Ajker Patrika

বৃষ্টির সময়ে ৫ বিশেষ সুন্নত

ইমদাদুল হক শেখ
Thumbnail image

বৃষ্টি আল্লাহ তাআলার এক বিশেষ নিয়ামত। এ নিয়ামতে সঞ্জীবিত হয় ফেটে চৌচির হওয়া শুকনো মাটি। সজীব হয়ে ওঠে ফসলের মাঠ। প্রাণবন্ত হয় আমাদের চারপাশ। একটুখানি বৃষ্টির পরশে মানবদেহে অনুভূত হয় পরম শীতলতা। শুধু মানবদেহেই নয়, বরং পশুপাখিরাও পায় স্বস্তির শ্বাস ও উৎকৃষ্ট রিজিক। এককথায় বৃষ্টির মাঝে লুকিয়ে থাকে আল্লাহ তাআলার অজস্র নিয়ামত। আর এ বিশেষ নিয়ামত বর্ষণের সময় রয়েছে কিছু সুন্নত আমল

এক. বৃষ্টির সময় আল্লাহ তাআলার কাছে কল্যাণকর বৃষ্টির দোয়া করা সুন্নত। রাসুল (সা.) বৃষ্টির সময়ে এই দোয়া পাঠ করতেন, ‘আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিআ’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ আপনি কল্যাণকর বৃষ্টি দান করুন।’ (বুখারি: ৬৯১)

দুই. বৃষ্টির সময় অন্তরে খোদাভীতি জাগ্রত করা সুন্নত। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলে ও ঝোড়ো হাওয়া প্রবাহিত হলে, রাসুল (সা.)-এর চেহারায় বিষণ্নতা অনুভূত হতো, এদিক-সেদিক পায়চারি করতেন এবং (এই ভেবে) ঘাবড়ে যেতেন যে এটি আল্লাহর আজাব কি না।’ (মুসলিম: ১৯৫৭)

তিন. বৃষ্টিকে অশুভ মনে না করে আল্লাহর রহমত বলে মনে করা উচিত। আয়েশা (রা.) বলেন, নবী (সা.) যখন বৃষ্টি দেখতেন তখন বলতেন, ‘এ তো আল্লাহর রহমত।’ (মুসলিম: ১৯৫৭)

চার. বৃষ্টির পানি গায়ে লাগানো নবীজির মুস্তাহাব। আনাস (রা.) বলেন, ‘আমরা একবার বৃষ্টি বর্ষণকালে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি তাঁর শরীরের একাংশ উদোম করে বৃষ্টির পানি লাগালেন। আমরা কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘বৃষ্টি আল্লাহর রহমত ও বরকত।’ (মুসলিম: ১৯৫৬)

পাঁচ. বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দুই সময়ের দোয়া প্রত্যাখ্যাত হয় না। এক. আজানের সময়, দুই. বৃষ্টির সময়।’ (কিতাবুল উম্ম: ১৪৬৯)

লেখক: শিক্ষক, জামেয়াতুস সুন্নাহ, ঝিনাইদহ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত