মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
প্রতিবছর ১৩ অক্টোবর পালিত হয় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস, যার মূল লক্ষ্য হলো দুর্যোগের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিপদ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে মানুষকে উৎসাহিত করা। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা ভূমিকম্পের মতো যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় মানবজীবনে গুরুতর প্রভাব ফেলে।
ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকৃতির এই বিপদগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা বা সতর্কবার্তা হলেও, তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও প্রতিরোধকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলামে দুর্যোগ এলে শুধু প্রার্থনা বা ধৈর্যের ওপর নির্ভর না করে বাস্তব ও যৌক্তিক ব্যবস্থা গ্রহণকে দায়িত্ব হিসেবে দেখা হয়।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা ধৈর্য ধরো ও ধৈর্যে অটল থাকো এবং পাহারায় নিয়োজিত থাকো। আর আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফল হও।’ (সুরা আলে ইমরান: ২০০)। এটি প্রমাণ করে যে বিপদের সময় ধৈর্য ধারণের পাশাপাশি সচেতনতা ও প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি।
নবী মুহাম্মদ (সা.) প্রস্তুতি গ্রহণে গাফিলতিকে দায়িত্বহীনতা বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিপদ থেকে নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখে, সে আল্লাহর নিকট সন্তুষ্ট হয়। তবে, যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয় না, সে দায়িত্বহীন।’ (জামে তিরমিজি: ২১৭৯)।
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের গুরুত্বগুলো—যেমন সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রস্তুতি ও প্রতিরোধ, সামাজিক সহায়তা এবং সুব্যবস্থাপনা—ইসলামের সামাজিক দায়িত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইসলামে সমাজ ও সম্প্রদায়কে দুর্যোগ মোকাবিলায় পরস্পর সহযোগিতার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। প্রার্থনা, সাহায্য প্রদান এবং সতর্কতা গ্রহণের মাধ্যমেই বিপদে পূর্ণ সুরক্ষা সম্ভব।
সুতরাং, দুর্যোগ প্রশমন দিবস আমাদের শেখায় যে প্রকৃতির বিপদকে অবহেলা করা যায় না। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আমাদের মানবীয় দায়িত্ব—দুর্যোগে ধৈর্য রাখা, প্রস্তুতি নেওয়া এবং সহমর্মিতা দেখানো—এই তিন মূলনীতির ওপর অবিচল থাকার আহ্বান জানায়। আমাদের উচিত শুধু সচেতন হওয়া নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপ নিয়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় সহায়তা করা।
প্রতিবছর ১৩ অক্টোবর পালিত হয় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস, যার মূল লক্ষ্য হলো দুর্যোগের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিপদ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে মানুষকে উৎসাহিত করা। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা ভূমিকম্পের মতো যেকোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় মানবজীবনে গুরুতর প্রভাব ফেলে।
ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকৃতির এই বিপদগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা বা সতর্কবার্তা হলেও, তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও প্রতিরোধকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলামে দুর্যোগ এলে শুধু প্রার্থনা বা ধৈর্যের ওপর নির্ভর না করে বাস্তব ও যৌক্তিক ব্যবস্থা গ্রহণকে দায়িত্ব হিসেবে দেখা হয়।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা ধৈর্য ধরো ও ধৈর্যে অটল থাকো এবং পাহারায় নিয়োজিত থাকো। আর আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফল হও।’ (সুরা আলে ইমরান: ২০০)। এটি প্রমাণ করে যে বিপদের সময় ধৈর্য ধারণের পাশাপাশি সচেতনতা ও প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি।
নবী মুহাম্মদ (সা.) প্রস্তুতি গ্রহণে গাফিলতিকে দায়িত্বহীনতা বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিপদ থেকে নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখে, সে আল্লাহর নিকট সন্তুষ্ট হয়। তবে, যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয় না, সে দায়িত্বহীন।’ (জামে তিরমিজি: ২১৭৯)।
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের গুরুত্বগুলো—যেমন সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রস্তুতি ও প্রতিরোধ, সামাজিক সহায়তা এবং সুব্যবস্থাপনা—ইসলামের সামাজিক দায়িত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইসলামে সমাজ ও সম্প্রদায়কে দুর্যোগ মোকাবিলায় পরস্পর সহযোগিতার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। প্রার্থনা, সাহায্য প্রদান এবং সতর্কতা গ্রহণের মাধ্যমেই বিপদে পূর্ণ সুরক্ষা সম্ভব।
সুতরাং, দুর্যোগ প্রশমন দিবস আমাদের শেখায় যে প্রকৃতির বিপদকে অবহেলা করা যায় না। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আমাদের মানবীয় দায়িত্ব—দুর্যোগে ধৈর্য রাখা, প্রস্তুতি নেওয়া এবং সহমর্মিতা দেখানো—এই তিন মূলনীতির ওপর অবিচল থাকার আহ্বান জানায়। আমাদের উচিত শুধু সচেতন হওয়া নয়, বরং বাস্তব পদক্ষেপ নিয়ে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় সহায়তা করা।
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগেজিহ্বা আল্লাহর নিয়ামত। জিহ্বার সঠিক ব্যবহার করে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া মুমিনের দায়িত্ব। দুই পাটি দাঁতের মাঝখানের এই মাংসখণ্ডের ভুল ব্যবহার দুনিয়া-আখিরাত ধ্বংসের কারণ হতে পারে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা তাঁর নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এরশাদ করেন, ‘আমি কি তার জন্য দুটি চোখ বানাইনি...
২০ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমা তখনো জায়নামাজে বসে আছেন। ফজরের নামাজ আদায় শেষে তসবিহ পাঠ ও কোরআন তিলাওয়াতে মগ্ন। ইশরাকের নামাজ আদায় করেই হয়তো গৃহস্থালির কাজ শুরু করবেন। ইতিমধ্যে কলিজার টুকরা সন্তানের কোমল কণ্ঠে ভেসে আসে মায়াবী এক ডাক—‘মা, মক্তবের সময় হয়ে এসেছে। কিছু খেয়ে তাড়াতাড়ি মক্তবে যেতে হবে।’
২ দিন আগে