মুফতি আবু দারদা

শীতকালীন প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য মহান আল্লাহ তাআলার দান। এ সময় প্রকৃতি সাজে কুয়াশা ও শিশিরের কোমলতায়। নতুন ফলমূল ও শাকসবজি বাজারে আসে। এসব নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্য। তাই শীতকালে ইবাদতের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে উৎসাহ দিয়েছে ইসলাম। এ মৌসুমকে বলা হয়েছে ইবাদতের বসন্তকাল। এ লেখায় কোরআন-হাদিসের আলোকে শীতে মুমিনের ৮টি করণীয়ের কথা তুলে ধরা হলো।
শীতার্তের পাশে দাঁড়ানো
অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। প্রচণ্ড শীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক মানুষ কষ্ট পায়। শীতবস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো মুমিনের ইমানি দায়িত্ব। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে মুসলমান অন্য কোনো মুসলমানকে বস্ত্রহীন অবস্থায় বস্ত্র দান করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে সবুজ রঙের পোশাক পরাবেন। খাদ্য দান করলে তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। পানি পান করালে জান্নাতের শরবত পান করাবেন।’ (আবু দাউদ)
বেশি বেশি রোজা রাখা
শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় কম হয় এবং আবহাওয়া থাকে শীতল, যা রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী সময়। বিশেষ করে এই সময়ে কাজা রোজা আদায় করা খুবই সহজ। এ ছাড়া বেশি বেশি নফল রোজা রাখাও অফুরান সওয়াবের কাজ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারে এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারে।’ (শুআবুল ইমান)
নিয়মিত তাহাজ্জুদ আদায়
তাহাজ্জুদ নফল নামাজগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদত। শীতের দীর্ঘ রাতের প্রথম অংশে ঘুমিয়ে শেষাংশে জেগে ওঠা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরআনে এই নামাজের অনেক গুরুত্বের কথা আলোচিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রাতের কিছু অংশে তুমি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করো। এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন মাকামে মাহমুদ, তথা প্রশংসিত স্থানে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৭৯) মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ রাতের নামাজ তথা তাহাজ্জুদ।’ (মুসলিম)
ভালোভাবে অজু করা
শীতকালে অজুর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা হাদিসে এসেছে। কারণ শীতের তীব্রতার কারণে অনেক সময় আমরা তাড়াহুড়ো করে অজু সম্পন্ন করি, যাতে অজুর অঙ্গ পুরোপুরি না ভেজার আশঙ্কা থেকে যায়। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছালেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চ স্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিচের অংশের জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি ও মুসলিম)
তায়াম্মুমের বিধান
আমাদের দেশে যে মাত্রার শীত পড়ে, তার প্রভাবে পানি বেশি ঠান্ডা হয় না। ফলে তা দিয়ে অজু-গোসল করলে সাধারণত মৃত্যু বা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে না। এ ছাড়া বর্তমানে সহজেই পানি গরম করা অথবা বদ্ধ ঘরে অজু-গোসল করা কিংবা দ্রুত শরীর গরম করার ব্যবস্থা সহজলভ্য। তাই শীতে অজুর বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করা যাবে না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রচণ্ড ঠান্ডার মৌসুমে যে পরিপূর্ণ অজু করবে, তাকে দ্বিগুণ সওয়াব দেওয়া হবে।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়িদ) তবে অসুস্থ ব্যক্তির যদি অজু করার কারণে রোগ বেড়ে যাওয়ার বা দেহের কোনো অঙ্গ অকার্যকর হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে তার জন্য তায়াম্মুম করা বৈধ হবে।
চামড়ার মোজা ব্যবহার
