ইসলাম ডেস্ক
মা-বাবা, ভাইবোন, চাচা-চাচি, খালা-খালু, ফুপা-ফুপু, নানা-নানি, দাদা-দাদিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষায় জোর দেয় ইসলাম। সমাজের ভারসাম্য ও শৃঙ্খলা রক্ষায় এই সম্প্রীতির কোনো বিকল্প নেই। আত্মীয়তার সম্পর্ক বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়, দুধ সম্পর্কের আত্মীয় এবং বৈবাহিক সম্পর্কের আত্মীয়।
রক্ত সম্পর্কের আত্মীয় ও দুধ সম্পর্কের আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা তো আছেই, বৈবাহিক সম্পর্কের আত্মীয়দের প্রতিও ভালো ব্যবহার করার জোর তাগিদ দিয়েছেন মহানবী (সা.)। তাঁর মুক্ত দাস মারিয়া কিবতিয়া, যিনি পরে স্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন, তাঁর জন্মস্থান ছিল মিসর। এ জন্য সাহাবায়ে কেরাম যখন মিসর জয় করছিলেন, তখন মহানবী (সা.) তাঁদের মিসরবাসীর সঙ্গে ভালো আচরণের আদেশ দিয়েছিলেন। (মুসলিম)
মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা প্রত্যেক সন্তানের জন্য আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমরা মানুষকে মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছি। (সুরা আনকাবুত: ৮) তাঁদের অবাধ্য হওয়া সবচেয়ে বড় গুনাহের একটি। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘আমি কি তোমাদের সবচেয়ে বড় গুনাহগুলো সম্পর্কে অবহিত করব না?’ সবাই বললেন, ‘হ্যাঁ, বলুন হে আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা এবং মা-বাবার অবাধ্য হওয়া।’ (বুখারি)
মা-বাবা অমুসলিম হলেও তাঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তবে তাঁদের কথা মান্য করতে গিয়ে আল্লাহর অবাধ্য হওয়া যাবে না। হজরত আসমা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর যুগে আমার মা রাগিবা (অমুসলিম) আমার কাছে এলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘তার সঙ্গে কি আমি সম্পর্ক বজায় রাখব?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ (বুখারি)
এর বাইরে অন্য আত্মীয়দের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রক্ষা করা জরুরি। বিশেষ করে আমাদের সমাজে ফুফুদের প্রতি বেশি অবহেলা করা হয়। আত্মীয় যেমনই হোক, যত মনোমালিন্যই থাকুক, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা এবং খোঁজখবর রাখা জরুরি। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তুমি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করবে।’ (বুখারি)
ঈদের ছুটির দিনগুলো আমরা আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবরে কাটাতে পারি। যাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নেই, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করতে পারি। হিংসা, বিদ্বেষ, শত্রুতা যেন আমাদের ভালোবাসা নষ্ট না করে। ঈদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা এটিই। সমাজের সব স্তরের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠাই ঈদের প্রধান আনন্দ।
মা-বাবা, ভাইবোন, চাচা-চাচি, খালা-খালু, ফুপা-ফুপু, নানা-নানি, দাদা-দাদিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষায় জোর দেয় ইসলাম। সমাজের ভারসাম্য ও শৃঙ্খলা রক্ষায় এই সম্প্রীতির কোনো বিকল্প নেই। আত্মীয়তার সম্পর্ক বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়, দুধ সম্পর্কের আত্মীয় এবং বৈবাহিক সম্পর্কের আত্মীয়।
রক্ত সম্পর্কের আত্মীয় ও দুধ সম্পর্কের আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা তো আছেই, বৈবাহিক সম্পর্কের আত্মীয়দের প্রতিও ভালো ব্যবহার করার জোর তাগিদ দিয়েছেন মহানবী (সা.)। তাঁর মুক্ত দাস মারিয়া কিবতিয়া, যিনি পরে স্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন, তাঁর জন্মস্থান ছিল মিসর। এ জন্য সাহাবায়ে কেরাম যখন মিসর জয় করছিলেন, তখন মহানবী (সা.) তাঁদের মিসরবাসীর সঙ্গে ভালো আচরণের আদেশ দিয়েছিলেন। (মুসলিম)
মা-বাবার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা প্রত্যেক সন্তানের জন্য আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমরা মানুষকে মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছি। (সুরা আনকাবুত: ৮) তাঁদের অবাধ্য হওয়া সবচেয়ে বড় গুনাহের একটি। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘আমি কি তোমাদের সবচেয়ে বড় গুনাহগুলো সম্পর্কে অবহিত করব না?’ সবাই বললেন, ‘হ্যাঁ, বলুন হে আল্লাহর রাসুল।’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা এবং মা-বাবার অবাধ্য হওয়া।’ (বুখারি)
মা-বাবা অমুসলিম হলেও তাঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। তবে তাঁদের কথা মান্য করতে গিয়ে আল্লাহর অবাধ্য হওয়া যাবে না। হজরত আসমা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর যুগে আমার মা রাগিবা (অমুসলিম) আমার কাছে এলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘তার সঙ্গে কি আমি সম্পর্ক বজায় রাখব?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ (বুখারি)
এর বাইরে অন্য আত্মীয়দের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রক্ষা করা জরুরি। বিশেষ করে আমাদের সমাজে ফুফুদের প্রতি বেশি অবহেলা করা হয়। আত্মীয় যেমনই হোক, যত মনোমালিন্যই থাকুক, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা এবং খোঁজখবর রাখা জরুরি। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তুমি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করবে।’ (বুখারি)
ঈদের ছুটির দিনগুলো আমরা আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবরে কাটাতে পারি। যাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নেই, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করতে পারি। হিংসা, বিদ্বেষ, শত্রুতা যেন আমাদের ভালোবাসা নষ্ট না করে। ঈদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা এটিই। সমাজের সব স্তরের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠাই ঈদের প্রধান আনন্দ।
বাংলা অঞ্চলের হাজার বছরের ইতিহাসে ধর্ম, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের যে সমন্বয় ঘটেছে, তার মধ্যে ইসলামি স্থাপত্য এক মহিমান্বিত অধ্যায়। কালের গহ্বরে কিছু নিদর্শন হারিয়ে গেলেও, আজও দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদের গম্বুজ, মাদ্রাসার মিনার কিংবা মাজারের কারুকাজ ইসলামের প্রসার ও সৃজনশীলতার এক অনুপম সাক্ষ্য বহন করে।
১২ ঘণ্টা আগেপৃথিবীতে আমরা কেউই চাপমুক্ত নই; দুশ্চিন্তা ও হতাশা সবারই থাকে। তবে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় হলে তা মানসিক রোগে রূপ নেয়, যা অনেক শারীরিক রোগেরও কারণ। তাই প্রতিটি মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কোরআন-হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমলের কথা আলোচনা করছি।
১৩ ঘণ্টা আগেহিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক। মহানবী (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হতেন। এ মাসের মধ্যভাগে রয়েছে ফজিলতের রাত শবে বরাত।
১৩ ঘণ্টা আগেআরবি দাওয়াত শব্দের অর্থ ডাকা এবং তাবলিগ শব্দের অর্থ পৌঁছে দেওয়া। ইসলামের সুমহান বাণীর প্রচার-প্রসারের পদ্ধতিকেই দাওয়াত ও তাবলিগ বলা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। মুসলমানদের একটি দলকে অবশ্যই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা...
১৩ ঘণ্টা আগে