ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

মানবজীবন মূলত পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন ইবাদত, আনুগত্য ও পরীক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে। মানুষের হাতে যে সম্পদ, ধনসম্পত্তি, সন্তান, মর্যাদা ও ক্ষমতা অর্পণ করা হয়—এ সবকিছুই আসলে এক বিশাল পরীক্ষা। কখনো অভাব দিয়ে, আবার কখনো প্রাচুর্য দিয়ে আল্লাহ তাঁর বান্দাকে যাচাই করেন।
কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, ধন-সম্পদের ক্ষতি, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষতি দ্বারা; আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫)। এই আয়াত প্রমাণ করে, ধনসম্পদ যেমন পরীক্ষা, তেমনি তার অভাবও পরীক্ষা। অর্থাৎ সম্পদ, ক্ষমতা ও মর্যাদা শুধু ভোগের বস্তু নয়; এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি আমানত এবং পরীক্ষা।
সম্পদ আল্লাহর পরীক্ষা
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের সম্পদ ও সন্তানসন্ততি কেবল পরীক্ষা, আর আল্লাহর কাছে রয়েছে মহা পুরস্কার।’ (সুরা তাগাবুন: ১৫)।
ধন-সম্পদ মানুষের জীবনে অপরিহার্য হলেও এর ব্যবহার নির্ধারণ করে সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলো কি না। হালাল পথে উপার্জন, জাকাত আদায়, দান-সদকা এবং গরিবদের অধিকার আদায়ে ব্যয় করলে এটি জান্নাতের মূলধন হয়। বিপরীতে হারাম উপার্জন, সুদ, ঘুষ, অন্যায় ভোগ-বিলাস ধ্বংস ডেকে আনে।
ক্ষমতা আল্লাহর পরীক্ষা
আল্লাহ বলেন, ‘বলুন—হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমতার মালিক। যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমতাচ্যুত করেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)।
অন্যত্র বলেছেন, ‘আমি তোমাদের পৃথিবীতে স্থাপন করেছি এবং জীবিকার ব্যবস্থা করেছি। তোমরা সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।’ (সুরা আরাফ: ১০)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেকেই একজন রাখাল এবং প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের ব্যাপারে জবাবদিহি করবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭১৩৮, সহিহ্ মুসলিম: ১৮২৯)
আরেক হাদিসে এসেছে—‘কোনো শাসক যদি প্রজাদের সঙ্গে প্রতারণা করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭১৫১, সহিহ্ মুসলিম: ১৮২৯)
ক্ষমতা শুধু সম্মানের নয়, বরং ভয়াবহ জবাবদিহির দায়িত্ব। যারা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে, দুর্বলদের অধিকার রক্ষা করে, তারা আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান হবে। আর যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তারা কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হবে।
সম্পদ ও ক্ষমতা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি আমানত ও পরীক্ষা। কেউ যদি এগুলো হালাল উপায়ে ব্যবহার করে এবং আল্লাহর বিধান অনুযায়ী পরিচালনা করে, তাহলে তা জান্নাতের পথ প্রশস্ত করবে। আর যদি অহংকার, স্বার্থপরতা ও অন্যায়ের পথে ব্যবহার করে, তাহলে তা ধ্বংস ডেকে আনবে।
ধন-সম্পদ হোক বা ক্ষমতা—এগুলো চিরস্থায়ী নয়। প্রকৃত স্থায়ী পুরস্কার কেবল আল্লাহর কাছে। তাই আমাদের উচিত সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করা, কৃতজ্ঞতা ও ধৈর্য অবলম্বন করা এবং মানুষের হক আদায় করা।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

মানবজীবন মূলত পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন ইবাদত, আনুগত্য ও পরীক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে। মানুষের হাতে যে সম্পদ, ধনসম্পত্তি, সন্তান, মর্যাদা ও ক্ষমতা অর্পণ করা হয়—এ সবকিছুই আসলে এক বিশাল পরীক্ষা। কখনো অভাব দিয়ে, আবার কখনো প্রাচুর্য দিয়ে আল্লাহ তাঁর বান্দাকে যাচাই করেন।
কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, ধন-সম্পদের ক্ষতি, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষতি দ্বারা; আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাকারা: ১৫৫)। এই আয়াত প্রমাণ করে, ধনসম্পদ যেমন পরীক্ষা, তেমনি তার অভাবও পরীক্ষা। অর্থাৎ সম্পদ, ক্ষমতা ও মর্যাদা শুধু ভোগের বস্তু নয়; এগুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি আমানত এবং পরীক্ষা।
সম্পদ আল্লাহর পরীক্ষা
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের সম্পদ ও সন্তানসন্ততি কেবল পরীক্ষা, আর আল্লাহর কাছে রয়েছে মহা পুরস্কার।’ (সুরা তাগাবুন: ১৫)।
ধন-সম্পদ মানুষের জীবনে অপরিহার্য হলেও এর ব্যবহার নির্ধারণ করে সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলো কি না। হালাল পথে উপার্জন, জাকাত আদায়, দান-সদকা এবং গরিবদের অধিকার আদায়ে ব্যয় করলে এটি জান্নাতের মূলধন হয়। বিপরীতে হারাম উপার্জন, সুদ, ঘুষ, অন্যায় ভোগ-বিলাস ধ্বংস ডেকে আনে।
ক্ষমতা আল্লাহর পরীক্ষা
আল্লাহ বলেন, ‘বলুন—হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমতার মালিক। যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং যাকে ইচ্ছা ক্ষমতাচ্যুত করেন।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৬)।
অন্যত্র বলেছেন, ‘আমি তোমাদের পৃথিবীতে স্থাপন করেছি এবং জীবিকার ব্যবস্থা করেছি। তোমরা সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।’ (সুরা আরাফ: ১০)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেকেই একজন রাখাল এবং প্রত্যেকেই তার অধীনস্থদের ব্যাপারে জবাবদিহি করবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭১৩৮, সহিহ্ মুসলিম: ১৮২৯)
আরেক হাদিসে এসেছে—‘কোনো শাসক যদি প্রজাদের সঙ্গে প্রতারণা করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৭১৫১, সহিহ্ মুসলিম: ১৮২৯)
ক্ষমতা শুধু সম্মানের নয়, বরং ভয়াবহ জবাবদিহির দায়িত্ব। যারা ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে, দুর্বলদের অধিকার রক্ষা করে, তারা আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান হবে। আর যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তারা কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হবে।
সম্পদ ও ক্ষমতা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি আমানত ও পরীক্ষা। কেউ যদি এগুলো হালাল উপায়ে ব্যবহার করে এবং আল্লাহর বিধান অনুযায়ী পরিচালনা করে, তাহলে তা জান্নাতের পথ প্রশস্ত করবে। আর যদি অহংকার, স্বার্থপরতা ও অন্যায়ের পথে ব্যবহার করে, তাহলে তা ধ্বংস ডেকে আনবে।
ধন-সম্পদ হোক বা ক্ষমতা—এগুলো চিরস্থায়ী নয়। প্রকৃত স্থায়ী পুরস্কার কেবল আল্লাহর কাছে। তাই আমাদের উচিত সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করা, কৃতজ্ঞতা ও ধৈর্য অবলম্বন করা এবং মানুষের হক আদায় করা।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১৭ ঘণ্টা আগে
মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর গ্র্যান্ড মসজিদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ৭০টি দেশের নির্বাচিত হাফেজ, কারি ও মুফাসসিরদের অংশগ্রহণে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২১ ঘণ্টা আগেতাসনিফ আবীদ

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো প্রয়োজনে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূলনীতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য—সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো—সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এক কথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়।

মানবজীবন মূলত পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন ইবাদত, আনুগত্য ও পরীক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে। মানুষের হাতে যে সম্পদ, ধনসম্পত্তি, সন্তান, মর্যাদা ও ক্ষমতা অর্পণ করা হয়—এ সবকিছুই আসলে এক বিশাল পরীক্ষা। কখনো অভাব দিয়ে, আবার কখনো প্রাচুর্য দিয়ে আল্লাহ তাঁর বান্দাকে যাচাই...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১৭ ঘণ্টা আগে
মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর গ্র্যান্ড মসজিদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ৭০টি দেশের নির্বাচিত হাফেজ, কারি ও মুফাসসিরদের অংশগ্রহণে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ০৮ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ০৯ মিনিট | ০৬: ২৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫২ মিনিট | ০৩: ৩৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৬ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৩ মিনিট | ০৬: ৩২ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৩ মিনিট | ০৫: ০৮ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানবজীবন মূলত পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন ইবাদত, আনুগত্য ও পরীক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে। মানুষের হাতে যে সম্পদ, ধনসম্পত্তি, সন্তান, মর্যাদা ও ক্ষমতা অর্পণ করা হয়—এ সবকিছুই আসলে এক বিশাল পরীক্ষা। কখনো অভাব দিয়ে, আবার কখনো প্রাচুর্য দিয়ে আল্লাহ তাঁর বান্দাকে যাচাই...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৫ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১৭ ঘণ্টা আগে
মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর গ্র্যান্ড মসজিদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ৭০টি দেশের নির্বাচিত হাফেজ, কারি ও মুফাসসিরদের অংশগ্রহণে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)
ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।
তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)
ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)
মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)
নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
এ বিষয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.) অন্য এক হাদিসে বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্বোধন করলে উভয়ের মধ্যে যেকোনো একজনের ওপর তা ফিরে আসবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে, সে কাফের হলে তো হলোই; নতুবা কথাটি বক্তার ওপর ফিরে আসবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৪০৪)
ইসলামের বিধান হলো, কারও থেকে কুফরি কোনো কাজ বা কথা প্রকাশ পেলেও তাকে সরাসরি তাকফির করা বা কাফের ঘোষণা দেওয়া সাধারণ মানুষের কাজ নয়। ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা ওই ব্যক্তির সার্বিক অবস্থা যাচাই-বাছাই করে ইসলামের মূলনীতি সামনে রেখে ফতোয়া দেবেন।
তবে সতর্কতার বিষয় হলো, শরিয়তের দৃষ্টিতে অমুসলিমরা স্পষ্টতই কাফের। তাদের কুফরকে কেউ কুফর না মানা অথবা তাদের কুফরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া যাবে না। (আশ শিফা: ২/২৮১)
ইমাম আবুল মাআলি (রহ.) বলেন, ‘কোনো কাফেরকে মুসলমান বলে চালিয়ে দেওয়া এবং কোনো মুসলমানকে দ্বীন থেকে বের করে দেওয়া, দুটোই জঘন্য।’ (ইকফারুল মুলহিদিন: ২৭)
মোটকথা হলো, কাউকে তাকফির করা তথা কাফের ঘোষণা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইভাবে অতিমাত্রায় ছাড়াছাড়ি করে কাফের বা মুরতাদকে মুসলিম আখ্যা দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতির অনুসরণ করতে হবে। (শরহে আকিদাতুত তাহাবি: পৃষ্ঠা-৯১)
নবী করিম (সা.) উম্মতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো মুমিনকে কুফরের অপবাদ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতোই।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬১০৫)। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

