আবদুল আযীয কাসেমি

শিক্ষকতা মহৎ পেশা। একজন আদর্শ শিক্ষকের হাত ধরেই গড়ে ওঠে একটি আদর্শ প্রজন্ম। শিক্ষকের মহৎ গুণাবলির সার্থক ছায়াপাত ঘটে তাঁর ছাত্রের জীবনে। একজন শিক্ষক সফল হন তাঁর মহৎ গুণের কারণে। গুণী একজন শিক্ষকই গড়তে পারেন যোগ্য ছাত্রের দল।
শিক্ষকের ব্যর্থতা কিংবা আদর্শহীনতা প্রজন্মকে বন্ধ্যা করে দেয়। মহানবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর সেরা শিক্ষক। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের মধ্য থেকে নবী পাঠিয়ে তাদের প্রতি দয়া করেছেন, যিনি তাদের আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করে শোনাবেন, তাদের পরিশুদ্ধ করবেন এবং কিতাব ও প্রজ্ঞা শেখাবেন।’
(সুরা আলে ইমরান: ১৬৪)
মহানবী (সা.)-এর আলোকিত জীবনের নানা ঘটনায় শিক্ষাদানের আদর্শ নীতি প্রতিভাত হয়। এখানে তেমনই কয়েকটি নীতির কথা তুলে ধরা হলো—
সহনশীলতা ও ধৈর্য
শিক্ষকের জন্য সহনশীলতার গুণ থাকা অপরিহার্য। কারণ মাঝেমধ্যে তাঁকে এমন কঠিন সংকটময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, যখন মানুষ সাধারণত মেজাজ হারায়। এমন পরিস্থিতিতে রাগ না করে অত্যন্ত শান্ত-শিষ্টভাবে সংশোধন করতে পারা একজন আদর্শ শিক্ষকের কর্তব্য। একবার এক বেদুইন মসজিদে নববিতে ঢুকে এক কোণে প্রস্রাব করতে শুরু করল। সাহাবিরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে নবী (সা.) তাদের নিষেধ করলেন। বললেন, ‘তাকে প্রস্রাব শেষ করতে দাও।’ সে শেষ করলে নবীজি এক সাহাবিকে নির্দেশ দিলেন, ‘পানি এনে জায়গাটি পরিষ্কার করে দাও।’ এরপর সেই বেদুইন লোককে কাছে ডেকে অত্যন্ত মমতাসহকারে বললেন, ‘দেখো ভাই, এসব মসজিদ আল্লাহ তাআলার ইবাদতের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করার জন্য এসব নির্মাণ করা হয়নি।’ এরপর নবীজি তাকে আর কিছু বললেন না। (আবু দাউদ)
মহানবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর সেরা শিক্ষক। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
শিক্ষার্থী সম্পর্কে জানা
একজন প্রাজ্ঞ শিক্ষক তাঁর সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে একই আচরণ করেন না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রকৃতি ও স্বভাব বোঝার চেষ্টা করেন এবং সে অনুপাতে নির্দেশনা প্রদান করেন। মহানবী (সা.)-এর মধ্যে এ গুণ সর্বোচ্চ মাত্রায় বিদ্যমান ছিল। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস বলেন, আমরা নবীজির সঙ্গে একটি মজলিশে বসা ছিলাম। হঠাৎ করে এক যুবক এসে জিজ্ঞাসা করল, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমি কি আমার স্ত্রীকে রোজা রেখে চুম্বন করতে পারব?’ নবীজি বললেন, ‘না, এটা তোমার জন্য অনুমোদিত নয়।’ কিছুক্ষণ পর এক বৃদ্ধ এসে একই প্রশ্ন করল। নবীজি তাকে বললেন, ‘হ্যাঁ, এটা আপনার জন্য অনুমোদিত।’ আমরা পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছিলাম। নবীজি আমাদের বিস্ময়ের বিষয়টি বুঝে গেলেন এবং আমাদের বললেন, ‘বৃদ্ধ লোকটি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে।’ (মুসনাদে আহমদ)
যুক্তি ও উদাহরণের ব্যবহার
কঠিন বিষয় সহজে বোঝাতে সফল শিক্ষকেরা কৌশলটির আশ্রয় গ্রহণ করে থাকেন। যে শিক্ষক যত সার্থক দৃষ্টান্ত দিয়ে আলোচ্য বিষয় ছাত্রদের সামনে সরলভাবে তুলে ধরতে পারেন, তিনি তত বেশি ছাত্রদের মধ্যে নিজের বিশেষ অবস্থান গড়ে নিতে সক্ষম হন। মহানবী (সা.) চমৎকার সব উদাহরণ দিয়ে জ্ঞানার্থীর সামনে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করতেন। আবু জর গিফারি বলেন, নবীজি (সা.) বলেন, ‘(স্ত্রীর সঙ্গে) সহবাসের কারণেও তোমাদের সদকা ও দানের সওয়াব হয়।’ সাহাবিরা বিস্ময়ের সুরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমরা যদি নিজের মনোবাঞ্ছা ও জৈবিক চাহিদা পূর্ণ করি তখনো সওয়াব হবে?’ রাসুল (সা.) সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘আচ্ছা বলো তো, যদি তোমরা অবৈধ উপায়ে তোমাদের যৌন চাহিদা পূর্ণ করতে, তবে কি তোমাদের পাপ হতো না?’ তারা বলল, ‘অবশ্যই হতো।’ তখন নবীজি বললেন, ‘তবে বৈধভাবে পূর্ণ করলে সওয়াব হবে না কেন? অবশ্যই সে সওয়াবের অধিকারী হবে।’ (মুসলিম)
শিশুদের মনস্তত্ত্ব বোঝা
শিশুদের সংশোধন ও শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টি বেশ জটিল। তাদের মনস্তত্ত্ব না বোঝার ফলে অনেক শিক্ষকই শিক্ষাকে শিশুদের কাছে ভীতিকর করে তোলেন। অথচ শিক্ষা আনন্দের বিষয়। শিশুরা মুখে বলার চেয়ে কাজের মাধ্যমে বেশি শেখে। এ ছাড়া তাদের আদর করে শিখিয়ে দিলে খুব দ্রুত বিষয়টি আয়ত্ত করতে পারে। ওমর ইবনে আবু সালামা (রা.) বলেন, আমি নবীজির ঘরে পালিত হচ্ছিলাম। আমরা একসঙ্গে খেতে বসতাম। খাওয়ার সময় প্লেটে আমার হাত এদিক-সেদিক ঘুরত। অর্থাৎ একবার ওর সামনে থেকে, একবার এর সামনে থেকে নিয়ে খেতাম। একদিন মহানবী (সা.) স্নেহমাখা কণ্ঠে বললেন, ‘বাবু, খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়ে নেবে। ডান হাতে খাবে ও নিজের সামনে থেকে খাবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

শিক্ষকতা মহৎ পেশা। একজন আদর্শ শিক্ষকের হাত ধরেই গড়ে ওঠে একটি আদর্শ প্রজন্ম। শিক্ষকের মহৎ গুণাবলির সার্থক ছায়াপাত ঘটে তাঁর ছাত্রের জীবনে। একজন শিক্ষক সফল হন তাঁর মহৎ গুণের কারণে। গুণী একজন শিক্ষকই গড়তে পারেন যোগ্য ছাত্রের দল।
শিক্ষকের ব্যর্থতা কিংবা আদর্শহীনতা প্রজন্মকে বন্ধ্যা করে দেয়। মহানবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর সেরা শিক্ষক। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের মধ্য থেকে নবী পাঠিয়ে তাদের প্রতি দয়া করেছেন, যিনি তাদের আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করে শোনাবেন, তাদের পরিশুদ্ধ করবেন এবং কিতাব ও প্রজ্ঞা শেখাবেন।’
(সুরা আলে ইমরান: ১৬৪)
মহানবী (সা.)-এর আলোকিত জীবনের নানা ঘটনায় শিক্ষাদানের আদর্শ নীতি প্রতিভাত হয়। এখানে তেমনই কয়েকটি নীতির কথা তুলে ধরা হলো—
সহনশীলতা ও ধৈর্য
শিক্ষকের জন্য সহনশীলতার গুণ থাকা অপরিহার্য। কারণ মাঝেমধ্যে তাঁকে এমন কঠিন সংকটময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, যখন মানুষ সাধারণত মেজাজ হারায়। এমন পরিস্থিতিতে রাগ না করে অত্যন্ত শান্ত-শিষ্টভাবে সংশোধন করতে পারা একজন আদর্শ শিক্ষকের কর্তব্য। একবার এক বেদুইন মসজিদে নববিতে ঢুকে এক কোণে প্রস্রাব করতে শুরু করল। সাহাবিরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে নবী (সা.) তাদের নিষেধ করলেন। বললেন, ‘তাকে প্রস্রাব শেষ করতে দাও।’ সে শেষ করলে নবীজি এক সাহাবিকে নির্দেশ দিলেন, ‘পানি এনে জায়গাটি পরিষ্কার করে দাও।’ এরপর সেই বেদুইন লোককে কাছে ডেকে অত্যন্ত মমতাসহকারে বললেন, ‘দেখো ভাই, এসব মসজিদ আল্লাহ তাআলার ইবাদতের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করার জন্য এসব নির্মাণ করা হয়নি।’ এরপর নবীজি তাকে আর কিছু বললেন না। (আবু দাউদ)
মহানবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর সেরা শিক্ষক। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
শিক্ষার্থী সম্পর্কে জানা
একজন প্রাজ্ঞ শিক্ষক তাঁর সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে একই আচরণ করেন না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রকৃতি ও স্বভাব বোঝার চেষ্টা করেন এবং সে অনুপাতে নির্দেশনা প্রদান করেন। মহানবী (সা.)-এর মধ্যে এ গুণ সর্বোচ্চ মাত্রায় বিদ্যমান ছিল। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস বলেন, আমরা নবীজির সঙ্গে একটি মজলিশে বসা ছিলাম। হঠাৎ করে এক যুবক এসে জিজ্ঞাসা করল, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমি কি আমার স্ত্রীকে রোজা রেখে চুম্বন করতে পারব?’ নবীজি বললেন, ‘না, এটা তোমার জন্য অনুমোদিত নয়।’ কিছুক্ষণ পর এক বৃদ্ধ এসে একই প্রশ্ন করল। নবীজি তাকে বললেন, ‘হ্যাঁ, এটা আপনার জন্য অনুমোদিত।’ আমরা পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছিলাম। নবীজি আমাদের বিস্ময়ের বিষয়টি বুঝে গেলেন এবং আমাদের বললেন, ‘বৃদ্ধ লোকটি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে।’ (মুসনাদে আহমদ)
যুক্তি ও উদাহরণের ব্যবহার
কঠিন বিষয় সহজে বোঝাতে সফল শিক্ষকেরা কৌশলটির আশ্রয় গ্রহণ করে থাকেন। যে শিক্ষক যত সার্থক দৃষ্টান্ত দিয়ে আলোচ্য বিষয় ছাত্রদের সামনে সরলভাবে তুলে ধরতে পারেন, তিনি তত বেশি ছাত্রদের মধ্যে নিজের বিশেষ অবস্থান গড়ে নিতে সক্ষম হন। মহানবী (সা.) চমৎকার সব উদাহরণ দিয়ে জ্ঞানার্থীর সামনে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করতেন। আবু জর গিফারি বলেন, নবীজি (সা.) বলেন, ‘(স্ত্রীর সঙ্গে) সহবাসের কারণেও তোমাদের সদকা ও দানের সওয়াব হয়।’ সাহাবিরা বিস্ময়ের সুরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমরা যদি নিজের মনোবাঞ্ছা ও জৈবিক চাহিদা পূর্ণ করি তখনো সওয়াব হবে?’ রাসুল (সা.) সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘আচ্ছা বলো তো, যদি তোমরা অবৈধ উপায়ে তোমাদের যৌন চাহিদা পূর্ণ করতে, তবে কি তোমাদের পাপ হতো না?’ তারা বলল, ‘অবশ্যই হতো।’ তখন নবীজি বললেন, ‘তবে বৈধভাবে পূর্ণ করলে সওয়াব হবে না কেন? অবশ্যই সে সওয়াবের অধিকারী হবে।’ (মুসলিম)
শিশুদের মনস্তত্ত্ব বোঝা
শিশুদের সংশোধন ও শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টি বেশ জটিল। তাদের মনস্তত্ত্ব না বোঝার ফলে অনেক শিক্ষকই শিক্ষাকে শিশুদের কাছে ভীতিকর করে তোলেন। অথচ শিক্ষা আনন্দের বিষয়। শিশুরা মুখে বলার চেয়ে কাজের মাধ্যমে বেশি শেখে। এ ছাড়া তাদের আদর করে শিখিয়ে দিলে খুব দ্রুত বিষয়টি আয়ত্ত করতে পারে। ওমর ইবনে আবু সালামা (রা.) বলেন, আমি নবীজির ঘরে পালিত হচ্ছিলাম। আমরা একসঙ্গে খেতে বসতাম। খাওয়ার সময় প্লেটে আমার হাত এদিক-সেদিক ঘুরত। অর্থাৎ একবার ওর সামনে থেকে, একবার এর সামনে থেকে নিয়ে খেতাম। একদিন মহানবী (সা.) স্নেহমাখা কণ্ঠে বললেন, ‘বাবু, খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়ে নেবে। ডান হাতে খাবে ও নিজের সামনে থেকে খাবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আবদুল আযীয কাসেমি

শিক্ষকতা মহৎ পেশা। একজন আদর্শ শিক্ষকের হাত ধরেই গড়ে ওঠে একটি আদর্শ প্রজন্ম। শিক্ষকের মহৎ গুণাবলির সার্থক ছায়াপাত ঘটে তাঁর ছাত্রের জীবনে। একজন শিক্ষক সফল হন তাঁর মহৎ গুণের কারণে। গুণী একজন শিক্ষকই গড়তে পারেন যোগ্য ছাত্রের দল।
শিক্ষকের ব্যর্থতা কিংবা আদর্শহীনতা প্রজন্মকে বন্ধ্যা করে দেয়। মহানবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর সেরা শিক্ষক। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের মধ্য থেকে নবী পাঠিয়ে তাদের প্রতি দয়া করেছেন, যিনি তাদের আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করে শোনাবেন, তাদের পরিশুদ্ধ করবেন এবং কিতাব ও প্রজ্ঞা শেখাবেন।’
(সুরা আলে ইমরান: ১৬৪)
মহানবী (সা.)-এর আলোকিত জীবনের নানা ঘটনায় শিক্ষাদানের আদর্শ নীতি প্রতিভাত হয়। এখানে তেমনই কয়েকটি নীতির কথা তুলে ধরা হলো—
সহনশীলতা ও ধৈর্য
শিক্ষকের জন্য সহনশীলতার গুণ থাকা অপরিহার্য। কারণ মাঝেমধ্যে তাঁকে এমন কঠিন সংকটময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, যখন মানুষ সাধারণত মেজাজ হারায়। এমন পরিস্থিতিতে রাগ না করে অত্যন্ত শান্ত-শিষ্টভাবে সংশোধন করতে পারা একজন আদর্শ শিক্ষকের কর্তব্য। একবার এক বেদুইন মসজিদে নববিতে ঢুকে এক কোণে প্রস্রাব করতে শুরু করল। সাহাবিরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে নবী (সা.) তাদের নিষেধ করলেন। বললেন, ‘তাকে প্রস্রাব শেষ করতে দাও।’ সে শেষ করলে নবীজি এক সাহাবিকে নির্দেশ দিলেন, ‘পানি এনে জায়গাটি পরিষ্কার করে দাও।’ এরপর সেই বেদুইন লোককে কাছে ডেকে অত্যন্ত মমতাসহকারে বললেন, ‘দেখো ভাই, এসব মসজিদ আল্লাহ তাআলার ইবাদতের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করার জন্য এসব নির্মাণ করা হয়নি।’ এরপর নবীজি তাকে আর কিছু বললেন না। (আবু দাউদ)
মহানবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর সেরা শিক্ষক। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
শিক্ষার্থী সম্পর্কে জানা
একজন প্রাজ্ঞ শিক্ষক তাঁর সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে একই আচরণ করেন না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রকৃতি ও স্বভাব বোঝার চেষ্টা করেন এবং সে অনুপাতে নির্দেশনা প্রদান করেন। মহানবী (সা.)-এর মধ্যে এ গুণ সর্বোচ্চ মাত্রায় বিদ্যমান ছিল। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস বলেন, আমরা নবীজির সঙ্গে একটি মজলিশে বসা ছিলাম। হঠাৎ করে এক যুবক এসে জিজ্ঞাসা করল, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমি কি আমার স্ত্রীকে রোজা রেখে চুম্বন করতে পারব?’ নবীজি বললেন, ‘না, এটা তোমার জন্য অনুমোদিত নয়।’ কিছুক্ষণ পর এক বৃদ্ধ এসে একই প্রশ্ন করল। নবীজি তাকে বললেন, ‘হ্যাঁ, এটা আপনার জন্য অনুমোদিত।’ আমরা পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছিলাম। নবীজি আমাদের বিস্ময়ের বিষয়টি বুঝে গেলেন এবং আমাদের বললেন, ‘বৃদ্ধ লোকটি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে।’ (মুসনাদে আহমদ)
যুক্তি ও উদাহরণের ব্যবহার
কঠিন বিষয় সহজে বোঝাতে সফল শিক্ষকেরা কৌশলটির আশ্রয় গ্রহণ করে থাকেন। যে শিক্ষক যত সার্থক দৃষ্টান্ত দিয়ে আলোচ্য বিষয় ছাত্রদের সামনে সরলভাবে তুলে ধরতে পারেন, তিনি তত বেশি ছাত্রদের মধ্যে নিজের বিশেষ অবস্থান গড়ে নিতে সক্ষম হন। মহানবী (সা.) চমৎকার সব উদাহরণ দিয়ে জ্ঞানার্থীর সামনে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করতেন। আবু জর গিফারি বলেন, নবীজি (সা.) বলেন, ‘(স্ত্রীর সঙ্গে) সহবাসের কারণেও তোমাদের সদকা ও দানের সওয়াব হয়।’ সাহাবিরা বিস্ময়ের সুরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমরা যদি নিজের মনোবাঞ্ছা ও জৈবিক চাহিদা পূর্ণ করি তখনো সওয়াব হবে?’ রাসুল (সা.) সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘আচ্ছা বলো তো, যদি তোমরা অবৈধ উপায়ে তোমাদের যৌন চাহিদা পূর্ণ করতে, তবে কি তোমাদের পাপ হতো না?’ তারা বলল, ‘অবশ্যই হতো।’ তখন নবীজি বললেন, ‘তবে বৈধভাবে পূর্ণ করলে সওয়াব হবে না কেন? অবশ্যই সে সওয়াবের অধিকারী হবে।’ (মুসলিম)
শিশুদের মনস্তত্ত্ব বোঝা
শিশুদের সংশোধন ও শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টি বেশ জটিল। তাদের মনস্তত্ত্ব না বোঝার ফলে অনেক শিক্ষকই শিক্ষাকে শিশুদের কাছে ভীতিকর করে তোলেন। অথচ শিক্ষা আনন্দের বিষয়। শিশুরা মুখে বলার চেয়ে কাজের মাধ্যমে বেশি শেখে। এ ছাড়া তাদের আদর করে শিখিয়ে দিলে খুব দ্রুত বিষয়টি আয়ত্ত করতে পারে। ওমর ইবনে আবু সালামা (রা.) বলেন, আমি নবীজির ঘরে পালিত হচ্ছিলাম। আমরা একসঙ্গে খেতে বসতাম। খাওয়ার সময় প্লেটে আমার হাত এদিক-সেদিক ঘুরত। অর্থাৎ একবার ওর সামনে থেকে, একবার এর সামনে থেকে নিয়ে খেতাম। একদিন মহানবী (সা.) স্নেহমাখা কণ্ঠে বললেন, ‘বাবু, খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়ে নেবে। ডান হাতে খাবে ও নিজের সামনে থেকে খাবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

শিক্ষকতা মহৎ পেশা। একজন আদর্শ শিক্ষকের হাত ধরেই গড়ে ওঠে একটি আদর্শ প্রজন্ম। শিক্ষকের মহৎ গুণাবলির সার্থক ছায়াপাত ঘটে তাঁর ছাত্রের জীবনে। একজন শিক্ষক সফল হন তাঁর মহৎ গুণের কারণে। গুণী একজন শিক্ষকই গড়তে পারেন যোগ্য ছাত্রের দল।
শিক্ষকের ব্যর্থতা কিংবা আদর্শহীনতা প্রজন্মকে বন্ধ্যা করে দেয়। মহানবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর সেরা শিক্ষক। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ মুমিনদের মধ্য থেকে নবী পাঠিয়ে তাদের প্রতি দয়া করেছেন, যিনি তাদের আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করে শোনাবেন, তাদের পরিশুদ্ধ করবেন এবং কিতাব ও প্রজ্ঞা শেখাবেন।’
(সুরা আলে ইমরান: ১৬৪)
মহানবী (সা.)-এর আলোকিত জীবনের নানা ঘটনায় শিক্ষাদানের আদর্শ নীতি প্রতিভাত হয়। এখানে তেমনই কয়েকটি নীতির কথা তুলে ধরা হলো—
সহনশীলতা ও ধৈর্য
শিক্ষকের জন্য সহনশীলতার গুণ থাকা অপরিহার্য। কারণ মাঝেমধ্যে তাঁকে এমন কঠিন সংকটময় পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, যখন মানুষ সাধারণত মেজাজ হারায়। এমন পরিস্থিতিতে রাগ না করে অত্যন্ত শান্ত-শিষ্টভাবে সংশোধন করতে পারা একজন আদর্শ শিক্ষকের কর্তব্য। একবার এক বেদুইন মসজিদে নববিতে ঢুকে এক কোণে প্রস্রাব করতে শুরু করল। সাহাবিরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে নবী (সা.) তাদের নিষেধ করলেন। বললেন, ‘তাকে প্রস্রাব শেষ করতে দাও।’ সে শেষ করলে নবীজি এক সাহাবিকে নির্দেশ দিলেন, ‘পানি এনে জায়গাটি পরিষ্কার করে দাও।’ এরপর সেই বেদুইন লোককে কাছে ডেকে অত্যন্ত মমতাসহকারে বললেন, ‘দেখো ভাই, এসব মসজিদ আল্লাহ তাআলার ইবাদতের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করার জন্য এসব নির্মাণ করা হয়নি।’ এরপর নবীজি তাকে আর কিছু বললেন না। (আবু দাউদ)
মহানবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর সেরা শিক্ষক। আল্লাহ তাআলা তাঁকে শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
শিক্ষার্থী সম্পর্কে জানা
একজন প্রাজ্ঞ শিক্ষক তাঁর সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে একই আচরণ করেন না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রকৃতি ও স্বভাব বোঝার চেষ্টা করেন এবং সে অনুপাতে নির্দেশনা প্রদান করেন। মহানবী (সা.)-এর মধ্যে এ গুণ সর্বোচ্চ মাত্রায় বিদ্যমান ছিল। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস বলেন, আমরা নবীজির সঙ্গে একটি মজলিশে বসা ছিলাম। হঠাৎ করে এক যুবক এসে জিজ্ঞাসা করল, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমি কি আমার স্ত্রীকে রোজা রেখে চুম্বন করতে পারব?’ নবীজি বললেন, ‘না, এটা তোমার জন্য অনুমোদিত নয়।’ কিছুক্ষণ পর এক বৃদ্ধ এসে একই প্রশ্ন করল। নবীজি তাকে বললেন, ‘হ্যাঁ, এটা আপনার জন্য অনুমোদিত।’ আমরা পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছিলাম। নবীজি আমাদের বিস্ময়ের বিষয়টি বুঝে গেলেন এবং আমাদের বললেন, ‘বৃদ্ধ লোকটি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে।’ (মুসনাদে আহমদ)
যুক্তি ও উদাহরণের ব্যবহার
কঠিন বিষয় সহজে বোঝাতে সফল শিক্ষকেরা কৌশলটির আশ্রয় গ্রহণ করে থাকেন। যে শিক্ষক যত সার্থক দৃষ্টান্ত দিয়ে আলোচ্য বিষয় ছাত্রদের সামনে সরলভাবে তুলে ধরতে পারেন, তিনি তত বেশি ছাত্রদের মধ্যে নিজের বিশেষ অবস্থান গড়ে নিতে সক্ষম হন। মহানবী (সা.) চমৎকার সব উদাহরণ দিয়ে জ্ঞানার্থীর সামনে বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করতেন। আবু জর গিফারি বলেন, নবীজি (সা.) বলেন, ‘(স্ত্রীর সঙ্গে) সহবাসের কারণেও তোমাদের সদকা ও দানের সওয়াব হয়।’ সাহাবিরা বিস্ময়ের সুরে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আমরা যদি নিজের মনোবাঞ্ছা ও জৈবিক চাহিদা পূর্ণ করি তখনো সওয়াব হবে?’ রাসুল (সা.) সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘আচ্ছা বলো তো, যদি তোমরা অবৈধ উপায়ে তোমাদের যৌন চাহিদা পূর্ণ করতে, তবে কি তোমাদের পাপ হতো না?’ তারা বলল, ‘অবশ্যই হতো।’ তখন নবীজি বললেন, ‘তবে বৈধভাবে পূর্ণ করলে সওয়াব হবে না কেন? অবশ্যই সে সওয়াবের অধিকারী হবে।’ (মুসলিম)
শিশুদের মনস্তত্ত্ব বোঝা
শিশুদের সংশোধন ও শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টি বেশ জটিল। তাদের মনস্তত্ত্ব না বোঝার ফলে অনেক শিক্ষকই শিক্ষাকে শিশুদের কাছে ভীতিকর করে তোলেন। অথচ শিক্ষা আনন্দের বিষয়। শিশুরা মুখে বলার চেয়ে কাজের মাধ্যমে বেশি শেখে। এ ছাড়া তাদের আদর করে শিখিয়ে দিলে খুব দ্রুত বিষয়টি আয়ত্ত করতে পারে। ওমর ইবনে আবু সালামা (রা.) বলেন, আমি নবীজির ঘরে পালিত হচ্ছিলাম। আমরা একসঙ্গে খেতে বসতাম। খাওয়ার সময় প্লেটে আমার হাত এদিক-সেদিক ঘুরত। অর্থাৎ একবার ওর সামনে থেকে, একবার এর সামনে থেকে নিয়ে খেতাম। একদিন মহানবী (সা.) স্নেহমাখা কণ্ঠে বললেন, ‘বাবু, খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়ে নেবে। ডান হাতে খাবে ও নিজের সামনে থেকে খাবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
৪ ঘণ্টা আগে
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
৫ ঘণ্টা আগে
আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল।
৫ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।

আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।

শিক্ষকতা মহৎ পেশা। একজন আদর্শ শিক্ষকের হাত ধরেই গড়ে ওঠে একটি আদর্শ প্রজন্ম। শিক্ষকের মহৎ গুণাবলির সার্থক ছায়াপাত ঘটে তাঁর ছাত্রের জীবনে। একজন শিক্ষক সফল হন তাঁর মহৎ গুণের কারণে। গুণী একজন শিক্ষকই গড়তে পারেন যোগ্য ছাত্রের দল।
০৬ অক্টোবর ২০২৩
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
৪ ঘণ্টা আগে
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
৫ ঘণ্টা আগে
আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল।
৫ ঘণ্টা আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

শিক্ষকতা মহৎ পেশা। একজন আদর্শ শিক্ষকের হাত ধরেই গড়ে ওঠে একটি আদর্শ প্রজন্ম। শিক্ষকের মহৎ গুণাবলির সার্থক ছায়াপাত ঘটে তাঁর ছাত্রের জীবনে। একজন শিক্ষক সফল হন তাঁর মহৎ গুণের কারণে। গুণী একজন শিক্ষকই গড়তে পারেন যোগ্য ছাত্রের দল।
০৬ অক্টোবর ২০২৩
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
২ ঘণ্টা আগে
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
৫ ঘণ্টা আগে
আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল।
৫ ঘণ্টা আগেকাউসার লাবীব

মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করেছে। ধর্ষণকে ইসলামে ব্যভিচারের (জিনা) চেয়েও ভয়ংকর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধে ইসলাম ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধি থেকে শুরু করে সামাজিক প্রতিরোধ এবং অপরাধীর জন্য কঠোর শাস্তির সমন্বিত ব্যবস্থা দিয়েছে।
ধর্ষণ বা ব্যভিচার এক দিনে সংঘটিত হয় না; বরং এটি ধাপে ধাপে অশ্লীলতার পথ ধরে আসে। তাই ইসলাম অপরাধের উৎসমুখেই লাগাম টেনে ধরার জন্য নারী-পুরুষ উভয়কে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
কঠোরভাবে পর্দার বিধান ও অবাধ মেলামেশা বন্ধ: পর্দার বিধান নারী-পুরুষের মধ্যে দূরত্ব ও নিরাপদ সম্পর্ক বজায় রাখে। নারীদের তাদের রূপ-সৌন্দর্য স্বামী ও মাহরাম (যাদের সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়) ব্যতীত অন্য কারও সামনে প্রকাশ না করতে এবং বাইরে যাওয়ার সময় শালীন পোশাক পরিধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, পরিবার ও শিক্ষাব্যবস্থায় তাকওয়াভিত্তিক (খোদাভীতি) নৈতিক শিক্ষা দেওয়া অপরিহার্য, যা আত্মশুদ্ধি ও অপরাধ থেকে দূরে থাকতে সহায়ক।
ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির নিশ্চয়তা
ইসলামে ব্যভিচার, বলপ্রয়োগ এবং সম্ভ্রম লুণ্ঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি মারাত্মক অপরাধ হলো ধর্ষণ। তাই ধর্ষকের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর এবং তাতে কোনো প্রকার দয়া-মায়া প্রদর্শনের সুযোগ নেই।

মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে সম্পূর্ণরূপে হারাম ঘোষণা করেছে। ধর্ষণকে ইসলামে ব্যভিচারের (জিনা) চেয়েও ভয়ংকর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধে ইসলাম ব্যক্তিগত আত্মশুদ্ধি থেকে শুরু করে সামাজিক প্রতিরোধ এবং অপরাধীর জন্য কঠোর শাস্তির সমন্বিত ব্যবস্থা দিয়েছে।
ধর্ষণ বা ব্যভিচার এক দিনে সংঘটিত হয় না; বরং এটি ধাপে ধাপে অশ্লীলতার পথ ধরে আসে। তাই ইসলাম অপরাধের উৎসমুখেই লাগাম টেনে ধরার জন্য নারী-পুরুষ উভয়কে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
কঠোরভাবে পর্দার বিধান ও অবাধ মেলামেশা বন্ধ: পর্দার বিধান নারী-পুরুষের মধ্যে দূরত্ব ও নিরাপদ সম্পর্ক বজায় রাখে। নারীদের তাদের রূপ-সৌন্দর্য স্বামী ও মাহরাম (যাদের সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়) ব্যতীত অন্য কারও সামনে প্রকাশ না করতে এবং বাইরে যাওয়ার সময় শালীন পোশাক পরিধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, পরিবার ও শিক্ষাব্যবস্থায় তাকওয়াভিত্তিক (খোদাভীতি) নৈতিক শিক্ষা দেওয়া অপরিহার্য, যা আত্মশুদ্ধি ও অপরাধ থেকে দূরে থাকতে সহায়ক।
ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তির নিশ্চয়তা
ইসলামে ব্যভিচার, বলপ্রয়োগ এবং সম্ভ্রম লুণ্ঠনের সমন্বয়ে গঠিত একটি মারাত্মক অপরাধ হলো ধর্ষণ। তাই ধর্ষকের শাস্তি অত্যন্ত কঠোর এবং তাতে কোনো প্রকার দয়া-মায়া প্রদর্শনের সুযোগ নেই।

শিক্ষকতা মহৎ পেশা। একজন আদর্শ শিক্ষকের হাত ধরেই গড়ে ওঠে একটি আদর্শ প্রজন্ম। শিক্ষকের মহৎ গুণাবলির সার্থক ছায়াপাত ঘটে তাঁর ছাত্রের জীবনে। একজন শিক্ষক সফল হন তাঁর মহৎ গুণের কারণে। গুণী একজন শিক্ষকই গড়তে পারেন যোগ্য ছাত্রের দল।
০৬ অক্টোবর ২০২৩
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল।
৫ ঘণ্টা আগেমুফতি এনায়েতুল্লাহ ফাহাদ

আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল। আর আউয়াল মানে প্রথম। তথা প্রথম জুমাদা বা প্রথম শীত। মূলত এই মাসটিতে আরবে ঠান্ডা নেমে আসত—প্রচণ্ড শীতে কিংবা প্রবল শৈত্যপ্রবাহে সবকিছু প্রায় জমে স্থির হয়ে যায়। তাই এ মাসের নাম জমাদিউল আউয়াল বা শীতকালের প্রথম মাস।
আসন্ন ‘শীতকাল’ বাংলা বছরের ছয়টি ঋতুর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋতু। এটি প্রকৃতির মাঝে এক শীতল ও মনোরম রূপ নিয়ে আসে, যা মানুষের ইবাদত-বন্দেগিতে এক বিশেষ প্রভাব ফেলে। আসলে শীত ও গ্রীষ্ম সবই আল্লাহপ্রদত্ত প্রকৃতির অবদান। এর প্রতিটিতে রয়েছে কুদরতের নিদর্শন ও নিগূঢ় রহস্য। কোরআন করিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যেহেতু কুরাইশদের অনুরাগ রয়েছে! তাদের আগ্রহ আছে শীত ও গ্রীষ্মে ভ্রমণের। অতএব তাদের ইবাদত করা উচিত এই (কাবা) গৃহের রবের। যিনি তাদের ক্ষুধায় অন্ন দান করেন এবং শঙ্কায় নিরাপত্তা দান করেন।’ (সুরা কুরাইশ: ১-৪)
জুমাদাল উলা মাস—নতুন ঋতু হিসেবেও মুমিনের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম। মুসলিমরা নতুন বছর ও মাসের চাঁদ দেখে আনন্দিত হয়, পাশাপাশি নতুন ঋতু পেয়েও তাদের মন হয় পুলকিত। কারণ প্রত্যেক মানুষ দুনিয়ায় আগমন করেছে নির্দিষ্ট কিছু সময় নিয়ে। নির্দিষ্ট সময়ের পর কোনো প্রাণী বা সৃষ্টির বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। তাই তো প্রতিটি মুমিনের কাছে প্রতি মুহূর্তের দাম সোনার চেয়েও দামি। সময়-কাল-মুহূর্তের আগমন হলেই মুমিন দোয়া পড়বে। সাহাবি তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) যখন নতুন চাঁদ বা আবহ পরিবর্তন লক্ষ করতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন—‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ইমানি ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।’ (সুনানে দারিমি: ১৭২৫)
প্রসঙ্গত, রমজান ও মহররমের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিবস আর ফজিলতের কথা এই মাসে না থাকলেও রাসুল (সা.)-এর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট একটি আমলের কথা হাদিসে এসেছে—তিনি প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা রাখতেন। (সহিহ বুখারি: ১৯৭৫)। এ জন্যই আমাদের উচিত যেসব দিনের ও যেসব মাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সেসব দিনে ও মাসে ইবাদত করা। আর যেসব দিন ও মাসের বিশেষ ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য কোরআন ও হাদিসে উল্লেখ করা হয়নি, সেসব দিন ও মাসে বেশি করে নেক আমল করা। ফলে আখিরাতের ময়দানে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে যাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ।
আমরা পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সময় বিবেচনা করলে দেখতে পাব জমাদিউল আউয়াল মাস ইবাদতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নফল রোজা, নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ শরিফ, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া-কালাম, দান-সদকাহ খয়রাত, ওমরাহ, হজ ইত্যাদির মাধ্যমে এই মাসকে সার্থক ও সাফল্যময় করা যায়। সুতরাং আমাদের উচিত এই মাস ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব

আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়েছে ‘জমাদিউল আউয়াল’—এটি আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস। আরবি এই মাসের বাংলা অর্থ নানাভাবে হতে পারে, তবে এ ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ এভাবে করা যায়, জুমাদা শব্দের অর্থ—স্থির, অবিচল, দৃঢ়, শীতল। আর আউয়াল মানে প্রথম। তথা প্রথম জুমাদা বা প্রথম শীত। মূলত এই মাসটিতে আরবে ঠান্ডা নেমে আসত—প্রচণ্ড শীতে কিংবা প্রবল শৈত্যপ্রবাহে সবকিছু প্রায় জমে স্থির হয়ে যায়। তাই এ মাসের নাম জমাদিউল আউয়াল বা শীতকালের প্রথম মাস।
আসন্ন ‘শীতকাল’ বাংলা বছরের ছয়টি ঋতুর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋতু। এটি প্রকৃতির মাঝে এক শীতল ও মনোরম রূপ নিয়ে আসে, যা মানুষের ইবাদত-বন্দেগিতে এক বিশেষ প্রভাব ফেলে। আসলে শীত ও গ্রীষ্ম সবই আল্লাহপ্রদত্ত প্রকৃতির অবদান। এর প্রতিটিতে রয়েছে কুদরতের নিদর্শন ও নিগূঢ় রহস্য। কোরআন করিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যেহেতু কুরাইশদের অনুরাগ রয়েছে! তাদের আগ্রহ আছে শীত ও গ্রীষ্মে ভ্রমণের। অতএব তাদের ইবাদত করা উচিত এই (কাবা) গৃহের রবের। যিনি তাদের ক্ষুধায় অন্ন দান করেন এবং শঙ্কায় নিরাপত্তা দান করেন।’ (সুরা কুরাইশ: ১-৪)
জুমাদাল উলা মাস—নতুন ঋতু হিসেবেও মুমিনের কাছে এর গুরুত্ব অপরিসীম। মুসলিমরা নতুন বছর ও মাসের চাঁদ দেখে আনন্দিত হয়, পাশাপাশি নতুন ঋতু পেয়েও তাদের মন হয় পুলকিত। কারণ প্রত্যেক মানুষ দুনিয়ায় আগমন করেছে নির্দিষ্ট কিছু সময় নিয়ে। নির্দিষ্ট সময়ের পর কোনো প্রাণী বা সৃষ্টির বেঁচে থাকার সুযোগ নেই। তাই তো প্রতিটি মুমিনের কাছে প্রতি মুহূর্তের দাম সোনার চেয়েও দামি। সময়-কাল-মুহূর্তের আগমন হলেই মুমিন দোয়া পড়বে। সাহাবি তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সা.) যখন নতুন চাঁদ বা আবহ পরিবর্তন লক্ষ করতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন—‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ইমানি ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।’ (সুনানে দারিমি: ১৭২৫)
প্রসঙ্গত, রমজান ও মহররমের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিবস আর ফজিলতের কথা এই মাসে না থাকলেও রাসুল (সা.)-এর প্রতি মাসের নির্দিষ্ট একটি আমলের কথা হাদিসে এসেছে—তিনি প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা রাখতেন। (সহিহ বুখারি: ১৯৭৫)। এ জন্যই আমাদের উচিত যেসব দিনের ও যেসব মাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, সেসব দিনে ও মাসে ইবাদত করা। আর যেসব দিন ও মাসের বিশেষ ফজিলত ও বৈশিষ্ট্য কোরআন ও হাদিসে উল্লেখ করা হয়নি, সেসব দিন ও মাসে বেশি করে নেক আমল করা। ফলে আখিরাতের ময়দানে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে যাওয়া যাবে ইনশা আল্লাহ।
আমরা পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সময় বিবেচনা করলে দেখতে পাব জমাদিউল আউয়াল মাস ইবাদতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নফল রোজা, নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ শরিফ, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া-কালাম, দান-সদকাহ খয়রাত, ওমরাহ, হজ ইত্যাদির মাধ্যমে এই মাসকে সার্থক ও সাফল্যময় করা যায়। সুতরাং আমাদের উচিত এই মাস ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করা।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব

শিক্ষকতা মহৎ পেশা। একজন আদর্শ শিক্ষকের হাত ধরেই গড়ে ওঠে একটি আদর্শ প্রজন্ম। শিক্ষকের মহৎ গুণাবলির সার্থক ছায়াপাত ঘটে তাঁর ছাত্রের জীবনে। একজন শিক্ষক সফল হন তাঁর মহৎ গুণের কারণে। গুণী একজন শিক্ষকই গড়তে পারেন যোগ্য ছাত্রের দল।
০৬ অক্টোবর ২০২৩
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
৪ ঘণ্টা আগে
মানবসমাজে ধর্ষণ একটি জঘন্য, ঘৃণিত ও ভয়াবহ অপরাধ। ধর্ষণ যেভাবে নারীর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে, তেমনি সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা ও নৈতিক কাঠামো ভেঙে দেয়। ইসলাম, একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা হিসেবে নারী জাতিকে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান দিয়েছে এবং নারীর সম্মানহানি বা ইভ টিজিংকে...
৫ ঘণ্টা আগে