ধর্ম ও জীবন ডেস্ক

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। ইসলাম এ অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনো মানুষের সম্মান-সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর একটি। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার কয়েকটি দিক তুলে ধরা হলো—
অন্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘন গুনাহ
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখে ইসলাম। মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়গুলো যাতে প্রকাশ হয়ে না পড়ে, সে জন্য কোনো সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটুকুই নয়, বরং নিজের ঘরের অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের জন্যও একান্ত ব্যক্তিগত সময়গুলোতে মা-বাবার কক্ষে প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়া আবশ্যক করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের মালিকানাধীন দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্তবয়ষ্ক হয়নি, তারা যেন তোমাদের কক্ষে প্রবেশ করতে তিন সময়ে অনুমতি গ্রহণ করে—ফজরের নামাজের আগে, দ্বিপ্রহরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখো এবং এশার নামাজের পর; এই তিন সময় তোমাদের গোপনীয়তার সময়।’ (সুরা নুর: ৫৮)
অনুমতি ছাড়া কারও একান্ত সময়ে তাঁর কাছে যাওয়া গুনাহের কাজ। আর কারও অজান্তে ঘরের ভেতরের ব্যক্তিগত মুহূর্ত নজরদারি করা বা উঁকি দেওয়া আরও বড় গুনাহের কাজ। হাদিসে এ ব্যাপারে কঠিন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সাহাল ইবনে সাদ (রা.) বলেন, একবার এক লোক রাসুল (সা.)-এর কোনো এক কক্ষে উঁকি দেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাতে একটা চিরুনি ছিল, যা দিয়ে তিনি মাথা আঁচড়াচ্ছিলেন। তিনি বললেন, যদি আমি জানতাম তুমি উঁকি দিচ্ছ, তাহলে এটা দিয়ে তোমার চোখ ফুঁড়ে দিতাম। তাকানোর জন্য অনুমতি নেওয়ার বিধান আবশ্যক করা হয়েছে। (বুখারি)
অনুমতি না পেলে ফিরে যাওয়া উচিত
কারও ঘরে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ কোরো না, যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নেবে এবং গৃহবাসীদের সালাম দেবে। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নুর: ২৭)
আর কারও দরজায় টোকা দিয়ে তিনবার অনুমতি চাওয়ার পরও যদি সে সাড়া না দেয়, তাহলে ফিরে যাওয়া উচিত। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু মুসা (রা.) উমর (রা.)-এর কক্ষে প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চেয়েছিলেন এবং তিনি কোনো অনুমতি পাননি। উমর (রা.) তাঁকে পরে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি ফিরে গেলে কেন?’ তিনি জবাব দেন, ‘আমি আপনার কাছে প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চেয়েছিলাম—যেমনটা রাসুল (সা.) আমাদের শিখিয়েছিলেন, কিন্তু আপনি কোনো অনুমতি দেননি, তাই আমি প্রবেশ করিনি।’ (ইবনে মাজাহ)
অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে বুশর (রা.) বলেন, ‘যখন কারও দরজায় কেউ এসে দাঁড়াবে এবং অনুমতি চাইবে, তখন একেবারে দরজার সোজাসুজি দাঁড়াবে না, বরং একটু ডান পাশে বা বাঁ পাশে সরে দাঁড়াবে। যদি অনুমতি দেওয়া হয়, তবে প্রবেশ করবে, অন্যথায় ফিরে যাবে।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ)
নিজের গোপনীয়তা প্রকাশ করাও গুনাহ
দাম্পত্যজীবনে স্বামী-স্ত্রীর একান্ত মুহূর্তগুলো গোপন রাখা আবশ্যক। এ বিষয়গুলো মানুষকে বলে বেড়ানোর অনুমতি দেয় না ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক নিকৃষ্ট সেই পুরুষ, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে মিলিত হয় এবং স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে মিলিত হয়, এরপর সে স্ত্রীর রহস্য প্রকাশ করে দেয়।’ (মুসলিম)
