মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী

ইসলামে মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মাতা-পিতার দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মাতা-পিতার প্রতি তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কর্তব্য ও দায়িত্ব কার্যকর হতে শুরু করে এবং তখন থেকেই সে হক অনুযায়ী আমল করা মাতা-পিতার কর্তব্য হয়ে যায়। সন্তান জন্মের পর মাতৃদুগ্ধ পান করা সন্তানের জন্মগত অধিকার।
শিশুর জন্মের পর তাকে মায়ের দুধ দিতে হবে। মায়ের শালদুধ শিশুর জন্য খুব উপকারী। এ দুধে স্নেহ ও শর্করার পরিমাণ থাকে কম। তবে খনিজ লবণ, লৌহ, রোগপ্রতিরোধী পদার্থ ও আমিষের পরিমাণ সাধারণ দুধের চেয়ে বেশি থাকে। মায়ের দুধ গ্রহণকারী শিশুদের অ্যালার্জি, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, ডায়রিয়া, যক্ষ্মা, মেনিনজাইটিস, অন্ত্র প্রদাহজাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব অন্য শিশুদের তুলনায় অনেক কম হয়।
রাসুলে করিম (সা.) বলেন, ‘শিশু জন্মের পরপর মায়ের বুক থেকে যে দুধ আসে তা শিশুর জন্য অত্যন্ত সুষম, উপাদেয় ও উপকারী খাবার।’ (জামে তিরমিজি)
নবজাতক শিশু যেহেতু জন্মের পর নিজে খাদ্য সংগ্রহ করে খেতে পারে না, সেহেতু ইসলামি শরিয়ত শিশুর জন্য দুই বছর পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ পান করার অনুমোদন করেছে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দুই বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়ানোর পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়।’ (সুরা বাকারা: ২৩৩)
মায়ের দুধ শিশুর জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নেয়ামত। শিশু জন্মগ্রহণের আগেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শিশুর উপযুক্ত খাদ্য হিসেবে দুধের সৃষ্টি করেছেন। শিশুকে বুকের দুধ পান করালে একদিকে শিশু পরিমিত পরিমাণে পুষ্টি পেয়ে স্বাভাবিক ও সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে, অপরদিকে মা ও সন্তানের মাঝে পারস্পরিক গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়, যা শিশুর মাঝে তার সামাজিক জীবনেও প্রভাব বিস্তার করে।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্বীয় বান্দার প্রতি অতি দয়াবান। বিশেষত ছোট শিশুদের প্রতি, যারা দয়া ও অনুগ্রহের বেশি মুখাপেক্ষী। তাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শিশুদের স্তন্য দান করা মায়ের ওপর ওয়াজিব করেছেন। কোনো অসুবিধা ছাড়া ক্রোধের বশবর্তী হয়ে বা অসন্তুষ্টির কারণে দুধ পান করানো বন্ধ করলে মারাত্মক গুনাহ হবে।
তার বিপরীতে এ ক্ষেত্রে পিতারও কর্তব্য রয়েছে। তার কর্তব্য হচ্ছে যথারীতি ভালোভাবে শিশুর মায়ের খোরপোষের ব্যবস্থা করা। এ ব্যাপারে উভয়েই সমান দায়িত্বশীল। এ ছোট শিশুর অধিকার সম্পর্কে তাদের উভয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মাতা দুধ পান আর প্রতিপালনের মাধ্যমে শিশুকে সহায়তা করবে, আর পিতা খাদ্য ও পরিধেয় বস্ত্রের ব্যবস্থা করবে।
নবজাতকের জন্মের পর তার উপযোগী প্রথম খাবার দুধ। একটি শিশুর জীবনের প্রথম ছয় মাস শুধু মায়ের দুধই শ্রেষ্ঠ খাবার। একটি শিশুর সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য খাদ্যের যেসব উপাদান প্রয়োজন, তার সবই পর্যাপ্ত পরিমাণে ও সঠিক অনুপাতে মায়ের দুধে বিদ্যমান রয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শিশুর শরীরের চাহিদা অনুযায়ী সুপরিমিত উপাদানসহ মায়ের দুধ সৃষ্টি করে থাকেন। তাই কেবল মায়ের দুধেই রয়েছে শিশুর সব ধরনের রোগ প্রতিরোধ করার মতো উপাদান।
ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃদুগ্ধ নবজাত শিশুর জন্মগত অধিকার। এ কারণে যে নবজাতকের মা শিশুকে দুধ পান করান, তার জন্য মাহে রমজানের রোজা পালনের বাধ্যবাধকতা পর্যন্ত শিথিল করে দেওয়া হয়েছে।
এ সম্পর্কে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ মুসাফিরের ওপর থেকে চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজের অর্ধেক রহিত করে দিয়েছেন এবং মুসাফির, স্তন্যদানকারিণী ও গর্ভবতী নারী থেকে রমজানের রোজা পালন করার বাধ্যবাধকতাও শিথিল করে দিয়েছেন।’ (জামে তিরমিজি, সুনানে আবু দাউদ ও সুনানে নাসায়ি)
পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় অনেকবার মায়ের দুধের কথা আলোচনা করা হয়েছে। যেমন—জীবনের নিরাপত্তার চরম হুমকি থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নবী হজরত মুসা (আ.)-এর মায়ের কাছে প্রত্যাদেশ পাঠিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি মুসার মায়ের কাছে নির্দেশ দিলাম যে, তুমি তাকে দুধ পান করাও।’ (সুরা কাসাস: ৭)
বুকের দুধ স্বীয় সন্তানকে পান করিয়ে মাতা পরকালীন জীবনকে সমৃদ্ধিশালী করতে পারেন। মায়ের জন্য রয়েছে প্রতি ফোঁটা দুধের বিনিময়ে উপযুক্ত সওয়াব। সুতরাং বলা যায়, সন্তানকে দুগ্ধদানের নির্দেশ প্রদান করে ইসলাম একদিকে যেমন নবজাতক সন্তানের অধিকার সংরক্ষণ করেছে, অপরদিকে মায়ের পরকালীন জীবনকে সহজতর করার ব্যবস্থা করেছে।
লেখক: আলেম, প্রাবন্ধিক ও কলেজ শিক্ষক

ইসলামে মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মাতা-পিতার দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মাতা-পিতার প্রতি তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কর্তব্য ও দায়িত্ব কার্যকর হতে শুরু করে এবং তখন থেকেই সে হক অনুযায়ী আমল করা মাতা-পিতার কর্তব্য হয়ে যায়। সন্তান জন্মের পর মাতৃদুগ্ধ পান করা সন্তানের জন্মগত অধিকার।
শিশুর জন্মের পর তাকে মায়ের দুধ দিতে হবে। মায়ের শালদুধ শিশুর জন্য খুব উপকারী। এ দুধে স্নেহ ও শর্করার পরিমাণ থাকে কম। তবে খনিজ লবণ, লৌহ, রোগপ্রতিরোধী পদার্থ ও আমিষের পরিমাণ সাধারণ দুধের চেয়ে বেশি থাকে। মায়ের দুধ গ্রহণকারী শিশুদের অ্যালার্জি, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, ডায়রিয়া, যক্ষ্মা, মেনিনজাইটিস, অন্ত্র প্রদাহজাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব অন্য শিশুদের তুলনায় অনেক কম হয়।
রাসুলে করিম (সা.) বলেন, ‘শিশু জন্মের পরপর মায়ের বুক থেকে যে দুধ আসে তা শিশুর জন্য অত্যন্ত সুষম, উপাদেয় ও উপকারী খাবার।’ (জামে তিরমিজি)
নবজাতক শিশু যেহেতু জন্মের পর নিজে খাদ্য সংগ্রহ করে খেতে পারে না, সেহেতু ইসলামি শরিয়ত শিশুর জন্য দুই বছর পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ পান করার অনুমোদন করেছে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দুই বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়ানোর পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়।’ (সুরা বাকারা: ২৩৩)
মায়ের দুধ শিশুর জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নেয়ামত। শিশু জন্মগ্রহণের আগেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শিশুর উপযুক্ত খাদ্য হিসেবে দুধের সৃষ্টি করেছেন। শিশুকে বুকের দুধ পান করালে একদিকে শিশু পরিমিত পরিমাণে পুষ্টি পেয়ে স্বাভাবিক ও সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে, অপরদিকে মা ও সন্তানের মাঝে পারস্পরিক গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়, যা শিশুর মাঝে তার সামাজিক জীবনেও প্রভাব বিস্তার করে।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্বীয় বান্দার প্রতি অতি দয়াবান। বিশেষত ছোট শিশুদের প্রতি, যারা দয়া ও অনুগ্রহের বেশি মুখাপেক্ষী। তাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শিশুদের স্তন্য দান করা মায়ের ওপর ওয়াজিব করেছেন। কোনো অসুবিধা ছাড়া ক্রোধের বশবর্তী হয়ে বা অসন্তুষ্টির কারণে দুধ পান করানো বন্ধ করলে মারাত্মক গুনাহ হবে।
তার বিপরীতে এ ক্ষেত্রে পিতারও কর্তব্য রয়েছে। তার কর্তব্য হচ্ছে যথারীতি ভালোভাবে শিশুর মায়ের খোরপোষের ব্যবস্থা করা। এ ব্যাপারে উভয়েই সমান দায়িত্বশীল। এ ছোট শিশুর অধিকার সম্পর্কে তাদের উভয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মাতা দুধ পান আর প্রতিপালনের মাধ্যমে শিশুকে সহায়তা করবে, আর পিতা খাদ্য ও পরিধেয় বস্ত্রের ব্যবস্থা করবে।
নবজাতকের জন্মের পর তার উপযোগী প্রথম খাবার দুধ। একটি শিশুর জীবনের প্রথম ছয় মাস শুধু মায়ের দুধই শ্রেষ্ঠ খাবার। একটি শিশুর সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য খাদ্যের যেসব উপাদান প্রয়োজন, তার সবই পর্যাপ্ত পরিমাণে ও সঠিক অনুপাতে মায়ের দুধে বিদ্যমান রয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শিশুর শরীরের চাহিদা অনুযায়ী সুপরিমিত উপাদানসহ মায়ের দুধ সৃষ্টি করে থাকেন। তাই কেবল মায়ের দুধেই রয়েছে শিশুর সব ধরনের রোগ প্রতিরোধ করার মতো উপাদান।
ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃদুগ্ধ নবজাত শিশুর জন্মগত অধিকার। এ কারণে যে নবজাতকের মা শিশুকে দুধ পান করান, তার জন্য মাহে রমজানের রোজা পালনের বাধ্যবাধকতা পর্যন্ত শিথিল করে দেওয়া হয়েছে।
এ সম্পর্কে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ মুসাফিরের ওপর থেকে চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজের অর্ধেক রহিত করে দিয়েছেন এবং মুসাফির, স্তন্যদানকারিণী ও গর্ভবতী নারী থেকে রমজানের রোজা পালন করার বাধ্যবাধকতাও শিথিল করে দিয়েছেন।’ (জামে তিরমিজি, সুনানে আবু দাউদ ও সুনানে নাসায়ি)
পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় অনেকবার মায়ের দুধের কথা আলোচনা করা হয়েছে। যেমন—জীবনের নিরাপত্তার চরম হুমকি থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নবী হজরত মুসা (আ.)-এর মায়ের কাছে প্রত্যাদেশ পাঠিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি মুসার মায়ের কাছে নির্দেশ দিলাম যে, তুমি তাকে দুধ পান করাও।’ (সুরা কাসাস: ৭)
বুকের দুধ স্বীয় সন্তানকে পান করিয়ে মাতা পরকালীন জীবনকে সমৃদ্ধিশালী করতে পারেন। মায়ের জন্য রয়েছে প্রতি ফোঁটা দুধের বিনিময়ে উপযুক্ত সওয়াব। সুতরাং বলা যায়, সন্তানকে দুগ্ধদানের নির্দেশ প্রদান করে ইসলাম একদিকে যেমন নবজাতক সন্তানের অধিকার সংরক্ষণ করেছে, অপরদিকে মায়ের পরকালীন জীবনকে সহজতর করার ব্যবস্থা করেছে।
লেখক: আলেম, প্রাবন্ধিক ও কলেজ শিক্ষক
মুহাম্মদ ছফিউল্লাহ হাশেমী

ইসলামে মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মাতা-পিতার দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মাতা-পিতার প্রতি তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কর্তব্য ও দায়িত্ব কার্যকর হতে শুরু করে এবং তখন থেকেই সে হক অনুযায়ী আমল করা মাতা-পিতার কর্তব্য হয়ে যায়। সন্তান জন্মের পর মাতৃদুগ্ধ পান করা সন্তানের জন্মগত অধিকার।
শিশুর জন্মের পর তাকে মায়ের দুধ দিতে হবে। মায়ের শালদুধ শিশুর জন্য খুব উপকারী। এ দুধে স্নেহ ও শর্করার পরিমাণ থাকে কম। তবে খনিজ লবণ, লৌহ, রোগপ্রতিরোধী পদার্থ ও আমিষের পরিমাণ সাধারণ দুধের চেয়ে বেশি থাকে। মায়ের দুধ গ্রহণকারী শিশুদের অ্যালার্জি, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, ডায়রিয়া, যক্ষ্মা, মেনিনজাইটিস, অন্ত্র প্রদাহজাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব অন্য শিশুদের তুলনায় অনেক কম হয়।
রাসুলে করিম (সা.) বলেন, ‘শিশু জন্মের পরপর মায়ের বুক থেকে যে দুধ আসে তা শিশুর জন্য অত্যন্ত সুষম, উপাদেয় ও উপকারী খাবার।’ (জামে তিরমিজি)
নবজাতক শিশু যেহেতু জন্মের পর নিজে খাদ্য সংগ্রহ করে খেতে পারে না, সেহেতু ইসলামি শরিয়ত শিশুর জন্য দুই বছর পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ পান করার অনুমোদন করেছে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দুই বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়ানোর পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়।’ (সুরা বাকারা: ২৩৩)
মায়ের দুধ শিশুর জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নেয়ামত। শিশু জন্মগ্রহণের আগেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শিশুর উপযুক্ত খাদ্য হিসেবে দুধের সৃষ্টি করেছেন। শিশুকে বুকের দুধ পান করালে একদিকে শিশু পরিমিত পরিমাণে পুষ্টি পেয়ে স্বাভাবিক ও সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে, অপরদিকে মা ও সন্তানের মাঝে পারস্পরিক গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়, যা শিশুর মাঝে তার সামাজিক জীবনেও প্রভাব বিস্তার করে।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্বীয় বান্দার প্রতি অতি দয়াবান। বিশেষত ছোট শিশুদের প্রতি, যারা দয়া ও অনুগ্রহের বেশি মুখাপেক্ষী। তাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শিশুদের স্তন্য দান করা মায়ের ওপর ওয়াজিব করেছেন। কোনো অসুবিধা ছাড়া ক্রোধের বশবর্তী হয়ে বা অসন্তুষ্টির কারণে দুধ পান করানো বন্ধ করলে মারাত্মক গুনাহ হবে।
তার বিপরীতে এ ক্ষেত্রে পিতারও কর্তব্য রয়েছে। তার কর্তব্য হচ্ছে যথারীতি ভালোভাবে শিশুর মায়ের খোরপোষের ব্যবস্থা করা। এ ব্যাপারে উভয়েই সমান দায়িত্বশীল। এ ছোট শিশুর অধিকার সম্পর্কে তাদের উভয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মাতা দুধ পান আর প্রতিপালনের মাধ্যমে শিশুকে সহায়তা করবে, আর পিতা খাদ্য ও পরিধেয় বস্ত্রের ব্যবস্থা করবে।
নবজাতকের জন্মের পর তার উপযোগী প্রথম খাবার দুধ। একটি শিশুর জীবনের প্রথম ছয় মাস শুধু মায়ের দুধই শ্রেষ্ঠ খাবার। একটি শিশুর সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য খাদ্যের যেসব উপাদান প্রয়োজন, তার সবই পর্যাপ্ত পরিমাণে ও সঠিক অনুপাতে মায়ের দুধে বিদ্যমান রয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শিশুর শরীরের চাহিদা অনুযায়ী সুপরিমিত উপাদানসহ মায়ের দুধ সৃষ্টি করে থাকেন। তাই কেবল মায়ের দুধেই রয়েছে শিশুর সব ধরনের রোগ প্রতিরোধ করার মতো উপাদান।
ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃদুগ্ধ নবজাত শিশুর জন্মগত অধিকার। এ কারণে যে নবজাতকের মা শিশুকে দুধ পান করান, তার জন্য মাহে রমজানের রোজা পালনের বাধ্যবাধকতা পর্যন্ত শিথিল করে দেওয়া হয়েছে।
এ সম্পর্কে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ মুসাফিরের ওপর থেকে চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজের অর্ধেক রহিত করে দিয়েছেন এবং মুসাফির, স্তন্যদানকারিণী ও গর্ভবতী নারী থেকে রমজানের রোজা পালন করার বাধ্যবাধকতাও শিথিল করে দিয়েছেন।’ (জামে তিরমিজি, সুনানে আবু দাউদ ও সুনানে নাসায়ি)
পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় অনেকবার মায়ের দুধের কথা আলোচনা করা হয়েছে। যেমন—জীবনের নিরাপত্তার চরম হুমকি থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নবী হজরত মুসা (আ.)-এর মায়ের কাছে প্রত্যাদেশ পাঠিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি মুসার মায়ের কাছে নির্দেশ দিলাম যে, তুমি তাকে দুধ পান করাও।’ (সুরা কাসাস: ৭)
বুকের দুধ স্বীয় সন্তানকে পান করিয়ে মাতা পরকালীন জীবনকে সমৃদ্ধিশালী করতে পারেন। মায়ের জন্য রয়েছে প্রতি ফোঁটা দুধের বিনিময়ে উপযুক্ত সওয়াব। সুতরাং বলা যায়, সন্তানকে দুগ্ধদানের নির্দেশ প্রদান করে ইসলাম একদিকে যেমন নবজাতক সন্তানের অধিকার সংরক্ষণ করেছে, অপরদিকে মায়ের পরকালীন জীবনকে সহজতর করার ব্যবস্থা করেছে।
লেখক: আলেম, প্রাবন্ধিক ও কলেজ শিক্ষক

ইসলামে মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মাতা-পিতার দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মাতা-পিতার প্রতি তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কর্তব্য ও দায়িত্ব কার্যকর হতে শুরু করে এবং তখন থেকেই সে হক অনুযায়ী আমল করা মাতা-পিতার কর্তব্য হয়ে যায়। সন্তান জন্মের পর মাতৃদুগ্ধ পান করা সন্তানের জন্মগত অধিকার।
শিশুর জন্মের পর তাকে মায়ের দুধ দিতে হবে। মায়ের শালদুধ শিশুর জন্য খুব উপকারী। এ দুধে স্নেহ ও শর্করার পরিমাণ থাকে কম। তবে খনিজ লবণ, লৌহ, রোগপ্রতিরোধী পদার্থ ও আমিষের পরিমাণ সাধারণ দুধের চেয়ে বেশি থাকে। মায়ের দুধ গ্রহণকারী শিশুদের অ্যালার্জি, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, ডায়রিয়া, যক্ষ্মা, মেনিনজাইটিস, অন্ত্র প্রদাহজাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব অন্য শিশুদের তুলনায় অনেক কম হয়।
রাসুলে করিম (সা.) বলেন, ‘শিশু জন্মের পরপর মায়ের বুক থেকে যে দুধ আসে তা শিশুর জন্য অত্যন্ত সুষম, উপাদেয় ও উপকারী খাবার।’ (জামে তিরমিজি)
নবজাতক শিশু যেহেতু জন্মের পর নিজে খাদ্য সংগ্রহ করে খেতে পারে না, সেহেতু ইসলামি শরিয়ত শিশুর জন্য দুই বছর পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ পান করার অনুমোদন করেছে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দুই বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়ানোর পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়।’ (সুরা বাকারা: ২৩৩)
মায়ের দুধ শিশুর জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নেয়ামত। শিশু জন্মগ্রহণের আগেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শিশুর উপযুক্ত খাদ্য হিসেবে দুধের সৃষ্টি করেছেন। শিশুকে বুকের দুধ পান করালে একদিকে শিশু পরিমিত পরিমাণে পুষ্টি পেয়ে স্বাভাবিক ও সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে, অপরদিকে মা ও সন্তানের মাঝে পারস্পরিক গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়, যা শিশুর মাঝে তার সামাজিক জীবনেও প্রভাব বিস্তার করে।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্বীয় বান্দার প্রতি অতি দয়াবান। বিশেষত ছোট শিশুদের প্রতি, যারা দয়া ও অনুগ্রহের বেশি মুখাপেক্ষী। তাই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শিশুদের স্তন্য দান করা মায়ের ওপর ওয়াজিব করেছেন। কোনো অসুবিধা ছাড়া ক্রোধের বশবর্তী হয়ে বা অসন্তুষ্টির কারণে দুধ পান করানো বন্ধ করলে মারাত্মক গুনাহ হবে।
তার বিপরীতে এ ক্ষেত্রে পিতারও কর্তব্য রয়েছে। তার কর্তব্য হচ্ছে যথারীতি ভালোভাবে শিশুর মায়ের খোরপোষের ব্যবস্থা করা। এ ব্যাপারে উভয়েই সমান দায়িত্বশীল। এ ছোট শিশুর অধিকার সম্পর্কে তাদের উভয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মাতা দুধ পান আর প্রতিপালনের মাধ্যমে শিশুকে সহায়তা করবে, আর পিতা খাদ্য ও পরিধেয় বস্ত্রের ব্যবস্থা করবে।
নবজাতকের জন্মের পর তার উপযোগী প্রথম খাবার দুধ। একটি শিশুর জীবনের প্রথম ছয় মাস শুধু মায়ের দুধই শ্রেষ্ঠ খাবার। একটি শিশুর সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য খাদ্যের যেসব উপাদান প্রয়োজন, তার সবই পর্যাপ্ত পরিমাণে ও সঠিক অনুপাতে মায়ের দুধে বিদ্যমান রয়েছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন শিশুর শরীরের চাহিদা অনুযায়ী সুপরিমিত উপাদানসহ মায়ের দুধ সৃষ্টি করে থাকেন। তাই কেবল মায়ের দুধেই রয়েছে শিশুর সব ধরনের রোগ প্রতিরোধ করার মতো উপাদান।
ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃদুগ্ধ নবজাত শিশুর জন্মগত অধিকার। এ কারণে যে নবজাতকের মা শিশুকে দুধ পান করান, তার জন্য মাহে রমজানের রোজা পালনের বাধ্যবাধকতা পর্যন্ত শিথিল করে দেওয়া হয়েছে।
এ সম্পর্কে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ মুসাফিরের ওপর থেকে চার রাকাতবিশিষ্ট নামাজের অর্ধেক রহিত করে দিয়েছেন এবং মুসাফির, স্তন্যদানকারিণী ও গর্ভবতী নারী থেকে রমজানের রোজা পালন করার বাধ্যবাধকতাও শিথিল করে দিয়েছেন।’ (জামে তিরমিজি, সুনানে আবু দাউদ ও সুনানে নাসায়ি)
পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় অনেকবার মায়ের দুধের কথা আলোচনা করা হয়েছে। যেমন—জীবনের নিরাপত্তার চরম হুমকি থাকা সত্ত্বেও আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নবী হজরত মুসা (আ.)-এর মায়ের কাছে প্রত্যাদেশ পাঠিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি মুসার মায়ের কাছে নির্দেশ দিলাম যে, তুমি তাকে দুধ পান করাও।’ (সুরা কাসাস: ৭)
বুকের দুধ স্বীয় সন্তানকে পান করিয়ে মাতা পরকালীন জীবনকে সমৃদ্ধিশালী করতে পারেন। মায়ের জন্য রয়েছে প্রতি ফোঁটা দুধের বিনিময়ে উপযুক্ত সওয়াব। সুতরাং বলা যায়, সন্তানকে দুগ্ধদানের নির্দেশ প্রদান করে ইসলাম একদিকে যেমন নবজাতক সন্তানের অধিকার সংরক্ষণ করেছে, অপরদিকে মায়ের পরকালীন জীবনকে সহজতর করার ব্যবস্থা করেছে।
লেখক: আলেম, প্রাবন্ধিক ও কলেজ শিক্ষক

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

ইসলামে মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মাতা-পিতার দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মাতা-পিতার প্রতি তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কর্তব্য ও দায়িত্ব কার্যকর হতে শুরু করে এবং তখন থেকেই সে হক অনুযায়ী আমল করা মাতা-পিতার...
