আমজাদ ইউনুস

ওয়ায়েল বাহজাত আল-হাল্লাক ১৯৫৫ সালে ফিলিস্তিনের নাজারেথ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত হলেও জাতীয়তায় কানাডিয়ান তিনি। নাজারেথ স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে অধ্যয়ন সমাপ্ত করেছেন। ফিলিস্তিনের হাইফা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিকহ ও ইসলামিক আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করে তিনি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে কানাডার মন্ট্রিলের ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে ইসলামি আইনের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক পদ লাভ করেন।
২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজ বিভাগে মানবিক ও ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১০ সাল থেকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগে অ্যাভালন ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক হন এবং ইন্দোনেশিয়া, টরন্টো ও সিঙ্গাপুরের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
ওয়ায়েল হাল্লাককে একজন অত্যন্ত জ্ঞানী লেখক ও গবেষক বিবেচনা করা হয়। তিনি ‘ইসলামি আইন ও এর সমসাময়িক প্রয়োগ’ গবেষণার জন্য অনেকের কাছে সমাদৃত। তবে তাঁর কিছু মতামত ও চিন্তার কারণে তিনি সমালোচিতও বটে। তাঁর কিছু লেখা ও দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ইসলামি স্কলারগণ আপত্তি তুলেছেন।
ওয়ায়েল হাল্লাক ইসলামি আইন অধ্যয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। তাঁর রচনাসমূহ হিব্রু, ইন্দোনেশিয়ান, ইতালীয়, জাপানি, তুর্কিসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ইসলামি আইনশাস্ত্রের উত্থান, এর উৎস, ইসলামি আইন প্রণয়নের ইতিহাস এবং ইসলামে বিচারব্যবস্থা, দর্শন, রাজনৈতিক তত্ত্ব ও যুক্তিবিদ্যা বিষয়ে ৮০টির বেশি বিশেষ গবেষণা প্রকাশ করেছেন।
২০১৮ সালে ওয়ায়েল হাল্লাকের সাড়া জাগানো ‘রিস্টেটিং ওরিয়েন্টালিজম’ বইটি প্রকাশিত হয়। তিনি ইসলামি বিশ্বকোষ রচনা ও সম্পাদনায় অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, এনসাইক্লোপিডিয়া অব কোরআন, এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম, এনসাইক্লোপিডিয়া ইরানিকা, এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য মডার্ন মিডল ইস্ট ও অন্যান্য।
ওয়ায়েল হাল্লাক লিখিত প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে, ‘গড ক্যান নট বি হার্মড: অন হুকুকুল্লাহ, হুকুক আল ইবাদ’ ২০১৯; ‘উসুলু আল ফিকহ অ্যান্ড শাফিয়িস রিসালা’-২০১৯; ‘কোরআনিক ম্যাগনাকার্টা: অন দি অরিজিনস অব দ্য রুল অব ল ইন ইসলাম’ ২০১৪; ‘কোরআনিক কনস্টিটিউশনালিজম অ্যান্ড মোরাল গভর্নমেন্টালিটি: ফারদার নোটস অন দ্য ফাউন্ডিং প্রিন্সিপালস অব ইসলামিক সোসাইটি অ্যান্ড পোলিটি’ ২০১২, ‘মুসলিম রেজ অ্যান্ড ইসলামিক ল’ ২০০৩।
২০০৯ সালে জন এস্পোসিটো ও তাঁর পর্যালোচনা প্যানেল ইসলামি আইনের ওপর গবেষণা ও রচনার জন্য হাল্লাককে বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। যদিও হাল্লাক খ্রিষ্টান ছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁর ‘দ্য ইমপসিবল স্টেট’ বইটি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বুক অ্যাওয়ার্ডে সেরা বই হিসেবে পুরস্কৃত হয়।
২০২০ সালে তাঁর রচিত ‘রিফর্মিং মডার্নিটি’ বইটি নটিলাস বুক অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়। ২০২১ সালে মানবিক ও সামাজিক জ্ঞানে তাঁর উদ্ভাবনী ও অগ্রণী ধারণা এবং থিসিসের তুর্কি একাডেমি অব সায়েন্সেস থেকে তোবা পুরস্কার পেয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে অধ্যাপক ওয়ায়েল হাল্লাক মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে গবেষণার জন্য এ বছর তাঁকে এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
