ইজাজুল হক
হজ মুসলিম উম্মাহর বিশ্বসম্মেলন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা এই সময়ে পবিত্র মক্কায় সমবেত হন। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টিকল্পে এক জোড়া সাদা কাপড় গায়ে জড়িয়ে হজের বিধানগুলো পালন করেন। ভোগ-বিলাসের সব উপকরণ পরিত্যাগ করে অতি সাধারণভাবে তাঁরা মহান আল্লাহর নির্দেশ পালনে ব্রতী হন। এখানে ধনী-দরিদ্র, সাদা-কালো কিংবা উঁচু-নিচুর কোনো ভেদাভেদ নেই। সব মুসলমান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত করে তোলেন মক্কার অলিগলি-প্রান্তর। দিকে দিকে ছড়িয়ে দেন বিশ্বভ্রাতৃত্বের অমোঘ বার্তা।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক পবিত্র কাবাঘরের চারপাশে এক আল্লাহর জয়গান করেন হাজিরা। জান্নাতি পাথর হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেন। ইবরাহিম (আ.)-এর স্মৃতিধন্য মাকামে ইবরাহিমের কাছে নামাজ আদায় করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেন। হজরত হাজেরা (আ.)-এর অপূর্ব ত্যাগের কথা স্মরণ করতে সাফা-মারওয়া পর্বতে চক্কর দেন। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইকের সম্মিলিত ধ্বনি তুলতে তুলতে ছুটে যান মিনা প্রান্তরে। সেখানে ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত অপেক্ষা করে ছুটে যান আরাফাতের প্রান্তরে। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের প্রধান কাজ। লাখ লাখ হাজি আরাফাতের ময়দানে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত-বন্দেগি করতে থাকেন। জোহরের নামাজের সময় মসজিদে নামিরাহ থেকে সমবেত হাজিদের উদ্দেশে খুতবা পেশ করেন হজের ইমাম। মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও বিশ্বশান্তি কামনায় আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন। এরপর মুজদালিফা ও কোরবানি-পর্ব সেরে আবার কাবাঘরের উদ্দেশে যাত্রা করেন হাজিরা। মাঝখানে প্রতীকী শয়তানের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে গুনাহমুক্তির শপথ নেন।
হজের অতিসাধারণ এই আনুষ্ঠানিকতা আমাদের বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার শিক্ষা দেয়। গোত্র-বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে সরল জীবনযাপনের সবক দেয়। এই আরাফাতের ময়দানেই জীবনসায়াহ্নে ১ লাখ সাহাবির সামনে দাঁড়িয়ে মহানবী (সা.) মানবতার জয়গান গেয়েছিলেন। ইসলামের পূর্ণতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং সমাজের সব ধরনের অনাচার নিষিদ্ধ করেছিলেন। খুনোখুনি, বৈষম্য, সুদ-ঘুষ ও জাহিলি যুগের সব মন্দপ্রথা বন্ধ করে একটি ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়েছিলেন। নারীর অধিকার বাস্তবায়নেও জোর দিয়েছিলেন। বিশেষ করে বিশ্বভ্রাতৃত্বের ডাক দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘হে লোকসকল, জেনে রেখো, তোমাদের রব একজন এবং তোমাদের পিতাও একজন। জেনে রেখো, অনারবের ওপর আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই এবং আরবের ওপরও অনারবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। কালোর ওপর সাদার এবং সাদার ওপর কালোরও শ্রেষ্ঠত্ব নেই। মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের একমাত্র মাপকাঠি তাকওয়া ও আল্লাহভীতি।’ (মুসনাদে আহমদ)
অতএব, পার্থিব সব সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে মহান আল্লাহর পবিত্র ঘরের ছায়ায় একত্র হয়ে সারা বিশ্বের মানুষকে এক ও নেক হওয়ার সবক দেয় ইসলাম। এর মাধ্যমে ভৌগোলিকভাবে শত মতভিন্নতা ও সংস্কৃতির পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও মুসলমানরা এক দেহ এক আত্মায় পরিণত হন। পৃথিবীর সব ভূখণ্ডের মানুষের সাক্ষাতে তৈরি হয় যুগপৎ সম্প্রীতির সেতুবন্ধন। সবার গন্তব্য একই—আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জীবন রাঙানোর শপথ গ্রহণ।
হজ মুসলিম উম্মাহর বিশ্বসম্মেলন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসলিমরা এই সময়ে পবিত্র মক্কায় সমবেত হন। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টিকল্পে এক জোড়া সাদা কাপড় গায়ে জড়িয়ে হজের বিধানগুলো পালন করেন। ভোগ-বিলাসের সব উপকরণ পরিত্যাগ করে অতি সাধারণভাবে তাঁরা মহান আল্লাহর নির্দেশ পালনে ব্রতী হন। এখানে ধনী-দরিদ্র, সাদা-কালো কিংবা উঁচু-নিচুর কোনো ভেদাভেদ নেই। সব মুসলমান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত করে তোলেন মক্কার অলিগলি-প্রান্তর। দিকে দিকে ছড়িয়ে দেন বিশ্বভ্রাতৃত্বের অমোঘ বার্তা।
মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক পবিত্র কাবাঘরের চারপাশে এক আল্লাহর জয়গান করেন হাজিরা। জান্নাতি পাথর হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করেন। ইবরাহিম (আ.)-এর স্মৃতিধন্য মাকামে ইবরাহিমের কাছে নামাজ আদায় করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেন। হজরত হাজেরা (আ.)-এর অপূর্ব ত্যাগের কথা স্মরণ করতে সাফা-মারওয়া পর্বতে চক্কর দেন। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইকের সম্মিলিত ধ্বনি তুলতে তুলতে ছুটে যান মিনা প্রান্তরে। সেখানে ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত অপেক্ষা করে ছুটে যান আরাফাতের প্রান্তরে। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের প্রধান কাজ। লাখ লাখ হাজি আরাফাতের ময়দানে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত-বন্দেগি করতে থাকেন। জোহরের নামাজের সময় মসজিদে নামিরাহ থেকে সমবেত হাজিদের উদ্দেশে খুতবা পেশ করেন হজের ইমাম। মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও বিশ্বশান্তি কামনায় আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন। এরপর মুজদালিফা ও কোরবানি-পর্ব সেরে আবার কাবাঘরের উদ্দেশে যাত্রা করেন হাজিরা। মাঝখানে প্রতীকী শয়তানের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে গুনাহমুক্তির শপথ নেন।
হজের অতিসাধারণ এই আনুষ্ঠানিকতা আমাদের বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার শিক্ষা দেয়। গোত্র-বর্ণের ঊর্ধ্বে উঠে সরল জীবনযাপনের সবক দেয়। এই আরাফাতের ময়দানেই জীবনসায়াহ্নে ১ লাখ সাহাবির সামনে দাঁড়িয়ে মহানবী (সা.) মানবতার জয়গান গেয়েছিলেন। ইসলামের পূর্ণতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং সমাজের সব ধরনের অনাচার নিষিদ্ধ করেছিলেন। খুনোখুনি, বৈষম্য, সুদ-ঘুষ ও জাহিলি যুগের সব মন্দপ্রথা বন্ধ করে একটি ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়েছিলেন। নারীর অধিকার বাস্তবায়নেও জোর দিয়েছিলেন। বিশেষ করে বিশ্বভ্রাতৃত্বের ডাক দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘হে লোকসকল, জেনে রেখো, তোমাদের রব একজন এবং তোমাদের পিতাও একজন। জেনে রেখো, অনারবের ওপর আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই এবং আরবের ওপরও অনারবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। কালোর ওপর সাদার এবং সাদার ওপর কালোরও শ্রেষ্ঠত্ব নেই। মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের একমাত্র মাপকাঠি তাকওয়া ও আল্লাহভীতি।’ (মুসনাদে আহমদ)
অতএব, পার্থিব সব সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে মহান আল্লাহর পবিত্র ঘরের ছায়ায় একত্র হয়ে সারা বিশ্বের মানুষকে এক ও নেক হওয়ার সবক দেয় ইসলাম। এর মাধ্যমে ভৌগোলিকভাবে শত মতভিন্নতা ও সংস্কৃতির পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও মুসলমানরা এক দেহ এক আত্মায় পরিণত হন। পৃথিবীর সব ভূখণ্ডের মানুষের সাক্ষাতে তৈরি হয় যুগপৎ সম্প্রীতির সেতুবন্ধন। সবার গন্তব্য একই—আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জীবন রাঙানোর শপথ গ্রহণ।
বৃক্ষ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সবুজ পাতার মৃদুমন্দ দোল, ফল ফুলে ভরা গাছ শুধু প্রকৃতির অংশই নয়; বরং আল্লাহর দেওয়া এক অপার রহমত, অনন্য এক নেয়ামত। আল্লাহ তাআলা মানবজাতির কল্যাণে অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন, গাছ তার অন্যতম। গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। অক্সিজেন সরবরাহ, খাদ্য উৎপাদন এবং ছায়া...
৯ ঘণ্টা আগেপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রত্যেক মুসলিম নারী-পুরুষের ওপর দৈনন্দিন নির্ধারিত সময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। এটি ইসলামের অবশ্য পালনীয় বিধানের একটি। পুরোপুরি ‘বেহুঁশ’ হওয়ার আগ পর্যন্ত মুসলমানের ওপর এই আবশ্যকতা বহাল থাকে। দাঁড়িয়ে না পারলে বসে, বসে না পারলে শুয়ে; ইশারা-ইঙ্গিতে তাকে নামাজ সম্পন্ন করতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগেঅপবাদের সামাজিক দহন: আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (সোশ্যাল মিডিয়া) কারও ছবি, কোনো ক্লিপ, বা একতরফা তথ্য দেখে অনেকেই মন্তব্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রমাণ ছাড়াই মন্তব্য করে! কেউ বলেই ফেলে, ‘ও তো নিশ্চয় এমনই, ’ আর কেউ বলে, ‘আমি জানি ও ঠিক কী ধরনের মানুষ!’ —এইসব কথায় একজন মানুষ, একটা পরিবার, একটা জীবন—সব শেষ...
১১ ঘণ্টা আগেদাম্পত্যজীবন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক সম্মানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। এ সম্পর্কে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো একে অপরের প্রশংসা করা, পরস্পরকে মর্যাদা দেওয়া। বিশেষ করে স্ত্রীর প্রশংসা করা, তার গুণাবলি প্রকাশ করা এবং ভালোবাসার কথা জানানো স্বামীর সচেতনতার পরিচয়...
১৬ ঘণ্টা আগে