২৪ আগস্ট ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামে মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মাতা-পিতার দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মাতা-পিতার প্রতি তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কর্তব্য ও দায়িত্ব কার্যকর হতে শুরু করে এবং তখন থেকেই সে হক অনুযায়ী আমল করা মাতা-পিতার...
২৪ আগস্ট ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেমাহমুদ হাসান ফাহিম

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১. ‘আল্লাহুম্মা রাহমাতাকা আরজু, ফালা তাকিলনি ইলা নাফসি তারফাতা আইন, ওয়া আসলিহ লি শানি কুল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লাহ আনতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে রহমত (মনের প্রশান্তি) চাই। আপনি এক মুহূর্তও আমাকে নফসের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। বরং আপনিই আমার সমস্ত বিষয় ঠিক করে দিন। আপনি ছাড়া (মনের অস্থিরতা ও বিপদ থেকে রক্ষাকারী) কোনো ইলাহ নেই।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৫০০২)
২. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।’ অর্থ: ‘মহান, সহনশীল আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আরশের অধিপতি, মহান আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। আসমান ও জমিনের রব এবং সম্মানিত আরশের রব আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (সহিহ্ মুসলিম: ৬৬৭২)
৩. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজান, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবন, ওয়া জিলাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা ও পেরেশান থেকে, অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণভার ও লোকজনের প্রাধান্য থেকে আপনার কাছে পানাহ চাই।’ (সহিহ্ বুখারি: ২৬৯৪)
৪. ‘আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বি; লা উশরিকু বিহি শাইআ।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি আমার প্রভু, আল্লাহ। আমি আপনার সঙ্গে কাউকে শরিক করি না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৫২৫)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, কোনো কারণে মনে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে উল্লিখিত দোয়াগুলো পড়া। এতে মনের অস্থিরতা ও পেরেশান দূর হবে ইনশা আল্লাহ।
লেখক: মাদ্রাসাশিক্ষক, টঙ্গী, গাজীপুর

ইসলামে মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মাতা-পিতার দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মাতা-পিতার প্রতি তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কর্তব্য ও দায়িত্ব কার্যকর হতে শুরু করে এবং তখন থেকেই সে হক অনুযায়ী আমল করা মাতা-পিতার...
২৪ আগস্ট ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৪ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৫ মিনিট | ০৬: ০০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৪ মিনিট | ০৬: ৩৮ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৯ মিনিট | ০৪: ৪৪ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইসলামে মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য যেমন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মাতা-পিতার দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। সন্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মাতা-পিতার প্রতি তাদের প্রাথমিক পর্যায়ের কর্তব্য ও দায়িত্ব কার্যকর হতে শুরু করে এবং তখন থেকেই সে হক অনুযায়ী আমল করা মাতা-পিতার...
২৪ আগস্ট ২০২৫
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ ঘণ্টা আগে
মানসিক অশান্তি থাকলে কোনো কাজেই মন বসে না। সারাক্ষণ অস্থিরতা বিরাজ করে। কাজে স্থিরতা আসার পূর্বশর্ত হলো মানসিক শান্তি। কোরআন-সুন্নাহয় এই অশান্তি বা অস্থিরতা ভাব দূর করার অনেক দোয়া রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো।
১ দিন আগে