লেখালেখির পাশাপাশি রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। বিডিএস আন্দোলনসহ পশ্চিমা জায়নবাদী দখলদারির বিরোধিতাকারী বেশ কয়েকটি আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাজে পরিস্থিতি দেখে তিনি বিরক্ত এবং ইসলামি শাসনব্যবস্থার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ও মুগ্ধতা রয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, একজন খ্রিষ্টান হিসেবে তিনি বর্তমান মডার্ন সিটিজেন হওয়ার চেয়ে একজন উমাইয়া সিটিজেন হওয়া অধিক পছন্দ করেন।

ওয়ায়েল বাহজাত আল-হাল্লাক ১৯৫৫ সালে ফিলিস্তিনের নাজারেথ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত হলেও জাতীয়তায় কানাডিয়ান তিনি। নাজারেথ স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে অধ্যয়ন সমাপ্ত করেছেন। ফিলিস্তিনের হাইফা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিকহ ও ইসলামিক আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করে তিনি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে কানাডার মন্ট্রিলের ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে ইসলামি আইনের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক পদ লাভ করেন।
২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজ বিভাগে মানবিক ও ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১০ সাল থেকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগে অ্যাভালন ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক হন এবং ইন্দোনেশিয়া, টরন্টো ও সিঙ্গাপুরের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
ওয়ায়েল হাল্লাককে একজন অত্যন্ত জ্ঞানী লেখক ও গবেষক বিবেচনা করা হয়। তিনি ‘ইসলামি আইন ও এর সমসাময়িক প্রয়োগ’ গবেষণার জন্য অনেকের কাছে সমাদৃত। তবে তাঁর কিছু মতামত ও চিন্তার কারণে তিনি সমালোচিতও বটে। তাঁর কিছু লেখা ও দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ইসলামি স্কলারগণ আপত্তি তুলেছেন।
ওয়ায়েল হাল্লাক ইসলামি আইন অধ্যয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। তাঁর রচনাসমূহ হিব্রু, ইন্দোনেশিয়ান, ইতালীয়, জাপানি, তুর্কিসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ইসলামি আইনশাস্ত্রের উত্থান, এর উৎস, ইসলামি আইন প্রণয়নের ইতিহাস এবং ইসলামে বিচারব্যবস্থা, দর্শন, রাজনৈতিক তত্ত্ব ও যুক্তিবিদ্যা বিষয়ে ৮০টির বেশি বিশেষ গবেষণা প্রকাশ করেছেন।
২০১৮ সালে ওয়ায়েল হাল্লাকের সাড়া জাগানো ‘রিস্টেটিং ওরিয়েন্টালিজম’ বইটি প্রকাশিত হয়। তিনি ইসলামি বিশ্বকোষ রচনা ও সম্পাদনায় অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, এনসাইক্লোপিডিয়া অব কোরআন, এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম, এনসাইক্লোপিডিয়া ইরানিকা, এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য মডার্ন মিডল ইস্ট ও অন্যান্য।
ওয়ায়েল হাল্লাক লিখিত প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে, ‘গড ক্যান নট বি হার্মড: অন হুকুকুল্লাহ, হুকুক আল ইবাদ’ ২০১৯; ‘উসুলু আল ফিকহ অ্যান্ড শাফিয়িস রিসালা’-২০১৯; ‘কোরআনিক ম্যাগনাকার্টা: অন দি অরিজিনস অব দ্য রুল অব ল ইন ইসলাম’ ২০১৪; ‘কোরআনিক কনস্টিটিউশনালিজম অ্যান্ড মোরাল গভর্নমেন্টালিটি: ফারদার নোটস অন দ্য ফাউন্ডিং প্রিন্সিপালস অব ইসলামিক সোসাইটি অ্যান্ড পোলিটি’ ২০১২, ‘মুসলিম রেজ অ্যান্ড ইসলামিক ল’ ২০০৩।
