কাউসার লাবীব

সপ্তাহজুড়ে কর্মব্যস্ততা, নানা চাহিদা আর ক্লান্তির পর মুসলিম জীবনের এক বিশেষ অবলম্বন হলো জুমার দিন। এটি শুধু একটি সপ্তাহান্ত নয়—বরং তা ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি অপূর্ব সুযোগ। হাদিসে এসেছে, জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)
এ ছাড়া এই দিনের রয়েছে আলাদা মর্যাদা ও ফজিলত। তাই শুধু জুমার নামাজ আদায় করলেই নয়, বরং যথাযথ প্রস্তুতি ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত পালনের মাধ্যমেই এ দিনের পূর্ণ কল্যাণ লাভ সম্ভব।
জুমার দিনের বেশ ফজিলতপূর্ণ কিছু আমল রয়েছে। যেমন—
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
তাই জুমাবার দিনের বেলায় কেউ ব্যস্ততা বা কোনো কারণে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের সুযোগ করতে না পারলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করলে তা জুমার দিনে পড়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
পাশাপাশি জুমার প্রস্তুতিও রাত থেকেই শুরু হতে পারে। রাতে আগে আগে ঘুমিয়ে যাওয়া, জুমায় যাওয়ার পোশাক প্রস্তুত করে রাখাসহ যেসব কাজ আগেই সেরে ফেলা যায়—তা সেরে ফেললেই ভালো। জুমার মূল প্রস্তুতি শুরু হবে জুমার দিন সকাল থেকে। নবী করিম (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিস থেকে জুমার নামাজের প্রস্তুতি বিষয়ে যা জানা যায়, তা তুলে ধরা হলো—
১. জুমার নামাজের প্রস্তুতি মেসওয়াক করার মাধ্যমে শুরু হতে পারে। আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করতেন। নবীজি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের জন্য যদি কঠিন না মনে করতাম—তাহলে প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করার আদেশ দিতাম।’ (সহিহ্ বুখারি)
২. জুমার নামাজে যাওয়ার জন্য এ দিন একটু আগে আগে মিসওয়াক করে অজু করে গোসল সেরে নেওয়া উচিত। জুমার দিন গোসল করা সুন্নত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ জুমার নামাজে এলে সে যেন গোসল করে আসে।’ (সহিহ্ বুখারি)
৩. গোসল শেষে জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তেল মাখা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। (সহিহ্ বুখারি)
৪. জুমার নামাজে যাওয়ার সময় সাধ্য অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ভালো পোশাক পরা উত্তম। (সহিহ্ বুখারি)
৫. প্রস্তুতি শেষে জুমার দিন আগেভাগেই মসজিদে উপস্থিত হওয়া উচিত। কেননা, এতে রয়েছে বিশেষ নেকি পাওয়ার সম্ভাবনা।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা জুমার দিনে মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লেখেন। সবার আগে যে আসে, তার নামে একটি উট সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। তারপর যে আসে ওই ব্যক্তির আমলনামায় একটি গাভি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি মুরগি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি ডিম সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে আসেন—তখন ফেরেশতারা আমল লেখার খাতা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৮৮২)
৬. পায়ে হেঁটে জুমার নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার মধ্যে রয়েছে বিশেষ সওয়াব। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন যে গোসল করে জুমার সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে যাবে, যাওয়ার সময় কোনো বাহনে চড়বে না—হেঁটে যাবে, ইমামের কাছাকাছি বসবে, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না—সে মসজিদে আসার প্রতিটি কদমে এক বছর নফল রোজা রাখা ও এক বছর নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব পাবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩৪৫, জামে তিরমিজি: ৪৫৬)
৭. মসজিদে যাওয়ার পর মনোযোগ দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা উচিত। নবী করিম (সা.) এমনটিই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জুমার দিনে যে ব্যক্তি মাথা ও শরীর ধুয়ে ভালোভাবে গোসল করে জুমার সময়ের প্রথম সময়েই কোনো বাহনে আরোহণ না করে হেঁটে মসজিদে যায় এবং ইমামের কাছাকাছি বসে, নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনে, কোনো অনর্থক কাজ না করে—তার প্রত্যেক কদমে এক বছর আমল করার সওয়াব হবে।’ (সুনানে নাসায়ি: ১৩৮৪)
এককথায় জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়গুলো হলো—
