কে এম ছালেহ আহমদ জাহেরী
পরিবার ও সমাজে সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে, উত্তম চরিত্রের ভূমিকা অনন্য। একজন উত্তম চরিত্রবান ব্যক্তিই পারেন, একটি সমাজ ও পরিবারকে বদলে দিতে। পারেন অন্যায়-অবিচার থেকে মুক্ত করে সত্য ও ন্যায়ের পথে ধাবিত করতে।
চারিত্রিক গুণ দিয়েই রাসুল (সা.) পেরেছেন একটি বর্বর জাতিকে আদর্শ জাতিতে পরিণত করতে। সেজন্য বলা হয়, চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ। আর আল্লাহ তাআলার কাছে ওই ব্যক্তিই উত্তম, যে উন্নত চরিত্রের অধিকারী (সহিহ্ বুখারি: ৬০৩৫)। নিম্নে উত্তম চরিত্রের আটটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো—
১. সত্যবাদিতা
উত্তম চরিত্রের অন্যতম একটি সত্যবাদিতা। হাদিসের বাণী—সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই সত্যের পথ অবলম্বন করবে। কারণ সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায়। আর পুণ্য জান্নাতের পথ দেখায়।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৭১)
২. আমানতদারিতা
এটি এক মহৎ গুণ। এ গুণের কারণে রাসুল (সা.) নিজ সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আল-আমিন (বিশ্বাসী) উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, আমানতগুলো তার হকদারের কাছে পৌঁছে দিতে।’ (সুরা নিসা: ৫৮)
৩. মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার
‘আর তোমরা সবাই আল্লাহর বন্দেগি কর। তার সঙ্গে কাউকে শরিক কর না। বাপ-মার সঙ্গে ভালো ব্যবহার কর। নিকট আত্মীয় ও এতিম-মিসকিনদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর। আত্মীয়, প্রতিবেশী, অনাত্মীয় প্রতিবেশী, পার্শ্বসঙ্গী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাধীন বাদী ও গোলামদের প্রতি সদয় ব্যবহার কর। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ, আল্লাহ এমন কোনো ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না যে, আত্ম-অহংকারে ধরাকে সরা জ্ঞান করে এবং নিজের বড়াই করে।’ (সুরা নিসা: ৩৬)
৪. আত্মীয়তার সম্পর্ক
‘ক্ষমতা লাভ করলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করবে এবং রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। এসব যারা করবে, তাদের প্রতিই আল্লাহ অভিসম্পাত করেন। অতঃপর তাদের বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন করেন।’ (সুরা মুহাম্মাদ: ২২,২৩)। রাসুল বলেন, ‘আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী বেহেশতে প্রবেশ করবে না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৮৮৪)
৫. অঙ্গীকার পূর্ণ করা
অঙ্গীকার পূর্ণ করার মাধ্যমে ব্যক্তির প্রতি বিশ্বাসের আস্থা বৃদ্ধি পায়। সে কারণে ইসলাম অঙ্গীকার পূর্ণ করার ব্যাপারে জোর তাগিদ দিয়েছে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর অঙ্গীকার পূর্ণ কর। কেননা অঙ্গীকার সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৪)
৬. প্রতিবেশীর হক
এটি শুধু উত্তম চরিত্রই নয়, নৈতিক দায়িত্বও বটে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এবং মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর। একই সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করো নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, নিকটতম প্রতিবেশী ও দূরবর্তী প্রতিবেশীদের সঙ্গেও।’ (সুরা নিসা: ৩৬)
৭. লজ্জা
লজ্জা কল্যাণের বাহক। লজ্জা মানুষকে অন্যায়-অশ্লীল, পাপাচার থেকে রক্ষা করে। রাসূল বলেন, লজ্জা কল্যাণ ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনে না। (সহিহ্ বুখারি: ৬১১৭)
৮. দয়া ও করুণা
দয়া ও করুণার মধ্যেই ফুটে ওঠে উত্তম চরিত্র। এটি একটি মহৎ গুণ ও ইমানদারের বৈশিষ্ট্য। কেননা, প্রকৃত মুমিন তো সেই, যে দয়াময়, পরোপকারী ও কল্যাণকামী। রাসূল বলেন, সম্প্রীতি ও সহানুভূতির ক্ষেত্রে মুমিনের দৃষ্টান্ত একটি দেহের মতো। (সহিহ্ বুখারি: ৬০১১)
লেখক: খতিব ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
পরিবার ও সমাজে সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে, উত্তম চরিত্রের ভূমিকা অনন্য। একজন উত্তম চরিত্রবান ব্যক্তিই পারেন, একটি সমাজ ও পরিবারকে বদলে দিতে। পারেন অন্যায়-অবিচার থেকে মুক্ত করে সত্য ও ন্যায়ের পথে ধাবিত করতে।
চারিত্রিক গুণ দিয়েই রাসুল (সা.) পেরেছেন একটি বর্বর জাতিকে আদর্শ জাতিতে পরিণত করতে। সেজন্য বলা হয়, চরিত্র মানুষের অমূল্য সম্পদ। আর আল্লাহ তাআলার কাছে ওই ব্যক্তিই উত্তম, যে উন্নত চরিত্রের অধিকারী (সহিহ্ বুখারি: ৬০৩৫)। নিম্নে উত্তম চরিত্রের আটটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো—
১. সত্যবাদিতা
উত্তম চরিত্রের অন্যতম একটি সত্যবাদিতা। হাদিসের বাণী—সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই সত্যের পথ অবলম্বন করবে। কারণ সত্যবাদিতা পুণ্যের পথ দেখায়। আর পুণ্য জান্নাতের পথ দেখায়।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৭১)
২. আমানতদারিতা
এটি এক মহৎ গুণ। এ গুণের কারণে রাসুল (সা.) নিজ সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আল-আমিন (বিশ্বাসী) উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, আমানতগুলো তার হকদারের কাছে পৌঁছে দিতে।’ (সুরা নিসা: ৫৮)
৩. মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার
‘আর তোমরা সবাই আল্লাহর বন্দেগি কর। তার সঙ্গে কাউকে শরিক কর না। বাপ-মার সঙ্গে ভালো ব্যবহার কর। নিকট আত্মীয় ও এতিম-মিসকিনদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর। আত্মীয়, প্রতিবেশী, অনাত্মীয় প্রতিবেশী, পার্শ্বসঙ্গী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাধীন বাদী ও গোলামদের প্রতি সদয় ব্যবহার কর। নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ, আল্লাহ এমন কোনো ব্যক্তিকে পছন্দ করেন না যে, আত্ম-অহংকারে ধরাকে সরা জ্ঞান করে এবং নিজের বড়াই করে।’ (সুরা নিসা: ৩৬)
৪. আত্মীয়তার সম্পর্ক
‘ক্ষমতা লাভ করলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করবে এবং রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। এসব যারা করবে, তাদের প্রতিই আল্লাহ অভিসম্পাত করেন। অতঃপর তাদের বধির ও দৃষ্টিশক্তিহীন করেন।’ (সুরা মুহাম্মাদ: ২২,২৩)। রাসুল বলেন, ‘আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী বেহেশতে প্রবেশ করবে না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৮৮৪)
৫. অঙ্গীকার পূর্ণ করা
অঙ্গীকার পূর্ণ করার মাধ্যমে ব্যক্তির প্রতি বিশ্বাসের আস্থা বৃদ্ধি পায়। সে কারণে ইসলাম অঙ্গীকার পূর্ণ করার ব্যাপারে জোর তাগিদ দিয়েছে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর অঙ্গীকার পূর্ণ কর। কেননা অঙ্গীকার সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ৩৪)
৬. প্রতিবেশীর হক
এটি শুধু উত্তম চরিত্রই নয়, নৈতিক দায়িত্বও বটে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এবং মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর। একই সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করো নিকটাত্মীয়, এতিম, মিসকিন, নিকটতম প্রতিবেশী ও দূরবর্তী প্রতিবেশীদের সঙ্গেও।’ (সুরা নিসা: ৩৬)
৭. লজ্জা
লজ্জা কল্যাণের বাহক। লজ্জা মানুষকে অন্যায়-অশ্লীল, পাপাচার থেকে রক্ষা করে। রাসূল বলেন, লজ্জা কল্যাণ ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনে না। (সহিহ্ বুখারি: ৬১১৭)
৮. দয়া ও করুণা
দয়া ও করুণার মধ্যেই ফুটে ওঠে উত্তম চরিত্র। এটি একটি মহৎ গুণ ও ইমানদারের বৈশিষ্ট্য। কেননা, প্রকৃত মুমিন তো সেই, যে দয়াময়, পরোপকারী ও কল্যাণকামী। রাসূল বলেন, সম্প্রীতি ও সহানুভূতির ক্ষেত্রে মুমিনের দৃষ্টান্ত একটি দেহের মতো। (সহিহ্ বুখারি: ৬০১১)
লেখক: খতিব ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগেরাসুল (সা.)-এর শিক্ষা প্রতিটি অমানবিক প্রথার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান হয়ে উঠেছিল। তিনি মূর্তিপূজার চূর্ণ করে গড়ে তোলেন আল্লাহর একত্ববাদের দালান। নারীর দিলেন তার প্রাপ্ত মর্যাদা। কন্যাশিশুর অধিকার নিশ্চিত করলেন। সামাজিক অসংগতি, সুদ ও লুণ্ঠন বিলুপ্ত করে প্রতিষ্ঠা ন্যায় ও ইনসাফ।
১ দিন আগেমহান আল্লাহর অসীম করুণা ও ভালোবাসার এক অনন্য প্রকাশ হলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.), যিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য সর্বশেষ বার্তাবাহক বা নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন। তাঁর আগমন কোনো সাধারণ ঘটনা ছিল না; বরং তা ছিল সৃষ্টির মধ্যে এক নতুন ভোর, যা অজ্ঞতা ও আঁধারের পর্দা সরিয়ে সত্যের আলো ছড়িয়ে দিয়েছে...
১ দিন আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে