কাউসার লাবীব
আরাফাহ হলো আরবি বর্ষপঞ্জির ১২তম মাসের ৯ তারিখ—যা হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ ছাড়া এটি ঈদুল আজহার আগের দিন হওয়ায় মুসলমানরা ঈদের সর্বশেষ প্রস্তুতিও এই দিন নিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী, এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
নবী করিম (সা.) বলেন, আরাফাহ দিবসের চেয়ে উত্তম কোনো দিন নেই। এই দিনে আল্লাহ তাআলা পৃথিবীবাসীকে নিয়ে গর্ব করে বলেন—‘তোমরা আমার ওই সব বান্দাদের দেখো, যারা বিক্ষিপ্ত ও এলোমেলো চুল নিয়ে অনেক দূর-দুরান্ত থেকে আমার রহমতের আশায় এবং শাস্তির ভয়ে আমার কাছে এসেছে।’ সুতরাং আরাফাহ দিবসের চেয়ে বেশি জাহান্নাম থেকে মুক্তির আর কোনো দিন নেই। এই দিনে যে পরিমাণ লোক জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ লাভ করবে—অন্য কোনো দিন করবে না। (সহিহ্ ইবনে হিব্বান: ৩৮৫৩)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহ তাআলা আরাফাহর দিন স্বীয় বান্দার প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। যার অন্তরে বিন্দুমাত্র ইমান থাকবে, তাকে অবশ্যই ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ হাদিসের বর্ণনকারী বলেন, আমি ইবনে ওমর (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, এই ক্ষমা সকল ইমানদারের জন্য নাকি শুধু আরাফাহর ময়দানে অবস্থানকারীদের জন্য নির্ধারিত? উত্তরে তিনি বলেন, এই ক্ষমা সকল ইমানদারের জন্য। (লাতায়িফুল মাআরিফ: ৪৭১)
নবীজি (সা.) বলেন, আরাফাহ দিবসে রোজা রাখলে আশা করি আল্লাহ তাআলা রোজাদারের আগের এক বছর ও পরের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬২)
তবে আরাফাহ দিবসে রোজা রাখার এই ফজিলতটি হাজিদের জন্য নয়। বরং যারা হজ করতে যায়নি—তাদের জন্য। হাজিদের জন্য আরাফাহর দিবসে রোজা রাখা অনুচিত। আল্লাহ রাসুল (সা.) বিদায় হজের সময় আরাফাহ দিবসে রোজা রাখেননি। বরং সবার সম্মুখে তিনি দুধ পান করেছেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১১২৩)
এ ছাড়া ইকরামা থেকে এক বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রা.)-এর বাড়িতে প্রবেশ করে আরাফাহ দিবসে আরাফাহর ময়দানে থাকা অবস্থায় রোজা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহর রাসুল আরাফাহর ময়দানে আরাফাহ দিবসের রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমদ: ২/৩০৪)
আরাফাহ হলো আরবি বর্ষপঞ্জির ১২তম মাসের ৯ তারিখ—যা হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ ছাড়া এটি ঈদুল আজহার আগের দিন হওয়ায় মুসলমানরা ঈদের সর্বশেষ প্রস্তুতিও এই দিন নিয়ে থাকে। পবিত্র কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী, এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
নবী করিম (সা.) বলেন, আরাফাহ দিবসের চেয়ে উত্তম কোনো দিন নেই। এই দিনে আল্লাহ তাআলা পৃথিবীবাসীকে নিয়ে গর্ব করে বলেন—‘তোমরা আমার ওই সব বান্দাদের দেখো, যারা বিক্ষিপ্ত ও এলোমেলো চুল নিয়ে অনেক দূর-দুরান্ত থেকে আমার রহমতের আশায় এবং শাস্তির ভয়ে আমার কাছে এসেছে।’ সুতরাং আরাফাহ দিবসের চেয়ে বেশি জাহান্নাম থেকে মুক্তির আর কোনো দিন নেই। এই দিনে যে পরিমাণ লোক জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ লাভ করবে—অন্য কোনো দিন করবে না। (সহিহ্ ইবনে হিব্বান: ৩৮৫৩)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহ তাআলা আরাফাহর দিন স্বীয় বান্দার প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। যার অন্তরে বিন্দুমাত্র ইমান থাকবে, তাকে অবশ্যই ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ হাদিসের বর্ণনকারী বলেন, আমি ইবনে ওমর (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, এই ক্ষমা সকল ইমানদারের জন্য নাকি শুধু আরাফাহর ময়দানে অবস্থানকারীদের জন্য নির্ধারিত? উত্তরে তিনি বলেন, এই ক্ষমা সকল ইমানদারের জন্য। (লাতায়িফুল মাআরিফ: ৪৭১)
নবীজি (সা.) বলেন, আরাফাহ দিবসে রোজা রাখলে আশা করি আল্লাহ তাআলা রোজাদারের আগের এক বছর ও পরের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১১৬২)
তবে আরাফাহ দিবসে রোজা রাখার এই ফজিলতটি হাজিদের জন্য নয়। বরং যারা হজ করতে যায়নি—তাদের জন্য। হাজিদের জন্য আরাফাহর দিবসে রোজা রাখা অনুচিত। আল্লাহ রাসুল (সা.) বিদায় হজের সময় আরাফাহ দিবসে রোজা রাখেননি। বরং সবার সম্মুখে তিনি দুধ পান করেছেন। (সহিহ্ মুসলিম: ১১২৩)
এ ছাড়া ইকরামা থেকে এক বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রা.)-এর বাড়িতে প্রবেশ করে আরাফাহ দিবসে আরাফাহর ময়দানে থাকা অবস্থায় রোজা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, আল্লাহর রাসুল আরাফাহর ময়দানে আরাফাহ দিবসের রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমদ: ২/৩০৪)
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
১০ ঘণ্টা আগেসপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম ও সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলমানদের জন্য একটি সাপ্তাহিক ঈদের মতো, যা আত্মশুদ্ধি, ইবাদত এবং কল্যাণ অর্জনের বিশেষ সুযোগ এনে দেয়। এই বরকতময় দিনে কী কী করণীয় তা জানা এবং তা মেনে চলা একজন মুমিনের দায়িত্ব।
১ দিন আগেমানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
১ দিন আগেহিজরি সনের দ্বিতীয় মাস সফর। জাহিলি যুগে এই মাসকে অশুভ, বিপৎসংকুল ও অলক্ষুনে মাস হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মানুষ মনে করত, এ মাসে শুভ কিছু হয় না—বিয়ে করলে বিচ্ছেদ হয়, ব্যবসা করলে লোকসান হয়, রোগবালাই বাড়ে। এমনকি সফরকে বলা হতো ‘আস-সাফারুল মুসাফফার’, অর্থাৎ বিবর্ণ সফর মাস। কারণ তখন খরা ও খাদ্যসংকট দেখা...
১ দিন আগে