হুমায়ুন কবীর
একজন মোমিনের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। মোমিন মাত্রই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যত্নের সঙ্গে আদায় করে থাকে। আদায়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের চিরশত্রু শয়তান সব সময় ধোঁকা দিয়ে আমাদের মন ও মননে নামাজের ব্যাপারে গাফিলতি সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের নামাজ থেকে দূরে রাখতে চায়।
প্রতি ওয়াক্ত নামাজের ব্যাপারেই তো আলাদা আলাদা গুরুত্ব কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। তবে আসরের নামাজের ব্যাপারে এই গুরুত্ব আরও বেশি দেওয়া হয়েছে। কারণ, আসর বিশেষ গাফিলতির সময়।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমরা সকল নামাজ এবং মধ্যবর্তী নামাজের প্রতি যত্নবান হও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)। এখানে মধ্যবর্তী নামাজের অর্থ হলো আসরের নামাজ। কারণ এর আগেও দুই ওয়াক্ত নামাজ রয়েছে, পরেও রয়েছে দুই ওয়াক্ত নামাজ।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন কিছু জিনিসের কসম করেছেন। তিনি যেসব জিনিসের কসম করেছেন, নিশ্চয় সেগুলো আল্লাহর নিকট দামি। তিনি পবিত্র কোরআন আসরের কসম করেছেন। বলেছেন, ‘আছরের কসম।’ (সুরা আসর: ০১)
উল্লিখিত দুই আয়াত থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ তাআলার নিকট আসরের নামাজ কত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া আরেক আয়াতে তিনি বলেছেন, ‘আপনার রবের প্রশংসা করুন সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যাস্তের আগে।’ (সুরা তহা: ১৩০)।
এ আয়াতে সূর্যোদয়ের আগে মানে ফজর এবং সূর্যাস্তের আগে মানে আসর—এই দুই নামাজের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।
এ ছাড়া হাদিসে আসরের নামাজের বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতাগণ পালা বদল করে তোমাদের মাঝে আগমন করেন। একদল দিনে, একদল রাতে। আসর ও ফজরের নামাজে উভয় দল একত্র হন। তারপর তোমাদের মাঝে রাতযাপনকারী দলটি যখন উঠে যান—প্রতিপালক তাদের জিজ্ঞাসা করেন, আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় দেখে এলে? অবশ্য তিনি নিজেই বান্দাদের ব্যাপারে সর্বাধিক জ্ঞাত। উত্তরে ফেরেশতারা বলেন, আমরা তাদের নামাজরত দেখে এসেছি। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখনো তারা নামাজরত ছিল। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৩২)
সুতরাং যে ব্যক্তি নিয়মিত ফজর ও আসরের নামাজ জামাতে আদায় করে—ফেরেশতাগণ আল্লাহ তাআলার নিকট তার ব্যাপারে প্রতিদিন বলছে, আমরা যখন পৃথিবীতে গিয়েছি, তাকে নামাজরত দেখেছি। যখন পৃথিবী থেকে এসেছি, তখনো তাকে নামাজরত দেখেছি।
এ ছাড়া আরেক হাদিসে এসেছে, হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, আমরা একবার নবীজির কাছে বসা ছিলাম, হঠাৎ তিনি পূর্ণিমার চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, অচিরেই তোমরা তোমাদের রবকে দেখতে পাবে, যেভাবে চাঁদ দেখতে পাচ্ছ। আল্লাহকে দেখতে কোনো প্রকার ভিড়ের সম্মুখীন হবে না। যদি এ নিয়ামত লাভ করতে চাও, তাহলে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের পূর্বের (ফজর ও আসর) নামাজের প্রতি যত্নবান হও। (সহিহ্ বুখারি: ৪৮৫১)
অবশ্য আসরের নামাজ আদায়ের ব্যাপারে শুধু ফজিলতই নয়, হাদিসে সতর্কবার্তাও এসেছে। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দিল—তার আমল নষ্ট হয়ে গেল।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৩)
আল্লাহ তাআলা আমাদের আছরের নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ব্যাপারে যত্নবান হওয়ার তৌফিক দান করুন।
একজন মোমিনের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। মোমিন মাত্রই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যত্নের সঙ্গে আদায় করে থাকে। আদায়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের চিরশত্রু শয়তান সব সময় ধোঁকা দিয়ে আমাদের মন ও মননে নামাজের ব্যাপারে গাফিলতি সৃষ্টি করতে চায়। আমাদের নামাজ থেকে দূরে রাখতে চায়।
প্রতি ওয়াক্ত নামাজের ব্যাপারেই তো আলাদা আলাদা গুরুত্ব কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। তবে আসরের নামাজের ব্যাপারে এই গুরুত্ব আরও বেশি দেওয়া হয়েছে। কারণ, আসর বিশেষ গাফিলতির সময়।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘তোমরা সকল নামাজ এবং মধ্যবর্তী নামাজের প্রতি যত্নবান হও।’ (সুরা বাকারা: ২৩৮)। এখানে মধ্যবর্তী নামাজের অর্থ হলো আসরের নামাজ। কারণ এর আগেও দুই ওয়াক্ত নামাজ রয়েছে, পরেও রয়েছে দুই ওয়াক্ত নামাজ।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন কিছু জিনিসের কসম করেছেন। তিনি যেসব জিনিসের কসম করেছেন, নিশ্চয় সেগুলো আল্লাহর নিকট দামি। তিনি পবিত্র কোরআন আসরের কসম করেছেন। বলেছেন, ‘আছরের কসম।’ (সুরা আসর: ০১)
উল্লিখিত দুই আয়াত থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ তাআলার নিকট আসরের নামাজ কত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া আরেক আয়াতে তিনি বলেছেন, ‘আপনার রবের প্রশংসা করুন সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যাস্তের আগে।’ (সুরা তহা: ১৩০)।
এ আয়াতে সূর্যোদয়ের আগে মানে ফজর এবং সূর্যাস্তের আগে মানে আসর—এই দুই নামাজের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে।
এ ছাড়া হাদিসে আসরের নামাজের বহু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতাগণ পালা বদল করে তোমাদের মাঝে আগমন করেন। একদল দিনে, একদল রাতে। আসর ও ফজরের নামাজে উভয় দল একত্র হন। তারপর তোমাদের মাঝে রাতযাপনকারী দলটি যখন উঠে যান—প্রতিপালক তাদের জিজ্ঞাসা করেন, আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় দেখে এলে? অবশ্য তিনি নিজেই বান্দাদের ব্যাপারে সর্বাধিক জ্ঞাত। উত্তরে ফেরেশতারা বলেন, আমরা তাদের নামাজরত দেখে এসেছি। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখনো তারা নামাজরত ছিল। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৩২)
সুতরাং যে ব্যক্তি নিয়মিত ফজর ও আসরের নামাজ জামাতে আদায় করে—ফেরেশতাগণ আল্লাহ তাআলার নিকট তার ব্যাপারে প্রতিদিন বলছে, আমরা যখন পৃথিবীতে গিয়েছি, তাকে নামাজরত দেখেছি। যখন পৃথিবী থেকে এসেছি, তখনো তাকে নামাজরত দেখেছি।
এ ছাড়া আরেক হাদিসে এসেছে, হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, আমরা একবার নবীজির কাছে বসা ছিলাম, হঠাৎ তিনি পূর্ণিমার চাঁদের দিকে তাকিয়ে বললেন, অচিরেই তোমরা তোমাদের রবকে দেখতে পাবে, যেভাবে চাঁদ দেখতে পাচ্ছ। আল্লাহকে দেখতে কোনো প্রকার ভিড়ের সম্মুখীন হবে না। যদি এ নিয়ামত লাভ করতে চাও, তাহলে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের পূর্বের (ফজর ও আসর) নামাজের প্রতি যত্নবান হও। (সহিহ্ বুখারি: ৪৮৫১)
অবশ্য আসরের নামাজ আদায়ের ব্যাপারে শুধু ফজিলতই নয়, হাদিসে সতর্কবার্তাও এসেছে। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দিল—তার আমল নষ্ট হয়ে গেল।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৩)
আল্লাহ তাআলা আমাদের আছরের নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ব্যাপারে যত্নবান হওয়ার তৌফিক দান করুন।
মাত্র ৯ মাসে মায়ের কাছে পড়ে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে সাত বছরের এক শিশু। বিস্ময়কর এই বালকের নাম মুহাম্মদ। সে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামের মুফতি আবদুল্লাহ আমজাদের ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেঅন্যতম ফজিলতপূর্ণ দিন জুমাবার। মোমিনের জীবনে দিনটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ফজিলতপূর্ণ এই দিন বিশেষ কিছু আমল ও সুন্নত রয়েছে। এর মধ্য থেকে ২০ টি সুন্নত তুলে ধরা যাক— ১. ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা। (সিলসিলাতুস সহিহা) ২. সুন্নত মোতাবেক গোসল করা ও গায়ে তেল মাখা। (সহিহ্ বুখারি: ৮৮৩)...
৫ ঘণ্টা আগেইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়।
৯ ঘণ্টা আগেআমাদের এলাকায় দেখা যায়, কোরবানির কয়েক দিন পর ফেরিওয়ালারা বাড়ি বাড়ি এসে কোরবানির মাংসের চর্বি কিনে নিয়ে যায়। মাংসের এই চর্বি তেমন কোনো কাজে না লাগায়, কোরবানিদাতা তা অল্প দামে বিক্রি করে দেন।
৯ ঘণ্টা আগে