক্ষমতা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনুমতি ও বিল পরিশোধ সাপেক্ষে বিদ্যুৎ নেওয়া যেতে পারে। তেমনিভাবে মাহফিলের মাইক অনেক বেশি দূর পর্যন্ত স্থাপন করার কারণে যদি অন্য ধর্মের মানুষের বিরক্তি কিংবা কোনো রোগী বা কারও কষ্টের কারণ হয়, তাহলে তা কোনো অবস্থাতেই জায়েজ নয়। কারণ, কাউকে ওয়াজ শুনতে বাধ্য করা কিংবা সাধারণ জীবনযাত্রা ব্যাহত করা ও কষ্ট দেওয়া ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আলোচক ও আলোচনার ধরন
শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি, মানুষের কল্যাণ ও দায়িত্ববোধ থেকে ওয়াজ করতে চান এবং কোরআন-হাদিসের পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখেন, বিনম্রভাবে সুন্দর ও শুদ্ধ ভাষায় আলোচনা ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন—এমন দায়িত্বশীল ও বিচক্ষণ আলেমদেরই দাওয়াত দেওয়া উচিত। ওয়াজের নামে বিভিন্ন শ্রেণি ও গোষ্ঠীর অযাচিত সমালোচনা, দৃষ্টিকটু আচরণ ও অঙ্গভঙ্গি করা, অহেতুক উত্তেজনা সৃষ্টি, বানোয়াট-ভিত্তিহীন উক্তি ও মন্তব্য মাহফিলের গাম্ভীর্য এবং সৌন্দর্য বিনষ্ট করে। আলোচনা হওয়া উচিত গঠনমূলক এবং সুনির্দিষ্ট বিষয়ে।
প্রশ্নোত্তর পর্ব ও কুইজ প্রতিযোগিতা
ওয়াজ মাহফিলে শুধু বক্তা বক্তব্য দিলেন আর শ্রোতারা শুনলেন বা সায় দিলেন, এতে শ্রোতাদের অংশগ্রহণ পুরোপুরি নিশ্চিত হয় না। সে জন্য আলোচনা শেষে শ্রোতাদের মনের জিজ্ঞাসাগুলো তুলে আনতে প্রশ্নোত্তরপর্ব থাকলে মাহফিল অনেক বেশি প্রাণবন্ত হয়। অবশ্য প্রশ্নগুলো আগে থেকে সংগ্রহ করে উত্তরদাতা দেখে প্রস্তুতি নিয়ে নিলে সেটা হবে অনেক বেশি অর্থবহ ও নির্ভুল। আর সবশেষে শ্রোতারা কতটা শিখতে বা জানতে পারলেন, সেটা পরখের জন্য উপস্থাপিত বক্তব্য থেকে শ্রোতাদের প্রশ্ন করে সঠিক উত্তরদাতাকে পুরস্কৃত করা যেতে পারে। এতে মাহফিল আরও বেশি উপভোগ্য হতে পারে।
মাহফিল চলাকালীন করণীয়
মাহফিলের শৃঙ্খলা রক্ষা ও আগত শ্রোতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আয়োজকদের দায়িত্ব। প্রয়োজনে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। ওয়াজ মাহফিলে যেন ইসলামের সুমহান দাওয়াতের আবহ থাকে এবং তা যেন প্রদর্শনপ্রিয়তা, লৌকিকতা ও এ-জাতীয় কোনো মন্দ কাজের প্ল্যাটফর্ম না হয়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিংবা গাড়ি থামিয়ে ডোনেশন কালেকশন করা অপমানজনক ও বিরক্তিকর কাজ, তা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে যথাসম্ভব হালাল উপার্জনকারীদের ডোনেশন নেওয়াই উচিত।
প্রচারের নীতি
মাহফিলের প্রচারের জন্য তৈরি করা ব্যানার-পোস্টার ইত্যাদির ভাষা যেন শুদ্ধ ও নির্ভুল হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। পোস্টার বা ব্যানারে কোনো আলোচকের পরিচয়-পদবি লিখতে গিয়ে ভুল ও অতিরঞ্জন করা চরম অন্যায়। উপস্থাপনার সময় কোনো আলোচকের পরিচয় উল্লেখ করতে গিয়ে বাড়াবাড়ি ও অত্যুক্তি করা বেমানান কাজ।
মাহফিলের আলোচনার অডিও-ভিডিও ধারণ করা এবং তা অনলাইনে প্রচারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা কাম্য। এ কাজটি আয়োজকদের তত্ত্বাবধানে এবং বক্তার পূর্ণ সম্মতি নিয়ে করা আবশ্যক। অন্য কাউকে অনুমতি দিলেও তা প্রকাশের আগে পর্যালোচনা করে দেখা উচিত। যারা বিভিন্ন মাহফিলের ভিডিও ধারণ করে ইউটিউব-ফেসবুকে দর্শক বাড়ানোর জন্য দৃষ্টিকটু, মিথ্যা ও আপত্তিকর থাম্বনেইল কিংবা শিরোনাম দেয়, কোনো অবস্থাতেই তাদের রেকর্ডের অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।
আলোচকদের সম্মানী
আলোচকদের উচিত দীন প্রচারের মানসিকতা নিয়ে ওয়াজ করা। মাহফিলে ওয়াজ করাকে যদি অন্য দশটা পেশার মতো একটা পেশা বানানো হয়, তাহলে সেই ওয়াজ থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের খুব বেশি উপকার হবে না। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘তোমরা তাঁর অনুকরণ করো, যে তোমাদের কাছে (সত্যর পথে আহ্বান করে) কোনো বিনিময় চায় না। আর এমন লোকেরাই হিদায়েতপ্রাপ্ত।’ (কোরআন ৩৬: ২০) সুতরাং মৌলিকভাবে দীনি কাজ হবে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে।
তবে যেসব দীনি কাজ আঞ্জাম দিতে গিয়ে প্রায় পুরো সময় সে কাজে আত্মনিয়োগ করতে হয় এবং দীনের জন্য তা অতীব গুরুত্বপূর্ণ, সেসব কাজ করে পারিশ্রমিক নেওয়াকে বিশ্বের প্রায় সব ইসলামিক স্কলারই জায়েজ মনে করেন। তাই আয়োজকদের উচিত, আলোচকের গাড়িভাড়া, পথখরচ এবং অন্যান্য খরচের পাশাপাশি সম্মানজনক হাদিয়া পেশ করা। তবে এ বিষয়ে দর-কষাকষি করা ও চড়া মূল্য হাঁকানো কখনোই প্রকৃত আলেমের কাজ হতে পারে না।
হিসাব-নিকাশে স্বচ্ছতা
মাহফিল উপলক্ষে উত্তোলন করা আয়-ব্যয়ের হিসাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি খুবই জরুরি। অনেক আয়োজক মাহফিলের জন্য বিস্তর টাকা তুলে আলোচকদের যৎসামান্য হাদিয়া দিয়ে অবশিষ্ট টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ-বণ্টন করে নেয়, কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে মাহফিলের কথা বলে টাকা তুলে মাহফিলে কম খরচ করে সেটা দিয়ে অন্য কোনো কল্যাণমূলক কাজ করেন—এগুলো গর্হিত কাজ। কারণ, দাতা যে খাতে ব্যয়ের জন্য দান করবেন, সে খাতেই ব্যয় করা উচিত। তবে সবকিছু যথাযথভাবে সম্পন্ন করার পরও যদি টাকা উদ্বৃত্ত থাকে, তাহলে দানকারীদের মৌনসম্মতি বিবেচনায় তা কোনো ভালো কাজে ব্যয় করা যাবে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক আলোচক ও চেয়ারম্যান, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
৫ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ওয়াজ মাহফিল এ দেশের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল ধরে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজ মাহফিল থেকে মুসলমানদের ইমান, আমল, আচার-আচরণে বলীয়ান ও আদর্শ মুসলিম হওয়ার দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়। মাহফিলের আয়োজন যদি...
২৩ ডিসেম্বর ২০২১
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ওয়াজ মাহফিল এ দেশের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল ধরে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজ মাহফিল থেকে মুসলমানদের ইমান, আমল, আচার-আচরণে বলীয়ান ও আদর্শ মুসলিম হওয়ার দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়। মাহফিলের আয়োজন যদি...
২৩ ডিসেম্বর ২০২১
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
৫ মিনিট আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

ওয়াজ মাহফিল এ দেশের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল ধরে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজ মাহফিল থেকে মুসলমানদের ইমান, আমল, আচার-আচরণে বলীয়ান ও আদর্শ মুসলিম হওয়ার দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়। মাহফিলের আয়োজন যদি...
২৩ ডিসেম্বর ২০২১
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
৫ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
২১ ঘণ্টা আগেশরিফ আহমাদ

জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯) তাই আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে, জুমার নামাজ ত্যাগ করে, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা রাসুল (সা.)-কে মিম্বরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ‘মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৬৫)
মুনাফিক ব্যক্তি ছাড়া কোনো মুসলমান ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না। নামাজ আদায়ে বিলম্ব হলে প্রকৃত মুমিনের হৃদয়ে অপরাধপ্রবণতা কাজ করে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশেষ অপারগতা ছাড়া জুমার নামাজ তরক করে, তার নামে মুনাফিক উপাধি লেখা হয় এমন কিতাবে, যার লেখা মোছা যায় না এবং পরিবর্তনও করা যায় না।’ (কিতাবুল উম্ম: ১/২৩৯)
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার সদকা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৫৩)

জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯) তাই আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে, জুমার নামাজ ত্যাগ করে, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা রাসুল (সা.)-কে মিম্বরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ‘মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৬৫)
মুনাফিক ব্যক্তি ছাড়া কোনো মুসলমান ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না। নামাজ আদায়ে বিলম্ব হলে প্রকৃত মুমিনের হৃদয়ে অপরাধপ্রবণতা কাজ করে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশেষ অপারগতা ছাড়া জুমার নামাজ তরক করে, তার নামে মুনাফিক উপাধি লেখা হয় এমন কিতাবে, যার লেখা মোছা যায় না এবং পরিবর্তনও করা যায় না।’ (কিতাবুল উম্ম: ১/২৩৯)
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার সদকা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৫৩)

ওয়াজ মাহফিল এ দেশের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল ধরে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজ মাহফিল থেকে মুসলমানদের ইমান, আমল, আচার-আচরণে বলীয়ান ও আদর্শ মুসলিম হওয়ার দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়। মাহফিলের আয়োজন যদি...
২৩ ডিসেম্বর ২০২১
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
৫ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৭ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১৮ ঘণ্টা আগে