২০০৯ সালে জন এস্পোসিটো ও তাঁর পর্যালোচনা প্যানেল ইসলামি আইনের ওপর গবেষণা ও রচনার জন্য হাল্লাককে বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। যদিও হাল্লাক খ্রিষ্টান ছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁর ‘দ্য ইমপসিবল স্টেট’ বইটি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বুক অ্যাওয়ার্ডে সেরা বই হিসেবে পুরস্কৃত হয়।
২০২০ সালে তাঁর রচিত ‘রিফর্মিং মডার্নিটি’ বইটি নটিলাস বুক অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়। ২০২১ সালে মানবিক ও সামাজিক জ্ঞানে তাঁর উদ্ভাবনী ও অগ্রণী ধারণা এবং থিসিসের তুর্কি একাডেমি অব সায়েন্সেস থেকে তোবা পুরস্কার পেয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে অধ্যাপক ওয়ায়েল হাল্লাক মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে গবেষণার জন্য এ বছর তাঁকে এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
লেখালেখির পাশাপাশি রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। বিডিএস আন্দোলনসহ পশ্চিমা জায়নবাদী দখলদারির বিরোধিতাকারী বেশ কয়েকটি আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাজে পরিস্থিতি দেখে তিনি বিরক্ত এবং ইসলামি শাসনব্যবস্থার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ও মুগ্ধতা রয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, একজন খ্রিষ্টান হিসেবে তিনি বর্তমান মডার্ন সিটিজেন হওয়ার চেয়ে একজন উমাইয়া সিটিজেন হওয়া অধিক পছন্দ করেন।
আমজাদ ইউনুস

ওয়ায়েল বাহজাত আল-হাল্লাক ১৯৫৫ সালে ফিলিস্তিনের নাজারেথ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত হলেও জাতীয়তায় কানাডিয়ান তিনি। নাজারেথ স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে অধ্যয়ন সমাপ্ত করেছেন। ফিলিস্তিনের হাইফা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিকহ ও ইসলামিক আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করে তিনি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে কানাডার মন্ট্রিলের ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে ইসলামি আইনের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক পদ লাভ করেন।
২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজ বিভাগে মানবিক ও ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১০ সাল থেকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগে অ্যাভালন ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক হন এবং ইন্দোনেশিয়া, টরন্টো ও সিঙ্গাপুরের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
ওয়ায়েল হাল্লাককে একজন অত্যন্ত জ্ঞানী লেখক ও গবেষক বিবেচনা করা হয়। তিনি ‘ইসলামি আইন ও এর সমসাময়িক প্রয়োগ’ গবেষণার জন্য অনেকের কাছে সমাদৃত। তবে তাঁর কিছু মতামত ও চিন্তার কারণে তিনি সমালোচিতও বটে। তাঁর কিছু লেখা ও দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ইসলামি স্কলারগণ আপত্তি তুলেছেন।
ওয়ায়েল হাল্লাক ইসলামি আইন অধ্যয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। তাঁর রচনাসমূহ হিব্রু, ইন্দোনেশিয়ান, ইতালীয়, জাপানি, তুর্কিসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ইসলামি আইনশাস্ত্রের উত্থান, এর উৎস, ইসলামি আইন প্রণয়নের ইতিহাস এবং ইসলামে বিচারব্যবস্থা, দর্শন, রাজনৈতিক তত্ত্ব ও যুক্তিবিদ্যা বিষয়ে ৮০টির বেশি বিশেষ গবেষণা প্রকাশ করেছেন।