একইভাবে গোপন পাপের কথা মানুষকে বলে বেড়ানোও বড় গুনাহের কাজ। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে; তবে ওই সব লোককে ক্ষমা করা হবে না, যারা পাপ করার পর তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে দেয়। অন্যের কাছে প্রকাশ করার একটি দিক হলো, কোনো ব্যক্তি রাতের আঁধারে কোনো গুনাহ করল এবং মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির গুনাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু ভোর হওয়ার পর সে নিজেই অন্য মানুষের কাছে বলল, হে অমুক, জানো, রাতে আমি এ কাজ করেছি। সারা রাত মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির পাপটি গোপন রাখলেন আর ভোর হওয়ামাত্রই আল্লাহর ঢেকে রাখা পাপের বিষয়টি সেই ব্যক্তি নিজেই প্রকাশ করে দিল!’ (বুখারি)
অন্যের দোষ গোপন করার ফজিলত
অন্যের কোনো দোষ জানা থাকলেও তা প্রকাশ না করাই ইসলামের শিক্ষা। বিশেষ করে ওই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাঁর দোষচর্চা ইসলামে নিষিদ্ধ। এটিকে ইসলামের পরিভাষায় গিবত বলা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘...তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? বস্তুত তোমরা একে ঘৃণাই করো।’ (সুরা হুজুরাত: ১২) মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মর্ম সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলেন, ‘এটা কীভাবে?’ তিনি বললেন, ‘কেউ ব্যভিচার করার পর তওবা করলে গুনাহ মাফ হয়ে যায়। কিন্তু যে গিবত করে তার গুনাহ প্রতিপক্ষ মাফ না করা পর্যন্ত মাফ হয় না।’ (তিরমিজি)
অন্যের দোষ প্রকাশ না করার ফজিলত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন।’ (ইবনে মাজাহ)
অন্যের দোষ অনুসন্ধান করা নিষেধ
কারও দোষ অনুসন্ধান করা এবং অনুমান করে খারাপ ধারণা করা ইসলামে নিষিদ্ধ। কারও পেছনে গুপ্তচরবৃত্তি করাও নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা বেশির ভাগ অনুমান থেকে দূরে থাকো। কেননা, অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ। তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান কোরো না এবং একে অপরের পেছনে নিন্দা কোরো না।’ (সুরা হুজুরাত: ১২)
মহানবী (সা.) সাহাবিদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা যদি মানুষের গোপনীয় বিষয় উদ্ঘাটনে লেগে যাও, তবে তোমরা তাকে ধ্বংস করে দেবে কিংবা অন্তত ধ্বংসের প্রান্তে পৌঁছে দেবে।’ (আবু দাউদ) অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই ধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা, ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা। কারো দোষ খুঁজে বেড়িও না, গোয়েন্দাগিরিতে লিপ্ত হয়ো না এবং একে অন্যকে ধোঁকা দিয়ো না। …’ (বুখারি)
বৃহত্তর স্বার্থে গোয়েন্দাগিরির অনুমতি
মানুষকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে এবং জাতীয় স্বার্থে কখনো-সখনো ব্যক্তিবিশেষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধানের প্রয়োজন পড়ে। ইসলামি আইন ও বিচারব্যবস্থার বিধান অনুসারে কারও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা যাবে। তবে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা সরাসরি বিষয়টির সঙ্গে জড়িতদের কাছেই হতে হবে। সাধারণ সমাজে তা প্রচার করা যাবে না। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন শান্তি বা শঙ্কার কোনো সংবাদ তাদের কাছে আসে, তখন তারা তা প্রচার করে থাকে। যদি তারা তা রাসুল বা তাদের মধ্যে যারা ক্ষমতার অধিকারী তাদের গোচরে আনত, তবে তাদের মধ্যে যারা তথ্য অনুসন্ধান করে, তারা তার যথার্থতা নির্ণয় করতে পারত। …’ (সুরা নিসা: ৮৩)

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। ইসলাম এ অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনো মানুষের সম্মান-সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর একটি। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার কয়েকটি দিক তুলে ধরা হলো—
অন্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘন গুনাহ