মানবজীবন মূলত পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন ইবাদত, আনুগত্য ও পরীক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে। মানুষের হাতে যে সম্পদ, ধনসম্পত্তি, সন্তান, মর্যাদা ও ক্ষমতা অর্পণ করা হয়—এ সবকিছুই আসলে এক বিশাল পরীক্ষা। কখনো অভাব দিয়ে, আবার কখনো প্রাচুর্য দিয়ে আল্লাহ তাঁর বান্দাকে যাচাই...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর গ্র্যান্ড মসজিদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ৭০টি দেশের নির্বাচিত হাফেজ, কারি ও মুফাসসিরদের অংশগ্রহণে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর গ্র্যান্ড মসজিদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ৭০টি দেশের নির্বাচিত হাফেজ, কারি ও মুফাসসিরদের অংশগ্রহণে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বিশ্বমানের এই বার্ষিক প্রতিযোগিতাকে সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ বিচারক প্যানেলে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য আলেম, কারি ও গবেষক হাফেজ মাওলানা ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান।
বাংলাদেশ, মিসরসহ ৯টি দেশের বিচারকেরা এই প্রতিযোগিতায় দায়িত্ব পালন করছেন। মিসরের ধর্মমন্ত্রীর আমন্ত্রণ এবং বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টার মনোনয়নে ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান বিচারকার্য পরিচালনা করছেন।
৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিসরের উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালেদ আবদেল গাফফার, ওয়াক্ফমন্ত্রী ওসামা আল আজহারি, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আশরাফ সাবহি, শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ গেবরান, কায়রোর গভর্নর ইব্রাহিম সাবের, আল আজহারের ডেপুটি মুহাম্মদ আল-দুওয়াইনি, গ্র্যান্ড মুফতি নাজির মুহাম্মদ আইয়াদসহ দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

আগামী বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হবে। আসন্ন পবিত্র রমজানের লাইলাতুল কদরে দেশটির রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারস্বরূপ সম্মাননা, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেবেন।

মিসরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর গ্র্যান্ড মসজিদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৩২তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা। বিশ্বের ৭০টি দেশের নির্বাচিত হাফেজ, কারি ও মুফাসসিরদের অংশগ্রহণে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বিশ্বমানের এই বার্ষিক প্রতিযোগিতাকে সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ বিচারক প্যানেলে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য আলেম, কারি ও গবেষক হাফেজ মাওলানা ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান।
বাংলাদেশ, মিসরসহ ৯টি দেশের বিচারকেরা এই প্রতিযোগিতায় দায়িত্ব পালন করছেন। মিসরের ধর্মমন্ত্রীর আমন্ত্রণ এবং বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টার মনোনয়নে ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান বিচারকার্য পরিচালনা করছেন।
৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিসরের উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালেদ আবদেল গাফফার, ওয়াক্ফমন্ত্রী ওসামা আল আজহারি, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আশরাফ সাবহি, শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ গেবরান, কায়রোর গভর্নর ইব্রাহিম সাবের, আল আজহারের ডেপুটি মুহাম্মদ আল-দুওয়াইনি, গ্র্যান্ড মুফতি নাজির মুহাম্মদ আইয়াদসহ দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

আগামী বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হবে। আসন্ন পবিত্র রমজানের লাইলাতুল কদরে দেশটির রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারস্বরূপ সম্মাননা, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেবেন।

মানবজীবন মূলত পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন ইবাদত, আনুগত্য ও পরীক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে। মানুষের হাতে যে সম্পদ, ধনসম্পত্তি, সন্তান, মর্যাদা ও ক্ষমতা অর্পণ করা হয়—এ সবকিছুই আসলে এক বিশাল পরীক্ষা। কখনো অভাব দিয়ে, আবার কখনো প্রাচুর্য দিয়ে আল্লাহ তাঁর বান্দাকে যাচাই...
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনে চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়—যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
কোনো মুসলমানকে সামান্য কোনো কারণে কাফের বলা ইসলামে বৈধ নয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন যেন অন্যজনকে ফাসিক বলে গালি না দেয় এবং একজন যেন অন্যজনকে কাফের বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, অপরজন যদি তা না হয়, তবে সে অপবাদ তার নিজের ওপর আপতিত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬০৪৫)
১৭ ঘণ্টা আগে