২০১৮ সালে ওয়ায়েল হাল্লাকের সাড়া জাগানো ‘রিস্টেটিং ওরিয়েন্টালিজম’ বইটি প্রকাশিত হয়। তিনি ইসলামি বিশ্বকোষ রচনা ও সম্পাদনায় অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, এনসাইক্লোপিডিয়া অব কোরআন, এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম, এনসাইক্লোপিডিয়া ইরানিকা, এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য মডার্ন মিডল ইস্ট ও অন্যান্য।
ওয়ায়েল হাল্লাক লিখিত প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে, ‘গড ক্যান নট বি হার্মড: অন হুকুকুল্লাহ, হুকুক আল ইবাদ’ ২০১৯; ‘উসুলু আল ফিকহ অ্যান্ড শাফিয়িস রিসালা’-২০১৯; ‘কোরআনিক ম্যাগনাকার্টা: অন দি অরিজিনস অব দ্য রুল অব ল ইন ইসলাম’ ২০১৪; ‘কোরআনিক কনস্টিটিউশনালিজম অ্যান্ড মোরাল গভর্নমেন্টালিটি: ফারদার নোটস অন দ্য ফাউন্ডিং প্রিন্সিপালস অব ইসলামিক সোসাইটি অ্যান্ড পোলিটি’ ২০১২, ‘মুসলিম রেজ অ্যান্ড ইসলামিক ল’ ২০০৩।
২০০৯ সালে জন এস্পোসিটো ও তাঁর পর্যালোচনা প্যানেল ইসলামি আইনের ওপর গবেষণা ও রচনার জন্য হাল্লাককে বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। যদিও হাল্লাক খ্রিষ্টান ছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁর ‘দ্য ইমপসিবল স্টেট’ বইটি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বুক অ্যাওয়ার্ডে সেরা বই হিসেবে পুরস্কৃত হয়।
২০২০ সালে তাঁর রচিত ‘রিফর্মিং মডার্নিটি’ বইটি নটিলাস বুক অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়। ২০২১ সালে মানবিক ও সামাজিক জ্ঞানে তাঁর উদ্ভাবনী ও অগ্রণী ধারণা এবং থিসিসের তুর্কি একাডেমি অব সায়েন্সেস থেকে তোবা পুরস্কার পেয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে অধ্যাপক ওয়ায়েল হাল্লাক মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে গবেষণার জন্য এ বছর তাঁকে এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
লেখালেখির পাশাপাশি রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। বিডিএস আন্দোলনসহ পশ্চিমা জায়নবাদী দখলদারির বিরোধিতাকারী বেশ কয়েকটি আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাজে পরিস্থিতি দেখে তিনি বিরক্ত এবং ইসলামি শাসনব্যবস্থার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ও মুগ্ধতা রয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, একজন খ্রিষ্টান হিসেবে তিনি বর্তমান মডার্ন সিটিজেন হওয়ার চেয়ে একজন উমাইয়া সিটিজেন হওয়া অধিক পছন্দ করেন।

ওয়ায়েল বাহজাত আল-হাল্লাক ১৯৫৫ সালে ফিলিস্তিনের নাজারেথ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত হলেও জাতীয়তায় কানাডিয়ান তিনি। নাজারেথ স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে অধ্যয়ন সমাপ্ত করেছেন। ফিলিস্তিনের হাইফা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিকহ ও ইসলামিক আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করে তিনি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে লেকচারার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে কানাডার মন্ট্রিলের ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে ইসলামি আইনের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক পদ লাভ করেন।
২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডল ইস্টার্ন স্টাডিজ বিভাগে মানবিক ও ইসলামিক স্টাডিজের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১০ সাল থেকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগে অ্যাভালন ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক হন এবং ইন্দোনেশিয়া, টরন্টো ও সিঙ্গাপুরের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
ওয়ায়েল হাল্লাককে একজন অত্যন্ত জ্ঞানী লেখক ও গবেষক বিবেচনা করা হয়। তিনি ‘ইসলামি আইন ও এর সমসাময়িক প্রয়োগ’ গবেষণার জন্য অনেকের কাছে সমাদৃত। তবে তাঁর কিছু মতামত ও চিন্তার কারণে তিনি সমালোচিতও বটে। তাঁর কিছু লেখা ও দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ইসলামি স্কলারগণ আপত্তি তুলেছেন।
ওয়ায়েল হাল্লাক ইসলামি আইন অধ্যয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। তাঁর রচনাসমূহ হিব্রু, ইন্দোনেশিয়ান, ইতালীয়, জাপানি, তুর্কিসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ইসলামি আইনশাস্ত্রের উত্থান, এর উৎস, ইসলামি আইন প্রণয়নের ইতিহাস এবং ইসলামে বিচারব্যবস্থা, দর্শন, রাজনৈতিক তত্ত্ব ও যুক্তিবিদ্যা বিষয়ে ৮০টির বেশি বিশেষ গবেষণা প্রকাশ করেছেন।
২০১৮ সালে ওয়ায়েল হাল্লাকের সাড়া জাগানো ‘রিস্টেটিং ওরিয়েন্টালিজম’ বইটি প্রকাশিত হয়। তিনি ইসলামি বিশ্বকোষ রচনা ও সম্পাদনায় অংশগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, এনসাইক্লোপিডিয়া অব কোরআন, এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম, এনসাইক্লোপিডিয়া ইরানিকা, এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য মডার্ন মিডল ইস্ট ও অন্যান্য।
ওয়ায়েল হাল্লাক লিখিত প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে, ‘গড ক্যান নট বি হার্মড: অন হুকুকুল্লাহ, হুকুক আল ইবাদ’ ২০১৯; ‘উসুলু আল ফিকহ অ্যান্ড শাফিয়িস রিসালা’-২০১৯; ‘কোরআনিক ম্যাগনাকার্টা: অন দি অরিজিনস অব দ্য রুল অব ল ইন ইসলাম’ ২০১৪; ‘কোরআনিক কনস্টিটিউশনালিজম অ্যান্ড মোরাল গভর্নমেন্টালিটি: ফারদার নোটস অন দ্য ফাউন্ডিং প্রিন্সিপালস অব ইসলামিক সোসাইটি অ্যান্ড পোলিটি’ ২০১২, ‘মুসলিম রেজ অ্যান্ড ইসলামিক ল’ ২০০৩।
২০০৯ সালে জন এস্পোসিটো ও তাঁর পর্যালোচনা প্যানেল ইসলামি আইনের ওপর গবেষণা ও রচনার জন্য হাল্লাককে বিশ্বের ৫০০ জন প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। যদিও হাল্লাক খ্রিষ্টান ছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁর ‘দ্য ইমপসিবল স্টেট’ বইটি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বুক অ্যাওয়ার্ডে সেরা বই হিসেবে পুরস্কৃত হয়।
২০২০ সালে তাঁর রচিত ‘রিফর্মিং মডার্নিটি’ বইটি নটিলাস বুক অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়। ২০২১ সালে মানবিক ও সামাজিক জ্ঞানে তাঁর উদ্ভাবনী ও অগ্রণী ধারণা এবং থিসিসের তুর্কি একাডেমি অব সায়েন্সেস থেকে তোবা পুরস্কার পেয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালে অধ্যাপক ওয়ায়েল হাল্লাক মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন। ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে গবেষণার জন্য এ বছর তাঁকে এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
লেখালেখির পাশাপাশি রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। বিডিএস আন্দোলনসহ পশ্চিমা জায়নবাদী দখলদারির বিরোধিতাকারী বেশ কয়েকটি আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাজে পরিস্থিতি দেখে তিনি বিরক্ত এবং ইসলামি শাসনব্যবস্থার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগ ও মুগ্ধতা রয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, একজন খ্রিষ্টান হিসেবে তিনি বর্তমান মডার্ন সিটিজেন হওয়ার চেয়ে একজন উমাইয়া সিটিজেন হওয়া অধিক পছন্দ করেন।

সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