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখে ইসলাম। মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়গুলো যাতে প্রকাশ হয়ে না পড়ে, সে জন্য কোনো সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটুকুই নয়, বরং নিজের ঘরের অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের জন্যও একান্ত ব্যক্তিগত সময়গুলোতে মা-বাবার কক্ষে প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়া আবশ্যক করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের মালিকানাধীন দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্তবয়ষ্ক হয়নি, তারা যেন তোমাদের কক্ষে প্রবেশ করতে তিন সময়ে অনুমতি গ্রহণ করে—ফজরের নামাজের আগে, দ্বিপ্রহরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখো এবং এশার নামাজের পর; এই তিন সময় তোমাদের গোপনীয়তার সময়।’ (সুরা নুর: ৫৮)
অনুমতি ছাড়া কারও একান্ত সময়ে তাঁর কাছে যাওয়া গুনাহের কাজ। আর কারও অজান্তে ঘরের ভেতরের ব্যক্তিগত মুহূর্ত নজরদারি করা বা উঁকি দেওয়া আরও বড় গুনাহের কাজ। হাদিসে এ ব্যাপারে কঠিন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সাহাল ইবনে সাদ (রা.) বলেন, একবার এক লোক রাসুল (সা.)-এর কোনো এক কক্ষে উঁকি দেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাতে একটা চিরুনি ছিল, যা দিয়ে তিনি মাথা আঁচড়াচ্ছিলেন। তিনি বললেন, যদি আমি জানতাম তুমি উঁকি দিচ্ছ, তাহলে এটা দিয়ে তোমার চোখ ফুঁড়ে দিতাম। তাকানোর জন্য অনুমতি নেওয়ার বিধান আবশ্যক করা হয়েছে। (বুখারি)
অনুমতি না পেলে ফিরে যাওয়া উচিত
কারও ঘরে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ কোরো না, যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নেবে এবং গৃহবাসীদের সালাম দেবে। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নুর: ২৭)
আর কারও দরজায় টোকা দিয়ে তিনবার অনুমতি চাওয়ার পরও যদি সে সাড়া না দেয়, তাহলে ফিরে যাওয়া উচিত। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু মুসা (রা.) উমর (রা.)-এর কক্ষে প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চেয়েছিলেন এবং তিনি কোনো অনুমতি পাননি। উমর (রা.) তাঁকে পরে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি ফিরে গেলে কেন?’ তিনি জবাব দেন, ‘আমি আপনার কাছে প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চেয়েছিলাম—যেমনটা রাসুল (সা.) আমাদের শিখিয়েছিলেন, কিন্তু আপনি কোনো অনুমতি দেননি, তাই আমি প্রবেশ করিনি।’ (ইবনে মাজাহ)
অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে বুশর (রা.) বলেন, ‘যখন কারও দরজায় কেউ এসে দাঁড়াবে এবং অনুমতি চাইবে, তখন একেবারে দরজার সোজাসুজি দাঁড়াবে না, বরং একটু ডান পাশে বা বাঁ পাশে সরে দাঁড়াবে। যদি অনুমতি দেওয়া হয়, তবে প্রবেশ করবে, অন্যথায় ফিরে যাবে।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ)
নিজের গোপনীয়তা প্রকাশ করাও গুনাহ
দাম্পত্যজীবনে স্বামী-স্ত্রীর একান্ত মুহূর্তগুলো গোপন রাখা আবশ্যক। এ বিষয়গুলো মানুষকে বলে বেড়ানোর অনুমতি দেয় না ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক নিকৃষ্ট সেই পুরুষ, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে মিলিত হয় এবং স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে মিলিত হয়, এরপর সে স্ত্রীর রহস্য প্রকাশ করে দেয়।’ (মুসলিম)
একইভাবে গোপন পাপের কথা মানুষকে বলে বেড়ানোও বড় গুনাহের কাজ। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে; তবে ওই সব লোককে ক্ষমা করা হবে না, যারা পাপ করার পর তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে দেয়। অন্যের কাছে প্রকাশ করার একটি দিক হলো, কোনো ব্যক্তি রাতের আঁধারে কোনো গুনাহ করল এবং মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির গুনাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু ভোর হওয়ার পর সে নিজেই অন্য মানুষের কাছে বলল, হে অমুক, জানো, রাতে আমি এ কাজ করেছি। সারা রাত মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির পাপটি গোপন রাখলেন আর ভোর হওয়ামাত্রই আল্লাহর ঢেকে রাখা পাপের বিষয়টি সেই ব্যক্তি নিজেই প্রকাশ করে দিল!’ (বুখারি)
অন্যের দোষ গোপন করার ফজিলত
অন্যের কোনো দোষ জানা থাকলেও তা প্রকাশ না করাই ইসলামের শিক্ষা। বিশেষ করে ওই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাঁর দোষচর্চা ইসলামে নিষিদ্ধ। এটিকে ইসলামের পরিভাষায় গিবত বলা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘...তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? বস্তুত তোমরা একে ঘৃণাই করো।’ (সুরা হুজুরাত: ১২) মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মর্ম সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলেন, ‘এটা কীভাবে?’ তিনি বললেন, ‘কেউ ব্যভিচার করার পর তওবা করলে গুনাহ মাফ হয়ে যায়। কিন্তু যে গিবত করে তার গুনাহ প্রতিপক্ষ মাফ না করা পর্যন্ত মাফ হয় না।’ (তিরমিজি)
অন্যের দোষ প্রকাশ না করার ফজিলত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন।’ (ইবনে মাজাহ)
অন্যের দোষ অনুসন্ধান করা নিষেধ
কারও দোষ অনুসন্ধান করা এবং অনুমান করে খারাপ ধারণা করা ইসলামে নিষিদ্ধ। কারও পেছনে গুপ্তচরবৃত্তি করাও নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা বেশির ভাগ অনুমান থেকে দূরে থাকো। কেননা, অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ। তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান কোরো না এবং একে অপরের পেছনে নিন্দা কোরো না।’ (সুরা হুজুরাত: ১২)
মহানবী (সা.) সাহাবিদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা যদি মানুষের গোপনীয় বিষয় উদ্ঘাটনে লেগে যাও, তবে তোমরা তাকে ধ্বংস করে দেবে কিংবা অন্তত ধ্বংসের প্রান্তে পৌঁছে দেবে।’ (আবু দাউদ) অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই ধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা, ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা। কারো দোষ খুঁজে বেড়িও না, গোয়েন্দাগিরিতে লিপ্ত হয়ো না এবং একে অন্যকে ধোঁকা দিয়ো না। …’ (বুখারি)
বৃহত্তর স্বার্থে গোয়েন্দাগিরির অনুমতি
মানুষকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে এবং জাতীয় স্বার্থে কখনো-সখনো ব্যক্তিবিশেষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধানের প্রয়োজন পড়ে। ইসলামি আইন ও বিচারব্যবস্থার বিধান অনুসারে কারও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা যাবে। তবে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা সরাসরি বিষয়টির সঙ্গে জড়িতদের কাছেই হতে হবে। সাধারণ সমাজে তা প্রচার করা যাবে না। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন শান্তি বা শঙ্কার কোনো সংবাদ তাদের কাছে আসে, তখন তারা তা প্রচার করে থাকে। যদি তারা তা রাসুল বা তাদের মধ্যে যারা ক্ষমতার অধিকারী তাদের গোচরে আনত, তবে তাদের মধ্যে যারা তথ্য অনুসন্ধান করে, তারা তার যথার্থতা নির্ণয় করতে পারত। …’ (সুরা নিসা: ৮৩)
ধর্ম ও জীবন ডেস্ক

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। ইসলাম এ অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনো মানুষের সম্মান-সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর একটি। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার কয়েকটি দিক তুলে ধরা হলো—
অন্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘন গুনাহ
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখে ইসলাম। মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়গুলো যাতে প্রকাশ হয়ে না পড়ে, সে জন্য কোনো সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটুকুই নয়, বরং নিজের ঘরের অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের জন্যও একান্ত ব্যক্তিগত সময়গুলোতে মা-বাবার কক্ষে প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়া আবশ্যক করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের মালিকানাধীন দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্তবয়ষ্ক হয়নি, তারা যেন তোমাদের কক্ষে প্রবেশ করতে তিন সময়ে অনুমতি গ্রহণ করে—ফজরের নামাজের আগে, দ্বিপ্রহরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখো এবং এশার নামাজের পর; এই তিন সময় তোমাদের গোপনীয়তার সময়।’ (সুরা নুর: ৫৮)
অনুমতি ছাড়া কারও একান্ত সময়ে তাঁর কাছে যাওয়া গুনাহের কাজ। আর কারও অজান্তে ঘরের ভেতরের ব্যক্তিগত মুহূর্ত নজরদারি করা বা উঁকি দেওয়া আরও বড় গুনাহের কাজ। হাদিসে এ ব্যাপারে কঠিন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সাহাল ইবনে সাদ (রা.) বলেন, একবার এক লোক রাসুল (সা.)-এর কোনো এক কক্ষে উঁকি দেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাতে একটা চিরুনি ছিল, যা দিয়ে তিনি মাথা আঁচড়াচ্ছিলেন। তিনি বললেন, যদি আমি জানতাম তুমি উঁকি দিচ্ছ, তাহলে এটা দিয়ে তোমার চোখ ফুঁড়ে দিতাম। তাকানোর জন্য অনুমতি নেওয়ার বিধান আবশ্যক করা হয়েছে। (বুখারি)
অনুমতি না পেলে ফিরে যাওয়া উচিত
কারও ঘরে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ কোরো না, যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নেবে এবং গৃহবাসীদের সালাম দেবে। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নুর: ২৭)
আর কারও দরজায় টোকা দিয়ে তিনবার অনুমতি চাওয়ার পরও যদি সে সাড়া না দেয়, তাহলে ফিরে যাওয়া উচিত। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু মুসা (রা.) উমর (রা.)-এর কক্ষে প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চেয়েছিলেন এবং তিনি কোনো অনুমতি পাননি। উমর (রা.) তাঁকে পরে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি ফিরে গেলে কেন?’ তিনি জবাব দেন, ‘আমি আপনার কাছে প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চেয়েছিলাম—যেমনটা রাসুল (সা.) আমাদের শিখিয়েছিলেন, কিন্তু আপনি কোনো অনুমতি দেননি, তাই আমি প্রবেশ করিনি।’ (ইবনে মাজাহ)
অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে বুশর (রা.) বলেন, ‘যখন কারও দরজায় কেউ এসে দাঁড়াবে এবং অনুমতি চাইবে, তখন একেবারে দরজার সোজাসুজি দাঁড়াবে না, বরং একটু ডান পাশে বা বাঁ পাশে সরে দাঁড়াবে। যদি অনুমতি দেওয়া হয়, তবে প্রবেশ করবে, অন্যথায় ফিরে যাবে।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ)
নিজের গোপনীয়তা প্রকাশ করাও গুনাহ
দাম্পত্যজীবনে স্বামী-স্ত্রীর একান্ত মুহূর্তগুলো গোপন রাখা আবশ্যক। এ বিষয়গুলো মানুষকে বলে বেড়ানোর অনুমতি দেয় না ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক নিকৃষ্ট সেই পুরুষ, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে মিলিত হয় এবং স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে মিলিত হয়, এরপর সে স্ত্রীর রহস্য প্রকাশ করে দেয়।’ (মুসলিম)
একইভাবে গোপন পাপের কথা মানুষকে বলে বেড়ানোও বড় গুনাহের কাজ। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে; তবে ওই সব লোককে ক্ষমা করা হবে না, যারা পাপ করার পর তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে দেয়। অন্যের কাছে প্রকাশ করার একটি দিক হলো, কোনো ব্যক্তি রাতের আঁধারে কোনো গুনাহ করল এবং মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির গুনাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু ভোর হওয়ার পর সে নিজেই অন্য মানুষের কাছে বলল, হে অমুক, জানো, রাতে আমি এ কাজ করেছি। সারা রাত মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির পাপটি গোপন রাখলেন আর ভোর হওয়ামাত্রই আল্লাহর ঢেকে রাখা পাপের বিষয়টি সেই ব্যক্তি নিজেই প্রকাশ করে দিল!’ (বুখারি)
অন্যের দোষ গোপন করার ফজিলত
অন্যের কোনো দোষ জানা থাকলেও তা প্রকাশ না করাই ইসলামের শিক্ষা। বিশেষ করে ওই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাঁর দোষচর্চা ইসলামে নিষিদ্ধ। এটিকে ইসলামের পরিভাষায় গিবত বলা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘...তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? বস্তুত তোমরা একে ঘৃণাই করো।’ (সুরা হুজুরাত: ১২) মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মর্ম সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলেন, ‘এটা কীভাবে?’ তিনি বললেন, ‘কেউ ব্যভিচার করার পর তওবা করলে গুনাহ মাফ হয়ে যায়। কিন্তু যে গিবত করে তার গুনাহ প্রতিপক্ষ মাফ না করা পর্যন্ত মাফ হয় না।’ (তিরমিজি)
অন্যের দোষ প্রকাশ না করার ফজিলত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন।’ (ইবনে মাজাহ)
অন্যের দোষ অনুসন্ধান করা নিষেধ
