ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

প্রতি বছর ১৯ আগস্ট পালিত হয় বিশ্ব মানবতা দিবস, যা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে বাগদাদের জাতিসংঘ কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া হামলার স্মৃতিতে। ওই হামলায় ২২ জন মানবিক কর্মী নিহত হন। দিবসটি উদ্যাপন করা হয় মানবিক সেবা, সহমর্মিতা এবং মানবাধিকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।
ইসলামের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলাম মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষকে অসহায় ও বিপন্নদের সহায়তায় নিয়োজিত করার এক অনন্য আদর্শ প্রদর্শন করে। কোরআন ও হাদিসে মানবতার সেবা, দয়া এবং ন্যায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কোরআন নির্দেশনা—‘যারা পৃথিবীতে অনৈতিকতা থেকে বিরত থাকে এবং মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হয়, তাদের জন্য মহান পুরস্কার রয়েছে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯–১১)। ‘যারা অনাথ ও দরিদ্রদের দেখাশোনা করে, আল্লাহ তাদের সেবা গ্রহণ করেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৫)
হাদিস নির্দেশনা—‘যে ব্যক্তি অন্য মানুষের জন্য উপকার করে, আল্লাহ তার জন্য অনেক উপকার করে দেন। ”’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৭২০)। ‘যে ব্যক্তি অন্য মুসলিমের কষ্ট দূর করে, আল্লাহ তার কষ্ট দূর করেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৫৭৪)
ইতিহাস ও আধুনিক প্রেক্ষাপট
মদিনায় নবী মুহাম্মাদ (সা.) দরিদ্র ও অনাথদের জন্য খাদ্য বিতরণ, শিক্ষার সুযোগ এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেন। সদকা ও জাকাতের মাধ্যমে সমাজে সমতা ও সহমর্মিতা বজায় রাখা হতো।
আজকের বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ ও মানবিক সংকট মোকাবিলায় সহমর্মিতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোরআন ও হাদিসের নির্দেশ—‘তোমরা একে অপরকে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সাহায্য করো।’ (সুরা বাকারা: ২৭৭)। ‘প্রকৃত মুসলিম সে, যাকে মানুষ থেকে কেউ ক্ষতি পায় না এবং সে অন্যদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪২৮)
পরিশেষে, বিশ্ব মানবতা দিবস ২০২৫ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সহমর্মিতা, দয়া এবং পরোপকার মানব জীবনের মূল স্তম্ভ। ইসলামের দৃষ্টিতে মানবতার সেবা একটি ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সহমর্মিতা, দয়া এবং পরোপকারে নিয়োজিত রাখুন এবং সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করার তৌফিক দিন।
লেখক: কলাম লেখক ও গবেষক

প্রতি বছর ১৯ আগস্ট পালিত হয় বিশ্ব মানবতা দিবস, যা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে বাগদাদের জাতিসংঘ কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া হামলার স্মৃতিতে। ওই হামলায় ২২ জন মানবিক কর্মী নিহত হন। দিবসটি উদ্যাপন করা হয় মানবিক সেবা, সহমর্মিতা এবং মানবাধিকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।
ইসলামের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলাম মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষকে অসহায় ও বিপন্নদের সহায়তায় নিয়োজিত করার এক অনন্য আদর্শ প্রদর্শন করে। কোরআন ও হাদিসে মানবতার সেবা, দয়া এবং ন্যায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কোরআন নির্দেশনা—‘যারা পৃথিবীতে অনৈতিকতা থেকে বিরত থাকে এবং মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হয়, তাদের জন্য মহান পুরস্কার রয়েছে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯–১১)। ‘যারা অনাথ ও দরিদ্রদের দেখাশোনা করে, আল্লাহ তাদের সেবা গ্রহণ করেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৫)
হাদিস নির্দেশনা—‘যে ব্যক্তি অন্য মানুষের জন্য উপকার করে, আল্লাহ তার জন্য অনেক উপকার করে দেন। ”’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৭২০)। ‘যে ব্যক্তি অন্য মুসলিমের কষ্ট দূর করে, আল্লাহ তার কষ্ট দূর করেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৫৭৪)
ইতিহাস ও আধুনিক প্রেক্ষাপট
মদিনায় নবী মুহাম্মাদ (সা.) দরিদ্র ও অনাথদের জন্য খাদ্য বিতরণ, শিক্ষার সুযোগ এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেন। সদকা ও জাকাতের মাধ্যমে সমাজে সমতা ও সহমর্মিতা বজায় রাখা হতো।
আজকের বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ ও মানবিক সংকট মোকাবিলায় সহমর্মিতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোরআন ও হাদিসের নির্দেশ—‘তোমরা একে অপরকে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সাহায্য করো।’ (সুরা বাকারা: ২৭৭)। ‘প্রকৃত মুসলিম সে, যাকে মানুষ থেকে কেউ ক্ষতি পায় না এবং সে অন্যদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪২৮)
পরিশেষে, বিশ্ব মানবতা দিবস ২০২৫ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সহমর্মিতা, দয়া এবং পরোপকার মানব জীবনের মূল স্তম্ভ। ইসলামের দৃষ্টিতে মানবতার সেবা একটি ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সহমর্মিতা, দয়া এবং পরোপকারে নিয়োজিত রাখুন এবং সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করার তৌফিক দিন।
লেখক: কলাম লেখক ও গবেষক
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