শীতে অনেকেই চামড়ার তৈরি মোজা ব্যবহার করে। অজু করার ক্ষেত্রে পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করা ইসলামে বৈধ। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো—চামড়ার তৈরি মোজা হতে হবে, পবিত্র হয়ে মোজা পরতে হবে, মোজা দিয়ে টাখনু ঢাকা থাকতে হবে, ছেঁড়া থাকলে তা পায়ের কনিষ্ঠাঙুলের তিন আঙুল পরিমাণের কম হতে হবে, ফিতা দিয়ে বাঁধা ছাড়াই পায়ে আটকে থাকতে হবে এবং মোজাগুলো পরে জুতা ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে পারতে হবে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মোজার ওপর মাসেহ করার সময় মুসাফিরের জন্য তিন দিন, তিন রাত এবং মুকিমের জন্য এক দিন, এক রাত।’ (আবু দাউদ)
শীতবস্ত্র পরিধান
শীতের পোশাক আমাদের আল্লাহ তাআলার নিয়ামত স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘চতুষ্পদ জন্তুকে তিনি সৃষ্টি করেছেন। এতে তোমাদের জন্য আছে শীতবস্ত্রের উপকরণ।’ (সুরা নাহল: ৫) মহানবী (সা.) শীতের সময় শীতবস্ত্র পরিধান করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন সকাল সকাল বের হলেন। তখন তাঁর গায়ে কালো পশমের একটি চাদর ছিল। (আবু দাউদ)
নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা
শীতে আমাদের দেশে নতুন ফলমূল ও শাকসবজি বাজারে আসে। এসব মহান আল্লাহর অপার নিয়ামত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ করুক। আমি তো অঝোর ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করেছি। এরপর মাটিকে বিদীর্ণ করেছি। আর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্যাদি, আঙুর, শাকসবজি, জলপাই, খেজুর, বহু বৃক্ষবিশিষ্ট বাগান, ফলফলারি ও ঘাস। এসব তোমাদের ও তোমাদের পালিত পশুকুলের জীবনধারণের জন্য।’ (সুরা আবাসা: ২৪-৩২) এসবের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

শীতকালীন প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য মহান আল্লাহ তাআলার দান। এ সময় প্রকৃতি সাজে কুয়াশা ও শিশিরের কোমলতায়। নতুন ফলমূল ও শাকসবজি বাজারে আসে। এসব নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্য। তাই শীতকালে ইবাদতের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে উৎসাহ দিয়েছে ইসলাম। এ মৌসুমকে বলা হয়েছে ইবাদতের বসন্তকাল। এ লেখায় কোরআন-হাদিসের আলোকে শীতে মুমিনের ৮টি করণীয়ের কথা তুলে ধরা হলো।
শীতার্তের পাশে দাঁড়ানো
অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। প্রচণ্ড শীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক মানুষ কষ্ট পায়। শীতবস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো মুমিনের ইমানি দায়িত্ব। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে মুসলমান অন্য কোনো মুসলমানকে বস্ত্রহীন অবস্থায় বস্ত্র দান করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে সবুজ রঙের পোশাক পরাবেন। খাদ্য দান করলে তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। পানি পান করালে জান্নাতের শরবত পান করাবেন।’ (আবু দাউদ)
বেশি বেশি রোজা রাখা
শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় কম হয় এবং আবহাওয়া থাকে শীতল, যা রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী সময়। বিশেষ করে এই সময়ে কাজা রোজা আদায় করা খুবই সহজ। এ ছাড়া বেশি বেশি নফল রোজা রাখাও অফুরান সওয়াবের কাজ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারে এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারে।’ (শুআবুল ইমান)
নিয়মিত তাহাজ্জুদ আদায়
তাহাজ্জুদ নফল নামাজগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদত। শীতের দীর্ঘ রাতের প্রথম অংশে ঘুমিয়ে শেষাংশে জেগে ওঠা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরআনে এই নামাজের অনেক গুরুত্বের কথা আলোচিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রাতের কিছু অংশে তুমি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করো। এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন মাকামে মাহমুদ, তথা প্রশংসিত স্থানে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৭৯) মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ রাতের নামাজ তথা তাহাজ্জুদ।’ (মুসলিম)
ভালোভাবে অজু করা
শীতকালে অজুর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা হাদিসে এসেছে। কারণ শীতের তীব্রতার কারণে অনেক সময় আমরা তাড়াহুড়ো করে অজু সম্পন্ন করি, যাতে অজুর অঙ্গ পুরোপুরি না ভেজার আশঙ্কা থেকে যায়। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছালেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চ স্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিচের অংশের জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি ও মুসলিম)
তায়াম্মুমের বিধান
আমাদের দেশে যে মাত্রার শীত পড়ে, তার প্রভাবে পানি বেশি ঠান্ডা হয় না। ফলে তা দিয়ে অজু-গোসল করলে সাধারণত মৃত্যু বা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে না। এ ছাড়া বর্তমানে সহজেই পানি গরম করা অথবা বদ্ধ ঘরে অজু-গোসল করা কিংবা দ্রুত শরীর গরম করার ব্যবস্থা সহজলভ্য। তাই শীতে অজুর বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করা যাবে না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রচণ্ড ঠান্ডার মৌসুমে যে পরিপূর্ণ অজু করবে, তাকে দ্বিগুণ সওয়াব দেওয়া হবে।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়িদ) তবে অসুস্থ ব্যক্তির যদি অজু করার কারণে রোগ বেড়ে যাওয়ার বা দেহের কোনো অঙ্গ অকার্যকর হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে তার জন্য তায়াম্মুম করা বৈধ হবে।
চামড়ার মোজা ব্যবহার
শীতে অনেকেই চামড়ার তৈরি মোজা ব্যবহার করে। অজু করার ক্ষেত্রে পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করা ইসলামে বৈধ। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো—চামড়ার তৈরি মোজা হতে হবে, পবিত্র হয়ে মোজা পরতে হবে, মোজা দিয়ে টাখনু ঢাকা থাকতে হবে, ছেঁড়া থাকলে তা পায়ের কনিষ্ঠাঙুলের তিন আঙুল পরিমাণের কম হতে হবে, ফিতা দিয়ে বাঁধা ছাড়াই পায়ে আটকে থাকতে হবে এবং মোজাগুলো পরে জুতা ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে পারতে হবে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মোজার ওপর মাসেহ করার সময় মুসাফিরের জন্য তিন দিন, তিন রাত এবং মুকিমের জন্য এক দিন, এক রাত।’ (আবু দাউদ)
শীতবস্ত্র পরিধান
শীতের পোশাক আমাদের আল্লাহ তাআলার নিয়ামত স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘চতুষ্পদ জন্তুকে তিনি সৃষ্টি করেছেন। এতে তোমাদের জন্য আছে শীতবস্ত্রের উপকরণ।’ (সুরা নাহল: ৫) মহানবী (সা.) শীতের সময় শীতবস্ত্র পরিধান করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন সকাল সকাল বের হলেন। তখন তাঁর গায়ে কালো পশমের একটি চাদর ছিল। (আবু দাউদ)
নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা
শীতে আমাদের দেশে নতুন ফলমূল ও শাকসবজি বাজারে আসে। এসব মহান আল্লাহর অপার নিয়ামত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ করুক। আমি তো অঝোর ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করেছি। এরপর মাটিকে বিদীর্ণ করেছি। আর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্যাদি, আঙুর, শাকসবজি, জলপাই, খেজুর, বহু বৃক্ষবিশিষ্ট বাগান, ফলফলারি ও ঘাস। এসব তোমাদের ও তোমাদের পালিত পশুকুলের জীবনধারণের জন্য।’ (সুরা আবাসা: ২৪-৩২) এসবের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মুফতি আবু দারদা

শীতকালীন প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য মহান আল্লাহ তাআলার দান। এ সময় প্রকৃতি সাজে কুয়াশা ও শিশিরের কোমলতায়। নতুন ফলমূল ও শাকসবজি বাজারে আসে। এসব নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্য। তাই শীতকালে ইবাদতের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে উৎসাহ দিয়েছে ইসলাম। এ মৌসুমকে বলা হয়েছে ইবাদতের বসন্তকাল। এ লেখায় কোরআন-হাদিসের আলোকে শীতে মুমিনের ৮টি করণীয়ের কথা তুলে ধরা হলো।
শীতার্তের পাশে দাঁড়ানো
অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। প্রচণ্ড শীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক মানুষ কষ্ট পায়। শীতবস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো মুমিনের ইমানি দায়িত্ব। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে মুসলমান অন্য কোনো মুসলমানকে বস্ত্রহীন অবস্থায় বস্ত্র দান করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে সবুজ রঙের পোশাক পরাবেন। খাদ্য দান করলে তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। পানি পান করালে জান্নাতের শরবত পান করাবেন।’ (আবু দাউদ)
বেশি বেশি রোজা রাখা
শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় কম হয় এবং আবহাওয়া থাকে শীতল, যা রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী সময়। বিশেষ করে এই সময়ে কাজা রোজা আদায় করা খুবই সহজ। এ ছাড়া বেশি বেশি নফল রোজা রাখাও অফুরান সওয়াবের কাজ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারে এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারে।’ (শুআবুল ইমান)
নিয়মিত তাহাজ্জুদ আদায়
তাহাজ্জুদ নফল নামাজগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদত। শীতের দীর্ঘ রাতের প্রথম অংশে ঘুমিয়ে শেষাংশে জেগে ওঠা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরআনে এই নামাজের অনেক গুরুত্বের কথা আলোচিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রাতের কিছু অংশে তুমি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করো। এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন মাকামে মাহমুদ, তথা প্রশংসিত স্থানে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৭৯) মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ রাতের নামাজ তথা তাহাজ্জুদ।’ (মুসলিম)
ভালোভাবে অজু করা
শীতকালে অজুর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা হাদিসে এসেছে। কারণ শীতের তীব্রতার কারণে অনেক সময় আমরা তাড়াহুড়ো করে অজু সম্পন্ন করি, যাতে অজুর অঙ্গ পুরোপুরি না ভেজার আশঙ্কা থেকে যায়। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছালেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চ স্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিচের অংশের জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি ও মুসলিম)
তায়াম্মুমের বিধান
আমাদের দেশে যে মাত্রার শীত পড়ে, তার প্রভাবে পানি বেশি ঠান্ডা হয় না। ফলে তা দিয়ে অজু-গোসল করলে সাধারণত মৃত্যু বা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে না। এ ছাড়া বর্তমানে সহজেই পানি গরম করা অথবা বদ্ধ ঘরে অজু-গোসল করা কিংবা দ্রুত শরীর গরম করার ব্যবস্থা সহজলভ্য। তাই শীতে অজুর বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করা যাবে না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রচণ্ড ঠান্ডার মৌসুমে যে পরিপূর্ণ অজু করবে, তাকে দ্বিগুণ সওয়াব দেওয়া হবে।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়িদ) তবে অসুস্থ ব্যক্তির যদি অজু করার কারণে রোগ বেড়ে যাওয়ার বা দেহের কোনো অঙ্গ অকার্যকর হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে তার জন্য তায়াম্মুম করা বৈধ হবে।
চামড়ার মোজা ব্যবহার
শীতে অনেকেই চামড়ার তৈরি মোজা ব্যবহার করে। অজু করার ক্ষেত্রে পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করা ইসলামে বৈধ। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো—চামড়ার তৈরি মোজা হতে হবে, পবিত্র হয়ে মোজা পরতে হবে, মোজা দিয়ে টাখনু ঢাকা থাকতে হবে, ছেঁড়া থাকলে তা পায়ের কনিষ্ঠাঙুলের তিন আঙুল পরিমাণের কম হতে হবে, ফিতা দিয়ে বাঁধা ছাড়াই পায়ে আটকে থাকতে হবে এবং মোজাগুলো পরে জুতা ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে পারতে হবে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মোজার ওপর মাসেহ করার সময় মুসাফিরের জন্য তিন দিন, তিন রাত এবং মুকিমের জন্য এক দিন, এক রাত।’ (আবু দাউদ)
শীতবস্ত্র পরিধান
শীতের পোশাক আমাদের আল্লাহ তাআলার নিয়ামত স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘চতুষ্পদ জন্তুকে তিনি সৃষ্টি করেছেন। এতে তোমাদের জন্য আছে শীতবস্ত্রের উপকরণ।’ (সুরা নাহল: ৫) মহানবী (সা.) শীতের সময় শীতবস্ত্র পরিধান করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন সকাল সকাল বের হলেন। তখন তাঁর গায়ে কালো পশমের একটি চাদর ছিল। (আবু দাউদ)
নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা
শীতে আমাদের দেশে নতুন ফলমূল ও শাকসবজি বাজারে আসে। এসব মহান আল্লাহর অপার নিয়ামত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ করুক। আমি তো অঝোর ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করেছি। এরপর মাটিকে বিদীর্ণ করেছি। আর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্যাদি, আঙুর, শাকসবজি, জলপাই, খেজুর, বহু বৃক্ষবিশিষ্ট বাগান, ফলফলারি ও ঘাস। এসব তোমাদের ও তোমাদের পালিত পশুকুলের জীবনধারণের জন্য।’ (সুরা আবাসা: ২৪-৩২) এসবের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

শীতকালীন প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য মহান আল্লাহ তাআলার দান। এ সময় প্রকৃতি সাজে কুয়াশা ও শিশিরের কোমলতায়। নতুন ফলমূল ও শাকসবজি বাজারে আসে। এসব নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্য। তাই শীতকালে ইবাদতের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে উৎসাহ দিয়েছে ইসলাম। এ মৌসুমকে বলা হয়েছে ইবাদতের বসন্তকাল। এ লেখায় কোরআন-হাদিসের আলোকে শীতে মুমিনের ৮টি করণীয়ের কথা তুলে ধরা হলো।
শীতার্তের পাশে দাঁড়ানো
অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। প্রচণ্ড শীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক মানুষ কষ্ট পায়। শীতবস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো মুমিনের ইমানি দায়িত্ব। রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে মুসলমান অন্য কোনো মুসলমানকে বস্ত্রহীন অবস্থায় বস্ত্র দান করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে সবুজ রঙের পোশাক পরাবেন। খাদ্য দান করলে তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন। পানি পান করালে জান্নাতের শরবত পান করাবেন।’ (আবু দাউদ)
বেশি বেশি রোজা রাখা
শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় কম হয় এবং আবহাওয়া থাকে শীতল, যা রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী সময়। বিশেষ করে এই সময়ে কাজা রোজা আদায় করা খুবই সহজ। এ ছাড়া বেশি বেশি নফল রোজা রাখাও অফুরান সওয়াবের কাজ। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘শীতের রাত দীর্ঘ হওয়ায় মুমিন রাত্রিকালীন নফল নামাজ আদায় করতে পারে এবং দিন ছোট হওয়ায় রোজা রাখতে পারে।’ (শুআবুল ইমান)
নিয়মিত তাহাজ্জুদ আদায়
তাহাজ্জুদ নফল নামাজগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদত। শীতের দীর্ঘ রাতের প্রথম অংশে ঘুমিয়ে শেষাংশে জেগে ওঠা আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরআনে এই নামাজের অনেক গুরুত্বের কথা আলোচিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রাতের কিছু অংশে তুমি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করো। এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন মাকামে মাহমুদ, তথা প্রশংসিত স্থানে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৭৯) মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ রাতের নামাজ তথা তাহাজ্জুদ।’ (মুসলিম)
ভালোভাবে অজু করা
শীতকালে অজুর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার কথা হাদিসে এসেছে। কারণ শীতের তীব্রতার কারণে অনেক সময় আমরা তাড়াহুড়ো করে অজু সম্পন্ন করি, যাতে অজুর অঙ্গ পুরোপুরি না ভেজার আশঙ্কা থেকে যায়। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছালেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চ স্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিচের অংশের জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি ও মুসলিম)
তায়াম্মুমের বিধান
আমাদের দেশে যে মাত্রার শীত পড়ে, তার প্রভাবে পানি বেশি ঠান্ডা হয় না। ফলে তা দিয়ে অজু-গোসল করলে সাধারণত মৃত্যু বা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে না। এ ছাড়া বর্তমানে সহজেই পানি গরম করা অথবা বদ্ধ ঘরে অজু-গোসল করা কিংবা দ্রুত শরীর গরম করার ব্যবস্থা সহজলভ্য। তাই শীতে অজুর বিকল্প হিসেবে তায়াম্মুম করা যাবে না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রচণ্ড ঠান্ডার মৌসুমে যে পরিপূর্ণ অজু করবে, তাকে দ্বিগুণ সওয়াব দেওয়া হবে।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়িদ) তবে অসুস্থ ব্যক্তির যদি অজু করার কারণে রোগ বেড়ে যাওয়ার বা দেহের কোনো অঙ্গ অকার্যকর হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে তার জন্য তায়াম্মুম করা বৈধ হবে।
চামড়ার মোজা ব্যবহার
শীতে অনেকেই চামড়ার তৈরি মোজা ব্যবহার করে। অজু করার ক্ষেত্রে পা না ধুয়ে মোজার ওপর মাসেহ করা ইসলামে বৈধ। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো—চামড়ার তৈরি মোজা হতে হবে, পবিত্র হয়ে মোজা পরতে হবে, মোজা দিয়ে টাখনু ঢাকা থাকতে হবে, ছেঁড়া থাকলে তা পায়ের কনিষ্ঠাঙুলের তিন আঙুল পরিমাণের কম হতে হবে, ফিতা দিয়ে বাঁধা ছাড়াই পায়ে আটকে থাকতে হবে এবং মোজাগুলো পরে জুতা ছাড়াই দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে পারতে হবে। মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘মোজার ওপর মাসেহ করার সময় মুসাফিরের জন্য তিন দিন, তিন রাত এবং মুকিমের জন্য এক দিন, এক রাত।’ (আবু দাউদ)
শীতবস্ত্র পরিধান
শীতের পোশাক আমাদের আল্লাহ তাআলার নিয়ামত স্মরণ করিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘চতুষ্পদ জন্তুকে তিনি সৃষ্টি করেছেন। এতে তোমাদের জন্য আছে শীতবস্ত্রের উপকরণ।’ (সুরা নাহল: ৫) মহানবী (সা.) শীতের সময় শীতবস্ত্র পরিধান করতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) একদিন সকাল সকাল বের হলেন। তখন তাঁর গায়ে কালো পশমের একটি চাদর ছিল। (আবু দাউদ)
নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা
শীতে আমাদের দেশে নতুন ফলমূল ও শাকসবজি বাজারে আসে। এসব মহান আল্লাহর অপার নিয়ামত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ করুক। আমি তো অঝোর ধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করেছি। এরপর মাটিকে বিদীর্ণ করেছি। আর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্যাদি, আঙুর, শাকসবজি, জলপাই, খেজুর, বহু বৃক্ষবিশিষ্ট বাগান, ফলফলারি ও ঘাস। এসব তোমাদের ও তোমাদের পালিত পশুকুলের জীবনধারণের জন্য।’ (সুরা আবাসা: ২৪-৩২) এসবের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

শীতকালীন প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য মহান আল্লাহ তাআলার দান। এ সময় প্রকৃতি সাজে কুয়াশা ও শিশিরের কোমলতায়। নতুন ফলমূল ও শাকসবজি বাজারে আসে। এসব নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্য। তাই শীতকালে ইবাদতের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে উৎসাহ দিয়েছে ইসলাম। এ মৌসুমকে বলা হয়েছে ইবাদতের বসন্তকাল। এ লেখায় কোরআন-হাদিসের...
২২ নভেম্বর ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

শীতকালীন প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য মহান আল্লাহ তাআলার দান। এ সময় প্রকৃতি সাজে কুয়াশা ও শিশিরের কোমলতায়। নতুন ফলমূল ও শাকসবজি বাজারে আসে। এসব নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্য। তাই শীতকালে ইবাদতের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে উৎসাহ দিয়েছে ইসলাম। এ মৌসুমকে বলা হয়েছে ইবাদতের বসন্তকাল। এ লেখায় কোরআন-হাদিসের...
২২ নভেম্বর ২০২৪
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

শীতকালীন প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য মহান আল্লাহ তাআলার দান। এ সময় প্রকৃতি সাজে কুয়াশা ও শিশিরের কোমলতায়। নতুন ফলমূল ও শাকসবজি বাজারে আসে। এসব নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্য। তাই শীতকালে ইবাদতের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে উৎসাহ দিয়েছে ইসলাম। এ মৌসুমকে বলা হয়েছে ইবাদতের বসন্তকাল। এ লেখায় কোরআন-হাদিসের...
২২ নভেম্বর ২০২৪
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

শীতকালীন প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য মহান আল্লাহ তাআলার দান। এ সময় প্রকৃতি সাজে কুয়াশা ও শিশিরের কোমলতায়। নতুন ফলমূল ও শাকসবজি বাজারে আসে। এসব নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা মুমিনের কর্তব্য। তাই শীতকালে ইবাদতের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে উৎসাহ দিয়েছে ইসলাম। এ মৌসুমকে বলা হয়েছে ইবাদতের বসন্তকাল। এ লেখায় কোরআন-হাদিসের...
২২ নভেম্বর ২০২৪
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে