ইসলাম ডেস্ক
মৃত্যু এক অনিবার্য সত্য। চরম এক বাস্তবতা। প্রাণী মাত্রই মরবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই। এ মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক, মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই। চাই সুদৃঢ় রক্ষিত কোনো দুর্গেই থাকো না কেন।’ (সুরা নিসা: ৭৮)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘তোমরা যে মৃত্যু হতে পালাচ্ছ, তা তোমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেই। অতঃপর তাঁর (আল্লাহর) কাছে তোমাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে। (সুরা জুমা: ৮)
আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সকল সৃষ্টি ধ্বংসের কোলে ঢলে পড়বে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘ভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে সবই ধ্বংস হবে, বাকি থাকবে কেবল তোমার প্রতিপালকের গৌরবময়, মহানুভব সত্তা।’ (সুরা রহমান: ২৬-২৭)
আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবিবকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং এরাও মরণশীল।’ (সুরা জুমার: ৩০)
মরণশীল প্রাণী মরবে। তবে অবধারিত মৃত্যু ঠিক কোন সময় হবে তা কারও জানা নেই। তাই মৃত্যুর জন্য সদা প্রস্তুত থাকা বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলতেন, ‘তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হলে আর ভোরের অপেক্ষা করো না এবং ভোরে উপনীত হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না। তোমার সুস্থতার অবকাশে পীড়িত অবস্থার জন্য সঞ্চয় করে রেখো। আর হায়াতের দিনগুলোতে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিও। (সহিহ্ বুখারি: ৬৪১৬)
মৃত্যুর চিন্তা মানুষকে আল্লাহভীরু ও সৎকর্মশীল বানায়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা দুনিয়ার স্বাদ বিনাশকারী মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করো।’ (জামে তিরমিজি: ২৩০৬)
মৃত্যু পরম এক উপদেশ ও শ্রেষ্ঠ নসিহত। মৃত্যু চিন্তা সকল পাপকাজ থেকে বিরত রাখে। এই এক উপদেশ শয়তানের প্ররোচনা ও প্রবৃত্তির তাড়নায় হাজারো অপরাধ জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখতে যথেষ্ট।
যার কারণে খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত ওমর (রা.) নিজেকে সম্বোধন করে স্বীয় আংটিতে লিপিবদ্ধ করেছিলেন এমন এক উপদেশ—যা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখিত, ‘হে ওমর, নসিহতের জন্য মৃত্যু যথেষ্ট। (ইবনে কাসির ৭ / ১৫১)
লেখক: আব্দুর রহমান, মুহাদ্দিস ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মৃত্যু এক অনিবার্য সত্য। চরম এক বাস্তবতা। প্রাণী মাত্রই মরবে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। মৃত্যু থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই। এ মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক, মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবেই। চাই সুদৃঢ় রক্ষিত কোনো দুর্গেই থাকো না কেন।’ (সুরা নিসা: ৭৮)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন, ‘তোমরা যে মৃত্যু হতে পালাচ্ছ, তা তোমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেই। অতঃপর তাঁর (আল্লাহর) কাছে তোমাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে। (সুরা জুমা: ৮)
আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সকল সৃষ্টি ধ্বংসের কোলে ঢলে পড়বে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘ভূপৃষ্ঠে যা কিছু আছে সবই ধ্বংস হবে, বাকি থাকবে কেবল তোমার প্রতিপালকের গৌরবময়, মহানুভব সত্তা।’ (সুরা রহমান: ২৬-২৭)
আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবিবকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘তুমি তো মরণশীল এবং এরাও মরণশীল।’ (সুরা জুমার: ৩০)
মরণশীল প্রাণী মরবে। তবে অবধারিত মৃত্যু ঠিক কোন সময় হবে তা কারও জানা নেই। তাই মৃত্যুর জন্য সদা প্রস্তুত থাকা বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলতেন, ‘তুমি সন্ধ্যায় উপনীত হলে আর ভোরের অপেক্ষা করো না এবং ভোরে উপনীত হলে সন্ধ্যার অপেক্ষা করো না। তোমার সুস্থতার অবকাশে পীড়িত অবস্থার জন্য সঞ্চয় করে রেখো। আর হায়াতের দিনগুলোতে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিও। (সহিহ্ বুখারি: ৬৪১৬)
মৃত্যুর চিন্তা মানুষকে আল্লাহভীরু ও সৎকর্মশীল বানায়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা দুনিয়ার স্বাদ বিনাশকারী মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করো।’ (জামে তিরমিজি: ২৩০৬)
মৃত্যু পরম এক উপদেশ ও শ্রেষ্ঠ নসিহত। মৃত্যু চিন্তা সকল পাপকাজ থেকে বিরত রাখে। এই এক উপদেশ শয়তানের প্ররোচনা ও প্রবৃত্তির তাড়নায় হাজারো অপরাধ জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখতে যথেষ্ট।
যার কারণে খলিফাতুল মুসলিমিন হজরত ওমর (রা.) নিজেকে সম্বোধন করে স্বীয় আংটিতে লিপিবদ্ধ করেছিলেন এমন এক উপদেশ—যা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখিত, ‘হে ওমর, নসিহতের জন্য মৃত্যু যথেষ্ট। (ইবনে কাসির ৭ / ১৫১)
লেখক: আব্দুর রহমান, মুহাদ্দিস ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
সন্তান আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান উপহার, এক টুকরা অস্তিত্ব, হৃদয়ের স্পন্দন। সন্তানের সঙ্গে মা-বাবার সম্পর্ক ভালোবাসা ও দয়ার এক স্বর্গীয় বন্ধন। এই ভালোবাসা আল্লাহর পক্ষ থেকে মানব হৃদয়ে প্রবাহিত এক অলৌকিক অনুভব।
২৬ মিনিট আগেমানুষ শুধু শারীরিক কাঠামো নয়; বরং আত্মা ও নৈতিকতা দ্বারা পরিপূর্ণ একটি সত্তা। আত্মার পরিচর্যা ও পরিশুদ্ধিই মানুষের চরিত্রকে করে তোলে মহৎ, আত্মাকে করে আলোকিত। আত্মশুদ্ধি এমন এক গুণ, যা মানুষকে আল্লাহর নৈকট্যে পৌঁছায়, মানবিক গুণাবলিতে পরিপূর্ণ করে, পার্থিব ও পারলৌকিক সফলতার পথ খুলে দেয়।
১ দিন আগেমানুষ সামাজিক জীব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। আর একটি সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশাসন, নৈতিকতা, আইন ও পারস্পরিক সহানুভূতি। কিন্তু যখন সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা, শান্তির পরিবর্তে হানাহানি এবং ন্যায়ের পরিবর্তে জুলুমের সয়লাব হয়...
২ দিন আগেমহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট ভাষায় এ কথা বলেও দিয়েছেন। সুরা জারিয়াতের ৫৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আমি জিন ও মানুষ কেবল এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদত করবে।’ আর মানুষের মাধ্যমে ইবাদত তখনই বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব, যখন মানুষ থাকবে জীবন্ত।
২ দিন আগে