মুফতি আবু দারদা
অপবাদ দেওয়া বড় গুনাহের কাজ। অপবাদ হলো কারও প্রতি এমন মন্দ কাজের সম্বন্ধ করা, যা সে করেনি। আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিপক্ষের মানুষকে অপবাদ দিয়ে ঘায়েল করার চেষ্টা সমাজে ব্যাপক হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে অপরিচিত মানুষের ব্যাপারে ব্যভিচারের অপবাদ দিতেও কুণ্ঠিত হয় না অনেকে। এসব ইসলামের দৃষ্টিতে মারাত্মক অন্যায়। ইসলামে যে কয়টি দণ্ডবিধি ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে ব্যভিচারের অপবাদ একটি।
ইসলামের দৃষ্টিতে অপবাদ দুই প্রকার। এক. যে অপবাদে ইসলামে নির্দিষ্ট পরিমাণের শাস্তির ব্যবস্থা আছে। যেমন ব্যভিচারের প্রকাশ্য অপবাদ অথবা কারও বংশপরিচয় অস্বীকার করা। দুই. যে অপবাদে ইসলামে নির্দিষ্ট পরিমাণের কোনো শাস্তি নেই। এমন অপবাদের ক্ষেত্রে অপবাদকারীকে শিক্ষামূলক কিছু শাস্তি অবশ্যই দেওয়া হবে। দ্বিতীয় প্রকারের অপবাদ আবার ৪ প্রকার। এক. যাকে অপবাদ দেওয়া হলো, সে ক্ষমা করে দিলে। দুই. যার বিরুদ্ধে যেই অপবাদ দেওয়া হয়েছে, অপবাদকে সে স্বীকার করলে। তিন. অপবাদকারী তাঁর অপবাদের সত্যতার ব্যাপারে সঠিক প্রমাণ দাঁড় করালে। চার. পুরুষ নিজ স্ত্রীকে অপবাদ দিয়ে ইসলাম সম্মতভাবে নিজেকে লানত করতে রাজি হলে।
অপবাদ থেকে বাঁচতে হলে প্রথমেই মিথ্যা বলা পরিহার করতে হবে। আর মিথ্যা থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে কথা বলতে হবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যা শুনে তা-ই বলতে থাকা কারও মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট।’ (মুসলিম: ৫) অপবাদে জড়ানোর আরেকটি কারণ কুধারণা। তাই মানুষ সম্পর্কে কুধারণা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা বেশির ভাগ অনুমান থেকে দূরে থেকো...।’ (সুরা হুজরাত: ১২)
কাউকে ব্যভিচারের অপবাদদাতাদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই যারা চরিত্রবান সরলমনা মুমিন নারীদের ব্যভিচারের অপবাদ দেয় তারা দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য (আখেরাতে) আছে মহা শাস্তি।’ (সুরা নুর: ২৩)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
অপবাদ দেওয়া বড় গুনাহের কাজ। অপবাদ হলো কারও প্রতি এমন মন্দ কাজের সম্বন্ধ করা, যা সে করেনি। আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিপক্ষের মানুষকে অপবাদ দিয়ে ঘায়েল করার চেষ্টা সমাজে ব্যাপক হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে অপরিচিত মানুষের ব্যাপারে ব্যভিচারের অপবাদ দিতেও কুণ্ঠিত হয় না অনেকে। এসব ইসলামের দৃষ্টিতে মারাত্মক অন্যায়। ইসলামে যে কয়টি দণ্ডবিধি ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে ব্যভিচারের অপবাদ একটি।
ইসলামের দৃষ্টিতে অপবাদ দুই প্রকার। এক. যে অপবাদে ইসলামে নির্দিষ্ট পরিমাণের শাস্তির ব্যবস্থা আছে। যেমন ব্যভিচারের প্রকাশ্য অপবাদ অথবা কারও বংশপরিচয় অস্বীকার করা। দুই. যে অপবাদে ইসলামে নির্দিষ্ট পরিমাণের কোনো শাস্তি নেই। এমন অপবাদের ক্ষেত্রে অপবাদকারীকে শিক্ষামূলক কিছু শাস্তি অবশ্যই দেওয়া হবে। দ্বিতীয় প্রকারের অপবাদ আবার ৪ প্রকার। এক. যাকে অপবাদ দেওয়া হলো, সে ক্ষমা করে দিলে। দুই. যার বিরুদ্ধে যেই অপবাদ দেওয়া হয়েছে, অপবাদকে সে স্বীকার করলে। তিন. অপবাদকারী তাঁর অপবাদের সত্যতার ব্যাপারে সঠিক প্রমাণ দাঁড় করালে। চার. পুরুষ নিজ স্ত্রীকে অপবাদ দিয়ে ইসলাম সম্মতভাবে নিজেকে লানত করতে রাজি হলে।
অপবাদ থেকে বাঁচতে হলে প্রথমেই মিথ্যা বলা পরিহার করতে হবে। আর মিথ্যা থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে কথা বলতে হবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যা শুনে তা-ই বলতে থাকা কারও মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট।’ (মুসলিম: ৫) অপবাদে জড়ানোর আরেকটি কারণ কুধারণা। তাই মানুষ সম্পর্কে কুধারণা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা বেশির ভাগ অনুমান থেকে দূরে থেকো...।’ (সুরা হুজরাত: ১২)
কাউকে ব্যভিচারের অপবাদদাতাদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই যারা চরিত্রবান সরলমনা মুমিন নারীদের ব্যভিচারের অপবাদ দেয় তারা দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য (আখেরাতে) আছে মহা শাস্তি।’ (সুরা নুর: ২৩)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানুষের প্রকৃত সৌন্দর্য তার মন-মানসিকতা ও চরিত্রে নিহিত। বাহ্যিক চাকচিক্যের চাইতে সুস্থ চিন্তা, সদাচরণ, মানবিক গুণাবলিই মানুষের সত্যিকারের পরিচয়। ইসলাম কেবল ইবাদত নির্ভর ধর্ম নয়, বরং এটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আত্মশুদ্ধি, নৈতিক উন্নয়ন এবং মানবিক কল্যাণে ইসলাম অনন্য ভূমিকা পালন করে।
৯ ঘণ্টা আগেনামাজ মহান আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দার এক গভীর সংযোগের মাধ্যম। এই ইবাদত আদায়ের সময় আমাদের উচিত সর্বোচ্চ মনোযোগ ও বিনয় বজায় রাখা। তাই নামাজের মধ্যে কোনো কিছু বিঘ্ন ঘটলে তা থেকে সতর্ক থাকা অপরিহার্য।
২০ ঘণ্টা আগেরাজধানী বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী হজ ও ওমরাহ মেলা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই মেলার উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
১ দিন আগেমানুষ সমাজবদ্ধ জীব। তার জীবন কেবল নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক ও সুশৃঙ্খল বন্ধনের মাধ্যমে জীবনের পরিপূর্ণতা আসে। ইসলামে এই আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনের পরিভাষায় একে বলা হয় ‘সিলায়ে রেহমি’ এবং এটি রক্ষা করাকে ওয়াজিব...
১ দিন আগে