এভাবে প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করলে এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত হওয়া সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। নবী করিম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করল, নিজের সাধ্যমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা করল, তারপর তেল ও সুগন্ধ ব্যবহার করল, অতঃপর দ্বিপ্রহরের পর মসজিদে গিয়ে এভাবে বসল—দুজন লোককে পরস্পর বিচ্ছিন্ন করেনি অর্থাৎ দুজনের মাঝখানে জোর করে প্রবেশ করেনি। তারপর সে তার ওপর নির্ধারিত নামাজ আদায় করল, ইমাম যখন (মিম্বারের দিকে) বের হলো, তখন সে চুপচাপ (বসে খুতবা শুনতে) থাকল, তা হলে সে এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত যত পাপ করেছে, ওই সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি)
জুমা মানেই শুধুমাত্র মসজিদে যাওয়া নয়, বরং এ দিনটি একটি পূর্ণাঙ্গ ইবাদতের দিন। ছোট ছোট কিছু প্রস্তুতি ও আমলের মাধ্যমে এ দিনের ফজিলতকে অর্জন করা যায়। সঠিকভাবে গোসল, পরিচ্ছন্নতা, খুশবু, আগেভাগে যাওয়া, খুতবা শোনা এবং দরুদ-দোয়া—এসবই আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে জুমার মর্যাদা অনুধাবন করে যথাযথভাবে পালন করার তৌফিক দিন।

সপ্তাহজুড়ে কর্মব্যস্ততা, নানা চাহিদা আর ক্লান্তির পর মুসলিম জীবনের এক বিশেষ অবলম্বন হলো জুমার দিন। এটি শুধু একটি সপ্তাহান্ত নয়—বরং তা ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি অপূর্ব সুযোগ। হাদিসে এসেছে, জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)
এ ছাড়া এই দিনের রয়েছে আলাদা মর্যাদা ও ফজিলত। তাই শুধু জুমার নামাজ আদায় করলেই নয়, বরং যথাযথ প্রস্তুতি ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত পালনের মাধ্যমেই এ দিনের পূর্ণ কল্যাণ লাভ সম্ভব।
জুমার দিনের বেশ ফজিলতপূর্ণ কিছু আমল রয়েছে। যেমন—
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
তাই জুমাবার দিনের বেলায় কেউ ব্যস্ততা বা কোনো কারণে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের সুযোগ করতে না পারলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করলে তা জুমার দিনে পড়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
পাশাপাশি জুমার প্রস্তুতিও রাত থেকেই শুরু হতে পারে। রাতে আগে আগে ঘুমিয়ে যাওয়া, জুমায় যাওয়ার পোশাক প্রস্তুত করে রাখাসহ যেসব কাজ আগেই সেরে ফেলা যায়—তা সেরে ফেললেই ভালো। জুমার মূল প্রস্তুতি শুরু হবে জুমার দিন সকাল থেকে। নবী করিম (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিস থেকে জুমার নামাজের প্রস্তুতি বিষয়ে যা জানা যায়, তা তুলে ধরা হলো—
১. জুমার নামাজের প্রস্তুতি মেসওয়াক করার মাধ্যমে শুরু হতে পারে। আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করতেন। নবীজি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের জন্য যদি কঠিন না মনে করতাম—তাহলে প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করার আদেশ দিতাম।’ (সহিহ্ বুখারি)
২. জুমার নামাজে যাওয়ার জন্য এ দিন একটু আগে আগে মিসওয়াক করে অজু করে গোসল সেরে নেওয়া উচিত। জুমার দিন গোসল করা সুন্নত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ জুমার নামাজে এলে সে যেন গোসল করে আসে।’ (সহিহ্ বুখারি)
৩. গোসল শেষে জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তেল মাখা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। (সহিহ্ বুখারি)
৪. জুমার নামাজে যাওয়ার সময় সাধ্য অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ভালো পোশাক পরা উত্তম। (সহিহ্ বুখারি)
৫. প্রস্তুতি শেষে জুমার দিন আগেভাগেই মসজিদে উপস্থিত হওয়া উচিত। কেননা, এতে রয়েছে বিশেষ নেকি পাওয়ার সম্ভাবনা।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা জুমার দিনে মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লেখেন। সবার আগে যে আসে, তার নামে একটি উট সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। তারপর যে আসে ওই ব্যক্তির আমলনামায় একটি গাভি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি মুরগি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি ডিম সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে আসেন—তখন ফেরেশতারা আমল লেখার খাতা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৮৮২)
৬. পায়ে হেঁটে জুমার নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার মধ্যে রয়েছে বিশেষ সওয়াব। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন যে গোসল করে জুমার সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে যাবে, যাওয়ার সময় কোনো বাহনে চড়বে না—হেঁটে যাবে, ইমামের কাছাকাছি বসবে, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না—সে মসজিদে আসার প্রতিটি কদমে এক বছর নফল রোজা রাখা ও এক বছর নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব পাবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩৪৫, জামে তিরমিজি: ৪৫৬)
৭. মসজিদে যাওয়ার পর মনোযোগ দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা উচিত। নবী করিম (সা.) এমনটিই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জুমার দিনে যে ব্যক্তি মাথা ও শরীর ধুয়ে ভালোভাবে গোসল করে জুমার সময়ের প্রথম সময়েই কোনো বাহনে আরোহণ না করে হেঁটে মসজিদে যায় এবং ইমামের কাছাকাছি বসে, নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনে, কোনো অনর্থক কাজ না করে—তার প্রত্যেক কদমে এক বছর আমল করার সওয়াব হবে।’ (সুনানে নাসায়ি: ১৩৮৪)
এককথায় জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়গুলো হলো—
এভাবে প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করলে এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত হওয়া সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। নবী করিম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করল, নিজের সাধ্যমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা করল, তারপর তেল ও সুগন্ধ ব্যবহার করল, অতঃপর দ্বিপ্রহরের পর মসজিদে গিয়ে এভাবে বসল—দুজন লোককে পরস্পর বিচ্ছিন্ন করেনি অর্থাৎ দুজনের মাঝখানে জোর করে প্রবেশ করেনি। তারপর সে তার ওপর নির্ধারিত নামাজ আদায় করল, ইমাম যখন (মিম্বারের দিকে) বের হলো, তখন সে চুপচাপ (বসে খুতবা শুনতে) থাকল, তা হলে সে এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত যত পাপ করেছে, ওই সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি)
জুমা মানেই শুধুমাত্র মসজিদে যাওয়া নয়, বরং এ দিনটি একটি পূর্ণাঙ্গ ইবাদতের দিন। ছোট ছোট কিছু প্রস্তুতি ও আমলের মাধ্যমে এ দিনের ফজিলতকে অর্জন করা যায়। সঠিকভাবে গোসল, পরিচ্ছন্নতা, খুশবু, আগেভাগে যাওয়া, খুতবা শোনা এবং দরুদ-দোয়া—এসবই আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে জুমার মর্যাদা অনুধাবন করে যথাযথভাবে পালন করার তৌফিক দিন।
কাউসার লাবীব

সপ্তাহজুড়ে কর্মব্যস্ততা, নানা চাহিদা আর ক্লান্তির পর মুসলিম জীবনের এক বিশেষ অবলম্বন হলো জুমার দিন। এটি শুধু একটি সপ্তাহান্ত নয়—বরং তা ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি অপূর্ব সুযোগ। হাদিসে এসেছে, জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)
এ ছাড়া এই দিনের রয়েছে আলাদা মর্যাদা ও ফজিলত। তাই শুধু জুমার নামাজ আদায় করলেই নয়, বরং যথাযথ প্রস্তুতি ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত পালনের মাধ্যমেই এ দিনের পূর্ণ কল্যাণ লাভ সম্ভব।
জুমার দিনের বেশ ফজিলতপূর্ণ কিছু আমল রয়েছে। যেমন—
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
তাই জুমাবার দিনের বেলায় কেউ ব্যস্ততা বা কোনো কারণে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের সুযোগ করতে না পারলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করলে তা জুমার দিনে পড়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
পাশাপাশি জুমার প্রস্তুতিও রাত থেকেই শুরু হতে পারে। রাতে আগে আগে ঘুমিয়ে যাওয়া, জুমায় যাওয়ার পোশাক প্রস্তুত করে রাখাসহ যেসব কাজ আগেই সেরে ফেলা যায়—তা সেরে ফেললেই ভালো। জুমার মূল প্রস্তুতি শুরু হবে জুমার দিন সকাল থেকে। নবী করিম (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিস থেকে জুমার নামাজের প্রস্তুতি বিষয়ে যা জানা যায়, তা তুলে ধরা হলো—
১. জুমার নামাজের প্রস্তুতি মেসওয়াক করার মাধ্যমে শুরু হতে পারে। আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করতেন। নবীজি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের জন্য যদি কঠিন না মনে করতাম—তাহলে প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করার আদেশ দিতাম।’ (সহিহ্ বুখারি)
২. জুমার নামাজে যাওয়ার জন্য এ দিন একটু আগে আগে মিসওয়াক করে অজু করে গোসল সেরে নেওয়া উচিত। জুমার দিন গোসল করা সুন্নত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ জুমার নামাজে এলে সে যেন গোসল করে আসে।’ (সহিহ্ বুখারি)
৩. গোসল শেষে জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তেল মাখা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। (সহিহ্ বুখারি)
৪. জুমার নামাজে যাওয়ার সময় সাধ্য অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ভালো পোশাক পরা উত্তম। (সহিহ্ বুখারি)
৫. প্রস্তুতি শেষে জুমার দিন আগেভাগেই মসজিদে উপস্থিত হওয়া উচিত। কেননা, এতে রয়েছে বিশেষ নেকি পাওয়ার সম্ভাবনা।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা জুমার দিনে মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লেখেন। সবার আগে যে আসে, তার নামে একটি উট সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। তারপর যে আসে ওই ব্যক্তির আমলনামায় একটি গাভি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি মুরগি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি ডিম সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে আসেন—তখন ফেরেশতারা আমল লেখার খাতা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৮৮২)
৬. পায়ে হেঁটে জুমার নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার মধ্যে রয়েছে বিশেষ সওয়াব। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন যে গোসল করে জুমার সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে যাবে, যাওয়ার সময় কোনো বাহনে চড়বে না—হেঁটে যাবে, ইমামের কাছাকাছি বসবে, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না—সে মসজিদে আসার প্রতিটি কদমে এক বছর নফল রোজা রাখা ও এক বছর নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব পাবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩৪৫, জামে তিরমিজি: ৪৫৬)
৭. মসজিদে যাওয়ার পর মনোযোগ দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা উচিত। নবী করিম (সা.) এমনটিই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জুমার দিনে যে ব্যক্তি মাথা ও শরীর ধুয়ে ভালোভাবে গোসল করে জুমার সময়ের প্রথম সময়েই কোনো বাহনে আরোহণ না করে হেঁটে মসজিদে যায় এবং ইমামের কাছাকাছি বসে, নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনে, কোনো অনর্থক কাজ না করে—তার প্রত্যেক কদমে এক বছর আমল করার সওয়াব হবে।’ (সুনানে নাসায়ি: ১৩৮৪)
এককথায় জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়গুলো হলো—
এভাবে প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করলে এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত হওয়া সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। নবী করিম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করল, নিজের সাধ্যমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা করল, তারপর তেল ও সুগন্ধ ব্যবহার করল, অতঃপর দ্বিপ্রহরের পর মসজিদে গিয়ে এভাবে বসল—দুজন লোককে পরস্পর বিচ্ছিন্ন করেনি অর্থাৎ দুজনের মাঝখানে জোর করে প্রবেশ করেনি। তারপর সে তার ওপর নির্ধারিত নামাজ আদায় করল, ইমাম যখন (মিম্বারের দিকে) বের হলো, তখন সে চুপচাপ (বসে খুতবা শুনতে) থাকল, তা হলে সে এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত যত পাপ করেছে, ওই সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি)
জুমা মানেই শুধুমাত্র মসজিদে যাওয়া নয়, বরং এ দিনটি একটি পূর্ণাঙ্গ ইবাদতের দিন। ছোট ছোট কিছু প্রস্তুতি ও আমলের মাধ্যমে এ দিনের ফজিলতকে অর্জন করা যায়। সঠিকভাবে গোসল, পরিচ্ছন্নতা, খুশবু, আগেভাগে যাওয়া, খুতবা শোনা এবং দরুদ-দোয়া—এসবই আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে জুমার মর্যাদা অনুধাবন করে যথাযথভাবে পালন করার তৌফিক দিন।

সপ্তাহজুড়ে কর্মব্যস্ততা, নানা চাহিদা আর ক্লান্তির পর মুসলিম জীবনের এক বিশেষ অবলম্বন হলো জুমার দিন। এটি শুধু একটি সপ্তাহান্ত নয়—বরং তা ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি অপূর্ব সুযোগ। হাদিসে এসেছে, জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)
এ ছাড়া এই দিনের রয়েছে আলাদা মর্যাদা ও ফজিলত। তাই শুধু জুমার নামাজ আদায় করলেই নয়, বরং যথাযথ প্রস্তুতি ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত পালনের মাধ্যমেই এ দিনের পূর্ণ কল্যাণ লাভ সম্ভব।
জুমার দিনের বেশ ফজিলতপূর্ণ কিছু আমল রয়েছে। যেমন—
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
তাই জুমাবার দিনের বেলায় কেউ ব্যস্ততা বা কোনো কারণে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের সুযোগ করতে না পারলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করলে তা জুমার দিনে পড়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
পাশাপাশি জুমার প্রস্তুতিও রাত থেকেই শুরু হতে পারে। রাতে আগে আগে ঘুমিয়ে যাওয়া, জুমায় যাওয়ার পোশাক প্রস্তুত করে রাখাসহ যেসব কাজ আগেই সেরে ফেলা যায়—তা সেরে ফেললেই ভালো। জুমার মূল প্রস্তুতি শুরু হবে জুমার দিন সকাল থেকে। নবী করিম (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিস থেকে জুমার নামাজের প্রস্তুতি বিষয়ে যা জানা যায়, তা তুলে ধরা হলো—
১. জুমার নামাজের প্রস্তুতি মেসওয়াক করার মাধ্যমে শুরু হতে পারে। আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করতেন। নবীজি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের জন্য যদি কঠিন না মনে করতাম—তাহলে প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করার আদেশ দিতাম।’ (সহিহ্ বুখারি)
২. জুমার নামাজে যাওয়ার জন্য এ দিন একটু আগে আগে মিসওয়াক করে অজু করে গোসল সেরে নেওয়া উচিত। জুমার দিন গোসল করা সুন্নত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ জুমার নামাজে এলে সে যেন গোসল করে আসে।’ (সহিহ্ বুখারি)
৩. গোসল শেষে জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তেল মাখা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। (সহিহ্ বুখারি)
৪. জুমার নামাজে যাওয়ার সময় সাধ্য অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ভালো পোশাক পরা উত্তম। (সহিহ্ বুখারি)
৫. প্রস্তুতি শেষে জুমার দিন আগেভাগেই মসজিদে উপস্থিত হওয়া উচিত। কেননা, এতে রয়েছে বিশেষ নেকি পাওয়ার সম্ভাবনা।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা জুমার দিনে মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লেখেন। সবার আগে যে আসে, তার নামে একটি উট সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। তারপর যে আসে ওই ব্যক্তির আমলনামায় একটি গাভি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি মুরগি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি ডিম সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে আসেন—তখন ফেরেশতারা আমল লেখার খাতা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৮৮২)
৬. পায়ে হেঁটে জুমার নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার মধ্যে রয়েছে বিশেষ সওয়াব। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন যে গোসল করে জুমার সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে যাবে, যাওয়ার সময় কোনো বাহনে চড়বে না—হেঁটে যাবে, ইমামের কাছাকাছি বসবে, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না—সে মসজিদে আসার প্রতিটি কদমে এক বছর নফল রোজা রাখা ও এক বছর নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব পাবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩৪৫, জামে তিরমিজি: ৪৫৬)
৭. মসজিদে যাওয়ার পর মনোযোগ দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা উচিত। নবী করিম (সা.) এমনটিই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জুমার দিনে যে ব্যক্তি মাথা ও শরীর ধুয়ে ভালোভাবে গোসল করে জুমার সময়ের প্রথম সময়েই কোনো বাহনে আরোহণ না করে হেঁটে মসজিদে যায় এবং ইমামের কাছাকাছি বসে, নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনে, কোনো অনর্থক কাজ না করে—তার প্রত্যেক কদমে এক বছর আমল করার সওয়াব হবে।’ (সুনানে নাসায়ি: ১৩৮৪)
এককথায় জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়গুলো হলো—
এভাবে প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করলে এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত হওয়া সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। নবী করিম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করল, নিজের সাধ্যমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা করল, তারপর তেল ও সুগন্ধ ব্যবহার করল, অতঃপর দ্বিপ্রহরের পর মসজিদে গিয়ে এভাবে বসল—দুজন লোককে পরস্পর বিচ্ছিন্ন করেনি অর্থাৎ দুজনের মাঝখানে জোর করে প্রবেশ করেনি। তারপর সে তার ওপর নির্ধারিত নামাজ আদায় করল, ইমাম যখন (মিম্বারের দিকে) বের হলো, তখন সে চুপচাপ (বসে খুতবা শুনতে) থাকল, তা হলে সে এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত যত পাপ করেছে, ওই সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি)
জুমা মানেই শুধুমাত্র মসজিদে যাওয়া নয়, বরং এ দিনটি একটি পূর্ণাঙ্গ ইবাদতের দিন। ছোট ছোট কিছু প্রস্তুতি ও আমলের মাধ্যমে এ দিনের ফজিলতকে অর্জন করা যায়। সঠিকভাবে গোসল, পরিচ্ছন্নতা, খুশবু, আগেভাগে যাওয়া, খুতবা শোনা এবং দরুদ-দোয়া—এসবই আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে জুমার মর্যাদা অনুধাবন করে যথাযথভাবে পালন করার তৌফিক দিন।

নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৩ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
১০ জুলাই ২০২৫
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৩ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
১০ জুলাই ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
১০ জুলাই ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
১০ জুলাই ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
২ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৩ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে