পবিত্র কোরআনের ২৪টি সুরায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অসংখ্যবার আল্লাহ তাআলা হজরত লুত (আ.)-এর প্রসঙ্গ টেনেছেন। তাঁর জাতি যে ঘৃণ্য অপরাধের মাধ্যমে চূড়ান্ত অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়েছিল, তা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দিয়েছেন। এখানে ঐতিহাসিক বিভিন্ন বর্ণনা এড়িয়ে কেবল পবিত্র কোরআনের আলোকে কওমে লুতের পরিণতির কথা সংক্ষেপে তুলে এনেছেন ইজাজুল হক।
ইজাজুল হক

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ, যা বিশ্বজগতে তোমাদের আগে কেউ করেনি। তোমরা যৌন তাড়নায় নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের কাছে গমন করছ। তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮১)
তবে কেবল এমন বিকৃত যৌনাচারই নয়, বরং তারা আরও নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। প্রকাশ্য সমাবেশে আরও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা (কামতাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাওয়া-আসা করো, রাহাজানি করো এবং নিজেদের মজলিশে ঘৃণ্য কর্ম করো। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
লুত (আ.) যখন তাদের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বললেন, তখন তারা তা-ই বলল, যা অন্য অবাধ্য জাতিগুলো তাদের নবীদের বলত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার জাতির এ ছাড়া আর কোনো জবাব ছিল না যে তোমাদের জনপদ থেকে এদের (লুত ও তার অনুসারীদের) বের করে দাও, এরা এমন লোক, যারা খুব পবিত্র হতে চায়।’ (সুরা আরাফ: ৮২)
এমনকি লুত (আ.) যখন তাদের আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন, তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করল এবং আজাব নিয়ে আসার আহ্বান জানাল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো। তিনি বললেন—হে আমার প্রতিপালক, বিশৃঙ্খল জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
এভাবে কওমে লুত অবাধ্যতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা আজাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে অপরাধের পূর্ণতা দানের জন্য তাদের আরও একবার পরীক্ষা করেন। সুদর্শন পুরুষের বেশে কয়েকজন ফেরেশতাকে লুত (আ.)-এর কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের অপরাধের ষোলোকলায় পূর্ণ করা। কারণ তারা এই কাজকে কেবল বৈধই মনে করত না, এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করত। নারীরাও এই কাজের সমর্থনে কাজ করত। এমনকি হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রীও এদের পক্ষে কাজ করত। লুত (আ.) ফেরেশতাদের প্রথমে চিনতে পারেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লুতের কাছে এল, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদের রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল আর বলল—আজ বড়ই বিপদের দিন।’ (সুরা হুদ: ৭৭)
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
লুত (আ.)-এর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। ঠিকই তারা এসে গেল এবং যুবকদের তাদের হাতে সোপর্দ করতে জোরাজুরি করতে লাগল। লুত (আ.) আবার তাদের নসিহত করলেন এবং আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তার কওমের লোকজন হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে এল। আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল—হে আমার সম্প্রদায়, আমার (জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে করো), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত কোরো না, তোমাদের মধ্যে কি ভালো মানুষ একজনও নেই? তারা বলল—তোমার তো জানাই আছে যে তোমার (জাতির) কন্যাদের আমাদের কোনো দরকার নেই, আমরা কী চাই—তা তো তুমি অবশ্যই জানো।’ (সুরা হুদ: ৭৮-৭৯)
লুত (আ.) হতাশ হলেন এবং নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করলেন এবং লুত (আ.)-কে আজাবের ব্যাপারে জানালেন। তাঁরা তাঁকে পরিবার ও গুটিকয়েক অনুসারীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেন। তবে অবাধ্যতার কারণে তাঁর স্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না। অবশেষে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাআলার আজাব এল। ফেরেশতারা ওই ভূখণ্ডকে উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এই আজাবের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।
যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। যে পাথর খণ্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল। জালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশি দূরের ব্যাপার নয়।’ (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘লুতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম পাথরবর্ষী প্রচণ্ড বাতাস, (যা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল)। লুতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদের রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম। আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দিই যে কৃতজ্ঞ হয়। লুত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদের সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেছিল। তারা লুতকে তার মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম—আমার আজাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ করো। অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদের গ্রাস করল।’ (সুরা কামার: ৩৩-৩৮)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ, যা বিশ্বজগতে তোমাদের আগে কেউ করেনি। তোমরা যৌন তাড়নায় নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের কাছে গমন করছ। তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮১)
তবে কেবল এমন বিকৃত যৌনাচারই নয়, বরং তারা আরও নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। প্রকাশ্য সমাবেশে আরও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা (কামতাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাওয়া-আসা করো, রাহাজানি করো এবং নিজেদের মজলিশে ঘৃণ্য কর্ম করো। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
লুত (আ.) যখন তাদের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বললেন, তখন তারা তা-ই বলল, যা অন্য অবাধ্য জাতিগুলো তাদের নবীদের বলত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার জাতির এ ছাড়া আর কোনো জবাব ছিল না যে তোমাদের জনপদ থেকে এদের (লুত ও তার অনুসারীদের) বের করে দাও, এরা এমন লোক, যারা খুব পবিত্র হতে চায়।’ (সুরা আরাফ: ৮২)
এমনকি লুত (আ.) যখন তাদের আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন, তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করল এবং আজাব নিয়ে আসার আহ্বান জানাল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো। তিনি বললেন—হে আমার প্রতিপালক, বিশৃঙ্খল জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
এভাবে কওমে লুত অবাধ্যতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা আজাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে অপরাধের পূর্ণতা দানের জন্য তাদের আরও একবার পরীক্ষা করেন। সুদর্শন পুরুষের বেশে কয়েকজন ফেরেশতাকে লুত (আ.)-এর কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের অপরাধের ষোলোকলায় পূর্ণ করা। কারণ তারা এই কাজকে কেবল বৈধই মনে করত না, এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করত। নারীরাও এই কাজের সমর্থনে কাজ করত। এমনকি হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রীও এদের পক্ষে কাজ করত। লুত (আ.) ফেরেশতাদের প্রথমে চিনতে পারেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লুতের কাছে এল, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদের রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল আর বলল—আজ বড়ই বিপদের দিন।’ (সুরা হুদ: ৭৭)
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
লুত (আ.)-এর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। ঠিকই তারা এসে গেল এবং যুবকদের তাদের হাতে সোপর্দ করতে জোরাজুরি করতে লাগল। লুত (আ.) আবার তাদের নসিহত করলেন এবং আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তার কওমের লোকজন হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে এল। আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল—হে আমার সম্প্রদায়, আমার (জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে করো), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত কোরো না, তোমাদের মধ্যে কি ভালো মানুষ একজনও নেই? তারা বলল—তোমার তো জানাই আছে যে তোমার (জাতির) কন্যাদের আমাদের কোনো দরকার নেই, আমরা কী চাই—তা তো তুমি অবশ্যই জানো।’ (সুরা হুদ: ৭৮-৭৯)
লুত (আ.) হতাশ হলেন এবং নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করলেন এবং লুত (আ.)-কে আজাবের ব্যাপারে জানালেন। তাঁরা তাঁকে পরিবার ও গুটিকয়েক অনুসারীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেন। তবে অবাধ্যতার কারণে তাঁর স্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না। অবশেষে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাআলার আজাব এল। ফেরেশতারা ওই ভূখণ্ডকে উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এই আজাবের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।
যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। যে পাথর খণ্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল। জালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশি দূরের ব্যাপার নয়।’ (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘লুতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম পাথরবর্ষী প্রচণ্ড বাতাস, (যা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল)। লুতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদের রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম। আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দিই যে কৃতজ্ঞ হয়। লুত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদের সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেছিল। তারা লুতকে তার মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম—আমার আজাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ করো। অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদের গ্রাস করল।’ (সুরা কামার: ৩৩-৩৮)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
পবিত্র কোরআনের ২৪টি সুরায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অসংখ্যবার আল্লাহ তাআলা হজরত লুত (আ.)-এর প্রসঙ্গ টেনেছেন। তাঁর জাতি যে ঘৃণ্য অপরাধের মাধ্যমে চূড়ান্ত অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়েছিল, তা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দিয়েছেন। এখানে ঐতিহাসিক বিভিন্ন বর্ণনা এড়িয়ে কেবল পবিত্র কোরআনের আলোকে কওমে লুতের পরিণতির কথা সংক্ষেপে তুলে এনেছেন ইজাজুল হক।
ইজাজুল হক

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ, যা বিশ্বজগতে তোমাদের আগে কেউ করেনি। তোমরা যৌন তাড়নায় নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের কাছে গমন করছ। তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮১)
তবে কেবল এমন বিকৃত যৌনাচারই নয়, বরং তারা আরও নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। প্রকাশ্য সমাবেশে আরও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা (কামতাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাওয়া-আসা করো, রাহাজানি করো এবং নিজেদের মজলিশে ঘৃণ্য কর্ম করো। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
লুত (আ.) যখন তাদের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বললেন, তখন তারা তা-ই বলল, যা অন্য অবাধ্য জাতিগুলো তাদের নবীদের বলত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার জাতির এ ছাড়া আর কোনো জবাব ছিল না যে তোমাদের জনপদ থেকে এদের (লুত ও তার অনুসারীদের) বের করে দাও, এরা এমন লোক, যারা খুব পবিত্র হতে চায়।’ (সুরা আরাফ: ৮২)
এমনকি লুত (আ.) যখন তাদের আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন, তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করল এবং আজাব নিয়ে আসার আহ্বান জানাল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো। তিনি বললেন—হে আমার প্রতিপালক, বিশৃঙ্খল জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
এভাবে কওমে লুত অবাধ্যতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা আজাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে অপরাধের পূর্ণতা দানের জন্য তাদের আরও একবার পরীক্ষা করেন। সুদর্শন পুরুষের বেশে কয়েকজন ফেরেশতাকে লুত (আ.)-এর কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের অপরাধের ষোলোকলায় পূর্ণ করা। কারণ তারা এই কাজকে কেবল বৈধই মনে করত না, এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করত। নারীরাও এই কাজের সমর্থনে কাজ করত। এমনকি হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রীও এদের পক্ষে কাজ করত। লুত (আ.) ফেরেশতাদের প্রথমে চিনতে পারেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লুতের কাছে এল, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদের রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল আর বলল—আজ বড়ই বিপদের দিন।’ (সুরা হুদ: ৭৭)
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
লুত (আ.)-এর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। ঠিকই তারা এসে গেল এবং যুবকদের তাদের হাতে সোপর্দ করতে জোরাজুরি করতে লাগল। লুত (আ.) আবার তাদের নসিহত করলেন এবং আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তার কওমের লোকজন হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে এল। আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল—হে আমার সম্প্রদায়, আমার (জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে করো), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত কোরো না, তোমাদের মধ্যে কি ভালো মানুষ একজনও নেই? তারা বলল—তোমার তো জানাই আছে যে তোমার (জাতির) কন্যাদের আমাদের কোনো দরকার নেই, আমরা কী চাই—তা তো তুমি অবশ্যই জানো।’ (সুরা হুদ: ৭৮-৭৯)
লুত (আ.) হতাশ হলেন এবং নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করলেন এবং লুত (আ.)-কে আজাবের ব্যাপারে জানালেন। তাঁরা তাঁকে পরিবার ও গুটিকয়েক অনুসারীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেন। তবে অবাধ্যতার কারণে তাঁর স্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না। অবশেষে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাআলার আজাব এল। ফেরেশতারা ওই ভূখণ্ডকে উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এই আজাবের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।
যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। যে পাথর খণ্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল। জালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশি দূরের ব্যাপার নয়।’ (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘লুতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম পাথরবর্ষী প্রচণ্ড বাতাস, (যা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল)। লুতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদের রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম। আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দিই যে কৃতজ্ঞ হয়। লুত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদের সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেছিল। তারা লুতকে তার মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম—আমার আজাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ করো। অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদের গ্রাস করল।’ (সুরা কামার: ৩৩-৩৮)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ, যা বিশ্বজগতে তোমাদের আগে কেউ করেনি। তোমরা যৌন তাড়নায় নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের কাছে গমন করছ। তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮১)
তবে কেবল এমন বিকৃত যৌনাচারই নয়, বরং তারা আরও নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। প্রকাশ্য সমাবেশে আরও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা (কামতাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাওয়া-আসা করো, রাহাজানি করো এবং নিজেদের মজলিশে ঘৃণ্য কর্ম করো। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
লুত (আ.) যখন তাদের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বললেন, তখন তারা তা-ই বলল, যা অন্য অবাধ্য জাতিগুলো তাদের নবীদের বলত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার জাতির এ ছাড়া আর কোনো জবাব ছিল না যে তোমাদের জনপদ থেকে এদের (লুত ও তার অনুসারীদের) বের করে দাও, এরা এমন লোক, যারা খুব পবিত্র হতে চায়।’ (সুরা আরাফ: ৮২)
এমনকি লুত (আ.) যখন তাদের আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন, তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করল এবং আজাব নিয়ে আসার আহ্বান জানাল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো। তিনি বললেন—হে আমার প্রতিপালক, বিশৃঙ্খল জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
এভাবে কওমে লুত অবাধ্যতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা আজাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে অপরাধের পূর্ণতা দানের জন্য তাদের আরও একবার পরীক্ষা করেন। সুদর্শন পুরুষের বেশে কয়েকজন ফেরেশতাকে লুত (আ.)-এর কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের অপরাধের ষোলোকলায় পূর্ণ করা। কারণ তারা এই কাজকে কেবল বৈধই মনে করত না, এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করত। নারীরাও এই কাজের সমর্থনে কাজ করত। এমনকি হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রীও এদের পক্ষে কাজ করত। লুত (আ.) ফেরেশতাদের প্রথমে চিনতে পারেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লুতের কাছে এল, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদের রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল আর বলল—আজ বড়ই বিপদের দিন।’ (সুরা হুদ: ৭৭)
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
লুত (আ.)-এর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। ঠিকই তারা এসে গেল এবং যুবকদের তাদের হাতে সোপর্দ করতে জোরাজুরি করতে লাগল। লুত (আ.) আবার তাদের নসিহত করলেন এবং আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তার কওমের লোকজন হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে এল। আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল—হে আমার সম্প্রদায়, আমার (জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে করো), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত কোরো না, তোমাদের মধ্যে কি ভালো মানুষ একজনও নেই? তারা বলল—তোমার তো জানাই আছে যে তোমার (জাতির) কন্যাদের আমাদের কোনো দরকার নেই, আমরা কী চাই—তা তো তুমি অবশ্যই জানো।’ (সুরা হুদ: ৭৮-৭৯)
লুত (আ.) হতাশ হলেন এবং নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করলেন এবং লুত (আ.)-কে আজাবের ব্যাপারে জানালেন। তাঁরা তাঁকে পরিবার ও গুটিকয়েক অনুসারীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেন। তবে অবাধ্যতার কারণে তাঁর স্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না। অবশেষে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাআলার আজাব এল। ফেরেশতারা ওই ভূখণ্ডকে উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এই আজাবের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।
যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। যে পাথর খণ্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল। জালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশি দূরের ব্যাপার নয়।’ (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘লুতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম পাথরবর্ষী প্রচণ্ড বাতাস, (যা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল)। লুতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদের রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম। আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দিই যে কৃতজ্ঞ হয়। লুত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদের সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেছিল। তারা লুতকে তার মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম—আমার আজাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ করো। অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদের গ্রাস করল।’ (সুরা কামার: ৩৩-৩৮)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১ দিন আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতা
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১ দিন আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতা
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
৫ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১ দিন আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

মানুষের অভাব পূরণের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উৎপত্তি। সুপ্রাচীন কাল থেকে ব্যবসা বৈধ জীবিকা নির্বাহের এক অনন্য উপায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য ব্যবসা শুধু একটি পেশা নয়, গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও বটে।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন (সুরা বাকারা: ২৭৫)
পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত ব্যবসায়ের অসংখ্য ধরন বা শ্রেণি বিদ্যমান। কিন্তু মানুষের মধ্যে দুই ধরনের ব্যবসা থাকতে পারে:
এক. বস্তুগত ব্যবসা, যা দুনিয়াবি প্রয়োজন পূরণে একে অপরের সঙ্গে করে থাকে।
দুই. আধ্যাত্মিক ব্যবসা, যা আত্মার সন্তুষ্টির জন্য মহান আল্লাহর সঙ্গে হয়।
মহান আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় ব্যবসা করা নিঃসন্দেহে ইবাদতের একটি অংশ। তা ছাড়া মুনাফা অর্জনের অভিপ্রায়ে লাভজনক খাতে মূলধন, শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করা হয়। ফলস্বরূপ লাভ এবং ক্ষতির আশঙ্কা থাকে প্রায় সমান।
কিন্তু পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাআলা এমন এক ব্যবসার সুসংবাদ দিয়েছেন, যেখানে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই—আছে লাভ আর লাভ। সুরা সফফাতের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
অর্থাৎ কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাঁর সঙ্গে ব্যবসার মূলধন হিসেবে তিনটি বিষয়কে উল্লেখ করেছেন:
এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনা। আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং তদনুযায়ী আমল এই ব্যবসার শ্রেষ্ঠ মূলধন।
দুই. দ্বীনি কাজে ধন-সম্পদ ব্যয় করা। আপাতদৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য সম্পদ ব্যয়ের ফলে মনে হয় তা কমেছে। কিন্তু আল্লাহর সঙ্গে আর্থিক এই ব্যবসা ক্ষতিবিহীন এবং অন্তহীন, যা দুনিয়া এবং আখিরাতের সম্পদকে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন, তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে; যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সুরা ফাতির: ২৯)
তিন. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ। জিহাদ নিয়ে বর্তমান সমাজে ভ্রান্ত ধারণা বিদ্যমান। কিন্তু জিহাদ বলতে কেবল যুদ্ধকেই বোঝানো হয় না। বরং এটি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যেকোনো প্রচেষ্টা। যেমন, নিজের ধন-সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান এবং দ্বীনের জন্য নিজের জীবন কিংবা নিজের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু উৎসর্গ করা অথবা দ্বীনকে রক্ষা করার অন্য যেকোনো প্রচেষ্টা জিহাদের অংশ।
যেকোনো ব্যবসায় ক্রেতা অপরিহার্য। তবে বান্দা এবং রবে এই ব্যবসায় ক্রেতা যিনি, তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি কী কিনে নিচ্ছেন এবং বিনিময়ে আমরা কী লাভ করছি, তা সুরা তওবার ১১১ নম্বর আয়াতে বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুমিনদের নিকট থেকে তাদের জান ও মালকে জান্নাতের বিনিময়ে।’
মহান রবের সঙ্গে ব্যবসার লাভ এবং উপকারিতা সম্পর্কে সুরা সফফাতের ১২ নম্বর আয়াতে তিনি আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নহর প্রবাহিত এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে। এটাই মহাসাফল্য।’
ব্যবসায়ের চিরাচরিত ঝুঁকি থাকলেও খোদার সঙ্গে লেনদেনে কোনো প্রকার ঝুঁকি নেই। নিশ্চিত লাভের আশায় মুমিনগণ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে নিভৃতে ইবাদত করে। ওয়াল্লাহি মুমিনদের জন্য এর থেকে বড় ব্যবসা একটিও নেই।
লেখক: শারমিন আক্তার, শিক্ষার্থী, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ।

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতা
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

বর্তমান সময়ের শিশুরা একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম প্রযুক্তি জ্ঞান, ইংরেজি শেখা, বিভিন্ন খেলায় পারদর্শিতা অর্জন ইত্যাদি। এসব বিষয় সম্পর্কে জানার যেমন দরকার আছে, তেমনি শিশুর মধ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মচর্চার শিক্ষা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বিকশিত হলে তার মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজবোধ, সুষ্ঠু আচরণ, সততা, সত্যবাদিতা ও সময়নিষ্ঠতার শিক্ষালাভ করে। প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মধ্যে আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, ফলে সে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকে। এ জন্য প্রথমেই দরকার শিশুর পরিবারের সবার মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষাদান।
শিশু সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। এ জন্য পরিবারের সবার করণীয় শিশুর সঙ্গে ইসলামিক ভাবধারার আচরণ করা, ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্য গল্পের মাধ্যমে শোনানো, আল্লাহভীতি সৃষ্টি করা, আল্লাহর ৯৯ নামের অর্থ ব্যাখ্যা করা ইত্যাদি।
এ ছাড়া পরিবারের অন্য সদস্যরা নিয়মিত নামাজ, রোজা, কোরআন পাঠ, সত্য ও সদাচরণ করলে শিশুরা তা অনুসরণ করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চরিত্র ও আচরণের মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি শেখানো যায়, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে আলোকিত ও দায়িত্বশীল। শিক্ষকেরা যদি নিজেদের আচরণের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উদাহরণ দিতে পারেন, তবে সে প্রভাব অনেক গভীর হবে।
বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিশু প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছে। ছোট থেকেই ভিডিও গেমস ও অন্যান্য কনটেন্ট দেখায় তাদের আচার-আচরণে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসে, যা তাদের মানসিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। কিন্তু ইসলামিক ভাবধারায় শিশু বেড়ে উঠলে তার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তাধারা জাগ্রত হয়, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ধর্মীয় শিক্ষা শিশুর মস্তিষ্ক ও আত্মাকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। এটি তাকে শেখায় কীভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়, কীভাবে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হয় এবং কীভাবে নিজের জীবনের উদ্দেশ্য বুঝে এগিয়ে যেতে হয়।
একটি সমাজ তখনই সুন্দর ও সুশৃঙ্খল হয়, যখন সে সমাজের শিশুরা নৈতিক গুণাবলি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে গড়ে ওঠে। এ শিক্ষা শুধু আখিরাতের জন্য কল্যাণকর নয়; বরং দুনিয়ার জীবনকেও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। তাই সমাজের সব স্তরে শিশুদের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক: রাখি আক্তার, শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতা
০৬ ডিসেম্বর ২০২৪
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
‘হে ইমানদারগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান বলে দেব না, যা তোমাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে রক্ষা করবে?’ এর পরের আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ইমান আনবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে—এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’
১ দিন আগে