প্রতি বছর ১৯ আগস্ট পালিত হয় বিশ্ব মানবতা দিবস, যা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে বাগদাদের জাতিসংঘ কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া হামলার স্মৃতিতে। ওই হামলায় ২২ জন মানবিক কর্মী নিহত হন। দিবসটি উদ্যাপন করা হয় মানবিক সেবা, সহমর্মিতা এবং মানবাধিকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।
ইসলামের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলাম মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষকে অসহায় ও বিপন্নদের সহায়তায় নিয়োজিত করার এক অনন্য আদর্শ প্রদর্শন করে। কোরআন ও হাদিসে মানবতার সেবা, দয়া এবং ন্যায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কোরআন নির্দেশনা—‘যারা পৃথিবীতে অনৈতিকতা থেকে বিরত থাকে এবং মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হয়, তাদের জন্য মহান পুরস্কার রয়েছে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯–১১)। ‘যারা অনাথ ও দরিদ্রদের দেখাশোনা করে, আল্লাহ তাদের সেবা গ্রহণ করেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৫)
হাদিস নির্দেশনা—‘যে ব্যক্তি অন্য মানুষের জন্য উপকার করে, আল্লাহ তার জন্য অনেক উপকার করে দেন। ”’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৭২০)। ‘যে ব্যক্তি অন্য মুসলিমের কষ্ট দূর করে, আল্লাহ তার কষ্ট দূর করেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৫৭৪)
ইতিহাস ও আধুনিক প্রেক্ষাপট
মদিনায় নবী মুহাম্মাদ (সা.) দরিদ্র ও অনাথদের জন্য খাদ্য বিতরণ, শিক্ষার সুযোগ এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেন। সদকা ও জাকাতের মাধ্যমে সমাজে সমতা ও সহমর্মিতা বজায় রাখা হতো।
আজকের বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ ও মানবিক সংকট মোকাবিলায় সহমর্মিতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোরআন ও হাদিসের নির্দেশ—‘তোমরা একে অপরকে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সাহায্য করো।’ (সুরা বাকারা: ২৭৭)। ‘প্রকৃত মুসলিম সে, যাকে মানুষ থেকে কেউ ক্ষতি পায় না এবং সে অন্যদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪২৮)
পরিশেষে, বিশ্ব মানবতা দিবস ২০২৫ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সহমর্মিতা, দয়া এবং পরোপকার মানব জীবনের মূল স্তম্ভ। ইসলামের দৃষ্টিতে মানবতার সেবা একটি ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সহমর্মিতা, দয়া এবং পরোপকারে নিয়োজিত রাখুন এবং সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করার তৌফিক দিন।
লেখক: কলাম লেখক ও গবেষক

প্রতি বছর ১৯ আগস্ট পালিত হয় বিশ্ব মানবতা দিবস, যা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে বাগদাদের জাতিসংঘ কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া হামলার স্মৃতিতে। ওই হামলায় ২২ জন মানবিক কর্মী নিহত হন। দিবসটি উদ্যাপন করা হয় মানবিক সেবা, সহমর্মিতা এবং মানবাধিকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।
ইসলামের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলাম মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষকে অসহায় ও বিপন্নদের সহায়তায় নিয়োজিত করার এক অনন্য আদর্শ প্রদর্শন করে। কোরআন ও হাদিসে মানবতার সেবা, দয়া এবং ন্যায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কোরআন নির্দেশনা—‘যারা পৃথিবীতে অনৈতিকতা থেকে বিরত থাকে এবং মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হয়, তাদের জন্য মহান পুরস্কার রয়েছে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯–১১)। ‘যারা অনাথ ও দরিদ্রদের দেখাশোনা করে, আল্লাহ তাদের সেবা গ্রহণ করেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৫)
হাদিস নির্দেশনা—‘যে ব্যক্তি অন্য মানুষের জন্য উপকার করে, আল্লাহ তার জন্য অনেক উপকার করে দেন। ”’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৭২০)। ‘যে ব্যক্তি অন্য মুসলিমের কষ্ট দূর করে, আল্লাহ তার কষ্ট দূর করেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৫৭৪)
ইতিহাস ও আধুনিক প্রেক্ষাপট
মদিনায় নবী মুহাম্মাদ (সা.) দরিদ্র ও অনাথদের জন্য খাদ্য বিতরণ, শিক্ষার সুযোগ এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেন। সদকা ও জাকাতের মাধ্যমে সমাজে সমতা ও সহমর্মিতা বজায় রাখা হতো।
আজকের বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ ও মানবিক সংকট মোকাবিলায় সহমর্মিতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোরআন ও হাদিসের নির্দেশ—‘তোমরা একে অপরকে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সাহায্য করো।’ (সুরা বাকারা: ২৭৭)। ‘প্রকৃত মুসলিম সে, যাকে মানুষ থেকে কেউ ক্ষতি পায় না এবং সে অন্যদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪২৮)
পরিশেষে, বিশ্ব মানবতা দিবস ২০২৫ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সহমর্মিতা, দয়া এবং পরোপকার মানব জীবনের মূল স্তম্ভ। ইসলামের দৃষ্টিতে মানবতার সেবা একটি ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সহমর্মিতা, দয়া এবং পরোপকারে নিয়োজিত রাখুন এবং সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করার তৌফিক দিন।
লেখক: কলাম লেখক ও গবেষক

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

প্রতি বছর ১৯ আগস্ট পালিত হয় বিশ্ব মানবতা দিবস, যা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে বাগদাদের জাতিসংঘ কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া হামলার স্মৃতিতে। ওই হামলায় ২২ জন মানবিক কর্মী নিহত হন। দিবসটি উদ্যাপন করা হয় মানবিক সেবা, সহমর্মিতা এবং মানবাধিকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।
১৯ আগস্ট ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

প্রতি বছর ১৯ আগস্ট পালিত হয় বিশ্ব মানবতা দিবস, যা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে বাগদাদের জাতিসংঘ কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া হামলার স্মৃতিতে। ওই হামলায় ২২ জন মানবিক কর্মী নিহত হন। দিবসটি উদ্যাপন করা হয় মানবিক সেবা, সহমর্মিতা এবং মানবাধিকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।
১৯ আগস্ট ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

প্রতি বছর ১৯ আগস্ট পালিত হয় বিশ্ব মানবতা দিবস, যা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে বাগদাদের জাতিসংঘ কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া হামলার স্মৃতিতে। ওই হামলায় ২২ জন মানবিক কর্মী নিহত হন। দিবসটি উদ্যাপন করা হয় মানবিক সেবা, সহমর্মিতা এবং মানবাধিকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।
১৯ আগস্ট ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

প্রতি বছর ১৯ আগস্ট পালিত হয় বিশ্ব মানবতা দিবস, যা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে বাগদাদের জাতিসংঘ কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া হামলার স্মৃতিতে। ওই হামলায় ২২ জন মানবিক কর্মী নিহত হন। দিবসটি উদ্যাপন করা হয় মানবিক সেবা, সহমর্মিতা এবং মানবাধিকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।
১৯ আগস্ট ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে