মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

ইসলামে নাগরিকদের সম্পদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধিকার রাষ্ট্রকে প্রদান করা হয়নি। আবার সব সম্পদের নিরঙ্কুশ মালিকানা জনগণের হাতেও ন্যস্ত করা হয়নি। অর্থাৎ ইসলাম ব্যক্তি মালিকানার স্বীকৃতি দেয়, তবে তা সামষ্টিক অধিকার নিশ্চিত করার পর। ইসলাম নাগরিকদের ব্যক্তিমালিকানাকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেনি, যেন তারা তাদের মেধা ও শ্রমকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজে লাগানোর উৎসাহ হারিয়ে না ফেলে। আবার প্রদত্ত ব্যক্তিমালিকানা যেন সামষ্টিক স্বার্থের ওপর কোনোরূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি না করতে পারে, একই সময়ে তার প্রতিও গুরুত্বসহকারে লক্ষ রাখা হয়েছে।
তাই যতক্ষণ পর্যন্ত এ দুই মালিকানার মাঝে কোনোরূপ বিরোধের আশঙ্কা দেখা না দিয়েছে; ততক্ষণ পর্যন্ত সব ধরনের মালিকানাকে যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু যেখানে ব্যক্তিমালিকানা ও রাষ্ট্রীয় মালিকানার মাঝে বিরোধ পরিলক্ষিত হয়েছে এবং উভয় ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করা কিংবা সামঞ্জস্য বিধান করা অসম্ভব হয়েছে, সেখানে ইসলাম সামষ্টিক স্বার্থকে ব্যক্তিস্বার্থের ওপর প্রাধান্য দিয়েছে।
এ মূলনীতির আলোকে ইসলামি অর্থনীতিবিদেরা বলেন, দেশে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করলে নাগরিকদের ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পদে হস্তক্ষেপ করা বা জোরপূর্বক তা গ্রহণ করার অধিকার সরকারের নেই। কারণ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘একজনের সম্পদ, প্রাণ ও মর্যাদা হরণ করা অন্যজনের জন্য সম্পূর্ণ হারাম।’ (মুসলিম) এর ব্যাখ্যায় ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) বলেন, ‘শরিয়ত নির্ধারিত ন্যায়সংগত অধিকার ছাড়া কারও কাছ থেকে কোনো জিনিস বলপূর্বক গ্রহণ করা রাষ্ট্রপ্রধানের জন্যও বৈধ নয়।’ (কিতাবুল খারাজ, পৃ.৬৬)
তবে যদি দেশে কোনো কারণে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করে, কিংবা চরম খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তাহলে প্রথমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের সম্পদ দিয়ে তার মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হবে। যদি তাতেও মানুষের ন্যূনতম পর্যায়ের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব না হয়, তাহলে বিত্তবানদের সম্পদ দিয়ে এই সংকট মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রপ্রধানের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হবে। তারা যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে না আসে, তাহলে তাদের অতিরিক্ত সম্পদ জবরদস্তিমূলক আদায় করে অথবা তাদের ওপর জোরপূর্বক নির্ধারিত কর ধার্য করে তা দ্বারা অভাবীদের অভাব দূর করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে বিত্তবানেরা যদি ইতিপূর্বে শরিয়তের আবশ্যকীয় জাকাত-সদকা যথাযথভাবে আদায় করেও থাকে, তবু নিঃস্ব লোকজনের জীবন-জীবিকার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্র বিত্তশালীদের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করার অধিকার রাখে। প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদ আল্লামা ইবনে হাজম জাহেরি (রহ.)-এর সপক্ষে বেশ কিছু হাদিস উল্লেখ করেছেন তাঁর ‘আল মুহাল্লা’ নামক কিতাবে। যেমন রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানাহারের উপকরণ রয়েছে, তা যার অভাব রয়েছে তাকে দিয়ে দেওয়া উচিত।’