কারও দোষ অনুসন্ধান করা এবং অনুমান করে খারাপ ধারণা করা ইসলামে নিষিদ্ধ। কারও পেছনে গুপ্তচরবৃত্তি করাও নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা বেশির ভাগ অনুমান থেকে দূরে থাকো। কেননা, অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ। তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান কোরো না এবং একে অপরের পেছনে নিন্দা কোরো না।’ (সুরা হুজুরাত: ১২)
মহানবী (সা.) সাহাবিদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা যদি মানুষের গোপনীয় বিষয় উদ্ঘাটনে লেগে যাও, তবে তোমরা তাকে ধ্বংস করে দেবে কিংবা অন্তত ধ্বংসের প্রান্তে পৌঁছে দেবে।’ (আবু দাউদ) অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই ধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা, ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা। কারো দোষ খুঁজে বেড়িও না, গোয়েন্দাগিরিতে লিপ্ত হয়ো না এবং একে অন্যকে ধোঁকা দিয়ো না। …’ (বুখারি)
বৃহত্তর স্বার্থে গোয়েন্দাগিরির অনুমতি
মানুষকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে এবং জাতীয় স্বার্থে কখনো-সখনো ব্যক্তিবিশেষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধানের প্রয়োজন পড়ে। ইসলামি আইন ও বিচারব্যবস্থার বিধান অনুসারে কারও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা যাবে। তবে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা সরাসরি বিষয়টির সঙ্গে জড়িতদের কাছেই হতে হবে। সাধারণ সমাজে তা প্রচার করা যাবে না। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন শান্তি বা শঙ্কার কোনো সংবাদ তাদের কাছে আসে, তখন তারা তা প্রচার করে থাকে। যদি তারা তা রাসুল বা তাদের মধ্যে যারা ক্ষমতার অধিকারী তাদের গোচরে আনত, তবে তাদের মধ্যে যারা তথ্য অনুসন্ধান করে, তারা তার যথার্থতা নির্ণয় করতে পারত। …’ (সুরা নিসা: ৮৩)

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। ইসলাম এ অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। কোনো মানুষের সম্মান-সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর একটি। কোরআন-সুন্নাহর আলোকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার কয়েকটি দিক তুলে ধরা হলো—
অন্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘন গুনাহ
ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখে ইসলাম। মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়গুলো যাতে প্রকাশ হয়ে না পড়ে, সে জন্য কোনো সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটুকুই নয়, বরং নিজের ঘরের অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের জন্যও একান্ত ব্যক্তিগত সময়গুলোতে মা-বাবার কক্ষে প্রবেশের আগে অনুমতি নেওয়া আবশ্যক করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের মালিকানাধীন দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্তবয়ষ্ক হয়নি, তারা যেন তোমাদের কক্ষে প্রবেশ করতে তিন সময়ে অনুমতি গ্রহণ করে—ফজরের নামাজের আগে, দ্বিপ্রহরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখো এবং এশার নামাজের পর; এই তিন সময় তোমাদের গোপনীয়তার সময়।’ (সুরা নুর: ৫৮)
অনুমতি ছাড়া কারও একান্ত সময়ে তাঁর কাছে যাওয়া গুনাহের কাজ। আর কারও অজান্তে ঘরের ভেতরের ব্যক্তিগত মুহূর্ত নজরদারি করা বা উঁকি দেওয়া আরও বড় গুনাহের কাজ। হাদিসে এ ব্যাপারে কঠিন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। সাহাল ইবনে সাদ (রা.) বলেন, একবার এক লোক রাসুল (সা.)-এর কোনো এক কক্ষে উঁকি দেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাতে একটা চিরুনি ছিল, যা দিয়ে তিনি মাথা আঁচড়াচ্ছিলেন। তিনি বললেন, যদি আমি জানতাম তুমি উঁকি দিচ্ছ, তাহলে এটা দিয়ে তোমার চোখ ফুঁড়ে দিতাম। তাকানোর জন্য অনুমতি নেওয়ার বিধান আবশ্যক করা হয়েছে। (বুখারি)
অনুমতি না পেলে ফিরে যাওয়া উচিত
কারও ঘরে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ কোরো না, যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি নেবে এবং গৃহবাসীদের সালাম দেবে। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ করো।’ (সুরা নুর: ২৭)
আর কারও দরজায় টোকা দিয়ে তিনবার অনুমতি চাওয়ার পরও যদি সে সাড়া না দেয়, তাহলে ফিরে যাওয়া উচিত। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু মুসা (রা.) উমর (রা.)-এর কক্ষে প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চেয়েছিলেন এবং তিনি কোনো অনুমতি পাননি। উমর (রা.) তাঁকে পরে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি ফিরে গেলে কেন?’ তিনি জবাব দেন, ‘আমি আপনার কাছে প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চেয়েছিলাম—যেমনটা রাসুল (সা.) আমাদের শিখিয়েছিলেন, কিন্তু আপনি কোনো অনুমতি দেননি, তাই আমি প্রবেশ করিনি।’ (ইবনে মাজাহ)
অন্য হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে বুশর (রা.) বলেন, ‘যখন কারও দরজায় কেউ এসে দাঁড়াবে এবং অনুমতি চাইবে, তখন একেবারে দরজার সোজাসুজি দাঁড়াবে না, বরং একটু ডান পাশে বা বাঁ পাশে সরে দাঁড়াবে। যদি অনুমতি দেওয়া হয়, তবে প্রবেশ করবে, অন্যথায় ফিরে যাবে।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ)
নিজের গোপনীয়তা প্রকাশ করাও গুনাহ
দাম্পত্যজীবনে স্বামী-স্ত্রীর একান্ত মুহূর্তগুলো গোপন রাখা আবশ্যক। এ বিষয়গুলো মানুষকে বলে বেড়ানোর অনুমতি দেয় না ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক নিকৃষ্ট সেই পুরুষ, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে একান্তে মিলিত হয় এবং স্ত্রী স্বামীর সঙ্গে মিলিত হয়, এরপর সে স্ত্রীর রহস্য প্রকাশ করে দেয়।’ (মুসলিম)
একইভাবে গোপন পাপের কথা মানুষকে বলে বেড়ানোও বড় গুনাহের কাজ। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে; তবে ওই সব লোককে ক্ষমা করা হবে না, যারা পাপ করার পর তা অন্যের কাছে প্রকাশ করে দেয়। অন্যের কাছে প্রকাশ করার একটি দিক হলো, কোনো ব্যক্তি রাতের আঁধারে কোনো গুনাহ করল এবং মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির গুনাহ গোপন রাখলেন। কিন্তু ভোর হওয়ার পর সে নিজেই অন্য মানুষের কাছে বলল, হে অমুক, জানো, রাতে আমি এ কাজ করেছি। সারা রাত মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির পাপটি গোপন রাখলেন আর ভোর হওয়ামাত্রই আল্লাহর ঢেকে রাখা পাপের বিষয়টি সেই ব্যক্তি নিজেই প্রকাশ করে দিল!’ (বুখারি)
অন্যের দোষ গোপন করার ফজিলত
অন্যের কোনো দোষ জানা থাকলেও তা প্রকাশ না করাই ইসলামের শিক্ষা। বিশেষ করে ওই ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাঁর দোষচর্চা ইসলামে নিষিদ্ধ। এটিকে ইসলামের পরিভাষায় গিবত বলা হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘...তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি নিজের মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? বস্তুত তোমরা একে ঘৃণাই করো।’ (সুরা হুজুরাত: ১২) মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার মর্ম সম্পর্কে আবু হুরায়রা (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে জানতে চাইলেন, ‘এটা কীভাবে?’ তিনি বললেন, ‘কেউ ব্যভিচার করার পর তওবা করলে গুনাহ মাফ হয়ে যায়। কিন্তু যে গিবত করে তার গুনাহ প্রতিপক্ষ মাফ না করা পর্যন্ত মাফ হয় না।’ (তিরমিজি)
অন্যের দোষ প্রকাশ না করার ফজিলত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন।’ (ইবনে মাজাহ)
অন্যের দোষ অনুসন্ধান করা নিষেধ
কারও দোষ অনুসন্ধান করা এবং অনুমান করে খারাপ ধারণা করা ইসলামে নিষিদ্ধ। কারও পেছনে গুপ্তচরবৃত্তি করাও নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা বেশির ভাগ অনুমান থেকে দূরে থাকো। কেননা, অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ। তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান কোরো না এবং একে অপরের পেছনে নিন্দা কোরো না।’ (সুরা হুজুরাত: ১২)
মহানবী (সা.) সাহাবিদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা যদি মানুষের গোপনীয় বিষয় উদ্ঘাটনে লেগে যাও, তবে তোমরা তাকে ধ্বংস করে দেবে কিংবা অন্তত ধ্বংসের প্রান্তে পৌঁছে দেবে।’ (আবু দাউদ) অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই ধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা, ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা। কারো দোষ খুঁজে বেড়িও না, গোয়েন্দাগিরিতে লিপ্ত হয়ো না এবং একে অন্যকে ধোঁকা দিয়ো না। …’ (বুখারি)
