রায়হান আল ইমরান

ইসলাম ভিক্ষাবৃত্তিকে অত্যন্ত ঘৃণিত একটি কাজ হিসেবে দেখে। এটি কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, বরং সামাজিক দৃষ্টিতেও নিন্দনীয়। ইসলাম মানুষকে কর্মঠ ও আত্মনির্ভরশীল হতে শেখায় এবং পরনির্ভরতাকে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করে। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সাহাবিদের জীবন ছিল পরিশ্রম ও আত্মমর্যাদাবোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁরা ভিক্ষাবৃত্তিকে প্রশ্রয় দেননি, বরং এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। ইসলামে হালাল উপার্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর এই উপার্জনের জন্য প্রয়োজন হয় নিষ্ঠা, পরিশ্রম ও সাধনার।
ইসলামি সমাজে ভিক্ষাবৃত্তি এড়াতে এবং মানুষকে উপার্জনে উৎসাহিত করতে কিছু কার্যকর ব্যবস্থা রয়েছে:
কর্মের প্রতি উৎসাহ প্রদান
ইসলামে আল্লাহর ওপর ভরসার পাশাপাশি কর্ম ও পরিশ্রমের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এর একটি চমৎকার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এক আনসারি সাহাবি নবীজি (সা.)-এর কাছে ভিক্ষা চাইতে এলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার ঘরে কি কিছু আছে?’ সাহাবি উত্তর দিলেন, ‘একটি কম্বল আছে, যার অর্ধেক দিয়ে আমি শরীর ঢাকি আর বাকি অর্ধেক বিছানা হিসেবে ব্যবহার করি। আর একটি বড় পাত্র আছে, যাতে পানি পান করি।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘এই দুটি জিনিস আমার কাছে নিয়ে এসো।’ সাহাবি সেগুলো নিয়ে এলে তিনি উপস্থিত সাহাবিদের বললেন, ‘এ দুটি কে কিনবে?’ একজন বলল, ‘আমি এক দিরহামে কিনব।’ নবীজি (সা.) আবার জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এর চেয়ে বেশি কেউ দেবে?’ অবশেষে একজন দুই দিরহামে তা কিনে নিল। এরপর নবীজি (সা.) সাহাবিকে বললেন, ‘এক দিরহামে খাবার কিনে পরিবারকে দাও, আর অন্য এক দিরহামে একটি কুঠার কিনে আমার কাছে নিয়ে এসো।’ সাহাবি তা-ই করলেন। নবীজি নিজ হাতে কুঠারটিতে হাতল লাগিয়ে দিলেন এবং বললেন, ‘এখন যাও, কাঠ কেটে বিক্রি করো। আগামী ১৫ দিন যেন তোমাকে আমার কাছে না দেখি।’ সাহাবি কাঠ কেটে বিক্রি করতে লাগলেন। ১৫ দিন পর তিনি ১০ দিরহাম নিয়ে নবীজি (সা.)-এর কাছে এলেন। তিনি সে টাকা দিয়ে কিছু কাপড় ও খাবার কিনলেন। তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘ভিক্ষা করে বেড়ানোর চেয়ে পরিশ্রম করে খাওয়া তোমার জন্য অনেক উত্তম।’ (জামে তিরমিজি: ১২১৮)
জাকাত ও সদকায়ে ফিতর
ইসলাম সমাজের অসচ্ছল ও দরিদ্র মানুষের জন্য একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যার গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্তম্ভ হলো জাকাত ও সদকায়ে ফিতর। ধনীদের জন্য জাকাত আদায় করা ফরজ। এটি কেবল দান নয়, বরং ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং জাকাত আদায় করো।’ (সুরা বাকারা: ১১০)। একইভাবে, সদকায়ে ফিতর রমজানের শেষে দেওয়া হয়, যাতে দরিদ্ররাও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে। এই দুটি ব্যবস্থা সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য এনে ধনী ও গরিবের মাঝে মানবিক বন্ধন তৈরি করে।
অপচয় পরিহার ও মিতব্যয়িতা
ইসলামে অপচয়কে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই অপচয়কারী শয়তানের ভাই।’ (সুরা ইসরা: ২৭) অপচয় শুধু সম্পদের অপব্যবহারই নয়, বরং এটি দারিদ্র্যের কারণ হতে পারে। একজন মুমিনের উচিত সম্পদ ব্যয়ে মিতব্যয়ী হওয়া, যা আত্মসংযম ও ধৈর্যের পরিচয় বহন করে।
ভিক্ষাবৃত্তির কঠোর নিন্দা
ভিক্ষাবৃত্তি মানুষের আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ন করে। তাই মহানবী (সা.) এটিকে নিরুৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের কারও জন্য রশি নিয়ে কাঠ সংগ্রহ করতে বের হওয়া ভিক্ষাবৃত্তি থেকে উত্তম।’ (সহিহ বুখারি: ২০৭৫)।

ইসলাম ভিক্ষাবৃত্তিকে অত্যন্ত ঘৃণিত একটি কাজ হিসেবে দেখে। এটি কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, বরং সামাজিক দৃষ্টিতেও নিন্দনীয়। ইসলাম মানুষকে কর্মঠ ও আত্মনির্ভরশীল হতে শেখায় এবং পরনির্ভরতাকে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করে। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সাহাবিদের জীবন ছিল পরিশ্রম ও আত্মমর্যাদাবোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তাঁরা ভিক্ষাবৃত্তিকে প্রশ্রয় দেননি, বরং এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। ইসলামে হালাল উপার্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আর এই উপার্জনের জন্য প্রয়োজন হয় নিষ্ঠা, পরিশ্রম ও সাধনার।
ইসলামি সমাজে ভিক্ষাবৃত্তি এড়াতে এবং মানুষকে উপার্জনে উৎসাহিত করতে কিছু কার্যকর ব্যবস্থা রয়েছে:
কর্মের প্রতি উৎসাহ প্রদান
ইসলামে আল্লাহর ওপর ভরসার পাশাপাশি কর্ম ও পরিশ্রমের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এর একটি চমৎকার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এক আনসারি সাহাবি নবীজি (সা.)-এর কাছে ভিক্ষা চাইতে এলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার ঘরে কি কিছু আছে?’ সাহাবি উত্তর দিলেন, ‘একটি কম্বল আছে, যার অর্ধেক দিয়ে আমি শরীর ঢাকি আর বাকি অর্ধেক বিছানা হিসেবে ব্যবহার করি। আর একটি বড় পাত্র আছে, যাতে পানি পান করি।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘এই দুটি জিনিস আমার কাছে নিয়ে এসো।’ সাহাবি সেগুলো নিয়ে এলে তিনি উপস্থিত সাহাবিদের বললেন, ‘এ দুটি কে কিনবে?’ একজন বলল, ‘আমি এক দিরহামে কিনব।’ নবীজি (সা.) আবার জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এর চেয়ে বেশি কেউ দেবে?’ অবশেষে একজন দুই দিরহামে তা কিনে নিল। এরপর নবীজি (সা.) সাহাবিকে বললেন, ‘এক দিরহামে খাবার কিনে পরিবারকে দাও, আর অন্য এক দিরহামে একটি কুঠার কিনে আমার কাছে নিয়ে এসো।’ সাহাবি তা-ই করলেন। নবীজি নিজ হাতে কুঠারটিতে হাতল লাগিয়ে দিলেন এবং বললেন, ‘এখন যাও, কাঠ কেটে বিক্রি করো। আগামী ১৫ দিন যেন তোমাকে আমার কাছে না দেখি।’ সাহাবি কাঠ কেটে বিক্রি করতে লাগলেন। ১৫ দিন পর তিনি ১০ দিরহাম নিয়ে নবীজি (সা.)-এর কাছে এলেন। তিনি সে টাকা দিয়ে কিছু কাপড় ও খাবার কিনলেন। তখন নবীজি (সা.) বললেন, ‘ভিক্ষা করে বেড়ানোর চেয়ে পরিশ্রম করে খাওয়া তোমার জন্য অনেক উত্তম।’ (জামে তিরমিজি: ১২১৮)
জাকাত ও সদকায়ে ফিতর
ইসলাম সমাজের অসচ্ছল ও দরিদ্র মানুষের জন্য একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, যার গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্তম্ভ হলো জাকাত ও সদকায়ে ফিতর। ধনীদের জন্য জাকাত আদায় করা ফরজ। এটি কেবল দান নয়, বরং ইবাদতের অংশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো এবং জাকাত আদায় করো।’ (সুরা বাকারা: ১১০)। একইভাবে, সদকায়ে ফিতর রমজানের শেষে দেওয়া হয়, যাতে দরিদ্ররাও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে। এই দুটি ব্যবস্থা সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য এনে ধনী ও গরিবের মাঝে মানবিক বন্ধন তৈরি করে।
অপচয় পরিহার ও মিতব্যয়িতা
ইসলামে অপচয়কে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই অপচয়কারী শয়তানের ভাই।’ (সুরা ইসরা: ২৭) অপচয় শুধু সম্পদের অপব্যবহারই নয়, বরং এটি দারিদ্র্যের কারণ হতে পারে। একজন মুমিনের উচিত সম্পদ ব্যয়ে মিতব্যয়ী হওয়া, যা আত্মসংযম ও ধৈর্যের পরিচয় বহন করে।
ভিক্ষাবৃত্তির কঠোর নিন্দা
ভিক্ষাবৃত্তি মানুষের আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ন করে। তাই মহানবী (সা.) এটিকে নিরুৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের কারও জন্য রশি নিয়ে কাঠ সংগ্রহ করতে বের হওয়া ভিক্ষাবৃত্তি থেকে উত্তম।’ (সহিহ বুখারি: ২০৭৫)।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
এ বিষয়ে কোনো সৌদি আরবের সরকারি নীতি পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়নি বলে জানায় এই সংবাদমাধ্যম।
৮ ডিসেম্বর (সোমবার) সংবাদমাধ্যমটির ফ্যাক্টচেক থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, যেখানে দাবি করা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ ২০২৬ সালের হজ মৌসুমে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো সরকারি সংস্থা থেকে এ ধরনের কোনো নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়নি।
দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের মিথ্যা দাবি মাঝেমধ্যে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হজ বা ওমরাহর মৌসুমে এমন গুজব বেশি বিস্তার লাভ করে। এসব তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়াই কাম্য।

ইসলাম ভিক্ষাবৃত্তিকে অত্যন্ত ঘৃণিত একটি কাজ হিসেবে দেখে। এটি কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, বরং সামাজিক দৃষ্টিতেও নিন্দনীয়। ইসলাম মানুষকে কর্মঠ ও আত্মনির্ভরশীল হতে শেখায় এবং পরনির্ভরতাকে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করে। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সাহাবিদের জীবন ছিল পরিশ্রম...
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১ দিন আগেতাসনিফ আবীদ

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

ইসলাম ভিক্ষাবৃত্তিকে অত্যন্ত ঘৃণিত একটি কাজ হিসেবে দেখে। এটি কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, বরং সামাজিক দৃষ্টিতেও নিন্দনীয়। ইসলাম মানুষকে কর্মঠ ও আত্মনির্ভরশীল হতে শেখায় এবং পরনির্ভরতাকে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করে। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সাহাবিদের জীবন ছিল পরিশ্রম...
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলাম ভিক্ষাবৃত্তিকে অত্যন্ত ঘৃণিত একটি কাজ হিসেবে দেখে। এটি কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, বরং সামাজিক দৃষ্টিতেও নিন্দনীয়। ইসলাম মানুষকে কর্মঠ ও আত্মনির্ভরশীল হতে শেখায় এবং পরনির্ভরতাকে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করে। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সাহাবিদের জীবন ছিল পরিশ্রম...
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
১১ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)
ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।
তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)
ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)
মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)
নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)
ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।
তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)
ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)
মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)
নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

ইসলাম ভিক্ষাবৃত্তিকে অত্যন্ত ঘৃণিত একটি কাজ হিসেবে দেখে। এটি কেবল ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, বরং সামাজিক দৃষ্টিতেও নিন্দনীয়। ইসলাম মানুষকে কর্মঠ ও আত্মনির্ভরশীল হতে শেখায় এবং পরনির্ভরতাকে কঠোরভাবে নিরুৎসাহিত করে। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং সাহাবিদের জীবন ছিল পরিশ্রম...
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসন্ন হজ মৌসুম চলাকালে মসজিদুল হারাম (মক্কা) এবং মসজিদে নববীর (মদিনা) ভেতরে ছবি তোলার ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার যে সংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে, তা মিথ্যা বলে জানিয়েছে দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন।
৬ ঘণ্টা আগে
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৮ ঘণ্টা আগে