আলী (রা.) বলেন, ‘বিত্তবানদের সম্পদ দ্বারা গরিবদের জীবন-জীবিকার ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করাকে আল্লাহ তাআলা ফরজ করে দিয়েছেন। যদি গরিবরা অন্ন, বস্ত্র কিংবা অন্য কোনো আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়, তাহলে তা এ কারণে হবে যে, বিত্তবানেরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেনি। কিয়ামতের দিন এ ব্যাপারে তারা আল্লাহর দরবারে জিজ্ঞাসিত হবে এবং এর জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।’
এ ধরনের আরও কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করার পর ইবনে হাজম জাহেরি (রহ.) বলেন, প্রতিটি অঞ্চলের বিত্তবানদের ওপর ফরজ হচ্ছে সেখানকার গরিব ও বিত্তহীনদের আর্থিক জীবনের দায়িত্বভার গ্রহণ করা। যদি বাইতুল মালের আয় দ্বারা বিত্তহীনদের জীবন ধারণের সংস্থান করা সম্ভব না হয়, তাহলে রাষ্ট্রপ্রধান তাদের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য বিত্তবানদের বাধ্য করতে পারবেন। অর্থাৎ, তাদের প্রয়োজনাতিরিক্ত সম্পদ বাধ্যতামূলকভাবে আদায় করে গরিবদের প্রয়োজনে ব্যয় করতে পারবেন।
সাহাবি আবু সাইদ খুদরি (রা.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে ইবনে হাজম আরও বলেন, এ ব্যাপারে সব সাহাবি একমত যে যদি কোনো লোক ক্ষুধার্ত বা বিবস্ত্র থাকে অথবা প্রয়োজনীয় বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে অক্ষম হয়, তাহলে বিত্তবানদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ দিয়ে তার ব্যবস্থা করা ফরজ। (আল মুহাল্লা: ৬ / ১৫৬)
লেখক: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

ইসলামে নাগরিকদের সম্পদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধিকার রাষ্ট্রকে প্রদান করা হয়নি। আবার সব সম্পদের নিরঙ্কুশ মালিকানা জনগণের হাতেও ন্যস্ত করা হয়নি। অর্থাৎ ইসলাম ব্যক্তি মালিকানার স্বীকৃতি দেয়, তবে তা সামষ্টিক অধিকার নিশ্চিত করার পর। ইসলাম নাগরিকদের ব্যক্তিমালিকানাকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেনি, যেন তারা তাদের মেধা ও শ্রমকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজে লাগানোর উৎসাহ হারিয়ে না ফেলে। আবার প্রদত্ত ব্যক্তিমালিকানা যেন সামষ্টিক স্বার্থের ওপর কোনোরূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি না করতে পারে, একই সময়ে তার প্রতিও গুরুত্বসহকারে লক্ষ রাখা হয়েছে।
তাই যতক্ষণ পর্যন্ত এ দুই মালিকানার মাঝে কোনোরূপ বিরোধের আশঙ্কা দেখা না দিয়েছে; ততক্ষণ পর্যন্ত সব ধরনের মালিকানাকে যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু যেখানে ব্যক্তিমালিকানা ও রাষ্ট্রীয় মালিকানার মাঝে বিরোধ পরিলক্ষিত হয়েছে এবং উভয় ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করা কিংবা সামঞ্জস্য বিধান করা অসম্ভব হয়েছে, সেখানে ইসলাম সামষ্টিক স্বার্থকে ব্যক্তিস্বার্থের ওপর প্রাধান্য দিয়েছে।
এ মূলনীতির আলোকে ইসলামি অর্থনীতিবিদেরা বলেন, দেশে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করলে নাগরিকদের ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পদে হস্তক্ষেপ করা বা জোরপূর্বক তা গ্রহণ করার অধিকার সরকারের নেই। কারণ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘একজনের সম্পদ, প্রাণ ও মর্যাদা হরণ করা অন্যজনের জন্য সম্পূর্ণ হারাম।’ (মুসলিম) এর ব্যাখ্যায় ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) বলেন, ‘শরিয়ত নির্ধারিত ন্যায়সংগত অধিকার ছাড়া কারও কাছ থেকে কোনো জিনিস বলপূর্বক গ্রহণ করা রাষ্ট্রপ্রধানের জন্যও বৈধ নয়।’ (কিতাবুল খারাজ, পৃ.৬৬)
তবে যদি দেশে কোনো কারণে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করে, কিংবা চরম খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তাহলে প্রথমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের সম্পদ দিয়ে তার মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হবে। যদি তাতেও মানুষের ন্যূনতম পর্যায়ের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব না হয়, তাহলে বিত্তবানদের সম্পদ দিয়ে এই সংকট মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রপ্রধানের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হবে। তারা যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে না আসে, তাহলে তাদের অতিরিক্ত সম্পদ জবরদস্তিমূলক আদায় করে অথবা তাদের ওপর জোরপূর্বক নির্ধারিত কর ধার্য করে তা দ্বারা অভাবীদের অভাব দূর করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে বিত্তবানেরা যদি ইতিপূর্বে শরিয়তের আবশ্যকীয় জাকাত-সদকা যথাযথভাবে আদায় করেও থাকে, তবু নিঃস্ব লোকজনের জীবন-জীবিকার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্র বিত্তশালীদের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করার অধিকার রাখে। প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদ আল্লামা ইবনে হাজম জাহেরি (রহ.)-এর সপক্ষে বেশ কিছু হাদিস উল্লেখ করেছেন তাঁর ‘আল মুহাল্লা’ নামক কিতাবে। যেমন রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানাহারের উপকরণ রয়েছে, তা যার অভাব রয়েছে তাকে দিয়ে দেওয়া উচিত।’
আলী (রা.) বলেন, ‘বিত্তবানদের সম্পদ দ্বারা গরিবদের জীবন-জীবিকার ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করাকে আল্লাহ তাআলা ফরজ করে দিয়েছেন। যদি গরিবরা অন্ন, বস্ত্র কিংবা অন্য কোনো আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়, তাহলে তা এ কারণে হবে যে, বিত্তবানেরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেনি। কিয়ামতের দিন এ ব্যাপারে তারা আল্লাহর দরবারে জিজ্ঞাসিত হবে এবং এর জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।’
এ ধরনের আরও কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করার পর ইবনে হাজম জাহেরি (রহ.) বলেন, প্রতিটি অঞ্চলের বিত্তবানদের ওপর ফরজ হচ্ছে সেখানকার গরিব ও বিত্তহীনদের আর্থিক জীবনের দায়িত্বভার গ্রহণ করা। যদি বাইতুল মালের আয় দ্বারা বিত্তহীনদের জীবন ধারণের সংস্থান করা সম্ভব না হয়, তাহলে রাষ্ট্রপ্রধান তাদের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য বিত্তবানদের বাধ্য করতে পারবেন। অর্থাৎ, তাদের প্রয়োজনাতিরিক্ত সম্পদ বাধ্যতামূলকভাবে আদায় করে গরিবদের প্রয়োজনে ব্যয় করতে পারবেন।
সাহাবি আবু সাইদ খুদরি (রা.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে ইবনে হাজম আরও বলেন, এ ব্যাপারে সব সাহাবি একমত যে যদি কোনো লোক ক্ষুধার্ত বা বিবস্ত্র থাকে অথবা প্রয়োজনীয় বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে অক্ষম হয়, তাহলে বিত্তবানদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ দিয়ে তার ব্যবস্থা করা ফরজ। (আল মুহাল্লা: ৬ / ১৫৬)
লেখক: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

ইসলামে নাগরিকদের সম্পদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধিকার রাষ্ট্রকে প্রদান করা হয়নি। আবার সব সম্পদের নিরঙ্কুশ মালিকানা জনগণের হাতেও ন্যস্ত করা হয়নি। অর্থাৎ ইসলাম ব্যক্তি মালিকানার স্বীকৃতি দেয়, তবে তা সামষ্টিক অধিকার নিশ্চিত করার পর। ইসলাম নাগরিকদের ব্যক্তিমালিকানাকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেনি, যেন তারা তাদের মেধা ও শ্রমকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজে লাগানোর উৎসাহ হারিয়ে না ফেলে। আবার প্রদত্ত ব্যক্তিমালিকানা যেন সামষ্টিক স্বার্থের ওপর কোনোরূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি না করতে পারে, একই সময়ে তার প্রতিও গুরুত্বসহকারে লক্ষ রাখা হয়েছে।
তাই যতক্ষণ পর্যন্ত এ দুই মালিকানার মাঝে কোনোরূপ বিরোধের আশঙ্কা দেখা না দিয়েছে; ততক্ষণ পর্যন্ত সব ধরনের মালিকানাকে যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু যেখানে ব্যক্তিমালিকানা ও রাষ্ট্রীয় মালিকানার মাঝে বিরোধ পরিলক্ষিত হয়েছে এবং উভয় ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করা কিংবা সামঞ্জস্য বিধান করা অসম্ভব হয়েছে, সেখানে ইসলাম সামষ্টিক স্বার্থকে ব্যক্তিস্বার্থের ওপর প্রাধান্য দিয়েছে।
এ মূলনীতির আলোকে ইসলামি অর্থনীতিবিদেরা বলেন, দেশে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করলে নাগরিকদের ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পদে হস্তক্ষেপ করা বা জোরপূর্বক তা গ্রহণ করার অধিকার সরকারের নেই। কারণ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘একজনের সম্পদ, প্রাণ ও মর্যাদা হরণ করা অন্যজনের জন্য সম্পূর্ণ হারাম।’ (মুসলিম) এর ব্যাখ্যায় ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) বলেন, ‘শরিয়ত নির্ধারিত ন্যায়সংগত অধিকার ছাড়া কারও কাছ থেকে কোনো জিনিস বলপূর্বক গ্রহণ করা রাষ্ট্রপ্রধানের জন্যও বৈধ নয়।’ (কিতাবুল খারাজ, পৃ.৬৬)
তবে যদি দেশে কোনো কারণে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করে, কিংবা চরম খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তাহলে প্রথমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের সম্পদ দিয়ে তার মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হবে। যদি তাতেও মানুষের ন্যূনতম পর্যায়ের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব না হয়, তাহলে বিত্তবানদের সম্পদ দিয়ে এই সংকট মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রপ্রধানের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হবে। তারা যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে না আসে, তাহলে তাদের অতিরিক্ত সম্পদ জবরদস্তিমূলক আদায় করে অথবা তাদের ওপর জোরপূর্বক নির্ধারিত কর ধার্য করে তা দ্বারা অভাবীদের অভাব দূর করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে বিত্তবানেরা যদি ইতিপূর্বে শরিয়তের আবশ্যকীয় জাকাত-সদকা যথাযথভাবে আদায় করেও থাকে, তবু নিঃস্ব লোকজনের জীবন-জীবিকার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্র বিত্তশালীদের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করার অধিকার রাখে। প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদ আল্লামা ইবনে হাজম জাহেরি (রহ.)-এর সপক্ষে বেশ কিছু হাদিস উল্লেখ করেছেন তাঁর ‘আল মুহাল্লা’ নামক কিতাবে। যেমন রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানাহারের উপকরণ রয়েছে, তা যার অভাব রয়েছে তাকে দিয়ে দেওয়া উচিত।’
আলী (রা.) বলেন, ‘বিত্তবানদের সম্পদ দ্বারা গরিবদের জীবন-জীবিকার ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করাকে আল্লাহ তাআলা ফরজ করে দিয়েছেন। যদি গরিবরা অন্ন, বস্ত্র কিংবা অন্য কোনো আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়, তাহলে তা এ কারণে হবে যে, বিত্তবানেরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেনি। কিয়ামতের দিন এ ব্যাপারে তারা আল্লাহর দরবারে জিজ্ঞাসিত হবে এবং এর জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।’
এ ধরনের আরও কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করার পর ইবনে হাজম জাহেরি (রহ.) বলেন, প্রতিটি অঞ্চলের বিত্তবানদের ওপর ফরজ হচ্ছে সেখানকার গরিব ও বিত্তহীনদের আর্থিক জীবনের দায়িত্বভার গ্রহণ করা। যদি বাইতুল মালের আয় দ্বারা বিত্তহীনদের জীবন ধারণের সংস্থান করা সম্ভব না হয়, তাহলে রাষ্ট্রপ্রধান তাদের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য বিত্তবানদের বাধ্য করতে পারবেন। অর্থাৎ, তাদের প্রয়োজনাতিরিক্ত সম্পদ বাধ্যতামূলকভাবে আদায় করে গরিবদের প্রয়োজনে ব্যয় করতে পারবেন।
সাহাবি আবু সাইদ খুদরি (রা.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে ইবনে হাজম আরও বলেন, এ ব্যাপারে সব সাহাবি একমত যে যদি কোনো লোক ক্ষুধার্ত বা বিবস্ত্র থাকে অথবা প্রয়োজনীয় বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে অক্ষম হয়, তাহলে বিত্তবানদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ দিয়ে তার ব্যবস্থা করা ফরজ। (আল মুহাল্লা: ৬ / ১৫৬)
লেখক: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

ইসলামে নাগরিকদের সম্পদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধিকার রাষ্ট্রকে প্রদান করা হয়নি। আবার সব সম্পদের নিরঙ্কুশ মালিকানা জনগণের হাতেও ন্যস্ত করা হয়নি। অর্থাৎ ইসলাম ব্যক্তি মালিকানার স্বীকৃতি দেয়, তবে তা সামষ্টিক অধিকার নিশ্চিত করার পর। ইসলাম নাগরিকদের ব্যক্তিমালিকানাকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেনি, যেন তারা তাদের মেধা ও শ্রমকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজে লাগানোর উৎসাহ হারিয়ে না ফেলে। আবার প্রদত্ত ব্যক্তিমালিকানা যেন সামষ্টিক স্বার্থের ওপর কোনোরূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি না করতে পারে, একই সময়ে তার প্রতিও গুরুত্বসহকারে লক্ষ রাখা হয়েছে।
তাই যতক্ষণ পর্যন্ত এ দুই মালিকানার মাঝে কোনোরূপ বিরোধের আশঙ্কা দেখা না দিয়েছে; ততক্ষণ পর্যন্ত সব ধরনের মালিকানাকে যথাযথ মর্যাদায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু যেখানে ব্যক্তিমালিকানা ও রাষ্ট্রীয় মালিকানার মাঝে বিরোধ পরিলক্ষিত হয়েছে এবং উভয় ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করা কিংবা সামঞ্জস্য বিধান করা অসম্ভব হয়েছে, সেখানে ইসলাম সামষ্টিক স্বার্থকে ব্যক্তিস্বার্থের ওপর প্রাধান্য দিয়েছে।
এ মূলনীতির আলোকে ইসলামি অর্থনীতিবিদেরা বলেন, দেশে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করলে নাগরিকদের ব্যক্তিমালিকানাধীন সম্পদে হস্তক্ষেপ করা বা জোরপূর্বক তা গ্রহণ করার অধিকার সরকারের নেই। কারণ রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘একজনের সম্পদ, প্রাণ ও মর্যাদা হরণ করা অন্যজনের জন্য সম্পূর্ণ হারাম।’ (মুসলিম) এর ব্যাখ্যায় ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) বলেন, ‘শরিয়ত নির্ধারিত ন্যায়সংগত অধিকার ছাড়া কারও কাছ থেকে কোনো জিনিস বলপূর্বক গ্রহণ করা রাষ্ট্রপ্রধানের জন্যও বৈধ নয়।’ (কিতাবুল খারাজ, পৃ.৬৬)
তবে যদি দেশে কোনো কারণে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করে, কিংবা চরম খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তাহলে প্রথমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের সম্পদ দিয়ে তার মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হবে। যদি তাতেও মানুষের ন্যূনতম পর্যায়ের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব না হয়, তাহলে বিত্তবানদের সম্পদ দিয়ে এই সংকট মোকাবিলার জন্য রাষ্ট্রপ্রধানের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হবে। তারা যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ দায়িত্ব পালনে এগিয়ে না আসে, তাহলে তাদের অতিরিক্ত সম্পদ জবরদস্তিমূলক আদায় করে অথবা তাদের ওপর জোরপূর্বক নির্ধারিত কর ধার্য করে তা দ্বারা অভাবীদের অভাব দূর করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে বিত্তবানেরা যদি ইতিপূর্বে শরিয়তের আবশ্যকীয় জাকাত-সদকা যথাযথভাবে আদায় করেও থাকে, তবু নিঃস্ব লোকজনের জীবন-জীবিকার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্র বিত্তশালীদের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করার অধিকার রাখে। প্রখ্যাত ইসলামি আইনবিদ আল্লামা ইবনে হাজম জাহেরি (রহ.)-এর সপক্ষে বেশ কিছু হাদিস উল্লেখ করেছেন তাঁর ‘আল মুহাল্লা’ নামক কিতাবে। যেমন রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানাহারের উপকরণ রয়েছে, তা যার অভাব রয়েছে তাকে দিয়ে দেওয়া উচিত।’
আলী (রা.) বলেন, ‘বিত্তবানদের সম্পদ দ্বারা গরিবদের জীবন-জীবিকার ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করাকে আল্লাহ তাআলা ফরজ করে দিয়েছেন। যদি গরিবরা অন্ন, বস্ত্র কিংবা অন্য কোনো আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়, তাহলে তা এ কারণে হবে যে, বিত্তবানেরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেনি। কিয়ামতের দিন এ ব্যাপারে তারা আল্লাহর দরবারে জিজ্ঞাসিত হবে এবং এর জন্য তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।’
এ ধরনের আরও কয়েকটি হাদিস উল্লেখ করার পর ইবনে হাজম জাহেরি (রহ.) বলেন, প্রতিটি অঞ্চলের বিত্তবানদের ওপর ফরজ হচ্ছে সেখানকার গরিব ও বিত্তহীনদের আর্থিক জীবনের দায়িত্বভার গ্রহণ করা। যদি বাইতুল মালের আয় দ্বারা বিত্তহীনদের জীবন ধারণের সংস্থান করা সম্ভব না হয়, তাহলে রাষ্ট্রপ্রধান তাদের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য বিত্তবানদের বাধ্য করতে পারবেন। অর্থাৎ, তাদের প্রয়োজনাতিরিক্ত সম্পদ বাধ্যতামূলকভাবে আদায় করে গরিবদের প্রয়োজনে ব্যয় করতে পারবেন।
সাহাবি আবু সাইদ খুদরি (রা.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে ইবনে হাজম আরও বলেন, এ ব্যাপারে সব সাহাবি একমত যে যদি কোনো লোক ক্ষুধার্ত বা বিবস্ত্র থাকে অথবা প্রয়োজনীয় বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে অক্ষম হয়, তাহলে বিত্তবানদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ দিয়ে তার ব্যবস্থা করা ফরজ। (আল মুহাল্লা: ৬ / ১৫৬)
লেখক: শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক

২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ইসলামে নাগরিকদের সম্পদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধিকার রাষ্ট্রকে প্রদান করা হয়নি। আবার সব সম্পদের নিরঙ্কুশ মালিকানা জনগণের হাতেও ন্যস্ত করা হয়নি। অর্থাৎ ইসলাম ব্যক্তি মালিকানার স্বীকৃতি দেয়, তবে তা সামষ্টিক অধিকার নিশ্চিত করার পর।
০১ নভেম্বর ২০২৪
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

ইসলামে নাগরিকদের সম্পদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধিকার রাষ্ট্রকে প্রদান করা হয়নি। আবার সব সম্পদের নিরঙ্কুশ মালিকানা জনগণের হাতেও ন্যস্ত করা হয়নি। অর্থাৎ ইসলাম ব্যক্তি মালিকানার স্বীকৃতি দেয়, তবে তা সামষ্টিক অধিকার নিশ্চিত করার পর।
০১ নভেম্বর ২০২৪
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামে নাগরিকদের সম্পদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধিকার রাষ্ট্রকে প্রদান করা হয়নি। আবার সব সম্পদের নিরঙ্কুশ মালিকানা জনগণের হাতেও ন্যস্ত করা হয়নি। অর্থাৎ ইসলাম ব্যক্তি মালিকানার স্বীকৃতি দেয়, তবে তা সামষ্টিক অধিকার নিশ্চিত করার পর।
০১ নভেম্বর ২০২৪
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

ইসলামে নাগরিকদের সম্পদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধিকার রাষ্ট্রকে প্রদান করা হয়নি। আবার সব সম্পদের নিরঙ্কুশ মালিকানা জনগণের হাতেও ন্যস্ত করা হয়নি। অর্থাৎ ইসলাম ব্যক্তি মালিকানার স্বীকৃতি দেয়, তবে তা সামষ্টিক অধিকার নিশ্চিত করার পর।
০১ নভেম্বর ২০২৪
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
১ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৭ ঘণ্টা আগে