মাহমুদ হাসান ফাহিম

কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনা কুতুব শাহ মসজিদ। বিশাল পুকুরপাড়ে, উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ আজও স্বমহিমায় বিরাজমান। তৎকালীন বাংলার মুসলিম-স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন এটি। একে তৎকালীন ময়মনসিংহ অঞ্চলের সুলতানি আমলের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ বলে ধারণা করা হয়।
মসজিদটিতে নির্মাণকাল নির্দেশক কোনো শিলালিপি নেই। তাই এর স্থাপনাকাল নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে এর স্থাপত্যশৈলী ও অন্যান্য দিক বিবেচনা এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের বক্তব্য অনুযায়ী ধারণা করা হয় যে, ১৬ শতকের দিকে সুলতানি আমলেই নির্মিত। মসজিদের পাশে অবস্থিত একটি কবরকে অনেকে কুতুব শাহর কবর বলে ধারণা করেন। এ বিষয়ে স্থানীয়দেরও কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই। পূর্বপুরুষদের থেকে পরম্পরায় শুনে আসা ধারণা অনুযায়ী তাঁরা বলেন, কুতুব শাহের নামানুসারেই হয়তো এর নাম কুতুব মসজিদ রাখা হয়েছে।
১৯০৯ সালে তৎকালীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটিকে সংরক্ষিত হিসেবে নথিভুক্ত করেছে। তার প্রামাণিক শিলালিপিতে লেখা আছে, ‘কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানা সদরে অবস্থিত পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ বাংলার সুলতানি ও মোগল স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যে নির্মিত। মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ লক্ষ করা যায়। কেউ কেউ এটাকে ১৬ শতাব্দীতে নির্মিত বললেও অধিকাংশ ঐতিহাসিক ১৭ শতাব্দীতে নির্মিত বলে মনে করেন। ১৭০০ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মিত বলেই এই মসজিদে সুলতানি ও মোগল স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। বিখ্যাত দরবেশ কুতুব শাহর নামানুসারে এই মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে। মসজিদের পাশেই এই দরবেশের কবর অবস্থিত।’
সাধারণত এ ধরনের মসজিদ তিন গম্বুজবিশিষ্ট হয়, যেখানে মধ্যবর্তী গম্বুজের উভয় পাশে তুলনামূলক ক্ষুদ্রাকৃতির একটি করে দুটি গম্বুজ থাকে। কিন্তু এই মসজিদের স্থাপত্য নিদর্শনের বিন্যাস ভিন্ন রকমের। বৃহদাকৃতির একটি বড় গম্বুজের চার কোণে চারটি ক্ষুদ্র গম্বুজ। ফলে মসজিদের অভ্যন্তরভাগ অসম তিনটি অংশে বিভক্ত। মধ্যবর্তী অংশ ১৬/১৬ ফুট। আর পার্শ্ববর্তী অংশদ্বয়ের পরিমাপ ৮/১৬ ফুট। বহির্ভাগে উত্তর-দক্ষিণে ৪৫ ফুট লম্বা, আর পূর্ব-পশ্চিমে ২৫ ফুট চওড়া। আর ভেতরের অংশ ৩৬ ফুট লম্বা, ১৬ ফুট চওড়া। চারদিকের দেয়ালই প্রায় ৫ ফুট করে পুরু।
চার কোণে রয়েছে চারটি অষ্টভুজাকৃতির বুরুজ। তার ওপরে একটি করে মিনার। বুরুজগুলোর গায়ে আলংকারিক বলয়ের কাজ। পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট মাঝারি সাইজের এই মসজিদের ছাদ বা কার্নিশ বক্রাকার। পাঁচটি গম্বুজের মধ্যের গম্বুজটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং চার কোণের চারটি গম্বুজ অপেক্ষাকৃত ছোট। মসজিদের পূর্ব দেয়ালে তিনটি এবং উত্তর-দক্ষিণে দুটি করে মোট সাতটি প্রবেশপথ। এসবে রয়েছে গোলাকার ফুলবিশিষ্ট টেরাকোটার অলংকার। যাতে এর কারিগরদের দক্ষতা ও রুচিবোধ ফুটে ওঠে। পূর্ব দেয়ালের মূল প্রবেশপথের উপরিভাগে সাড়ে ২৬ ফুট লম্বা ও এক ফুটের অধিক চওড়া একটি অলংকারহীন ফাঁপা স্থান আছে। এখানে লিপিযুক্ত কোনো ফলক ছিল বলে মনে হয়।
পশ্চিমে দেয়ালে মেহরাবের সংখ্যা ৩। মূল মেহরাবের দুপাশে অপেক্ষাকৃত ছোট দুটি মেহরাব রয়েছে। এগুলো সর্পিল নকশাবিশিষ্ট অলংকরণে সজ্জিত। অর্ধচন্দ্রাকৃতির একটি টেরাকোটার নকশা এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। বাইরের দেয়ালে রয়েছে বিভিন্ন নকশা ও কারুকাজ। সুলতানি আমলের এই মসজিদের ছাদের কার্নিশ অনেকটা দোচালা ঘরের মতো বক্রাকার।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক

কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনা কুতুব শাহ মসজিদ। বিশাল পুকুরপাড়ে, উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ আজও স্বমহিমায় বিরাজমান। তৎকালীন বাংলার মুসলিম-স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন এটি। একে তৎকালীন ময়মনসিংহ অঞ্চলের সুলতানি আমলের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ বলে ধারণা করা হয়।
মসজিদটিতে নির্মাণকাল নির্দেশক কোনো শিলালিপি নেই। তাই এর স্থাপনাকাল নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে এর স্থাপত্যশৈলী ও অন্যান্য দিক বিবেচনা এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের বক্তব্য অনুযায়ী ধারণা করা হয় যে, ১৬ শতকের দিকে সুলতানি আমলেই নির্মিত। মসজিদের পাশে অবস্থিত একটি কবরকে অনেকে কুতুব শাহর কবর বলে ধারণা করেন। এ বিষয়ে স্থানীয়দেরও কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই। পূর্বপুরুষদের থেকে পরম্পরায় শুনে আসা ধারণা অনুযায়ী তাঁরা বলেন, কুতুব শাহের নামানুসারেই হয়তো এর নাম কুতুব মসজিদ রাখা হয়েছে।
১৯০৯ সালে তৎকালীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটিকে সংরক্ষিত হিসেবে নথিভুক্ত করেছে। তার প্রামাণিক শিলালিপিতে লেখা আছে, ‘কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানা সদরে অবস্থিত পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ বাংলার সুলতানি ও মোগল স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যে নির্মিত। মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ লক্ষ করা যায়। কেউ কেউ এটাকে ১৬ শতাব্দীতে নির্মিত বললেও অধিকাংশ ঐতিহাসিক ১৭ শতাব্দীতে নির্মিত বলে মনে করেন। ১৭০০ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মিত বলেই এই মসজিদে সুলতানি ও মোগল স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। বিখ্যাত দরবেশ কুতুব শাহর নামানুসারে এই মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে। মসজিদের পাশেই এই দরবেশের কবর অবস্থিত।’
সাধারণত এ ধরনের মসজিদ তিন গম্বুজবিশিষ্ট হয়, যেখানে মধ্যবর্তী গম্বুজের উভয় পাশে তুলনামূলক ক্ষুদ্রাকৃতির একটি করে দুটি গম্বুজ থাকে। কিন্তু এই মসজিদের স্থাপত্য নিদর্শনের বিন্যাস ভিন্ন রকমের। বৃহদাকৃতির একটি বড় গম্বুজের চার কোণে চারটি ক্ষুদ্র গম্বুজ। ফলে মসজিদের অভ্যন্তরভাগ অসম তিনটি অংশে বিভক্ত। মধ্যবর্তী অংশ ১৬/১৬ ফুট। আর পার্শ্ববর্তী অংশদ্বয়ের পরিমাপ ৮/১৬ ফুট। বহির্ভাগে উত্তর-দক্ষিণে ৪৫ ফুট লম্বা, আর পূর্ব-পশ্চিমে ২৫ ফুট চওড়া। আর ভেতরের অংশ ৩৬ ফুট লম্বা, ১৬ ফুট চওড়া। চারদিকের দেয়ালই প্রায় ৫ ফুট করে পুরু।
চার কোণে রয়েছে চারটি অষ্টভুজাকৃতির বুরুজ। তার ওপরে একটি করে মিনার। বুরুজগুলোর গায়ে আলংকারিক বলয়ের কাজ। পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট মাঝারি সাইজের এই মসজিদের ছাদ বা কার্নিশ বক্রাকার। পাঁচটি গম্বুজের মধ্যের গম্বুজটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং চার কোণের চারটি গম্বুজ অপেক্ষাকৃত ছোট। মসজিদের পূর্ব দেয়ালে তিনটি এবং উত্তর-দক্ষিণে দুটি করে মোট সাতটি প্রবেশপথ। এসবে রয়েছে গোলাকার ফুলবিশিষ্ট টেরাকোটার অলংকার। যাতে এর কারিগরদের দক্ষতা ও রুচিবোধ ফুটে ওঠে। পূর্ব দেয়ালের মূল প্রবেশপথের উপরিভাগে সাড়ে ২৬ ফুট লম্বা ও এক ফুটের অধিক চওড়া একটি অলংকারহীন ফাঁপা স্থান আছে। এখানে লিপিযুক্ত কোনো ফলক ছিল বলে মনে হয়।
পশ্চিমে দেয়ালে মেহরাবের সংখ্যা ৩। মূল মেহরাবের দুপাশে অপেক্ষাকৃত ছোট দুটি মেহরাব রয়েছে। এগুলো সর্পিল নকশাবিশিষ্ট অলংকরণে সজ্জিত। অর্ধচন্দ্রাকৃতির একটি টেরাকোটার নকশা এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। বাইরের দেয়ালে রয়েছে বিভিন্ন নকশা ও কারুকাজ। সুলতানি আমলের এই মসজিদের ছাদের কার্নিশ অনেকটা দোচালা ঘরের মতো বক্রাকার।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক
মাহমুদ হাসান ফাহিম

কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনা কুতুব শাহ মসজিদ। বিশাল পুকুরপাড়ে, উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ আজও স্বমহিমায় বিরাজমান। তৎকালীন বাংলার মুসলিম-স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন এটি। একে তৎকালীন ময়মনসিংহ অঞ্চলের সুলতানি আমলের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ বলে ধারণা করা হয়।
মসজিদটিতে নির্মাণকাল নির্দেশক কোনো শিলালিপি নেই। তাই এর স্থাপনাকাল নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে এর স্থাপত্যশৈলী ও অন্যান্য দিক বিবেচনা এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের বক্তব্য অনুযায়ী ধারণা করা হয় যে, ১৬ শতকের দিকে সুলতানি আমলেই নির্মিত। মসজিদের পাশে অবস্থিত একটি কবরকে অনেকে কুতুব শাহর কবর বলে ধারণা করেন। এ বিষয়ে স্থানীয়দেরও কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই। পূর্বপুরুষদের থেকে পরম্পরায় শুনে আসা ধারণা অনুযায়ী তাঁরা বলেন, কুতুব শাহের নামানুসারেই হয়তো এর নাম কুতুব মসজিদ রাখা হয়েছে।
১৯০৯ সালে তৎকালীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটিকে সংরক্ষিত হিসেবে নথিভুক্ত করেছে। তার প্রামাণিক শিলালিপিতে লেখা আছে, ‘কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানা সদরে অবস্থিত পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ বাংলার সুলতানি ও মোগল স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যে নির্মিত। মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ লক্ষ করা যায়। কেউ কেউ এটাকে ১৬ শতাব্দীতে নির্মিত বললেও অধিকাংশ ঐতিহাসিক ১৭ শতাব্দীতে নির্মিত বলে মনে করেন। ১৭০০ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মিত বলেই এই মসজিদে সুলতানি ও মোগল স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। বিখ্যাত দরবেশ কুতুব শাহর নামানুসারে এই মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে। মসজিদের পাশেই এই দরবেশের কবর অবস্থিত।’
সাধারণত এ ধরনের মসজিদ তিন গম্বুজবিশিষ্ট হয়, যেখানে মধ্যবর্তী গম্বুজের উভয় পাশে তুলনামূলক ক্ষুদ্রাকৃতির একটি করে দুটি গম্বুজ থাকে। কিন্তু এই মসজিদের স্থাপত্য নিদর্শনের বিন্যাস ভিন্ন রকমের। বৃহদাকৃতির একটি বড় গম্বুজের চার কোণে চারটি ক্ষুদ্র গম্বুজ। ফলে মসজিদের অভ্যন্তরভাগ অসম তিনটি অংশে বিভক্ত। মধ্যবর্তী অংশ ১৬/১৬ ফুট। আর পার্শ্ববর্তী অংশদ্বয়ের পরিমাপ ৮/১৬ ফুট। বহির্ভাগে উত্তর-দক্ষিণে ৪৫ ফুট লম্বা, আর পূর্ব-পশ্চিমে ২৫ ফুট চওড়া। আর ভেতরের অংশ ৩৬ ফুট লম্বা, ১৬ ফুট চওড়া। চারদিকের দেয়ালই প্রায় ৫ ফুট করে পুরু।
চার কোণে রয়েছে চারটি অষ্টভুজাকৃতির বুরুজ। তার ওপরে একটি করে মিনার। বুরুজগুলোর গায়ে আলংকারিক বলয়ের কাজ। পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট মাঝারি সাইজের এই মসজিদের ছাদ বা কার্নিশ বক্রাকার। পাঁচটি গম্বুজের মধ্যের গম্বুজটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং চার কোণের চারটি গম্বুজ অপেক্ষাকৃত ছোট। মসজিদের পূর্ব দেয়ালে তিনটি এবং উত্তর-দক্ষিণে দুটি করে মোট সাতটি প্রবেশপথ। এসবে রয়েছে গোলাকার ফুলবিশিষ্ট টেরাকোটার অলংকার। যাতে এর কারিগরদের দক্ষতা ও রুচিবোধ ফুটে ওঠে। পূর্ব দেয়ালের মূল প্রবেশপথের উপরিভাগে সাড়ে ২৬ ফুট লম্বা ও এক ফুটের অধিক চওড়া একটি অলংকারহীন ফাঁপা স্থান আছে। এখানে লিপিযুক্ত কোনো ফলক ছিল বলে মনে হয়।
পশ্চিমে দেয়ালে মেহরাবের সংখ্যা ৩। মূল মেহরাবের দুপাশে অপেক্ষাকৃত ছোট দুটি মেহরাব রয়েছে। এগুলো সর্পিল নকশাবিশিষ্ট অলংকরণে সজ্জিত। অর্ধচন্দ্রাকৃতির একটি টেরাকোটার নকশা এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। বাইরের দেয়ালে রয়েছে বিভিন্ন নকশা ও কারুকাজ। সুলতানি আমলের এই মসজিদের ছাদের কার্নিশ অনেকটা দোচালা ঘরের মতো বক্রাকার।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক

কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনা কুতুব শাহ মসজিদ। বিশাল পুকুরপাড়ে, উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ আজও স্বমহিমায় বিরাজমান। তৎকালীন বাংলার মুসলিম-স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন এটি। একে তৎকালীন ময়মনসিংহ অঞ্চলের সুলতানি আমলের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ বলে ধারণা করা হয়।
মসজিদটিতে নির্মাণকাল নির্দেশক কোনো শিলালিপি নেই। তাই এর স্থাপনাকাল নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে এর স্থাপত্যশৈলী ও অন্যান্য দিক বিবেচনা এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের বক্তব্য অনুযায়ী ধারণা করা হয় যে, ১৬ শতকের দিকে সুলতানি আমলেই নির্মিত। মসজিদের পাশে অবস্থিত একটি কবরকে অনেকে কুতুব শাহর কবর বলে ধারণা করেন। এ বিষয়ে স্থানীয়দেরও কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই। পূর্বপুরুষদের থেকে পরম্পরায় শুনে আসা ধারণা অনুযায়ী তাঁরা বলেন, কুতুব শাহের নামানুসারেই হয়তো এর নাম কুতুব মসজিদ রাখা হয়েছে।
১৯০৯ সালে তৎকালীন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটিকে সংরক্ষিত হিসেবে নথিভুক্ত করেছে। তার প্রামাণিক শিলালিপিতে লেখা আছে, ‘কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানা সদরে অবস্থিত পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ বাংলার সুলতানি ও মোগল স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যে নির্মিত। মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ লক্ষ করা যায়। কেউ কেউ এটাকে ১৬ শতাব্দীতে নির্মিত বললেও অধিকাংশ ঐতিহাসিক ১৭ শতাব্দীতে নির্মিত বলে মনে করেন। ১৭০০ শতাব্দীর প্রথম দিকে নির্মিত বলেই এই মসজিদে সুলতানি ও মোগল স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। বিখ্যাত দরবেশ কুতুব শাহর নামানুসারে এই মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে। মসজিদের পাশেই এই দরবেশের কবর অবস্থিত।’
সাধারণত এ ধরনের মসজিদ তিন গম্বুজবিশিষ্ট হয়, যেখানে মধ্যবর্তী গম্বুজের উভয় পাশে তুলনামূলক ক্ষুদ্রাকৃতির একটি করে দুটি গম্বুজ থাকে। কিন্তু এই মসজিদের স্থাপত্য নিদর্শনের বিন্যাস ভিন্ন রকমের। বৃহদাকৃতির একটি বড় গম্বুজের চার কোণে চারটি ক্ষুদ্র গম্বুজ। ফলে মসজিদের অভ্যন্তরভাগ অসম তিনটি অংশে বিভক্ত। মধ্যবর্তী অংশ ১৬/১৬ ফুট। আর পার্শ্ববর্তী অংশদ্বয়ের পরিমাপ ৮/১৬ ফুট। বহির্ভাগে উত্তর-দক্ষিণে ৪৫ ফুট লম্বা, আর পূর্ব-পশ্চিমে ২৫ ফুট চওড়া। আর ভেতরের অংশ ৩৬ ফুট লম্বা, ১৬ ফুট চওড়া। চারদিকের দেয়ালই প্রায় ৫ ফুট করে পুরু।
চার কোণে রয়েছে চারটি অষ্টভুজাকৃতির বুরুজ। তার ওপরে একটি করে মিনার। বুরুজগুলোর গায়ে আলংকারিক বলয়ের কাজ। পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট মাঝারি সাইজের এই মসজিদের ছাদ বা কার্নিশ বক্রাকার। পাঁচটি গম্বুজের মধ্যের গম্বুজটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং চার কোণের চারটি গম্বুজ অপেক্ষাকৃত ছোট। মসজিদের পূর্ব দেয়ালে তিনটি এবং উত্তর-দক্ষিণে দুটি করে মোট সাতটি প্রবেশপথ। এসবে রয়েছে গোলাকার ফুলবিশিষ্ট টেরাকোটার অলংকার। যাতে এর কারিগরদের দক্ষতা ও রুচিবোধ ফুটে ওঠে। পূর্ব দেয়ালের মূল প্রবেশপথের উপরিভাগে সাড়ে ২৬ ফুট লম্বা ও এক ফুটের অধিক চওড়া একটি অলংকারহীন ফাঁপা স্থান আছে। এখানে লিপিযুক্ত কোনো ফলক ছিল বলে মনে হয়।
পশ্চিমে দেয়ালে মেহরাবের সংখ্যা ৩। মূল মেহরাবের দুপাশে অপেক্ষাকৃত ছোট দুটি মেহরাব রয়েছে। এগুলো সর্পিল নকশাবিশিষ্ট অলংকরণে সজ্জিত। অর্ধচন্দ্রাকৃতির একটি টেরাকোটার নকশা এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। বাইরের দেয়ালে রয়েছে বিভিন্ন নকশা ও কারুকাজ। সুলতানি আমলের এই মসজিদের ছাদের কার্নিশ অনেকটা দোচালা ঘরের মতো বক্রাকার।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
২ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনা কুতুব শাহ মসজিদ। বিশাল পুকুরপাড়ে, উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ আজও স্বমহিমায় বিরাজমান। তৎকালীন বাংলার মুসলিম-স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন এটি। একে তৎকালীন ময়মনসিংহ অঞ্চলের সুলতানি আমলের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ বলে ধারণ
৩০ আগস্ট ২০২৪
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
২০ ঘণ্টা আগেতাসনিফ আবীদ

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনা কুতুব শাহ মসজিদ। বিশাল পুকুরপাড়ে, উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ আজও স্বমহিমায় বিরাজমান। তৎকালীন বাংলার মুসলিম-স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন এটি। একে তৎকালীন ময়মনসিংহ অঞ্চলের সুলতানি আমলের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ বলে ধারণ
৩০ আগস্ট ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনা কুতুব শাহ মসজিদ। বিশাল পুকুরপাড়ে, উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ আজও স্বমহিমায় বিরাজমান। তৎকালীন বাংলার মুসলিম-স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন এটি। একে তৎকালীন ময়মনসিংহ অঞ্চলের সুলতানি আমলের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ বলে ধারণ
৩০ আগস্ট ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
২ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৮ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)
ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।
তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)
ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)
মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)
নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)
ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।
তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)
ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)
মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)
নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনা কুতুব শাহ মসজিদ। বিশাল পুকুরপাড়ে, উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে পাঁচ গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদ আজও স্বমহিমায় বিরাজমান। তৎকালীন বাংলার মুসলিম-স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন এটি। একে তৎকালীন ময়মনসিংহ অঞ্চলের সুলতানি আমলের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ বলে ধারণ
৩০ আগস্ট ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
২ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৪ ঘণ্টা আগে