পৃথিবীতে ভালোভাবে জীবনযাপন করার জন্য, উন্নতির জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা থাকা অপরিহার্য। আর শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার পর তা বজায় রাখার জন্য আপস-নিষ্পত্তির মন-মানসিকতা থাকতে হবে। কেননা, বিচিত্র স্বভাবের মানুষ নিয়েই হয় সমাজ। সব মানুষ এক মেজাজের নয়। তুচ্ছ ও নগণ্য বিষয়েও অনেক সময় পরস্পরে মনোমালিন্য হয়, কথা-কাটাকাটি হয়। একসঙ্গে চলতে গেলে এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয়টি এভাবেই ছেড়ে দিলে একপর্যায়ে তা ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়। তাই এই বিচিত্র স্বভাবের মানুষদের নিয়ে সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে নিজেদের মধ্যে রাখতে হবে আপস-নিষ্পত্তির অনন্য গুণ।
ইসলামপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। তখন প্রিয় নবী (সা.) চাদরে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে নিয়ে নিজ হাতে তা প্রতিস্থাপন করেন এবং এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের নিষ্পত্তি করেন।
আপস-নিষ্পত্তি দ্বারা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, এমনকি এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের বিবাদ দূর হয় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ক্ষমা করে দেয় ও আপস-নিষ্পত্তি করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে আছে।’ (সুরা শুরা: ৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আপস-নিষ্পত্তিকে নামাজ, রোজা এবং জাকাত থেকেও উত্তম আমল বলেছেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৩৯)
স্বাভাবিক কথায় মীমাংসা করা সম্ভব না হলে, আগে বেড়ে কথা হেরফের করারও অনুমতি আছে। তা মিথ্যা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা এমন করে হাদিসে তাদের মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত না করে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। (সহিহ্ বুখারি: ২৫১৩)

সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
পৃথিবীতে ভালোভাবে জীবনযাপন করার জন্য, উন্নতির জন্য পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা থাকা অপরিহার্য। আর শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করার পর তা বজায় রাখার জন্য আপস-নিষ্পত্তির মন-মানসিকতা থাকতে হবে। কেননা, বিচিত্র স্বভাবের মানুষ নিয়েই হয় সমাজ। সব মানুষ এক মেজাজের নয়। তুচ্ছ ও নগণ্য বিষয়েও অনেক সময় পরস্পরে মনোমালিন্য হয়, কথা-কাটাকাটি হয়। একসঙ্গে চলতে গেলে এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বিষয়টি এভাবেই ছেড়ে দিলে একপর্যায়ে তা ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, সংঘর্ষ পর্যন্ত গড়ায়। তাই এই বিচিত্র স্বভাবের মানুষদের নিয়ে সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে নিজেদের মধ্যে রাখতে হবে আপস-নিষ্পত্তির অনন্য গুণ।
ইসলামপূর্ব সময়ে কাবা পুনর্নির্মাণের পর হাজরে আসওয়াদ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। তখন প্রিয় নবী (সা.) চাদরে হাজরে আসওয়াদ রেখে সব গোত্রপ্রধানকে নিয়ে নিজ হাতে তা প্রতিস্থাপন করেন এবং এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের নিষ্পত্তি করেন।
আপস-নিষ্পত্তি দ্বারা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, এমনকি এক রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের বিবাদ দূর হয় এবং শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপিত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ক্ষমা করে দেয় ও আপস-নিষ্পত্তি করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে আছে।’ (সুরা শুরা: ৪০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আপস-নিষ্পত্তিকে নামাজ, রোজা এবং জাকাত থেকেও উত্তম আমল বলেছেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৩৯)
স্বাভাবিক কথায় মীমাংসা করা সম্ভব না হলে, আগে বেড়ে কথা হেরফের করারও অনুমতি আছে। তা মিথ্যা হবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যারা এমন করে হাদিসে তাদের মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত না করে তাদের প্রশংসা করা হয়েছে। (সহিহ্ বুখারি: ২৫১৩)

প্রাচ্যবিদ ওয়ায়েল হাল্লাক ইসলামি আইন গবেষক হিসেবে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। ইসলাম ধর্মাবলম্বী না হলেও তাঁর বেশির ভাগ রচনা মুসলিম বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সর্বশেষ এ বছর ইসলাম শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন তিনি
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৩ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৪ মিনিট | ০৫: ৫৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৮ মিনিট | ০৫: ২৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৫ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৯ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ৪: ৪৩ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৪ মিনিট | ০৫: ৫৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৮ মিনিট | ০৫: ২৩ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৫ মিনিট | ০৬: ৩৯ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৪০ মিনিট | ০৪: ৪৩ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

প্রাচ্যবিদ ওয়ায়েল হাল্লাক ইসলামি আইন গবেষক হিসেবে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। ইসলাম ধর্মাবলম্বী না হলেও তাঁর বেশির ভাগ রচনা মুসলিম বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সর্বশেষ এ বছর ইসলাম শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন তিনি
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
৪ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।

আরবি শব্দ তহারাত-এর আভিধানিক অর্থ পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা। আর শরয়ি দৃষ্টিতে তহারাত হলো বিশেষ পদ্ধতিতে অপবিত্রতা থেকে শুদ্ধ হওয়া।
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
পবিত্রতা মানুষকে করে তোলে ফেরেশতার অনুরূপ। তার হৃদয় হয়ে ওঠে নির্মল। আত্মা হয় প্রেরণার আধার। অন্যদিকে, অপবিত্রতা মানুষকে ঠেলে দেয় শয়তানের কুমন্ত্রণার দরজায়।
যে ব্যক্তি সর্বদা পবিত্রতায় যত্নবান, তার অন্তরে জন্ম নেয় আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার যোগ্যতা। সে দেখে সততা ও আলোয় ভরা স্বপ্ন। তার চরিত্রে ফুটে ওঠে অভূতপূর্ব আত্মিক সৌন্দর্য।
পবিত্রতা শুধু শরীরের পরিচ্ছন্নতা নয়, এটি আত্মার পরিশুদ্ধতার প্রতীক। এটি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পবিত্রতা রক্ষা করার একটি মহৎ উপায়। তাই পবিত্রতার মাধ্যমে নিজেকে শুদ্ধ ও পরিপূর্ণ রাখা প্রতিটি মুসলিমের নৈতিক দায়িত্ব এবং সফল জীবনের মূল চাবিকাঠি।
লেখক: মুফতি আবু রায়হান আল মাহমুদ, প্রিন্সিপাল, গাঙ্গাটিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসা বাখরাবাদ, কুমিল্লা।

প্রাচ্যবিদ ওয়ায়েল হাল্লাক ইসলামি আইন গবেষক হিসেবে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। ইসলাম ধর্মাবলম্বী না হলেও তাঁর বেশির ভাগ রচনা মুসলিম বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সর্বশেষ এ বছর ইসলাম শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন তিনি
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক...
১ দিন আগেডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

ইসলামি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস হলো জমাদিউল আউয়াল। আর এই মাসের প্রথম জুমা (শুক্রবার) মুসলমানদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যময় একটি দিন। ইসলাম ধর্মে জুমা বা শুক্রবার এমনিতেই বরকতময় দিন হিসেবে স্বীকৃত। তাই যখন এই পবিত্র জুমা নতুন একটি মাসের সূচনায় আসে, তখন তা আত্মসমালোচনা, তওবা ও নতুন করে ইমানকে নবায়নের এক মহামুহূর্ত তৈরি করে।
জমাদিউল আউয়াল মাস হিজরি বর্ষপঞ্জির মধ্যবর্তী এক শান্ত সময়। ইসলামি ইতিহাসে এই মাসে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে—বিশেষত নবী করিম (সা.)-এর সাহাবিদের কিছু যুদ্ধ এবং ইসলামি সমাজের পুনর্গঠনের দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। এটি এমন এক মাস, যা আমাদের আল্লাহর পথে অবিচল থাকার, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে দৃঢ় থাকে।’ (সুরা সাফ: ৪)
জুমা শ্রেষ্ঠতম দিন
নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হয়, এমন দিনগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার। এই দিনেই আদম সৃষ্টি হয়েছেন, এই দিনেই জান্নাতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দিনেই জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৫৪)
জুমার দিন মুসলমানদের জন্য বিশেষ ইবাদতের দিন। এদিনে গোসল করা, সুন্দর পোশাক পরা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও সালাত আদায় করা—এসব আমল অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে নামাজের আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ছুটে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।’ (সুরা জুমুআ: ৯)
এই জুমা ও পুরো মাসে কিছু আমল করলে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাওয়ার আশা করা যায়:
১. আত্মশুদ্ধি ও তওবা: অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২. সুরা কাহফ তিলাওয়াত: নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শুক্রবারে সুরা কাহফ তিলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাকে এক শুক্রবার থেকে পরের শুক্রবার পর্যন্ত নুর দান করেন।’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ৩৩৯২)
৩. দরুদ শরিফ বেশি পরিমাণে পড়া: নবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা আমার প্রতি বেশি দরুদ পাঠ করো—কারণ, তোমাদের দরুদ আমাকে পৌঁছে দেওয়া হয়।’ (সুনান আবু দাউদ: ১৫৩১)
৪. দরিদ্র ও অভাবীদের সহায়তা: মাসের শুরুতে দান-সদকা করলে পুরো মাসে বরকত আসে।
৫. দোয়া কবুলের সময়: শুক্রবারে আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়টি বিশেষ দোয়া কবুলের সময়।
এই জুমা হোক জীবনের নতুন দিকনির্দেশনা
জমাদিউল আউয়ালের প্রথম জুমা কেবল একটি তারিখ নয়; এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু নেক আমল চিরস্থায়ী। নতুন মাসের শুরু যেন নতুন প্রেরণা হয়ে আসে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাদ: ১১)। তাই আসুন, এই পবিত্র জুমায় নিজেদের পরিবর্তনের প্রতিজ্ঞা করি—নামাজে মনোযোগ দিই, কোরআন পাঠে নিয়মিত হই, মনের গ্লানি দূর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে জীবন উৎসর্গ করি।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

প্রাচ্যবিদ ওয়ায়েল হাল্লাক ইসলামি আইন গবেষক হিসেবে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। ইসলাম ধর্মাবলম্বী না হলেও তাঁর বেশির ভাগ রচনা মুসলিম বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সর্বশেষ এ বছর ইসলাম শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য মুসলিম বিশ্বের নোবেলখ্যাত কিং ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন তিনি
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি না থাকলে দুনিয়াবি জীবন বিপর্যস্ত হয়, অনেক সময় দ্বীনদারিরও সর্বনাশ হয়ে যায়। এক পাপ আরও হাজারটা পাপ ডেকে আনে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
মানবজীবনের প্রতিটি পর্যায়—জাগতিক হোক বা পরলৌকিক, পবিত্রতা এক অনন্য গুরুত্ব বহন করে। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) তাঁর অমর গ্রন্থ ‘হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ’ (১ / ৫৪)-তে চারটি সৌভাগ্যের স্বভাবের কথা বলেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্রতা অর্জনের অভ্যাস।
১ দিন আগে