বৃহত্তর স্বার্থে গোয়েন্দাগিরির অনুমতি
মানুষকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে এবং জাতীয় স্বার্থে কখনো-সখনো ব্যক্তিবিশেষের ব্যক্তিগত বিষয় অনুসন্ধানের প্রয়োজন পড়ে। ইসলামি আইন ও বিচারব্যবস্থার বিধান অনুসারে কারও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা যাবে। তবে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা সরাসরি বিষয়টির সঙ্গে জড়িতদের কাছেই হতে হবে। সাধারণ সমাজে তা প্রচার করা যাবে না। এরশাদ হয়েছে, ‘যখন শান্তি বা শঙ্কার কোনো সংবাদ তাদের কাছে আসে, তখন তারা তা প্রচার করে থাকে। যদি তারা তা রাসুল বা তাদের মধ্যে যারা ক্ষমতার অধিকারী তাদের গোচরে আনত, তবে তাদের মধ্যে যারা তথ্য অনুসন্ধান করে, তারা তার যথার্থতা নির্ণয় করতে পারত। …’ (সুরা নিসা: ৮৩)

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। ইসলাম এই অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। একজন মানুষের সম্মান-সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর একটি।
১০ ডিসেম্বর ২০২২
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। ইসলাম এই অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। একজন মানুষের সম্মান-সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর একটি।
১০ ডিসেম্বর ২০২২
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। ইসলাম এই অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। একজন মানুষের সম্মান-সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর একটি।
১০ ডিসেম্বর ২০২২
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেশরিফ আহমাদ

জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯) তাই আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে, জুমার নামাজ ত্যাগ করে, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা রাসুল (সা.)-কে মিম্বরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ‘মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৬৫)
মুনাফিক ব্যক্তি ছাড়া কোনো মুসলমান ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না। নামাজ আদায়ে বিলম্ব হলে প্রকৃত মুমিনের হৃদয়ে অপরাধপ্রবণতা কাজ করে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশেষ অপারগতা ছাড়া জুমার নামাজ তরক করে, তার নামে মুনাফিক উপাধি লেখা হয় এমন কিতাবে, যার লেখা মোছা যায় না এবং পরিবর্তনও করা যায় না।’ (কিতাবুল উম্ম: ১/২৩৯)
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার সদকা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৫৩)

জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯) তাই আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে, জুমার নামাজ ত্যাগ করে, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা রাসুল (সা.)-কে মিম্বরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ‘মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৬৫)
মুনাফিক ব্যক্তি ছাড়া কোনো মুসলমান ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না। নামাজ আদায়ে বিলম্ব হলে প্রকৃত মুমিনের হৃদয়ে অপরাধপ্রবণতা কাজ করে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশেষ অপারগতা ছাড়া জুমার নামাজ তরক করে, তার নামে মুনাফিক উপাধি লেখা হয় এমন কিতাবে, যার লেখা মোছা যায় না এবং পরিবর্তনও করা যায় না।’ (কিতাবুল উম্ম: ১/২৩৯)
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার সদকা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৫৩)

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। ইসলাম এই অধিকারের স্বীকৃতি দেয়। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর হাদিসেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। একজন মানুষের সম্মান-সম্ভ্রমের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ইসলামের মৌলিক উদ্দেশ্যগুলোর একটি।
১০ ডিসেম্বর ২০২২
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে