ইসলাম ডেস্ক
নিয়মিত খাওয়াদাওয়া করার সময় যেসব আদব অনুসরণ করতে হয়, তা ইফতারের সময়ও অনুসরণ করা চাই। তবে ইফতারের রয়েছে বিশেষ কিছু সুন্নত ও আদব। যথা—
১. সময় হওয়ার পরপরই ইফতার করা: সূর্যাস্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে কিংবা মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার শুরু করে দেওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘লোকেরা তত দিন পর্যন্ত কল্যাণের মধ্যে থাকবে, যত দিন তারা ইফতার দ্রুত সম্পন্ন করবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
২. সম্মিলিত ইফতার করা: একা একা ইফতার করা অনুচিত। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদার ভাইকে ইফতার করাবে, সে ওই ব্যক্তির রোজার সওয়াব লাভ করবে। এবং তার রোজার সওয়াবের মধ্য থেকে কমানো হবে না।’ (তিরমিজি)
৩. ইফতারের আগে দোয়া করা: হাদিসে এসেছে, ‘ইফতারের সময় সাধারণত রোজাদারের দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না।’ (ইবনে মাজাহ)
৪. মিষ্টিজাতীয় খাবার দিয়ে ইফতার শুরু করা: বিশেষত খেজুরের মাধ্যমে ইফতার শুরু করা সুন্নত। মিষ্টিজাতীয় কিছু পাওয়া না গেলে পানি দিয়ে ইফতার করলেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।
৫. ইফতারের বিশেষ দোয়া পড়া: ইফতার শুরু করার সময় যে দোয়াটি পড়বেন, তা হলো—আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়ালা রিজকিকা আফতারতু। অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার জন্যই রোজা রেখেছি এবং আপনার দেওয়া রিজিক দিয়েই ইফতার করছি।’ (আবু দাউদ)
এ ছাড়া ইফতার শেষ করার পর আরেকটি দোয়া পড়ার কথা এসেছে। দোয়াটি হলো—উচ্চারণ: জাহাবাজ্জামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু ওয়াসাবাতাল আজরু ইনশা আল্লাহ। অর্থ: পিপাসা মিটেছে, শিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং আল্লাহ চান তো সওয়াব সাব্যস্ত হয়েছে। (আবু দাউদ)
আরও খবর পড়ুন:
নিয়মিত খাওয়াদাওয়া করার সময় যেসব আদব অনুসরণ করতে হয়, তা ইফতারের সময়ও অনুসরণ করা চাই। তবে ইফতারের রয়েছে বিশেষ কিছু সুন্নত ও আদব। যথা—
১. সময় হওয়ার পরপরই ইফতার করা: সূর্যাস্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে কিংবা মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার শুরু করে দেওয়া সুন্নত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘লোকেরা তত দিন পর্যন্ত কল্যাণের মধ্যে থাকবে, যত দিন তারা ইফতার দ্রুত সম্পন্ন করবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
২. সম্মিলিত ইফতার করা: একা একা ইফতার করা অনুচিত। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদার ভাইকে ইফতার করাবে, সে ওই ব্যক্তির রোজার সওয়াব লাভ করবে। এবং তার রোজার সওয়াবের মধ্য থেকে কমানো হবে না।’ (তিরমিজি)
৩. ইফতারের আগে দোয়া করা: হাদিসে এসেছে, ‘ইফতারের সময় সাধারণত রোজাদারের দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না।’ (ইবনে মাজাহ)
৪. মিষ্টিজাতীয় খাবার দিয়ে ইফতার শুরু করা: বিশেষত খেজুরের মাধ্যমে ইফতার শুরু করা সুন্নত। মিষ্টিজাতীয় কিছু পাওয়া না গেলে পানি দিয়ে ইফতার করলেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।
৫. ইফতারের বিশেষ দোয়া পড়া: ইফতার শুরু করার সময় যে দোয়াটি পড়বেন, তা হলো—আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়ালা রিজকিকা আফতারতু। অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার জন্যই রোজা রেখেছি এবং আপনার দেওয়া রিজিক দিয়েই ইফতার করছি।’ (আবু দাউদ)
এ ছাড়া ইফতার শেষ করার পর আরেকটি দোয়া পড়ার কথা এসেছে। দোয়াটি হলো—উচ্চারণ: জাহাবাজ্জামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু ওয়াসাবাতাল আজরু ইনশা আল্লাহ। অর্থ: পিপাসা মিটেছে, শিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং আল্লাহ চান তো সওয়াব সাব্যস্ত হয়েছে। (আবু দাউদ)
আরও খবর পড়ুন:
রোজার মৌখিক নিয়ত যেকোনো ভাষায় হতে পারে। একান্ত আরবি ভাষায় হওয়া জরুরি নয়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১ / ৩৭৮)। বরং যারা আরবি বোঝে না, তাদের জন্য আরবিতে নিয়ত না করাই কর্তব্য। কারণ নিয়ত পড়া জরুরি নয়, নিয়ত করাই জরুরি।
৪ ঘণ্টা আগেরাসুল (সা.) সাহাবিদের তিনজন নেককার ব্যক্তির গল্প শুনিয়েছিলেন। হাদিসের ভাষ্যে স্পষ্টভাবে তাঁদের নাম ও বাসস্থানের কথা উল্লেখ নেই। তবে তাঁরা যে বনি ইসরাইলের লোক ছিলেন, এ কথার উল্লেখ আছে। এ গল্পে আল্লাহর ভয়, মা–বাবার প্রতি সদাচার, দোয়ার শক্তি এবং সৎকর্মের মহত্ত্ব ফুটে উঠেছে।
৪ ঘণ্টা আগে‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রিয় নবী (সা.)-এর জীবদ্দশায় বিচ্ছিন্নভাবে অনেকে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু করেন। তাঁর ইন্তেকালের পর সাহাবি-যুগ ও তাবেয়ি-যুগেও ব্যাপক আকারে হাদিস সংকলনের কাজ শুরু হয়। ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিকসহ অনেক বড় বড় ইমামরা এ কাজ করেন। তবে সর্বাগ্রে যিনি নবীজির হাদিসসমূহকে বিশুদ্ধ সূত্রে সংকলন করার বিশাল
১ দিন আগে