ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
প্রতি বছর ১৯ আগস্ট পালিত হয় বিশ্ব মানবতা দিবস, যা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে বাগদাদের জাতিসংঘ কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া হামলার স্মৃতিতে। ওই হামলায় ২২ জন মানবিক কর্মী নিহত হন। দিবসটি উদ্যাপন করা হয় মানবিক সেবা, সহমর্মিতা এবং মানবাধিকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।
ইসলামের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলাম মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষকে অসহায় ও বিপন্নদের সহায়তায় নিয়োজিত করার এক অনন্য আদর্শ প্রদর্শন করে। কোরআন ও হাদিসে মানবতার সেবা, দয়া এবং ন্যায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কোরআন নির্দেশনা—‘যারা পৃথিবীতে অনৈতিকতা থেকে বিরত থাকে এবং মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হয়, তাদের জন্য মহান পুরস্কার রয়েছে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯–১১)। ‘যারা অনাথ ও দরিদ্রদের দেখাশোনা করে, আল্লাহ তাদের সেবা গ্রহণ করেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৫)
হাদিস নির্দেশনা—‘যে ব্যক্তি অন্য মানুষের জন্য উপকার করে, আল্লাহ তার জন্য অনেক উপকার করে দেন। ”’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৭২০)। ‘যে ব্যক্তি অন্য মুসলিমের কষ্ট দূর করে, আল্লাহ তার কষ্ট দূর করেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৫৭৪)
ইতিহাস ও আধুনিক প্রেক্ষাপট
মদিনায় নবী মুহাম্মাদ (সা.) দরিদ্র ও অনাথদের জন্য খাদ্য বিতরণ, শিক্ষার সুযোগ এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেন। সদকা ও জাকাতের মাধ্যমে সমাজে সমতা ও সহমর্মিতা বজায় রাখা হতো।
আজকের বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ ও মানবিক সংকট মোকাবিলায় সহমর্মিতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোরআন ও হাদিসের নির্দেশ—‘তোমরা একে অপরকে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সাহায্য করো।’ (সুরা বাকারা: ২৭৭)। ‘প্রকৃত মুসলিম সে, যাকে মানুষ থেকে কেউ ক্ষতি পায় না এবং সে অন্যদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪২৮)
পরিশেষে, বিশ্ব মানবতা দিবস ২০২৫ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সহমর্মিতা, দয়া এবং পরোপকার মানব জীবনের মূল স্তম্ভ। ইসলামের দৃষ্টিতে মানবতার সেবা একটি ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সহমর্মিতা, দয়া এবং পরোপকারে নিয়োজিত রাখুন এবং সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করার তৌফিক দিন।
লেখক: কলাম লেখক ও গবেষক
প্রতি বছর ১৯ আগস্ট পালিত হয় বিশ্ব মানবতা দিবস, যা প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে বাগদাদের জাতিসংঘ কার্যালয়ে ঘটে যাওয়া হামলার স্মৃতিতে। ওই হামলায় ২২ জন মানবিক কর্মী নিহত হন। দিবসটি উদ্যাপন করা হয় মানবিক সেবা, সহমর্মিতা এবং মানবাধিকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে।
ইসলামের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলাম মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষকে অসহায় ও বিপন্নদের সহায়তায় নিয়োজিত করার এক অনন্য আদর্শ প্রদর্শন করে। কোরআন ও হাদিসে মানবতার সেবা, দয়া এবং ন্যায়ের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কোরআন নির্দেশনা—‘যারা পৃথিবীতে অনৈতিকতা থেকে বিরত থাকে এবং মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হয়, তাদের জন্য মহান পুরস্কার রয়েছে।’ (সুরা মুমিনুন: ৯–১১)। ‘যারা অনাথ ও দরিদ্রদের দেখাশোনা করে, আল্লাহ তাদের সেবা গ্রহণ করেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৫)
হাদিস নির্দেশনা—‘যে ব্যক্তি অন্য মানুষের জন্য উপকার করে, আল্লাহ তার জন্য অনেক উপকার করে দেন। ”’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৭২০)। ‘যে ব্যক্তি অন্য মুসলিমের কষ্ট দূর করে, আল্লাহ তার কষ্ট দূর করেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৫৭৪)
ইতিহাস ও আধুনিক প্রেক্ষাপট
মদিনায় নবী মুহাম্মাদ (সা.) দরিদ্র ও অনাথদের জন্য খাদ্য বিতরণ, শিক্ষার সুযোগ এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতেন। সদকা ও জাকাতের মাধ্যমে সমাজে সমতা ও সহমর্মিতা বজায় রাখা হতো।
আজকের বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যুদ্ধ ও মানবিক সংকট মোকাবিলায় সহমর্মিতা ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোরআন ও হাদিসের নির্দেশ—‘তোমরা একে অপরকে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সাহায্য করো।’ (সুরা বাকারা: ২৭৭)। ‘প্রকৃত মুসলিম সে, যাকে মানুষ থেকে কেউ ক্ষতি পায় না এবং সে অন্যদের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪২৮)
পরিশেষে, বিশ্ব মানবতা দিবস ২০২৫ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সহমর্মিতা, দয়া এবং পরোপকার মানব জীবনের মূল স্তম্ভ। ইসলামের দৃষ্টিতে মানবতার সেবা একটি ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সহমর্মিতা, দয়া এবং পরোপকারে নিয়োজিত রাখুন এবং সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করার তৌফিক দিন।
লেখক: কলাম লেখক ও গবেষক
সর্বশেষ নাজিল হওয়া আসমানি গ্রন্থ পবিত্র কোরআন। বিশ্বমানবের হেদায়াতের জন্য পৃথিবীতে এর আগমন। ইসলামের অনুপম নিদর্শন এবং চিরসত্যের ঐশী বাণী। যার তিলাওয়াত মনে প্রশান্তি আনে। অন্তরে রবের প্রকৃত ভালোবাসা এবং অফুরান তৃপ্তির অনুভূতি জাগায়। ইমান সতেজ ও সবল করে।
৩ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগেইসলামি শরিয়তে সন্তানের সঠিক পরিচর্যা, নৈতিক উন্নয়ন, পারলৌকিক ও পার্থিব কল্যাণ, উত্তম গুণাবলি, আত্মশুদ্ধি ও আদর্শ নৈতিকতা গড়ে তোলার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা নিজেদের এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ...
১৬ ঘণ্টা আগেরাগ মানুষের একটি মন্দ স্বভাব—যা মানুষের জীবনের সুখ-শান্তি কেড়ে নেয়। অতিরিক্ত রাগ মানুষের বিবেক বোধকে নষ্ট করে দেয়, স্মৃতিশক্তি লোপ করে এবং সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করে দেয়। তাই ইসলামে রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে